Author: Krishnendu Bakshi

  • Manipur: হিংসার আগুনে ফের জ্বলল মণিপুর, চলল গুলি, অস্ত্র লুঠের চেষ্টাও

    Manipur: হিংসার আগুনে ফের জ্বলল মণিপুর, চলল গুলি, অস্ত্র লুঠের চেষ্টাও

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে (Manipur)। শুক্রবার রাত থেকে আবারও অশান্তির আগুন জ্বলেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। দফায় দফায় হয়েছে সংঘর্ষ। লাগানো হয়েছে আগুন। গুলি চালানোর খবরও মিলেছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কাওয়াকতা ও কাঙ্গভাইয়ে গুলি চলে। আজ, শনিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় গুলি চলেছে বলে পুলিশ ও সেনা সূত্রে খবর। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে ভাঙচুর, লাগানো হয়েছে আগুন।

    প্যালেস চত্বরে আগুন

    বৃহস্পতিবার রাতে ইম্ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিংহের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। তার পরে পরেই পূর্ব ইম্ফলের দখল নেয় সেনা, অসম রাইফেলস সহ বিভিন্ন বাহিনী। তা সত্ত্বেও জ্বলেছে অশান্তির আগুন। ইম্ফলের অ্যাডভান্স হাসপাতালের কাছে প্যালেস চত্বরে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শুক্রবার বিকেল থেকে হাজারেরও বেশি জনতা ভিড় করেছিল ওই চত্বরে। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় তারাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল, রাবার বুলেট। এই বুলেটের ঘায়ে জখম হয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী।

    বিজেপির অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, এদিন মধ্য রাতে প্রায় ৩০০ বিক্ষুব্ধ জনতা সিনজেমাইয়ে (Manipur) বিজেপির অফিসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। সেনা বাহিনী গিয়ে দ্রুত সামাল দেয় পরিস্থিতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়িতেও ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা স্থানীয় বিধায়কের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। বাহিনী গিয়ে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যায়। পশ্চিম ইম্ফলের ইরিঙ্গবাম থানায়ও হামলা চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা অস্ত্রভাণ্ডার লুঠ করার চেষ্টা করে।

    আরও পড়ুুন: উত্তর সিকিমে ধস, বন্ধ যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে (Manipur) হিন্দু মেইতেই এবং খ্রিস্টান কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। শান্তি ফেরাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হলেও এখনও ফেরেনি কাঙ্খিত শান্তি। মণিপুরের উপত্যকা অঞ্চলে বাস করা মেইতেই জনগোষ্ঠী জনজাতি মর্যাদার দাবি জানানোর পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয় কুকিরা। জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত কুকিদের অভিযোগ, রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা মেইতেইদের দাবি, কুকিদের জন্য তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landslide: উত্তর সিকিমে ধস, বন্ধ যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    Landslide: উত্তর সিকিমে ধস, বন্ধ যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগাড়ে চলা অতিভারী বৃষ্টির জেরে ধস (Landslide) নামল উত্তর সিকিমের (Sikkim) রাস্তায়। বৃহস্পতিবার রাতে চুংথাংয়ের কাছে পেগংয়ে ওই ধস নেমেছে। রাস্তার ওপর দিয়েই প্রবল বেগে বইছে ঝর্নার জল। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে লাচুং, লাচেন এবং ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে। ঘটনার জেরে উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যানবাহন। জাতীয় সড়ক থেকে ধস সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাস 

    সিকিম আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা (Landslide) গোপীনাথ রাহা বলেন, “উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকা ধসে বিপর্যন্ত। এমন বৃষ্টি হচ্ছে যে, আগামী পাঁচ দিন পরিস্থিতি খুব একটা স্বাভাবিক হবে না। বিশেষ করে উত্তর সিকিমে অতিভারী বর্ষণ হবে। উত্তরবঙ্গেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন সিকিম জুড়ে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই অঞ্চলে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই অঞ্চলে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন এলাকা ধসের কবলে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি পর্যটকদের কী পরিস্থিতি বা কোথায় কতজন পর্যটক আটকে রয়েছেন।” নাগাড়ে বৃষ্টির (Landslide) জেরে ফুঁসছে পূর্ব ও পশ্চিম সিকিমের একাধিক নদী। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীতে ভেসে গিয়েছেন এক বৃদ্ধ। নর্থ সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী।

