Author: Krishnendu Bakshi

  • Recruitment Scam: চার পুরসভায় মিলল ১ হাজার ওএমআর শিট! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: চার পুরসভায় মিলল ১ হাজার ওএমআর শিট! চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় অভিযান চালানো হয়েছে ১৪টি পুরসভায়। তবে ৪টি পুরসভার নথিতে মিলেছে ১ হাজার ওএমআর শিট। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। ২০১৪ সালের পর থেকে পুরসভাগুলির বিভিন্ন পদে যেসব নিয়োগ হয়েছে, তার ওএমআর শিটের কপি রয়েছে এই নথিতে। ওএমআর শিট ধরে চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই তালিকা থেকে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

    সিবিআইয়ের তল্লাশি

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার শেকড়ে পৌঁছতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। যদিও ৫টি পুরসভায় নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত কোনও নথিই মেলেনি। সেই কারণে ওই পুরসভাগুলিকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। কোন পদে নিয়োগ, কীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, বেতন কত এবং পুরসভার কাউন্সিলরদের বোর্ড মিটিং সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। বাকি পুরসভাগুলি থেকে যেসব নথিপত্র মিলেছে, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে সেগুলি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই খবর সিবিআই সূত্রে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই তদন্তের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের নির্দেশও। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষা থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও বড় রূপ নিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের জেরে আপাতত স্বস্তি পেল না রাজ্য সরকার। দুই সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল তারা। এদিনও খারিজ হয়ে গেল তাদের আবেদন।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে কলকাতা থেকে জেলা সহ মোট ১৪টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল প্রথমে যায় সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন (Recruitment Scam) দফতরে। পরে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা হানা দেন দমদম, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পুরসভা, বারাকপুর, পানিহাটি, কাঁচড়াপাড়া, টিটাগড়, চুঁচুড়া এবং শান্তিপুর সহ বিভিন্ন পুরসভায়। পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অয়ন শীলকে। তাঁর চুঁচুড়ার ফ্ল্যাটে এবং বাড়িতেও তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Forecast: উত্তরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, কেমন থাকবে দক্ষিণের আকাশ?

    Weather Forecast: উত্তরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, কেমন থাকবে দক্ষিণের আকাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মুখভার (Weather Forecast) দক্ষিণবঙ্গের আকাশের। ভোর থেকে কোথাও কোথাও ঝিরঝিরে বৃষ্টি (Rain) হয়েছে। এদিন দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। জেলার কোথাও কোথাও হালকা, কোথাও কোথাও আবার মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। তবে এদিন বিকেল থেকে কমতে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

    বৃষ্টির প্রকোপ

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলে কী হবে, বৃষ্টির প্রকোপ বাড়বে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায়ই। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে রবিবার পর্যন্ত। প্রবল বর্ষণের (Weather Forecast) জেরে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা ও সংকোষ নদীর।

    ধসের আশঙ্কা

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় নিম্নচাপ অবস্থান করছে ছত্তিশগড়ের কাছে। তা ক্রমশ এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশের দিকে। তার জেরেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে উত্তরবঙ্গে। উত্তরের তিন জেলা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে এদিন বৃষ্টি হতে পারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত। প্রবল বর্ষণের জেরে ধস নামতে পারে পাহাড়ে। নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। তবে শুক্রবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। অবশ্য ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে।

    আরও পড়ুুন: ইডির নোটিস মেলার পর থেকেই ‘ভ্যানিশ’ সায়নী! শুক্রবার হাজিরা দেবেন কি?

    শনিবার থেকে ফের ধারা বর্ষণ হতে পারে উত্তরবঙ্গে। আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হতে পারে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বৃষ্টি হতে পারে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত। পয়লা জুলাই থেকে ফের বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের (Weather Forecast) তাপমাত্রা। জলীয় বাষ্প থাকায় বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ১৫.২ মিলিমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bhim Army: উত্তর প্রদেশে গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি প্রধান ‘রাবণ’, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি

    Bhim Army: উত্তর প্রদেশে গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি প্রধান ‘রাবণ’, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandrashekhar Azad) ওরফে রাবণ। বুধবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভীম আর্ম প্রধান। এদিন বিকেলে সাহারানপুরে উত্তর প্রদেশের এই দলিত নেতার কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি সাদা গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। তারা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে মোট চার রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি লাগে তাঁর পিঠে। সাহারানপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার বিপিন টডা বলেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    গুলি লাগে আজাদের পিঠে

