Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়লাকাণ্ডে সিবিআইকে বড় কারও নাম বলে দেবেন বলেই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে খুন করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সোমবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তাঁকে খুন করতে ফিল্মি কায়দায় হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছে। তিনি একসময় শিল্পাঞ্চলে কয়লাপাচারের কিংপিন ছিলেন। বেআইনি কোন রুট ধরে এই পাচার হত তা তার মুখস্থ ছিল। কোন পুলিশ অফিসার, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজনৈতিক নেতার কাছে কত নজরানা যেত তা তাঁর নখদর্পণে ছিল। কয়েকদিন আগেই তাঁর ওপর হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সে যাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়ে যান। তবে, এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকার ঠিক আগেই তাঁকে খুন করা হল। স্বাভাবিকভাবে কয়লাপাচারকাণ্ডে তিনি অনেকের জড়িত থাকার নাম বলে দিতে পারতেন। আর তাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহল মনে করছে।

    শুটআউটের আগে লতিফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

    কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডে অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফের ভালো সম্পর্ক ছিল। বহু বছর ধরেই তাঁরা বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিল। লতিফের বাড়ি ইলামবাজার। তাঁর সঙ্গে এনামূল হকের ভাল সম্পর্ক ছিল। অন্ধকার জগতে সকলেই লতিফকে এনামূলের ভাই হিসেবেই জানত। জানা গিয়েছে, এই লতিফের দুধ সাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। আর নুরুল হোসেন নামে একজন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার (Attack) সময় রহস্যজনকভাবে লতিফ নিজের গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের গাড়ি থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। শক্তিগড় স্টেশনের কাছ থেকে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘটনার আগেই লতিফ কেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কে এই রাজু ঝা?

    রাজু ঝা-র আদি বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা। এলাকার তার আসল নাম রাজেশ ঝা। তিনি দুর্গাপুরে রাজু ঝা নামেই পরিচিত। রাজুর উত্থান রানিগঞ্জ থেকে। রানিগঞ্জের মাড়োয়ারি সনাতন বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরে, সরজু উপাধ্যায় নামে এক কয়লা কারবারের দলে সে নাম লেখায়। পরবর্তী সময়ে কয়লার ট্রাকের খালাসি হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া তাঁর কাজ ছিল। সরজুকে খুন করা হয়। নয়ের দশকে কয়লা মাফিয়া হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। বাম জমানা থেকে কয়লা-মাফিয়া হিসেবে দাপিয়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। ২০১১ সালের আগে, খনি অঞ্চলে প্রায় দেড় দশক ধরে অবৈধ কয়লার কারবারে রাজুর নাম ছিল প্রথম সারিতে। অণ্ডাল থেকে ডানকুনির আগে পর্যন্ত তাঁর অবৈধ কয়লার কারবার চলত। তবে ২০১১ সালে সরকার বদলের পাশাপাশি তাঁর সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।

    বীরভূমের বিভিন্ন থানাতে বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগ রয়েছে তার নামে। কয়লা কারবারের রাজত্ব হাতছাড়া হতে তিনি ধীরে ধীরে দুর্গাপুরে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রয়েছে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, পার্কিং প্লাজ়া, শাড়ির দোকান। দুর্গাপুরের বিধাননগরে তাঁর আভিজাত্যপূর্ণ বিলাসবহুল একটি বাড়িও করেন। এরপর রাজু ঝা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুরের একটি সভায় বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বেশ কিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন তিনি। এখন এলাকায় ফিরে দাদাগিরি ট্যাক্স জারি করেছিল। তাতে শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চটে গিয়েছিলেন। অন্ডালের এক মাফিয়ার রাজত্বে তিনি থাবা বসাচ্ছিলেন। ফলে, তাঁর সঙ্গে একটা শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা কয়লাপাচার কাণ্ডে ডেকে পাঠানোর আগেই তাঁর এই খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhuban Badyakar: এবার অভিনয় জগতে পা রাখলেন ভুবন বাদ্যকর, কী বললেন ‘বাদাম কাকু’?

