Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।” কিন্তু এখানে বিশ্বাস অন্ধ বিশ্বাস কি না, তা নিয়ে যেমন শিক্ষিত মহলে প্রশ্ন আছে , তেমনি অনেকেরই আবার দাবি, এ আসলে ঠাকুরের অপার মাহাত্ম্য। বাস্তব যাই হোক না কেন, এমনই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায়। পুকুরে ডুব দিলেই নাকি হচ্ছে মনোবাসনা পূরণ। শুধু তাই নয়, ডুব দিলেই মিলছে চাকরি, অসুস্থ শরীর হচ্ছে সুস্থ, এমনকী মিলছে সন্তানও। এমনটাই নাকি ঘটছে বানিপুরের ইতনা কলোনির এক পুকুরে, স্থানীয়রা যার নাম রেখেছেন “কামনা পুকুর”।  

    স্থানীয়দের কী দাবি এই পুকুর নিয়ে ?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পুকুরের জলে নাকি রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এলাকার মানুষজন তাই পুকুরপাড়ে তৈরি করে ফেলেছেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ-এর মন্দির। শুধু তাই নয়, দূর থেকে ঠাকুরবাড়ির পুকুরের ১০১ ঘটি জল এনে শোধনও করেছেন। এই পুকুরের খবর ছড়িয়ে যায় সর্বত্র। ভক্তরা আসতে শুরু করেন দূরদূরান্ত থেকে, তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য। আবার অনেকের, যাদের চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ কাজ করছে না, তাদের নাকি এই জলে ডুব দিলে শারীরিক সমস্যা দূর হচ্ছে। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল এক গৃহবধূকে। মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে নাকি চলে আসে সন্তান। সকাল থেকেই ভক্তদের তাই লাইন পড়ছে এই এলাকায়, পুকুর সংলগ্ন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরেও পড়ছে লম্বা লাইন। সঙ্গে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ, কাঁসর, ডঙ্কা, নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন। উপস্থিত ছিলেন মতুয়া ভক্ত দলপতি গোসাই পাগল রাও। সব মিলিয়ে স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়।

    শুনুন, এক বৃদ্ধা কী বলছেন

    এখানেই দেখা হয়েছিল এক বৃদ্ধার সঙ্গে। নাতির পায়ে এতই যন্ত্রণা যে তারা কেউই রাতে ঘুমাতে পারতেন না। তাই তিনি এখানের শরণাপন্ন হলেন। নাতির রোগ সারলে এক মন চাল মানসিক হিসেবে দেব বলেছিলেন। তিনি এসেছিলেন সেই মানসিক দিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anant Ambani:  ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    Anant Ambani: ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফের আগের চেহারায় মুকেশ-পুত্র, রহস্যটা কী ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমক করে বিয়ের অনুষ্ঠান তো হল। আর তার কত ছবিও প্রকাশ্যে এল। কিন্তু সেইসব ছবি আর ভিডিও দেখে অনেকেরই একটা বিষয়ে ঘোর যেন কাটতে চাইছে না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত আম্বানির চেহারা তো এমন ছিল না। হ্যাঁ, এমন চেহারাই তার ছিল, তবে তা ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত। তারপর তো শোনা গিয়েছিল তার ওজন কমেছে এক লপ্তে ১০৮ কেজি। প্রকাশ্যেও দেখা গিয়েছিল, সেই বিশালাকার চেহারা হয়ে উঠেছে একেবারে ছিমছাম। তাহলে এরপরে কী এমন হল, যাতে তার ওজন ফের বেড়ে গেল?

    ১০৮ কেজি ওজন কমল কীভাবে?

    প্রথমে দেখা যাক,  অনন্ত আম্বানির ১০৮ কেজি ওজন মাত্র দেড় বছরে, অর্থাত ১৮ মাাসে কমেছিল কিভাবে। জানা গিএছে, এর মধ্যে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম চলত পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার হাঁটা, ট্রেনিং, কার্ডিও ইত্যাদি নানা রকমের নিয়মকানুন তাকে মেনে চলতে হত। সঙ্গে ছিল যোগ ব্যায়ামও। আর বলার অপেক্ষা রাখে ন্‌ খাবার ছিল এরকম-জিরো সুগার, লো ফ্যাট, লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন। জাঙ্ক ফুডের মায়া পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। পরিবর্তে ফলমূল এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ছিল মূল ডায়েট। দৈনিক শরীরে ক্যালরি যেত ১২০০ থেকে ১৪০০। এসব করে যখন সে একেবারে ছিমছাম হয়ে গেল, তখন তার ছবি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলে দিয়েছিল। তখন সে যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল এই ভেবে যে, এটাও সম্ভব।

    ফের ওজন বেড়ে গেল কেন?

