Author: Krishnendu Bakshi

  • Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জা দিয়েছেন।” বুধবার কলকাতায় এসে এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন সাংসদ বিজেপির (BJP) রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। নির্বাচনোত্তর হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসার কথা ছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের। এই টিম গড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই টিমেই রয়েছেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর।

    “আমার রাজ্যেও শান্তিতে ভোট হয়”

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাব। আমি বিহার থেকে এসেছি। যেখানে এ ধরনের ঘটনা (নির্বাচনোত্তর হিংসা) অতীতে ঘটত। আমার রাজ্যেও এখন শান্তিতে নির্বাচন হয়। আমি শুনেছি, ভোট গণনার দিনও একটা খুন হয়েছে। আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন।” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “মমতাজিকে আমি আজ মনে করিয়ে দিতে চাই বাংলার রাজনীতিতে তিনিই পরিবর্তন এনেছিলেন। বাম জমানার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু বামেদের থেকেও নোংরা রাজনীতিতে আপনি নামলেন কী করে? কেন আপনার রাজনীতি এভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ঠুর হয়ে গেল? আপনি তাহলে কী করলেন? নির্বাচনের প্রতি মুহূর্তে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। কড়া কড়া পর্যবেক্ষণ দিতে হয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বাংলার ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।”

    “গণনায়ও খুন?”

    সাংসদ বলেন, “গণনায়ও খুন? জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি…কেন বাংলায় এমনটা হচ্ছে? গণনার দিনও খুন হচ্ছে!” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা সোজা প্রশ্ন করতে চাই যে যদি আপনি সন্ত্রাস না করতেন তাহলে কতগুলি আসন জিততে পারতেন? রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা না থাকলে আপনি কতগুলি আসন পেতে পারতেন?”

    রবিশঙ্কর (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “কেন আপনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ দেখাতে পারছেন না? আপনি যে লজ্জিত! আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমরা আগামিকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তরবঙ্গে যাব। সব জায়গায়ই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে, থাকবেও। গণতন্ত্রের ওপর এই আক্রমণের জবাব দেবে বিজেপি।”

    আরও পড়ুুন: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ২ জনের! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat election 2023: রাস্তা থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে ছাপ মারা বৈধ ব্যালট, বিডিওকে তলব হাইকোর্টের

    Panchayat election 2023: রাস্তা থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে ছাপ মারা বৈধ ব্যালট, বিডিওকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election 2023) ব্যালট পেপার গণনা হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার রাস্তা থেকে উদ্ধার হল শয়ে শয়ে বৈধ ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারগুলিতে সিপিএমের প্রতীকে ভোট দেওয়া ছিল। রাস্তার নর্দমার পাশ থেকে সেগুলি কুড়িয়ে নিয়ে সোজা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন হুগলির বাম নেতারা।

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    মামলা উঠল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকার কারণ জানতে চেয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার বেলায় ২টোয় আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারকেও। ওই বুথের ভোটের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও নামের তালিকা চেয়েছেন বিচারপতি। গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও ফুটেজও আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

    মামলাকারীর অভিযোগ

    মামলাকারীর (Panchayat election 2023) অভিযোগ, মঙ্গলবার ভোট গণনা চলাকালীন গণনাকেন্দ্রের বাইরে নর্দমার ধারে রাস্তায় পড়েছিল শয়ে শয়ে ব্যালট পেপার। তাতে স্বাক্ষর ছিল প্রিসাইডিং অফিসারেরও। তাঁর দাবি, সিপিএমের পক্ষে ভোট পড়েছিল বলেই ব্যালট পেপারগুলি রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    আরও পড়ুুন: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। ভোট লুঠ, ব্যালট বাক্স জলে ফেলে দেওয়া, বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়া, অবাধে দেদার ছাপ্পা দেওয়া, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি- এসবেরই ছবি সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে দেখেছেন রাজ্যবাসী।  গণনার দিনও যে অনিয়ম হবে, সে আশঙ্কা আগেই করেছিলেন বিরোধীরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ভোট গণনার দিনই বলেছিলেন, সিপিএমকে হারাতে জোর করে ব্যালটে কারচুপি করছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার (Panchayat election 2023) ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি হার বাঁচাতে সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের টেবিল থেকে ব্যালটের বান্ডিল থেকে কয়েকটি খেয়ে নেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহাদেব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফান্সে যাচ্ছেন মোদি, ফেরার পথে নামবেন আবুধাবিতে

