Author: Krishnendu Bakshi

  • Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    Wagner: পুতিনের ‘ব্যাঘ্র গর্জনে’র ধাক্কায় ‘মিউ মিউ’ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের উদ্দেশ্য পুতিনকে (Vladimir Putin) গদিচ্যুত করা নয়। আমরা একটা প্রতীকী প্রতিবাদ করেছিলাম মাত্র।” এই ‘মিউ মিউ’ বার্তা রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার (Wagner) গ্রুপের প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনের। তিনি বলেন, “দেশে ওয়াগনার গ্রুপের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে যে আশঙ্কা আমাদের মনে ছিল, সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে আমাদের পদযাত্রায়।” ১১ মিনিটের এক অডিও বার্তায় ওয়াগনার প্রধান বলেন, “আমাদের দলের সদস্যরা রাশিয়ার মাটিতে কোনও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি। আমরা রুশ সেনার সঙ্গে যুদ্ধও করিনি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত, রাশিয়ার একটি যুদ্ধ বিমানকে গুলি করে নামানোর জন্য।” 

    ওয়াগনারের বিদ্রোহ

    ওয়াগনার (Wagner) রুশ সেনার অংশ নয়। তবে বছর দেড়েক ধরে রুশ বাহিনীর সহযোগী হয়ে অংশ নিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে। এর আগে লিবিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং মোজাম্বিকের মতো দেশে গৃহযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন ওয়াগনারের সেনারা। সম্প্রতি রুশ সেনা পরিকল্পিতভাবে ওয়াগনার যোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন ওয়াগনার প্রধান। এর পরেই মস্কোর বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় ভাড়াটে যোদ্ধাদের ওই বাহিনী। রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে বড় অভিযান শুরু করেন ওয়াগনার গ্রুপের কয়েক হাজার যোদ্ধা।

    ওয়াগনারের অগ্রগতি

    শুক্রবার রোস্তভ-অন-ডন শহরের দখল নেওয়ার পর শনিবার সকালে পশ্চিম রাশিয়ার শহর ভোরোনেজের দখল নেন ওয়াগনারের যোদ্ধারা। এর পর তাঁরা এগোতে থাকেন মস্কোর দিকে। সক্রিয় হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওয়াগনার যোদ্ধাদের ওপর আকাশপথে হামলা চালানোর পাশাপাশি ইউক্রেনে থাকা ওয়াগনার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয় নৃশংস চেচেন কমান্ডার রমজান কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীকে। ওয়াগনার প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এর পরেই রণে ভঙ্গ দেন ওয়াগনার প্রধান। বাহিনীকে ফেরার নির্দেশ দিয়ে আত্মগোপন করেন।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু শিখরা, কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ দিল্লির

    পরে এক অডিও বার্তায় তিনি (Wagner) বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরা আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।” রুশ সেনা বা তাদের সহযোগীরা আক্রমণ করলে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রত্যাঘাত করার নির্দেশও এদিন অডিও বার্তায় দিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান।

    পুতিনের ব্যাঘ্র গর্জনের ধাক্কায়ই কি মিউ মিউ বার্তা ওয়াগনার প্রধানের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “আপনি ভারতীয়দের হিরো ”, মোদিকে সম্বোধন মিশরের প্রবাসী ভারতীয়দের

    PM Modi: “আপনি ভারতীয়দের হিরো ”, মোদিকে সম্বোধন মিশরের প্রবাসী ভারতীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনি ভারতীয়দের হিরো। ” রবিবাসরীয় দুপুরে মিশরে (Egypt) এহেন সম্ভাষণে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর ঠিক আগে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইলে’ ভূষিত করেছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ আল সিসি। প্রথম কোনও ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান পেলেন মোদি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন নীলনদের দেশে।

    মোদি ম্যানিয়া

    দু দিনের সফরে মিশরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে শনিবার কায়রো বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা ম্যাডবাউলি। হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। ছিলেন মিশরীয়রাও। শাড়ি পরিহিতা এক তরুণী মোদির উদ্দেশে গেয়ে ওঠেন, ইয়ে দোস্তি, হাম নেহি তোড়েঙ্গে। রবিবার মিশরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধনমন্ত্রী (PM Modi)। পরে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তাঁকে ভারতের হিরো বলে স্বাগত জানান তাঁরা।

