Author: ক্যামেলিয়া সান্যাল

  • Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটি পুরসভা সহ ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন। রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ নিয়ন্ত্রণে অয়নের হাত ছিল। এই কামারহাটি পুরসভায় অয়নের হাত ধরেই চাকরি পেয়েছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি কামারহাটি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। নৈহাটির (Naihati) বাড়ি থেকে তিনি যাতায়াত করতেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। তিনি এর আগে হুগলির জিরাট পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন। ফলে, এই কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগের সময় তাঁরা চাকরি পাওয়ার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ইডি তাঁর চাকরি পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

    শ্বেতাকে কত টাকা দিয়েছিলেন অয়ন, জানেন কী ? Naihati

    এবার শ্বেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। অয়নের সঙ্গে সখ্যতা হওয়ার পর শ্বেতা ফুলেফেঁপে ওঠে। কামারহাটিতে তিনি একটি ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানেই অয়ন আর শ্বেতা মামা-ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে মাঝে মধ্যে থাকতেন। আবাসনের আবাসিকরা সে কথা স্বীকার করেছেন। গাড়িতে করে তাঁরা আসতেন বলে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে পাঁচ দফায় ৫৫ লক্ষ টাকা গিয়েছিল। এমনকী শ্বেতার গাড়ি কেনার পয়সা দিয়েছিল অয়ন।

    শ্বেতাকে নিয়ে কী বললেন তাঁর বাবা? Naihati

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরই শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম সামনে আসে। ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও তাঁর হদিশ পাননি কেউ। এমনকী নৈহাটির (Naihati) বাড়িতে গিয়েও শ্বেতার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা অরুণ চক্রবর্তী বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মাধ্যমিকে স্টার পেয়েছিল। হুগলি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেছিল। প্রথমে সে দমদমে চাকরি করত। পরে, হুগলির জিরাটে চাকরি পায়। এখন ও কামারহাটি পুরসভায় রয়েছে। ও নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। অয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মেয়ে বড় হয়েছে। ও কার সঙ্গে মেলামেশা করছে তা জানা সম্ভব নয়। অয়নের সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই। তবে, মেয়ে দোষ করে থাকলে শাস্তি পাবে। কারণ, আমাদের নামে পাড়ায় কোনও বদনাম নেই। তাই, আমি এখনও বিশ্বাস করি, মেয়ে কোনও খারাপ কাজ করবে না। আর এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শ্বেতার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ও আমাদের ফোন করেনি। এখন ও কোথায় আছে জানি না। তবে, ইডি ডাকলে শ্বেতা সবসময় তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগা-পাতলা চেহারা। দেখতে সুন্দর। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। চাকরি করতেন কামারহাটি পুরসভায়। সঙ্গে ছিল মডেলিংয়ের নেশা। ধীর গতিতে চলছিল জীবন। কিন্তু হঠাতই ছক ভাঙা জীবনের বাইরে গিয়ে তরতরিয়ে উঠতে শুরু করে নৈহাটির সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে শ্বেতা চক্রবর্তীর কেরিয়ার গ্রাফ। কিন্তু কী করে? প্রশ্ন উঠছিল শ্বেতার চেনা-বৃত্তে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন শ্বেতা তা ভাবতে পারেনি নৈহাটির ৭/ডি বিজয়নগর জেলেপাড়ার বাসিন্দারা। 

    অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা শ্বেতার

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পরই উঠে এসেছে শ্বেতার নাম, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে যাঁর অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। ধৃত অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু,পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন। 

