Author: Krishnendu Bakshi

  • Panchayat Election 2023: মোতায়েন করা হয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফের আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি

    Panchayat Election 2023: মোতায়েন করা হয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফের আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Panchayat Election 2023) মোতায়েনের। তার পরেও মোতায়েন করা হয়নি বাহিনী। তাই বাংলার পোল বডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। রবিবার পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের সর্বত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই নির্দেশ না মানায় আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, এই মামলায় আমি একজন আবেদনকারী। আগামিকাল (সোমবার) আমি নতুন করে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে। তিনিই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই এখনও মোতায়েন করা হয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    কেবল স্পর্শকাতর এলাকা নয়, রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রায় পড়তে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, “স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করার বিষয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে কমিশন যা করার তা করেনি। সামগ্রিকভাবে অবাধ মনোনয়ন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেক্ষেত্রেও বড়সড় ফাঁক থেকে গিয়েছে। সেই কারণেই গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছে আদালত।”

    আরও পড়ুুন: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ওই দিন সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালতের নির্দেশ, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এদিন আদালতকে (Panchayat Election 2023) রাজ্য জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় যাতে পুলিশবাহিনীর ঘাটতি না থাকে, তাই পড়শি রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী আনানোর ব্যবস্থা করছে তারা। কিন্তু আলাদত সাফ জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে কমিশনকে। আর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ জোগাবে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “আত্মনির্ভর ভারত কোনও বিকল্প নয়, প্রয়োজন”, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: “আত্মনির্ভর ভারত কোনও বিকল্প নয়, প্রয়োজন”, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আত্মনির্ভর ভারত কোনও বিকল্প নয়, প্রয়োজন।” শনিবার কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “ভারত সীমান্তে ডাবল থ্রেটের মুখোমুখি। বর্তমানে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে বদলাচ্ছে যুদ্ধের কৌশলও। তাই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হতে হবে।”

    ‘আত্মনির্ভর ভারতের’ পক্ষে সওয়াল

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছাড়া আপনি আপনার সীমান্ত রক্ষা করতে পারবেন না। কেবল সীমান্ত নয়, সভ্যতা এবং সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলেও, প্রয়োজন শক্তিশালী সেনাবাহিনীর। এই সেনাই যদি অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়, তখন জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি চলে যাবে হাতের বাইরে। তাই দেশকে শক্তিশালী করতে সেনাবাহিনীর আত্মনির্ভর হওয়াটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

    সার্বভৌমত্ব রক্ষা প্রয়োজন

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে বহু অস্ত্র ইলেকট্রনিক সিস্টেম বেসড। তাই আমাদের অবস্থান কিংবা সংবেদনশীল কোনও তথ্য যারা আমাদের আক্রমণ করছে, তাদের হাতে চলে যাক, এটা কি আমরা চাইতে পারি? তাই আত্মনির্ভর হওয়া প্রয়োজন।” তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের যদি অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও প্লাটফর্মের প্রয়োজন হয়, তাহলে দেশের ভিতরেই সেগুলিকে উন্নত করতে হবে।” রাজনাথ সিংহ বলেন, “আমদানি করা অস্ত্র-সরঞ্জামের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমাদের সাহসী সৈন্যদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “ভারত যদি সামরিক ক্ষেত্রে বিশ্বে কোনও জায়গা নিতে চায়, তাহলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভর হতেই হবে।”

    আরও পড়ুুন: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ইউপি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) জানান, এই লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় প্রায় ১৭০০ হেক্টর জমির মধ্যে এ পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি ইন্ডাস্ট্রি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমি। ১০৯টি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিনিয়োগ হতে পারে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ২,৫০০ কোটি টাকা লগ্নি হয়ে গিয়েছে। এই করিডর যে কেবল স্পেয়ার পার্টস উৎপাদন করবে, তা নয়, এখানে উৎপাদনের পাশাপাশি ড্রোন অ্যাসেম্বল হবে, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যালস, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, এয়ারক্র্যাফ্ট এবং ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত গণতন্ত্রের মাতৃভূমি। আমরা কিছুতেই ২৫ জুনের কথা ভুলব না। ওই দিন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। ভারতের ইতিহাসে তা এক কালো অধ্যায়।” রবিবার ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ফি মাসের শেষ রবিবার দেশবাসীর উদ্দেশে মনের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের নাম ‘মন কি বাত’।