    জানা গিয়েছে, এদিন সাহারানপরে এক সমর্থকের বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান চন্দ্রশেখর। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্বৃত্তরা হরিয়ানার নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে করে এসেছিল। বিপিন বলেন, চন্দ্রশেখর আজাদের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। একটি গুলি লাগে তাঁর গায়ে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ভীম আর্মি প্রধান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়েক হাজার ভীম আর্মি এবং আজাদ সমাজ পার্টির কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করেন হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, তাই হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    আজাদ সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠা

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে আজাদ সমাজ পার্টি গড়েছিলেন চন্দ্রশেখর (Bhim Army)। বাইশের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। গোরক্ষপুর (শহর) কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চন্দ্রশেখর। যদিও হেরে যান। চন্দ্রশেখরের গড়া ভীম আর্মি একটি সামাজিক সংগঠন।

    এই সংগঠনের ব্যানারে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে দলিত ও অনগ্রসরদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করছে ভীম আর্মি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ভীম সেনা প্রধান।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    চন্দ্রশেখর গুলিবিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান ভাই চন্দ্রশেখর আজাদের ওপর গুলি চালনার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। বহুজন মিশন আন্দোলন বন্ধ করতেই তাঁকে গুলি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিও জানাচ্ছি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে জঙ্গলরাজের সঙ্গে তুলনা করেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের (TET) সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর নিয়ে ভিন্ন মত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। তাই মামলাটি গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সেখান থেকে যাবে তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর কত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের টেট পাশের জন্য পেতে হবে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর। যার অর্থ, ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় পেতে হবে ৮২.৫। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে ধরা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-র মধ্যে ৮২ নম্বর পাওয়া মানে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ নম্বর হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবেই তা শতাংশের বিচারে হত ৫৫.৩৪। কেবল সেক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হত ৫৫ শতাংশের নিয়ম। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য ৮২ নম্বর পাওয়া টেট প্রার্থীদের মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায়দানকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ এবং এনসিটিই-র রিপোর্টেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কয়েকজন প্রার্থী।

    ডিভিশন বেঞ্চে ভিন্ন মত

    বুধবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই ভিন্ন মত পোষণ করেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে সঠিক বলে মত দেন। কিন্তু বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের দাবি, ৮২.৫ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। সেক্ষেত্রে তা ৮৩-ও হতে পারে। নম্বরের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে রাজি নন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করায় মামলাটি গিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। তিনি সেটি পাঠাবেন তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে উত্তীর্ণ মান কত – ৮২ না ৮৩?

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারা দেশেই ৮২ নম্বরকেই উত্তীর্ণ মান ধরা হয়। এই বিষয়টি নজরে রেখেই যাতে সিঙ্গল বেঞ্চ নম্বরের বিষয়টি বিবেচনা করে, এমনই আবেদন করেছিলেন আবেদনকারীরা। ৮২ নম্বরকেই পাশ মার্ক হিসেবে মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে সশরীরে রাজীব সিনহা, কেন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে সশরীরে রাজীব সিনহা, কেন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিন পঞ্চায়েত  নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। তাই রাজীব আদালতে উপস্থিত হওয়ায় দানা বাঁধে জল্পনা। রাজীব জানান, একটি হলফনামা দাখিলের জন্য আদালতে এসেছিলেন তিনি। তবে আদালত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় একটি হলফনামায় সই করতে আদালতে এসেছিলেন রাজীব। হাইকোর্ট থেকে বেরনোর সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় রাজীবকে। তিনি জানান, দফা নিয়ে আদালতে কোনও কথা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে বাহিনী আসবে। মাঝে কয়েকদিন ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে জট পেকেছিল। তা খুলেছে।

    পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা

    এদিন পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। এরই একটি হল কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, “বলতে বাধ্য হচ্ছি, এত কিছুর পরেও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করুন। চাপ সামলাতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলুন, আর পদ ছেড়ে দিন। অন্য কাউকে তিনি ওই পদে বসাবেন। ওই পদের অনেক গুরুত্ব আছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে। এরই একটি হল, দফা বাড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি সংক্রান্ত মামলা। মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন সে প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখনও পর্যন্ত যা নির্ঘণ্ট তাতে এক দফায়ই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    Panchayat Election 2023: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) বাহিনী কীভাবে, কোথায় মোতায়েন হবে তার কোন পরিকল্পনা কেন্দ্রকে জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাহিনীকে বুথে পাঠানো হবে নাকি অন্য কাজে লাগানো হবে তার কোন উত্তর কমিশন দেয়নি। শুধু কোন জেলায়, কত বাহিনী মোতায়েন হবে তার একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী।  বাহিনীর পরিবহণ ও থাকার জায়গা নিয়ে রাজ্যের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার কোন উত্তর মেলেনি বলেও অভিযোগ তাঁর। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা আমরা কেন্দ্রকে দিয়েছি  এবং কেন্দ্র তার উত্তরও দিয়েছে।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    দু পক্ষের সওয়াল শেষে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, এখানে কেন্দ্রের যে নোডাল অফিসার আছেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না কেন?  তাঁর সঙ্গে বৈঠক করুন, ইতিবাচক (Panchayat Election 2023) সিদ্ধান্ত নিন। তিনি বলেন, শুধু আদালত আশ্বস্থ হলে হবে না, মানুষ যেন ভরসা পায় যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গেলে কিছু হবে না। সেই ধরনের কিছু পদক্ষেপ করুন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা এই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের হাত ধরে সুপ্রিম কোর্ট চলে গেলেন। কিন্তু এই কমিশনই আগে রাজ্যের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরাও বারবার হস্তক্ষেপ করতে চাই না। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যে আমাদের হস্তক্ষেপ করতেই হচ্ছে।

