Author: Krishnendu Bakshi

  • Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    Manipur: মণিপুরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত মহিলা কনস্টেবল, নিরাপত্তা বাহিনীর বাসে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) এবার আক্রান্ত খোদ নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার কঙ্গপকপি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। বুধবার সকালে ভারত-মায়ানমারের সীমান্তে মোরে এলাকায়ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলিও। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা কনস্টেবলের। এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় হতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    গুলির লড়াই

    এদিন সকাল (Manipur) সাড়ে ন’টা নাগাদ সশস্ত্র দুষ্কৃতী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। মৃত্যু হয় ওই মহিলা কনস্টেবলের। গুলির ওই লড়াইয়ের জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার আগেই অবশ্য এলাকার অন্তত ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। জানা গিয়েছে, যে বাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, সেগুলি মেইতেইদের। হিংসার কারণে অবশ্য বাড়িগুলিতে এখন কেউ ছিলেন না। বাড়িগুলির পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বন বিভাগের অফিসেও।

    বাসে আগুন 

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালে (Manipur) নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে জেলা সদরে যাওয়ার পথে সাপোরমেইনা এলাকায় অবরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি বাস। তখনই বাস দুটিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত ৩ মে। এদিনই হিন্দু মেইতেইদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে খ্রিস্টান কুকিদের। মেইতেইরা দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জাতি মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর মিছিল করে। এর পরেই শুরু হয় দু পক্ষে সংঘর্ষ। যার জেরে ইতিমধ্যেই বলি হয়েছে শতাধিক মানুষের প্রাণ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    হিংসা থামাতে একাধিক (Manipur) পদক্ষেপ করা হয়। তার পরেও জ্বলেছে অশান্তির আগুন। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে সেনাবাহিনীর আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন বহু মানুষ। মণিপুরবাসীর জীবন এবং সম্পত্তি বাঁচাতে রাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকের ভার তুলে দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহের হাতে। তার পরেও শান্তি ফেরেনি মণিপুরে। যার মাশুল গুণছেন সাধারণ মানুষও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনায় পাক নাগরিকের চাকরির মামলায় এফআইআর করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনায় চাকরি করছেন দুই পাক নাগরিক। এ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই মামলায়ই এবার এফআইআর দায়ের করতে চায় সিবিআই। বুধবার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেখানেই একথা জানায় সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মতো এই ঘটনার অনুসন্ধান করছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সোমবারই সিবিআইকে তাদের অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    জাল নথি দিয়ে নিয়োগ

    কেবল সেনাবাহিনীতেই নয়, আধা সামরিক বাহিনীতেও জাল নথি দাখিল করে নিয়োগের হদিশ দিয়েছিল সিআইডি। তবে কোনও পাক নাগরিকের জাল নথি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কোনও নজির (Calcutta High Court) তারা পায়নি বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য। ২৩ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তাও জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সব সমস্যাকে সমন্বয় রেখে এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। এই মামলারই শুনানি হয়েছে বুধবার।

    সেনায় পাক চর!

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার ব্যারাকপুর ছাউনিতে দুই পাক নাগরিক জাল নথি দিয়ে চাকরি করছেন বলে হাইকোর্টে মামলা করেন বিষ্ণু চৌধুরী নামে হুগলির এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মারফত চর ঢোকানো হচ্ছে ভারতীয় সেনায়। তাঁর দাবি, ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে দুই পাক নাগরিক চাকরি করছেন। সেনা বাহিনী, রাজ্য পুলিশ, ভিন রাজ্যের পুলিশ ও প্রভাবশালীদের মারফত তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। জাল নথি দাখিল করে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

    এই মামলার শুনানির পর প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court)। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এবং মিলিটারি পুলিশকে এই মামলার শরিক করার নির্দেশও দেওয়া হয়। সিআইডির কাছেও এই মামলার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসন্ধান করে সিবিআই। এদিকে, এদিন আদালতে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিষ্ণু। তিনি জানান, তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পরেই আদালত তাঁকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হুগলি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    Panchayat Election 2023: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। এই নির্বাচনের আগে-পরে যত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কেবল তাই নয়, বিজেপির দাবি, তদন্ত হতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে। নির্বাচন-পর্বে রাজ্যের যেসব জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে ওই টিম।

    রাজ্যের সমালোচনা

    বুধবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার হাতে ভোট-হিংসা নিয়ে রিপোর্টও জমা দিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। দাবি করেছে সিবিআই, এনআইএ তদন্তের। নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন রবিশঙ্কর। সমালোচনা করেন তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানেরও। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) ঘিরে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে রাজ্যে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় খুনখারাপি। চলতে থাকে নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে। সব মিলিয়ে এই পর্বে রাজনৈতিক হিংসার বলি হন ৫২ জন। এঁরা যে সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক তা নয়, এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভোটারও।

