Author: Krishnendu Bakshi

  • Abhishek Banerjee: ইডির হাজিরা এড়ালেন অভিষেক, পাঠালেন চিঠি, কি লিখলেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: ইডির হাজিরা এড়ালেন অভিষেক, পাঠালেন চিঠি, কি লিখলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন না তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় ইডি দফতরে হাজিরার জন্য গত সপ্তাহেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। যদিও তখনই তিনি জানিয়েছিলেন নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি ছেড়ে এখনই যাচ্ছেন না তিনি। সেই মতো এদিন ইডি দফতরে উপস্থিত হননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। তার বদলে পাঠিয়ে দিলেন চিঠি।

    ইডিকে লেখা চিঠি

    ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরকে লেখা চিঠিতে অভিষেক জানিয়েছেন, “দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত আছি। আগামী ৮ তারিখ পঞ্চায়েত ভোট। আমি তদন্তে সমস্ত সাহায্য করেছি ও আগামী দিনেও করব। এই মুহূর্তে দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়।” ১৫ পাতার ওই চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের একটি কপি। অভিষেক (Abhishek Banerjee) লিখেছেন, “গত কয়েক বছরের নথি আমার থেকে চাওয়া হয়েছে ইডির তরফে। সেই তথ্য সংগ্রহে সময় লাগবে।” তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তিত্বের দাবি, তাঁর কাছে যেসব নথি চাওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে গত ২৯ মার্চ একটি সভায় তাঁর বক্তব্যের কোনও সম্পর্ক নেই। এ সংক্রান্ত সব নথি ইতিমধ্যেই সরকারি দফতরে রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেতা।

    অভিষেকের অভিযোগ

    যদিও দিন কয়েক আগে নদিয়ার নবজোয়ার যাত্রা থেকে অভিষেক বলেছিলেন, “নবজোয়ার নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি। আমার স্ত্রীকে হেনস্থা করা হচ্ছে। নবজোয়ার যাত্রা থামিয়ে হাজিরা দিতে যাব না। চাকর-বাকর নই যে যতবার ডাকবে, ততবার যেতে হবে। আগেই অনুরোধ করেছিলাম যাত্রার মাঝে না ডাকতে। ইডিরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই।”

    আরও পড়ুুন: এবার রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সৌমেন্দু অধিকারী

    গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় এক জনসভায় অভিষেক (Abhishek Banerjee) দাবি করেছিলেন, “হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।” এর পরেই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষও দাবি করেন, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দেন কুন্তল। সেই মামলার তদন্তেই অভিষেককে সমন পাঠিয়েছিল ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Soumendu Adhikari: এবার রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সৌমেন্দু অধিকারী

    Soumendu Adhikari: এবার রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সৌমেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা (Calcutta High Court) হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি (BJP) নেতা সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari)। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। গেরুয়া শিবিরের তরফে তাঁকে বেশ কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার আগে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। এই আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সৌমেন্দু। তিনি বলেন, “এমন কোনও অভিযোগ আনা হতেই পারে, যার কোনও খবর আগে থেকে পাবই না।” বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। মামলার শুনানি হতে পারে আগামী সপ্তাহে, বুধবার।

    মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ

    দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ এ রাজ্যে নতুন নয়। বাম আমলে এমন উদাহরণ ভূরি ভূরি ছিল। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। বদলেছে শাসকও। তার পরেও সেই ট্র্যাডিশান সমানে চলছে। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকে তাঁকে নানা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে। কখনও হাইকোর্ট, কখনও আবার সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের জেরে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। কেবল শুভেন্দু নন, তাঁর ভাই সৌমেন্দুও (Soumendu Adhikari) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর নামেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ফের কোনও মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হতে পারে বলে আশঙ্কা সৌমেন্দুর অনুগামীদের।

    সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অথচ তৃণমূলে থাকাকালীন টানা প্রায় ১০ বছর কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সৌমেন্দু। পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমেন্দু। তার পরেই তাঁর নামে হতে থাকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের। কাঁথির রাঙামাটি শ্মশান উন্নয়নে টাকা নয়ছয়, শ্মশান চত্বরে স্টল তৈরি করে বেআইনিভাবে বিক্রি, টেন্ডারের শর্ত মেনে কাজ না করা সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা রুজু হয় সৌমেন্দুর (Soumendu Adhikari) বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজ ভবণ নির্মাণ নিয়ে ইতিমধ্যেই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল কাঁথি মহকুমা আদালত। সেই মামলা অবশ্য খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে ফের দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য জোগাড়ের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • AI Systems: ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ডুবে যাচ্ছেন একাকিত্বের অতলে’, বলছে সমীক্ষা

    AI Systems: ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ডুবে যাচ্ছেন একাকিত্বের অতলে’, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীও। এক সময় কাজ করত মানুষ। এখন কাজ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems)। আর এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ডুবে যাচ্ছেন একাকিত্বের অতল গহ্বরে। যার জেরে অফিস থেকে ফিরেও ক্লান্ত শরীরে বিছানা নিলেও, কাটাতে হচ্ছে বিনিদ্র রাত। এই একাকিত্ব কাটাতে এই সব কর্মীদের একটা বড় অংশ কাজ শেষে মদ্যপানেও মেতে উঠছেন। যার ছাপ পড়ছে শরীরে। সম্প্রতি আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোশিয়েসনের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষকরা চার দেশে সমীক্ষা করেছিলেন। এই চারটি দেশ হল, আমেরিকা, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া। অনলাইন জার্নাল অফ অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের ওই গবেষণাপত্রটি।

    “মানুষ সমাজবদ্ধ জীব”

    গবেষকদের প্রধান যিনি, তিনি পক মান টাং। চাকরি করতেন একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কে। ব্যবহার করতেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems)। মূলত তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয় গবেষণা। ট্যাং বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে অনেক কাজই হয়ে গিয়েছে অনায়াস। তবে এর বিপদও রয়েছে। এটি কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।” ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহকারি অধ্যাপক বলেন, “মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করলে তার ছাপ কর্মীর ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে পারে।”

    নিরাপত্তাহীনতা

    গবেষকরা দেখেছেন, যাঁদের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছে, তাঁরা উদ্বেগে ভুগছেন। অনুভব করছেন নিরাপত্তাহীনতা। সামাজিক যোগাযোগ সম্পর্কেও বেশ উদ্বিগ্ন। একাকিত্ব গ্রাস করছে তাঁদের। তাঁরা ভুগছেন নিদ্রাহীনতায়। তাইওয়ানের একটি বায়োমেডিক্যাল কোম্পানিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Systems) নিয়ে কাজ করেন এমন ১৬৬ জন ইঞ্জিনিয়রের ওপরও সমীক্ষা করা হয়েছিল টানা তিন সপ্তাহ ধরে। দেখা গিয়েছে, এঁদের প্রত্যেককেই গ্রাস করেছে একাকিত্ব।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে মার্কিন রেস্তোরাঁয় চালু ‘মোদিজি থালি’

    ‘কী হয়, কী হয়’ ভাব এঁদের নিত্য সঙ্গী। এঁদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এঁরা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। কাজের শেষে নিত্য পান করে মদ। একই ছবি উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার ১২৬ জন রিয়েল এস্টেট কনসালটেন্টের ওপর সমীক্ষা চালিয়েও। টাং বলেন, “যত দিন যাবে ততই বাড়বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। তাই যাঁরা তা নিয়ে কাজ করবেন, তাঁদের এর বিপজ্জনক দিক সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে, স্থগিত রায়দান

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে, স্থগিত রায়দান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলার পর শেষ হল পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote 2023) সংক্রান্ত মামলার শুনানি। তবে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার শুনানি শুরু হয় বেলা ১১টায়, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রথমার্ধে শুনানি চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এই অর্ধে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে ভাল হয়। রাজ্য নিজের মতো বাহিনী দেবে। ধরুন, কলকাতা থেকে পুলিশ পাঠালেন হাওড়ায় ও হুগলিতে। সে ক্ষেত্রে শহরে তো বাহিনী কম পড়তে পারে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন কমিশনের।” রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মী কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্বাচনে ব্যবহার নিয়েও কমিশনকে সতর্ক করেন প্রধান বিচারপতি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “মনে রাখতে হবে, সিভিক কিন্তু পুলিশ নয়। তারা পুলিশকে সাহায্য করার কাজে যুক্ত।”

