Author: Krishnendu Bakshi

  • International Yoga Day: ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস, দিনটি সম্পর্কে জানেন?

    International Yoga Day: ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস, দিনটি সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুন ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ (International Yoga Day)। এবার নবম বর্ষে পড়ল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মার্যাদার সঙ্গে পালন করা হবে দিনটি। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের (UN) সদর দফতরেও পালিত হবে দিনটি। এবার ওই অনুষ্ঠানে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও (PM Modi)। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত যোগা হবে সেখানে।

    যোগা কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগা কী? যোগা হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগা। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগার উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগা হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগা শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। …শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগা। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগা একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘বিশ্ব যোগা ডে’

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘বিশ্ব যোগা ডে’ (International Yoga Day) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ওয়ার্ল্ড যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগা ডে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগা ডে পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    আরও পড়ুুন: তিনি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগা ডে (International Yoga Day) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই হচ্ছে বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগার ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগা সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়বেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Matua Thakurbari: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Matua Thakurbari: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে (Matua Thakurbari) অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এডিজি পদ মর্যাদার কোনও আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্ব দিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তাঁর নির্দেশ, অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর গ্রহণ করতে হবে পুলিশকে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মামলায় মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেসব মতুয়া ভক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদেরও জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। রাজ্যকে হাইকোর্টের নির্দেশ, ওই মন্দির চত্বর ও হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে পুলিশকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই।

    অভিষেককে বাধা মতুয়াদের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মতুয়া মন পেতে ১১ জুন ঠাকুরবাড়িতে (Matua Thakurbari) পুজো দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এবং দলীয় বিধায়ক তাপস রায়। বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছান তাঁরা। তাঁদের মন্দির ঢুকতে বাধা দেন শান্তনু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনিয়া। দু পক্ষের কথা কাটাকাটির মধ্যেই মূল মন্দিরে ঢুকে পড়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন শান্তনু। মূল মন্দির ঢুকতে না পেরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। 

    সিট গঠনের নির্দেশ

    অনুমতি না নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন (Matua Thakurbari) অভিষেক, এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন মতুয়াদের একাংশ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শান্তনু। সাংসদের অভিযোগ, মন্দিরের তরফে জানানো হলেও, কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উল্টে ওই দিনের ঘটনায় কয়েকজন ভক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শান্তনুর এই মামলার প্রেক্ষিতে সিট গঠনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    বাম জমানায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের (Matua Thakurbari) রাশ ছিল বামেদের হাতে। পরে হাতবদল হয় রশি। রাজ্যে পালাবদলের পর মতুয়া মহাসঙ্ঘের রাশ হস্তগত করে তৃণমূল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই সেই রশি চলে আসে বিজেপির হাতে। তার পর থেকে মতুয়া মন পেতে চেষ্টার কসুর করছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ওই দিন ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের পুজো দিতে যাওয়াও সেই চেষ্টারই অঙ্গ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • PM Modi: আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, দেখা করবেন ইলন মাস্কের সঙ্গেও?

    PM Modi: আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী, দেখা করবেন ইলন মাস্কের সঙ্গেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রণে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি সফরে তিনি সাক্ষাৎ করবেন টেসলা সিইও এবং ট্যুইটারের মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে।

    মোদি-মাস্ক সাক্ষাৎ

    ২০১৫ সালে ক্যালেফোর্নিয়ার টেসলা মোটরস কারখানা পরিদর্শনের সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেই সময় ট্যুইটারের মালিক ছিলেন না মাস্ক। ভারতে কারখানা গড়ে তোলার জন্য জায়গা খুঁজছে টেসলা। এমন সময় ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বই কি! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক জানিয়েছিলেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই টেসলা ভারতে কারখানা গড়ার জন্য জমি নির্বাচন চূড়ান্ত করে ফেলবে।

    কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মোদি?