    তরুণীর মুখে শোলের গান

    প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমগ্র ভারতই প্রত্যেকের হিরো। দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করেন। তাই এগোচ্ছে দেশ।” তিনি বলেন, “এটা আপনাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। আপনাদের তপস্যার ফল এটি।” এদিন প্রধানমন্ত্রী বোহরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন। গুজরাটের এই সম্প্রদায়ের মানুষের দানেই সংস্কার করা হয়েছে একাদশ শতকের আল হাকিম মসজিদ। এই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নিবিড় সম্পর্ক। এদিন ভারতের জাতীয় পতাকা নেড়ে, মোদি, মোদি ধ্বনি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মিশরের প্রবাসী ভারতীয়রা। জেনা নামে এক মিশরীয় তরুণী ভারতের ট্র্যাডিশনাল পোশাক শাড়ি পরেছিলেন। মোদির উদ্দেশে গেয়েছিলেন, ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেই তোড়েঙ্গে’।

    আরও পড়ুুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, পিরামিডের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

    মিশরীয় এক তরুণীর মুখে হিন্দি সিনেমা ‘শোলে’র বিখ্যাত গান শুনে বিস্মিত প্রধানমন্ত্রী। জেনা তাঁকে বলেন, “আমি কখনও ভারতে যাইনি। তবে একটু একটু হিন্দি জানি।“ আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেউ বুঝতে পারবে না তুমি ভারতের মেয়ে নাকি মিশরের।” ট্যুইট-বার্তায় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, “মিশরে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে আমি আপ্লুত। তাঁদের সমর্থন এবং ভালবাসা আমাদের দেশের প্রতি চিরকালীন বন্ধন। মিশরীয়রা যে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরছেন, তাও উল্লেখযোগ্য।”          

    এদিন মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। মিশরের প্রেসিডেন্টই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। চলতি বছর নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই মোদিকে মিশরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। সেপ্টেম্বরে ফের একবার মিশরের রাষ্ট্রপতি আসবেন ভারতে। এবার ভারতের নেতৃত্বে হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মিশরের রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bridge Collapse: তিন সপ্তাহের মধ্যে দু’বার, বিহারে ফের ভাঙল নির্মীয়মাণ ব্রিজ

    Bridge Collapse: তিন সপ্তাহের মধ্যে দু’বার, বিহারে ফের ভাঙল নির্মীয়মাণ ব্রিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফারাক মাত্র তিন সপ্তাহের। তার মধ্যেই ফের ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ ব্রিজ (Bridge Collapse)। বিহারের (Bihar) খাগাড়িয়া জেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য। শনিবার দুর্ঘটনার সময় ব্রিজে কেউ না থাকায় মৃত্যুর কোনও খবর নেই। জখমও হননি কেউ। ব্রিজটি তৈরি হচ্ছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে। তাই সেতুটি কীভাবে ভেঙে পড়ল তা জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন এনএইচএআই কর্তৃপক্ষ।

    ভাঙল ব্রিজ

    সপ্তাহ তিনেক আগে খাগাড়িয়া জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ ব্রিজ। এদিন দুপুরে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মেচি নদীর ওপর নির্মীয়মাণ ব্রিজের পিলারের একটি অংশ। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রজেক্ট ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার বলেন, এদিন মেচি নদীর ওপর নির্মীয়মাণ একটি ব্রিজের পিলার ভেঙে পড়ে। পাটনা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব ৪০০ কিমি। এনএইচ ৩২৭-ই-র ওপর নির্মীয়মাণ ওই ব্রিজটি (Bridge Collapse) কিষানগঞ্জ ও কাটিহারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ব্রিজটির পিলার গাঁথাইয়ের সময় শ্রমিকের ভুলের জন্যই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    স্বপ্ন ভাঙল নীতীশের!

