Author: Krishnendu Bakshi

  • Panchayat Election 2023: ঝরল রক্ত, পড়ল লাশ, সি-ভোটারের সমীক্ষায় তৃণমূলের সর্বনাশের ইঙ্গিত!

    Panchayat Election 2023: ঝরল রক্ত, পড়ল লাশ, সি-ভোটারের সমীক্ষায় তৃণমূলের সর্বনাশের ইঙ্গিত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসবে কান্নার রোল। আক্ষরিক অর্থেই শোকের আবহে শনিবার শেষ হল ১০ম পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। অকালে খালি হয়ে গেল রাজ্যের ১৫টি মায়ের কোল। গুলি-বোমা-বারুদের গন্ধে দিনভর ভারী হয়ে রইল রাজ্যের আষাঢ়ের আকাশ। ভোটারের লাল টকটকে রক্তের দাগ লেগে রইল রাজ্যেরই একটি বুথে। নির্বাচন কমিশন রইল ঠুঁটো। যার জেরে কোথাও হাতজোড় করে প্রাণ বাঁচানোর আর্তি জানাতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্মীকে।

    কাঁদছেন খোদ প্রিসাইডিং অফিসার!

    সংবাদ মাধ্যমের সামনে কাঁদতে দেখা গিয়েছে খোদ প্রিসাইডিং অফিসারকে। প্রশাসনকে ঠুঁটো করে কোথাও দেদার ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল। কোথাও আবার আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। ব্যালট লুঠ হওয়ার গুচ্ছ অভিযোগও (Panchayat Election 2023) এসেছে বিরোধীদের কাছ থেকে।

    শাসককে টক্কর বিরোধীদের!

    এহেন আবহেও রাজ্যের শাসক দলকে ভোটের ফলে টক্কর দিতে চলেছেন বিরোধীরা। অন্তত এবিপি আনন্দ সি-ভোটারের সমীক্ষা তা-ই বলছে। ওই সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। কোথাও আবার শাসককে টক্কর নিচ্ছে বাম-কংগ্রেস জোট। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, জেলা পরিষদের সম্ভাব্য চিত্র।

     

      জেলা জেলা পরিষদ মোট আসন টি এম সি বি জে পি  অন্যান্য
    কোচবিহার ৩৪ ১১-১৭   ১৮-২২ ০-১
    জলপাইগুড়ি ২৪ ১৬-২০ ৪-৮ ০-১
    আলিপুরদুয়ার ১৮ ৪-৮ ১০-১৪ ০-১
    উত্তর দিনাজপুর ২৬ ১৯-২৫ ০-৪ ০-৩
    দক্ষিণ দিনাজপুর ২১ ১১-১৫ ৬-১০ ০-১
    মালদহ ৪৩ ১৮-২৬ ৩-৭ ১৫-১৭
    মুর্শিদাবাদ ৭৮ ৩৯-৪৯ ০-৪ ২৬-৩৬
    নদীয়া ৫২ ৩০-৪০ ১২-১৮ ০-৪
    বীরভূম ৫২ ৩৪-৪৪ ৬-১২ ০-৫
    ১০ পশ্চিম বর্ধমান ১৮ ১১-১৫ ২-৬ ০-১
    ১১ পূর্ব বর্ধমান ৬৬ ৪৩-৫৩ ১১-১৭ ০-৫
    ১২ হুগলী ৫৩ ৩৬-৪৬ ৭-১৩ ০-৪
    ১৩ উত্তর ২৪ পরগণা ৬৬ ৪৪-৫৪ ৫-১১ ৬-১০
    ১৪ দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৮৫ ৫৯-৬৯ ১৪-২০ ১-৫
    ১৫ বাঁকুড়া ৫৬ ৩৭-৪৭ ৯-১৫ ০-৩
    ১৬ পুরুলিয়া ৪৫ ২২-৩২ ১০-১৬ ০-৪
    ১৭ পশ্চিম মেদিনীপুর ৬০ ৩১-৪১ ১৯-২৫ ০-৪
    ১৮ পূর্ব মেদিনীপুর ৭০ ৩৫-৪৫ ২৬-৩২ ০-২
    ১৯ ঝাড়গ্রাম ১৯ ১৩-১৭ ২-৬ ০-১
    ২০ হাওড়া ৪২ ২৭-৩৫ ৭-১১ ১-৩

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুচ্ছ অভিযোগ। উন্নয়নের বুলি যে নিছকই ফাঁকা আওয়াজ মাত্র, তাও স্পষ্ট। এসবের জেরে এবার ভোটের হাওয়া ছিল বিরোধীদের (Panchayat Election 2023) পালেই। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই কারণেই জনগণের মতের ওপর ভরসা করতে পারেনি শাসক। চালিয়েছে লুঠতরাজ, গুলি, বোমা। তা সত্ত্বেও জেলা পরিষদে যে ফল হতে চলেছে, তা তৃণমূলের পক্ষে অশনি সংকেত বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।  

