Author: Krishnendu Bakshi

  • SCO Summit: এসসিও সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোদি, যোগ দিচ্ছেন শরিফ, জিনপিং

    SCO Summit: এসসিও সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোদি, যোগ দিচ্ছেন শরিফ, জিনপিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) শীর্ষ সম্মেলন হবে আজ, মঙ্গলবার। সম্মেলন হবে ভার্চুয়াল। এবার এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অংশ নেবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। গত বছর এসসিও সম্মেলন হয়েছিল উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। সশরীরে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। এবার উদ্বোধন করবেন তিনিই। প্রথমে ঠিক ছিল সম্মেলন হবে মুখোমুখি। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সম্মেলন হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ বলেন, “শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়াল করার জন্য আমরা ভারতের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। যদিও রাশিয়া সশরীরে এ সম্মেলনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।”

    এসসিও-র সদস্য দেশ

    এসসিও-র (SCO Summit) সদস্য দেশগুলি হল ভারত, চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাজাখাস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। পর্যবেক্ষক দেশ রয়েছে চারটি। এগুলি হল, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, ইরান এবং আফগানিস্তান। মিশর, কাতার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, তুরস্ক, কম্বোডিয়া এবং সৌদি আরব এই ৯টি দেশ রয়েছে ডায়লগ পার্টনার হিসেবে। চলতি বছরই এসসিও-র অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ইরান। আগামী বছরের মধ্যে রাশিয়ার প্রধান বন্ধুদেশ বেলারুশকেও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। এবার সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে ডাক পেয়েছে তুর্কমেনিস্তান। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে এসসিওতে উপস্থিত ছিল ভারত। ২০১৭ সালে এর সদস্য হয় মোদির দেশ।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    চলতি বছর যেহেতু আয়োজক (SCO Summit) দেশ ভারত, তাই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লি ঘোষণাপত্র, কট্টরপন্থার মোকাবিলা, ডিজিটাল রূপান্তর এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে ভারত সহ কয়েকটি দেশ ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর নাও করতে পারে। কারণ বেল্ট অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে চিনের সঙ্গে মতদ্বৈততা রয়েছে ওই দেশগুলির।

    আরও পড়ুুন: কেশপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, জখম ৭

    এদিন এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। শেষ হবে ৩টে নাগাদ। এই শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতেই হয়ে গিয়েছে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠক হয়েছে গোয়ায়। উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং ও রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বাহিনীর ভবিষ্যৎ কী? কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব, ডিজি

    Panchayat Election 2023: বাহিনীর ভবিষ্যৎ কী? কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব, ডিজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে আর মাত্র ৬ দিন রয়েছে। এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে রবিবার ফের বৈঠকে বসল কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়েই আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। ভিন রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হবে কিনা, তা নিয়েও হয় আলোচনা।

    রাজ্য পুলিশেই আস্থা!

    রাজ্য পুলিশ দিয়েই প্রথমে ভোট (Panchayat Election 2023) করাতে চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। আদালতের চাপে প্রথমে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় কমিশন। হাইকোর্টের গুঁতো খেয়ে ফের চায় ৮০০ কোম্পানি বাহিনী। যদিও প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি ও দ্বিতীয় দফায় ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠায় নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভোট। তার আগে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রকে বকেয়া বাহিনী চেয়ে বারবার চিঠি দিয়েও উত্তর মেলেনি। তাই বিকল্প হিসেবে পুলিশ ব্যবহার নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কমিশন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী কম

    রাজ্যে বুথ (Panchayat Election 2023) রয়েছে ৬১ হাজার ৬৩৬টি। এজন্য প্রয়োজন প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে ৩৭ হাজার। অর্থাৎ প্রতি বুথে একজন করেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। ভোটের জন্য আরও প্রায় ১ লক্ষ নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন। রাজ্যের কাছে ওই সংখ্যক বাহিনী নেই। এদিনের বৈঠকে কোথায়, কত পুলিশ ব্যবহার করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতি মেটাতে ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে পুলিশ নিয়ে আসার পরিকল্পনাও করেছে রাজ্য। এ ব্যাপারে নাকি পদক্ষেপও শুরু করে দিয়েছে নবান্ন।

    আরও পড়ুুন: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nuclear Plant: কাজ বাকি, পিছিয়ে গেল গুজরাটের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের চতুর্থ ইউনিটের উদ্বোধন  