    Bhuban Badyakar: এবার অভিনয় জগতে পা রাখলেন ভুবন বাদ্যকর, কী বললেন ‘বাদাম কাকু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অভিনয় জগতে পা রাখলেন বাদাম কাকু বলে পরিচিত ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। জানা গিয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এক সিরিয়ালে বাবার ভূমিকায় দেখা যাবে ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত শিল্পীকে। এতদিন গায়ক হিসাবেই ছিল তাঁর পরিচিতি, ‘কাঁচা বাদাম’ গান ভাইরাল হওয়ার পর রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চেও দেখা মিলেছে তাঁর। ‘দাদাগিরি’ থেকে স্টার জলসার ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র স্টেজে দেখা গিয়েছে তাঁকে, তবে এবার সরাসরি অভিনয়ে ভুবন বাদ্যকর।

    সিরিয়ালে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে 

    নতুন ইনিংস নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। তিনি জানিয়েছেন, মাস তিনেক আগে শ্যুটিং করেছেন তিনি। সিরিয়ালে তাঁকে মেয়ের বাবার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। প্রেম করে বিয়ে করতে চায় মেয়ে, কিন্তু বাধ সাধবে বাবা। সেই নিয়েই এগোবে গল্প। মোট দু-দিন অভিনয় করেছেন ভুবন বাবু (Bhuban Badyakar), এর বিনিময়ে চল্লিশ হাজার টাকা পারিশ্রমিকও পেয়েছেন। বাদাম কাকুর কথায়, ‘মানুষের আর্শীবাদেই আমার গান সবার মন ছুঁয়েছে। আমি সবার সামনে গান গাইবার সুযোগ পেয়েছি, আগামিদিনে অভিনয়ে সুযোগ এলে নিশ্চয় অভিনয় করব’।

    গত বছরেই তাঁর কাঁচা বাদাম গান ব্যাপক ভাইরাল হয়  

    ‘আমার কাছে নাইগো ভুবু ভাজা বাদাম..’, গেয়ে বীরভূমের এই সাধারণ বাদাম বিক্রেতার জীবনে সুদিন ফিরেছিল। লাখ লাখ টাকা খরচ করে দুবরাজপুরে কোঠা বাড়ি বানিয়েছেন ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। তবে গত মাসেই জানা যায়, সেই বাড়িতে থাকতে পারছেন না গায়ক ও তাঁর পরিবার। চাঁদা শিকারিদের ‘অত্যাচারে’ ভাড়া বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি ‘কাঁচাবাদাম’ গানের কপিরাইট নিয়ে আদালতে মামলাও ঠুকেছেন। ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ বীরভূমের এক মিউজিক স্টুডিওর মালিক নামমাত্র টাকায় তাঁকে ঠকিয়ে এই গানের কপিরাইট হাতিয়ে নিয়েছে। গোধূলিবালা মিউজিক অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই মামলার নিষ্পত্তি কবে হবে সেটা দেখার, তবে অভিনেতা হিসাবে ভুবন বাদ্যকরের নতুন ইনিংসের দিকে মুখিয়ে সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shaktigarh Shootout: ক্রমশ জটিল শক্তিগড় শ্যুটআউট! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের গাড়িতে কেন যাচ্ছিলেন রাজু ঝা?