    PM Modi: বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফান্সে যাচ্ছেন মোদি, ফেরার পথে নামবেন আবুধাবিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মাসেই সেরে এসেছেন ঐতিহাসিক আমেরিকা সফর। এবার ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যাচ্ছেন ইউরোপের একটি দেশ ফ্রান্স (France) সফরে। দু দিনের এই সফরের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই ধারণা অভিজ্ঞমহলের। ফ্রান্সে বাস্তিল দিবস পালিত হবে। এই অনুষ্ঠানেই সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের তরফে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবে আইএএফ এয়ারক্র্যাফ্টও।

    বাস্তিল দিবস

    ফরাসিদের চেতনায় ফ্রান্সের জাতীয় দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিই ফ্রান্সে বাস্তিল দিবস হিসেবে পালিত হয়। ফরাসি বিপ্লবের সময় ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটেছিল। তার পর থেকে দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন ফরাসিরা। বাস্তিল দিবসের দিন বাস্তিল দিবস প্যারেড হয়। অনুষ্ঠানটি অনেকটা আমাদের দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের মতো। বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতাদের অতিথির সম্মান দেওয়া হয়। তবে এই সম্মান সবাইকে দেওয়া হয় না। ২০১৭ সালে শেষবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। বিদেশি এয়ারক্র্যাফ্টের অংশ গ্রহণও দৈবাৎ হয়।

    ভারত-ফ্রান্স সম্পর্ক

    চলতি বছর ভারত-ফ্রান্স স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের ২৫ বছর পূর্তি। সেদিক থেকেও প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সফরের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া, ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কও বেশ ভাল। মোদির এই সফরে মাক্রঁর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। ব্যক্তিগত ডিনারও হবে। হবে সিইওদের বৈঠকও। বাস্তিল দিবসের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে স্টেট বাঙ্কোয়েটের আয়োজনও করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও মোদির সঙ্গে মত বিনিময় হবে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নের। সেনেটের প্রেসিডেন্ট এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা হবে মোদির।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী অনন্ত মহারাজ, কে তিনি জানেন?

    ফ্রান্স থেকে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নামবেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবুধাবিতে। এখানে তিনি প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ অল নাহেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ দেশের আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত বছর জার্মানিতে জি-৭ সম্মেলনে সেরে ফেরার পথেও একবার নেমেছিলেন আবুধাবিতে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দুই দেশ কীভাবে কাজ করবে, সেই পথই খোঁজার চেষ্টা করবে দুই দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: নাগাড়ে বৃষ্টি, বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, মৃতের সংখ্যা শতাধিক

    Heavy Rain: নাগাড়ে বৃষ্টি, বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, মৃতের সংখ্যা শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত (India)। টানা চার দিন ধরে বৃষ্টি চলছে হিমাচল প্রদেশে (Heavy Rain)। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডে। শোচনীয় অবস্থা হিমাচল প্রদেশে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে মৃতের সংখ্যা ৮০। ধস, হড়পা বান, জলের তোড়ে জাতীয় সড়ক এবং সেতুও ভেসে গিয়েছে এ রাজ্যে।

    শোচনীয় অবস্থা হিমাচলের

    গোটা হিমাচলের মধ্যে সব চেয়ে করুণ দশা উনা, মান্ডি, হামিরপুর, বিলাসপুর, চম্বা, কাংড়া, কুলু, সিমমুর, কিন্নৌর এবং শিমলার। ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ইরাবতী, শতদ্রু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা নদী। রাজ্যের অন্য (Heavy Rain) নদীগুলির জলও বইছে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পরে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে সোলান উপত্যকায়। কেবল রবিবারই সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৫ মিলিমিটার। রাজ্যের ২৯টি জায়গায় হয়েছে হড়পা বান। ধস নেমেছে ৪১টি জায়গায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হিমাচলের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন ৩০০ পর্যটক।