    বিস্ফোরক শুভেন্দু 

    এদিন শুনানি শুনবেন বলে আদালতে (Calcutta High Court) উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং। প্রথমার্ধের শুনানি শেষের পর তিনি বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারকে নীল জলপাই রংয়ের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার অন্য জেলায় যাবে, অন্য জেলা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এই জেলায় আসবে। যাতে কেউ চিনতে না পারে।”

    আরও পড়ুুন: “বাংলায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    বেলা আড়াইটে নাগাদ শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের শুনানি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন কি পিছবে এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয় শুনানি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কম এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই মামলার শুনানিতে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের সময় বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টিএস শিবজ্ঞানম। প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা সময় মনোনয়ন পেশের জন্য অপর্যাপ্ত বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। কমিশন জানায়, মনোনয়নপত্র পেশের সময় চাইলে এক দিন বাড়ানো যেতে পারে। মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিন ছিল ১৫ জুন। সেটা বাড়িয়ে ১৬ জুন পর্যন্ত করা যেতে পারে। বিচারপতি বলেন, “সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে হবে ১৪ জুলাই।” এদিন বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ শেষ হয় শুনানি। যদিও রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Calcutta High Court: “পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক ১৪ জুলাই”, প্রস্তাব কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে যাচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন! অন্তত এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি মামলার শুনানি হচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে নির্বাচন করানো হোক ১৪ জুলাই।”

    নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছিল, ভোট হবে ৮ জুলাই, এক দফায়। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয়ে যায় তার পরের দিনই। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে ২ দিন ছুটি থাকায় মনোনয়নপত্র পেশ করার জন্য হাতে থাকছে মাত্রই ৫ দিন। এত অল্প সময়ে এত প্রার্থীর মনোনয়ন সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। দ্বারস্থ হন আদালতের। এর পরেই মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৬ জুন করার প্রস্তাব দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, ৮ জুলাইয়ের বদলে নির্বাচন করানো হোক ১৪ জুলাই।

    প্রধান বিচারপতির পরামর্শ

    এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন। আপনাদের প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে। ভিডিওগ্রাফি, সিসিটিভি হয়েছে কি? আধাসেনা রাজ্যের পুলিশকে সাহায্য করতে পারে। কমিশন এ বিষয়ে অ্যাসেসমেন্ট করবে। সেন্ট্রাল ফোর্স এলে সুবিধা হবে।” প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “ভোটের কাজে রাজ্যের সব পুলিশ চলে গেলে কী হবে?” রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “সিভিকরা পুলিশ নয়। তারা কিছু করবে না।”

    আরও পড়ুুন: সোনামুখীতে মনোনয়নে বাধা! রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিজ্ঞপ্তির ৫ দিন পর থেকে শুরু হয়েছিল মনোনয়ন। এটাই তো মামলাকারীরা তাঁদের অভিযোগে বলছেন। সকাল ১০টায় বিজ্ঞপ্তি এবং সকাল ১১টায় মনোনয়ন কীভাবে? বিগত বছরের ভোটে এমনটা তো করা হয়নি।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২৭ মে। মনোনয়ন জমা শুরু হয় ২ জুন। এবার কমিশন যদি বিজ্ঞপ্তির দিন বাদ দিয়ে ৫ দিন পর থেকে মনোনয়ন পেশ-পর্ব শুরু করে, সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা চলবে। স্ক্রুটিনি হবে ২৩ জুন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হবে ২৬ জুন। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে দিতে হবে ভোট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দিল্লিতে ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দিল্লিতে ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ওই কনক্লেভের উদ্বোধন করা হয়। দেশের সমস্ত সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের কনক্লেভে। কনক্লেভের মূল লক্ষ্য ছিল, দেশের বিভিন্ন সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। ওই প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো শক্তিশালী করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