    Shaktigarh Shootout: ক্রমশ জটিল শক্তিগড় শ্যুটআউট! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের গাড়িতে কেন যাচ্ছিলেন রাজু ঝা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ভর সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে (Shaktigarh Shootout) খুন হন দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। জানা গেছে, যে গাড়িতে করে রাজু ঝা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সেই গাড়িটি ছিল বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের। জানা গিয়েছে, শনিবার দুবরাজপুরের বাসিন্দা শেখ নূর অর্থাৎ ড্রাইভারকে নিজের এসইউভি গাড়ি (WB 48D 7032) সহ আব্দুল লতিফ পাঠিয়েছিল দুর্গাপুর। পরে দুর্গাপুর থেকে রাজু ঝা-দের নিয়ে এসইউভি গাড়িটি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। সেই গাড়িতে করে কলকাতায় যাওয়ার সময় শক্তিগড়ে তাদের গাড়ি দাঁড়ালে দুষ্কৃতীরা এসে গুলি বৃষ্টি শুরু করে আর তাতেই মৃত্যু হয় রাজু ঝা-র। 

    কে এই আব্দুল লতিফ

    সূত্রের খবর, বীরভূমের ইলামবাজারের সুক বাজারের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ। জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল থেকেই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এছাড়াও জানা গেছে, অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই আব্দুল লতিফ। ইলামবাজারের গরুর হাটও নিয়ন্ত্রণ করত সে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।

    সুখবাজারে রয়েছে লতিফের বিশাল প্রাসাদোপম বাড়ি

    ইলামবাজারের গরুবাজার সংলগ্ন সুখ বাজারে রয়েছে তার বিশাল প্রাসাদোপম বাড়ি। সিবিআইয়ের দাবি অনুসারে, একটি বড় গাড়ির শোরুম, মার্বেল এর ব্যবসা, হোটেল ব্যবসা ছাড়াও একাধিক বৈধ ও অবৈধ বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই আব্দুল লতিফ। এমনকী বীরভূমের ইলামবাজারের গরুর হাট থেকে বাংলাদেশে কন্টেনারে করে গরুপাচার হত। বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত এই গরু পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল লতিফের।

    গরুপাচারকারী এনামুল হকের অন্যতম সঙ্গী ছিলেন লতিফ 

    গরুপাচারকারী এনামুল হকের অন্যতম সঙ্গী ছিলেন লতিফ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই আব্দুল লতিফের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। এছাড়াও প্রচুর গাড়িও রয়েছে তার যার মধ্যে অন্যতম এই এসইউভি গাড়িটি। এই আব্দুল লতিফকে গরু পাচার মামলায় তলব করেছিল সিবিআই তারপর থেকেই পলাতক সে।

    আততায়ীদের নীল গাড়ির মালিকানা এখনও পাটুলির শাশ্বতী চক্রবর্তীর নামে

    রবিবার সকালে শক্তিগড় রেল স্টেশনের কাছেই নীল গাড়িটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ, যেখান থেকে গুলি ছুড়েছিলেন আততায়ীরা। গাড়ির নম্বর ৩৪৫৪। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির মালিকানা রয়েছে কলকাতার এক মহিলার নামে। ওই মহিলার নাম শাশ্বতী চক্রবর্তী। তাঁর ছেলে সোহম চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাড়িটি তাঁর মায়েরই। ২০১৭ সালে তাঁরা গাড়িটি কিনেছিলেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁরা নীল মারুতি গাড়িটি বিক্রি করেছেন। সোহমের কথায়, গাড়ি বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। অনেক সংস্থা গাড়ি দেখতে এসেছিল। যে সংস্থা সর্বোচ্চ দর দিয়েছিল, তাদেরই দিয়েছিলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: রয়েছে ট্যাঙ্ক থেকে কল, নেই শুধু জল! পানীয় জলের পরিষেবা না মেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, কোথায়?

    Purulia: রয়েছে ট্যাঙ্ক থেকে কল, নেই শুধু জল! পানীয় জলের পরিষেবা না মেলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ আছে জলের ট্যাঙ্ক, রয়েছে কলও! কিন্তু, সেই কলে নেই জল। দীর্ঘ ৭ বছর পরও পাইপ লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় চরম জল সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন আড়ষার পাঁচটি অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। অথচ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া (Purulia) জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘটা করে এই জলপ্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু, তারপরও এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে এলাকার মানুষ পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এলাকাবাসীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করার পর আমাদের আশা ছিল, এবার গরমকালে আর জলসঙ্কটে ভুগতে হবে না। পানীয় জলের সুবিধা পাবেন সকলে। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল গরম পড়তেই সেই আগের মতো এলাকায় জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। জল প্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরি না করে ঘটা করে প্রকল্পের উদ্বোধন করে কী লাভ হল?