    এর আগে বিহারে ব্রিজ ভেঙে পড়েছিল ৪ জুন। ভাগলপুরে আগুইয়ানি-সুলতানগঞ্জ সংযোগকারী নির্মীয়মাণ ব্রিজটি ভেঙে পড়েছিল হুড়মুড়িয়ে। প্রথমে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে, কয়েক সেকেন্ড পর ভেঙে পড়ে গোটা ব্রিজটাই। সেদিনও হতাহতের কোনও খবর ছিল না। গত বছরও ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ এই ব্রিজটি (Bridge Collapse)। ফের কাজ শুরুর পর আবারও ঘটে দুর্ঘটনা। আগুইয়ানি থেকে সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত যোগাযোগকারী এই সেতু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের স্বপ্নের প্রকল্প।

    আরও পড়ুুন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    এদিনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিহার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্যের সমস্ত ব্রিজের স্ট্রাকচারাল অডিটের ওপর জোর দিয়েছে তারা। সম্পূর্ণ এবং নির্মীয়মাণ সব ব্রিজেরই স্ট্রাকচারাল অডিট করানো প্রয়োজন বলে মনে করে অ্যাসোসিয়েশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • PM Modi: মোদির মুকুটে নয়া পালক, পিরামিডের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মোদির মুকুটে নয়া পালক, পিরামিডের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। পিরামিডের দেশের (Egypt) সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর হাতে মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’ তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ আল সিসি। প্রথম কোনও ভারতীয় হিসেবে এই সম্মান পেলেন মোদি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন নীলনদের দেশে।

    ইয়ে দোস্তি

    দু দিনের সফরে মিশরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে শনিবার কায়রো বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা ম্যাডবাউলি। হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। ছিলেন মিশরীয়রাও। শাড়ি পরিহিতা এক মিশরীয় তরুণী মোদির উদ্দেশে গেয়ে ওঠেন, ‘ইয়ে দোস্তি, হাম নেহি তোড়েঙ্গে’। রবিবার ঐতিহাসিক আল হাকিম মসজিদ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। একাদশ শতাব্দীর ওই মসজিদ সংস্কার হয়েছে গুজরাটের দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের দানের টাকায়। ষোড়শ ফাতিমিদ খলিফা আল হাকিম বাই আমর আলহের নামাঙ্কিত ওই মসজিদ ইতিহাস খ্যাত। কায়রোয় দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের কাছে এই মসজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক স্থল।  এদিন প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ঐতিহাসিক মসজিদটি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

    আল হাকিম মসজিদ

    কায়রোর আল হাকিম মসজিদ ফাতিমিদ স্থাপত্যের একটি অন্যতম নিদর্শন। মসজিদটি ত্রিকোণাকৃতি। ১৩ হাজার ৫৬০ মিটার স্কোয়ার জায়গাজুড়ে রয়েছে সেটি। এর মধ্যে মসজিদের মাঝখানে ৫ হাজার স্কোয়ার মিটারজুড়ে রয়েছে বিশাল উঠোন। বাকি অংশে রয়েছে চারটি হলঘর। এরই একটি হল প্রর্থনা ঘর। মসজিদে ঢোকার তোরণ রয়েছে ১১টি। তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তোরণটি হল মাঝেরটি। এই তোরণটি পাথরের তৈরি। টানা ৬ বছর ধরে সংস্কারের পর মসজিদটি খুলেছে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।  মসজিদ দর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান হেলিপলিস ওয়ার সিমেট্রিতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে শহিদ হওয়া ৪ হাজার ভারতীয় সৈনিকের দেহ শায়িত রয়েছে এই সিমেট্রিতে। মিশরে ভারতের রাষ্ট্রদূত অজিত গুপ্তে বলেন, বোহরা সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল জরুরি অবস্থা’’, মত প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করেন মোদি। মিশরের প্রেসিডেন্টই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi)। চলতি বছর নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই মোদিকে মিশরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। সেপ্টেম্বরে ফের একবার মিশরের রাষ্ট্রপতি আসবেন ভারতে। এবার ভারতের নেতৃত্বে হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মিশরের রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Flood: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, মৃত ৩, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে (Assam) বন্যা (Flood) পরিস্থিতির আরও অবনতি। শনিবার পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রাজ্যের ১৫টি জেলার ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। রাজ্যের প্রতিটি নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নলবাড়ি জেলা। এদিন এই জেলায় একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে।

