Author: Krishnendu Bakshi

  • Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ে মৃত্যু মামলায় এবার কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ভিআইপিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়, রাজ্যের কাছে তাও জানতে চাইল আদালত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ভিআইপিদের ক্ষেত্রে রুট লাইনিং, ওয়াচার্স ম্যানেজমেন্ট কী প্রক্রিয়া মেনে করা হয়, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। রিপোর্ট দিতে হবে সোমবারের মধ্যে। পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আপাতত ইয়োলো বুক মেনে কাজ করুন।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির বিস্ময়…

    এই মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার। এই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কনভয় সুরক্ষা কর্মীকে ডাকবে না পুলিশ। আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। সেই কারণেই এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গাড়ি দুর্ঘটনার মতো একটি বিষয়ের তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর মন্তব্য, “সিআইডি কেন? আরও বেশি কিছু দেওয়া দরকার”!

    বুধবার শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, কনভয় দুর্ঘটনার অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু ছিলেন প্রথম গাড়িতে। দুর্ঘটনাটি ঘটে তাঁর কনভয়ের ৭ নম্বর গাড়িতে। তিনি এও বলেছিলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। কনভয়ের সাত নম্বর বুলেটপ্রুফ গাড়িটিতে ধাক্কা লেগেছে। রাস্তার ধার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    বৃহস্পতিবার দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। পরে ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন চণ্ডীপুর থানায়। মৃত ইস্রাফিলের দেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়ের এক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। পরের দিনই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shiv Sena: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের, কী বলল আদালত?

    Shiv Sena: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) গোষ্ঠীর। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়কের পদ খারিজ করল না সুপ্রিম কোর্ট। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শিবসেনার রাশ হাতে পাওয়ার পরে শিন্ডে গোষ্ঠীর চিফ হুইপ উদ্ধব ঠাকরের অনুগামী বিধায়কদের পদত্যাগের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বুধবার তাকেও অসাংবিধানিক বলল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জুন মাসে শিন্ডে গোষ্ঠীর বিদ্রোহের সময় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার (ভারপ্রাপ্ত স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল দলত্যাগী বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত।

    শিবসেনায় (Shiv Sena) ভাঙন…

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের (Shiv Sena) মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে একনাথ শিন্ডের। তার জেরে ভাঙন ধরে শিবসেনার ঘরে। উদ্ধবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন একনাথ। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে উদ্ধবকে পুনর্বহালের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, বিধানসভায় আস্থা ভোটের আগে উদ্ধব নিজেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফেরানো সম্ভব নয়। রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি মহারাষ্ট্র বিধানসভার বৃহত্তম দল বিজেপি সমর্থিত শিন্ডেকে সরকার গড়তে ডেকে অযৌক্তিক কিছু করেননি বলেও জানিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশ্যে আসে শিবসেনার (Shiv Sena) অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিদ্রোহী ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে উদয়পুরের রিসর্টে আশ্রয় নেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে। পরে সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে চলে যাওয়া হয় বিজেপি শাসিত অসমে। বিদ্রোহী শিবিরে বিধায়কের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। পতন ঘটে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের। পরের দিনই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ে শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী। মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Karnataka Assembly: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    Karnataka Assembly: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার নির্বিঘ্নেই শেষ হল কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন। ভোট হয়েছে বিধানসভার ২২৪টি আসনেই। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫.৬৯ শতাংশ। নির্বাচনের ফল বেরবে ১৩ মে। তবে এবার বিধানসভা হতে পারে ত্রিশঙ্কু। পাঁচটি এক্সিট পোলের (Exit Poll) ইঙ্গিত অন্তত তাই। কিংমেকার হতে পারে এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল সেকুলার। যে দল ক্ষমতায় আসবে, তাদের পেতে হবে ম্যাজিক ফিগার ১১৩টি আসন।