    কেবল মাস্ক নন, এদিন নিউইয়র্কে পা রাখার পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সাক্ষাৎ করবেন দু ডজনেরও বেশি খ্যাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে। এঁদের মধ্যে যেমন নোবেল পুরস্কার প্রাপক রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন গায়ক, শিক্ষাবিদ সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। জানা গিয়েছে, চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন লেখক ও জ্যোতির্পদার্থবিদ নীল ডিগ্র্যাস টাইসন, অর্থনীতিবিদ পল রোমার, পরিসংখ্যানবিদ নিকোলাস নাসিম তালেব, বিনিয়োগকারী রে ডালিও, ইন্দো-মার্কিন গায়ক ফালু শাহ, লেখক ও গবেষক জেফ স্মিথ, প্রাক্তন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান, কূটনীতিক ড্যানিয়েল রাসেল এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এলব্রিজ কোলবির সঙ্গে। নোবেলজয়ী চিকিৎসক পিটার অ্যাগ্রে, স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ক্লাসকো এবং ইন্দো-মার্কিন ব্যবসায়ী ও শিল্পী চন্দ্রিকা ট্যান্ডনের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা দেশ মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী”! পশ্চিমবঙ্গ দিবসে তোপ শুভেন্দুর

    আমেরিকায় ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বুধবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। পরের দিন বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভাষণ দেবেন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে। ওই দিনই নৈশভোজ সারবেন বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেনের সঙ্গে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। আমেরিকা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মিশরে। সেখানেও যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Paschimbanga Diwas: মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উড়িয়ে রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    Paschimbanga Diwas: মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি উড়িয়ে রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপত্তি জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas) পালনের সিদ্ধান্তে তিনি যে মর্মাহত, চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন তাও। সেসব উপেক্ষা করেই ২০ জুন, মঙ্গলবার রাজভবনে পালিত হল পশ্চিমবঙ্গ দিবস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে এনসিসির প্রতিনিধিরা প্যারেড করে সূচনা করেন অনুষ্ঠানের। পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে এদিন বসে আঁকো সহ নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল স্কুল পড়ুয়ারা।

    পশ্চিমবঙ্গ দিবসে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তা

    পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বার্তা, “পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, খেলাধূলা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমন্বয়ে ভারতের অনন্য গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। …পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান ব্যক্তিরা আমাদের জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক প্রাণবন্ততার আর একটি তরঙ্গ আনতে পারে। আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে আমার শুভেচ্ছা জানাই এবং সাফল্য কামনা করি।” আনন্দ বোসের আগে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর আমলেও মর্যাদা সহকারে পালিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas)। সেই রীতি মেনে এবারও পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করলেন আনন্দ বোস।

    পশ্চিমবঙ্গের জন্ম

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। যদিও সলতে পাকানো হচ্ছিল ঢের আগে থেকেই। ওই বছর ২০ জুন বৈঠকের আয়োজন করে বঙ্গীয় আইন পরিষদ। বাংলা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকবে নাকি ভারতের সঙ্গে থাকবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বাংলাকে দ্বিখণ্ডিত করার ও পশ্চিমবঙ্গের ভিত্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকেই দিনটি পালিত হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে।বিজেপির দাবি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ২০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে সিলমোহর পড়ে। সে দিন শ্যামাপ্রসাদপন্থী ৫৪ জন বিধায়কের প্রবল দাবির জেরেই পশ্চিমবঙ্গ স্বীকৃতি পেয়েছিল। জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের।

    আরও পড়ুুন: “দুষ্কৃতীরা ওয়াররুম খুলেছে, তাই রাজভবনে পিস রুম”, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পশ্চিমবঙ্গ দিবস (Paschimbanga Diwas) পালনের দাবি জানিয়েছিলেন বিধানসভায়। তাঁর সেই দাবিকে অবশ্য মান্যতা দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পিছনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মেঘনাদ সাহা, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতো বহু বরেণ্য মানুষ ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করে আমরা যে নিজেদের ভারতবাসী বলে পরিচয় দিতে পারছি, তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল ২০ জুন। এই দিনটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • RAW Chief: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

    RAW Chief: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘র’-এর প্রধান (RAW Chief) পদে নিয়োগ করা হল অভিজ্ঞ আইপিএস (IPS) অফিসার রবি সিনহাকে। ছত্তিসগড় ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। ‘র’-এর দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের বিশেষ সচিবের দায়িত্বে। সাত বছর ‘র’-এর অপারেশনাল বিভাগের প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছে রবি। এবার তাঁকে নিয়োগ করা হল ‘র’-এর প্রধানের পদে। মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি তাঁর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী দু বছর ওই পদে থাকবেন তিনি। সামন্ত কুমার গোয়েলের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রবি। ৩০ জুন মেয়াদ শেষ হবে গোয়েলের।