    কনক্লেভে যাঁরা ছিলেন

    এদিনের কনক্লেভে ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানগুলির দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন সেন্ট্রাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটস, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইন্সটিটিউটস, রিজিওনাল ও জোনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটসের প্রতিনিধিরাও। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের সিভিল সার্ভিস আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের কনক্লেভে। যোগ দিয়েছিলেন বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞরাও।

    মত বিনিময়

    সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে (PM Modi) বলা হয়েছে, এই যে বিভিন্ন দফতরের লোকজন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে। বর্তমানে কোন কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে, সুযোগই বা কী কী রয়েছে, সমস্যার সমাধানই বা কীভাবে করা যায়, দক্ষতা বাড়ানোর জন্যই বা কী কী করা যেতে পারে, এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কনক্লেভে আটটি প্যানেল ডিসকাসন হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

    সবগুলিই সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সংক্রান্ত। কীভাবে ফ্যাকাল্টি উন্নত করা যায়, ট্রেনিং ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করা যায়, কনটেন্ট ডিজিটাইজেশন করা যায়, এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাসন পদ্ধতি ও পলিশি উন্নয়নের ওপর জোর দেন। প্রসঙ্গত, যাঁরা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (PM Modi) পাশ করে কাজে যোগ দেন, প্রথমে তাঁদের পাঠানো হয় ট্রেনিংয়ে। সেখানের পাঠ শেষ হলে নিয়োগ করা হয় তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন যত ফুরিয়ে আসবে, ততই বাড়বে তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব, মারামারি।” রবিবার নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে এ কথা বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবার রাজ্যে ঘোষণা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। ভোট হবে ৮ জুলাই। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত।

    ‘তৃণমূল নিজেরা মারামারি করছে’

    দিলীপ বলেন, “তৃণমূল তো এখন নিজেরা মারামারি করছে। কাল (সোমবার) থেকে যখন ব্যাপকভাবে মনোনয়নপত্র জমা শুরু হয়ে যাবে, তখন আরও গন্ডগোল হবে। তৃণমূলের কে টিকিট নেবে, তা-ই নিয়ে মারামারি, কে মনোনয়নপত্র জমা দেবে, তা-ই নিয়ে মারামারি। একাধিক মনোনয়ন হবে, নির্দল প্রার্থী দেবে, মারামারি চলতে থাকবে। তার সঙ্গে বিরোধীদেরও মারবে ওরা। বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এই সব জেলা উপদ্রুত অঞ্চল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা উপদ্রুত। এই সব অঞ্চলে কখনওই আইনশৃঙ্খলা ঠিক থাকে না। আর রাজনীতিটা সমাজবিরোধীরাই করে। সেটাই হচ্ছে এখন।”

    ব্যাপক গন্ডগোলের আশঙ্কা

    মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন যত শেষ হয়ে আসবে, অশান্তি ততই বাড়বে বলে মনে করেন দিলীপ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “সোমবার থেকে ব্যাপক মনোনয়নপত্র জমা হবে। ব্যাপক গন্ডগোলও হবে। পুলিশের ক্ষমতা নেই তা আটকানোর। চটি পরা, লাঠি হাতে সিভিকরাও আটকাতে পারবে না। মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন।”

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    ভাঙড়ে আইএসএফকে মনোনয়ন ফর্ম দেওয়া হয়েছে বলে এক সরকারি আধিকারিককে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “এমনিতে রোজই মারামারি হয়, প্রতিদিনই বম্ব পড়ে ওখানে। এবারও তাই হয়েছে। জেলায় যে কটা তৃণমূলের নেতা হয়েছে, তারা তো অ্যান্টি-সোশ্যাল। তাদের নাম দেখুন। ১০ বছর, ১২ বছর, ১৫ বছর ধরে শুনছি কেউ বামেদের ছিল। তখন থেকে অ্যান্টি-সোশ্যাল। তো সেখানে আর কিছু আশা করা যায় না।”

