Author: Krishnendu Bakshi

  • Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    Supreme Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলা, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Rama Navami) শোভাযাত্রায় ব্যাপক হিংসা হয়েছিল এ রাজ্যে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলাও। পরে আদালত অভিযোগের তদন্তভার দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে হয় এই মামলার শুনানি। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছিল এনআইএ। এদিন আদালত জানতে চায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া পাঁচটি এফআইআরের বিবরণ একই কিনা। ওই বিবরণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। শুক্রবার সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই রিপোর্ট জমা দেবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন শুনানিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানান, রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা ছোড়া হলেও, বিস্ফোরক আইনে মামলা করেনি পুলিশ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল এই মামলার। তখন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। তার জের টেনে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবীর প্রশ্ন, এরপরও কেন রাজ্য পুলিশ বিস্ফোরক আইনে কোনও মামলা রুজু করল না? তিনি (Supreme Court) বলেন, হিংসার ঘটনায় দোষীদের আড়াল করতেই বিস্ফোরক আইনে এফআইআর দায়ের করেনি রাজ্য পুলিশ। মামলাকারীদর বিজেপি নেতা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা ভুল। এঁদের মধ্যে সমাজকর্মী, আইনজীবীরাও রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    হাইকোর্ট দেখেছে, একজন পুলিশ আধিকারিকই অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫টি সিজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ভিডিও ফুটেজে দুষ্কৃতীদের দেখা গিয়েছিল, তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, সঠিক তদন্ত হয়নি। রামনবমীর মিছিলে নির্বিচারে পাথর, বোমা ছোড়া হয়েছে, তারপরেও বিস্ফোরক আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ও হুগলি। কোথাও শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কোথাও আবার ট্রেন বন্ধ করে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    PM Modi: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওঁরা পরিবারকেই অগ্রাধিকার দেন। দেশকে নয়। দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লি থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি নয়া ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন  করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোট বাঁধার উদ্যোগকে। তিনি বলেন, “ওঁরা পরিবারকেই অগ্রাধিকার দেন। দেশকে নয়। দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা। যে যত বড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, বৈঠকে তাঁর আসন হবে তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

    ‘ভ্রষ্টাচারীদের সম্মেলন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ তো কট্টর ভ্রষ্টাচারীদের সম্মেলন হচ্ছে। বিরোধীদের মন্ত্র হল, অফ দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি এবং ফর দ্য ফ্যামিলি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “গত ৯ বছরে আমরা পুরনো সরকারের ভুলগুলি শুধরে দেশের মানুষকে নতুন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছি। দেশে উন্নয়নের মডেল তৈরি হয়েছে। এটা সবকা সাথ সবকা বিকাশের মডেল।” তিনি বলেন, “এই দলগুলির লক্ষ্য দেশের গরিবের বাচ্চার বিকাশ নয়, নিজের বাচ্চা, ভাই-ভাইপোর বিকাশই। পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি দেশের যুবশক্তির সঙ্গে কখনও ন্যায় করেনি। এদের একটাই এজেন্ডা –  নিজের পরিবার বাঁচাও, পরিবারের জন্য দুর্নীতি কর।”

    ‘জাতিবাদের বিষ বিক্রি করছেন’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এখন কিছু লোক দেশকে নিয়ে দোকান খুলে বসেছে। এদের দোকানে দুটি জিনিসের গ্যারান্টি পাওয়া যায়। এক, জাতিবাদের বিষ বিক্রি করা এবং দুই, দুর্নীতি করা।” তিনি বলেন, “এঁরা যখন ক্যামেরার সামনে একই ফ্রেমে আসেন, তখন দেশবাসীর একটাই কথা মনে আসবে, এটা লাখো-কোটি টাকার দুর্নীতি। দেশের জনতা বলছে, এটা কট্টর দুর্নীতির সম্মেলন হচ্ছে। যেসব নেতা বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িত, জেলে গিয়েছেন বা আদালতে সাজাপ্রাপ্ত, তাঁরাই এই বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ভারতের দুর্দশার জন্য দায়ী, তাঁরা এখন তাঁদের দোকান খুলেছেন। ২০২৪ এর লক্ষ্যে ২৬টি দল এক হয়েছে। এই দলগুলির ক্ষেত্রে এটাই মানায়। তাঁরা মুখে অন্য গান গাইছেন। কিন্তু বাস্তবতা অন্য কিছু। এখন তাঁরা বেঙ্গালুরুতে বৈঠক করছেন।” বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসা নিয়ে কেন এই বিরোধী জোটের সদস্যরা চুপ করে রয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এদিনই বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসছেন বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতারা। তাকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    আরও পড়ুুন: নদিয়ায় ফের বিজেপি ও সিপিএমে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, চাঞ্চল্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Dal: দেশবাসীর পাতে প্রোটিন দিতে সস্তায় ‘ভারত ডাল’ দেবে কেন্দ্র, দাম কত জানেন?