    ‘আমরা বিরক্ত’

    প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিরক্ত।  ছোটখাটো সব হিসাব করার জন্য আমরা বসে নেই। পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা ভালভাবে করা সহজ কাজ নয়,  রাজ্য এবং কমিশন একসঙ্গে কাজ করলে তবেই সেটা সম্ভব। আপনাদের নিজেদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপ করুন যাতে সাধারণ মানুষ আপনাদের(কমিশনকে) ভরসা করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের (Panchayat Election 2023) আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে নিযুক্ত করা যাবে না বলেও এদিন ফের মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য,  মনে হচ্ছে আমাদের(বিচারপতিদের) এখান থেকে সরোজিনী নাইডু সরণিতে স্থানান্তরিত হতে হবে।  নির্বাচন কমিশনকে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করুন বলে রাজ্যকেও পরামর্শ প্রধান বিচারপতির।

    আরও পড়ুুন: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    তিনি বলেন,  আপনারা এক দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাঁচ দফায় নয়। তাই আপনাদের তরফ থেকে আরও সহযোগিতা লাগবে।  রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। কমিশন কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও চেয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি রাজকেও রিপোর্ট পেশের নির্দেশ আদালতের। যদি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভোটকর্মী নিয়োগ করা না হয়ে থাকে তবে অবিলম্বে তা করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার অবশ্য নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও মামলায় নয়, রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মামলায়। বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের (C V Anand Bose) সিদ্ধান্তই বৈধ। তিনি যে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন, তাঁদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। উপাচার্যদের বকেয়া বেতনও মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরেই শুরু হয় (Calcutta High Court) রাজভবন-নবান্ন বিরোধ।

    একতরফা নিয়োগের অভিযোগ ব্রাত্যর

    রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই উপাচার্যদের মানে না শিক্ষা দফতর। কারণ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই ১১ জন উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। একতরফা নিয়োগের অভিযোগ তোলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর ঘোষণা, শিক্ষা দফতর এই উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ওই উপাচার্যরা যাতে পদ প্রত্যাহার করেন, সেই মর্মে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে তাঁদের সসম্মান অনুরোধও জানান ব্রাত্য। তবে তাঁর আবেদনে কান দেননি ১০ জন উপাচার্যই। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একজন অবশ্য গ্রহণ করেননি নিয়োগপত্র। এর পরেই রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই উপাচার্যরা বেতন পাবেন না।

    আরও পড়ুুন: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    গত ৫ জুন রাজ্যপালের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সনৎকুমার ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল যাঁদের নিয়োগ করেছেন, সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি। মানা হয়নি আইনও। মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার এই মামলাটি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য যেভাবে এই আবেদনকে সমর্থন করেছিল, সেই বিষয়টিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দেশ, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৯, রাজস্থানে ৪

    Weather Forecast: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দেশ, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৯, রাজস্থানে ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেরিতে এসেও দাপট দেখাচ্ছে বর্ষা (Weather Forecast)। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ (Heavy Rain)। তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, দিল্লি, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং অসম সহ উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে ধারাপাত। প্রবল বর্ষণের জেরে ধস নামতে শুরু করেছে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। জায়গায় জায়গায় খবর মিলেছে হড়পা বানের। আরও কয়েক দিন প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, গোয়া এবং গুজরাট সহ বিভিন্ন রাজ্যে হবে প্রবল বর্ষণ। অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে ব্যাপক বৃষ্টি হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আজ, বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কেরলে। ৩০ জুন পর্যন্ত ধারাবর্ষণ হবে গুজরাট, কর্নাটক এবং মধ্য মহারাষ্ট্রে।   