    এদিকে, রাতভর বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা ও রংফু নদীর। ওই নদীগুলিতে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “তিস্তা সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি নদীর জলস্তর কাল রাত থেকে বেড়েছে। ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে স্থানীয়দের। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে প্রস্তুতি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের, সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে প্রস্তুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পর রাজ্য সরকার দ্বারস্থ হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারকে সেই সুযোগ দিতে চান না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারী। সময় নষ্ট না করে দেশের শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমার কাজ হল, আজ রাতের মধ্যে বা আগামিকাল সকালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করা। যাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য সরকার একতরফাভাবে সুপ্রিম কোর্টে যেতে না পারে।”

    ক্যাভিয়েট দাখিলের অর্থ

    ক্যাভিয়েট দাখিল করার অর্থ হল, কোনও একটি মামলা নিয়ে যদি অপর কোনও পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যায়, সেক্ষেত্রে যিনি ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখবেন, তাঁকে ছাড়া সেই মামলার শুনানি হবে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সন্দেহ, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    ঐতিহাসিক রায়, দাবি শুভেন্দুর

    রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। বৃহস্পতি-সন্ধ্যায় এই নির্দেশ দেয়  কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে ঐতিহাসিক বলে ঘোষণা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে মৃত্যুমিছিল থামা উচিত। গ্রামবাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, এই আশা রেখেই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে যাতে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন একতরফা রায় বের করতে না পারে, তাই ক্যাভিয়েট দাখিল করব।

    আরও পড়ুুন: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আজও (বৃহস্পতিবার, মনোনয়নের শেষ দিনে) সন্ত্রাস চালিয়ে অনেক জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিল করতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস ১২ থেকে ১৪ হাজার বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু-মুসলিম, সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু নির্বিশেষে ওই বুথগুলিতেই অন্তত ৫০০ ভোটে পরাস্ত হবেন লোকসভা নির্বাচনে। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট লুঠের পর দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিমে আর জিততে পারেনি। বহু জায়গায় বিরোধীদের এবার মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি তৃণমূল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল স্পর্শকাতর এলাকা নয়, রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রায় পড়তে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করার বিষয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে কমিশন যা করার তা করেনি। সামগ্রিকভাবে অবাধ মনোনয়ন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেক্ষেত্রেও বড়সড় ফাঁক থেকে গিয়েছে। সেই কারণেই গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছে আদালত।” আদালত আরও জানিয়েছে, ভোটের কাজে যুক্ত সকলকে সরকারি আইকার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। চাওয়া মাত্রই তা দেখতে হবে। পুলিশকর্মী, অবজার্ভার, ভোটকর্মী…প্রত্যেককে সঙ্গে আইকার্ড রাখতে হবে।

    নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা

    এদিন সকালেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একটি রায়ের অংশবিশেষ পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা এখনও পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেনি। তখনই বিরক্ত হয়ে বিচারপতি বলেন, “তাহলে কি গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালতের নির্দেশ, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এদিন আদালতকে (Panchayat Election 2023) রাজ্য জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় যাতে পুলিশবাহিনীর ঘাটতি না থাকে, তাই পড়শি রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী আনানোর ব্যবস্থা করছে তারা। কিন্তু আলাদত সাফ জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে কমিশনকে। আর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ জোগাবে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: “টাকা লেনদেনের ক্লাসিক কেস, হাওলায় টাকা পাচার হয়েছে”, কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বলল ইডি