    গাড়ি কিনতেও অয়নের সাহায্য 

    ইডি সূত্রের খবর, নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে ২ বছর ধরে অয়নের ভাগ্নির পরিচয়ে কামারহাটির রথতলায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। তাঁকে গাড়ি কিনতেও সাহায্য করেছিলেন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের ঠিকানা থেকে পাওয়া একটা নথিতে শ্বেতাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে কামারহাটি পুরসভায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করেন শ্বেতা। নিয়মিত অফিসও করতেন তিনি কিন্তু নিয়োগ তদন্তে অয়নের নাম উঠে আসার পর গত কয়েকদিন ধরে তিনি পুরসভায় আসছিলেন না। একাধিক সূত্রের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার প্রভাবশালী এক প্রবীণ বিধায়কের সঙ্গে অয়নের মধুর সম্পর্ক থাকার সুবাদেই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান শ্বেতা।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    টলিউডে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও ঢেলেছিলেন অয়ন শীল। বান্ধবী শ্বেতাকে সিনেমায় নামাতে নিজের প্রোডাকশন হাউসও খোলেন তিনি। শ্বেতা একাধারে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন আবার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে অয়নের স্ত্রীর মাধ্যমেই শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অয়নের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করতেন শ্বেতা। অয়নের প্রোডাকশন হাউসের প্রোযোজনায় নির্মিত ছবি ‘কবাডি কবাডি’তেই ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ছবির পরিচালনায় ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী। যদিও ছবির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। বড় পর্দায় দেখা না গেলেও বহু শর্ট ফিল্ম ও মডেলিং প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: স্থগিতাদেশে না হাইকোর্টের, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু স্কুলে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং

    SSC Scam: স্থগিতাদেশে না হাইকোর্টের, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু স্কুলে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে  স্কুলে গ্রুপ সি পদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং পর্ব। স্কুলে গ্ৰুপ সি বা তৃতীয় বিভাগের কর্মী নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগে বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে, চাকরি হারিয়েছিলেন গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন কর্মী। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিচ্যুতদের একাংশ। বুধবার চাকরিচ্যুতদের আবেদন খারিজ করে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে গ্রুপ সির ৮৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে এসএসসি।

    খেলা হবে স্লোগান

    এদিন আদালতে সিবিআই ও এসএসসি একসুরে জানায়, যে ওএমআর শিটগুলির ভিত্তিতে ৮৪২ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেগুলিকে বিকৃত করা হয়নি। নিশ্চিত হয়েই সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করেছে এসএসসি। বুধবার চাকরিহারাদের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‘এসএসসি-র বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর থেকে রেহাই পাওয়া উচিত নয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকেরও।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘সবাই তো এদের অনুমতি নিয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই সবার ভূমিকাই খতিয়ে দেখা উচিত।’’ এর পর আইনজীবী বলেন, ‘‘তার পর খেলা হবে।’’ যদিও ওই শব্দবন্ধ প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। এমনকী নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার (NYSA) ভূমিকাও খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত তিহাড় যেতেই বীরভূমের ‘ছোট কেষ্ট’দের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কী বললেন তিনি?

    সিবিআই এদিন আদালতে বলে, ‘নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আর্থিক দুর্নীতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সময় লাগলেও, তাড়াতাড়ি মাথার সন্ধান মিলবে। বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর বিকৃত, এরকম ভাবার কারণ নেই।’ এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, ‘OMR শিট পরীক্ষা করে দেখার পরই সুপারিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ আদালত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের পর নিয়োগ তালিকা দেখে নতুন করে যে কাউন্সেলিংয়ের কথা বলে, সেই তালিকাকে ‘জীবাশ্ম’ বলে মন্তব্য করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তার উত্তরে বিচারপতি তালুকদার এদিন বলেন, ‘‘জীবাশ্ম নয়। মিশরীয় জীবাশ্ম।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। দ্রুত তালিকা প্রকাশের দাবিতে আজ আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীদের এসএসসি ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল এসএসসি ভবন প্রাঙ্গণে।  একের পর এক চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বলতে গেলে গোটা শিক্ষা দফতর এখন জেলে। এর মধ্যেই নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের এই অভিযান ঘিরে সপ্তাহের মাঝে উত্তাল হল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ চত্বর।

    পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় চাকরিপ্রার্থীদের

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানের অনুমতি নেই জানিয়ে বাধা দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। এসএসসি ভবনের দিকে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা অগ্রসর হতেই ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। বহু চাকরি প্রার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রোর আশপাশের এলাকায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব চাকরিপ্রার্থীরা মেধাতালিকা প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগের দাবি করেছেন।

    ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট হয়েছিল এই পরীক্ষা

    ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আপার প্রাইমারিতে নিয়োগের জন্য অফলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। মোট শূন্যপদ ছিল ১৪ হাজার ৩৩৯। এর পর ফল প্রকাশ হয় এবং ইন্টারভিউ হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু চূড়ান্ত মেধাতালিকা এসএসসি প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপার প্রাইমারির নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে মেধাতালিকা আদালতে জমা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু অভিযোগ, ওই সময়সীমার মধ্যে মেধাতালিকা জমা দেয়নি এসএসসি। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাতেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতেই বুধবার এসএসসি ভবন অভিযানে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • ICC World Cup: দুর্গাপুজোর সময় বিশ্বকাপ! ক্রিকেট মহাযুদ্ধের দিন ঘোষণা আইসিসির

    ICC World Cup: দুর্গাপুজোর সময় বিশ্বকাপ! ক্রিকেট মহাযুদ্ধের দিন ঘোষণা আইসিসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর সময় শুর হতে চলেছে ক্রিকেটের মহাযুদ্ধ। আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ICC World Cup) মেগা আসর শুরু হবে ৫ অক্টোবর। ফাইনাল হবে ১৯ নভেম্বর। মঙ্গলবার এক দিনের বিশ্বকাপের শুরু এবং ফাইনালের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল। উদ্বোধন হতে পারে মুম্বইয়ে। ফাইনাল হওয়ার কথা আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। 

    ৪৬ দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা

    এক দিনের বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনও প্রকাশিত হয়নি।  ভারতের মোট ১২টি শহরে হবে বিশ্বকাপের খেলাগুলি। ৪৬ দিন ধরে চলবে প্রতিযোগিতা। ১০ দলের প্রতিযোগিতায় নকআউট পর্বের তিনটি ম্যাচ মিলিয়ে মোট ৪৮টি খেলা হবে। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি হবে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধরমশালা, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ, ইনদওর, রাজকোট এবং মুম্বইয়ে। কোন শহরে কোন দল খেলবে, সে সব এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য কোন দুটি বা তিনটি জায়গা বেছে নেওয়া হবে,সেটা এখনও নির্ধারিত হয়নি। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সভা হয়েছে। তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে সব রাজ্য দল যাতে সমানভাবে ম্যাচ পায় সেটি দেখতে হবে। রোটেশন প্রথায় খেলাগুলো ফেলা হবে। ইডেনে হবে দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল ও একটি সেমি ফাইনাল ম্যাচ। বিশ্বকাপের এখনও সাত মাস বাকি। তার আগে দলের গ্রুপ বিন্যাস হবে।

    কর ছাড়ের আবেদন

    সাধারণত বিশ্বকাপ শুরুর এক বছর আগেই সূচি ঘোষণা করে দেয় আইসিসি। কিন্তু এবার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা যে সেই কাজটা করতে পারেনি, সেটার পিছনে মূলত দুটি কারণ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিশ্বকাপের জন্য কর ছাড় এবং পাকিস্তান দলের ভিসায় অনুমোদনের বিষয় নিয়ে এখনও ভারত সরকারের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছে বিসিসিআই। বিশ্বকাপের আয়োজক আইসিসির হয়ে আনুমানিক ৯৬৩ কোটি টাকা কর হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে ভারতীয় বোর্ডকেই। 

    আরও পড়ুন: আইএসএল জয়ের দিনেই পুরনো নামের মৌতাতে মোহনবাগান!