    ব্রহ্মপুত্রের রুদ্ররূপ

    জোরহাট জেলায় তেজপুর এবং নেমাটিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। সব মিলিয়ে বন্যার কবলে পড়েছেন ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭১ জন মানুষ। এর মধ্যে মহিলার সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৩৮। ৫৩ হাজার ১১৯ জন শিশুও রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলি হল বাকসা, বারপেটা, বাজালি, চিরাং, দারাং, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, নাগাওঁ, নলবাড়ি এবং তামুলপুর। করুণ অবস্থা বাজালি জেলার। এই জেলায় বানভাসি হয়েছেন ২২ হাজার ১৫৮ জন, নলবাড়িতে দুর্গতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৮ জন। আর লখিমপুরে বন্যার (Flood) কবলে পড়েছেন ২২ হাজার ৬০ জন।

    জলের তলায় 

    দুর্গতদের জন্য ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে ২২০টি। সেখানে ঠাঁই হয়েছে ৮১ হাজার ৩৫২ জনের। ত্রাণ বিলির জন্য প্রশাসনের তরফে বাজালিতে খোলা হয়েছে ৫৭টি কেন্দ্র, নলবাড়িতে ৩৪টি। বানভাসি হয়েছে রাজ্যের ১ হাজার ১১৮টি জেলা। জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে ৮৪৬৯.৫৬ হেক্টর জমির ফসল। কেবল শনিবারই বানের জলে ভেসে গিয়েছে ৯৬৪টি গবাদি পশু। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে ১৫৭টি রাস্তা। ধুবড়িতে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে করিমগঞ্জ জেলার কয়েকটি জায়গায়।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    দারাং জেলায় বাঁধ ভেঙেছে চারটি। নলবাড়ি, গোটাঘাট, কামরূপ এবং বিশ্বনাথ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫টি বাঁধ। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই জল (Flood) বাড়তে পারে রাজ্যের একাধিক নদনদীর। প্রত্যাশিতভাবেই প্লাবিত হতে পারে রাজ্যের নতুন নতুন অঞ্চল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russian Wagner: মস্কো যাওয়ার পথে রণে ভঙ্গ ওয়াগনার গ্রুপের, কারণ কি জানেন?

    Russian Wagner: মস্কো যাওয়ার পথে রণে ভঙ্গ ওয়াগনার গ্রুপের, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় কাজ করেছিলেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হয়ে। পরে সেই পুতিনের বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরে ভাড়াটে সেনার দল ওয়াগনার গ্রুপ (Russian Wagner)। মস্কোর দিকে এগোতেও থাকেন ওই গ্রুপের হাজার কুড়ি সেনাও। হুমকি দিতে থাকেন রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার। এদিকে, এক সময় যে ওয়াগনার গ্রুপের খুব কাছাকাছি ছিলেন পুতিন, সেই গ্রুপকেই দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    আলোচনার টেবিলে বিদ্রোহীরা?

    দু পক্ষে যখন টান টান উত্তেজনা, মস্কোয় যখন চলছে যুদ্ধের ছিলায় টান দেওয়ার তোড়জোড়, ঠিক সেই সময়ই ওয়াগনার (Russian Wagner) বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রগোজিনের নির্দেশে থমকে দাঁড়ান ওই বাহিনীর জওয়ানরা। মস্কো থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভাড়াটে সেনার ওই বাহিনী। রক্তগঙ্গা এড়াতেই আপাতত মস্কো অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের তরফে। জানা গিয়েছে, বেলারুশের উদ্যোগে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছেন বিদ্রোহীরা।

    বেলারুশে যাচ্ছেন ওয়াগনার প্রধান?

