Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Kolkata High Court: থানা নয়! সভা মিছিলের অনুমতি দেবেন জেলার পুলিশ সুপার বা সিপি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Kolkata High Court: থানা নয়! সভা মিছিলের অনুমতি দেবেন জেলার পুলিশ সুপার বা সিপি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলির সভা বা মিছিলের অনুমোদন সংক্রান্ত গাইডলাইনে বড় বদল আনল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। সাধারণত যে কোনও মিটিং মিছিলের ক্ষেত্রে স্থানীয় থানার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় থানার অনুমোদন মিললে তবেই মিটিং মিছিল করা যায়। কিন্তু, এবার থেকে কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন সভা ও মিছিল করলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় থানা নয়, জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপির কাছে অনুমতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে অনুমতি মিললে তবেই সভা-মিছিল করা যাবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

    সভা বা মিছিলের অনুমতির বিষয়ে থানার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ প্রায়শই করে থাকেন বিরোধীরা

    প্রসঙ্গত, সভা-মিছিলে রাজ্য পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলে থাকেন। বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ তুলেছে। সম্প্রতি ভাঙরে সিপিএমের মিছিল নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, পুলিশের দাবি ছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সভার অনুমতি দেওয়া যায়না। তা নিয়ে করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা রাজ্যে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সভা-মিছিলের ক্ষেত্রে নয়া বিধি জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন এবার থেকে সভা মিছিলের জন্য জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারেটের সিপিদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের বিরুদ্ধে যে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে আসছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে এই জট কাটবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    পুলিশকে অনলাইন রেজিস্টারে উল্লেখ রাখতে হবে কোন দল কোন সময়ে মিছিল করবে

    পাশাপাশি মিটিং মিছিল নিয়ে আরও বিধি জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ, পুলিশকে মিটিং মিছিলের আবেদন লিপিবদ্ধ করার জন্য একটি রেজিস্টার রাখতে হবে। কোন দল কোন সময় মিটিং মিছিল করতে চাইছে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। সেই অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের আবেদন বিবেচনা করে অনুমতি দেওয়া হবে। কতজন মিছিলে যোগ দেবেন? কোন রুটে মিছিল যাবে বা কোথায় মিছিল হবে? পুলিশকে তাও জানাতে হবে। এছাড়া, অশান্তি যাতে না ছড়ায় তার জন্য স্থানীয় পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে থেকে মিটিং মিছিলে যাতে কেউ অশান্তি তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টি নজর রাখবে স্থানীয় থানার পুলিশকে। পাশাপাশি শব্দবিধির উপরও নজর রাখতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। রেজিস্টার যাতে অনলাইনে দেখা যায় সেই ব্যবস্থা করতে বলেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Rahul Gandhi: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী, কেন জানেন?

    Rahul Gandhi: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রবিবার সকাল থেকে রাহুলের ট্যুইটারে তাঁর ছবির নীচে লেখা রয়েছে, এটি রাহুল গান্ধীর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের (Congress) সদস্য। লেখা হয়েছে, ডিস’কোয়ালিফায়েড এমপি (অপসারিত সাংসদ)। এদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছে কংগ্রেস।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন রাহুল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ওই জনসভায় তিনি (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, মোদি পদবিধারীরা কেন চোর হন। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলা দায়ের করেন সুরাট পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির পূর্ণেশ মোদি। তার জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। করা হয় জরিমানাও। রাহুল যাতে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দেওয়া হয়। মুক্তি দেওয়া হয় জামিনে। কারাদণ্ড হওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়।

    রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলার কথা। যদিও রাজঘাটে কংগ্রেসের সত্যাগ্রহে অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। রাজঘাট এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    আরও পড়ুুন: ফের কর্ণাটকে বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা! কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা যুবকের