    নয়া পদে রবি সিনহা

    সরকারের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রি পরিষদের নিয়োগ কমিটি ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটের সচিবালয়ের বিশেষ সচিব আইপিএস অফিসার শ্রী রবি সিনহাকে, ৩০ জুন সামন্ত গোয়েলের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর গবেষণা ও বিশ্লেষণ উইংয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। পদের দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরের দু বছর বা পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন।

    ‘র’-এর জন্ম

    ১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ‘র’-এর (RAW Chief)। এই সংস্থার প্রাথমিক কাজ হল বিদেশে গোয়েন্দাগিরি করে তথ্য সংগ্রহ করা। সন্ত্রাসবাদ বিস্তার প্রতিরোধে ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়াও এর কাজ। ‘র’-এর প্রথম প্রধান ছিলেন রামেশ্বর নাথ কাও। টানা ন’ বছর ওই পদে ছিলেন তিনি। রবি এই সংস্থার ২৩তম প্রধান।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে পড়াশোনা রবির। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে লো প্রোফাইল অফিসার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রবীণ আইপিএস অফিসার রবি তাঁর পেশাদারি দক্ষতার জন্য গোয়েন্দাদের মধ্যে বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির বিষয়ে বিষেশজ্ঞ হিসেবেই তাঁকে চেনে নয়াদিল্লি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘র’-কে (RAW Chief) উন্নত করতে বড় ভূমিকা রয়েছে রবির। বিভিন্ন সময়ে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারতের উপদ্রুত এলাকাগুলিতে এবং বামপন্থী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ছত্তিসগড় ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের ঝুলিতে। নয়াদিল্লির আশা, রবি প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাত্রাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সেই কারণেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫৯ বছর বয়সী এই আইপিএস অফিসারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    Khalistan: কানাডায় গুলিতে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুলি করে খুন করা হল খালিস্তানি (Khalistan) জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জারকে (Hardeep Singh Nijjar)। ভারত সরকারের তরফে তাকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছিল। মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা। পাঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা হরদীপ বর্তমানে কানাডায় (Canada) ছিল। কানাডিয়ান শিখ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত ছিল হরদীপ। সম্প্রতি ভারত সরকার ৪১ জন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হরদীপেরও।

    খালিস্তানপন্থীদের ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ

    বছর কয়েক ধরে কানাডায় বসবাস করছিল হরদীপ। সেখান থেকে খালিস্তানপন্থীদের ইন্ধন জোগাচ্ছিল সে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অপারেটরদের রসদ এবং অর্থ সরবরাহও করতে শুরু করেছিল হরদীপ। সম্প্রতি তাকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার। সম্প্রতি ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় হরদীপের দুই সাগরেদকে।

    পুরোহিত হত্যার অভিযোগ

    হরদীপের (Hardeep Singh Nijjar) বিরুদ্ধে ২০২২ সালে জলন্ধরে পুরোহিত হত্যার অভিযোগও ওঠে। এনআইএর দাবি, ওই পুরোহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল খালিস্তান টাইগার ফোর্স। এই ফোর্সের প্রধান ছিল হরদীপ। এনআইএর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দিতে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরি করেছিল হরদীপ। এ জন্য সদস্য সংগ্রহ, তাদের প্রশিক্ষণ, অর্থের জোগান সব কিছুর সঙ্গেই সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল সে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে উসকানিমূলক এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গেও জড়িত ছিল হরদীপ। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা।

    হরদীপের (Khalistan) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কানাডা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারত। পঞ্জাব পুলিশ হরদীপকে ভারতে ফেরানোর জন্য দাবি জানিয়েছিল কানাডার কাছে। রাজ্যে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ায় তাকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব পুলিশ। ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল পুলিশ।পরের বছর জারি করা হয় রেড কর্নার নোটিশ। ২০২০ সালে হরদীপকে ইন্ডিভিজুয়াল টেরোরিস্ট ঘোষণা করে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুুন: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারে শহরের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের পার্কিং লটে হরদীপ যখন তার বাইকে বসছিল, সেই সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুই বন্দুকধারী এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোস্ট ওয়ান্টেড (Khalistan) এই জঙ্গির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    PM Modi: আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে সে দেশে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন বাইডেন (Joe Biden) এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। ওই রাতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন মোদি। এদিনই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভাষণ দেবেন মোদি