    এই রহস্যের কিছুটা সমাধান হয়েছিল নিতা আম্বানির একটি বক্তব্যে। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলে প্রচণ্ডভাবে অ্যাজমায় ভোগে। তাই তাকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হয়। এটাই হয়তো তার আচমকা ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি (SSC Scam) মামলায় তথ্য চেয়ে গুগলকে (Google) চিঠি দিল সিবিআই (CBI)। জাল ওয়েবসাইট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগলের কাছে। জানা গিয়েছে, এই জাল ওয়েবসাইটেই অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে পাশ করার রেজাল্ট দেখানো হত। সেই কারণেই ওই জাল ওয়েবসাইট সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, দুটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    এসএসসি (SSC Scam) মামলা…

    এই দুটি ওয়েবসাইটে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেখানো হত তাঁদের নাম। টাকা নেওয়ার পরে ডিলিট করে দেওয়া হত সেই তালিকা। সেই কারণেই আইপি অ্যাড্রেস সহ যাবতীয় তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কিছু কর্মপ্রার্থী চাকরি পেলেও, অনেকেই পাননি। যদিও টাকা দিয়েছেন তাঁরা। যার অর্থ, প্রতারিত হয়েছেন তাঁরাও। কারা প্রতারিত হয়েছেন, কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তা জানতেই তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগুলের কাছে।

    সিবিআইয়ের দাবি, যাঁরা পরীক্ষায় (SSC Scam) ফেল করত, ওয়েবসাইটের দেওয়া রেজাল্টে তাঁকে পাশ দেখানো হত। সেই রেজাল্টের প্রিন্টআউটও দেওয়া হত। টাকা নেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যেত সেই নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটে .ইন রয়েছে। কিন্তু ভুয়ো ওয়েবসাইটে সেটাই .কম। জানা গিয়েছে, চাকরির জন্য যারা টাকা দিত, তাদের নাম তোলা হত ভুয়ো ওয়েবসাইটে। পরে সেটা দেখিয়েই আরও টাকা দাবি করা হত। যে ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ফুলে ফেঁপে উঠেছে দালালরা।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    এদিকে, পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। অন্তত হার্ড ডিস্কে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের (SSC Scam) ক্ষেত্রে অয়ন প্রার্থী পিছু লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন বলে অভিযোগ। নামে-বেনামে অয়নের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অয়ন সেই ফ্ল্যাটগুলির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। অয়নের প্রায় আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। সেই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পরিবেশ (Environment) বাঁচাতে কজনই বা এগিয়ে আসেন? কিন্তু উত্তরবঙ্গে বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক, বিজেপির (BJP) শঙ্কর ঘোষ। উত্তরবঙ্গের মূল সৌন্দর্য হল ওই নদী আর বনজঙ্গল। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন থেকে তিনি জানতে পারেন, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি জঙ্গলে একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব নয়।  বনজঙ্গল ধ্বংস করেই সেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 

    শঙ্করবাবুর মূল অভিযোগ কী ? 

    অভিযোগ, কোনওরকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে এবং বনজঙ্গল (Forest) ধ্বংস করে চলছে এই নির্মাণকার্য। এর ফলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের (Tourism) ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। লাটাগুড়ির এই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স (Commercial Complex) বানানো নিয়ে তাই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের বন আইন, পরিবেশ (Environment) আইন ইত্যাদি কিছুই মানা হচ্ছে না এই নির্মাণকার্যে। শুধু এটি নয়, আরও অনেক হোটেল, রিসর্ট নির্মাণ হচ্ছে এইভাবেই, আইনকে তোয়াক্কা না করেই। অপরদিকে তিস্তা নদীতে ক্রাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে পাথর তোলার কাজ চলছে। এতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এরপর এর থেকে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে। আর এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গে নদী ও বন বাঁচাতে আন্দোলন করছি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বনভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও কংক্রিটের নির্মাণ করা যাবে না। কোর এলাকায় পিচরাস্তা নির্মাণ হবে না। এক্ষেত্রে কিছুই মানা হয়নি। এছাড়া বন্যপ্রাণ আইনও ভাঙা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    বিধানসভাতে পর্যন্ত জানানো হয় ব্যাপারটি, কিন্তু তারপর ?

    গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শঙ্করবাবু নিজে বিধানসভাতে মুখ্যমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জানান। তিনি চিঠি দিয়ে জানতে চান, এই নির্মাণকার্যের ক্ষেত্রে পরিবেশ (Environment) দফতরের ছাড়পত্র আছে কিনা। কিন্তু আজও তার সদুত্তর মেলেনি। এরপর আবার তিনি জেলাশাসককে চিঠি দেন। তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে সেটি বনদফতরের কাছে রেফার করে দেন। সেখান থেকেও কোনও উত্তর আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি পরিবেশপ্রেমীদের একজোট করে এর প্রতিবাদে সরব হবেন বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি গ্রিন বেঞ্চে মামলা করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    তাঁর এই অভিযোগের ব্যাপারে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী জানিয়েছেন ?

    দুদিন উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শিলিগুড়ির বিধায়কের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ উঠতে তিনি বলেন, “শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় বিষয়টি তোলেননি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ঠিক কথা বলছেন না। লাটাগুড়ির যে নির্মাণকার্য নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন, সেটি কোর এরিয়ার মধ্যে নয়। তার আগে থেকেই সেখানে অনেক বাড়ি রয়েছে। আর গরুমারা হল অভয়ারণ্য। তাই সেখানে নির্মাণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নির্মাণ হচ্ছে লাটাগুড়িতে। ওই নির্মাণ আমাদের এলাকায় হচ্ছে না, তাই এই নির্মাণকার্যে আমরা বাধা দিতে পারি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ। পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবারও কুস্তাউর রেল স্টেশন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) ঘিরে রাখেন। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে, বুধবারের মতো এদিনও দক্ষিণ পূর্ব রেলে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অনেক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রেলে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, হাওড়া-পুনে, হাওড়া-জগদ্দলপুর, হাওড়া-আহমেদাবাদ, লোকমান্য তিলক-শালিমার, ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসসহ ৮৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। ৭টি ট্রেনের যাত্রাপথ আদ্রা পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ঘুর পথে ট্রেন চললেও যাত্রী দুর্ভোগ রয়েছে। অনেকেই না জেনে ভিন রাজ্যে কাজে যাবেন বলে বেরিয়ে ট্রেন বাতিলের কথা জানতে পেরে ফিরে আসছেন।

    জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কুড়মি নেতাদের (Tribal People) বৈঠক, কী হল?

    ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে সড়ক এবং রেল অবরোধে জনজীবন বিপর্যস্ত। বুধবার দিনভর নজরদারি করার পর বৃহস্পতিবার প্রশাসনের কর্তারা বিড়ম্বনায় পড়েন। খেমাশুলির কাছে কলাইকুণ্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার যান এবং কুড়মি সংগঠনের রাজ্য নেতা (Tribal People) রাজেশ মাহাত, সংগঠনের জেলা সভাপতি কমলেশ মাহাতরা ছিলেন। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বার বার আবেদন করা হয়। কিন্তু, সংগঠনের নেতারা জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য পরিমার্জিত সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত এদিন ঝাড়গ্রামে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। সেখানে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমাদের আন্দোলনকে রাজ্য সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা এবার নতুন করে কোটশিলা স্টেশনে অবরোধ করব। আর সড়ক পথে লালপুর-হুড়া এবং শিমুলিয়ায় রাস্তা অবরোধ করব। আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি,  শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি, শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীর মধ্যে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হল উপভোক্তাদের। ফলে শিবিরে ভাঙচুর চালালেন ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি এলাকায়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল এদিন ?

