Author: Krishnendu Bakshi

  • PM Modi: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    PM Modi: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক।’ শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি পোস্ট করে এমনই লিখলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। শুধু তাই নয়, পোস্ট করা ছবির নীচে ফরাসি, ইংরেজি এবং হিন্দিতে লেখা হয়েছে ওই ক্যাপশন।

    যৌথ বিবৃতি

    এদিকে, এদিন মাক্রঁর সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ২৫ বছর উদযাপন করছি। এর আগের ২৫ বছরের মজবুত ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে আগামী ২৫ বছরের রোডম্যাপ তৈরি করছি।” তিনি বলেন, “এজন্য সাহসী ও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। ভারতের মানুষ নিজেদেরকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প নিয়েছে। এই যাত্রায় আমরা ফ্রান্সকে একটি প্রাকৃতিক অংশীদার মনে করি।”

    আত্মনির্ভর ভারত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পর্ক অনেকটাই বড়সড় ভূমিকা নিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত ও মেক ইন ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী।” তিনি বলেন, “সাবমেরিন হোক বা ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ, এক সঙ্গে আমরা শুরু আমাদের নয়, অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের চাহিদাও পূরণ করতে চাই। আমি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল ও ফ্রান্সের টোটাল কোম্পানির মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিকে স্বাগত জানাই। এটি আমাদের পরিচ্ছন্ন শক্তি পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।”

    ফ্রান্সে ইউপিআই চালুর কথা ঘোষণা করেছে ভারত। এর পাশাপাশি ফ্রান্সে ভারতীয় দূতাবাসে চালু হচ্ছে ডিআরডিওর টেকনিক্যাল অফিস। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত যে ৩৬টি রাফাল অর্ডার দিয়েছে, তা সময়ে ডেলিভারি করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে ভারত ও ফ্রান্স। ভবিষ্যতে তাদের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কো-অপারেশনকে প্রসারিত করবে।

    দুদিনের ফ্রান্স সফর শেষে শনিবার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রওনা দেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উদ্দেশে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ ব্যাপারে একটি ট্যুইটও করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারত-ফ্রান্স সম্পর্কের একটি নয়া অধ্যায় শুরু করে ফ্রান্সকে বিদায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এদিনই আবুধাবির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ভারতীয় নৌসেনার জন্য আসছে ২৬টি ‘রাফাল এম’ যুদ্ধবিমান! ঘোষণা কেন্দ্রের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DA Case: ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি, আদালত বলল ‘বড় সময় প্রয়োজন’

    DA Case: ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি, আদালত বলল ‘বড় সময় প্রয়োজন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পিছল ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি। আজ, শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এদিন শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী শুনানি কবে হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, মামলাটি মিসলেনিয়াস ডে-তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়া প্রয়োজন।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত বছর মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ (DA Case) দিতে হলে ব্যয় হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। এদিন রাজ্যের তরফে অভিষেক মনুসিংভি বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের দাবি অনুযায়ী ৩ লক্ষেরও বেশি কর্মচারিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হলে ৪১ হাজার কোটি টাকার প্রভাব পড়বে কোষাগারের ওপর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিএ সংক্রান্ত নিজস্ব নিয়ম আছে।

    ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য

    এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ মামলাটি উঠলে সরকারি কর্মীদের তরফে উপস্থিত আইনজীবী দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানান। যদিও বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চ জানায়, যে সব মামলার শুনানিতে সময় লাগে, সেই ধরনের মামলা সোম ও শুক্রবার শোনা হয় না। তাই আজ আর এই মামলার শুনানি করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    ৫ ডিসেম্বর প্রথমবার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে মামলাটি (DA Case)। এই মামলা শুনানির জন্য বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। কিন্তু শুনানির দিনই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত। তাই মামলার শুনানি হয়নি। তার পর থেকে যতবারই শুনানির দিন ধার্য হয়েছে, ততবারই কোনও না কোনও কারণে মামলাটি পিছিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। দিল্লিতেও ধর্না দিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রাজ্য সরকার। দ্বারস্থ হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Arunachal Pradesh: ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    Arunachal Pradesh: ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, বৃহস্পতিবার এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করল ইউনাইটেড কংগ্রেসনাল সেনেটরিয়ার কমিটি। অরুণাচলে চিনা আগ্রাসনের নিন্দাও করা হয়েছে প্রস্তাবে। এদিন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করেন ওরেগেনের ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জেফ মার্কলে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন এবং টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর বিল হ্যাগার্টি।