    Bharat Dal: দেশবাসীর পাতে প্রোটিন দিতে সস্তায় ‘ভারত ডাল’ দেবে কেন্দ্র, দাম কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনি, কেরোসিনে ভর্তুকি দেওয়া চলছে। রেশনের মাধ্যমে তা পৌঁছে দেওয়া হয় দেশের প্রতিটি ঘরে। এবার দেশের প্রতিটি ঘরে ভর্তুকি যুক্ত ছোলার ডাল পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। সোমবার এই প্রকল্পের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। ডালের নাম দেওয়া হয়েছে ভারত ডাল (Bharat Dal)। ডাল মিলবে ৬০ টাকা কেজি দরে। ভর্তুকিযুক্ত এই ডাল বিক্রি করছে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন।

    সস্তায় ডাল

    তবে এক কেজি ডালের দাম ৬০ টাকা হলেও, বেশি ডাল নিলে মিলবে আরও ছাড়। এক সঙ্গে যাঁরা ৩০ কেজি ডাল কিনবেন, প্রতি কেজি বাবদ তাঁদের দিতে হবে ৫৫ টাকা করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এনসিসিএফ, কেন্দ্রীয় ভান্ডার এবং মাদার ডেয়ারির আউটলেট থেকেও এই ব্যান্ডের ছোলার ডাল খুচরো বিক্রি হবে। সাধারণভাবে খুচরো ক্রেতাদের জন্য কেজি প্রতি ৬০ টাকা (Bharat Dal) দাম হলেও, একত্রে ৩০ কেজি কিনলে দর পড়বে কেজি প্রতি ৫৫ টাকা।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    তিনি বলেন, কেন্দ্র ভারত ডাল নিয়ে এসেছে, কারণ ডাল যেন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারগুলিও ওয়েলফেয়ার স্কিমে চানা ডাল পাবে। পুলিশ, জেল এবং কনজিউমার কো-অপারেটিভ আউটলেটগুলোকেও সরবরাহ করা হবে ভারত ডাল।

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর দেশবাসীর জন্য নানা জনমুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দেশের আমজনতা যাতে সস্তায় খাদ্যসামগ্রী পায়, সেজন্য রেশন সামগ্রীতে বাড়িয়েছে ভর্তুকির পরিমাণ। করোনা অতিমারিকালে নিখরচায় বিলিয়েছে চাল। যেহেতু সস্তায় বেশি প্রোটিন পেতে দেশের সিংহভাগ মানুষ ডালের (Bharat Dal) ওপর নির্ভর করেন, তাই এবার ডালে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশবাসীর একটা বড় অংশই নিরামিষ ডাল পছন্দ করেন। সেই কারণেই মুসুরির ডালে ভর্তুকি না দিয়ে সহজলভ্য করে তোলা হচ্ছে ছোলার ডালকে। সস্তায় যে ডাল পেলে উপকৃত হবেন দেশের বেশিরভাগ বাসিন্দাই।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করছেন ভারত সরকারের। ফি মাসে মাইনে বাবদ নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকাও। অথচ নিয়মিত পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) তিন সরকারি কর্মী। জঙ্গি-যোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিন কর্মীকে। যে তিনজনকে বরখাস্ত করার কথা জানা গিয়েছে সোমবার, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক ফাহিন আসলাম, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল আরশিদ আহমেদ থোকের এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিক মুরুয়া হুসেন মির।

    বরখাস্তের কারণ

    জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা তাঁদের বরখাস্ত করেন। সংবিধানের ৩১১ (২)(সি) ধারায় বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিনজনকে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিলেন ওই তিনজন। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের রসদ সরবরাহ, জঙ্গিদের মতাদর্শ প্রচার এবং জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজও করছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের।

    কে এই ফাহিম?

    জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jammu & Kashmir) ফাহিমকে যে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য তাঁর কোনও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি, হয়নি পুলিশ ভেরিফিকেশনও। কোনও বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি। এহেন ফাহিমই উপত্যকায় জঙ্গিবাদের মূল প্রচারক। ২০০৮ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হয় ফাহিমকে। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। প্রথমে তাঁকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। গিলানি ঘনিষ্ঠ ফাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কাশ্মীরি আর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী ইয়াসিন মালিকের। এই ইয়াসিনকে এনআইএর স্পেশাল কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে।  

    আরও পড়ুুন: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উপত্যকায় ফাহিম জঙ্গিদের (Jammu & Kashmir) হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৬ সালে যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয় উপত্যকায়, তার আয়োজক ছিলেন ফাহিমই। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হত, তারও মূল মাথা ছিলেন তিনিই। কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহিত হয়েছে ৩৭০ ধারা। তারপর থেকে একটু একটু করে শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে। এমতাবস্থায়ও ফাহিম পড়ুয়াদের মধ্যে বপন করে যাচ্ছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতার বীজ। জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে তাঁর কার্যকলাপ বিপজ্জনক বলেও দাবি প্রশাসনের।

    এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের ব্যর্থ করে দেওয়া হল অনুপ্রবেশ। রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত পুঞ্চে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে মৃত্যু হয় দুই অনুপ্রবেশকারীর। প্রসঙ্গত, ১০ জুলাইও রাজৌরি সেক্টরে নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি করে মারে এক অনুপ্রবেশকারীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত (Calcutta High Court) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের করা সেই মন্তব্যের জন্য মামলাকারীকে বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিচারপতিকে নিয়ে অভিষেকের পৃথক একটি মন্তব্যের মামলা চলছে বৃহত্তর বেঞ্চে। সোমবার সেই বেঞ্চেই আবেদনের পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি।

    রুল জারির দাবি

    এদিন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও শাক্য সেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করুক। রুল জারি করুক। এদিন অভিষেকের নাম না করে আইনজীবীরা বলেন, “ওঁর বক্তব্য হাইকোর্ট খুনিদের রক্ষাকবচ দিচ্ছে। হাইকোর্টের জন্যই নির্বাচনে এত রক্তারক্তি। তিনি কার্যত বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এর আগেও তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।”

    বেলাগাম অভিষেক! 

    আদালত (Calcutta High Court) অবশ্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার দাবি মানেনি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। শুক্রবার এসএসকেএমে জখম তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপিকে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “আমি বারবার বলছি বিচার ব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। …সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।”

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এও বলতে শোনা যায়, “কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একজন বিচারপতির জন্য গোটা বিচার ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি সাধারণ মানুষকে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছে, তবু পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। ওই বিচারপতি শুভেন্দুকে এমন রক্ষাকবচ দিয়েছেন যে আগামী দিনেও ওঁর কোনও অপরাধের জন্য পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে না।” বিচার ব্যবস্থার প্রতি একজন সাংসদের এহেন মন্তব্য কতটা সমীচিন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজ্যজুড়ে। এদিন আদালতে বিকাশ বলেন, “ওই বিচারপতির বাড়িতে আগেও পোস্টার সাঁটা হয়েছে। তা নিয়ে হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিল। শাসক দলের নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ না হলে মর্যাদা হানি হবে হাইকোর্টের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    UCC: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আগেই বহু বিবাহ রোধে বিল আনছে অসম সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন খোদ প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির অ্যাজেন্ডায়ও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার কথা। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পেশ হতে পারে বলে কিছু দিন আগেই দাবি করেছিলেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। তবে দেশে কবে লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, তার অপেক্ষায় থাকছেন না অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল

    তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে রাজ্য বিল পাশ করবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ব্যাপারে যতক্ষণ না চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ততদিন এই আইন লাগু থাকবে রাজ্যে। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্রের প্রতি আমাদের রাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বহু বিবাহ রোধে অসম সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পার্লামেন্টে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    তবে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যের। ল’ কমিশন এবং পার্লামেন্টারি কমিটি বর্তমানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য ও সংগঠনের মত জানতে চেয়েছে। অসম সরকার এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তিনি জানান, বহু বিবাহ রোধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি বর্তমানে ঝুলে রয়েছে অসমে। এর কারণ হল, এটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিলের একটা অংশ মাত্র। তিনি বলেন, তাই আমরা ভাবছি অসমে দ্রুত বহু বিবাহ রোধে বিল আনা যায় কিনা।

    আরও পড়ুুন: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    গত মে মাসেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেছিলেন, বহু বিবাহ রোধে বিল পাশ করাবে অসম সরকার। এজন্য গুয়াহাটি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রুমি ফুকানের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়া হয়েছিল। রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটিকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। যদি এই সময়সীমার মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দিতে পারে, তাহলে সেপ্টেম্বরে বিধানসভার অধিবেশনেই পেশ করা হবে বিলটি (UCC)। তা নিতান্তই সম্ভব না হলে বিলটি পেশ করা হবে জানুয়ারিতে, শীতকালীন অধিবেশনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “তুঙ্গে মোদির জনপ্রিয়তা, তাই কলেবরে বাড়ছে এনডিএ”, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে মোদিজির (PM Modi) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তিনি ক্রমেই বিশ্ব নেতা হয়ে উঠছেন। তিনি বিদেশেও ভারতকে গর্বিত করছেন।” কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। রবিবার লখনউয়ের এক জনসভায় তিনি বলেন, “আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা হত না। আজ যখন ভারত কথা বলে, তখন সমগ্র বিশ্ব তা শোনে।”

    ভারতের সম্মান বৃদ্ধি

    রাজনাথ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে ভারতের কথায় গুরুত্ব দেওয়া হত না। আজ যখন ভারত কথা বলে, গোটা বিশ্ব মনযোগ দিয়ে সেই কথা শোনে। যখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশ সফরে যান, তাঁকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয়, তা আপনারা টিভিতে দেখেছেন।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওঁকে ‘বস’ বলে সম্বোধন করেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মোদিজিকে বলেন যে আপনি বিশ্বের শক্তিশালী নেতা। তাঁর স্বাক্ষর নেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মুসলিম দেশগুলিও তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান দিচ্ছে। পাপুয়া গিনির প্রধানমন্ত্রী পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন। এটা অত্যন্ত সম্মানের। শুধু ওঁর কাছে নয়, সব ভারতবাসীর কাছেই।”

    ভারতের উন্নতি

    তিনি বলেন, “ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতির দেশ। ২০১৩-১৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত ছিল ১১ নম্বরে। বর্তমানে তা পঞ্চম স্থানে এসে পৌঁছেছে। লখনউয়ে দেশের ইঞ্জিনিয়ররা ব্রাহ্মোস মিশাইল তৈরি করছেন। এই মিশাইল বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ রেলপথ তৈরি হবে। তার জেরে হবে প্রচুর কর্মসংস্থানও।”

    আরও পড়ুুন: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    এদিনই এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “গোটা ভারতে মোদিজিকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই। মোদির নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রয়েছে তামাম ভারতবাসীর। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতা হয়ে উঠছেন। সেই কারণে অনেক রাজনৈতিক দলই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এবং রাজনৈতিক দলগুলি জানে একটি শক্তিশালী জোটে শামিল হলে তবেই ভবিষ্যৎ নিরাপদ।” তিনি বলেন, “এনডিএ যা ছিল, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে চলেছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধেয় দিল্লির অশোকা হোটেলে বসছে এনডিএর বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    Uttar Pradesh: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের খেয়ে আক্ষরিক অর্থেই বনের মোষ তাড়াচ্ছিলেন তিনি। ভারতের খেয়ে তথ্য পাচার করছিলেন পাকিস্তানে (Pakistan)। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) চরবৃত্তি করার অভিযোগে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এক যুবককে গ্রেফতার করল এটিএস। মহম্মদ রইস নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিলেন ওই যুবক।

    দেশের বুকে ছুরি

    ভারতের ক্ষতি করার চেষ্টা অবশ্য এই প্রথম নয়। কেউ কোনও পাক সুন্দরীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআইকে তুলে দিয়েছেন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য। কেউ আবার টাকার বিনিময়ে ছুরি মেরেছেন দেশের বুকে। এটিএস সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের গোন্ডা জেলার (Uttar Pradesh) তারাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন মুম্বই। সেখানে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আরমান নামের এক যুবকের। পুলিশি জেরায় রইস জানিয়েছেন, আরমানই তাঁকে প্রলোভিত করেছিলেন চরবৃত্তিতে।