    এদিকে মোদি পদবি নিয়ে কেবল রাহুলই (Rahul) নন, ২০১৮ সালে প্রায় একই রকম ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী খুশবু সুন্দর। তাঁর ট্যুইট-বার্তার নির্যাস, মোদি মানেই দুর্নীতি। তাঁর ওই মন্তব্যে একই বন্ধনীভুক্ত হয়েছিলেন নীরব, ললিত এবং নরেন্দ্র মোদি। পরে খুশবু বিজেপিতে যোগ দেন। এবার খুশবুর সেই ট্যুইট-বাণই হাতিয়ার করতে চলেছে কংগ্রেস। খুশবুর পুরানো ট্যুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ লেখেন, মোদিজি এবার কী আপনার কোনও শিষ্য খুশবু সুন্দরের নামে মানহানির মামলা করবেন? এখন তো তিনি বিজেপির সদস্য। দেখা যাক…।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    Anubrarta Mondal: পুরসভায় নিয়োগে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার যোগ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বরানগর পুরসভায় কর্মী নিয়োগে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের এক রাজ্য নেতার সরাসরি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, পুরসভায় কর্মী নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে যে সব পুর প্রতিনিধিরা ছিলেন, তাঁরা কেউ নিজেদের পরিবারের লোকজনকে বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই সব নিয়োগ হয়েছে। ফলে, এই পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনিতে কামারহাটি পুরসভা ইডি নজরে রয়েছে। বরানগর পুরসভায় যে ভাবে নিয়োগ হয়েছে তা নিয়ে দলের অন্দরে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিতর্কিত প্যানেলে কত জন কর্মী নিয়োগ হয়? Anubrata Mondal

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এই পুরসভায় অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিলেন চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, তত্কালীন ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর বিশ্বজিত্ বর্ধন এবং অনিন্দ্য রাউত। পুরসভার কর্মী পদে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারমধ্যে ১৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, নিয়োগ হওয়ার পর যে তালিকা সামনে আসে তাতে রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের পরিবারের লোকজনের নাম সামনে আসে। এক সিআইসি সদস্যের পরিবারের লোকজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া একাধিক কাউন্সিলারদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে কেষ্ট (Anubrata Mondal)  ঘনিষ্ঠ শাসক দলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ওই নিয়োগে বড় ভূমিকা রয়েছে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূম জেলায়। ওই নেতার হাত ধরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছেলে এই পুরসভায় নিয়োগপত্র পেয়েছে। ওই নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ করতে কেউ আপত্তি জানানোর সাহস দেখায়নি। স্রেফ শাসক দলের বদান্যতায় তাঁদের চাকরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এমনকী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা নিয়মিত পুরসভায় পর্যন্ত আসে না বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাদের নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন হয়ে যায়। এরকম ২৫-৩০ জন কর্মী রয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারপার্সন ? Anubrata Mondal

    বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নিয়ম মেনে  পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তবে, কাউন্সিলর বা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দায়িত্বে থাকলে তাঁর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিতেই সকলেই চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। আর কেউ পুরসভায় নিয়মিত না আসলে তাঁকে শো কজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ৫ জি টাওয়ার বসানোর জন্য কারও কাছে মোবাইলে ফোন আসলে, ধরবেন না। কারণ, রাজ্য জুড়ে একটি প্রতারণাচক্র (Fraud) সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর তারা ফোন করে ৫  জি টাওয়ার বসানোর জন্য মোটা টাকার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্র (Fraud) । বারাকপুর মহকুমায় নোয়াপাড়া থানা এলাকার এক ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে কার্যত সর্বসান্ত হয়েছে। প্রতারকরা তার বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানোর লোভ দেখিয়ে কয়েক দফায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। প্রতারিত হওয়ার পর তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ এই চক্রে (Fraud)  জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুদীপ বিশ্বাস, সুজন ঘোষ, সঞ্জয় বালা, তপন মণ্ডল এবং মহিতোষ কুণ্ডু। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