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা, হিংসা, প্রতিবাদে ‘ঠুঁটো’ নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ISI: লাস্যময়ীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে মিসাইল গবেষণার তথ্য পাচার পাকিস্তানে! গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    ISI: লাস্যময়ীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে মিসাইল গবেষণার তথ্য পাচার পাকিস্তানে! গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বয়স ৬০ বছর। বিবাহিত। পাকিস্তানি এক লাস্যময়ীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) প্রতিরক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি চালান করার অভিযোগে মাস তিনেক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকরকে। এবার চার্জশিট পেশ হল তাঁর বিরুদ্ধে। পেশ করল মহারাষ্ট্র পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা। চার্জশিটে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ভয়েস ও ভিডিও কলের মাধ্যমে আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে প্রদীপের যোগাযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

    গ্রেফতার বিজ্ঞানী

    পুণের ডিআরডিও-র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন প্রদীপ। ৩ মে সরকারি গোপনীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এটিএসের দাবি, ১৯৮৮ সাল থেকে সমাজ মাধ্যমে সুন্দরী মহিলাদের ছবি দেখিয়ে ফাঁদে ফেলেছিল আইএসআইয়ের (ISI) এজেন্ট। চার্জশিটে বলা হয়েছে, আইএসআইয়ের ওই এজেন্ট বিভিন্ন নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলে। এভাবেই প্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে।

    জারা দাশগুপ্ত কে?

    ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির দুজন ব্যবহারকারীর নাম হল জারা দাশগুপ্ত ও জুহি অরোরা। সুন্দরী জারা নিজেকে ব্রিটেনবাসী সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়র বলে পরিচয় দিয়েছিল। অশালীন টেক্সট মেসেজ ও ভিডিও করে প্রদীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল সে। পরে জারা প্রদীপের কাছে জানতে চায়, অগ্নি ৬ মিসাইল লঞ্চারের পরীক্ষা সফল হয়েছিল কিনা। মেজেজ পাঠিয়ে প্রদীপ নাকি তাকে বলেছিলেন, বেব, ওটা আমার ডিজাইন। সফল না হয়ে যায় না। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইএসআইয়ের ওই এজেন্টের সঙ্গে কথোপকথন হয় প্রদীপের। সেই সময় মিটিওর মিসাইল, ব্রহ্মোস, রাফাল, আকাশ ও অস্ত্র মিশাইল নিয়ে তার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতেন প্রদীপ।

    আরও পড়ুুন: ভোট শুরু ৭টায়, পড়ে গিয়েছে লাশ, কমিশনার দফতরে এলেন ১০টায়!

    ডিআরডিও-র ড্রোন প্রোগ্রাম নিয়েও জারার কাছে তথ্য ফাঁস করেছিলেন প্রদীপ। প্রদীপের গতিবিধিতে (ISI) সন্দেহ হওয়ায় মহারাষ্ট্র এটিএসের দ্বারস্থ হয় ডিআরডিও কর্তৃপক্ষ। মে মাসে গ্রেফতার করা হয় প্রেমের ফাঁদে পড়া ওই বিজ্ঞানীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

  • Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন হবে ৬১ হাজারেরও বেশি আসনে। শাসক দল তৃণমূলকে বিনা যুদ্ধে সুচ্যগ্র মেদিনীও ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। তবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এবার তৃণমূল আর একতরফা খেলতে পারবে না বলেই দাবি বিরোধীদের। রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে যে সমানে সমানে টক্কর হবে, তা মেনে নিয়েছে শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষই। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে জেলা পরিষদে তৃণমূলকে যথেষ্ট বেগ দেবে বিজেপি। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুরেও তৃণমূলকে টক্কর দেবেন বিরোধীরা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিস্তরে বিজেপি জিতেছিল ৬ হাজারের কাছাকাছি আসনে। এবার তাদের লক্ষ্য ১৫ হাজার আসনে জয়। বাম-কংগ্রেস জোটের আশা, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ায় ভাল ফল করবে তারা।

    জেলা পরিষদে লড়াই

    রাজ্যে জেলা (Panchayat Election 2023) পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৯২৮টি। শাসক দল ১৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে ৯১২টিতে। এর সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি লড়ছে ৮৯৭টি আসনে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৬৪৪টি আসনে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৮২৫টি। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতেছিল ২০৩টি আসনে। তবে এবার আর তা হচ্ছে না। তাই খেলা হবে! বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার জেরেই রাজ্যবাসী উচিত শিক্ষা দেবে শাসক দলকে।