    ‘মন কি বাত’ পেরিয়েছে ১০০-র চৌকাঠ

    ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠান পেরিয়ে গিয়েছে ১০০ পর্বের চৌকাঠ। চলতি মাসে আমেরিকা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এ মাসে ‘মন কি বাতে’র অনুষ্ঠান হয়ে গেল এক সপ্তাহ আগে, ১৮ জুন। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত গণতন্ত্রের মাতৃভূমি। আমরা কিছুতেই ২৫ জুনের কথা ভুলব না। ওই দিন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। ভারতের ইতিহাসে তা এক কালো অধ্যায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই জরুরি অবস্থার প্রতিবাদ করেছিলেন। গণতন্ত্রের সমর্থকদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছিল, তা এখনও মনকে কাঁদিয়ে তোলে। আজ আমরা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি। নবীন প্রজন্মকে গণতন্ত্রের মাহাত্ম্য বোঝাচ্ছে এই সময়কাল।”

    যোগা ফর বসুধৈব কুটুম্বকম

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এদিনের অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “এ বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম হল ‘যোগা ফর বসুধৈব কুটুম্বকম’। এটি যোগের উদ্দীপনা প্রকাশ করে এবং আমাদের একত্রিত করে।” মন কি বাতে এসেছে শিবাজির প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন ম্যানেজমেন্টের প্রসঙ্গ ওঠে তখন আমাদের ছত্রপতি শিবাজির দিকে ফিরে তাকানো উচিত। সাহসিকতার পাশাপাশি তাঁর রাজ্য পরিচালনা থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাঁর ম্যানেজমেন্ট বিশেষ করে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং নৌবাহিনী ভারতের গর্বের বিষয়।”

    আরও পড়ুুন: “জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব কে নেবে?” কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের

    ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে টিবি মুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “টিবিমুক্ত ভারত গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে দেশের তরুণরা।” প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রশংসাও। ভারতের পুরুষ ও মহিলা দলের জুনিয়র এশিয়া কাপ জয়ের প্রসঙ্গেরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বান ও ধসের (Landslide) জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (Sikim) বিস্তীর্ণ এলাকা। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিমের মাঙ্গান থেকে চুংথা পর্যন্ত রাস্তা। এই রাস্তা ধরেই পেগং হয়ে লাচুং ও লাচেন পর্যন্ত যেতে হয় পর্যটকদের।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    এসব জায়গায় বেড়াতে গিয়েছেন বহু পর্যটক। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালিও রয়েছেন। হোটেলে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বাংলাদেশি, ১০ জন আমেরিকান এবং তিনজন সিঙ্গাপুরের। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। তবে প্রকৃতি বিরূপ হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। উত্তর সিকিমে ধস (Landslide) এবং রাস্তা বন্ধের জেরে আটকে পড়েছিলেন এঁরা।

    উদ্ধার ২ হাজার

    শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিমের লাচেন, লাচুং এবং চুংথাং উপত্যকা। তার জেরে উত্তর সিকিম জেলার সদর মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। হড়পা বানে বিধ্বস্ত এলাকায় নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে উদ্ধার করা হচ্ছে পর্যটকদের। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে গরম খাবার, থাকার জায়গা এবং চিকিৎসা সহায়তা। রবিবার সকাল থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব  ভারত ও হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি চলছে রাস্তা সংস্কারের কাজও। ১৫ তারিখ থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে। তার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস (Landslide)। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলিতে যাওয়ার পথ। ধসের কারণে ৩৪৫টি চারচাকা গাড়ি ও ১১টি মোটর সাইকেলও আটকে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর। তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী রীতিমতো ফুঁসছে। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীর জলে ভেসে গিয়েছেন নবতিপর এক ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Heatwave: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    Heatwave: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা ঢুকে গিয়েছে দেশে। তবে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারে (Bihar) এখনও দেখা নেই সজল মেঘের। বরং চলছে তাপপ্রবাহ (Heatwave)। তাপপ্রবাহের জেরে গত তিন দিনে উত্তর প্রদেশ ও বিহারে মৃত্যু হয়েছে মোট ৯৮ জনের। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে মারা গিয়েছেন ৫৪ জন, বিহারে ৪৪ জন। এই যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই বালিয়া জেলার বাসিন্দা।

    তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ

    জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে ১৫, ১৬ এবং ১৭ জুন যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে তিনদিনে এই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ৪০০-রও বেশি রোগী। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের সিংহভাগেরই বেশির বয়স ৬০ বছরের বেশি। বালিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত কুমার বলেন, “তাপপ্রবাহের কারণে রোগীরা কোনও না কোনও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

    কীভাবে মৃত্যু 

    বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, ব্রেন স্ট্রোক এবং ডায়েরিয়ার কারণে।” গত কয়েক দিন ধরে বালিয়ার তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রির ঘর। শুক্রবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি।

    আরও পড়ুুন: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    তাপপ্রবাহ (Heatwave) চলছে বিহারেও। তাপপ্রবাহের জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এর মধ্যে কেবল পাটনায়ই মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। বাকি ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে। রাজ্যের ১৮টি জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যের ১১টি জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। পাটনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ২৪ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলায় স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ১৮ এবং ১৯ জুন ওরঙ্গাবাদ, রোহতাস, ভোজপুর, বক্সার, কাইমুর এবং আরওয়াল জেলায় আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে চরম তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কতা। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কমলা সতর্কতার পাশাপাশি রাজ্যের কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই তিনদিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই সফরে তাৎপর্যপূর্ণ ফল মিলবে বলে শনিবার জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটাই প্রথমবার যে ভারতের একজন প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতা দেবেন দুবার।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের ডাকে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে। ওই দিনই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’

    জয়শঙ্কর বলেন, “রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা সর্বোচ্চ সম্মান। সুতরাং, যে সম্মান তিনি পাবেন, এ পর্যন্ত খুব কম রাষ্ট্রপ্রধানই তা পেয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের ন’ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। অনুষ্ঠান হয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির বাদাপুর এলাকায়। সেখানেই মোদির আসন্ন মার্কিন সফর নিয়ে আশা প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে দুবার ভাষণ দেননি। তাই এটাই হবে প্রথম। তামাম বিশ্বের অল্প কিছু রাষ্ট্রপ্রধান এই সুযোগ পেয়েছেন…উইনস্টন চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলা।”

    মোদির সফরসূচি

    জানা গিয়েছে, ২০ জুন আমেরিকা পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। পরের দিন রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে নেতৃত্ব দেবেন নবম ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে-র অনুষ্ঠানের। পরে তিনি যাবেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। সেখানে ২২ তারিখ তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি। ২৪ তারিখ পর্যন্ত আমেরিকায়ই থাকবেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে গ্রিন কার্ড বিলির নিয়ম শিথিল করল বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকায় যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের গ্রিন কার্ড হোল্ডার হতে হয়। এতদিন এই নিয়ম যথেষ্ট কঠোর ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই শিথিল করা হল তা। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় পাকাপাকিভাবে থাকতে গেলেও গ্রিনকার্ডের প্রয়োজন হয়। ভারতের বহু নাগরিক হন্যে হচ্ছেন গ্রিনকার্ডের জন্য। নিয়ম শিথিল হওয়ায় এবার আর দীর্ঘদিন তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে না গ্রিনকার্ডের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    Amit Shah: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) ওপর আছড়ে পড়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Biparjoy)। তারপর দুদিন কেটে গেলেও ছন্দে ফেরেনি গুজরাট। প্রাণহানির কোনও ঘটনা অবশ্য ঘটেনি। শনিবারও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিপর্যয়-ধ্বস্ত গুজরাটবাসীর অবস্থা চাক্ষুষ করতে এদিন গুজরাটে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে। 

    শাহি সফর

    ঝড়ে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র। এদিন ওই দুই এলাকা ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। ঘুরে দেখে জাখাউ বন্দরও। মান্ডভি জেলার খাতদা গ্রামে গিয়ে কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। শাহের সঙ্গে বিপর্যয়-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিক। ত্রাণ ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজখবরও নেন। পরে ভুজে কালেক্টরেট অফিসে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? জানতে চাইলেন শাহ