    Nuclear Plant: কাজ বাকি, পিছিয়ে গেল গুজরাটের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের চতুর্থ ইউনিটের উদ্বোধন  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালু হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরই। তবে বেশ কিছু কাজ বাকি থাকায় বছরখানেক পিছিয়ে গেল নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্প অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের কাকড়াপাড়া প্ল্যান্টের (Nuclear Plant) চতুর্থ ইউনিটের উদ্বোধন। গুজরাটের কাকড়াপাড়ার এই প্ল্যান্টটি চলতি বছরই চালু হওয়ার কথা ছিল। কাজ শেষ না হওয়ায় আপাতত চালু হচ্ছে না। নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্প অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের তরফে ভুবন চন্দ্র পাঠক বলেন, চতুর্থ ইউনিটটির নির্মাণ কাজ চলছে।

    ৭০০ মেগাওয়াটের ইউনিট

    আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে কাজ। অথচ চলতি বছর মার্চ মাসেই ৭০০ মেগাওয়াটের গুজরাটের এই ইউনিটটি (Nuclear Plant) বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার কথা ছিল। ২০২২ সালে শক্তিমন্ত্রী অন্তত তাই জানিয়েছিলেন। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় ইউনিটটি চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী মার্চ পর্যন্ত। বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ভারত। ভারতের চেয়ে ঢের পিছিয়ে বিশ্বের বহু দেশ। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে হরিয়ানায় পারমানবিক বিদ্যুৎ (Nuclear Plant) কেন্দ্র স্থাপনের কথা জানান কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আর্থ সায়েন্সের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।

    পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

    হরিয়ানার এই পরমাণু কেন্দ্রটি চালু হলে তা হবে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে স্থাপিত হতে চলেছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এটি ভারতের পারমাণবিক ক্ষমতা বাড়ানোর অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত আট বছরে বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে একটা। তিনি জানান, ১০টি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের একটি বড় প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে মোদির সরকার।

    আরও পড়ুুন: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    চলতি বছর দেশে সব চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে কয়লার (Nuclear Plant) পাওয়ার প্ল্যান্টগুলি থেকে। তার জেরে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণও বেশি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে পরিবেশ দূষণও। এই দূষণ রোধে প্রয়োজন পারমাণবিক বিদ্যুতের। এদেশে যা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তার মাত্র ৩ শতাংশ আসে পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে। বিদেশি বিনিয়োগের অভাবেই পিছিয়ে রয়েছে এই শিল্প। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই কাকড়াপাড়ার তৃতীয় ইউনিটটিকে যুক্ত করা হয়েছে গ্রিডের সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • France Protests: অশান্তির আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স, হামলা খোদ মেয়রের বাড়িতেও

    France Protests: অশান্তির আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স, হামলা খোদ মেয়রের বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আগুনে গত পাঁচ দিন ধরে জ্বলছে ফ্রান্স (France Protests)। পুলিশের গুলিতে নাহেল নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরের মৃত্যুর জেরে ফুঁসছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০০ ভবন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে দু হাজারেরও বেশি গাড়ি। দেশজুড়ে হিংসার ঘটনায় কেবল শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ৭১৯ জনকে। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা উপেক্ষা করেই ঘটছে হিংসার ঘটনা। দক্ষিণ প্যারিসের একটি শহরের মেয়র ভিনসেন্ট জিনবার্নের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মেয়রের বাড়িতে হামলা

    মেয়রের দাবি, হামলায় জখম হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও এক সন্তান। তিনি জানান, তাঁর পরিবার যখন ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। তাঁর বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। কাপুষোচিত ঘটনা। জানা গিয়েছে, অশান্তি (France Protests) রুখতে ফ্রান্সের তিন বড় শহর প্যারিস, লিয়ন ও মার্সেইলিতে ৪৫ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে হেলিকপ্টার, অস্ত্রসজ্জিত যান।

    অর্থমন্ত্রীর দাবি

    ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লি মেইরি জানান, বিক্ষোভকারীরা ১০টি শপিং মল, দুশোর বেশি সুপারমার্কেট, ২৫০ তামাকের দোকান এবং ২৫০টি ব্যাঙ্ক আউটলেটে হয় হামলা চালিয়েছেন নয় লুঠপাট চালিয়েছেন। গ্রিংগি এলাকায় একটি বাসভবনেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন প্রতিবাদীরা। গতকাল রাতে ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারীকে (France Protests) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ফ্রান্সের পুলিশ। রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর। লাগাতার হিংসার জেরে ওই সফর বাতিল করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির প্রচারে হামলা, বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকায় অগ্নিমিত্রা