    কবে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল?

    পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ২০১৬ সালে পুরুলিয়ার (Purulia) আড়ষার খেদাডি আশ্রমের সামনে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের উদ্যোগে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তাতে পাঁচটি অঞ্চলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারজন্য তৈরি হয় বিশাল আকারে জলের ট্যাঙ্ক। পাইপ লাইনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। জলের ট্যাঙ্ক তৈরির পর দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ ছিল। মাঝে পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর পর সেই কাজ অজানা কারনে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সম্প্রতি পাইপ লাইনের কাজ শুরু হলেও সেই কাজ অতি ধীর গতিতে চলায় পাইপ লাইনের কাজ কবে শেষ হবে তাঁর সদুত্তর মেলেনি।

    জল প্রকল্প নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই জল প্রকল্প শুরু হলে পুরুলিয়ার (Purulia) আড়ষা, রাঙ্গামাটি, তুম্বা, খেদাডি, পাটটাড় গ্রামের প্রায় ২৫ হাজারের মানুষ সুবিধা পাবেন। কিন্তু, প্রশাসনের গড়িমসি জেরে জল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় জলের অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে গরম কালে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়। এলাকায় নলকূপ থাকলেও মাঝে মধ্যে খারাপ থাকে। ফলে, নদী থেকে মাথায় করে জল আনতে হয় এলাকার মহিলাদের। এছাড়া এলাকায় পুকুর থাকলেও নোংরা জল হওয়ায় সেই জলে স্নান করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ramnavami: ‘বাংলাকে সাহায্য করুন’’! রিষড়ায় হামলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    Ramnavami: ‘বাংলাকে সাহায্য করুন’’! রিষড়ায় হামলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরের পর রিষড়ায় রামনবমীর (Ramnavami) শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ। মাথা ফাটল বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া মিলেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে অমিত মালব্য একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। নালিশ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেছেন বাংলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঙ্গা অশান্তি বন্ধ করতে পারছেন না। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি, আগুন! কিছুই বাদ গেলনা রিষড়াতে। আবার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও। এদিন হুগলির রিষড়ায় রাম নবমীর মিছিলে অংশ নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকা এলাকায় অশান্তি বাধে। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা দিলীপ ঘোষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়।

    ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য 

    তাঁর ব্যক্তিগত ট্যুইটার হ্যান্ডেলে অমিত মালব্য জানিয়েছেন, হুগলির রিষড়া জ্বলছে। রামনবমীর (Ramnavami) শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে। পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কারও নির্দেশে নীরব দর্শক। মুসলিম জনতা হামলা করছে। সাগরদিঘির পরাজয়ের পরে মমতা মুসলিম ভোটকে একত্রিত করতে মরিয়া চেষ্টা করছেন।

    ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার

    আরও একটি ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রিষড়ার ঘটনায় বিজেপির বিধায়ক আহত হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। এখানে হিন্দুদের প্রার্থনা করার জন্য চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কারা তাদের ধর্মীয় শোভাযাত্রার ওপর হামলা চালিয়েছে তা নিয়েও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অনুমতির পরেও চন্দ্রকোনায় শুভেন্দুর সভায় না পুলিশের, কর্মসূচি হবেই বলল বিজেপি

    Suvendu Adhikari: অনুমতির পরেও চন্দ্রকোনায় শুভেন্দুর সভায় না পুলিশের, কর্মসূচি হবেই বলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমতি দেওয়ার পরেও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল ঘোষণার অভিযোগ উঠল রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাঁকরায় সভা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। সেইমতো চন্দ্রকোনা টাউন থানা অনুমতি দেয়, পরে আবার তা বাতিল বলে ঘোষণা করে পুলিশ। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব বলছে, এখনও কোনও লিখিত চিঠি তাঁরা হাতে পাননি। এতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও দেখছেন মুরলিধর সেন লেনের নেতারা। তাঁদের দাবি, অনুমতি ছাড়াই সভা হবে। 