    Recruitment Scam: “টাকা লেনদেনের ক্লাসিক কেস, হাওলায় টাকা পাচার হয়েছে”, কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের (Recruitment Scam)। ইডি হেফাজতের মেয়াদ অন্তে বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় তাঁকে। কালীঘাটের কাকুকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় ইডি। যদিও জামিনের আবেদন করেন ইডি। দু পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক কালীঘাটের কাকুকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    ইডির আইনজীবীর দাবি

    ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় টাকা ঘুরছে। ইডির অভিযোগ, একটি সংস্থার মাধ্যমে এক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। সুজয়কৃষ্ণ চারটি সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন। হাওয়ালার টাকা আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডির আইনজীবী বলেন, এটা মানি ট্রেলের (লেনদেনের) ক্লাসিক কেস।

    কালীঘাটের কাকুর ‘কীর্তি’

    কালীঘাটের কাকু-ঘনিষ্ঠ সিভিক (Recruitment Scam) ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে আগেই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নির্দেশেই রাহুল ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে দিয়েছিলেন। রাহুলকে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ এসেছে ইডির হাতে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চাইছে ইডি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সূত্রেই প্রকাশ্যে এসেছিল কালীঘাটের কাকুর কথা। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলও দাবি করেছিলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কুন্তল নাকি আশ্বাস দিয়ে বলতেন, কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। তার পর থেকেই ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    Suvendu Adhikari: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু, করলেন ‘বড়’ অভিযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার বিকেলে কলকাতায় কমিশনের দফতরে জমায়েত করে বিজেপি। প্রথমে জেলায় জেলায় অশান্তি এবং মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে যান শুভেন্দু। বেরিয়ে এসে নয়া কমিশনারের বিরুদ্ধে উগরে দেন ক্ষোভ। কমিশন তৃণমূলকে সুবিধা করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে ১৪৪ ধারা সত্ত্বেও রক্ত ঝরছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

    তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল, কমিশন ও পুলিশ মিলে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়াই এদের লক্ষ্য। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা নিতে হবে কমিশনের দফতরেই। আদালত স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্পর্শকাতর এলাকা বলে কিছু যে রয়েছে, তা মানতেই চাইছে না কমিশন। তাঁর অভিযোগ, হাইকোর্ট অভিযোগ জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেও, কমিশনে তেমন কিছু নেই।

    ‘ভোট লুঠ করতে দেব না’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করছেন কমিশনার রাজীব সিনহা। আদালতের নির্দেশ এখানে অভিযোগ গ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কাল থেকে এখানে আসবেন। অভিযোগ জমা দেবেন। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনওভাবেই এবার আমরা ভোট লুঠ করতে দেব না।”

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নামানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও শুভেন্দুর দাবি, পুলিশের উর্দি পরিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাঠে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিভিক ভালান্টিয়ারদের গায়ে চাপানোর জন্য বীরভূমে সাড়ে তিন হাজার পুলিশের উর্দি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানেও উর্দি বানানোর কাজ চলছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বলেন, “২০১৯ এবং ২০২১ সালে যে এলাকায় বিজেপি লিড পেয়েছিল, এখন সেখানে প্রার্থীই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শাসকদল যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, তাতে ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED: ইডির হাতে গ্রেফতার তামিলনাড়ুর মন্ত্রী, কান্নায় ভেঙে পড়লেন অ্যাম্বুলেন্সেই

    ED: ইডির হাতে গ্রেফতার তামিলনাড়ুর মন্ত্রী, কান্নায় ভেঙে পড়লেন অ্যাম্বুলেন্সেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎমন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজি। বুধবার সকালেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ‘বুকে ব্যথা’ হচ্ছে দাবি করায় পরীক্ষার জন্য তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি সরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে। অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ডিএমকের এই নেতা। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ডিএমকের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে চলতে থাকে স্লোগান দেওয়াও। বালাজির আইনজীবী তথা ডিএমকে নেতা এনআর এলনাগো বলেন, “যখন সেন্থিল বালাজিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, মনে হয় না তখন তাঁর জ্ঞান ছিল। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধান বিরোধী। আমরা আইনি লড়াই লড়ব।” ইডি (ED) সূত্রে খবর, এদিনই বালাজিকে তোলা হবে বিশেষ আদালাতে। সেখানে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে ইডি।

    টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগ

    টাকার বিনিময়ে চাকরির একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ও ইডিকে তদন্তের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার জেরে মঙ্গলবার দিনভর তামিলনাড়ুর সচিবালয়, বালাজির দফতর এবং কারুরে তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালায় ইডি। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এর আগে বালাজির বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরাও।

    ‘অত্যাচারের চিহ্ন’

    রাজ্যের মন্ত্রী ডিএমকের পিকে শেখর বাবুর দাবি, বালাজির ওপর অত্যাচারের চিহ্ন (ED) দেখতে পেয়েছেন তিনি। শেখর বলেন, “ওঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় আনা হয়েছিল। এমনকি ওঁর নাম ধরে ডাকা হলেও, সাড়া মিলছিল না। আপাতত তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। ওঁর কানে কোনও সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওঁর ইসিজি রিপোর্টও ভাল নয়। এগুলিই তো অত্যাচারের চিহ্ন।”

    রাজ্যের মন্ত্রী ডিএমকের উদয়নিধি স্ট্যালিন বলেন, “সেন্থিল বালাজির চিকিৎসা চলছে। এই বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ করব। আমরা বিজেপির চোখ রাঙানির রাজনীতিকে ভয় পাই না।”

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    এদিকে, বালাজির গ্রেফতারির (ED) পরেই দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তাঁর বাসভবনেই হবে বৈঠক। স্ট্যালিনের দাবি, ইডির এই হানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। বালাজির বাড়িতে ইডির রেইডের ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপির বিরুদ্ধে এজেন্সি রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর, চলল গুলি, মৃত অন্তত ৯

    Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর, চলল গুলি, মৃত অন্তত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমের পর মঙ্গলবার। ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। চলল গুলি। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। মঙ্গলবার রাতে কাংপোকপি জেলার খামেনলোক গ্রামের ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন ৪ থেকে ৫ জন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িতে। তবে কারা গুলি চালাল, মৃতেরাই বা কারা, তা এখনও জানা যায়নি। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে সেনা ও পুলিশ। সোমবারও হামলা হয়েছিল খামেনলোক গ্রামে। সেদিন গুলিতে অন্তত ১০ জন জখম হয়েছিলেন। এদিন গুলি চলে চূড়াচাঁদপুর জেলার লোকলাকফাই গ্রামেও। সেখানে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের।

    শান্তিরক্ষক কমিটি বয়কট

    হিংসাদীর্ণ মণিপুরে (Manipur) অশান্তির আগুন নেভাতে গড়া হয়েছিল শান্তিরক্ষক কমিটি। কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে নতুন করে হিংসা শুরু হওয়ায় কমিটি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। কমিটি বয়কট করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কুকি উপজাতির তরফেও। নতুন করে অশান্তি শুরু হওয়ার পরে ইম্ফল পূর্ব ও ইম্ফল পশ্চিম জেলায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কারফিউয়ের সময়সীমা। ওই দুই জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত।

    আরও হিংসা

    অশান্তি হয়েছে গোবাজং এবং টামেংলং জেলায়ও। হিংসার জেরে ওই দুই জেলায়ও জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তাই উপদ্রুত এলাকায় টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় তেঙ্গনৌপাল (Manipur) এবং ইম্ফল পূর্ব জেলায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬৩টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। মণিপুরের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং জানান, সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩ হাজার ৬০১টি কার্তুজ এবং ২৩০টি বিভিন্ন ধরনের বোমা উদ্ধার হয়েছে এ পর্যন্ত।

    আরও পড়ুুন: আরাবুল পুত্রের গাড়িতে বোমা উদ্ধার! ‘বাপ কা বেটা’ বলে খোঁচা সুকান্তর

    ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi) এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে একযোগে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ‘রোজগার মেলা’র (Rozgar Mela) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিলি করা হয় ৭০ হাজার নিয়োগপত্র। পরে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি নিশানা করেন মমতা এবং লালুকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেনি। তারা শুধুমাত্র দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।”