    প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের ন্যান্তেরের বাসিন্দা ছিল বছর সতেরোর নাহেল। সে আলজিরিয়ান। বছর তিনেক ধরে ডেলিভারি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছিল। ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হওয়ার ইচ্ছে ছিল। স্বপ্ন পূরণের জন্য সে ভর্তি হয়েছিল সুরেসনেশের একটি কলেজে। কলেজটি তার বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে। নাহেলের মা মৌনিয়ার দাবি, নাহেলের মুখের সঙ্গে আরবিদের মুখের মিল রয়েছে। তাই তাকে মেরে ফেলেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ফ্রান্সের ন্যান্তের এলাকায় (France Protests) ট্রাফিক আইন অমান্য করায় কৃষ্ণাঙ্গ নাহেলকে গুলি করেন এক পুলিশ কর্মী। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আইফেল টাওয়ারের দেশ। ‘দ্য পুলিশ কিলস’ স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমে পড়ে হাজার হাজার জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gujarat Rain: প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি গুজরাটে, দু’ দিনে মৃত ৯

    Gujarat Rain: প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি গুজরাটে, দু’ দিনে মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গুজরাটের (Gujarat Rain) বহু জেলায়। গত দু দিনে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এর মধ্যে কেবল জামনগরেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “ভারী বৃষ্টির কারণে গুজরাটের বহু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সব রকম সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।”

    ত্রাণ বিলি ও উদ্ধারের কাজ

    শাহ জানান, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন একযোগে ত্রাণ বিলি ও উদ্ধারের কাজ (Gujarat Rain) করছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শহর ও গ্রামাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলির অবস্থা ভয়াবহ। সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কচ্ছ, জামনগর, জুনাগড় ও নবসারি জেলার। গত ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ ও দক্ষিণ গুজরাটে।

    ধারা বর্ষণের পরিমাণ

    জানা গিয়েছে, শনিবার জুনাগড়ের বিসাভাদর তালুকে বৃষ্টি হয়েছে ৩৯৮ মিলিমিটার। জামনগরের (Gujarat Rain) জামনগরে বৃষ্টি হয়েছে ২৬৯ মিলিমিটার। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে ভালসারের কাপরাদায়ও। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ২৪৭ মিলিমিটার। কচ্ছে অঞ্জর ও নবসারির খেরগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ২৩৯ ও ২২২ মিলিমিটার।

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি থামছে না গুজরাট। রবিবার জুনাগড়, জামনগর, ভালসার ও সুরাটে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের ধারা বর্ষণের জেরে এমনিতেই প্লাবিত হয়ে রয়েছে ওই জেলাগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পর ফের প্রবল বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে প্রশাসনের পাশাপাশি আশঙ্কা স্থানীয়দেরও।

    আরও পড়ুুন: প্রয়োজনে ঘরে ঢুকে মেরে আসতে পারি, পাকিস্তানকে বার্তা রাজনাথের

    ইতিমধ্যেই ওই জেলাগুলির কোনও কোনও এলাকায় মানুষ সমান জল। সব চেয়ে করুণ দশা জুনাগড়ের। মৌসম ভবনের খবর, জুনাগড়ে বৃষ্টি হবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। ধারাপাতের সঙ্গে সঙ্গে হচ্ছে বাঁধ থেকে জল ছাড়াও। ওজাত ও হিরণ বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় ভেসে (Gujarat Rain) গিয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তা ও বহু সেতু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বহু গ্রাম। স্টেট ইমর্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার জানিয়েছে, গত দু দিনে বৃষ্টিপাতজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Teesta Setalvad: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি তিস্তা শেতলবাদের

    Teesta Setalvad: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি তিস্তা শেতলবাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাট (Gujarat) হাইকোর্ট। এরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন মিলল সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের (Teesta Setalvad)। দেশের শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর দেয় স্থগিতাদেশও।

    তিস্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ২০০২ সালে গুজরাট হিংসায় তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে তিস্তার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তিস্তার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। তাঁকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশও দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিস্তা। তিস্তার বিরুদ্ধে ওঠে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগও। তার জেরে ২০২২ সালের ২৫ জুন মুম্বই থেকে তিস্তাকে (Teesta Setalvad) গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ।

    অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ

    ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে তিস্তার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানান তিস্তা। সেই আবেদন খারিজ করে তাঁকে দ্রুত আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিস্তা। তিস্তার আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি বিআর গাবাই, বিচারপতি এএস বোপন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। আবেদন দেখে আদালতের প্রশ্ন, “যদি অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়া হয়, তাহলে কি আকাশ ভেঙে পড়বে! হাইকোর্ট যা করেছে, আমরা তা দেখে অবাক হচ্ছি। এত তাড়াহুড়োর কী আছে?” প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে এক সপ্তাহ পর মামলাটির শুনানি হবে একটি নিয়মিত বেঞ্চে। যার অর্থ, আগামী এক সপ্তাহ গ্রেফতার করা যাবে না তিস্তাকে (Teesta Setalvad)।

    আরও পড়ুুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার লজ্জার! ট্যুইট-বার্তায় বলছেন বীরেন্দ্র সেহবাগ

    এর আগে তিস্তার জামিনের আর্জির বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে সওয়াল করেছিল সে রাজ্যের সরকার। হাইকোর্টে গুজরাট সরকারের কৌঁসুলি জানিয়েছিলেন, তিস্তাকে জামিন দেওয়া হলে তিনি প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। গুজরাট সরকারের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী মিতেশ আমিন। তাঁর অভিযোগ, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা (Teesta Setalvad)। তাঁর বিনিময়ে তিনি ২০০২ সালের গুজরাট হিংসার পর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন গুজরাটের বিজেপি সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Monsoon Session 2023: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু ২০ জুলাই, কোথায় বসবে জানেন?

    Monsoon Session 2023: সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু ২০ জুলাই, কোথায় বসবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ নয়, সংসদের (Parliament) বাদল অধিবেশন শুরু হবে ২০ জুলাই। চলবে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত। তবে অধিবেশনের প্রথম কয়েকটা দিন সেশন হবে সংসদের পুরানো বিল্ডিংয়ে। পরে অধিবেশন (Monsoon Session 2023) বসবে নয়া ভবনে। ২০ জুলাই থেকে যে বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে, সেই বিষয়টি জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এবারের অধিবেশনে বেশ কয়েকটি নতুন বিল উত্থাপন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল

    এর মধ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)  বিলটি রয়েছে কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে কেন্দ্রের জারি করা অধ্যাদেশ সংক্রান্ত বিলটি পেশ হতে পারে এই অধিবেশনেই। ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন বিলটিও পেশ হতে পারে আসন্ন অধিবেশনেই। এ ব্যাপারে অনুমোদন মিলেছে মন্ত্রিসভার। চলতি অধিবেশনে (Monsoon Session 2023) অভিন্ন দেওয়ানি বিলটি পেশ হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। তিনি জানান, ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। ৫ অগাস্টই শুরু হয়েছিল রাম মন্দির নির্মাণ। এবার ৫ অগাস্টই সংসদে পেশ হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল। বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতারা অবশ্য এ ব্যাপারে রা কাড়েননি।  

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? 

    দিন কয়েক আগে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তাহলে কি সেই সংসার চালানো যায়?” তিনি বলেন, “দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য যদি এক এক রকম আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে।” সেই কারণেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ হতে পারে বলে চলছে জোর চর্চা।  

    এদিকে, বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session 2023) প্রথম কয়েকটা দিন পুরানো সংসদ ভবনে হলেও, অধিবেশনের বাকি দিনগুলি হতে পারে নয়া ভবনে। ২৮ মে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে সেখানে চলছে একেবারে শেষ মুহূর্তের কাজ। কাজ চলছে বেসমন্টে এবং মন্ত্রীদের অফিসগুলিতে। লোকসভা ও রাজ্যসভার অডিও, ভিডিও এবং অন্যান্য সিস্টেম পরীক্ষার কাজও চলছে জোরকদমে। কেবল সাউন্ড সিস্টেমই নয়, কুলিং সিস্টেমের কাজও চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। লোকসভায় কোরাম হয়েছে না হয়নি, তা জানা যায় যে সিস্টেমের সাহায্যে, সেই সিস্টেমের পরীক্ষার কাজও চলছে।