    ম্যাকমোহন লাইনকেই মান্যতা

    প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘ভারত ও চিনের সীমান্তে থাকা ম্যাকমোহন লাইনকেই মান্যতা দেয় আমেরিকায়। তাই অরুণাচল প্রদেশ ভারতেই।’ চিনের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে এই প্রস্তাব। তাতে বলা হয়েছে, ‘অরুণাচল প্রদেশের একটা বিরাট অংশ তাদের (ভারতে) ভূখণ্ড। ভারতের সেই ভূখণ্ডে ক্রমাগত আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে চিন।’ প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, ‘আমেরিকা সব সময় স্বাধীনতাকেই সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রতিটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়। কিন্তু চিন ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটছে।‘

    অরুণাচল চিনের নয়, ভারতের

    সেনেটে চিন বিষয়ক কমিটির প্রধান জেফ মার্কলেও বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কমিটি এই প্রস্তাব পাশ করেছে এটা বোঝাতে যে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারত সাধারণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা বোঝাতে। এই ভূখণ্ড পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার নয়। এবং এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমেরিকা এ ব্যাপারে ভারতকে সমর্থন ও প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে, যেমনটা আমেরিকা করে সমমনস্ক আন্তর্জাতিক সব দেশের ক্ষেত্রেই।”  

    সেনেটর জন করনিন বলেন, “সীমান্তে ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। আমেরিকা সব সময় গণতন্ত্র রক্ষা করতে শক্তিশালী অবস্থান নেবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলির সাহায্যেই এটা করা হবে।” তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেরই, চিনের নয়, তা বোঝাতেই পাশ করা হয়েছে প্রস্তাব।” হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি করিনে জিন পিয়ারে বলেন, “অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মেনে আসছে আমেরিকা। তাই সেখানে আগ্রাসনের কোনও চেষ্টাই আমরা মেনে নেব না।”

    আরও পড়ুুন: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    Manipur: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) শান্ত হোক। সংখ্যালঘুদের জীবন হোক সুরক্ষিত। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (EU) পার্লামেন্ট। জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

    অরিন্দম বাগচির ট্যুইট-বার্তা

    বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এই ধরনের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা ঔপনিবেশিক মানসিকতারই প্রতিফলন। আমরা দেখেছি, ইউরোপিয় সংসদ মণিপুর নিয়ে আলোচনা করেছে এবং একটি তথাকথিত জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।”  

    পার্লামেন্টে পেশ করা প্রস্তাব

    ইউরোপিয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে ভারত, মণিপুরের পরিস্থিতি নামে একটি প্রস্তাব পেশ করে সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্র্যাটদের প্রগতিশীল জোট। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (Manipur) জাতিগত ও ধর্মীয় হিংসা বন্ধ করার ও সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছে ইউরোপীয় সংসদ। মণিপুরের হিংসার স্বাধীন তদন্ত করার জন্য অনুমতিও চেয়েছে পার্লামেন্ট। বিবদমান সমস্ত পক্ষকে উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া বন্ধ করতে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকেও ভারতের কাছে মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। মণিপুরে (Manipur) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে। প্রেস বিবৃতিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য দাবি তুলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মণিপুরের হিংসার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে দিক।

    আরও পড়ুুন: “আইফেল টাওয়ারেও মিলবে ইউপিআইয়ের সুবিধা”, বললেন মোদি

    হিন্দু মেইতি ও খ্রিস্টান কুকি জনজাতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মাস দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন উপত্যকায়, কুকিরা পাহাড়ি এলাকায়। মেইতিরা নিজেদের তফশিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি জানান। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্য। যার জেরে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Flood Like Situation: যমুনার জলে ভাসছে দিল্লি, তরল তারিণী ঢুকে পড়ল মেট্রো টানেলেও

    Flood Like Situation: যমুনার জলে ভাসছে দিল্লি, তরল তারিণী ঢুকে পড়ল মেট্রো টানেলেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি, তার সঙ্গে ব্যারাজ থেকে ছাড়া জল, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দিল্লি (Flood Like Situation)। বৃষ্টির জমা জলে এমনিতেই ভোগান্তির শেষ ছিল না রাজধানীর বাসিন্দাদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো বৃহস্পতিবার যমুনার জল উপচে ভাসল শহর। হু হু করে জল ঢুকে গেল মেট্রো টানেলে। তবে তার জেরে বন্ধ হয়নি রাজধানীর লাইফ লাইন। যদিও ট্রেন চলেছে শম্বুক গতিতে। মঙ্গলবার থেকেই বাড়ছিল যমুনার জল।