    প্রধান শিক্ষক স্কুলের মাঠে সভার অনুমতি দিলেও পরে তা বাতিল করে পরিচালন সমিতি

    সোমবার দুপুরে চন্দ্রকোনার ঝাঁকড়া হাই স্কুলের মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেই সভার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে চন্দ্রকোনা টাউন থানার একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে শুরু বিতর্ক। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে চন্দ্রকোনা টাউনে বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি বিপ্লব মালের ঠিকানায়। তাতে বলা হয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের মাঠে সভা করার অনুমতি দিয়ে থাকলেও তা বাতিল করেছে স্কুলের পরিচালন সমিতি। পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, স্কুলের মাঠে সভা করার অনুমতি দেওয়া প্রধান শিক্ষকের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। সেই কারণেই পুলিশের পক্ষ থেকে সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

    কী বলছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব

    বিজেপি ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব বলছে, নিয়ম মেনে ৪৮ ঘন্টা আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছি। নির্দিষ্ট সময়েই সভা হবে। তারই প্রস্তুতি চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পাইনি। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, কৃষকদের ন্যায্য অধিকার, আলু চাষীদের আত্মহত্যা, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক কৃষি বান্ধব প্রকল্পের ইস্যুতে এই সভা হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘বিহারে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝোলাব’, বললেন শাহ

    Amit Shah: ‘বিহারে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝোলাব’, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল বাংলা নয়, পড়শি রাজ্য বিহারেও (Bihar) হামলা হয়েছে রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায়। রবিবার দু দিনের বিহার সফরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন নওয়াদার এক জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাসারাম ও বিহার শরিফে উন্মত্তের মতো ছোটাছুটি করছে দাঙ্গাকারীরা। ২০২৫ সালে বিহারের ক্ষমতায় এলে এদের উল্টো করে ঝোলাবে বিজেপি। শুক্রবার ছিল রামনবমী। এই উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয় নালন্দার বিহার শরিফ ও সাসারাম এলাকায়। অভিযোগ, দুই জায়গায়ই হামলা হয় শোভাযাত্রায়। রবিবার এই সাসারামেই যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ওই এলাকায় যাননি তিনি। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মহাগটবন্ধনকে উপড়ে ফেলবে বলেও জানান শাহ। তিনি বলেন, বিহারবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের ৪০টি আসনেই তাঁরা মোদির পদ্ম ফোটাবেন।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও একহাত নেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, যে সরকারে লালু প্রসাদ যাদবের জঙ্গলরাজ রয়েছে, সেই সরকার কখনও কি বিহারে শান্তি আনতে পারবে? তিনি বলেন, নীতীশ কুমার লালু প্রসাদ যাদবের কোলে বসে রয়েছেন। কারণ ক্ষমতার লোভ। শাহ বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিহার থেকে মহাগটবন্ধনের সরকারকে উপড়ে ফেলব আমরা। তিনি বলেন, লালু প্রসাদ যাদব ও নীতীশ কুমার সব সময় তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে আসছেন। তাই রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। শাহ বলেন, উল্টোদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন এবং কড়া হাতে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কারণ দেশবাসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদিই।

    আরও পড়ুুন: শিবপুর যাওয়ার পথে সুকান্তকে বাধা পুলিশের, কী বললেন সাংসদ?