     কীভাবে প্রতারণা করল অভিযুক্তরা? Fraud

     কয়েকদিন আগেই নোয়াপাড়ার ওই ব্যক্তির কাছে একজন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করেন। তাঁর বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানো হবে বলে টোপ দেওয়া হয়। শুধু বাড়ির ওই জায়গা দেওয়ার জন্য তাঁকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতিমাসে ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তবে, বিষয়টি অন্য কাউকে না জানানোর কথা বলা হয়। পরে, তাঁর বাড়ির ছবি, দলিল সব কিছু চাওয়া হয়। পরে, ওই ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কয়েকদিন এই সব কাজ করার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, ওই ব্যক্তির চাহিদা রয়েছে কি না দেখা হয়। মোটা টাকার হাতছাড়া হয়ে যাবে ভেবে ফের ওই ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। কিন্তু, তখনও কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলা হয়। এরকমভাবে আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর আচমকা ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, আপনার কাগজপত্র দেখে অফিস আপনার বাড়িতে টাওয়ার বসানোর আগ্রহ দেখিয়েছে।  এরপর শুরু হয় আসল খেলা। অফিসের অ্যাকাউন্টের নামে একটি ড্যামি অ্যাকাউন্ট পাঠানো হয়। সেই অ্যাকাউন্টে প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়। ২৫ লক্ষ টাকা হাতছাড়়া হয়ে যাবে ভেবে ওই ব্যক্তি এক কথায় দেড় লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে, প্রতারকদের (Fraud) কথার জালে ফেঁসে ওই ব্যক্তি কয়েক দফায় সব মিলিয়ে মোট ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।  আর ড্যামি অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হত। পরে, টাওয়ার না বসায় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন প্রতারিত(Fraud)  হয়েছেন। এরপরই তিনি থানার দ্বারস্থ হন।

    প্রতারকদের কোন এলাকা থেকে ধরল পুলিশ? Fraud

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়েই প্রতারকদের (Fraud)  জাল ছড়িয়ে রয়েছে। বাগদা থেকে বিষয়টি অপারেট হচ্ছে। আর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের এজেন্ট রয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথমে জগদ্দল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, বারাসত, বাগদা এবং গাইঘাটা থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সঞ্জয় বালা এই অপরাধের মাস্টার মাইন্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলের ঘানি টানছেন। প্রতিদিন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ইডির জালে ধরা পড়ছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে শয়ে শয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল হওয়ার তালিকায় শাসক দলের নেতার আত্মীয়দের বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম জড়িয়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? Mamata Banerjee

    বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। তিনি এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার মাইনোরিটি সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিআইএমের সময় যারা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াত, তাদেরই চাকরি হয়েছে। তাই তাদেরই চাকরি হবে যে সকাল সন্ধ্যা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জিন্দাবাদ বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার একশো শতাংশ আমরা চেষ্টা করব। তবে, মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি দেওয়া হবে।”  তিনি আরও বলেন, বছরে আমরা তিনটে করে চাকরি পাই, সেই চাকরি আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ছেলেদের দেব না। যারা তৃণমূল করে আমরা তাদের সেই চাকরি দেব। সব পার্টি করেছে, আমরাও করব। তবে, যে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতি করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দল তার পাশে থাকবে না। আর দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করব না। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কী মেধার মাপকাঠি?

    মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা? Mamata Banerjee

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, তৃণমূলের হয়ে যারা চাকরি চুরি করে, ধর্ষণ করে, বোমা মারে, বুথ জ্যাম করে সেটাই তৃণমূলের কাছে মেধা। আর সেই মেধার ভিত্তিতে তৃণমূলের লোক চাকরি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুন কিছু ব্যাপার নেই। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেউ আছে জেলে, কেউ আছে বেলে, বাকি যারা বাইরে আছে তারাও সময় মত জেলে যাবে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের সময় ঝোলা কাঁধে নিয়ে যারা ঘুরেছে তাদেরই চাকরি হয়েছে বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে  সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, বর্তামানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের যারা বক্তা রয়েছেন তাদের তো বামফ্রন্টের সময় চাকরি হয়েছে। আর সেই চাকরি বামফ্রন্ট সরকার একটি নিয়ম নীতির মাধ্যমে করেছে। না হলে তাদের চাকরি হত না। তবে, তৃণমূলের কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে যে নিয়োগ করা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তা একপ্রকার সোনার পাথর বাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। অয়ন প্রোমোটারির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে ফুলেফেঁপে ওঠে। চাকরি বিক্রি করেই সে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। আর এই কোটি কোটি টাকা সে সিনেমা, সিরিয়ালেও ঢেলেছে। ইতিমধ্যেই শ্বেতা চক্রবর্তী তাঁর হাত ধরেই রুপোলি জগতে পা রেখেছিলেন। এবার হুগলির গুরাপে অয়নের পেট্রল পাম্পের হদিশ পেল ইডি (ED) ।

