Author: Krishnendu Bakshi

  • PM Modi: মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন বাইডেন! কেন জানেন?

    PM Modi: মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন বাইডেন! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে সব চেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এ কথা আগেই জানিয়েছিল একটি পত্রিকা। নানা কারণে চিনের (China) সঙ্গে ভারতের (India) দূরত্ব তৈরি হলেও, চিনা নাগরিকদের কাছেও মোদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলল আবারও। শনিবার কোয়াড বৈঠক চলাকালীন মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) তুঙ্গ জনপ্রিয়তা

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনার জন্য বড্ড সমস্যার মুখে পড়েছি। আগামী মাসেই ওয়াশিংটনে আপনার সঙ্গে নৈশাহারে যোগ দেব আমি। দেশসুদ্ধ লোক সেখানে আসতে চাইছে। আমাদের টিকিট ফুরিয়ে গিয়েছে। বাইডেন বলেন, এটা মোটেই হাসির কথা নয়। আপনি হয়তো ভাবছেন, আমি মজা করছি। আমার টিমকে জিজ্ঞাসা করুন। টিকিটের জন্য এত ফোন কল পেয়েছি যে বিশ্বাস করতে পারবেন না। কে না ফোন করেছে আমাকে! সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সবাই। আপনি এতটাই জনপ্রিয়।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রশংসা

    এদিন কার্যত মোদির (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় বাইডেনকে। মোদিকে মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার সম্বোধন করে তিনি অটোগ্রাফের খাতা এগিয়ে দেন মোদির দিকে। পরে বলেন, গণতন্ত্র যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন আপনি। সব কিছুর ওপর আপনার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। কোয়াডে আমরা যা করছি, তাতেও আপনি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে আপনার। সব কিছুতেই একটা পার্থক্য এনেছেন আপনি। এর পরেই হাসি হাসি মুখে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজকে বলতে শোনা যায়, সিউনিতে যে কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে, সেখানে ২০ হাজার মানুষের বসার জায়গা রয়েছে। সেই সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়ে আমার কাছে অনুরোধ এসেছে। সকলের একটাই দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিজের চোখে একবার দেখতে চাই।

    আরও পড়ুুন: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

    দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কুর্সিতে বসার পর ২০১৯ সালে গুজরাটের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করেন মোদি। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন যে বিপুল জনসমাগম দেখেছিলাম, তাতেই আপনার জনপ্রিয়তার একটা আন্দাজ হয়েছিল। সিডনিতে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে সেটা বুঝতে পারছি। প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই স্টেট ডিনারে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    Pak Drone: পাকিস্তানের ৪ ড্রোনকে গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতের আকাশ সীমায় উড়ল পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)। ঘটনাটি নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩টি ড্রোনকে গুলি করে নামায় বিএসএফ। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাব সীমান্তের কাছে গুলি করে নামানো হয় ড্রোনগুলিকে। শুক্রবার রাতে গুলি করে নামানো হয় ৩টি ড্রোনকে। চতুর্থটিকে গুলি করে নামানো হয় শনিবার রাতে।

    প্রথম দিনেই এল ৩ পাকিস্তানি ড্রোন (Pak Drone)

    সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, প্রথম দিন যে তিনটি পাকিস্তানি ড্রোন নামানো হয়েছিল, সেগুলি ডিজিআই ম্যাস্ট্রিস ৩০০ আরটিকে ব্ল্যাক কোয়াডকপ্টার। এর মধ্যে একটি ড্রোন (Pak Drone) শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ সীমান্ত পেরিয়ে ধারিয়াল গ্রামে ঢোকে। নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে গুলি করে নামানো হয়। তারই কিছু পরে অন্য একটি ড্রোন অমৃতসর জেলার রত্তন খুর্দ গ্রাম দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে সেটিকেও গুলি করে নামানো হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই ড্রোনের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় একটি প্যাকেট। প্যাকেটটি খুলতেই দেখা যায় নিষিদ্ধ মাদক। বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই প্যাকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ কেজি ৬০০ গ্রাম হেরোইন। এই পরিমাণ হেরোইনের বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। হেরোইন ভর্তি ওই প্যাকেটের গায়ে উজ্জ্বল স্টিকার লাগানো হয়েছিল বলেও দাবি বিএসএফের।