    শাহ বলেন, বিজেপি আর কখনও নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মেলাবে না। কারণ তিনি সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছেন। তিনি (Amit Shah) বলেন, নীতীশ কুমারের জন্য বিজেপির দরজা চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে নো ভ্যাকেন্সি। তাই নীতীশ কুমারের আর প্রধানমন্ত্রী হওয়া হল না। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন নওয়াদার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিংহও। প্রসঙ্গত, বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ কুমার কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল সহ মোট ছটি দলকে নিয়ে জোটগঠন করেন। সেই সরকারেরই মুখ্যমন্ত্রী তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Corona: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা! নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার, মৃত ৯ 

    Corona: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা! নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার, মৃত ৯ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২,৯৯৪ জন।  করোনার প্রথম ঢেউ থেকে এখনও অবধি মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ। এদিন ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। করোনা হানায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা এনিয়ে দেশে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৭৬ জন। দিল্লি, কর্নাটক, কেরল এবং পাঞ্জাবে ২ জন করে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এবং গুজরাটে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনার (Corona) প্রকোপে।

    আরও পড়ুন: আজ থেকে অনেকটাই দাম কমল রান্নার গ্যাসের! কলকাতায় কত হল জানেন?

    রাজধানী দিল্লির করোনা পরিস্থিতি

    অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৬, যা গত সাতমাসে সর্বাধিক বলেই জানা যাচ্ছে। দিল্লিতে গত ৩ বছরে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫২৯, গত বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে তা প্রকাশিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর আমরা নজর রাখছি। এখনই কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। মূলত কোভিডের পুরনো রূপ এক্সবিবি এবং সেটার উপরূপ ১.১৬-এর জন্য সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী।

    আরও পড়ুন: ‘ হিন্দুফোবিয়ার নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ মার্কিন মুলুকে, কেন জানেন?

    কোভিডের সঙ্গে দেশে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জাও

    কোভিডের সঙ্গে দেশে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জাও। সর্দি, কাশি, জ্বর ঘরে ঘরে। শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই কাবু। সবথেকে বড় বিষয় হল, কোভিডের সঙ্গে এই ইনফ্লুয়েজ্ঞার উপসর্গের যেহেতু খুবই মিল, ফলে বাড়ছে বিড়ম্বনা। বিশেষজ্ঞদের মত, একটা বড় অংশের মানুষ ভুগছেন করোনার (Corona) উপসর্গে। কারও কারও রিপোর্ট পজিটিভও আসছে। তবে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। বরং সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভিড়ে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে।

    আরও পড়ুন: দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রায় ৩২,০৮৬ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুমোদন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: ৫ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি আদিবাসীদের! কেন জানেন?

    Tribal People: ৫ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি আদিবাসীদের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঠিকানা সেই কুস্তাউর রেল স্টেশন। গত বছর পুরুলিয়া জেলায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা বিভাগের এই স্টেশনে টানা পাঁচদিন রেল অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। রেলের ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার। ভোগান্তিতে পড়েছিলেন হাজার হাজার যাত্রী। ফের একই কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে চলেছেন রেলযাত্রীরা। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে সামিল হতে চলেছে কুরমি সমাজ। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আদিবাসী (Tribal People) কুরমি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা (মূল মানতা) অজিতপ্রসাদ মাহাতো। কয়েকদিন আগেই জেলা ও রাজ্য কমিটির সমস্ত পদাধিকারীদের নিয়ে পুরুলিয়া বিটি সরকার রোডে অবস্থিত কার্যালয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    কেন রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত? Tribal People