    কত টাকায় কেনা হয়েছিল পেট্রোল পাম্প? ED

    ইডি (ED)  সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গুড়াপের এই পাম্পটি চালান অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। এই পাম্পের পার্টনার ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দদুলাল শুক্লা, অজয় শুক্লা এবং আশিস শুক্লার কাছে থেকে ১ কোটি টাকায় গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৩ বিঘা জমির উপর পেট্রল পাম্পটি কেনা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে শুক্লা পাম্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই পাম্পের পাশাপাশি অভিষেক ও ইমনের নামে কলকাতার বন্ডেল রোড উপর ফসিলস নামে একটি অফিস রয়েছে। সেই সম্পত্তির দামও অনেক। এছাড়া অভিষেক ইমনের নামে যৌথভাবে আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে বলে ইডি (ED)  জানতে পেরেছে। এই ইমন হচ্ছে অভিষেকের বান্ধবী। আইন পড়ার সময় তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কারবারের টাকা অভিষেকের বান্ধবী ইমনের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ইডির তরফে যে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই শুক্লা সার্ভিস স্টেশনের নামে গুড়াপের ওই পেট্রল পাম্পও রয়েছে। ইডি-র মতে ইমন ও অভিষেকের যৌথ সংস্থা এবং পেট্রল পাম্পের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক কোটির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তার জন্যে অয়ন শীলের নির্দেশে দক্ষিণ কলকাতার অফিস খুলেছিলেন অভিষেক ও তাঁর বান্ধবী। যদিও সেই অফিস দীর্ঘদিন বন্ধ বলেই খবর।

    অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমনকে নিয়ে কী বললেন প্রতিবেশীরা? ED

     অয়নের ছেলে অভিষেক শীলের সংস্থার অংশীদার রয়েছে তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। এই ইমনের বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার অমরেন্দ্র সরণির দাশরথি আবাসনে। ওই আবাসনের দোতলায় ২০২ নম্বর ফ্ল্যাটটি ইমনের বাবা বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে রেজিস্ট্রার রয়েছে। বিভাসবাবু পেশায় আইনজীবী। বাবার সঙ্গে ওই আবাসনেই থাকেন ইমন। বুধবার থেকে বাইরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কেউ কথা বলেননি। এমনকী কাজের মেয়েকেও বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেননি। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার কারও সঙ্গে সেভাবে মিশত না। মাঝে মধ্যে ইমনকে আইনজীবীর পোশাক পড়ে বিলাসবহুল গাড়িতে করে চলে যেতে দেখা যেত। কখনও কখনও রাত করেও বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। ইমনও খুব কম কথা বলত। তবে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত অয়নের ছেলের বান্ধবীর বিষয়টি  জানাজানি হতেই হতবাক এলাকাবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্যে এখন তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশে, দুর্নীতিতে (Scam)  জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। নতুন করে আরও অনেকের চাকরি যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে সুপারিশ করেছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক। সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এমনিতেই নিয়োগ  দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী  থাকার সময় বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক নিজের প্যাডে লিখে তাদের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে? (Scam)

    তৃণমূল বিধায়ক ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। বিধায়কের প্যাডে চিঠি লেখা হয়েছিল। চিঠিতে  তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করা হয়, তাঁর মনোনীত ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। ওই প্যাডে ছেলেমেয়েদের নাম, রোল নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া রয়েছে। চিঠির নীচে বিধায়কের সই এবং স্ট্যাম্প দেওয়া রয়েছে। দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসতেই তৃণমূল বিধায়কের এই চিঠি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চিঠির বিষয়টি সামনে আসতেই বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। বিস্তারিত জেনে এব্যাপারে বলতে পারব।

    চিঠি নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা? Scam

    বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) যে ভাবে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাচ্ছে তাতে সারা দেশের কাছে এই রাজ্যের শিক্ষার মান একেবারে তলানিতে নামিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক যে ১১ জনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে তা সকলেই জানতে চায়। মেধাবীদের বাদ দিয়ে এভাবে ঘুর পথে কাটমানির বিনিময়ে চাকরির সুপারিশের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনায় তদন্তের দাবি করছি।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, সকলেই একসময় আসানসোল জেলেই ছিলেন। তাঁদের কারাবাসের সময় সংশোধানাগারের সুপার থেকেছেন কৃপাময় নন্দী। এবার গরু পাচারকাণ্ডে আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জেল সুপারকে শুধু দিল্লিতে ডাকা হয়েছে এমন নয়, তাঁকে আগামী ৫ এপ্রিল তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ আসতে বলেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেল সুপার বলেছেন,”ই-মেল পেয়েছি। তবে কি কারণে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা বলতে পারব না। আমি উচ্চ আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যেমন বলবেন আমি সেই পথেই চলব।” গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন আসানসোল জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, এই সময় জেল থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিতেন কেষ্ট। নিজের জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই এই অভিযোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা আটকাতে অবশ্য অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। বীরভূম জেলার নেতারা প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নিজে বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত আসছে বলে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে।’ মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলেছিলেন, ‘এর থেকেই স্পষ্ট যে অনুব্রত জেলে বসেই দলের কাজ করছিলেন।’ আর এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে ইডির তলব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    জেল সুপারকে কী জিজ্ঞাসা করতে পারে ইডিAnubrata Mondal