    বজ্রপাতে মৃত্যু

    রাজস্থানে বজ্রপাতের (Weather Forecast) পৃথক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এর মধ্যে এক নাবালিকাও রয়েছে। আগেই বানভাসি হয়েছিল অসম। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ খানিক কমলে নামতে শুরু করে জলস্তর। তবে এখনও রাজ্যের বহু গ্রামে বুক সমান জল। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বারপেটা, বক্সা, ডারাং, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, লখিমপুর, উড়ালগুড়ি এবং নলবাড়ি জেলা। বিভিন্ন এলাকায় নেমেছে ধস। বন্যার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাজ্যের বহু এলাকা।

    বিপাকে পর্যটকরা

    ভারী বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশে বন্ধ রয়েছে ৩০১টি রাস্তা। মান্ডি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। প্রবল বর্ষণের জেরে মান্ডিতে বিপাশা নদীর জল বাড়ছে। জোরালো বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্থলা পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হল। বেড়াতে গিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পর্যটকরা। 

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    ভারী বৃষ্টির (Weather Forecast) সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে। হড়পা বান, ভূমিধসের জেরে বিপর্যস্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী। অমরনাথের পথেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী। দেরাদুন সহ সমগ্র উত্তরাখণ্ডের জন্য জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। গত ২৪ ঘণ্টায় হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে গোয়ার পানাজির বেশিরভাগ এলাকা।

    প্রবল বৃষ্টির জেরে মহারাষ্ট্রের (Weather Forecast) থানেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে প্রয়াত অভিনেত্রী নূতনের বাংলোর একটি অংশ। বাংলোটি খালি থাকায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। হাওয়া অফিসের তরফে মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হেলিকপ্টারের। তড়িঘড়ি হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বিমানবন্দরে নামার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তিতে রাজ্যপাল। ট্যুইটারে জানালেন সে কথাও।

    ফেরার পথেই বিপত্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথেই বিপত্তি। কপ্টার যখন মাঝ আকাশে, তখনই শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বাধ্য হয়ে সেবকের এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করেন পাইলট। জরুরি অবতরণের কারণে সেখানে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তির শ্বাস ফেলেন রাজ্যপাল।

    বিশেষ বিমানে কলকাতায়

    কপ্টার থেকে নেমে সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে তাঁকে নিয়ে আসা হয় দমদম বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের বাইরে তৈরি রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। তবে মুখ্যমন্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেননি। নিজের গাড়িতেই পৌঁছন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে হুইল চেয়ার না নিয়ে এক নার্সের হাত ধরে খুঁড়িয়েই হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চোটের খবর পেয়েই তৈরি রাখা হয়েছিল উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

    আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিউরো থেকে অর্থোপেডিক, জেনারেল মেডিসিন সহ বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য চিকিৎসকরা। চোট পরীক্ষা করে  দেখতে সেখানে একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনও নিয়ে আসা হয়। প্রয়োজনে তাঁর এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানও করা হবে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) চোট ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই (ISI) চর! এই মামলায় সিবিআইকে (CBI) প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, সিআইডিও তদন্ত চালিয়ে যাবে। সেনার সঙ্গে সব এজেন্সিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    কর্মরত ২ পাকিস্তানি

    ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কুমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে ওই দুই পাকিস্তানিকে। চাকরির পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানি চলছে ওই মামলার।

    মামলার মেরিট

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে (Calcutta High Court) বলেন, আমরা যা পেয়েছি, তাতে অভিযোগ গুরুতর। মামলার যথেষ্ট মেরিট রয়েছে। সিআইডি বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেনাও কিছু পদক্ষেপ করেছে। তবে গ্রেফতার নাকি আটক, সেটা বলতে পারব না। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম সহ একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। আমরা ছাপাখানা চিহ্নিত করেছি। যেখানে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন জাল নথি ছাপা হয়।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    এর আগে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। এদিন তাঁর মন্তব্য, সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে যা উঠে আসছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি মান্থা বলেন, সেনা সিবিআই এবং সিআইডিকে একযোগে কাজ করতে হবে। একটি সংস্থার সঙ্গে অন্য একটি সংস্থার যেন সংঘাত না হয়। সিআইডির সংগ্রহ করা তথ্য সেনাকে দিতে হবে। সেনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে রিপোর্ট দিতে পারবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ জুলাই। সেদিন সিবিআই ও সিআইডি রিপোর্ট দেবে তদন্তের অগ্রগতির।

    মামলাকারীর (Calcutta High Court) অভিযোগ, এই নিয়োগের নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় চক্র। যার সঙ্গে যুক্ত আছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, পুলিশ এবং স্থানীয় পুরসভাও। সেনার পরীক্ষায় বসতে গেলে প্রয়োজন হয় বাসস্থানের প্রমাণ সহ একাধিক নথি। সেই সব নথি জাল করেই পরীক্ষা দিয়ে সেনায় দিব্যি চাকরি করছেন ভিনদেশিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share