    তার জেরে আপাতত ইতি পড়ল রাশিয়ার সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধে। ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেন, রক্তক্ষয়ের আশঙ্কায় ওয়াগনার সেনা তাদের মূল ঘাঁটিতে ফিরে আসছে। তিনি জানান, ওয়াগনার গ্রুপ রোস্তভ শহর দখল করে নিয়েছে। মস্কো থেকে তারা দাঁড়িয়ে রয়েছে ১১০০ কিলোমিটার দূরে। অন্য একটি সূত্রে খবর, ওয়াগনার (Russian Wagner) বাহিনী যাতে আর অগ্রসর না হয়, তাই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেনকোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে প্রিগোজিনের। রাশিয়ায় গতিবিধি থামানোর বদলে ওয়াগনার বাহিনীর যোদ্ধাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার তরফেও জানানো হয়েছে, প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ-মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। এর বদলে প্রিগোজিন তাঁর বাহিনী নিয়ে রাশিয়ার পরিবর্তে চলে যাবে বেলারুশে। সেটিংয়ের তত্ত্ব যে নিছক মিথ্যা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে রাশিয়ার স্টেট মিডিয়া রিপোর্টেও। 

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত। তার পরেই রাতারাতি ফার্স্টপেজ নিউজ হতে থাকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের খবর। প্রথম দিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিরোধের মুখে পড়ায় ওয়াগনার (Russian Wagner) গ্রুপকে কাজে লাগান পুতিন। পরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন এই বাহিনীর জওয়ানরাই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Manipur: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    Manipur: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠক, বন্দি ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে সেনা, অসম রাইফেলসের বাহিনী। শনিবার সর্বদল বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে এক সপ্তাহের মধ্যে সব দলের প্রতিনিধিদের পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের প্রস্তাব ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন শাহ। বৈঠকও করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।

    ধীরে ধীরে ফিরছে শান্তি 

    এদিন বৈঠকের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে একটি ভিডিও দেখানো হয়। তা থেকে স্পষ্ট মণিপুরের এই হিংসা ঐতিহাসিক সংঘাতের ফল। যা রাতারাতি মেটানো সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে বলেও দাবি করা হয়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের ইস্তফা দাবি করে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টি। রাজ্যে মহিলা কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে ডিএমকে। কংগ্রেসের (Manipur) প্রস্তাব, মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস ফিরবে এমন কাজ করতে হবে। বিজেপির তরফে মণিপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সম্বিত পাত্র জানান, মোদির নির্দেশেই মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কেন্দ্রের তরফে সব রকম চেষ্টা চলছে।

    বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি

    এদিকে, রাজ্যে শান্তি ফেরাতে যখন কেন্দ্রের উদ্যোগে চলছে সর্বদলীয় বৈঠক, তখনই সেনাবাহিনীকে ঘিরে ধরে ১২ জন বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল কয়েকজন মহিলা। সেনা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মণিপুরের কাঙ্গলেই ইয়াওল কান্না লুপ দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল। এদিন আচমকাই সেনার ওপর চড়াও হয় ১৫০০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল। দুষ্কৃতীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বাহিনীর ওপর। ১২ জন বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। ফের অশান্তি এড়াতে মানবিক ভূমিকা পালন করে সেনা। ছেড়ে দেওয়া হয় ১২ জন বন্দিকে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’! মিশরে মোদিকে অভ্যর্থনায় হিন্দি গান

    সেনার (Manipur) তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু বিপুল সংখ্যক জনতা চড়াও হয়েছিল, এবং তাদের কাছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ছিল, তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১২ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এলাকা ছাড়ার আগে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে যাবতীয় অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে সেনাবাহিনী। শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মণিপুরবাসীর কাছে জানানো হয় অনুরোধও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নীলনদের দেশে পা রাখলেন মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উন্মাদনা মিশরেও

    PM Modi: নীলনদের দেশে পা রাখলেন মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উন্মাদনা মিশরেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই সফর শেষ করেই শনিবার সকালে ওয়াশিংটন থেকে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেন মিশরের উদ্দেশ্যে। এদিন সন্ধে ৬টার কিছু আগে কায়রো বিমানবন্দরে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ এল-সিসির আমন্ত্রণেই দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মিশর গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবউলি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। ২৬ বছর পরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিশর সফরে গিয়েছেন।