    তিহার জেলের আগে বেশ কয়েকমাস আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন অনুব্রত। যদিও সেই সময় সংশোধনাগারে বহাল তবিয়তে থাকতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal), এই অভিযোগ বারে বারে করেছে বিরোধীরা। এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে আসত, তা জানতে চাওয়া হতে পারে জেল সুপারের থেকে। এদিকে অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধানাগারে ছিলেন, তখন বেশ কিছু বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, দিল্লি যাত্রার সময় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল জেল কর্তৃপক্ষের ওপর। সেই সময় কচুরির দোকানে জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mondal) দিব্যি বসে তৃণমূলের এক যুবনেতা এবং মেয়ে সুকন্যার গাড়ির চালকের সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেছিলেন, যা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার খোদ জেল সুপারকেই দিল্লিতে তলব করল ইডি।  

    দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে রাখা হবে তিহার জেলে। পাশাপাশি দিল্লির আদালত অনুব্রতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল। অন্যদিকে, কাকতালীয় হলেও তিহার জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    SSC Scam: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। বুধবার বেলা ১২টার পর ইডি দফতরে ঢোকেন আকাশ এবং নিলয় মালিক। রাত ১০টার পর তাঁরা সেখান থেকে বার হন। গত শনিবার হুগলির বলাগড়ের রিসর্টে শান্তনু-‘ঘনিষ্ঠ’ আকাশ, বিশ্বরূপ প্রামাণিক এবং নিলয় মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তাঁদেরকে ফের বেশ কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে আসতে বলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, খাতায়কলমে বলাগড়ের ওই রিসর্টের মালিক আকাশ। তাঁদের দাবি, আদতে ওই রিসর্টের মালিক বর্তমানে ইডির হেফাজতে থাকা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এদিন ইডি কেন ডেকেছিল সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান আকাশ।

    কে এই নিলয়?

    বলাগড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শান্তনুর (Shantanu Banerjee) রিসর্টে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছিল নিলয় মালিককেও (Niloy Malik)। জানা গিয়েছে, পেশায় সিভিক পুলিশ ছিলেন এই নিলয়। পরে ধৃত শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের প্রোমোটিং সংস্থার ডিরেক্টর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই সংস্থার অংশীদার ছিলেন শান্তনুর স্ত্রী। তবে ২০২১ সালে হঠাৎই শান্তনুর স্ত্রীর সেই সংস্থা থেকে নাম সরে যায় নিলয় মালিকের। সূত্রের খবর শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দোপাধ্যায়ের সংস্থায় ডিরেক্টর থাকাকালীন তার কাছে যে সকল নথি ছিল সেসব নিয়ে নিলয়কে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি।

    আরও পড়ুন: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করানোর সময়সীমা বাড়ল! জানুন বিস্তারিত

    ইডি সূত্রে খবর এই নিলয়ের নামে গাড়ি থেকে শুরু করে একাধিক সম্পত্তিও কিনেছিলেন শান্তনু। এইসব তথ্যের ভিত্তিতেই ফের তলব করা হয় নিলয়কে। যদিও ইডির কাছে নিলয় দাবি করে, বহুদিন থেকে শান্তনু ও তার পরিবারের যোগাযোগ নেই তার। পূর্বে সম্পর্ক থাকলেও দেড় বছর ধরে ধাবার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। একাধিক সংস্থায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে পুরশুড়ার তৃণমূল কর্মী রাকেশ মণ্ডলেরও। তৃণমূল কর্মী রাকেশ ধনেখালি ব্লক অফিসের যুব দফতরের ঠিকা কর্মী। পাশাপাশি বালি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। 

    নাম জড়াল আরও অনেকের?