    কুরমি জাতিকে এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, ৫ এপ্রিল রেল অবরোধ কর্মসূচির নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই বিভ্রান্তি কাটল কুরমি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতোর দিল্লি সফরের পর। কারণ, দিল্লি সফরে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন, কেন্দ্রীয় আদিবাসী (Tribal People) কল্যাণ মন্ত্রক রাজ্য সরকারের কাছে ২০১৭ সালের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র কমেন্ট এবং জাস্টিফিকেশন চেয়েছিল। কিন্ত, রাজ্য সরকার সেই রাস্তায় না হেঁটে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুরমি সমাজ সহ কুরমিদের বিভিন্ন সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে বারবার এই বিষয়ে দরবার করেও বিফল হয়েছে। অজিতবাবু বলেন, কুরমিদের এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে। গতবার রেল অবরোধের সময় রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। কুরমিদের স্বাভিমানে আঘাত করা হয়েছে। তাঁদের আন্দোলনকে তুচ্ছ করা হয়েছে। সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্তু, সেই কথা তারা রাখেনি। তাই, দাবি পূরণে আবারও রেল অবরোধ করতে কোমর বেঁধে নামবে আন্দোলনরত কুরমি সৈনিকরা।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি? Tribal People

    রেল অবরোধের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, যে কোনো সমাজ নিজের অধিকারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাতেই পারে। যদি তাদের দাবি সঠিক হয়, তাহলে সেই বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার বার বার বলছে, রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। এভাবে কুরমি সম্প্রদায়কে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে তারা এবং পরিষ্কারভাবে কিছুই বলছে না। সরকারের উচিত সমাজের ন্যায্য দাবিগুলো দেখা। রেল অবরোধ নিয়ে তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে। তবে রেল অবরোধ না করে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে অন্য পন্থা অবলম্বন করলে ভালো হবে।

    কী বললেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি? Tribal People

    পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাদের জন্য কী তথ্যপ্রমাণ পাঠানো জরুরি, সেই বিষয়ে নির্দেশিকা রয়েছে সংবিধানে। তারপরেও কেন্দ্র টালবাহানা করছে। যদিও রেল অবরোধ কর্মসূচিকে আমরা সমর্থন করছি না।

    আদিবাসীদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কী বক্তব্য? Tribal People

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, তারা কোনোভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেবে না। কোনও জাতিকে এসটি তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজনের দায় একমাত্র রাজ্য সরকারের। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের পাঠানো বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা করতে পারে মাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Himanta Biswa Sarma: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সমান ডিএ (DA) দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। বেশ কিছুদিন অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীদের কয়েকজন। পরে অনশন তুলে নেওয়া হলেও, জারি রয়েছে আন্দোলন। এই আবহে সরকারি কর্মীদের ডিএর হার ৪ শতাংশ বাড়িয়ে কেন্দ্রের সমান করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আমাদের সরকার তার কর্মচারীদের প্রতি যত্নশীল। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে রাজ্যের বেতনভোগী ও পেনশনভোগীদের এখন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির হিসেবে তাঁরা এই নতুন হারে ডিএ পাবেন। বর্তমানে নতুন ডিএর হার ৪২ শতাংশ।

    হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) ট্যুইট-বার্তার উল্লেখ শুভেন্দুর…

    পড়শি রাজ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ায় নয়া অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) ট্যুইট-বার্তার উল্লেখ করে অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, দুঃখজনক যে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সরকারি কর্মীদের চোর এবং ডাকাত বলে সম্বোধন করে।

    অন্য দিকে, আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে গেরুয়া অভিনন্দন জানাচ্ছি। যিনি সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৪ শতাংশ হারে বাড়িয়ে তা কেন্দ্রের দেওয়া ডিএর সমান করে দিয়েছেন। এগিয়ে বাংলা, না বঞ্চিত বাংলা?

    আরও পড়ুুন: ‘হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, শিলিগুড়িতে বললেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্র ডিএ দিচ্ছে ৪২ শতাংশ হারে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ডিএর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে সরকারি কর্মীরা। বকেয়া ডিএর দাবিতেই দু মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে আন্দোলন। 

    এদিকে, বকেয়া ডিএর (Himanta Biswa Sarma) দাবিতে যে ধর্না চলছে, রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াতে এবার তা দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের তরফে অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, টানা তিন দিন ধরে যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসছেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে হবে ওই ধর্না। তিনি জানান, ধর্নায় যৌথমঞ্চের অন্তত ১২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share