    একটি ড্রোন আছড়ে পড়ল পাকিস্তানে

    শুক্রবার রাতেই আরও একটি ড্রোনকে (Pak Drone) লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা। তবে সেই ড্রোনটি উদ্ধার করা যায়নি। কারণ ড্রোনটি পড়েছিল পাকিস্তানের সীমানায়। বিএসএফের মুখপাত্রের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে ড্রোনটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গ সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা ড্রোনটি থেকে কিছু সংগ্রহ করছেন। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, চতুর্থ ড্রোনটি শনিবার রাতে নিয়ম ভেঙে ঢুকে পড়ে ভারতীয় আকাশ সীমায়। অমৃতসর সেক্টরে কর্তব্যরত জওয়ানরা সেটিকেও গুলি করে নামায়। একটি ড্রোন ও মাদক ভর্তি একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।

    সাম্প্রতিক অতীতে পঞ্জাব, জম্মু সহ দেশের একাধিক পাক সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে হয়েছে ড্রোন হামলা। অনেক ক্ষেত্রেই ড্রোনগুলির (Pak Drone) মাধ্যমে কখনও টাকা, কখনও আবার অস্ত্র ছড়িয়ে জঙ্গিদের রসদ জোগাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচারের চেষ্টাও চলছে। সেই কারণেই সীমান্তে রয়েছে কড়া প্রহরা। তার জেরেই গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি ড্রোন গুলি করে নামাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দেশের জন্য নিরাপত্তার সুদর্শন চক্র তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী’’, মত অমিত শাহের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mig 21: বারংবার দুর্ঘটনা, অসময়ে অবসর নিচ্ছে মিগ ২১, আসছে তেজস

    Mig 21: বারংবার দুর্ঘটনা, অসময়ে অবসর নিচ্ছে মিগ ২১, আসছে তেজস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার ভেঙে পড়ছে মিগ ২১ (Mig 21) ফাইটার জেট (Fighter Jet)। যার জেরে প্রাণ হারান পাইলট থেকে সাধারণ মানুষ। সেই কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তৈরি এই যুদ্ধ বিমান। পর পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় শনিবার যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মিগ ২১ যুদ্ধ বিমানের জায়গায় উড়বে লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজস। চলতি বছরের ৮ মে রাজস্থানের হনুমানগড় গ্রামে ভেঙে পড়েছিল একটি মিগ ২১ ফাইটার জেট। সেটি উড়েছিল সুরাতগড় বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে। রানওয়ে ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে এই যুদ্ধ বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের।

    মিগ ২১ (Mig 21) এর অবসর

    শনিবার মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, মিগ ২১ (Mig 21) যুদ্ধবিমান কেন বারংবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিমানগুলিকে ওড়ানো হবে না। তিনি বলেন, সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মিগ ২১ যুদ্ধবিমানের মোট তিনটি স্কোয়াড্রন রয়েছে। সব মিলিয়ে বিমান রয়েছে ৫০টি। ২০২৫ সালে অবসর নেওয়ার কথা ছিল এই বিমানগুলির। সেই সময়ের ঢের আগেই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই যুদ্ধবিমানগুলিকে। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান নির্মাতা সংস্থা মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের নকশায় ১৯৫৫ সালে তৈরি হয় মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান।

    ব্যবহার হয়েছে রাশিয়ার তৈরি ৮০০টি মিগ ২১

    ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে হারের পর অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের খোঁজ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। তখনই নজরে পড়ে মিগ ২১ এর ওপর। এ পর্যন্ত রাশিয়ার তৈরি ৮০০টি মিগ ২১ ব্যবহার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সম্প্রতি একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় এবং পাইলটদের মৃত্যু হওয়ায় মিগ ২১ (Mig 21) এর নাম হয়ে যায় উড়ন্ত কফিন। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তেজস তৈরি করেছে ভারত। সূত্রের খবর, রাশিয়ার তৈরি মিগ ২১ যুদ্ধবিমানের জায়গা নিচ্ছে ভারতের তৈরি তেজস।