    ফুলেফেঁপে উঠেছে যমুনা

    বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ যমুনার জলস্তর ছিল ২০৮.৬৬ মিটার, বিপদসীমার থেকে অন্তত তিন মিটার বেশি। হরিয়ানার হথিনীকুণ্ড ব্যারাজ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ায় যমুনার জল বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, হথিনীকুণ্ড থেকে জলছাড়া বন্ধ করতে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। সে যাই হোক, ধারাবর্ষণ এবং যমুনার উপচে পড়া জল জমে গিয়ে শোচনীয় অবস্থা (Flood Like Situation) ময়ূর বিহার, মজনু কা টিলা, সিভিল লাইন্স, যমুনা বাজার, মদনপুর এবং খাদার এলাকার। কোথাও হাঁটু সমান, তো কোথাও কোমর সমান জল। যমুনা তীরবর্তী গীতা কলোনি, নিগম বোধ ঘাট সহ বিভিন্ন এলাকা কার্যত জলের তলায়।

    দুয়ারে যমুনা 

    জল চলে এসেছে দিল্লি বিধানসভার অদূরে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসভবন থেকেও বানের জল (Flood Like Situation) খুব বেশি দূরে নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ টিমকে। ইতিমধ্যেই ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে শহরের নিচু এলাকাগুলি থেকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল-কলেজ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সরকারি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নদীর ধারে ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ

    যে কারণে ভাসছে দিল্লি, সেই একই কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতেও। টানা বৃষ্টি এবং তিস্তা ব্যারাজের ছাড়া জলে প্লাবিত হওয়ার জোগাড় জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকতে শুরু করেছে করলা নদীর জল। জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দুই এলাকায়ই জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। হাতিনালা উপচে পড়ে বানারহাটে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। নাগরাকাটায় ডায়না নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট উদ্ধার-কাণ্ড, কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট উদ্ধার-কাণ্ড, কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় রাস্তার নর্দমার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যালট মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। সেখানেই তিরস্কৃত হয় কমিশন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “পঞ্চায়েতে জিতলেই হাতে টাকা। আর সেই জন্যই এত দ্বন্দ্ব।” “রাস্তায় ব্যালট পড়ে থাকলে আর নির্বাচনের স্বচ্ছতা কোথায়?” প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। বৈধ ব্যালট পেপার গণনার আগে কীভাবে সেগুলো গণনা কেন্দ্রের বাইরে গেল ২০ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামায় তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ জুলাই।

    জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব

    বুধবার জাঙ্গিপাড়ায় একটি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় শয়ে শয়ে বৈধ ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারগুলিতে সিপিএমের প্রতীকে ভোট দেওয়া ছিল। সেগুলি কুড়িয়ে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হুগলির বাম নেতারা। রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকার কারণ জানতে চেয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারকেও। ওই বুথের ভোটের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও নামের তালিকা চেয়েছিলেন বিচারপতি। গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও ফুটেজও আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

    কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার

    এদিন জাঙ্গিপাড়ার বিডিও আদালতে (Calcutta High Court) জানান, প্রিসাইডিং অফিসার জয়দেব দে-কে ব্যালটগুলি ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু সই মিলছে না। পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ছিল ভোটের দিন বিষয়টি খতিয়ে দেখার। কিন্তু তার পরে আর আমার কোনও দায়িত্ব নেই। এই বুথ থেকে সন্ত্রাসের কোনও খবর রিপোর্ট হয়নি। কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার করেন বিচারপতি সিনহা। বলেন, “প্রিসাইডিং অফিসারকে একজন আইনজীবী হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে বলুন তো, কী চলছে এটা? কীসের জন্য এত গোলমাল, গন্ডগোল? আসলে এটা একটা কাজ। জয় পেলে টাকা ইনকাম করার রাস্তা খুলে যাবে। তাই এত লড়াই। মামলার পাহাড় জমছে আদালতগুলোতে। কতগুলো ইলেকশন পিটিশনের সমাধান হয়েছে, তথ্য ঘেঁটে বলুন তো। প্র্যাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে বলুন।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

    এর পরেই আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “এখনও কিছু প্রমাণিত নয়। ইলেকশন পিটিশন করতে হবে। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।” প্রত্যুত্তরে বিচারপতি সিনহা বলেন, “ভোট গণনার সময় গোছা গোছা ব্যালট পেপার রাস্তায় পাওয়া গেল, এরপরও বলছেন কিছু প্রমাণিত নয়! এটা বাড়াবাড়ি না? আপনাদের বিডিও স্বীকার করছেন এগুলো আসল ব্যালট, তার পরেও কিছু প্রমাণিত নয় বলে বিষয়টা লঘু করার চেষ্টা করছেন!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

    Arvind Kejriwal: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডিগ্রি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তার জেরে কেজরিওয়াল ও সাংসদ আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় ২৬ জুলাই ওই দুই আপ নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিল গুজরাটের একটি আদালত। এই মামালায় আজ, ১৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানান, দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি চলছে। তাই হাজির থাকতে পারলেন না কেজরিওয়াল। এর পরেই বিচারক তাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন ২৬ জুলাই।

    কী জানিয়েছিল গুজরাট হাইকোর্ট? 