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। কাঠগড়ায় তৃণমূল। রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলা থেকেও অশান্তির খবর এসেছে। সব কটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ছন্দে ফিরছে মণিপুর, ড্রপবক্সে পড়ছে ছিনতাই হওয়া অস্ত্রও

    Manipur: ছন্দে ফিরছে মণিপুর, ড্রপবক্সে পড়ছে ছিনতাই হওয়া অস্ত্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে হলেও, শান্তি ফিরছে মণিপুরে (Manipur)। শান্তি ফেরাতে এ মাসেও মোতায়েন রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী। গড়া হয়েছে বিশেষ শান্তিরক্ষক কমিটি। এই জোড়া পদক্ষেপের জেরে শান্তি ফিরতে শুরু করেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। যেহেতু রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, তাই শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকছে ১৫ জুন বেলা ৩টে পর্যন্ত।

    কারফিউ শিথিল

    সরকারের মুখপাত্র সপম রঞ্জন বলেন, কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে জরুরি পরিষেবা দেওয়া হয়, সেখানে আমরা ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে কতদিন। জানা গিয়েছে, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম সহ আরও কয়েকটি জেলায় কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। ইম্ফলে ভোর ৫টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এর আগে ছিল সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। 

    অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪ জুনের পর এখনও পর্যন্ত অশান্তির কোনও ঘটনা ঘটেনি রাজধানীতে (Manipur)। সরকারের ওই মুখপাত্র বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এ থেকে প্রমাণ হয় রাজ্যে ক্রমেই ফিরছে শান্তি। ছন্দে ফিরছে গোটা রাজ্য।

    এদিকে, ফের অস্ত্র সমর্পণ করতে শুরু করেছেন তরুণরা। ছিনতাই হওয়া অস্ত্র সমর্পণের একটি পোস্টার টাঙানো হয়েছিল এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে। ইংরেজি এবং মেইতেই ভাষায় অস্ত্র সমর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যাঁরা অস্ত্র ফেরাবেন, তাঁদের নামধাম জানানোর প্রয়োজন নেই। রাখা হয়েছিল একটি ড্রপবক্সও। দেখা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ড্রপবক্সে জমা পড়েছে এক (Manipur) জোড়া অটোমেটিক রাইফেল সহ মোট ১৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র। স্থানীয় বিধায়ক সুশীন্দ্র বলেন, ড্রপবক্সের চাবি পুলিশের কাছে রয়েছে। তারা যখন খুশি এসে অস্ত্র নিয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি চলছে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানও। আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে কেবল শুক্রবারই ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    অন্যদিকে, শনিবার ইম্ফলে (Manipur) গিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পদ্ম-শাসিত রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মণিপুরের হিংসা নিয়েই আলোচনা হয়েছে দুই মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, মাসাধিককাল ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছিল মণিপুর। হিন্দু মেইতেই ও কুকি উপজাতির (যাদের সিংহভাগই খ্রিস্টান) মধ্যে চলছিল সংঘর্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bahanaga Bazar Station: ওড়িশার বাহানগা বাজার স্টেশনে আর দাঁড়াবে না ট্রেন, কেন জানেন?

    Bahanaga Bazar Station: ওড়িশার বাহানগা বাজার স্টেশনে আর দাঁড়াবে না ট্রেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার এক অখ্যাত রেলস্টেশন বাহানগা বাজার (Bahanaga Bazar Station)। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল এই স্টেশন। ২ জুনের অভিশপ্ত সেই রাতের সাক্ষী ছিল অখ্যাত এই স্টেশনই। এই স্টেশনেই আপাতত আর কোনও ট্রেন থামবে না। শালিমার চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক আর কোনও ট্রেন থামবে না বালাসোর জেলার বাহানগা বাজারে।