    গুপ্তচরবৃত্তির প্রস্তাব

    উত্তর প্রদেশের ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি আরমানকে আরব আমিরশাহিতে চাকরি খুঁজে দিতে বলেছিলেন। তখন আরমান তাঁকে আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার প্রস্তাব দেয়। তার বিনিময়ে মোটা টাকা মিলবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল আরমান। সে এও জানিয়েছিল, তাকে কিছু করতে হবে না। সে নিজেই রইসের নম্বর আইএসআইয়ের এজেন্টদের দিয়ে দেবে। তারাই যোগাযোগ করে নেবে। ২০২২ সালে ভিন দেশের একটি নম্বর থেকে (Uttar Pradesh) ফোন আসে রইসের কাছে। ফোনের অন্য দিকে থাকা মানুষটি জানিয়েছিল, তার নাম হুসেন। সে পাকিস্তানি গুপ্তচর। রইসকে ভারতীয় সামরিক সেনাঘাঁটিগুলি সম্পর্কে তথ্য চালান করার দায়িত্ব দিয়েছিল হুসেন। এজন্য রইসকে ১৫ হাজার টাকাও পাঠানো হয়। তার পরেই কয়েকজন বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে রইস তথ্য পাচার করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: সিবিআইয়ের নজরে ১৪টি পুরসভা! পুর দুর্নীতির আড়ালে কীসের আঁচ?

    উত্তর প্রদেশের বিশেষ ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, “রইস নামের এক যুবককে এটিএস গ্রেফতার করেছে। তিনি গোন্ডার বাসিন্দা। তাঁকে এটিএস দফতরে তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।”

    পাকিস্তানে তথ্য পাচারের অভিযোগে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ডিআরডিও বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকর। মহারাষ্ট্রের এটিএস গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। তিনি অবশ্য টাকা নয়, প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে  তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর রইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তথ্য পাচার করেছেন টাকার লোভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NDA: বিরোধীদের মাত দিতে জোটের শক্তি যাচাইয়ের পথে বিজেপি, মঙ্গলে দিল্লিতে বৈঠকে এনডিএ

    NDA: বিরোধীদের মাত দিতে জোটের শক্তি যাচাইয়ের পথে বিজেপি, মঙ্গলে দিল্লিতে বৈঠকে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে টেক্কা দিতে জোট বাঁধছেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই একপ্রস্ত বৈঠক হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের। ফের বৈঠক হওয়ার কথা শিমলায়। তার আগে অবশ্য বেঙ্গালুরুতে সোমবার বৈঠকে বসছে বিজেপি বিরোধী ২৪টি দল। তার ঠিক পরের দিন সন্ধ্যায় দিল্লির অশোকা হোটেলে বিজেপির নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে এনডিএর (NDA) সহযোগী দলগুলি। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হবে ২০ জুলাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে একবার শক্তি যাচাই করে নিচ্ছে দু পক্ষই।

    নাড্ডার নেতৃত্বে বৈঠক

    এনডিএর বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সহযোগী দলগুলি ছাড়াও বিজেপির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নতুন এবং পুরনো কয়েকটি দলকে, এক সময় যারা এনডিএর সহযোগী ছিল। জানা গিয়েছে, বিহারের লোক জনশক্তি পার্টির (রাম বিলাস) চিরাগ পাশোয়ান, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার জিতিন রাম মাঝি, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির উপেন্দ্র সিংহ কুশওয়াহা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টির মুকেশ শাহনিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এঁদের দলগুলিকেও এদিন শামিল করা হবে এনডিএতে (NDA)।

    নতুন যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে

    দীর্ঘদিন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সহযোগী ছিলেন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির ওম প্রকাশ রাজভড়। আগের দিনই তিনি ঘোষণা করেছেন এনডিএতে যোগ দিচ্ছেন বলে। উত্তর প্রদেশের মউ জেলার ঘোষির বিধায়ক সমাজবাদী পার্টির দারা সিংহ চৌহান ইস্তফা দিয়েছেন বিধানসভা থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনিও যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলগু দেশম পার্টি এবং শিরোমণি আকালি দলের বাদল অবশ্য এনডিএর সঙ্গে থাকছে না।

    আরও পড়ুুন: নন্দিনীর পর এবার প্রেস সচিবকেও সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, কী কারণে জানেন?