    আইসিসির নিয়মানুযায়ী, কোনও দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইলে সরকারের তরফে কর ছাড়ের অনুমতি আদায় করতে হয়। যদি কর ছাড় না পাওয়া যায়, তা হলে সেই অর্থ আয়োজক দেশের ক্রিকেট বোর্ডকেই দিতে হয়। ভারতের করের নিয়মে এ ধরনের ছাড়ের কোনও উল্লেখ নেই। কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমে জানিয়েছিল, বিশ্বকাপ থেকে আয়ের উপর ১০.৯২ শতাংশ কর দিতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। সেই কর মকুবের জন্য আবেদন করেছিলেন বিসিসিআই কর্তারা। এখনও তা নিয়ে কিছু চূড়ান্ত হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে মালদহ জেলায় তৃণমূলের কোন্দল (Conflict) প্রকাশ্যে চলে আসছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার মানিকচক থানার নুরপুর এলাকা। প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মানিকচক থানার নুরপুর এলাকায়।  বৈঠক চলাকালীন তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তবে, গন্ডগোল শুধু হাতাহাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। আর তাতে চারজন কর্মী জখম হন। খবর পেয়ে নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বরমপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। এর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। দলীয় নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে, প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দলের (Conflict) জেরে  নুরপুরে রক্তপাতের ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    এদিন নুরপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বরমপুর বুথের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা বৈঠক হয়। সেখান চারজনের নাম ঠিক করা হয়। শেখ রজিম নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলীয় নেতাদের সামনে বুথে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছিল। আচমকাই জাবির শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। আমাদের মারধর করা হয়। বৈঠকে যে প্রার্থী ঠিক করা হয় তা জাবিরদের পছন্দ নয়। তারা এই এলাকায় নিজেদের মতো প্রার্থী দেবে। সেই প্রার্থী আমাদের মানতে হবে। এটা হতে পারে না। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। দলীয় নেতৃত্বকে সব কিছু জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, প্রার্থী নিয়ে মতানৈক্য (Conflict) হয়েছিল। তাতে সামান্য গন্ডগোল হয়। পরে, দুপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।

    সিপিএমের  মানিকচক-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আমিরুল হক বলেন, তৃণমূলের সব জায়গায় গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) হচ্ছে। আসলে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারলেই পাঁচ বছর ধরে চুরি করার সুযোগ মিলবে। সেটা কেউ হাত ছাড়া করতে চাইছে না বলেই গন্ডগোল হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Zakir Naik: ওমান থেকে আটক করে ভারতে আনা হবে মৌলবাদী প্রচারক জাকির নায়েককে

    Zakir Naik: ওমান থেকে আটক করে ভারতে আনা হবে মৌলবাদী প্রচারক জাকির নায়েককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌলবাদী প্রচারক জাকির নায়েককে (Zakir Naik) ওমান থেকে ভারতে আটক করে আনা হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে ওমানের প্রশাসনের সঙ্গে এই মর্মে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও খবর। ২৩ মার্চ জাকির নায়েককে ওমানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দু’টি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

    ওমানে তিন জায়গায় বক্তব্য রাখার কথা জাকির নায়েকের (Zakir Naik)

    সূত্রের খবর, ওমানের ওয়াকফ এবং ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মৌলবাদী প্রচারক জাকির নায়েককে (Zakir Naik)। তিনি আগামী ২৩ মার্চ সেখানে প্রথমে ভাষণ দেবেন। বিশ্বে কোরানের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক বক্তব্য রাখবেন। পরবর্তী ভাষণ দেবেন ওমানের সুলতান কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বক্তব্যের বিষয়, মানবসমাজের দয়ালু ব্যক্তিত্ব হজরত মহম্মদ। এই ভাষণটি হবে আগামী ২৫ মার্চ।

    ২০১৬ সালেই ভারতে নিষিদ্ধ করা হয় জাকির নায়েকের (Zakir Naik) সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে

    হিন্দু দেব দেবী এবং ধর্মের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। নানাভাবে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে উসকানি দেওয়া হচ্ছিল জাকির এবং তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে। এমনটাও জানিয়েছিল ভারত সরকার। ২০১৬ সালের শেষের দিকে জাকির নায়েকের (Jakir Nayak) সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। মূলত মৌলবাদী সভা ছাড়াও পিস টিভি নামক চ্যানেলেও তিনি উগ্র বক্তব্য রাখতেন।  হিংসা ছড়ানো, বন্দি করে রাখা এবং ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ছড়ানোর মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল জাকির নায়েক এবং তাঁর সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ভারত থেকে পালিয়ে জাকির নায়েক সেসময় ঠাঁই নেন মালয়েশিয়াতে। একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, এরপর মালয়েশিয়াতেও দেশের আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। তবে ততদিনে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে ফেলেন এই উগ্র মৌলবাদী প্রচারক।