    আরও পড়ুুন: প্রয়োজনে ঘরে ঢুকে মেরে আসতে পারি, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • World Cup 2023: স্কটল্যান্ডের কাছে হার ক্যারিবিয়ানদের, একদিনের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    World Cup 2023: স্কটল্যান্ডের কাছে হার ক্যারিবিয়ানদের, একদিনের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের (World Cup 2023) মূল পর্বের আগেই অঘটন! বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শনিবার স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামে দু বারের বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কটল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হেরে গেল ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডসদের দেশ। স্কটল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হওয়ায় ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবার মূল পর্বে উঠতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    দু বারের বিশ্বকাপ জয়ী দেশ

    ১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম ক্যারিবিয়ানরা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে পরাজিত হল। এদিন হারারেতে ব্যাটে ও বলে চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলে স্কটল্যান্ড। যার জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ক্যারিবিয়ানদের স্বপ্ন। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই সুপার সিক্সের মঞ্চে হেরে গেল ৪ পয়েন্টে। অথচ ওয়ান ডে ক্রিকেটে (World Cup 2023) দু দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের ঝুলিতে রয়েছে টি-টোয়েন্ট বিশ্বট্রফিও। এহেন শক্তিধর একটি দেশকে এদিন স্কটল্যান্ডের কাছে নিতান্তই শিশু বলে মনে হল।

    নিয়ম রক্ষার ২ ম্যাচ

    সুপার সিক্সে তিনটি ম্যাচ খেলতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্রতিটিতেই গোহারা হয়েছে ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডসদের দেশ। তাই ওডিআই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করার কোনও আশা আর নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বাকি যে আরও দুটি ম্যাচ তাদের খেলতে হবে, তা নিছকই নিয়ম রক্ষার হয়ে দাঁড়াল। ক্যারিবিয়ানরা হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ের।

    এদিন যোগ্যতা অর্জন পর্বের (World Cup 2023) ম্যাচটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গ্রুপ লিগে জিম্বাবোয়ে ও নেদারল্যান্ডসের কাছে আগেই তারা হেরে গিয়েছিল। তাই এদিন না জিততে পারলে, তারা যে ছিটকে যাবে তা মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ১৮১ রানে অল আউট হয়ে যায়। তিন উইকেট হারিয়ে ৪৩.৫ ওভারে সেই রান তুলে নেয় স্কটল্যান্ড।

    আরও পড়ুুন: লুসানে ডায়মন্ড লিগে শীর্ষস্থান নীরজের

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং শৃঙ্খলাবদ্ধ হলেও তারা ক্রশ-ম্যাকমুলানের জুটিকে ভাঙতে পারেনি। তবে ম্যাকমুলান অ্যাকিল হোসেনের একটি স্ট্রেট মারতে গিয়ে আউট হয়ে যেতেন, যদি কেইল মেয়ার্স বলটা ধরতে পারতেন। ঘটনাটি ঘটে ১২ ওভারের সময়। ২৫ ওভার খেলে ম্যাকমুলান এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটিপতি এবারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী! হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও, দক্ষিন দিনাজপুরের হিলির (Dakshin Dinajpur) দুর্গ ধরে রাখতে এবারে এমনই এক কোটিপতিকে প্রার্থী করল তৃণমূল। জেলাপরিষদের ১৩ নম্বর আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানো ওই তৃণমূল প্রার্থীর নাম কৌশিক মাহাতো ওরফে ডাকু।

    কোথায় (Dakshin Dinajpur) প্রার্থী হলেন এই তৃণমূল কর্মী?

    হিলির জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাই এলাকার বাসিন্দা হলেও এবারের নির্বাচনে ১৩ নম্বর জেলাপরিষদ আসন থেকেই লড়ছেন তিনি। হিলি ব্লকের ধলপাড়া ও বিনশিরা এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হওয়া নতুন দক্ষিণ জেলা পরিষদের আসনটিতে প্রার্থী হওয়া কৌশিক মাহাতো, নির্বাচন কমিশনকে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ অর্থের পরিমান প্রায় এক কোটি টাকা। যা জেলার প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরই পিছনে ফেলে দিয়েছে। আচমকা তৃণমূল এমন কোটিপতিকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেওয়াতেই, এখন জোর চর্চা দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে।