    সূত্রের খবর, অন্ধ্রপ্রদেশে পবন কল্যাণের জনসেনা দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে বিজেপি (NDA)। পঞ্জাবে অবশ্য তারা একলা চলো নীতি নিয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে বিহারের নিষাদ পার্টির সঞ্জয় নিষাদকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনু্প্রিয়া প্যাটেলের নেতৃত্বে আপনা দল, এআইএডিএমকে, তামিল মানিলা কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া মাক্কাল কালভি মুন্নেত্রা কাঝাগামকে। অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, কনরাড সাংমার এনসিপি, নাগাল্যান্ডের এনডিপিপি, সিকিমের এসকেএফ, জোমাথাংয়ের মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং অসমের অগপকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অশোকা হোটেলের ওই বৈঠকে। সব মিলিয়ে এনডিএর বৈঠকে উপস্থিত থাকবে ৩০টি দল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: নন্দিনীর পর এবার প্রেস সচিবকেও সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, কী কারণে জানেন?

    C V Ananda Bose: নন্দিনীর পর এবার প্রেস সচিবকেও সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, কী কারণে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর প্রধান সচিবের পথ থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) সরিয়ে দিয়েছিলেন নন্দিনী চক্রবর্তীকে। রাজ্যপালের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছিল রাজভবন-নবান্নের মধ্যে। এবার রাজ্যপাল সরিয়ে দিলেন তাঁর প্রেস সচিব শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যপাল সরিয়ে দিতেই নন্দিনীকে পাঠানো হয়েছিল পর্যটন দফতরের সচিব পদে। জানা গিয়েছে, শেখরকে অব্যাহতি দেওয়ার পর তাঁকে ফেরানো হয়েছে নবান্নে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পুরনো পদে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক অশান্তি

    সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন ৫২ জন। এর মধ্যে কেবল নির্বাচনের দিনই ঝরে গিয়েছে ২২টি তরতাজা প্রাণ। রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি এমনই আকার ধারণ করেছিল যে স্বয়ং রাজ্যপালকে পথে নামতে হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ জানাতে রাজভবনে শান্তিকক্ষ খুলেছিলেন রাজ্যপাল (C V Ananda Bose)। গঠন করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে শান্তি সম্প্রীতি কমিটি। এসব নিয়েই রাজভবন-নবান্নের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে অশান্তির চোরা স্রোত। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকারের মনোনীত প্রেস সচিবকে সরিয়ে রাজ্যপাল নবান্নকে বার্তা দিতে চাইলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    নবান্নকে কড়া বার্তা

    রাজ্যপালের প্রেস সচিবের প্রধান কাজ হল রাজ্যপাল ও রাজভবনের কথা সংবাদমাধ্যম মারফৎ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এহেন প্রেস সচিবকেই সরিয়ে দিয়ে রাজভবন নবান্নকে কড়া বার্তা দিল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহের নিয়োগপত্র নবান্নে ফেরত পাঠিয়ে একবার নবান্নকে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বিতর্ক হয়েছে নন্দিনীকে সরানোর পরেও। এবার সরিয়ে দেওয়া হল শেখরকেও।

    আরও পড়ুুন: পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে অমরনাথের পথে মৃত্যু পুণ্যার্থীর, জখম ২ পুলিশ কর্মীও

    গত জানুয়ারি মাসেই নবান্নের পাঠানো তিনটি নামের মধ্যে থেকে নিজের প্রেস সচিব হিসেবে শেখরকেই বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই শেখরকেই অব্যাহতি দেওয়ায় দানা বেঁধেছে জল্পনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। সূত্রের খবর, সেই হিংসার অনেক খবরই তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই কাজটি করার কথা প্রেস সচিবের। হিংসার খবর না দেওয়ার বিষয়টি রাজ্যপাল আলোচনা করেছিলেন ঘনিষ্ঠমহলে। তার পর সরিয়ে দেওয়া হয় শেখরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share