    পরের দিন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন প্রবাসী ভারতীয়দের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রেগন বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে হবে ওই অনুষ্ঠান। সেখানে ভারতের উন্নতির গল্প শোনাবেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সময় সন্ধে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হবে ওই অনুষ্ঠান। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা মেরি মিলবেন গাইবেন মোদির সৌজন্যে। ২১ তারিখে পালিত হবে ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে। রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে মোদির নেতৃত্বে মর্যাদা সহকারে পালিত হবে দিনটি। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে সেখানেও উপস্থিত থাকবেন মিলবেন।

    মোদির জনপ্রিয়তা

    মোদির রোনাল্ড রেগন সেন্টারের অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ভারত বড়াই বলেন, “মোদি (PM Modi) এ দেশে ভীষণ জনপ্রিয়। তিনি কেবল ভারতের নেতা নন, তিনি বিশ্বেরও অন্যতম নেতা।” বর্তমানে আমেরিকায় ৪.৫ মিলিয়ন প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন। এঁদের সদস্যরা আশা করেন একমাত্র মোদিই সে দেশের বিভিন্ন শহরে বক্তৃতা দিয়ে তাঁদের মধ্যে সংযোগ সাধন করবেন। ইন্ডিয়ান আমেরিকান কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বড়াই বলেন, “প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁরা চেয়েছিলেন ২০১৪ সালে ম্যাসিডন স্কোয়ার গার্ডেনে এবং ২০১৯ সালে হিউস্টনে যেমন মেগা কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল, এবারও তেমনটাই হবে।

    আরও পড়ুুন: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    প্রাথমিক সেই পরিকল্পনা অবশ্য বাতিল করা হয়েছে। তার বদলে অনুষ্ঠান হবে রোনাল্ড রেগন বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে।” বড়াই জানান, ওয়াশিংটন ডিসি সফর শেষে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রবাসী সব ভারতীয়কে ওই অনুষ্ঠানে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে হাজারখানেক প্রবাসী ভারতীয় উপস্থিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। প্রবাসী ভারতীয়দের আশা, ২২ জুন বাইডেনের তরফে যে মোদিকে স্বাগত জানানো হবে, তা চাক্ষুষ করতে উপস্থিত থাকবেন বহু প্রবাসী। মোদির (PM Modi) সম্মানে প্রবাসীদের তরফে নিউইয়র্ক সহ সে দেশের ২০টি শহরে পদযাত্রা করা হবে। স্লোগান দেওয়া হবে, ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘বন্দে আমেরিকা’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্য সরকার, কেন জানেন?

    Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্য সরকার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রথম দফায় পর্ষদের কাছে প্রশাসনিক বদলির নির্দেশ গিয়েছিল ৬০৩ জন শিক্ষকের। আপাতত গোটা প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এই শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা হচ্ছে। প্রতিহিংসাবশতই রাজ্য সরকার শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ একাধিক শিক্ষক সংগঠনের। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও তোলে শিক্ষক সংগঠনগুলি। যদিও রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, প্রতিহিংসা নয়, পদ্ধতি মেনেই নেওয়া হয়েছে বদলির সিদ্ধান্ত।

    বদলির নির্দেশ

    যে ৬০৩ জন শিক্ষককে বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। ১৩ থেকে ১৬ জুন টানা চার দিন ধরে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ১৯ জুন সোমবার। বৃহস্পতিবার বদলির নির্দেশ স্থগিত রেখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর। কথা ছিল, গরমের ছুটির পরে কার্যকর হবে বদলির এই নির্দেশ। তার আগেই এল স্থগিতাদেশ।

    নির্দেশ স্থগিতাদেশের সম্ভাব্য কারণ

    কেন এই স্থগিতাদেশ? এনিয়ে শিক্ষক মহলে নানা মত শোনা যাচ্ছে। শিক্ষকদের একাংশের মতে, এভাবে বদলি করা হলে স্কুলগুলিতে সমস্যা হতে পারে। বাড়ি থেকে দূরে বদলি করা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকদের একাংশ আবার আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। স্থগিতাদেশ নির্দেশ জারির আরও একটি কারণ শোনা যাচ্ছে। এটি হল, দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের কাজে প্রচুর শিক্ষকের প্রয়োজন। তাই নির্বাচনের আগে ওই ৬০৩জন শিক্ষককে বদলি করা হলে, সমস্যা আরও বাড়বে।