    উপকূলবর্তী কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেন তিনি। কীভাবে অতি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, আলোচনা করেন সে ব্যাপারেও। এদিকে, ঝড়ের দাপট কমলেও, নাগাড়ে হয়ে চলেছে বৃষ্টি। শনিবারও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হওয়ায় রবিবার থেকে কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র উপকূল এলাকায় কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “বিপর্যয় যখন আছড়ে পড়ে, সেই ক্ষণ থেকেই আমি একটি সমীক্ষা করেছিলাম। ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিমি বেগে আছড়ে পড়েছিল। তৃতীয় দিনে আমরা দেখলাম, ঝড়ে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। অর্থাৎ আমরা সফলভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পেরেছি। প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, আহত হয়েছেন ৪৭ জন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Godhra: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব, গোধরাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন ৩৫ জন

    Godhra: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব, গোধরাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন ৩৫ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই ২০০২ সালের গুজরাট (Godhra) হিংসায় বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্ত ৩৫ জন। গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার হালোল শহরের এক নিম্ন আদালত তাঁদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ঘটনার ২১ বছর পর এবার গরাদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গুজরাট হিংসায় অভিযুক্ত ছিলেন ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে বিচার চলাকালীন মারা যান ১৭ জন। বাকিরা পেলেন মুক্তির স্বাদ। আদালত এও বলেছে, “এই হিংসা স্বতঃস্ফূর্ত, পরিকল্পনামাফিক নয়।” নিম্ন আদালতের বিচারক হর্ষ ত্রিবেদীর পর্যবেক্ষণ, “ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষ কিছু গণমাধ্যম আর রাজনীতিবিদ যাঁরা এই হিংসার ঘটনাকে পরিকল্পনামাফিক বলেছিলেন, তাঁরা আসলে হিংসার ক্ষতে নুনের ছিটে দিয়েছেন।”

    আদালতের বক্তব্য

    গোধরা (Godhra)-উত্তর কালে খুন করা, প্ররোচনা দেওয়া ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে। চলছিল তদন্তও। তদন্তে বয়ান নেওয়া হয় ১৩০ জন সাক্ষীর। বিচারক হর্ষ ত্রিবেদী বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা বহু নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও নিরপরাধ মানুষ যাতে সাজা ভোগ না করেন, তা দেখা আদালতের কাজ।”

    তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি

    গোধরা-পরবর্তী হিংসায় হিংসা ছড়িয়েছিল কালোল বাস স্ট্যান্ড, দেলোল গ্রাম সহ মোট চারটি জায়গায় হিংসা ছড়ানো, অগ্নিসংযোগ করা এবং তিনজনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ওই ৫২ জনের বিরুদ্ধে। ১৭ জন প্রয়াত হওয়ায় মামলা চলছে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ যে মামলা দায়ের করে, সেখানে বলা হয় তল্লাশি চালিয়ে ওই তিনজনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনজনই নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ভুক্ত। যদিও আদালত জানিয়েছে, তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ৩৫জনকে।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসা যে নতুন নয়, ৩৬ পৃষ্ঠার রায়ে সে কথারও (Godhra) উল্লেখ করেছেন বিচারক। রায়ে বলা হয়েছে, “ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত রয়েছে এবং সাধারণত তুচ্ছ বিবাদ এবং অসহিষ্ণুতা, ধর্মীয় শিল্পকর্মের হেরফের, উৎসবে অন্যদের অনুপ্রবেশ, বিরোধপূর্ণ প্রার্থনার সময়, উপাসনালয় নিয়ে বিবাদ, আন্তঃবিবাহ, পবিত্র স্থানের অপবিত্রতা, যৌনতা ইত্যাদির কারণে ঘটে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রথযাত্রা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন রথে করে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। এই দিনেই পথে নামেন ভক্তের ভগবান। কাছ থেকে ঈশ্বর দর্শন করতে রাস্তায় নামেন ভক্তও। পথি মধ্যেই মিলন হয় ভক্তের সঙ্গে ভগবানের। জগন্নাথ হলেন ভগবান বিষ্ণুরই এক রূপ। এদিন পুরী সহ দেশের নানা প্রান্তে পালিত হয় রথযাত্রা উৎসব। রথের রশি ছুঁয়ে পূণ্যার্জন করতে ছোটেন পুণ্যলোভাতুরা। 

    কেন কাষ্ঠনির্মিত মূর্তি?