    ভোট চায় জনতা

    এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় (Panchayat Election 2023) গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২৯০টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬৫টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ৭০টি আসনে লড়াই হচ্ছে। এই জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬২টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ২টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না ভোটাররা। তাঁদের বক্তব্য, লড়াই হোক। সেখানেই নির্ধারিত হোক জয়- পরাজয়। তাঁদের মতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে আদতে বঞ্চিত করা হয় ভোটারদেরই। তাই প্রতিটি আসনেই লড়াই হওয়া উচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভোটারেরই প্রশ্ন, উন্নয়ন করে থাকলে নির্বাচনে কেন অনীহা শাসকের? কেন ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখতে হবে বিরোধীদের?

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: মিড-ডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ভোটকর্মীদের ভাতা! রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Panchayat Election 2023: মিড-ডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ভোটকর্মীদের ভাতা! রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ভোটকর্মীদের ভাতা (Panchayat Election 2023) দেওয়ার অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমানে। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    মিড-ডে মিলের টাকা

    সম্প্রতি কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, মিড-ডে মিলের টাকা দেওয়া হয়েছে ভাতা হিসেবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, পশ্চিম বর্ধমানে মিড-ডে মিল বা পিএম পোষণ প্রকল্পে বরাদ্দ করা টাকা খরচ হয়েছে ভোটকর্মীদের ভাতা প্রদানে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যেটা হয়েছে, তা অন্যায়। রাজ্য সরকারের টাকা না থাকলে অন্য ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু মিড-ডে মিলের টাকা কেন?

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা রাজ্যের?

    ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি চাপা দিতে নয়া বিজ্ঞপ্তি (Panchayat Election 2023) জারি হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তিনি বলেন, তড়িঘড়ি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে প্রথমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি মিড-ডে মিলের নামে খোলা হলেও, এখন তা মিসলেনিয়াস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা কি হতে পারে?  রাজ্য যদি এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট না দেয়, সে ক্ষেত্রে ফের রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, মিড-ডে মিলের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫৪০ টাকা পাঠানো হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এমনটা (Panchayat Election 2023) হয়েছে। যৌথমঞ্চের সরকারি কর্মীরা বলেন, এই টাকা শিশুদের খাবারের টাকা। ভাতার টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বগটুই গণহত্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়ও মিড-ডি মিলের টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন-পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই মতো রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে রাজ্যে। শুক্রবার বিশেষ বিমানে লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই বাহিনী নামে পানাগড়ে। সেখান থেকেই তাঁদের মোতায়েন করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

    লেহ্ থেকে এল বাহিনী

    যেহেতু নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতে আর মাত্র ঘণ্টা কয়েক বাকি, তাই চাহিদা মতো বাহিনী মিলবে কিনা, তা নিয়ে ছিল সংশয়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায়, লাদাখের লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলায়। মোট পাঁচ কোম্পানি ও দুই প্লাটুন বাহিনী আসছে পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে।

    সব বাহিনী আসবে এদিনই

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। তার পর আদালতের গুঁতোয় সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে যেহেতু একেবারে শেষ পর্যায়ে কমিশনের তরফে বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তাই বাহিনী আসতে সময় লাগছে। সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে চাহিদা মতো বাহিনী চলে আসবে শুক্রবারই।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    জানা গিয়েছে, যেখানে ১ থেকে ২টি বুথ রয়েছে, সেখানে মোতায়েন করা হবে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ৩ থেকে ৪টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ৮ জন জওয়ান। ৫ থেকে ৬টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ১২ জন জওয়ান। ৭ এবং ৭-এর বেশি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় মোতায়েন করা হবে ১৬ জন জওয়ান। স্ট্রং-রুম পাহারায় থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্পর্শকাতর বুথগুলিকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে স্পর্শকাতর (Panchayat Election 2023) বুথ রয়েছে ৪ হাজার ৮৩৪টি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। নিয়োগপত্র পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। সেই সময় এনসিটিই-র নিয়মে বলা হয়েছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের। তার পরেও শূন্যস্থান থাকলে, সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা। অবশ্য দু বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে হবে তাঁদের। নিয়োগ-পর্ব শেষ হওয়ার পরেই অভিযোগ ওঠে, চাকরি পাননি বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীই। তার বদলে চাকরি পেয়েছেন (Supreme Court) প্রশিক্ষণহীন বহু প্রার্থী। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। জানা যায়, সেবার কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি। অনেকে আবার জানান, টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশ ছিল না। এর পরেই মে মাসে (Supreme Court) ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য জানা যায়, ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন তিনি। চার মাসের মধ্যে ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা এই চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের সম হারে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন এই চাকরিহারারা।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। এবার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানায়, ওই শিক্ষকরা যেমন ছিলেন, তেমনিই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে অংশ নিতে পারবেন ওই চাকরিহারারা। সেখানে ব্যর্থ হলে, চাকরি খোয়াবেন তাঁরা।