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন…

    এবিপি নিউজ-সি ভোটারের (Karnataka Assembly) সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৮৩-৯৫টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১০০-১১২টি আসন। কুমারস্বামীর দল পেতে পারে ২১-২৯টি আসন। অন্যদের ভাগ্যে জুটতে পারে ২-৬টি আসন। ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পেতে পারে ৮০-৯০টি, কংগ্রেস ১১০-১২০টি, কুমারস্বামীর দল ২০-২৪টি এবং অন্যরা ১-৩টি আসন। নিউজ নেশান-সিজিএসের ভবিষ্যদ্বাণী, বিজেপি পেতে পারে ১১৪টি, কংগ্রেস ৮৬টি, কুমারস্বামীর দল ২১টি এবং অন্যরা ৩টি আসন। রিপাবলিক টিভি-পি এমএআরকিউয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি ৮৫-১০০টি, কংগ্রেস ৯৪-১০৮টি, কুমারস্বামীর দল ২৪-৩২টি এবং অন্যরা ২-৬টি আসন পেতে পারে।

    সুবর্ণ নিউজ-জন কি বাতের মতে, বিজেপি পেতে পারে ৯৪-১১৭টি, কংগ্রেস ৯১-১০৬টি, কুমারস্বামীর দল ১৪-২৪টি এবং অন্যরা ০-২টি আসন পেতে পারে। টাইমস নাও-ইটিজির সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি ৮৫টি, কংগ্রেস ১১৩টি, কুমারস্বামীর দল ২৩টি এবং অন্যরা ৩টি আসন পেতে পারে। টিভি ৯ ভারতবর্ষ-পোল্সট্রাটের (Karnataka Assembly) সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি পেতে পারে ৮৮-৮৯টি, কংগ্রেস ৯৯-১০৯টি, কুমারস্বামীর দল ২১-২৬টি এবং অন্যরা ০-৪টি আসন। জি নিউজ মার্টিজের সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি পেতে পারে ৭৯-৯৪টি, কংগ্রেস ১০৩-১১৮টি, কুমারস্বামীর দল ২৫-৩৩টি এবং অন্যরা পেতে পারে ২-৫টি আসন।

    আরও পড়ুুন: ইমরানকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, পাকিস্তানে এমন ঘটনা ঘটেছে আগেও

    কর্নাটকের (Karnataka Assembly) শাসন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিরোধী দল কংগ্রেস। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে কুমারস্বামীর দল। রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। তবে এক্সিট পোলের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে এবার ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে বিধানসভা। যদিও কুমারস্বামীর দল যাদের সঙ্গ নেবে, শেষ হাসি হাসবে তারাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। প্রথম গাড়িতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। দুর্ঘটনা ঘটে সাত নম্বর গাড়িতে।” কনভয় বিতর্কে বুধবার এই কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চণ্ডীপুরকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcatta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, রাজ্য কথা দেওয়ার পরেও কনভয়ে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। তবে শুভেন্দু সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও, মৃতের পরিবারের দাবি সিআইডি তদন্তের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর দাবি…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, চণ্ডীপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কনভয়ের ৭-৮ নম্বর গাড়িতে দুর্ঘটনা। এই ঘটনা ঘটতই না যদি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য শুভেন্দু অধিকারীর সুরক্ষা বলয়ের জন্য পদক্ষেপ করত। তাঁর দাবি, তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। এফআইআরের ওপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন। ঘটনায় গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ মিছিলও করে তৃণমূল।

    আদালতে (Calcatta High Court) শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, আরটি ভেহিক্যালস, ক্যামেরা, রুট লাইনিং এই তিনটি বিষয় জেড সুরক্ষা বলয়ে সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। হাইকোর্টের নির্দেশে এই তিনটি বিষয় শুভেন্দুর সুরক্ষা বলয়ে দেওয়ার কথা রাজ্যের। রাজ্য না দেওয়ায় দুবার রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন কানে তোলেনি রাজ্য। শুভেন্দুর কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যরত কোনও জওয়ানকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার ও একদিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, চণ্ডীপুরের ঘটনায় এফআইআর ও পুলিশের পদক্ষেপ নির্দষ্ট স্বার্থসিদ্ধির জন্য।

     