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস

    দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, হিমাচল প্রদেশে সামান্য কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বিহার, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশে। এদিকে, পঞ্জাবের সাঙ্গরুরে ঘর্ঘরা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আট জনের। হরিয়ানায় মৃতের সংখ্যা ৭। হিমাচল প্রদেশের (Heavy Rain) পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ধস নেমেছে উত্তরাখণ্ডের বহু জায়গায়। আজ, বুধবার নৈনিতাল, চম্পাবৎ, পৌড়ি এবং উধম সিংহ নগরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। দুর্যোগের জেরে ফের স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ যাত্রা। প্রবল ধারাপাতের জেরে বহু দর্শনার্থী আটকে পড়েছন সোনপ্রয়াগ ও গৌরীকুণ্ডে।

    আরও পড়ুুন: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, চলল গুলি, মৃত তিন আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    শোচনীয় অবস্থা দিল্লিরও। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনা নদীর জল। হরিয়ানার হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় প্লাবিত হয়েছে দিল্লির নিচু এলাকাগুলি। বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির জেরে এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। বন্যা পরিস্থিতি ও যমুনার জলস্তরের ওপর নজরদারি করতে ১৬টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ বিলির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৫০টি মোটরবোট। প্রয়োজনীয় ওষুষ সহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডুবুরি এবং মেডিক্যাল টিম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে’, অভিযোগ লালপুরার

    UCC: ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে’, অভিযোগ লালপুরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে’, অভিযোগ জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন ইকবাল সিং লালপুরার। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লালপুরা বলেন, “সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে। এর অর্থ হল, আমাদের পূর্ব পুরুষরা এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। সুতরাং, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতারই অংশ।”

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রয়োজনীয়তা

    তিনি বলেন, “এটা আরোপিত নয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক বিচারক দেশে এটা লাগু করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন সেই ১৯৯০ সালেই। অনেক বিচারের ক্ষেত্রেই অনুভব করা গিয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার প্রয়োজনীয়তা।” লালপুরা বলেন, “ইংল্যান্ডেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) রয়েছে। সেখানে কি তার পরেও শিখ এবং মুসলমানদের আলাদা অস্তিত্ব নেই? মানুষকে কনফিউজ করে দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকায়ও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। ওই দেশগুলিতে যদি ধর্ম অ্যাডজাস্ট করতে পারে, তাহলে ভারতে নয় কেন?”

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির অর্থ

    প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির অর্থ হল ধর্ম, বর্ণ বা জাতি নির্বিশেষে ভারতে বসবাসকারী প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি অভিন্ন আইন। অর্থাৎ, প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের জন্য একই আইন। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলে বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক ও সম্পত্তি ভাগের মতো বিষয়ে দেশের সব নাগরিকের জন্য এক বিধি থাকবে।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) লাগুর বিষয়ে ইতিমধ্যেই ২২তম ল’ কমিশন  দেশবাসী ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের মতামত জানতে চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে সওয়াল করেছেন। লালপুরা জানান, এর আগেও একটি ল’ কমিশন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করেছিল। তিনি বলেন, “আমি প্রত্যেককে বলব, আপনাদের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে ভাল করে জানা উচিত। তার পরেই আপনারা আপনাদের মতামত কমিশনকে পাঠান।” প্রসঙ্গত, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বসতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনেই সংসদে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ হতে পারে বলে ধারণা অনেকেরই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, জানুন কবে?

    Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, জানুন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে দিয়ে তার জায়গা দখল করেছে ভারত (Indian Economy)। বর্তমানে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ নরেন্দ্র মোদির ভারত। তবে এই পঞ্চম স্থানেও বেশিদিন থাকবে না মহাত্মা গান্ধীর দেশ। তালিকার আরও ওপরে উঠে গিয়ে নিঃশ্বাস ফেলবে আমেরিকার ঘাড়ে। কেবল নিঃশ্বাস ফেলাই নয়, আমেরিকাকে হারিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত। জাপান, জার্মানি এবং আমেরিকাকে হারিয়ে ভারত ওই জায়গা দখল করবে ২০৭৫ সালের মধ্যে।

    তালিকার দ্বিতীয় স্থানে

    একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করেছে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাচ। জনসংখ্যা, নয়া আবিষ্কার, প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চ অর্থনৈতিক বিনিয়োগ এবং ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের বৃদ্ধির কারণে ভারতের জায়গা হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির (Indian Economy) তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী দু দশকের পর আঞ্চলিক অর্থনীতিতে ভারতের নির্ভরতার হার বেশ কমে যাবে।

    পরিকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্ব সরকারের

    ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাচের রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার পরিকাঠামো তৈরিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বিশেষত সড়ক এবং রেলওয়ে তৈরিকে। গোল্ডম্যান স্যাচ বিশ্বাস করে, এটাই ভারতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ। যেহেতু ভারতে এই মুহূর্তে শ্রমের বাজার ভাল, তাই তাকে কাজে লাগিয়ে বাড়ানো যেতে পারে উৎপাদনের হার। সেই কারণেই বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে বিনিয়োগের এটা একটা বড় সুযোগ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে যদি শ্রমশক্তির হার না বাড়ে, তাহলেই ঝুঁকি (Indian Economy)। কিন্তু যেহেতু তা নেই, তাই এখন কোনও সমস্যাও নেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ওয়ার্কফোর্স উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে গত ১৫ বছরে।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    গোল্ডম্যান স্যাচস রিসার্চস ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, ভারতের সেভিংস রেট ক্রমশই বাড়ছে। কমছে ডিপেডেন্সি রেসিও। আয়ের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনৈতিক সেক্টরগুলির বিকাশও হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় বেশ নীচের দিকে ছিল ভারত। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কার্যত তারপর থেকেই শক্তিশালী হচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি। যার জেরে ব্রিটেনকে হারিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করেছে ভারত। যে কারণে ইদানিং ভারতকে সমীহ করছে চলছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শনির দশা! গণনার দিন আঁধারে ডুবল কমিশনের দফতর, বিভ্রাট ওয়েবসাইটেও

    Panchayat Election 2023: শনির দশা! গণনার দিন আঁধারে ডুবল কমিশনের দফতর, বিভ্রাট ওয়েবসাইটেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ভোট গণনা। চরম ব্যস্ততা দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। স্বাভাবিক। তবে ছন্দ পতন ঘটল ৩টে ১৮ মিনিট নাগাদ। ঝুপ করে অন্ধকার নেমে এল দফতরে। বন্ধ হয়ে গেল কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ।

    লোডশেডিং

    বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র থেকে যে সব তথ্য আসছিল, লোডশেডিংয়ের জেরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অসহায়ভাবে বসে থাকতে দেখা যায় দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের। বিদ্যুৎ আসে ১৫ মিনিট পরে। কাজকর্ম শুরু হতে হতে লাগে আরও কিছুটা সময়। কাজকর্ম স্বাভাবিক হয় ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট কাটল বটে, তবে এদিন সকাল থেকেই সমস্যা দেখা দিচ্ছিল রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের (Panchayat Election 2023) ওয়েবসাইটে।

    ওয়েবসাইট বিভ্রাট

    সকাল থেকে খানিকক্ষণ ধীরে ধীরে ওয়েবসাইট খুললেও, পরের দিকে আর দীর্ঘক্ষণ কমিশনের ওয়েবসাইট খুলছিল না। তাই যাঁরা এই ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচনী ফলের আপডেট পেতে চাইছিলেন, তাঁরা বারংবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, “আমরা তো সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়েছিলাম। সেন্ট্রাল ফোর্স থাকলে ভাল হত।” স্পর্শকাতর বুথের তালিকা বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও সবই গল্প।”

    আরও পড়ুুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    রাজীব বলেন, “সাধারণ মানুষ ও কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আমরা কাজ করেছি। প্রথমে (Panchayat Election 2023) আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশ সংশোধন করে বলা হয়, যে কটি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।”