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন এই ক্যাম্প (Duare Sarkar) অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রামবাসীরা হাজির হয়েছিলেন শিবিরে। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীরা ক্যাম্পে উপস্থিত হতে শুরু করেন। একেই সময়ের অনেক পরে কাজ চালু হয়, তার ওপর সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল হওয়ায়, ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় সরকারি কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অন্যদিকে এদিন দেরি করে ক্যাম্প চালু ও ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। এমনকী ক্যাম্পের আসবাবপত্রে ভাঙচুরও চালানো হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শিবির চত্বরে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় শিবিরের কাজকর্ম।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি ?

    যদিও কর্মীদের দেরীতে আসার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। তবে পর্যাপ্ত ফর্ম শিবিরে (Duare Sarkar) রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক অফিসের কর্মী সাগরাম সোরেন জানিয়েছেন, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম দেওয়া হয়নি বলে সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত  বিভাগের নাম লিখে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করে গোপনাঙ্গ কেটে নিল স্ত্রী, অবশেষে গ্রেফতার প্রেমিক যুগল

    Purulia: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে খুন করে গোপনাঙ্গ কেটে নিল স্ত্রী, অবশেষে গ্রেফতার প্রেমিক যুগল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া ধরা পড়ল পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরে। ২০১৭ সালে বারাসতের মনুয়া (Monua) মজুমদার তার প্রেমিক অজিত রায়কে দিয়ে স্বামী অনুপম সিংকে খুন করিয়েছিল। আর সমস্ত ঘটনাটি বাপের বাড়িতে বসে সে ফোনে লাইভ শুনেছিল। পুরুলিয়ার (Purulia) জয়পুরের রাঙ্গুনিটাড় গ্রামের ঘটনাটি অনেকটাই সেরকম। গ্রামের বাড়িতে বসে প্রেমিককে ফোন করে স্বামীকে খুন করে দেহ লোপাট করার লাইভ আপডেট দেয় স্ত্রী। পরে, প্রেমিকের পরামর্শে নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে দেহ পুঁতে দেয়। মৃতদেহে পচন ধরাতে সেখানে লবনও ঢেলে দেয় সে। গোয়ায় বসেই প্রেমিক ফোনে তার প্রেমিকাকে সমস্ত কিছু নির্দেশ দিয়েছিল। ২০ মার্চ রহস্যজনকভাবে জুড়ন মাহাত নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে আসে। ইতিমধ্যে পুলিশ জুড়নের স্ত্রী উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করেছে। আর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    প্রেমিকের সঙ্গে কীভাবে আলাপ হয়েছিল বধূর?

    উত্তরার দুই সন্তান রয়েছে। আর প্রেমিক ক্ষেত্রপালও চার সন্তানের বাবা। সে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করে। বছর পাঁচেক আগে উত্তরাদের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করার সময় তার সঙ্গে ক্ষেত্রপালের আলাপ হয়। পরে, ফোন দেওয়া-নেওয়া হয় দুজনের মধ্যে। সময় সুযোগ পেলেই ফোনেই তাদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা চলত। পরে, দুজনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে। পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। বছর দুয়েক আগে উত্তরার স্বামী সমস্ত বিষয়টি জেনে যান। আর এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। তাই, প্রেমের মধুর এই সম্পর্কের মাঝে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী। প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই স্বামীকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরা।

    কী করে খুন করা হল?

    ২০ মার্চ রাতে জুড়নকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে তার স্ত্রী উত্তরা। সেদিন রাতে স্বামীকে ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেয়। আর তরকারির মধ্যে সে ২৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। ফলে, খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই জুড়ন বেহুঁশ হয়ে পড়েন। এরপরই উত্তরা আসল খেলা শুরু করে। প্রথমে নিজেদের দোকানের বাটখারা করে স্বামীর মাথায় আঘাত করে। পরে, ঘরে তরকারি কাটার ছুরি দিয়ে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে নেয়। আর এই কাজ করার সময় মোবাইলের অন্যপ্রান্তে গোয়ায় বসেই শুনছিল ক্ষেত্রপাল। পরে, স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত জানার পর উত্তরা একাই তাকে টানতে টানতে সেপটিক ট্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেয়।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “২০ ই মার্চ বছর ৪৫ এর জুড়ন মাহাত নিখোঁজ হন। ২২ ই মার্চ তার স্ত্রী উত্তরা মাহাত ও বড় ছেলে অপূর্ব মাহাত থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর ২৫ তারিখ জুড়নের ছেলে জানায়, তাদের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছে। এরপরই তদন্তে নেমে জুড়ন মাহাতোর বাড়ির বাইরে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরের দিন উত্তরা মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহাতকে গ্রেফতার করা হয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: বিভিন্ন দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে এবিভিপি! পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ

    ABVP: বিভিন্ন দাবিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে এবিভিপি! পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাল এবিভিপি (ABVP)। পুলিশ এসে বিক্ষোভ সরাতে গেলে শুরু হয় দুপক্ষের ধস্তাধস্তি। পুলিশের বিরুদ্ধে এদিন লাঠিচার্জেরও অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি (ABVP)। তাদের আরও দাবি, ধস্তাধস্তির সময় রাজ্যনেত্রী শিল্পা মণ্ডলের পোশাক ছিঁড়ে দেয় পুলিশ। সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এমন সময় সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠনও এই ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। আজকের বিক্ষোভ সেই কর্মসূচিরই একটা অংশ, এমনটাই জানা গেছে এবিভিপি (ABVP) সূত্রে।

    আরও পড়ুন: অবাককাণ্ড! কাঠের তৈরি খাটে বা চৌকিতে ঘুমোন না এই গ্রামের বাসিন্দারা, কেন জানেন?

    কেন এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ?

    এবিভিপি (ABVP) সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া সহ একাধিক দাবিতে এদিন তারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অভিযানের ডাক দেয়। কলকাতা সমেত শহরতলির বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৫০০ অধিক এবিভিপি কর্মী এদিনের বিক্ষোভে হাজির ছিলেন বলে দাবি এবিভিপির। মিছিল শুরু হয় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে। সংগঠনের জাতীয় সম্পাদক বিরাজ বিশ্বাস এবং রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মিছিল চলতে শুরু করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই মিছিলের পথ আটকায় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এবিভিপি(ABVP) কর্মীরা জোর করে এগিয়ে যেতে চাইলে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।

    কী বলছেন এবিভিপির নেতৃত্ব ?

    সংগঠনের জাতীয় সম্পাদক বিরাজ বিশ্বাস বলেন, রাজ্য সরকার দেওলিয়া হয়ে গিয়েছে। পুরো শিক্ষা দফতর রয়েছে জেলের ভিতরে। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে প্রতিদিন। পুলিশ এদিনের মিছিলে অন্যায়ভাবে লাঠিচার্জ করেছে, এমনটাই অভিযোগ এবিভিপির (ABVP) রাজ্য নেতা মৃদাঙ্ক সাহার। তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ আজকে লাঠিচার্জ করেছে। অন্যায়ভাবে ৫০ জনেরও বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। শুধু তাই নয় ধস্তাধস্তির সময় রাজ্য সহ সম্পাদিকা শিল্পা মন্ডলের পোশাক পর্যন্ত ছিঁড়েছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Canceled: যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা! ফের শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন বন্ধ

    Train Canceled: যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা! ফের শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহশেষে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন রেল যাত্রীরা। রক্ষণাবেক্ষণের জরুরি কাজের জন্য আগামী শনিবার রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রায় ১০ ঘণ্টা শিয়ালদহ শাখায় (Sealdah branch) ট্রেন চলাচল ব্যহত হবে।

    দুঃখপ্রকাশ পূর্ব রেলের

    পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ স্টেশনে লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বেশকিছু লোকাল ট্রেন (Local train) বাতিল করা হয়েছে। তার পাশাপাশি কয়েকটি দূরপাল্লা ট্রেনের রুট (long distance) পরিবর্তনও করা হয়েছে। যার জেরে ফের যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যাত্রীদের হয়রানির জন্য রেলের পক্ষ থেকে আগাম দুঃখপ্রকাশ করেছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।

    লোকাল ট্রেনে প্রভাব

    শনিবার রাতে শিয়ালদহ থেকে একটি করে নৈহাটি, বনগাঁ, হাবড়া, ডানকুনি, কল্যাণী সীমান্ত এবং বারাকপুর লোকাল বাতিল করা হচ্ছে। পরদিন, রবিবার সকালে শিয়ালদহ থেকে তিন জোড়া রানাঘাট লোকাল ছাড়াও বনগাঁ, হাবড়া, ডানকুনি, কল্যাণী সীমান্ত এবং ব্যারাকপুরের মধ্যে দু’জোড়া করে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও, শিয়ালদহ থেকে দত্তপুকুর, হাসনাবাদ, নৈহাটি, শান্তিপুর ও গেদের মধ্যে এক জোড়া করে লোকাল ট্রেন এবং একটি কৃষ্ণনগর লোকাল বন্ধ থাকবে। 