    রক্তের হোলি খেলা

    এই হিংসায় কোথাও খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা, কোথাও আবার রাজনীতি করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছেন তৃণমূলেরই কোনও কর্মী-সমর্থক। তিনি অবশ্য বলি হয়েছেন গোষ্ঠীকোন্দলের। রাজ্যে ভোট-হিংসার প্রকৃত চিত্র দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টিমের মাথায় রাখায় হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ১২-১৪ জুলাই তাঁরা (Panchayat Election 2023) ঘুরে দেখেন রাজ্যের বিভিন্ন হিংসা প্রবণ এলাকা। এই সময় তাঁরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, সেই সব তথ্যই এদিন দিল্লিতে তুলে দেওয়া হয় নাড্ডার হাতে।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২৬ পাতার ওই রিপোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় গেলেও, স্পর্শকাতর বুথের তথ্য দেয়নি কমিশন। বাংলার গ্রামাঞ্চলে বিজেপি কর্মীরা যে ভয়ে ভয়ে রয়েছেন, তাও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। এর পাশাপাশি সব হিংসার ক্ষেত্রে সিবিআই এবং সব বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে এনআইএ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। রবিশঙ্কর বলেন, নির্বাচনের আগে আদালত অন্তত পাঁচবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছিল। স্পর্শকাতর জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ঘণ্টা ছয়েক ধরে জেরা করে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ পাতার এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, নকল নথি বানানো, নথি জাল করা, জালিয়াতি সহ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মানিক ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামেও দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তবে জেরায় তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে মানিক সহযোগিতা করছেন না বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

    মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআয়ের তরফে জানানো হয়, মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এদিন মানিককে দীর্ঘক্ষণ জেরাও করা হয়েছে। মামলাটি নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন তিনি। সব কিছু ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও সিবিআইকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই

    এদিন সকালে ফের একবার মানিককে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান তদন্তকারীরা। প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। ওই রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। এদিকে, এদিন সিবিআইয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারি আধিকারিকরা অত্যন্ত দক্ষ। ভাল কাজের জন্য ধন্যবাদ।”

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে ডিজাইনড কোরাপশন (Manik Bhattacharya) হয়েছে বলে মঙ্গলবারই বলেছিল আদালত। তার পরেই আদালত চেয়েছিল, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি বলেছিলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার।” সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

    ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    Calcutta High Court: পকসো মামলায় নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ, আইসি-আইওকে সাসপেন্ডের নির্দেশ হাইকোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকসো (POCSO) আইনের মামলার কেস ডায়েরিতে নির্যাতিতার ছবি দিয়ে নাম লিখে দেওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের অন্তর্গত বাগুইআটি থানা।

    সাসপেন্ডের নির্দেশ

    এই মামলায় থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে (IO) সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য বিধাননগরের কমিশনারকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে চার সপ্তাহ পরে। সেদিন বিধাননগর কমিশনারেটকে আদালতে জানাতে হবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদিন আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে পুলিশ। বেঞ্চের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যিনি নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচালেন, তাঁকেই অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করার কারণ কী? তার মানে কি ওই যুবক পাচার চক্র ভাঙতে চাইছিলেন না? পাচার চক্র যাতে চলতে পারে, পুলিশ কি সেই রাস্তা করে দিচ্ছে? কেন পুলিশ নাবালিকার গোপন জবানবন্দি দেখল না? না কি দেখেও দেখল না! সেখানে স্পষ্ট লেখা, ওই যুবক তাকে উদ্ধারে সাহায্য করেছেন।”

    বিচারপতির প্রশ্ন 

    কেস ডায়েরিতে কীভাবে পাচার হওয়া নাবালিকার ছবি সহ পরিচয় প্রকাশ করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এর পরেই বাগুইআটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শান্তনু সরকার ও তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ দাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, ৩ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। পরে তিলজলা এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: মালদার ২ মহিলাকে নির্যাতন! রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    পুলিশকে সাহায্য করে ওই নাবালিকার প্রেমিক অনল সর্দার। পরে তাঁকেই অভিযুক্ত ঠাউরে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশ। অনিলকে জামিনও দিয়েছে আদালত। এদিন থানার আইসি এবং তদন্তকারী অফিসারকেও তলব করেছিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    Calcutta High Court: রামনবমী হিংসা মামলা, তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য, আদালতে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকার। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই অভিযোগ জানান এনআইএর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার অভিযোগ

    রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে হিংসার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, চন্দননগর এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায়। এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় এনআইএ তদন্তের। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তাদের যুক্তি ছিল, জনস্বার্থ মামলায় তদন্তের ভার এনআইএকে দেওয়া যায় না। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছাড়া সাধারণ হিংসার মামলায় এনআইএ আইন প্রয়োগ করা যায় না।