    সন্ত্রাসবাদীদের প্রকাশ্যেই সমর্থন করতেন এই মৌলবাদী প্রচারক

    ২০২২ সালের মার্চ মাসে সন্ত্রাসবাদীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ভাষণ দিতে শোনা যায় জাকির নায়েককে। তারপর থেকে নায়েকের সংগঠন ইন্ডিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সমস্ত কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়। থেরেসা মে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন জাকির নায়েককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী ওসামা বিন লাদেনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করার অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি জাকির নায়েক বলেছিলেন, “সব মুসলিমেরই জঙ্গি হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Navaratri: আজ থেকে শুরু নবরাত্রি, ন’দিনে নয় দেবীর আরাধনা, কোন দিন কী পুজো?

    Navaratri: আজ থেকে শুরু নবরাত্রি, ন’দিনে নয় দেবীর আরাধনা, কোন দিন কী পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চৈত্রমাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navaratri)। এদিন হিন্দু নববর্ষেরও সূচনা হয়। চৈত্র মাসের প্রথম দিন, বা প্রতিপদ, ২১ মার্চ রাত ১০.৫২ মিনিটে শুরু হয়। তবে চৈত্র প্রতিপদ শুরু হবে ২২ মার্চ। ৩০ মার্চ নবমীর দিন পালিত হতে চলেছে বাসন্তী রামনবমী। সেই দিনে দেশ জুড়ে থাকবে উৎসবের আসর। নবমী তিথি ২৯ মার্চ রাত ৯.০৭ মিনিটে শুরু হবে। ২০২৩ সালের রাম নবমী এবং চৈত্র নবরাত্রি উদযাপন ৩০ মার্চ শেষ হবে। চলতি বছরে চৈত্র নবরাত্রি শুরু হচ্ছে ২২ মার্চ থেকে, আর তা শেষ হবে ৩১ মার্চ। বসন্ত নবরাত্রিতে দেবীর নয়টি ভিন্ন অবতারকে নয় দিন ধরে পুজো করা হয়।

    ‘শ্রী বরাহপুরাণে’ হরিহর ব্রহ্মা ঋষির দ্বারা রচিত, দেবী কবচে লেখা রয়েছে – 
    প্রথমং শৈলপুত্রী চ
    দ্বিতীয়ম্ ব্রহ্মচারিণী ।
    তৃতীয়ং চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্ ।।
    পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি,
    ষষ্ঠম্ কাত্যায়নীতি চ।
    সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমং।।
    নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ
    নবদুর্গা প্রকীর্তিতাঃ ।।

    নবরাত্রির (Navaratri) কোন দিনে কী পুজো—

    প্রতিপদ তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা শৈলপুত্রীর পুজো – ২২ মার্চ, বুধবার

    নবরাত্রির প্রথম দিনে মাতা শৈলপুত্রীর পুজো করা হয়। দেবীর নামের অর্থ “পাহাড়ের কন্যা”। তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস-মাতা শৈলপুত্রীর আশীর্বাদ স্বরূপ সুস্থ, রোগমুক্ত জীবন পাওয়া যায়। মাতার নৈবেদ্যতে খাঁটি ঘি অর্পণ করা হয়। এই দেবীর আরাধনায় মূলাধার চক্র শুদ্ধ হয়।

    দ্বিতীয়া তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা ব্রহ্মচারিণীর পুজো – ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার

    নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে এই দেবীর পুজো হয়। ব্রহ্মচারিণী মাতাকে খুশি করতে ভক্তরা চিনি নিবেদন করে থাকেন। বিশ্বাস মতে, মাতা তাঁর ভক্তদের দীর্ঘায়ু প্রদান করেন। এই দেবীর উপাসনার দ্বারা সাধিস্তান চক্র শুদ্ধ হয় হয় বলে ভক্তরা মনে করে।

    তৃতীয়া তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা চন্দ্রঘণ্টার পুজো – ২৪ মার্চ, শুক্রবার

    তৃতীয় দিনে মাতা চন্দ্রঘণ্টার প্রতি ভক্তি নিবেদন করা হয়। এই দেবীর বাহন বাঘ। উগ্র মূর্তি এই দেবীকে ক্ষীর ভোগ অর্পণ করেন ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং যাবতীয় বাধা বিঘ্ন দূর করেন।