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কোটিপতি ওই তৃণমূল প্রার্থীর (Dakshin Dinajpur) কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। স্ত্রীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে দুলক্ষ টাকা এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা রয়েছে। প্রার্থীর নিজস্ব দুই ভরি সোনার গহনা এবং স্ত্রীর রয়েছে সাতভরি সোনার গহনা। বাড়ি ও জমি হিসাবে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে কৌশিক বাবুর। এছাড়াও অন্য বিনিয়োগ হিসাবে আট লক্ষ টাকা দেখিয়েছেন এই তৃণমূল প্রার্থী। রয়েছে একটি মোটর সাইকেল ও একটি চার চাকা গাড়িও। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্যে ওই তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা, যেখানে তিনি নিজেকে একজন এক্সপোর্টার ও মদের ব্যবসায়ী হিসাবে দাবি করেছেন। এছাড়া তাঁর একটি গেস্ট হাউসও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া এই হিসাবই জেলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি, যুব সভাপতিরা নির্বাচনে লড়াই করলেও, কৌশিক মাহাতোর সম্পত্তির ধারেপাশে পৌঁছাতে পারেনি কোনও প্রার্থীই।

    প্রার্থীর বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো (Dakshin Dinajpur) বলেন, এই এলাকার মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রয়েছেন। জেতার ব্যাপারে তিনি একশো শতাংশ আশাবাদী। বিপক্ষ হিসাবে বিজেপিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি, কেননা বামদের তেমন কিছু নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজের জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশা বাদী তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    হিলির ১৩ নম্বর জেলা পরিষদ (Dakshin Dinajpur) আসনের বিজেপি প্রার্থী বাপি সরকার বলেন, রাজনীতির লড়াইয়ে কোটিপতি, লাখোপতি বলে কোন ব্যাপার নেই। সেখানে লড়াই শুধুমাত্র রাজনৈতিক। সিপিএম প্রার্থী শিবতোষ চ্যাটার্জী বলেন, কোটিপতি প্রার্থী টাকা ছিটিয়ে পিকনিক, মিষ্টির প্যাকেট বিলি করলেও ভোটারদের কিনতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এসে বিপাকে এলাকার বিধায়ক। এক হাঁটু কাদায় নামিয়ে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। ভাতারের (Purba Bardhaman) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে এমনই ভাবে এলাকার উন্নয়নের চিত্র পরিদর্শন করালেন। বেশ কয়েক মিটার ভাঙা রাস্তা হাঁটলেন বিধায়ক নিজে। গ্রামবাসীরা বললেন, হাঁটু কাদায় বিধায়ক হেঁটে দেখুক কেমন লাগে?

    কী হয়েছে ঘটনা (Purba Bardhaman )?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল রাস্তার বেহাল দশা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার ও জোর কদমে চলছে। শনিবার সকালে, ভাতারের (Purba Bardhaman) কালুরচট্ট গ্রামের প্রচারে যান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনের প্রার্থী আব্দুর রউকের সমর্থনে মূলত প্রচার করতে যান। গ্রামের মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে তিনি বিপত্তিতে পড়েন বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীরা বলেন, আজকে এই মুহূর্তে এই এক হাঁটু কাঁদার রাস্তায় আপনাকে হাঁটতে হবে! আর তাতেই বেহাল কাদামাখা রাস্তায় হাঁটতে হল বিধায়ককে। কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিধায়ক যে রাস্তা খারাপ! তিনি তারপর বলেন – ভোটের জন্য কাজ দেরি হচ্ছে, ভোটের পরেই শুরু হবে রাস্তা তৈরীর কাজ। বর্ষা এলে কাদা ও জলে হাঁটা দায় হয়ে ওঠে এলাকাবাসীদের। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামত করতে হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূল বিধায়ক (Purba Bardhaman) মানগোবিন্দ অধিকারী গ্রামবাসীদের ক্ষোভের প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল বলেই এটা সম্ভব, গ্রামের রাস্তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ ছিল। আজ প্রচারে ওই গ্রামে যাওয়ায় মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে আমায় হেঁটে যেতে বলেন। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই, মানুষের জন্য রাজনীতি করি। সুবিধা, অসুবিধা শুনি, দেখি আবার সমাধানও করি। গ্রামের মানুষের আবদার মেনেই জল কাদা রাস্তায় হেঁটেছি। ভোট মিটলেই এই রাস্তা পঞ্চায়েত থেকে তৈরি করে দেওয়ার কথা দিয়েছি। তাতেও যদি না হয়, আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তা তৈরি করে দেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share