    কাটমানি

    বাংলার নাম না করে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে কাজ পেতে গেলে কাটমানি দিতে হয়। পৃথক পৃথক কাজের জন্য আলাদা রেট অর্থাৎ কত টাকা দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করা আছে।” এই দলগুলির রেটকার্ডের বিপরীতে তাঁর সরকার দেশের যুবদের চাকরি সেফগার্ড করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, দেশের এক রাজ্যে নগদের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। তদন্তে গুরুতর কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। সরকারি চাকরির প্রত্যেক পদের জন্য আলাদা আলাদা রেট ঠিক করা হয়েছে। এই রেটকার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের লুঠ করা হচ্ছে। যদি সাফাইকর্মীর কাজ চান, তার জন্য আলাদা রেট। গাড়িচালকের কাজের আলাদা রেট। নার্স, কেরানি, শিক্ষক প্রত্যেক পদের আলাদা আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।”   

    জমির বদলে চাকরি

    জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রাসাদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিন নাম না করে সে প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে আরও একটি মামলা সামনে এসেছে। এক প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রেলে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছেন। জমির বদলে চাকরি দেওয়ার এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ভাষা বিতর্কের প্রসঙ্গও।

    আরও পড়ুুন: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    তিনি বলেন, “দেশে কিছু কিছু দল ভাষার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। ভাষার ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতে চাইছে, হিংসা ছড়াতে চাইছে। আমার সরকার সব সময় চেষ্টা করে চলেছে যাতে দেশের যুব সমাজের স্বপ্ন পূরণের পথে ভাষা কোনও প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায়। এই লক্ষ্যেই প্রবেশিকা পরীক্ষা যে কোনও ভাষায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cowin: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    Cowin: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড (Covid 19) টিকাকরণ সংক্রান্ত পোর্টাল কোউইন (Cowin) সম্পূর্ণ নিরাপদ। দেশবাসীর সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিতই রয়েছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে একথা সাফ জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তদন্তকারী সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। গতকাল প্রাথমিক তদন্তের পর তারা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে টেলিগ্রাম বট-এ যে ডেটা রয়েছে, তা কোউইন অ্যাপের নয়। সেই ডেটা হয় জাল ছিল বা তৃতীয় পক্ষের কোনও উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

    কেন্দ্রের বিবৃতি

    কেন্দ্রের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোউইন (Cowin) পোর্টালের ডেভেলপমেন্ট টিম জানিয়েছে, ওটিপি ছাড়া টিকাপ্রাপ্তদের নাম, ফোন নম্বর, আধারকার্ড নম্বর, ঠিকানা কিংবা অন্য তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। যে এপিআইয়ের মাধ্যমে আইসিএমআর কোউইন ব্যবহারকারীদের তথ্য পেয়ে থাকে, সেটিও হোয়াইট লিস্টেড বলে জানিয়েছে ওই টিম। তা সত্ত্বেও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিমকে নির্দেশ দিয়েছে। দ্রুত এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।

    স্রেফ গুজব

    কেন্দ্রের দাবি, টেলিগ্রাম বট-এর মাধ্যমে টিকাপ্রাপ্তদের ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই লিক হয়ে যাচ্ছে, যা স্রেফ গুজব। আধারকার্ডের নম্বরের সাহায্যে কোনওভাবেই ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ওটিপির সাহায্যেই কোউইন পোর্টালে তথ্য পৌঁছায়। এই পোর্টালের সমস্ত ধাপই সুরক্ষিত।

    আরও পড়ুুন: ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    প্রসঙ্গত, টিকাপ্রাপকদের (Cowin) ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বর্তমানে টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর অভিযোগ, এটা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে পড় উদ্বেগের বিষয়। একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেটা লিকের শিকার হয়েছেন কোউইন হাই পাওয়ার প্যানেলের চেয়ারম্যান রাম সেবক শর্মা, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ। এটা যে স্রেফ গুজব, তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share