    আরও পড়ুন: আপাতত বৃষ্টি নেই, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গরমে নাজেহাল শহরবাসী

    দূরপাল্লার ট্রেনে প্রভাব

    লোকাল ট্রেন ছাড়াও প্রভাব পড়বে দূরপাল্লা ট্রেনের সূচিতেও। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শনিবার পদাতিক ও আজমের এক্সপ্রেস শিয়ালদহে আসবে না। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে শিয়ালদহমুখী পদাতিক এবং অজমের এক্সপ্রেস শনিবার কলকাতা স্টেশনে আসবে। ওই দু’টি ট্রেন শনিবার কলকাতা টার্মিনাল থেকেই ছাড়বে। এ ছাড়া, ওই দু’দিনের মধ্যে শিয়ালদহ অভিমুখে আসা গৌড়, দার্জিলিং মেল, পদাতিক, কাঞ্চনজঙ্ঘা, বালুরঘাট-মালদহ টাউন প্যাসেঞ্জার-সহ একাধিক ট্রেন তাদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কয়েক ঘণ্টা পরে শিয়ালদহ অভিমুখে রওনা হবে। যাত্রীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই আগে থেকেই ট্রেন বন্ধের বিষয়টি জানিয়ে দিল রেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Space Economy: মহাকাশ অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত, জানেন কীভাবে?

    Space Economy: মহাকাশ অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত, জানেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ অর্থনীতিতে (Space Economy) চিনকে (China) টেক্কা দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)। মহাকাশের ক্রমবর্ধমান লাভজনক ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউস্পেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড গত মাসে ওয়ানওয়েব লিমিটেডের জন্য দেশের পূর্ব উপকূলের দ্বীপ থেকে তিন ডজন কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে। মহাকাশ থেকে সরবরাহ করা উচ্চ গতির ইন্টারনেটের চাহিদা কক্ষপথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে সমৃদ্ধ ব্যবসায় পরিণত করেছে। আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াংয়ের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ অর্থনীতি ২০২০ সালে ৪৪৭ বিলিয়ন থেকে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে চলেছে।

    মহাকাশ অর্থনীতি (Space Economy)…

    এতদিন রাশিয়া ও চিন সব চেয়ে বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ (Space Economy) করত। ইউক্রেন যুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্কের অবনতির জেরে তারা এখন বহু গ্রাহকের থেকে দূরে সরে গিয়েছে। গত বছর রাশিয়া তার ৩৬টি মহাকাশযান বন্ধ করে দেয়। যার জেরে এই অর্ডার ভারতকে দেয় ওয়ানওয়েব। একই সঙ্গে নানা সমস্যার কারণে ফ্রান্সের এরিয়ান স্পেস আপাতত নয়া রকেট লঞ্চ করতে পারছে না। ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার রিচার্ড ব্র্যানসনের সঙ্গে যুক্ত স্যাটেলাইট লঞ্চ কোম্পানি ভার্জিন অরবিট হোল্ডিংস ইনক গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল, জানুয়ারিতে ব্যর্থতার পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কার্যক্রম।

    আরও পড়ুুন: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জোনাথন ম্যাকডওয়েলের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশটির (ভারতের) সাফল্যের হার প্রায় ৭০ শতাংশ। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া বা চিনের ৯০ এর দশকের রকেটের সাফল্যের হারের তুলনায় খারাপ। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতেও ভারত ভাল করছে। দেশটি সাশ্রয়ী উৎক্ষেপণের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দে পরিণত হয়েছে। ২০১৩ সালে ভারত (Space Economy) একই বছর নাসা প্রোবের মূল্যের দশ ভাগের এক ভাগে মঙ্গলে অরবিটার পাঠিয়েছিল। সব মিলিয়ে বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মহাকাশ অর্থনীতিতে ভারতের উন্নতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share