    আরও পড়ুুন: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jagdish Tytler: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

    Jagdish Tytler: শিখ-দাঙ্গায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম, ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘টাইটলার-কাঁটা’য় অস্বস্তিতে কংগ্রেস। ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআইয়ের (CBI) চার্জশিটে উঠে এল কংগ্রেস (Congress) নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) নাম। সূত্রের খবর, টাইটলারের বিরুদ্ধে নতুন করে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেই নাম রয়েছে ওই কংগ্রেস নেতার। প্রসঙ্গত, ওই দাঙ্গার তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনের রিপোর্টেও উঠে এসেছিল টাইটলারের নাম।

    টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর শিখ বিরোধী দাঙ্গায় নয়াদিল্লির পুল বাঙ্গাশ এলাকায় মৃত্যু হয় তিনজনের। ওই হত্যকাণ্ডের নেপথ্যে টাইটলার ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের এই নেতার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। মাসখানেক আগেই দিল্লিতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে গিয়েছিলেন টাইটলার (Jagdish Tytler)। সেখানে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সিবিআইয়ের ফরেন্সিক ল্যবরেটরি থেকে বেরিয়ে টাইটলার বলেছিলেন, শিখ দাঙ্গা সম্পর্কিত কোনও মামলায় নয়, অন্য একটি মামলার জন্য তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে।

    ইন্দিরা হত্যা…

    ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরেই দেশের নানা অঞ্চলে শিখ নিধনের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসেবে, এই দাঙ্গায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা ৮ হাজারেরও বেশি। টাইটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাঙ্গেশ এলাকার বাসিন্দাদের প্ররোচিত করেছিলেন তিনি। তার জেরে উত্তেজিত জনতার হাতে মৃত্যু হয় তিন শিখ ধর্মাবলম্বীর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতা লোকের কতটা ক্ষতি করতে পারেন, মদনের কথাই প্রমাণ’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    শিখ বিরোধী দাঙ্গার তদন্তের জন্য ২০০০ সালে বিচারপতি নানাবতীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল ভারত সরকার। কমিশনের রিপোর্ট বিবেচনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তৎকালীন সাংসদ এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় সিবিআইকে। ২০০৫ সালে আরও একটি মামলা রুজু হয়। সূত্রের খবর, তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই জানতে পারে ইন্দিরা হত্যার পরের দিন টাইটলার (Jagdish Tytler) আজাদ মার্কেটের গুরুদ্বার পুল বাঙ্গেশে বিক্ষোভকারীদের উসকানি দেন। যার জেরে তিনজনকে হত্যা করা হয়। বেশকিছু দোকানপাঠও পুড়িয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা।

    দিন কয়েক আগেই কর্নাটকে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। চলছে নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি-পর্ব। তার ঠিক আগে আগেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে টাইটলারের নাম ওঠায় কংগ্রেস যে কিছুটা হলেও বিপাকে, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিং পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিং পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গে’র (Shivling) সায়েন্টিফিক সার্ভে ও কার্বন ডেটিং পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিন তিনেক আগে সায়েন্টিফিক সার্ভে ও কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগকে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অঞ্জুম ইসলামিয়া মসজিদ কমিটি। জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) দেখাশোনা করে এই কমিটিই।

    জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ‘শিবলিঙ্গ’ নিয়ে সুপ্রিম নির্দেশ

    শুক্রবার সায়েন্টিফিক সার্ভে ও কার্বন ডেটিং আপাতত স্থগিত করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, এলাহাবাদ কোর্টের নির্দেশের কার্যকারিতা আপাতত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারনের জন্য সায়েন্টিফিক সার্ভে ও কার্বন ডেটিং স্থগিত করে দেন। দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়ের জেরে আপাতত রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারবে না এএসআইও। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর শিবলিঙ্গের সায়েন্টিফিক সার্ভে ও কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন প্রত্যাখান করেছিলেন জেলা বিচারক।

    মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত

    জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque)  অজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সেই দাবি খারিজ করে পাল্টা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। বারাণসী দায়রা আদলতের বিচারক একে বিশ্বাসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মমলা এগোবে। মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক।

    আরও পড়ুুন: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সেই সময়ই কার্বন ডেটিংয়ের দাবি জানিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বারাণসী আদালত কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে রায় দেয়, যদি কার্বন ডেটিং বা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং যদি ‘শিবলিঙ্গে’র কোনও ক্ষতি হয়, তবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘিত হবে এবং এটি সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করতে পারে। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Imran Khan: ‘পাকিস্তানের অবস্থা হতে পারে পূর্ব পাকিস্তানের মতো’, বললেন ইমরান  

    Imran Khan: ‘পাকিস্তানের অবস্থা হতে পারে পূর্ব পাকিস্তানের মতো’, বললেন ইমরান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানের (Pakistan) সামনে বিপদের ঘণ্টি বাজছে। পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবারও।”কথাগুলি বললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দুর্বৃত্তের সঙ্গে তুলনাও করলেন পাকিস্তানের বর্তমান শাসকদের। ট্যুইট-বার্তায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আমজনতাকে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) পার্টি সুপ্রিমো। তিনি লিখেছেন, বর্তমানে দেশ গভীর আর্থিক সংকটের মুখে। জঙ্গি হানা থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু এ নিয়ে বর্তমান শাসক দলের কোনও মাথাব্যথা নেই।

    ‘বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে’, বললেন ইমরান (Imran Khan)

    প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, সরকারের মধ্যে বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। এই অবস্থা চললে আগামী দিনে দেশ আরও গভীর সমস্যার মুখোমুখি হবে। তাই, দেরি না করে এখনই সরকারের বিরুদ্ধে আমজনতাকে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আবেদন জানান ইমরান। পাকিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সেনাকে অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দলের বিরুদ্ধে সেনাকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। ইমরানকে গ্রেফতার করার পরে বিক্ষোভ দেখান তাঁর দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময় গুলি চালায় পাক সেনা। সেই ঘটনায়ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন পিটিআই সুপ্রিমো। পাক সেনার ওই গুলিতে ২৫ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখম হয়েছেন শতাধিক।

    আরও পড়ুুন: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    ৯ মে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ইমরানকে। এরই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাকিস্তান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান ইমরানের অনুগামীরা। তাঁদের নিশানায় ছিল পাক সেনা দফতর। বহু জায়গায় হামলার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। চলে লুঠপাটও। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষও হয় বিক্ষোভকারীদের। যদিও দলীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে ওঠা হিংসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইমরান। 

    ইমরানের বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনা

    এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই লাহোরে ইমরানের জামান পার্কের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে পাকিস্তান পুলিশ ও সেনা। তবে এখনও পর্যন্ত ইমরানের বাড়িতে ঢোকেনি তারা। পাক পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, ইমরানের বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছেন ৯ মে-র বিক্ষোভকারীরা। এমন ৪০ জন জঙ্গিকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছেন ইমরান। এদিন ভিডিও বার্তায় ইমরান বলেন, আপনারা নিজের চোখে দেখে নিন, আমার বাড়িতে কেউ লুকিয়ে নেই। এদিকে, আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের স্ত্রী বুশরাকে তলব করেছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ হাজার প্রাথমিক (Primary) শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সেপ্টেম্বর কিংবা আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চের এও নির্দেশ, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই মেনে চলতে হবে। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আদালত অগাস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে বলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সেপ্টেম্বরে।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন চাকরিহারারা?