    সুপ্রিম কোর্টের রায় 

    এনআইএ তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যে আর্জি জানানো হয়েছিল, মে মাসে তা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চেও খারিজ হয়ে গিয়েছে ওই আর্জি। তার পরেই জোর কদমে তদন্ত শুরু করে এনআইএ।

    তবে এই প্রথম নয়, চলতি বছরের জুন মাসেও রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসা সংক্রান্ত মামলার নথি হস্তান্তর না করায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। সেই সময় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশে বলেন, “রায় চ্যালেঞ্জ করার মানে আগের নির্দেশ কার্যকর করা না হয়। রাজ্য বাধ্য ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে। তাই আগে নথি হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলে তখন আলাদা হবে। স্থগিতাদেশ পেয়ে যাব, এই ধারণা করে রাজ্য নথি চেপে বসে থাকতে পারে না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    এদিন হাইকোর্টে এনআইএর আইনজীবী জানান, আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে রাজ্যের কাছে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-চন্দননগর, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় হিংসার নথি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে চাওয়া হলেও, তারা এখনও দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: সোমবারের আগে অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের আগে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মামলার শুনানি হচ্ছে না। তাই ওই দিন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করবে না ইডি (ED)। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিয়ে দিলেন ইডির আইনজীবী। মঙ্গলবার অভিষেকের মামলা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বুধবার মামলাটি এজলাসে উঠতেই দ্রুত শুনানির আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। কিন্তু অন্যান্য মামলার চাপ থাকায় সোমবারের আগে শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ। তার পরেই ওই দিন পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। পরে তা আদালতে জানিয়েও দেওয়া হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

    মামলার সাত সতের

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড (Abhishek Banerjee)। গত সোমবার পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মামলা নির্দিষ্ট না করা পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাটি বিচারপতি ঘোষের এজলাসে উঠলে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে গিয়েছে। সেখানে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই মামলাটি বিচারপতি সিনহার বেঞ্চেই যাওয়া উচিত। বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন, কার এজলাসে শুনানি হবে সংশ্লিষ্ট মামলার। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম মামলাটি ফেরত পাঠান বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। শুনানির জন্য মামলাটি উঠলে তিনি জানান, সোমবারের আগে এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    নাম জড়ায় অভিষেকের 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে তিনি অভিযোগ করেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে তাঁকে চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর পরেই ওই মামলায় নাম জড়ায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের। সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেও, ইডির হাজিরা এড়াতে অভিষেক দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ওই মামলা শুনবে হাইকোর্টই। এবার মামলা আসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নন্দীগ্রাম থানার সিভিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ইডি তদন্ত করতে পারবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে ফের একবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। সেই মামলারই শুনানি সোমবারের আগে হবে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি ঘোষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    Justice Abhijit Ganguly: ছক কষেই দুর্নীতি! জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ সিবিআই-ইডিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআইয়ের (CBI) সমালোচনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর প্রশ্ন, “কতবার মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই?” সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে ভার্চুয়ালি তলবও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদের ‘ডিজাইনড কোরাপশনে’র উল্লেখও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ‘নতুন ধরনের দুর্নীতি’

    ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে হয়েছে এই ডিজাইনড কোরাপশন। আদালত চায়, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার। সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    ‘ডিজাইনড কোরাপশন’

    প্রশ্ন হল, ডিজাইন কোরাপশন কী? জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় ‘লাস্ট চান্স’। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক, সেই মামলার সঙ্গে এই নতুন মামলার কোনও যোগ নেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও, মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    ইডির উদ্দেশে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে তারা। প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতেও নিতে পারবে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই তদন্ত শুরু করতে পারবে ইডি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ ও হুগলিতে ডিজাইন কোরাপশনের অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক-ই ছক কষে ডিজাইনড কোরাপশন করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: ফের উত্তপ্ত সংসদ, বিরোধীদের হাতিয়ার মণিপুর, বিজেপির অস্ত্র বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    BJP: ফের উত্তপ্ত সংসদ, বিরোধীদের হাতিয়ার মণিপুর, বিজেপির অস্ত্র বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক-বিরোধী তরজায় ফের উত্তপ্ত সংসদ। চলছে বাদল অধিবেশন। মণিপুরে দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP) বিরোধী দলগুলি। মণিপুর ইস্যুকে ঘিরে অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অধিবেশনের মূল্যবান দুটি দিন। বিরোধীরা যখন মণিপুরকেই হাতিয়ার করছে, তখন বিজেপি অস্ত্র করছে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক নারী নিগ্রহের ঘটনাকে। এদিন শাসক থেকে বিরোধী সবাই সরব হয়েছেন নারী নিগ্রহ নিয়ে।