  • Imran Khan: ইমরানকে গ্রেফতারির জেরে উত্তাল পাকিস্তান, সেনা শিবিরে আগুন

    Imran Khan: ইমরানকে গ্রেফতারির জেরে উত্তাল পাকিস্তান, সেনা শিবিরে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতারির জেরে উত্তাল পাকিস্তান (Pakistan)। বুধবারও চলছে ভাঙচুর, সরকারি দফতর ঘেরাও অভিযান। ইমরান সমর্থকদের রোষানলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদর দফতরও। রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরের ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) দলের কর্মী-সমর্থকরা। কেবল রাওয়ালপিন্ডিই নয়, পেশোয়ারের সেনা শিবির এবং লাহোর, করাচির সেনা নিবাসেও হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

    ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারির প্রতিবাদ…

    মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমো। তার পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন খানিকটা স্তিমিত হলেও, বুধবার সকালে ফের শুরু হয়। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা নাগাদ ইসলামাবাদে জড়ো হন পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা। ইসলামাবাদে এদিনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ইমরানকে (Imran Khan) মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিটিআই।

    মঙ্গলবার বিকেলেই কোয়েট্টা, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে ব্যাপক আন্দোলন হয়। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় একজনের। কোয়েটায় সেনা ও পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “গীতাঞ্জলির বিকল্প কথাঞ্জলি নয়”, নাম না করে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    পঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদেও সেনা ও ইমরানের সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই যুবকের। কোয়োটায় সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন পাঁচজন। ফয়সলাবাদ, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ড এবং লাহোরেও সংঘর্ষে প্রায় ১৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা হেড কোয়ার্টারের ভিতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন ইমরানের (Imran Khan) দলের সমর্থকরা। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভের পাশাপাশি পেশোয়ারে রেডিও স্টেশনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়েছে পুলিশ। অশান্তি ঠেকাতে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। তার পরেও অবশ্য থামানো যায়নি অশান্তি।

    নওয়াজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও…

    দেশ ছাড়িয়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়েছে বিদেশেও। লন্ডনে পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলেছেন ইমরানের সমর্থকরা। কানাডা, আমেরিকায়ও ইমরানকে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আমেরিকায় সিএনএনের সদর দফতরের সামনে পাক সরকারের গুন্ডামির প্রতিবাদ জানানো হয়। কানাডায়ও বিরাট জমায়েত থেকে ইমরানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে।  

    এদিকে, বুধবার ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তোলা হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর। তার বদলে তাঁকে রাখা হয়েছে হেফাজতে। সেখানেই শুনানি হওয়ার কথা। ইমরানকে আপাতত ৪-৫ দিন ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর হেফাজতে রাখা হবে। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমরা চাই, পাকিস্তানে যে ঘটনাই ঘটুক, তা যেন আইন মেনে ঘটে। সেখানে যেন সংবিধান মেনে সবটা করা হয়। পাশাপাশি, আমরা চাই, সেখানে যেন শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বজায় থাকে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবীন্দ্র-প্রভাবেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় জোর মোদির, জানালেন শাহ

    Amit Shah: রবীন্দ্র-প্রভাবেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় জোর মোদির, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের গুরুত্ব বোঝালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, “যে শিশু মাতৃভাষায় কথা বলতে পারবে না, পড়তে পারবে না, মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে না, সেই শিশুর ভাবনা, বিচার করার ক্ষমতা থাকবে না”। তিনি জানান, সেই জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষার ওপর জোর দিয়েছেন। রবীন্দ্র-তীর্থ শান্তিনিকেতনের শিক্ষা ব্যবস্থারও ভূয়সী প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনুকরণযোগ্য হল শান্তিনিকেতন। আগামিদিনে শান্তিনিকেতনই সমস্ত বিশ্বকে শিক্ষার নয়া পথ দেখাবে”। তিনি বলেন, “শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Thakur) শিক্ষাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন”।