    হোটেলে ‘গান্ধী’

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে কায়রোর হোটেলে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর ভূমিকা নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন মিশরীয় কবি আহমেদ শাওকি। কবিতার নাম ছিল গান্ধী। সেই কবিতার ছবি দিয়েই সাজানো হয়েছে হোটেল। হোটেলের করিডর সাজানো হয়েছে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল সিসির ভারত (PM Modi) সফরের ছবি দিয়ে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিশরের প্রেসিডেন্টকে। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগও দিয়েছিলেন তিনি। সেই ছবি দিয়েই সাজানো হয়েছে করিডর।

    প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি

    জানা গিয়েছে, এদিন রাতেই মিশরের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে। পরে সাক্ষাৎ করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে। রাত পোহালে রাষ্ট্রপতি আবদেল ফতেহ এল সিসির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মিশরের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন তিনি।

    রবিবার মিশরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পরিদর্শন করবেন একাদশ শতকের আল হাকিম মসজিদ। সেখানে থাকবেন প্রায় আধ ঘণ্টা। ষোড়শ ফাতিমিদ খলিফা আল হাকিম বাই আমর আলহের নামাঙ্কিত ওই মসজিদ ইতিহাস খ্যাত। কায়রোয় দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের কাছে এই মসজিদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক স্থল।

    মসজিদ থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন হেলিওপলিস ওয়ার সিমেট্রিতে। সেখানে শায়িত রয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিশরের জন্য চূড়ান্ত আত্মত্যাগকারী বীর ভারতীয় সৈনদের দেহ। সেই বীর জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ওই সিমেট্রিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির সফর শেষে সেপ্টেম্বরে ফের ভারতে আসছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসছেন তিনি।

     

     

     

  • Adipurush Row: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ‘আদিপুরুষে’র! শাহকে চিঠি অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    Adipurush Row: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত ‘আদিপুরুষে’র! শাহকে চিঠি অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক অব্যাহত ‘আদিপুরুষ’কে (Adipurush Row) নিয়ে। এবার হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে সোচ্চার হল অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন। ‘আদিপুরুষে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। চিঠিতে বলা হয়েছে, ছবির পরিচালক ওম রাউত, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকারের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশে অভিযোগ জানাবে অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সভাপতি সুরেশ শ্যামল গুপ্তা চিঠি পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে মুম্বইয়ের অ্যাডিশনাল কমিশনার বিনায়ক দেশমুখকে।

    টিজারে বিতর্ক

    বিতর্ক শুরু হয়েছিল ছবির টিজার প্রকাশ্যে আসার পরেই। রাবণকে দেখে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। ছবি মুক্তির পর ফের ডাকে সমালোচনার বান। দেখা যায়, রামায়ণের (Adipurush Row) সঙ্গে কোনও মিলই নেই সিনেমার গল্পের। ভগবান হনুমানের সংলাপ নিয়েও হয় আর একপ্রস্ত প্রতিবাদ। এসবের জেরে দিনকে দিন কমতে থাকে সিনেমা হলে সিনে-প্রেমীদের ভিড়। এহেন আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

    সনাতন ধর্মের ওপর আঘাত!

    চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভগবান শ্রী রাম, সীতা এবং রামভক্ত হনুমানের পুজো করা হয়। কিন্তু ছবিতে তাঁদের চরিত্র ভুলভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। মহাকাব্য রামায়ণের অপমান করা হয়েছে। ছোটবেলা থেকে রামায়ণ মহাকাব্যের প্রতি যে বিশ্বাস ও ভক্তি তৈরি করা হয়, তা নষ্ট করা হচ্ছে। শাহকে লেখা চিঠিতে এও বলা হয়েছে, ছবির প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজ, চিত্রনাট্যকার মনোজ মুন্তাশির ও পরিচালক ওম রাউত রামায়ণের নকল করার চেষ্টা করেছেন।