    চতুর্থী তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা কুষ্মাণ্ডার পুজো- ২৫ মার্চ, শনিবার

    চতুর্থ দিনে মাতা কুষ্মান্ডার প্রতি ভক্তি নিবেদিত হয়‌। শাস্ত্র মতে, এই দেবী মহাবিশ্বের স্রষ্টা। তিনি তাঁর ভক্তদের জ্ঞানদানের দ্বারা বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটান এবং কর্মক্ষেত্রে জটিলতা দূর করেন। দেবীকে মালপোয়া ভোগ অর্পণ করা হয়।

    পঞ্চমী তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা স্কন্ধমাতার পুজো- ২৬ মার্চ, রবিবার

    নবরাত্রির পঞ্চম দিনে মাতা স্কন্দমাতার আরাধনা করেন ভক্তরা। ভগবান কার্তিককে কোলে নিয়ে উপবিষ্ট এই দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা কলা নিবেদন করেন। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তের জীবনে পরম সুখ ও শান্তি আসে বলে বিশ্বাস।

    ষষ্ঠী তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো- ২৭ মার্চ, সোমবার

    ঋষি কাত্যায়নের কন্যা, শক্তির প্রতীক তথা যোদ্ধা দেবী কাত্যায়নী মাতার পুজো নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে সম্পন্ন হয়। ভক্তদের তিনি শক্তি, ধর্ম ও জাগতিক সুখ প্রদান করেন বলে বিশ্বাস। তাঁকে ভক্তদের মধু নিবেদনের রীতি চালু রয়েছে।

    সপ্তমী তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা কালরাত্রির পুজো- ২৮ মার্চ, মঙ্গলবার

    সপ্তমী পুজো হয় এই দেবীর। দেবী ত্রিশূলধারী। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতাকে গুড় নিবেদন করা হয়।

    অষ্টমী তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা  মহাগৌরীর পুজো- ২৯ মার্চ, বুধবার

    উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। মাতা মহাগৌরীর একহাতে ত্রিশূল ও অপর হাতে ডমরু থাকে। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়।

    নবমী তিথিতে সম্পন্ন হবে মাতা সিদ্ধিদাত্রীর পুজো- ৩০ মার্চ, বৃহস্পতিবার

    নবরাত্রির (Navaratri) শেষদিনে পুজো হয় এই দেবীর। তিনি ভক্তদের জীবনে সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট করেন এবং সাফল্য আনেন বলে ভক্তদের ধারণা। মাতা সিদ্ধিদাত্রীকে ভক্তরা তিল নিবেদন করে থাকেন।

    বাসন্তী পুজো কবে পড়ছে

    এদিকে, এই নবরাত্রির (Navaratri) সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত সময়ে বাংলার বহু এলাকায় বাসন্তী পুজো পালিত হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই বাসন্তী পুজোর তারিখ ও সময়কাল –

    বাসন্তীপুজোর ষষ্ঠী তিথি শুরু হতে চলেছে ২৭ মার্চ। সোমবার এই মহাষষ্ঠী পড়ছে। আর সপ্তমীর পুজো মঙ্গলবার ২৮ মার্চ। অষ্টমীর পুজো ২৯ মার্চ, বাসন্তী পুজোর নবমী বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ, বাসন্তী বিজয়া দশমীপুজো ৩১ মার্চ শুক্রবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বিপুল পরিমাণ জমির হদিশ পেল ইডি। এর আগে তাঁর ৮২৫ কাঠা জমির হদিশ মিলেছিল। এবার আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলল। ইডি সূত্রে খবর, বোলপুর লাগোয়া রূপপুর এলাকায় একটি বড়সড় সম্পত্তি রয়েছে মণীশের। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৩-১৪ থেকে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের (Anubrata Mondal)   ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে ওঠেন বোলপুরের চৌরাস্তার বাসিন্দা মণীশ। এর পরই তাঁর সম্পত্তি বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এমনই একটি সম্পত্তি রয়েছে রূপপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, রূপপুর গ্রামে মণীশের ৩০-৩৫ বিঘা জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ঘরও রয়েছে। একটি রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘আমরা অনেকের মুখেই শুনেছি, এই জমি মণীশ কোঠারির। কয়েক মাস আগেও কাজ হচ্ছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’ মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। মণীশ আরও জানিয়েছেন, কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal)  ।