    প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল গণনা। এখনও গণনা চলছে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে। গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা শেষ হলে হবে পঞ্চায়েত সমিতির ভোট গণনা। সব শেষে হবে জেলা পরিষদের গণনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Espionage: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    Espionage: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানী গ্রেফতার হওয়ার খবর। যদিও মহারাষ্ট্রের পুণেতে অবস্থিত ওই অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ মে। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Espionage) করার অভিযোগে মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস গ্রেফতার করেছিল বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকারকে।

    প্রেমের ফাঁদ

    সুন্দরী মহিলার ছদ্মবেশে প্রেমের ফাঁদ পেতেছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। সেই ফাঁদেই পা দিয়ে প্রদীপ তথ্য পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই হয়েছেন গ্রেফতার। এই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Espionage) অভিযোগ উঠল ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। নবীন পাল নামের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশ।

    মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নবীনের

    নবীনের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তাতে দাবি করা হয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ভারতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ নথি করাচিতে এক মহিলার কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। তথ্য পাঠানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সমাজমাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় নবীনের। তার পর থেকে ধীরে ধীরে ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বিদেশমন্ত্রকের ওই কর্মীর। হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথাবার্তা হত তাঁদের। এভাবেই পাচার হয়েছে বহু তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, যে মহিলার (Espionage) নম্বর উদ্ধার হয়েছে, সেটি উত্তরপ্রদেশের বরেলির। কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস পরীক্ষা করতেই দেখা যায় নম্বরটি বরেলির নয়, পাকিস্তানের করাচির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাথর ছোড়ার ঘটনা অতীত, ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর’’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    পুলিশ জানিয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের ওই কর্মীর মোবাইল থেকে বিদেশমন্ত্রকের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জি-২০ সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যও মিলেছে। কলকাতার এক মহিলারও খোঁজ নবীনের মোবাইল থেকে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অঞ্জনি নামের ওই মহিলা নবীনের অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠিয়েছেন বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। টাকার পরিমাণ প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। মাস দুয়েক আগে নবীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। এই অঞ্জলি পাকিস্তান কিংবা আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত বলেই অনুমান পুলিশের। ডিসিপি (রুরাল) শুভম প্যাটেল বলেন, ক্রসিং রিপাবলিক থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Espionage) দায়ের হয়েছে। এদিনই জেলে পাঠানো হবে তাঁকে। বিদেশমন্ত্রককেও ঘটনাটির কথা জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “আগামী দিনেও মৃত্যু হবে, সেটাও একতরফা হবে না”, বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh: “আগামী দিনেও মৃত্যু হবে, সেটাও একতরফা হবে না”, বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষ প্রতিরোধ করেছে বলে ওদের বডি পড়ে গেছে। আগামী দিনেও মৃত্যু হবে। এবং সেটাও একতরফা হবে না।” মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) জাতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন সকালে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিলীপ।

    “তৃণমূলকে ভোট দিয়ে কী ভুল করেছি”

    তিনি বলেন, “সারা দেশের লোক এখানে আসছে, গণতন্ত্র বেঁচে আছে কিনা দেখতে। আর এরা যাচ্ছে মণিপুর। এসব চালাকি করে বেশি দিন চলে না। এরা দিল্লি যাবে, বিহার যাবে, উত্তরপ্রদেশ যাবে, আর এ রাজ্যে পাড়ায় পাড়ায় খুন খারাপি চলবে। রোজ মৃত্যু হবে। লোক ত্রাহি ত্রাহি করবে। রাজ্যপালকে জেলায় জেলায় ঘুরতে হবে। তার পরেও এরা নির্লজ্জের মতো অন্য রাজ্যে যাবে।” দিলীপ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের লোকেরাও আলোর অপেক্ষায় রয়েছেন। কারণ পুরোটাই তো অন্ধকার। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।” মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “আসলে প্রশাসনের ওপর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। তাই এই পরিণতি। মানুষ বুঝতে পারছে, তৃণমূলকে ভোট দিয়ে কী ভুল করেছি।”