    কিছু দিন আগেই গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছিল প্রধান নরেন্দ্র মোদির কোনও কলেজের ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করতে সরব হওয়ায় কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়। পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল ওই দুই আপ নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। রেজিস্ট্রারের দাবি, গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের পর কেজরিওয়াল ও সঞ্জয় যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ও ট্যুইটারে পোস্ট করেছিলেন, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানি হয়েছে। সেই মামলায়ই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাটের আদালত।

    প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা 

    প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় (Arvind Kejriwal) থেকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। এহেন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছিলেন কেজরিওয়াল। তার পরেই চিফ ইনফরমেশন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    মামলাকারীর পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি ছিল, “একজন ডক্টরেট ও একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে গণতন্ত্রে কোনও বিভাজন করা হয় না। এ ক্ষেত্রে জনগণের কোনও স্বার্থও জড়িত নয়। পরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতুহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Elections 2023: “আক্রান্তদের অপরাধ, তাঁরা মোদিকে ভালবাসেন”, ‘শান্তিকক্ষ’ থেকে বেরিয়ে বললেন রবিশঙ্কর

    Panchayat Elections 2023: “আক্রান্তদের অপরাধ, তাঁরা মোদিকে ভালবাসেন”, ‘শান্তিকক্ষ’ থেকে বেরিয়ে বললেন রবিশঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Elections 2023) ঘিরে যাতে অশান্তি না হয়, সেজন্য রাজভবনে ‘শান্তিকক্ষ’ খুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে পৌঁছলেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান বিএসএফের স্পেশাল ডিজি পর্যায়ের এক আধিকারিকও।

    রাজভবনে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    রাজ্যে নির্বাচনোত্তর হিংসা খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বুধবার ওই দলের সদস্যরা পৌঁছান এ রাজ্যে। সেদিন ঘুরে দেখেন উত্তর ২৪ পরগনা। বৃহস্পতিবার যান রাজভবনে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন (Panchayat Elections 2023), আমরা বুধবার সন্ত্রাসের শিকার কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। আশ্চর্য হয়ে দেখেছি, ১২-১৩ বছরের শিশুও হামলার শিকার হয়েছে। মিনাখাঁর রাজমিস্ত্রি শান্তনু পাত্রের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তামিলনাড়ুতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করা শান্তনু তাঁর বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগিয়েছিলেন। সেই অপরাধে তাঁর বাড়ি তছনছ করা হয়েছে।

    দুর্ভাগ্যের বিষয়

    প্রাক্তন আইনমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে আবেদন করেছি, সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, যেখানে হামলা হয়েছে, সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক। প্রয়োজন মনে হলে আপনি সেই সব জায়গা পরিদর্শন করুন। কোথাও তো বিচার হওয়া উচিত। মমতার রাজ্যে সুবিচারের আবেদন জানানোর সুযোগও শেষ হয়ে গিয়েছে।

    পুলিশ আক্রান্তদের সুবিচার দিতে চায় না, প্রশাসন শোনে না। এরা সবাই ওঁর সরকারের অপরাধমূলক আচরণের শামিল হয়ে হয়ে পড়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের।

    আরও পড়ুুন: রাজভবনে জমা সব হিংসার অভিযোগ পাঠাতে হবে হাইকোর্টে, নির্দেশ রাজ্যপালের

    রবিশঙ্কর (Panchayat Elections 2023) বলেন, যেখানে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ চলছে, সেখানেও পুলিশ পদক্ষেপ করছে না। আমরা এটা রাজ্যপালকে জানিয়েছি। রাজ্যপাল কী করবেন, সেটা আমি বলতে পারব না। কিন্তু আমরা এখানকার মানুষের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, আমরা ভোট-হিংসার যন্ত্রণাদায়ক ছবি দেখেছি। যাঁদের ওপর হামলা হয়েছে, তাঁদের বাড়িতে গিয়েছি। আক্রান্তদের একটাই অপরাধ, তাঁরা নরেন্দ্র মোদিকে ভালবাসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মোদি জমানার কথা”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মোদি জমানার কথা”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যখন দারিদ্র দূরীকরণ ও কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন নিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে মোদি সরকার জমানার কথা।” বুধবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন নাবার্ডের (NABARD) ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই তিনি মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    স্বনির্ভর হচ্ছে গ্রাম

    শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেবল শহর নয়, গ্রামগুলোও আজ স্বনির্ভর হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতির আত্মা যে কৃষি, সেই কৃষি ক্ষেত্রেও দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।” তিনি (Amit Shah) বলেন, “কৃষি-অর্থনীতিতে কো-অপারেটিভ ক্ষেত্রগুলোকে এমনভাবে সংযোগ করা হয়েছে যে, সেগুলোকে আলাদা করা যাবে না। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা পালন করছে নাবার্ড। সেই জন্যই আজ গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন। বিশেষত মা-বোনেরা স্বনির্ভর হচ্ছেন। সমাজে তাঁরা শ্রদ্ধাও অর্জন করছেন।”

    নাবার্ডের অবদান 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারতের ৬৫ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। নাবার্ড ছাড়া তাঁদের কথা ভাবাই যায় না। গত চার দশক ধরে গ্রামীণ অর্থনীতি, পরিকাঠামো, কৃষি, কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠান এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেরুদণ্ডই হল নাবার্ড।” মূলধন গঠন এবং জমার ক্ষেত্রে গত ৪২ বছর ধরে নাবার্ড বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। শাহের দাবি, নাবার্ডের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৮ লক্ষ কোটি টাকা গিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের একাধিক শহরে বিস্ফোরণের ছক! চার সন্ত্রাসবাদীকে কারাদণ্ড দিল এনআইএ-র আদালত

    মন্ত্রী (Amit Shah) আরও জানান, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত গ্রামীণ অর্থনীতিতে ২০ লক্ষ কোটি টাকা রিফাইনান্স করেছে নাবার্ড। বৃদ্ধির নিরিখে যার পরিমাণ ১৪ শতাংশ। তিনি বলেন, “এই প্রাপ্তি ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি এবং তার বিকাশ কল্পনাই করা যেত না। তাই আমাদের এমন লক্ষ্য তৈরি করা উচিত, যাতে করে মানুষ কাজ করতে উৎসাহিত হন, এবং অন্যকে কাজ করতে উৎসাহিত করেন।” শাহ জানান, ১৯৮২ সালে কৃষি অর্থনীতিতে স্বল্প মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ৮৯৬ কোটি টাকা। আর আজ নাবার্ড নিয়েছে ১.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা। ওই বছর কৃষিক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। নাবার্ডের মাধ্যমে আজ সেটাই বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জা দিয়েছেন।” বুধবার কলকাতায় এসে এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন সাংসদ বিজেপির (BJP) রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। নির্বাচনোত্তর হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসার কথা ছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের। এই টিম গড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই টিমেই রয়েছেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর।

    “আমার রাজ্যেও শান্তিতে ভোট হয়”

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাব। আমি বিহার থেকে এসেছি। যেখানে এ ধরনের ঘটনা (নির্বাচনোত্তর হিংসা) অতীতে ঘটত। আমার রাজ্যেও এখন শান্তিতে নির্বাচন হয়। আমি শুনেছি, ভোট গণনার দিনও একটা খুন হয়েছে। আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন।” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “মমতাজিকে আমি আজ মনে করিয়ে দিতে চাই বাংলার রাজনীতিতে তিনিই পরিবর্তন এনেছিলেন। বাম জমানার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু বামেদের থেকেও নোংরা রাজনীতিতে আপনি নামলেন কী করে? কেন আপনার রাজনীতি এভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ঠুর হয়ে গেল? আপনি তাহলে কী করলেন? নির্বাচনের প্রতি মুহূর্তে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। কড়া কড়া পর্যবেক্ষণ দিতে হয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বাংলার ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।”

    “গণনায়ও খুন?”

    সাংসদ বলেন, “গণনায়ও খুন? জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি…কেন বাংলায় এমনটা হচ্ছে? গণনার দিনও খুন হচ্ছে!” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা সোজা প্রশ্ন করতে চাই যে যদি আপনি সন্ত্রাস না করতেন তাহলে কতগুলি আসন জিততে পারতেন? রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা না থাকলে আপনি কতগুলি আসন পেতে পারতেন?”

    রবিশঙ্কর (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “কেন আপনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ দেখাতে পারছেন না? আপনি যে লজ্জিত! আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমরা আগামিকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তরবঙ্গে যাব। সব জায়গায়ই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে, থাকবেও। গণতন্ত্রের ওপর এই আক্রমণের জবাব দেবে বিজেপি।”

    আরও পড়ুুন: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ২ জনের! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share