    অমিত শাহ (Amit Shah) উবাচ…

    স্বাধীনতা আন্দোলনেও যে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা ছিল, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন শাহ। তিনি (Amit Shah) বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি নেতার অনুপ্রেরণা ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বের দরবারে ভারতের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে তিনিই তুলে ধরেছিলেন। প্রথমবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও তিনি এনেছিলেন। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও ছিলেন রবীন্দ্রনাথ”। কেবল বাংলা নয়, শাহের রাজ্য গুজরাটের সঙ্গেও যে কবিগুরুর বিশেষ সম্পর্ক ছিল, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গুজরাট ও গুজরাটি সাহিত্যের সঙ্গে গুরুদেবের বিশেষ সম্পর্ক ছিল। গুজরাটের অনেক সাহিত্য রবীন্দ্রনাথ বাংলায় অনুবাদ করেছেন এবং আহমেদাবাদের অনেকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। আজও আহমেদাবাদের মানুষ রবি ঠাকুরকে স্মরণ করেন”।

    আরও পড়ুুন: “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা,” রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    এদিন সকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে শাহ শ্রদ্ধা জানান কবিগুরুকে। ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সন্ধেয় সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত রবীন্দ্র সন্ধ্যায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর একটি ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ শো-র উদ্বোধনও করেন তিনি। তার আগে তিনি (Amit Shah) গিয়েছিলেন পেট্রাপোল সীমান্তে। সেখানে একটি থানার উদ্বোধন করেন শাহ। শিলান্যাস করেন দ্বিতীয় কার্গো গেটের। প্রশংসা করেন বিএসএফের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আর্থিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পেট্রাপোলের। পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্যের অঙ্ক বেড়েছে”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, তাও জানান শাহ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    Balurghat: বাংলাদেশ আচমকা জল ছাড়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর হু হু করে বাড়ছে, দুর্ঘটনায় ত্র্যস্ত প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটে (Balurghat) আত্রেয়ী নদীর উপর নির্মীয়মাণ বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু মাঝে বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় আত্রেয়ীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিপদ এড়াতে নির্মীয়মাণ বাঁধের পশ্চিমপ্রান্ত দিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে। আর সেখানেই স্নান করতে উপচে পড়ছে ভিড়। ওই জলের স্রোতে ইতিমধ্যেই অনেকে ভেসে গিয়েছে। আবার বেশ কয়েকজন নির্মীয়মাণ বাঁধের লোহার আঘাতে জখম হয়েছে। যা নিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। সেচ দফতর ও নির্মাণ সংস্থা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সকলকে তুলে দিলেও সমস্যা কাটেনি। তাই ওই এলাকাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রশাসন।

    কী বলছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) সদর মহকুমাশাসক সুমন দাশগুপ্ত বলেন, আমাকে সেচ দফতরের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। আগামীতে ওই এলাকা বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ বলে প্রচার করা হবে। কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হবে। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, ওই জায়গাটা এমনিতেই বিপজ্জনক। তাই সেখানে কেউ যাতে স্নান করতে না নামে, তার জন্য পুলিশ নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি সেচ দফতরকেও প্রচার ও সতর্কমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেচ দফতরের ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সঞ্জয় পারেখ বলেন, আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় জলস্তর বেড়েছে। যার ফলে নদীর একপাশ থেকে জল ছেড়ে দিয়েছি আমরা। সেই জলস্রোতে স্থানীয় বহু মানুষ স্নান করতে নামছে। একজন তলিয়ে গিয়েছিল। আমরা বাঁচিয়েছি। এছাড়া দুজন জখম হয়েছে। আমরা কাজ করব, না মানুষ বাঁচাব? যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

    কাজ শেষের মুখেই নয়া বিপদ

    প্রসঙ্গত, আত্রেয়ীর জলের সমস্যা মেটাতে বালুরঘাট (Balurghat) শহরে এর উপরে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে স্বল্প উচ্চতার বাঁধ। ওই বাঁধের কাজ ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে৷ বাকি অংশের কাজ শেষ করতে তোড়জোড় শুরু করেছে সেচ দফতর। ২০২১ এর ডিসেম্বর মাসে সেই কাজ শুরু হয়েছে। নদী বরাবর ২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট বাঁধের কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে। দুপাশে দুটি স্লুইস গেটের কাজও চলছে। কিন্তু এখনও কাজ শেষ না হতেই বিপদ বাড়ছে এলাকায়।

    কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন

    জানা গিয়েছে, ওই বাঁধের পশ্চিমপাড়ে জলের স্রোত বয়ে চলেছে। ওই জলস্রোতের সৌন্দর্য দেখতে যেমন মানুষ ভিড় করছে, তেমনি সেই জলে স্নান করতে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এদিকে এখনও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। নদীর মধ্যে অনেক জায়গায় লোহার রড, সিমেন্টের পোল সহ নানা ধারালো সরঞ্জাম রয়েছে। ফলে স্নান করতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে। একজন জলে তলিয়ে গেলে তাকে দড়ি দিয়ে কোনওরকমে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। তাই প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় পুলিশকে (Balurghat) নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী বিপজ্জনক এলাকা এবং সাইরেন সহ নানা সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই আত্রেয়ীতে তলিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: “তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের সমস্যা কোথায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha)। তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা যে কোনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে, এতে অসুবিধা কীসের? তদন্তে সহযোগিতা করতে সমস্যা কোথায়? এর পাশাপাশি বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, এই মামলায় তাঁর বক্তব্য জানাতে পারবেন অভিষেক। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ মে।

    সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)…

    ১৩ এপ্রিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, কুন্তল ঘোষের চিঠিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রয়োজনে কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসাতেও পারে ইডি-সিবিআই। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অভিষেকের মামলা সরানোর নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই মামলা পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সিনহার এজলাসে।

    মে মাসের প্রথম দিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। সৌমেন নন্দী, রমেশ মাহাতর মামলা গিয়েছে তাঁর এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠতে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার বার্তা দিয়ে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এদিন আদালতের কাছে সময় চান অভিষেকের আইনজীবী। হাইকোর্ট সময় মঞ্জুর করলেও, অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেন বিচারপতি সিনহা।

    আরও পড়ুুন: চণ্ডীপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    সোমবার আদালতে মামলাটি উঠলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এদিন মামলাটির শুনানি ছিল বলে তাঁর জানা ছিল না। এর পরেই বিরক্তি প্রকাশ করে অভিষেকের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, আজ মামলার শুনানি, অথচ আপনি কেন জানেন না? মামলায় যুক্ত হওয়া পর্যন্ত কি অপেক্ষা করছিলেন? তদন্তের ওপরে কেউ নন। তদন্তে সহযোগিতা করুন। এর পরেই তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করলে অসুবিধার কী আছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Media Censorship: গরিবি ঢাকতে দারিদ্রের করুণ ছবি মুছছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার!

    Media Censorship: গরিবি ঢাকতে দারিদ্রের করুণ ছবি মুছছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরিবি হটানোর কোনও চেষ্টা নেই! যা আছে, তাহল গরিবি ঢাকার চেষ্টা। তামাম বিশ্বের সামনে চিনা (China) অর্থনীতির বেহাল দশার কথা তুলে ধরতে রাজি নয় সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। তাই দেশবাসীর করুণ অবস্থার ছবি তুলে ধরে যেসব ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা মুছতে (Media Censorship) শুরু করেছে ‘গরিব দরদি’ সরকার। সম্প্রতি চিনে বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। সেই গরিব মানুষদের দুঃসহ জীবনের ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে স্পষ্ট, কীভাবে বহু চিনা নাগরিক আধ পেটা কিংবা প্রতিদিন ভরপেট খেতে না পেয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন।

    ভাইরাল ভিডিওয় কাঁচি (Media Censorship)…

    ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের অতি সাধারণ মানুষ ফি মাসে মুদিখানার সামগ্রী কেনার জন্য খরচ করতে পারেন মাত্র ১০০ ইয়েন। মার্কিন ডলারে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ভারতীয় ১৪ টাকার মতো। কেবল ওই ভিডিও নয়, চিনের বেহাল অর্থনীতির খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসও। সেখানেও উঠে এসেছে অতি সাধারণ চিনা নাগরিকদের দুর্বিষহ জীবনের করুণ ছবি। এক চিনা নাগরিক বলেন, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ধুয়ে ফেলি। দাঁত (Media Censorship) মাজি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার পেট মুখের চেয়ে বেশি পরিষ্কার। কারণ সেখানে ময়লা জমার মতো কিছুই যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুুন: পুলিশ কর্তা ও এনআইএ-র অফিসে নাশকতার ছক জঙ্গিদের! সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