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা আপাতত চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের মতো। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সকলেই অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।

    ইন্টারভিউ পাশ করতে হবে

    ২০১৬ সালে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। এঁদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫০০ জনকে নিয়ে প্রথম থেকেই কোনও বিতর্ক নেই। গত শুক্রবার বাকি ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, নতুন করে ইন্টারভিউ পাশ করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন, না হলে খোয়াতে হবে চাকরি। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে জানান, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীর আসল সংখ্যা ৩০ হাজার ১৮৫, ৩৬ হাজার নয়। লেখায় ভুল হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: অভিষেককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা শনি-সকালেই

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে মামলা করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা নস্কর সহ ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে (Calcutta High Court) জানান, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছিলেন অনেক প্রশিক্ষণহীনই। ইন্টারভিউ বির্তক প্রসঙ্গও ওঠে। তরুণজ্যোতি বলেন, “আমাদের বক্তব্য ছিল পক্ষপাত হয়েছে, ইন্টারভিউ অ্যাপ্টিটিউডের নম্বরে গোলমাল হয়েছে। রিজার্ভেশন রোস্টার মানা হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, সবটা মেনে করতে হবে। সেই রায় বহাল থাকছে। তবে যাঁরা চাকরিহারা হন, যাঁদের মামলা প্যারাটিচারদের মতো হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, ডিভিশন বেঞ্চ তাতে স্টে দিলেন ঠিকই, বোর্ডকে প্রসেসটা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বললেন। অর্থাৎ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ইন্টারফেয়ার করলেন না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মিথ্যে নয়, ২৬ ‘শিকার’কে হাজির করে ‘প্রমাণ’ দিলেন নির্মাতারা

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মিথ্যে নয়, ২৬ ‘শিকার’কে হাজির করে ‘প্রমাণ’ দিলেন নির্মাতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। গত ৫ মে মুক্তি পেয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবি। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে হইচই। বুধবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ছবির প্রডিউসার বিপুল শাহ ও ডিরেক্টর সুদীপ্ত সেন। এদিন মুসলিম মৌলবাদের শিকার হয়েছেন এমন ২৬ জন মহিলাকে হাজির করেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকটি হয় বান্দ্রার রং শারদা হলে। সেখানেই হাজির করা হয়েছিল কোচি থেকে নিয়ে আসা ওই মহিলাদের। আর্ষ বিদ্যা সমাজমের সদস্য শ্রুতি জানান, তাঁদের সংস্থা কেরালায় ৭ হাজার মহিলাকে সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। সিনেমাটিতে দাবি করা হয়েছে, ৩২ হাজার অমুসলিম মহিলাকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। শাহ জানান, এনিয়ে অনেকেই বলছেন, অযথা মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে দর্শকরা জানুন, আসল সত্যটা কী।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র (The Kerala Story) ‘চরিত্র’রা

    ছবির (The Kerala Story) নির্মাতারা জানান, লভ জিহাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাঁরা শুধুই ছবি বানিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। বাস্তব জীবন থেকে তাঁরা তুলে এনেছেন ২৬ জন মহিলাকে। এঁরা সবাই যে কেরালার তা নয়, গোটা ভারতের। মৌলবাদীদের শিকার হয়েছিলেন অনঘা জয়গোপাল। তিনি বলেন, দু বছর আগে আমি সন্তানসম্ভবা ছিলাম। পর্দার শালিনীর (যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অদা শর্মা) মতো আমারও একই দশা হয়েছিল। পর্দার আশিফার মতো অনেক মেয়েই হস্টেলে ছিল, তাদেরও ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তারা প্রায়ই আমাদের কনফিউজ করত। ধর্মজ্ঞানের অভাবের কারণে আমি আমাদের দিকটা বুঝিয়ে বলতে পারতাম না।

    ‘আমি হিন্দু বিরোধী হয়ে গিয়েছিলাম’

    তিনি বলেন, এই (মুসলিম) মহিলারা প্রায়ই বলত ঈশ্বর একজনই, তিনি আল্লা। তারা আমাকে কোরানের হিন্দি অনুবাদ দিয়েছিল। এটা পড়ার পর আমি হিন্দু বিরোধী হয়ে গিয়েছিলাম। পরিবার ছেড়ে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলাম। আমার পরিবার বাড়িতে ঈশ্বরের আরাধনা করতেন। আর আমি নমাজ আদায় করতাম। আমাকে নমাজ আদায় করতে না দেওয়ায় আমি আমার এক আত্মীয়ের মেয়ের ওপর খুব রেগে গিয়েছিলাম। তিনি (The Kerala Story) বলেন, এই ছবিটা আমার জীবনের গল্পের মতো। সিনেমাটা দেখার পর আমি হাউ হাউ করে কাঁদতে চেয়েছিলাম।