    ডিভিশন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন আদালত জানায়, এই শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট এতদিন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, তা খারিজ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নয়া ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি হবে। তাঁরাই নতুন করে বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ পদ তো ফিরে পাচ্ছেন না-ই, তার ওপর তৈরি হয়েছে জেলে যাওয়ার আশঙ্কাও। কারণ ‘অপরাধমূলক অবমাননা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দু বছরের যে সাজা দিয়েছিল গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, তা-ই বহাল রইল গুজরাট হাইকোর্টেও। শুক্রবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক বলেন, “নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীর সাজার যে রায় দিয়েছে, তা সঠিক।” গুজরাট হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাহুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

    ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর পরেই বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি দ্বারস্থ হন আদালতের। ২৩ মার্চ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাহুলকে। তবে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য বিচারক তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দিয়েছিলেন।

    আদালতের দুয়ারে রাহুল 

    আদালতের এই রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এর পর রাহুল আবেদন করেন সুরাটেরই দায়রা আদালতে। সেখানেও বহাল থাকে সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়। এর পর সুরাট দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল (Rahul Gandhi)। বিচারপতি গীতা গোপীর বেঞ্চে শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়েছিল রাহুলের আবেদন। তবে আচমকাই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি গোপী।

    আরও পড়ুুন: চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আপত্তি ভারতের, এসসিও-র বিবৃতিতে সই নেই নয়াদিল্লির

    মামলা যায় প্রচ্ছকের বেঞ্চে। প্রাথমিক শুনানির পরে রাহুলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি, যদিও রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেননি। শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখেন বিচারপতি প্রচ্ছক। আদালত আরও জানিয়েছে, “সাজা স্থগিত করার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আদেশটি সঠিক ও আইনি। অযোগ্যতা শুধুমাত্র সাংসদ ও বিধায়কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এছাড়াও, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে প্রায় ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SCO Summit: চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আপত্তি ভারতের, এসসিও-র বিবৃতিতে সই নেই নয়াদিল্লির

    SCO Summit: চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আপত্তি ভারতের, এসসিও-র বিবৃতিতে সই নেই নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত এসসিও সম্মেলনের (SCO Summit) আয়োজক দেশ ছিল ভারত (India)। ভার্চুয়াল এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, এসসিও গোষ্ঠীর সনদকে মান্যতা দেওয়া উচিত সকলের। চিনের নাম না করে সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্যও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলন শেষে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে সদস্য রাষ্ট্রগুলি জানায়, যৌথভাবে তৈরি হওয়া ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পকে সমর্থন করছে তারা। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান, রাশিয়া সহ এসসিও-র প্রায় সব সদস্য দেশ। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে তাতে সই করেনি ভারত।

    স্বাক্ষর না করার কারণ

    কী কারণে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি নয়াদিল্লি? জানা (SCO Summit) গিয়েছে, ভারতের মূল আপত্তি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ নামের এই রাস্তা চিন অধিকৃত শিনজিয়াংয়ের কাশগড়কে যুক্ত করেছে পাকিস্তানের গ্বদল বন্দরকে। যাত্রা পথে রাস্তাটির একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকার মধ্যে দিয়ে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর যে আদতে ভারতেই অংশ, বহুবার তা দাবি করেছে ভারত। তাদের দবি, এই রাস্তা তৈরি করে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে শি জিনপিংয়ের দেশ। সেই কারণেই এসসিও-র ওই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনি নরেন্দ্র মোদির দেশ।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ

    উদ্বোধনী ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সুর চড়িয়েছেন সন্ত্রাসবাদের (SCO Summit) বিরুদ্ধেও। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সব চেয়ে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ। তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে আমাদের।” পাকিস্তানের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু দেশের নীতিই হল সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া। তাদের নিন্দা করার ক্ষেত্রেও কোনও দ্বিধা থাকা উচিত নয়।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে চিনের সাংহাইতে গঠিত হয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন। সদস্য দেশ ছিল রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান ও চিন নিজে। ২০০৭ সালে এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit) আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে উপস্থিত ছিল ভারত। এর ঠিক ১০ বছর পরে এসসিওতে যোগ দেয় ভারত। ওই একই বছর যোগ দেয় পাকিস্তানও।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় পদক্ষেপ করেছে”, বললেন ট্রুডো

    Justin Trudeau: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় পদক্ষেপ করেছে”, বললেন ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় কঠোর পদক্ষেপ করেছে।” বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মীদের হুমকি দিয়েছে খালিস্থানপন্থীরা। ওই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভারত। কানাডায় খালিস্তানিপন্থীদের বাড়বাড়ন্তের জন্য সে দেশের রাজনীতিকেই দায়ী করেছিল ভারত। সেই অভিযোগেরই এদিন জবাব দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    হিংসার বিরোধী কানাডা!