    আরও পড়ুুন: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    শিক্ষকদের অন্য একটি অংশের মতে, বদলির নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকদের কেউ অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে, কেউ আবার দূরত্বজনিত অসুবিধার কারণে বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখার আবেদন জানিয়েছেন। বদলির নির্দেশে স্থগিতাদেশের এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে নির্বাচন-পর্ব মিটলে ফের এই শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nausad Siddique: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    Nausad Siddique: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুনের আশঙ্কা করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের (ISF) নওশাদ সিদ্দিকি (Nausad Siddique)। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন শুক্রবার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেই চিঠি লেখার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নওশাদকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। তাঁকে দেওয়া হবে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা।

    জেলায় জেলায় অশান্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। অশান্তি হয়েছে ভাঙড়েও। তৃণমূলের খাসতালুক ভাঙড়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসিয়েছে নতুন দল আইএসএফ। তৃণমূল প্রার্থীকে গোহারা হারিয়ে জয়ী হয়েছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই অশান্তির আগুন জ্বলেছে ভাঙড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে পরেই ভাঙড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। তার পর তৃণমূল এবং আইএসএফ (Nausad Siddique) কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হয় সংঘর্ষ।

    আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু

    দিন তিনেক আগে তৃণমূল আইএসএফ সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছিল একজনের। এলাকার একটি পানা পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় কাশীপুর থানার পুলিশ। সব মিলিয়ে নির্বাচনী অশান্তির জেরে কেবল ভাঙড়েই মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দিন ভাঙড় ২ বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসছিলেন আইএসএফ কর্মী ওই যুবক। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাঁর সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হন আইএসএফের আরও কয়েকজন। পরে মৃত্যু হয় ওই আইএসএফ কর্মীর।

    ঘটনার জেরে ফের একপ্রস্ত সংঘর্ষ হয় দু পক্ষে। লাঠি, বাঁশ নিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় দু পক্ষকে। মুড়িমুড়কির মতো হয় বোমাবাজিও। পরে ভাঙড়ের অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।অশান্তির এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে যান ভাঙড়ের বিধায়ক (Nausad Siddique)। যদিও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। পরে নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন নওশাদ। তার পরেই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    PM Modi: মোদির মার্কিন সফরে অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সে দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজও। রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়াও। প্রধানমন্ত্রীর সফরে গন্ডগোল পাকাতে চাইছে পড়শি দেশ পাকিস্তান। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে।

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠক আইএসআইয়ের

    সেই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই (ISI) খালিস্তানপন্থী বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। এই সংগঠনগুলি আমেরিকায় ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সফরের মধ্যে অশান্তি পাকানোর ষড়যন্ত্র ছকা হয়েছে ওই বৈঠকে। মোদির আমেরিকা সফরের দিন ঘনিয়ে আসতেই সে দেশে সক্রিয় হয়েছে আইএসআই। কেবল তাই নয়, খালিস্তানপন্থী এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্যও করছে পাকিস্তানের ওই গোয়েন্দা বিভাগ।

    মোদির গুরুত্ব

    ইদানিং কালে বিশ্বনেতাদের মধ্যে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদিকে। ব্যতিক্রম নয় আমেরিকাও। সেই কারণেই বাইডেন প্রশাসনের তরফে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোদিকে। হাতে গোণা বিশ্বনেতাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র, যিনি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন দুবার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সম্মান এবং গুরুত্ব প্রত্যাশিতভাবেই মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে পাকিস্তানের। সেই কারণেই মোদির সফরে অশান্তির ছক কষা হয়েছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।

    আরও পড়ুুন: আইনি চাপে কমিশন! আজ কি সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি?

    জানা গিয়েছে, মোদির (PM Modi) সফরে বিঘ্ন ঘটানোর একটা ছকও কষেছে আইএসআই। কীভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে, কোথায়ইবা দেখান হবে এসবই প্রকাশ্যে এসেছে। ভারত-বিরোধী বিদ্বেষের বিষ ছড়াতে খোলা হয়েছে ওয়েবসাইটও। ভারতীয় সেনারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন বলেও মিথ্যে প্রচার করতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আইএসআইয়ের মদতে যেসব সংগঠন বিক্ষোভ দেখানোর ছক কষছে, তাদের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটারেন্স ফর পিসের মতো সংগঠনও। ২২ জুন হোয়াইট হাউসে মোদিকে স্বাগত জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। সেই সময় হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ওই সংগঠনগুলি। ‘মোদিকে স্বাগত নয়’, ‘হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে ভারতকে রক্ষা কর’ জাতীয় স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এখন দেখার, বিক্ষোভকারীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বাইডেনের দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share