    শাসক-বিরোধী তরজা

    এক পক্ষ যখন সরব হয়েছে মণিপুর ইস্যুতে, অন্য পক্ষ তখন সুর চড়িয়েছেন বাংলায় নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে। সোমবারও এই ইস্যুতে একাধিকবার উত্তাল হয়েছে সংসদ। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। এদিন নাম-পরিচয় সহ বিজেপি সাংসদদের প্রশ্নগুলোর উল্লেখ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। অথচ বিরোধী (BJP) দলগুলির সাংসদদের প্রশ্নগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে নাম-পরিচয় ছাড়াই। এনিয়েই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ধনখড় এবং ডেরেক। পরে ডেরেককে সতর্কও করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।

    বঙ্গে নারী নিগ্রহ

    বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সুর চড়ান মূলত বাংলার সাংসদরা। আর কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল সরকার পক্ষকে নিশানা করেছে মণিপুর-অস্ত্র প্রয়োগ করে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পাঁচলা হোক, মালদা হোক, আলিপুরদুয়ার হোক, বীরভূম হোক, গতকাল (সোমবার) রাতে নতুন একটি বিষয় এসেছে, কোচবিহারে একটি নাবালিকা মেয়ে ১৪ বছর বয়স, তাকে চার দুষ্কৃতী মিলে লাগাতার ধর্ষণ করেছে। এর জন্য কি বিজেপি দায়ী?  নাকি মুখ্যমন্ত্রী দায়ী, যে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী শাসন ব্যবস্থাকে এমন করে দিয়েছে, যেখানে মহিলাদের সুরক্ষা পশ্চিমবঙ্গে নেই। আজকে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে, না হলে গদি ছাড়তে হবে।”

    আরও পড়ুুন: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    এদিনও লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর ইস্যুতে সরব হন বিরোধীরা (BJP)। ফলে দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করা হয় লোকসভার অধিবেশন। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে যে, মণিপুর নিয়ে বিতর্কের জন্য তারা প্রস্তুত। তার পরেও অধিবেশন ভেস্তে দিতে বিরোধীরা অযথা হট্টগোল করছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    Suvendu Adhikari: প্রসঙ্গ মণিপুর, বিধানসভায় রাজ্যের অস্ত্রেই সরকারকে ঘায়েল করবেন শুভেন্দু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অস্ত্রেই রাজ্য সরকারকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)! মণিপুরে দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। অথচ বুধবার মণিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভা।

    প্রসঙ্গ মণিপুর

    মঙ্গলবারই এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিন ধূপগুড়ির বিধায়ক বিজেপির বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হন এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন মুলতুবি ঘোষণা করা হয় বিধানসভা। তাই এদিন আর কোনও আলোচনা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওঠেনি মণিপুর প্রসঙ্গও। তাই বুধবার এনিয়ে শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত হতে পারে বিধানসভার কক্ষ। তৃণমূল সূত্রে খবর, মণিপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে ঘাসফুল শিবির। তবে বিজেপি বিধায়করা যে তা হতে দেবেন না, তা স্পষ্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কথায়ই।

    শুভেন্দুর হাতিয়ার

    তিনি বলেন, “মণিপুর নিয়ে কোনও প্রস্তাব আনতে পারে না। কারণ এডুকেশন স্ক্যাম নিয়ে আমরা আগে যখন বলেছিলাম, তখন বলা হয়েছিল সাব জুডিস ম্যাটার। আলোচনা করা যাবে না। মণিপুরও সাব জুডিস ম্যাটার। সুপ্রিম কোর্ট হয়েছে। ফলে একই যুক্তিতে এটাও আলোচনা করা যায় না।” শুভেন্দু বলেন, “তবুও জোর করে আনলে আলোচনা হবে। আমাদের মহিলা সদস্যরা অংশ নেবেন। আমরা হাউস (বিধানসভা) বন্ধ করে নয়, সচল রেখেই প্রতিবাদ জানাব।”

    তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে এদিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং ডেঙ্গি রোধে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই থেকে মালদহ, গোটা রাজ্যে নারী নির্যাতন চলছেই। নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই বাড়ছে বেকারত্ব। বর্ষার শুরুতেই মহামারির আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। এরই প্রতিবাদে সরব হবেন আমাদের প্রতিনিধিরা।”

    আরও পড়ুুন: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। তার আগে তিনি করেন পরিষদীয় দলের বৈঠক। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চাইব। না হলে প্রতিবাদে শামিল হব।” বুধবারই বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনবেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা। শ্যামবাজারে অবস্থানও করবেন। রাজ্যে বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনায় দাবি করবেন এনআইএ তদন্তও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share