    রেলের বক্তব্য

    দুর্ঘটনাস্থলটি দক্ষিণ পূর্ব রেলের জোনের মধ্যে পড়ে। এই জোনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, “সিবিআই ইতিমধ্যেই বাহানাগা বাজার স্টেশন সিল করে দিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লগ বুক, রিলে প্যানেল এবং অন্যান্য সরজ্ঞাম। রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম সিল করে দেওয়ার ফলে রেলকর্মীদের পক্ষে সিগন্যালিং পয়েন্ট অপারেট করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্যাসেঞ্জার বা মালগাড়ি এই স্টেশনে থামবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সিবিআই পরবর্তী নোটিশ দিচ্ছে, ততক্ষণ এই নির্দেশ জারি থাকবে।”

    বাহানগা বাজার (Bahanaga Bazar Station)

    বালাসোর জেলার এই স্টেশনে (Bahanaga Bazar Station) এক্সপ্রেস, লোকাল কিংবা মালগাড়ি নিয়মিত দাঁড়াত না কোনওকালেই। তবে সিগন্যাল না পেলে দাঁড়িয়ে পড়ত। অপেক্ষা করতে হত সবুজ সংকেতের। দুর্ঘটনার পর এবার আর সেটাই হবে না। বাহানগা বাজারের নিকটবর্তী সোরো এবং খান্তাপাদা স্টেশনেই আপাতত সিগনালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ট্রেনগুলিকে।

    আরও পড়ুুন: ‘উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন’, মহারাষ্ট্রের সভায় শাহি তোপ

    ২ জুন দুর্ঘটনার করলে পড়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছিল ২৮৮ জন যাত্রীর। জখম হয়েছিলেন ১১০০-র বেশি মানুষ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। নেমেছিল বায়ুসেনা, এনডিআরএফের ৯টি দল। হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছিল উদ্ধারকাজ। ট্রেনের দরজা ভেঙে, গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছিল জীবিত ও মৃত যাত্রীদের। উদ্ধারকাজে গতি আনতে অকুস্থলে (Bahanaga Bazar Station) পাঠানো হয়েছিল মালদহ ডিভিশনের ২২৪ জন আরপিএফ জওয়ানকে। দুর্ঘটনার জেরে বাহানাগা বাজারে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল ৫১ ঘণ্টা। লাইনচ্যুত হওয়া ১৫টি কামরা সরিয়ে ফেলে ফের চালু করা হয় ট্রেন চলাচল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

      

  • PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে ফোন মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    PM Modi: ব্রিকস সম্মেলনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে ফোন মোদির, কী আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্ট মাসে ব্রিকস (BRICS) সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। তার আগে শনিবার টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী কথা বললেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ব্রিকস সম্মেলনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। শনিবার বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।

    জি-২০র সভাপতিত্বকে সমর্থন

    বর্তমানে জি-২০র সভাপতিত্ব করছে ভারত। তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনেতাই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। দুই দেশের ঐতিহাসিক এবং মানুষে মানুষে বন্ধনের কথাও উঠে এসেছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায়।

    ব্রিকসের অন্যতম সদস্য রাশিয়াও

    অগাস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে হবে ব্রিকস সম্মেলন। এ বছর এই সম্মেলনের নেতৃত্ব দেবে রামাফোসার দেশ। সেই সম্মেলনে যাওয়ার আগে একপ্রস্ত আলোচনা সেরে রাখলেন মোদি-রামাফোসা। ভারতকে ১২টি চিতা দেওয়ার জন্য রামাফোসাকে ধন্যবাদও জানান মোদি (PM Modi)। ব্রিকসের অন্যতম সদস্য দেশ রাশিয়া। সেই রাশিয়াই বর্তমানে পড়শি দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকাও চায়, বন্ধ হোক যুদ্ধ। স্থায়ী শান্তি ফিরে আসুক রাশিয়া-ইউক্রেনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেওছেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার পরেও যুদ্ধ থামেনি। দুই দেশকেই আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করতে বলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন’, মহারাষ্ট্রের সভায় শাহি তোপ

    গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি দেখেছিলেন, কীভাবে পশ্চিম বিশ্বকে মাত দিতে ক্রমেই এগোচ্ছে দক্ষিণ বিশ্ব। ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনের আলোচ্যসূচি কী হবে, তাও চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একটি হল ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো (PM Modi) এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালু করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share