    মার্কিন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন মুছতে পারেনি চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার। তবে দেশ থেকে যেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে চিনের ভুখা অর্থনীতির ছবি, যে ছবি ভাইরাল হওয়ার পর মুখ পুড়েছে কমিউনিস্ট শাসিত এই দেশের। তার পরেই ভাইরাল হওয়া দারিদ্রের করুণ কাহিনি সম্বলিত ছবি ডিলিট করতে উঠেপড়ে লেগেছে সে দেশের সরকার।

    একুশ সালে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা ঘোষণা করেছিলেন (Media Censorship) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেছিলেন, এখনও বহু মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছেন। তবে আমাদের দেশের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির কথা আগে ভাবতে হবে। সেটা যে নিছকই কথার কথা ছিল, তার জ্বলন্ত প্রমাণ দেশের অর্থনীতির করুণ ছবি। যে ছবি মোছার চেষ্টা করছে ড্রাগনের দেশের সরকার।

    ছবি না হয় মোছা গেল, দারিদ্র ঘুঁচবে কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bombay High Court: দখল হয়েছিল কিশোরীবেলায়, নবতিপর বৃদ্ধাকে ফ্ল্যাট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের

    Bombay High Court: দখল হয়েছিল কিশোরীবেলায়, নবতিপর বৃদ্ধাকে ফ্ল্যাট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ আট দশক পরে ফিরে পেতে চলেছেন হারানো অধিকার। যখন তাঁর ফ্ল্যাট দুটি দখল হয়ে যায় তখন তিনি ছিলেন বছর তেরোর কিশোরী। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৩। এতদিনে মিলল বিচার। আট সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ মুম্বইয়ের (Mumbai) রুবি ম্যানসনের দুটি ফ্ল্যাট তার মালিক অ্যালিস ডিসুজাকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারকে দখলদার হটিয়ে ফ্ল্যাট দুটি ডিসুজার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) নির্দেশ…

    রুবি ম্যানসনের প্রথম তলায় রয়েছে ৫০০ ও ৬০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট। ২৯৪২ সালের ২৪ মার্চ ভারতের প্রতিরক্ষা আইনে ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখলের নির্দেশ জারি করে ব্রিটিশ সরকার। সেই আইন বলে ডি-সুজার ফ্ল্যাট দুটি অধিগ্রহণ করে সরকার। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। ফ্ল্যাটের মালিকানা ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরু হয় ডি-সুজার। তার পর আরব সাগর দিয়ে বয়ে গিয়েছে লোনা জলের রাশি। সময় গড়িয়েছে। ফ্ল্যাটের দখল ফিরে পাননি ডিসুজা। শেষমেশ বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) বিচারপতি আরডি ধানুকা এবং এমএম সাথয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে ডি-রিকুইজিশন আদেশ দেওয়া সত্ত্বেও ফ্ল্যাটগুলির মালিকানা ডিসুজাকে হস্তান্তর করা হয়নি।

    আরও পড়ুুন: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যার ছক কষছে রাশিয়া?

    দুটি ফ্ল্যাটই প্রাক্তন এক সরকারি কর্মীর উত্তরাধিকারীরা দখলে রেখেছেন। আদালতে পেশ করা পিটিশনে ডিসুজা জানিয়েছেন, রিকুইজিশন আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত ফ্ল্যাটের দখল সঠিক মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। বিল্ডিংয়ের অন্যান্য ফ্ল্যাটের দখল তাদের মালিকদের হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি তাঁর ফ্ল্যাট দুটি। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র সরকারকে আদালতের (Bombay High Court) নির্দেশ, আট সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান দখলদারদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট দুটি নিয়ে হস্তান্তর করতে হবে মালিক ডিসুজাকে।

    তিরানব্বইয়ে তাহলে শেষ হাসি হাসলেন ডিসুজাই!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share