    হিন্দুদের মূর্তি সচরাচর তৈরি হয় মাটি, পাথর কিংবা ধাতু দিয়ে। কেবল জগন্নাথের মূর্তি তৈরি হয় কাঠের। (ইদানিং অবশ্য কেউ কেউ কাঠের কালীমূর্তিও তৈরি করে পুজো করছেন।) তাই জগন্নাথের আর এক নাম দারুব্রহ্ম। জগন্নাথের মূর্তি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ ভগবান বিষ্ণু নৃসিংহ অবতারে কাঠের খুঁটি থেকে বেরিয়েই বধ করেছিলেন হিরণ্যকশিপুকে। যেহেতু জগন্নাথ বিষ্ণুরই অবতার, তাই তাঁর বিগ্রহ কাষ্ঠ নির্মিত।

    পুরীর জগন্নাথের গুরুত্ব

    পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্র (Jagannath Puri) শাক্ত, বৈষ্ণব এবং শৈবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন মন্দির রয়েছে মা বিরজার। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই বিরজা সতীর অংশ বিশেষ। যেহেতু প্রতিটি সতীপীঠে ভৈরব থাকেন, তাই পুরীতে মা বিমলার ভৈরব জগন্নাথ। জগন্নাথ যেহেতু স্বয়ং বিষ্ণু, তাই এটি বৈষ্ণবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথকে স্বয়ং শিব বলে মনে করেন শৈবরা। তাই শিব-ভক্তদের কাছেও পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বৌদ্ধদের কাছেও শ্রীক্ষেত্রের গুরুত্ব কম নয়। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, শ্রীক্ষেত্রেই রয়েছে ভগবান তথাগতের দাঁত। জৈনদের কাছেও পুরীর গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের বিশ্বাস, জগন্নাথ তীর্থঙ্কর স্বরূপ। কারণ নাথ বলা হয় জৈন তীর্থঙ্করদের। তাছাড়া জগন্নাথ শব্দটিও এসেছে জৈন থেকে। অনেকে মনে করেন, জগন্নাথ উপজাতিদের দেবতা। শবরা গোপনে পুজো করতেন নীলমাধবের। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। প্রতিষ্ঠা করা হয় পুরীধামে। তাই তিনি উপজাতিদেরও আরাধ্য।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রথযাত্রার দিনে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা এই তিন শ্রীবিগ্রহকে তোলা হয় রথে। বছরের এই একটি দিনেই ভক্তদের কোলে চড়ে রথারোহণ করেন জগতের নাথ। তাঁর সঙ্গে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রা। পুরীর এই তিন শ্রীবিগ্রহ রথে চড়ে যান দু কিলোমিটার দূরের গুন্ডিচা মন্দিরে। সাত দিন এখানেই পুজো-ভোগ নিবেদন হয় দেবতার। উল্টো রথের দিন ফের শ্রীমন্দিরে ফেরেন ভক্তের ভগবান।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: হিংসাদীর্ণ ভাঙড়ের পর এবার সন্ত্রাস-ধ্বস্ত ক্যানিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: হিংসাদীর্ণ ভাঙড়ের পর এবার সন্ত্রাস-ধ্বস্ত ক্যানিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসাদীর্ণ ভাঙড় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শুক্রবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। পরে যান ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর বিডিও অফিসে। শনিবার তিনি গেলেন ক্যানিং (Canning)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে সংবাদের শিরোনামে এসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনারই ক্যানিং। রাজভবন সূত্রে খবর, শনিবারই রাজ্যের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। সেসব কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিংয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপাল-সুকান্ত সাক্ষাৎকার

    শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয়েছিল রাজীবকে। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।

    রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ক্যানিংও

    মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বুধবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে দুপক্ষের ওই সংঘর্ষে বোমাবাজি হয়েছে। গুলি চালনার অভিযোগও উঠেছে। গুলিবিদ্ধ হন সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন। ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ করা হয় বাসন্তী হাইওয়ে। অশান্তির এই আবহে ক্যানিং শহরে সিপিএমের পার্টি অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন সেই ক্যানিং পরিদর্শনেই যাচ্ছেন রাজ্যপাল। শুক্রবার ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেছিলেন, “গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। কোনওভাবেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল তো আর সরাসরি মাঠে নেমে যুদ্ধ করতে পারেন না। তাঁকে যেভাবে কাজ করতে হয়, তিনি সেভাবেই করবেন। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তিনি ডেকে পাঠাতে পারেন। এখন যেহেতু নির্বাচন চলছে, তাই তিনি নির্বাচন কমিশনকে ডেকে পদক্ষেপ করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share