    ছবির সংলাপ, চরিত্রদের পোশাক ও গল্প বলার ধরনে যে খামতি উঠে এসেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। হিন্দু হয়ে এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এই ছবি সমগ্র হিন্দু ধর্মের (Adipurush Row) ভাবাবেগের ওপর আঘাত করেছে। আঘাত করেছে ভারতীয় সংস্কৃতির সনাতন ধর্মের ওপরও। হিন্দু দেবদেবীর প্রতি মানুষের যে ভক্তি-শ্রদ্ধা, তা এই ছবির মধ্যে দিয়ে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকার পর এবার মিশর সফরে মোদি, যাবেন আল হাকিম মসজিদে, কেন জানেন?

    মুম্বইয়ের একটি সিনেমা হলের নির্বাহী পরিচালক মনোজ দেশাই বলেন, “এই সিনেমা (Adipurush Row) বানানোর জন্য ওদের জেলে যাওয়া উচিত। ছবিটি হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। যারা ছবিটি তৈরির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে লেখক মনোজ মুনতাশির, তাদের জেলে পাঠানো উচিত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    Russia Crisis: রাশিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! বিদ্রোহ দমনে কড়া বার্তা পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে দশা রাশিয়ার (Russia Crisis) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। বছর দেড়েক ধরে যুদ্ধ চললেও, এখনও সম্ভব হয়নি ইউক্রেন বিজয়! এমতাবস্থায় রাশিয়ার অন্দরেই মাথাচাড়া দিল বিদ্রোহ। মস্কোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন রাশিয়ার পেশাদার যোদ্ধারা। সূত্রের খবর, প্রায় ২৫ হাজার সেনার বাহিনী ক্রমেই এগোচ্ছে মস্কোর দিকে। বিদ্রোহ দমন করতে পেশাদার যোদ্ধাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

    ওয়াগনারের প্রধানকে গ্রেফতারের নির্দেশ

    পেশাদার যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজিন প্রগোজিনকে সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া সরকার। দেওয়া হয়েছে গ্রেফতারের নির্দেশও। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই ওয়াগনার যোদ্ধারা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। মস্কোর (Russia Crisis) সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করেছে তারা। এমতাবস্থায় পুতিনের কড়া বার্তা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা হাতে অস্ত্র তুলে নেবেন, তাঁরা দেশের কাছে বিশ্বাসঘাতক বলে গণ্য হবেন।

    পুতিনের হুমকি

    এদিকে, ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের চেষ্টা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, পুতিন প্রতিরক্ষমন্ত্রক, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রক ও ন্যাশনাল গার্ডের কাছ থেকে নিয়মিত এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন। দেশের অভ্যন্তরণী বিদ্রোহ (Russia Crisis) ঠেকাতে শনিবার জাতির উদ্দেশে আবেগতাড়িত ভাষণ দেন পুতিন। তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশের পিঠে ছুরি মারা। এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা বেইমানি, বিশ্বাসঘাতকতা। অতি উচ্চাকাঙ্খা এবং ব্যক্তিস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। যে বা যাঁরা দেশের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, সচেতনভাবেই এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা যাঁদের, সন্ত্রাসবাদীদের মতো ব্ল্যাকমেল করছেন, দেশের আইন এবং নাগরিকদের কাছে তাঁদের কঠোর শাস্তি অনিবার্য। তিনি বলেন, এই ধরনের অভ্যন্তরীণ অশান্তি আমাদের রাষ্ট্রীয় ও জাতিগত পরিচয়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটা সমগ্র রাশিয়া ও দেশের নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত ধাক্কার। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি আমাদের নাগরিকদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এই সময় জাতীয় ঐক্য অবশ্যই জরুরি।

    এদিকে, ওয়াগনার (Russia Crisis) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ক্রেমলিনকে দায়ি করে প্রগোজিন বলেন, আমরা মস্কো যাচ্ছি এবং যে কেউ আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী আমাদের শিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, আমাদের প্রচুর সংখ্যক যোদ্ধা, আমাদের কমরেডদের হত্যা করেছে।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকার পর এবার মিশর সফরে মোদি, যাবেন আল হাকিম মসজিদে, কেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share