    ট্রুডো বলেন, “ওরা (ভারত) ভুল বলছে। হিংসা এবং হিংসার হুমকির ক্ষেত্রে কানাডা বরাবর কঠোর পদক্ষেপ করেছে। আমরা সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করেছি। এবং আগামী দিনেও তা করব।” দিন কয়েক আগে কানাডার একটি গুরুদ্বারের ভিতরেই গুলি করে খুন করা হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জারকে। তার পর থেকে সে দেশের খালিস্তানপন্থীরা ভারতের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সুর চড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ভারতই খুন করিয়েছে নিজ্জারকে।

    ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টার

    এই আবহেই কানাডায় নিযুক্ত দূতাবাস কর্মীদের ছবি প্রকাশ করে ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টার সাঁটায় খালিস্তানপন্থীরা। তার পরেই ভারতের তরফে দেওয়া হয় কড়া প্রতিক্রিয়া। যে প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিতে গিয়ে এদিন ট্রুডো (Justin Trudeau) বলেন ওই কথা। তিনি বলেন, “কানাডা সব ধরনের হিংসার বিরোধী। এই বিষয়টি আমরা সব সময় গুরুত্ব দিয়ে দেখি।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে বহুস্বর রয়েছে। আমরা বাক স্বাধীনতাকে মূল্যও দিই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা হিংসাকে প্রশ্রয় দিই। আমরা বরাবর হিংসার বিরোধী। উগ্রপন্থার যে কোনও রূপেরই আমরা বিরোধী।”

    ট্রুডোর (Justin Trudeau) সুর শোনা গিয়েছে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলির গলায়ও। তিনি বলেন, “হাতে গোণা কয়েকজন মানুষ একটা গোটা সম্প্রদায় কিংবা কানাডার কথা বলে না।” এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কানাডা এবং অন্যত্র বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে ভারত-বিরোধীরা। ৮ জুলাই টরেন্টোয় খালিস্তান স্বাধীনতা মিছিল করবেন খালিস্তানপন্থীরা। ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টারেও নিজ্জার খুনে টরেন্টোয় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা এবং কাউন্সেল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া অপূর্ব শ্রীবাস্তবকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া হল কড়া প্রতিক্রিয়া।

    আরও পড়ুুন: “এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”, রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসা রুখতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)! আদালতের নির্দেশ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ফল ঘোষণার পরেও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে, যাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়। মূলত নির্বাচিতদের ও সামগ্রিকভাবে মানুষের নিরাপত্তার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেও ১০ দিন রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যে আগেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের উদাহরণ রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোনও অভিযোগ যেন না আসে, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করতে হবে কমিশনকে। আদালত আশা করে, ভোট শান্তিপূর্ণ হবে, মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন বিএসএফের আইজি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশের কর্তারা বিএসএফের আইজিকে সাহায্য করবেন।

    গণনা-পর্ব

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) হবে ৮ জুলাই। গণনা শুরু হবে ১১ জুলাই। গণনা-পর্ব শেষ হতে ১২ তারিখ হয়ে যেতে পারে। তাই এই ১২ জুলাইয়ের পরেও ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট এও জানিয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে বাহিনী। প্রসঙ্গত, বুধবারই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, প্রার্থী ও নির্বাচনী এজেন্টদের নিরাপত্তায় গণনা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: “এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”, রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অশান্ত হয়েছে রাজ্য। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। কেবল মুর্শিদাবাদেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। কোথাও শাসকের হাতে খুন হয়েছেন বিরোধী দলের কোনও কর্মী, কোথাও আবার তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন কেউ। রাজনৈতিক এই হিংসার আবহে নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্ভব নয় অনুমান করে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। দাবি করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর। বিস্তর টানাপোড়েনের পর হাইকোর্টের গুঁতোয় শেষমেশ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পরেই রাজ্যে দফায় দফায় আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার আদালতের নির্দেশে সেই বাহিনীই থাকবে গণনা শেষ হওয়ার ১০ দিন পর পর্যন্ত।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share