    উপদ্রুত

    বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “দিনহাটা, সিতাই, শীতলখুচি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই জেলাগুলি সারা বছর উপদ্রুত। এখন দুষ্কৃতীদের পুরো রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণনায়ও লুঠ হবে। জেতার পরেও বিজেপিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। বিডিওকে হুমকি দেওয়া হবে। রেজাল্ট চেঞ্জ করার চেষ্টা করা হবে।” দিলীপ বলেন, “যাঁরা আজ লজ্জা পাচ্ছেন, তাঁরাই এক সময় সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে সাপোর্ট করেছিলেন। আগে তাঁরা স্বীকার করুন, তাঁরা ভুল করেছেন।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “কটা আসন পাব জানি না। তবে পাব। জেলা পরিষদ। আমাদের এলাকায়ও তৃণমূল গোলমাল পাকানোর অনেক চেষ্টা করেছিল। এই যে ওরা বলছে, ওদের লোক মারা গিয়েছে, ওদের লোক কেউ মারা যায়নি। গুন্ডা ও সমাজবিরোধী, যারা টাকা নিয়ে ভোট করায়, তারা মারা গেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “মানুষ প্রতিরোধ করেছে বলে ওদের বডি পড়ে গেছে। আগামী দিনেও মৃত্যু হবে। এবং সেটাও একতরফা হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Rafale: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    Rafale: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল (Rafale) যুদ্ধ বিমান কেনার পরিকল্পনা করছে ভারত। স্কোরপেন শ্রেণির তিনটি সাবমেরিনও কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। এসবই কেনা হবে ফ্রান্স থেকে। এই যুদ্ধ বিমান এবং সাবমেরিন বাহিনীতে যুক্ত হলে ভারত আরও শক্তিশালী হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছে বাহিনীর তরফে। চলতি সপ্তাহে ফ্রান্স সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই সময়ই এ ব্যাপারে ঘোষণা করা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর। প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতীয় নৌবাহিনী ২২টি সিঙ্গল সিটেড রাফাল মেরিন এয়ারক্র্যফ্ট পাবে। এর সঙ্গেই পাবে ফোর ট্রেনার একটি এয়ারক্র্যাফ্টও।

    ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট

    নৌবাহিনী এই ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট এবং সাবমেরিনগুলি কেনার ব্যাপারে জোরাজুরি করছে। কারণ দেশের নিরাপত্তার সামনে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে বলে দাবি তাদের। এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও বিক্রান্ত ইতিমধ্যেই মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমানগুলিকে অপারেট করছে। অপারেশনের জন্য ওই দুই ক্যারিয়ারের প্রয়োজন রাফালের।

    প্রজেক্ট ৭৫

    প্রজেক্ট (PM Modi) ৭৫-এর অংশ হিসেবেই সাবমেরিনগুলি পেতে চাইছে নৌবাহিনী। এই প্রকল্পেই মুম্বইয়ে মেজগাঁও ডকইয়ার্ড লিমিটেড গড়তে চাইছে তারা। এই রাফাল যুদ্ধ বিমান ও সাবমেরিনগুলি পেতে ভারতকে দিতে হতে পারে ৯০ হাজার কোটি টাকা। তবে আলোচনার পরেই জানা যাবে ঠিক কত দিতে হবে ফ্রান্সকে। চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পরেই এ ব্যাপারে জানা যাবে। তবে ভারত চাইছে ফ্রান্স কিছু দাম কম নিক। এর পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়ার ওপরও জোর দিতে চাইছে নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে বিজেপির ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি

    জানা গিয়েছে, ভারত এবং ফ্রান্সের মধ্যে রাফাল এম ডিল হবে আলোচনার পর। এর আগে ৩৬টি রাফাল কেনার সময় যে ধরনের ডিল হয়েছিল, সেই ধরনের ডিল এবারও হবে। এই রাফাল ও সাবমেরিন কেনার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। প্রস্তাব (PM Modi) পাঠানো হয়েছে ডিফেন্স অ্যাক্যুইজিশন কাউন্সিলের কাছে। সেখানে ছাড়পত্র মিললেই ঘোষণা করা হবে এ ব্যাপারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share