    মৌলবাদীদের শিকার হয়েছিলেন চিত্রাও। তিনি বলেন, কেবল মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও ধর্মান্তরিত হয়েছে। যারা ধর্মান্তরিত হয়েছে, তারা পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছে। ছবির নায়িকা অদা শর্মা বলেন, আমি ভিডিওয় দেখেছি মহিলাদের ট্যাঙ্কারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তারা মারা যাচ্ছে। মেয়েদের কেবল সন্তান জন্ম দেওয়ার যন্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করা হত। যে শিশুরা পরবর্তীকালে সন্ত্রাসবাদী এবং সুইসাইড বম্বার হত, কেবল তাদের বাঁচিয়ে রাখা হত।

    আরও পড়ুুন: ‘পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫’! শুভেন্দু কেন বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Egra: এগরাকাণ্ডে এনআইএ-কে রিপোর্ট পাঠাবে সিআইডি, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা (Egra) বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। তবে তদন্তের রিপোর্ট পাঠাতে হবে এনআইএকে (NIA)। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিআইডির প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাই ঠিক করবে, তারা তদন্ত করবে কি না। এই মামলায় এনআইএকে পার্টি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    এগরা (Egra) বিস্ফোরণে গ্রেফতার ভানু

    মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Egra) ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৯ জনের দেহ। জখমও হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বাজি শ্রমিক। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাজি কারখানার আড়ালে তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়িতে তৈরি হত বোমাও। বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ভানু নিজেও। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাইকে চেপে ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। ওড়িশার কটক হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছুটা সুস্থ হলেই ভানুকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

    এনআইএ-র দাবি শুভেন্দুর

    যদিও এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিআইডি তদন্ত জারি রাখতে বলে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে আদালতের নির্দেশ, এনআইএ (Egra) আইনের ৬ নম্বর ধারার বিধানগুলি মেনে চলবে হবে। ওই বিধানে বলা হয়েছে, একটি নির্ধারিত অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের যাবতীয় কাগজপত্র এনআইএকে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এনআইএ সিদ্ধান্ত নেবে তারা তদন্ত করবে কি না।

    আরও পড়ুুন: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিপক্ষে বিস্ফোরক দিলীপ

    এদিন শুনানির সময় খাদিকুলের ওই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ছবি দেখে শিউরে ওঠেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, “হে ভগবান, কী হয়েছে? দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে”। ঘটনার পরে রাজ্য সরকার যে এফআইআর করেছে, তাতে বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। যদিও আদালত সেই ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। খাদিকুলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ঘটনার(Egra) পর বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এনআইএ তদন্ত করলে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় জুড়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে অভিষেক এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দুজনকেই দিতে হবে ২৫ লক্ষ করে টাকা। অভিষেকদের ওই টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জরিমানা কেন?

    প্রশ্ন হল, কী কারণে জরিমানা গুণতে হবে অভিষেক এবং কুন্তলকে? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্যই গুণাগার দিতে হবে অভিষেক ও কুন্তলকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের যে আবেদন অভিষেক করেছিলেন, তার কোনও সারপত্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই জরিমানা। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি সিনহাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মামলার সারবত্তা না থাকলে জরিমানা করা হয় আদালতে। জরিমানা দিতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নন্দীগ্রাম বিধানসভার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। মুখ্যমন্ত্রী এজলাস বদলের আর্জি জানান। তাঁর সেই অনুরোধ রাখেন বিচারপতি চন্দ। তবে এজলাসে আস্থা না রাখার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।

    সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন অভিষেক?

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের (Calcutta High Court) প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক। এদিন বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। তার প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিষেক। বর্তমানে দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে আসানসোলে রয়েছেন অভিষেক। সেখান থেকেই কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। ঠিক হয়, রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই আবেদন জানানো হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share