    হুগলি জেলায় দুর্নীতি চক্রে এ বার আরও এক তৃণমূল নেতার নাম সামনে এল। তিনি হলেন হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়। অভিযোগ, গোপালকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অনেকের চাকরি গিয়েছে আদালতের নির্দেশে (Hooghly News)। চাকরির জন্য গোপালকে কয়েক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি চাকরিহারাদের। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা গোপাল। তিনি বলেন, “পুরোটাই চক্রান্ত। আমি চুরি করে থাকলে, জেল খাটব, ইডি-সিবিআইয়ের কাছে যাব। আমি টাকা নিইনি। ২০১৮ সালে আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। জানিয়েছিলাম, এখানে একটা চক্র চলছে। এর বিরুদ্ধে আমি লড়াই করেছিলাম।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Ayan Shil: পালাও ইডি আসছে! তল্লাশির আগের দিন অয়ন শীলকে মেসেজ রহস্যময়ী শ্বেতার

    Ayan Shil: পালাও ইডি আসছে! তল্লাশির আগের দিন অয়ন শীলকে মেসেজ রহস্যময়ী শ্বেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অয়ন শীলের হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে, ‘পালিয়ে যাও ইডি আসছে’। ঠিক তার পরদিনই ইডি হানায় গ্রেফতার হন অয়ন শীল (Ayan Shil)। মেসেজ পাঠিয়েছিলেন যিনি, সেই রহস্যময়ীর পরিচয় পরবর্তীতে সামনে আসে তিনি শ্বেতা চক্রবর্তী। অয়ন শীলের বান্ধবী। পাড়া প্রতিবেশীরা অবশ্য জানতেন শ্বেতা আসলে অয়নের বান্ধবী। নিয়োগ দুর্নীতিতে সদ্য গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের খোঁজ পেয়ে ইডি আধিকারিকরা বলেছিলেন তাঁরা নাকি ‘সোনার খনি’র খোঁজ পেয়েছেন। সেই অয়নের বান্ধবী আবার শ্বেতা, যাঁর সম্পর্কেও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ইডি-র হাতে। অয়নের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট, তাঁর প্রযোজনায় ছবিতে অভিনয়, বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে একসঙ্গেই থাকতেন শ্বেতা অয়ন।

    কী বলছেন শ্বেতা

    সংবাদমাধ্যমের সামনে অবশ্য শ্বেতার দাবি, “যা অভিযোগ সবই মিথ্যা। সর্বৈব মিথ্যা।”  ধৃত অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, “ওঁর সঙ্গে আমি গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি করতাম। সেই সূত্রে পরিচয়।” শ্বেতা চাকরি করতেন হুগলিতে। ২০১৭ সাল থেকে অয়নের সঙ্গে তাঁর পরিচয় বলে তিনি দাবি করেন। অয়নের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শ্বেতা। তিনি বলেন, “চুঁচুড়ায় আমি ওঁর কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনি। আমার কাছে চুক্তির কাগজপত্রও রয়েছে। ফ্ল্যাট কেনার সময়ে টাকাও দিই। সেই ফ্ল্যাটটা আমি রেজিস্ট্রি করিনি। কারণ সেখান থেকে পরবর্তীকালে আমি চলে আসি। যেহেতু আমি রেজিস্ট্রি করিনি, তাই সেই টাকা আমাকে ফেরত দেন। ৫৫ লক্ষ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ফেরত দেন।

    অয়নের (Ayan Shil) সংস্থার প্রযোজনায় সিনেমায় ডেবিউ করেন শ্বেতা

    ইডি- সূত্রে খবর, অয়নের (Ayan Shil) সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড’ বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের টেন্ডার পেতেন। সেই সংস্থাই ছিল ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে। ওই ছবিতেই ডেবিউ করেছিলেন অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। আর প্রথম সিনেমাতেই মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন অয়ন-বান্ধবী। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শ্বেতাকে। তাঁর উত্তর, “আমি পারিশ্রমিকবাবদ কোনও টাকা নিইনি। ছবিতে আমি অভিনয় করেছি। ছবিটা এখনও রিলিজ হয়নি। ডাবিংও শেষ হয়নি। আমি আগে মডেলিং করতাম। অনেক জায়গায় মডেলিং করেছি, কিছু শর্ট ফিল্ম করেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share