    বোলপুর চেয়ারপার্সনের নাম মণীশের মুখে, কেন? Anubrata Mondal

     ইডির দাবি, জেরায় মণীশ নাম নিয়েছেন বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষেরও। ইডি সূত্রে খবর, মণীশ জেরায় বলেছেন যে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে পর্ণা ও সুদীপ্ত অনেক জমি কিনেছেন। বোলপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রেও খবর, ওই সময়ে ইলামবাজারের গোপালনগর মৌজায় পর্ণার নামে প্রায় ৬৮০ কাঠা জমি কেনা হয়েছিল। সেই জমির বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ কোটিরও বেশি। এই বিষয়ে পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেন, “আমার স্বামী চাকরি করেন। আমিও একটি স্কুলের সঙ্গীত শিক্ষিকা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছি। ২০১৫ সাল থেকে আমি কাউন্সিলর। চেয়ারপার্সন হিসেবে মাইনে পাই। এই সমস্ত কিছু যোগ করেও আমাদের যা সম্পত্তি আছে, তা ১৫ কোটি হবে না। এ বিষয়ে যদি তদন্তকারীরা আমাদের ডাকেন, নিশ্চয়ই সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়ে আসব”।

    বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার নিয়ে কী বলছে বিরোধীরা? Anubrata Mondal

    এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ করতে দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “সঠিক তদন্ত হলে ওঁদের নামে আরও অনেক কিছু বেরোবে”। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “তদন্ত যত এগোবে, ততই এঁদের দুর্নীতির বহর মানুষ বুঝতে পারবেন”।

    সোমবার রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের নির্দেশের পর একান্তে স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁর স্ত্রীকে। তবে এদিন ইডি মনীশকে আর তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি করেনি। তবে, জামিন পেলে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)   হিসাবরক্ষক তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আদালতে জানান ইডির আইনজীবী। অন্যদিকে, মনীশের জামিন চেয়ে আদালতে আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর মনীশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মা শীতলার জাগরণে হিন্দুরা আক্রান্ত হলেন বলে অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    জানা গিয়েছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট বাটার কাছে একটি শীতলা মায়ের জাগরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেখানে দল বেঁধে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। আক্রান্তদের দাবি, হামলাকারীরা মুসলিম সম্প্রদায়ের। অভিযোগ, দল বেঁধে তারা এসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দুদের উপর মারধর করে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়াতে ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মোবাইলে তোলা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চারিদিকে লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া জুতো রাস্তায় পড়ে রয়েছে। লোকজনের চিত্কার শোনা যাচ্ছে। কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়তে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে একজন বলছেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। মোবাইলে তোলা সেই ছবি দেখলে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের স্মৃতি উসকে দেবে। খোদ কলকাতার বুকে এই ধরনের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। 

    হামলার ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কী টুইট করেছেন

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যাণ্ডল থেকে শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘এই হচ্ছে আমার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। এই হল সেন্ট্রাল কলকাতার মতো জায়গার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি। জাগরণ মঞ্চের উপর হামলা চালানো হল। কারা হামলা চালিয়েছে এবং কী কারণে চালিয়েছে তা ভিডিওটি দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রেই চালানো হল এই আক্রমণ। কলকাতার নগরপালকে অনুরোধ করবো তিনি যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেন।’

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) শেয়ার করা ভিডিওতে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘মিনি পাকিস্তান তো হয়েই গেছে। এইবার বড় পাকিস্তান হয়ে যাবে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এইবার আবার আমাদের উদ্বাস্তু হয়ে আসাম, ওড়িশাতে চলে যেতে হবে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে টিএমসি এবং এর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারি হচ্ছে অসৎ গুন্ডা বদমাইশ। অতএব এখানে ওই দলের কাছে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                     

LinkedIn
Share