Author: Krishnendu Bakshi

  • Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)। এই ঝড় যদি বাংলায় আঘাত হানে তাহলে কী করণীয়, তা নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে হল বৈঠক। মহকুমা শাসকের দফতরে হয় এই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ। যদিও বৈঠকের পোশাকি নাম প্রি-মনসুন প্রিপারেশান মিটিং। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা। স্বাস্থ্য, পুলিশ, দমকল এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

    ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)…

    জরুরি ভিত্তিতে দুর্বল নদীবাঁধের সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় (Cyclone Mocha) (যদি হয়) সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টকে সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় মানুষকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সেদিকটি দেখা হয়েছে। কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেখানকার মানুষদের পরিষেবা কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার মালদহের সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৭ তারিখে মোচা না মোটা কী যেন একটা আসছে। অনেকেই বলছে, পাথরের মতো কিছু একটা আসবে, আর সব নাকি দুমদাম করে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে। নানা লোক নানা রকম বলছে। আমাদেরও একটা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দল রয়েছে। আমরা যদি আগে থেকে সতর্ক হতে পারি, তবে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    ২০২০ সালে আছড়ে পড়েছিল আমফান। সেটিই ছিল সব চেয়ে বিধ্বংসী। ২০২১ এবং তার পরের বছরও এই সময়ই আছড়ে পড়েছিল দুটি ঘূর্ণিঝড়। পরপর তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। তার মধ্যেই ধেয়ে আসছে মোচা (Cyclone Mocha)। সেটির অভিমুখও বাংলা হতে পারে বলে অনুমান করছেন আবহাওবিদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে চিন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক জয়শঙ্করের

    SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে চিন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ায় চলছে দু দিন ব্যাপী সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এই বৈঠকের ফাঁকেই বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিনের বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO Summit)…

    জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বাখতিওর সাইদভেরও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয় এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। প্রসঙ্গত, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সভাপতির দায়িত্ব চলতি বছর ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির হয়ে সওয়াল করেছিল উজবেকিস্তান।

    জয়শঙ্করের (SCO Summit) সঙ্গে এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রী কুইন গ্যাংয়েরও। অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। দুই দেশই সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতাবস্থার পক্ষে একমত হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে জি-২০ সদস্যভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয় দিল্লিতে। ওই সময় চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজনাথ। সেবারও সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর (SCO Summit) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হলেও, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশই পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে জয়শঙ্করের আলোচনার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে খবর।

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক হচ্ছে গোয়ায়। এই সাংহাই কো-অপারেশনের পূর্ণাঙ্গ সদস্য আট দেশ। এই দেশগুলি হল, ভারত, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া। ডায়লগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে মিশর, কাতার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান এবং সৌদি আরব, এই ৯টি দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় অগ্রগতি, রেকর্ড করা হল গোপন জবানবন্দি

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় অগ্রগতি, রেকর্ড করা হল গোপন জবানবন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় তদন্তের গতি নিয়ে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআইকে (CBI)। দিন কয়েক আগেই বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন, কোথায় ডেভেলপমেন্ট? শেষমেশ মিলল সেই ডেভেলপমেন্ট। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এই প্রথম কারও গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, নাইসার আধিকারিক পঙ্কজ বনশলের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় অগ্রগতি…

    ওএমআর শিট কারা নষ্ট করার নির্দেশ দিল, মূলত তা জানতেই রেকর্ড করানো হয়েছে গোপন জবানবন্দি। কোন সিন্ডিকেটে কারা, কারা কাদের কাছে নির্দেশ পাঠাত, তাও জানার চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার আদালতে ওই ব্যক্তির গোপন জবানবন্দি করানোর জন্য আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করলে নাইসার ওই আধিকারিকের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় আদালতে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) তদন্তের গতি নিয়ে দিন কয়েক আগে বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের পর শুধু আবেদন জমা পড়ছে। এই বিষয়ে যা প্রয়োজনীয়, তা করার কথাও জানান বিচারক। পরে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, আজ আমি কিছু বলব না, যা করার তা কলম দিয়ে করে দেব।

    আরও পড়ুুন: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, মিডলম্যান নীলাদ্রি ঘোষকে কবে গ্রেফতার করেছেন? এর পর তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে? ভর্ৎসনার সুরে বিচারক বলেন, নীলাদ্রি-কুন্তল-তাপস কাকে টাকা দিলেন, তিনি তো পিকচারেই নেই। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের জমা করা কেস ডায়েরি দেখে বিচারক বলেন, প্রসেস বলছেন শুধু, এভাবে কতদিন আটকে রাখব। তিনি বলেন, এটা তো সিভিল কেস হচ্ছে? নিশ্চিতভাবে তদন্তে কিছু পজিটিভ অগ্রগতি থাকতে হবে। মিসিং লিঙ্ক থাকলে কারও কিছু করার থাকবে না। চার্জশিট হয়ে অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যাবে।

    সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে বিচারক বলেন, গতি বাড়ান। যাঁরা প্রতারিত (SSC Scam) তাঁদের গোপন জবানবন্দি নিতে বলা হয়েছিল। এতদিন সিবিআই চুপ করে বসে ছিল। আদালত একাধিক প্রশ্ন করলেও, সিবিআইয়ের কাছে সদুত্তর নেই। তিনি বলেন, সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের বলছি, তদন্ত দ্রুত শেষ করুন। তদন্ত যেহেতু প্রসেসের মধ্যে রয়েছে, তাই জামিন দিলাম না। প্রসঙ্গত, শনিবার, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে ১২ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bilawal Bhutto Zardari: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    Bilawal Bhutto Zardari: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতে (India) এলেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভু্ট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। বৃহস্পতি ও শুক্র দু দিন ধরে গোয়ায় হচ্ছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। ওই বৈঠকে যোগ দিতেই ভারতে এসেছেন বিলাওয়াল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর কথা হতে পারে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। পুঞ্চে জঙ্গি হামলা হয়েছে দিন কয়েক আগে। শহিদ হয়েছেন ভারতের পাঁচ জওয়ান। এহেন আবহে বৃহস্পতিবার ভারতে এলেন বিলাওয়াল।

    জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে ভারতে বিলাওয়াল ভু্ট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)…

    ২০১৪ সালে দিল্লির তখতে আসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী পদে মোদি যেদিন শপথ নেন, সেদিন ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার পর আর পাকিস্তানের কোনও শীর্ষ নেতৃত্ব ভারতে আসেননি। দীর্ঘ ৯ বছর পর এলেন বিলাওয়াল। তিনি যে ভারতে আসবেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এপ্রিলেই। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জারাহ বালোচ জানিয়েছিলেন, জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই ভারতে যাচ্ছেন বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari)।

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক হচ্ছে গোয়ায়। এদিন গোয়াগামী বিমানে উঠে ট্যুইট-বার্তায় বিলাওয়াল লেখেন, বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমার সিদ্ধান্ত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সনদের প্রতি পাকিস্তানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরেছে। মিত্র দেশগুলির সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় আমি উদগ্রীব। সাংহাই কো-অপারেশনের পূর্ণাঙ্গ সদস্য আট দেশ। এই দেশগুলি হল, ভারত, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া। ডায়লগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে মিশর, কাতার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান এবং সৌদি আরব, এই ৯টি দেশ।

    আরও পড়ুুন: “পুলিশের নেতৃত্বেই খুন”! ময়নায় বিস্ফোরক জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান

    বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari) সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে যোগ দেবেন বলে পাকিস্তান জানালেও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি শেষমেশ ভারতে আসবেন না। কারণ ডিসেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিলাওয়াল বলেছিলেন, ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাটের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই ভারত-পাক সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সম্প্রতি পুঞ্চে ভারতীয় সেনা বাহিনীর টহলদারি ভ্যানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে নিহত হন পাঁচ জওয়ান। ওই ঘটনায়ও সন্দেহের তির পাকিস্তানের দিকেই। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতে এলেন বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari)। তবে তাঁর এই ভারত সফরে খুব একটা লাভ হবে না-ই বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, পাকিস্তানের যাবতীয় সিদ্ধান্তই নেয় সেনাবাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Lay Off: কাজে লাগানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ফের ছাঁটাই করতে চলেছে আইবিএম?

    Lay Off: কাজে লাগানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ফের ছাঁটাই করতে চলেছে আইবিএম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজার দাপাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল (Artificial Intelligence) ইন্টেলিজেন্স। তার জেরে কর্মহীন হতে চলেছেন বহু কর্মী। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে কর্মীর অভাব পূরণ করতে চাইছে বিভিন্ন সংস্থা। জানা গিয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম (IBM) নতুন করে আর কর্মী নিয়োগ করছে না। বরং কর্মী ছাঁটাই (Lay Off) করতে চলেছে। নামী এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা কৃত্রিম মেধাকে কাজে লাগিয়ে কর্মীর অভাব পূরণ করতে চাইছেন। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে। যদিও এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার তরফে কোনও আধিকারিক।

    কর্মী ছাঁটাই (Lay Off)…

    ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁরা কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। অন্ততপক্ষে ৭ হাজার ৮০০ জনকে ছাঁটাই (Lay Off) করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হতে পারে। মন্দার জেরে বিভিন্ন কোম্পানি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। সম্প্রতি অ্যামাজনও বেশ কিছু কর্মী ছাঁটাই করেছে। সেই কর্মীদের অভাব পূরণ করতে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কথা ভাবছেন। জানা গিয়েছে, এই সব কোম্পানির পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএমও। চলতি বছরের শুরুতেই সংস্থাটি জানিয়েছিল, খুব শীঘ্রই ৪ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করবে তারা।

    আরও পড়ুুন: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    আইবিএমের ওই কর্তা এও বলেছিলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্থার ৩০ শতাংশ কাজ করানো হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে। আইবিএমে কাজ করে ২৬ হাজার কর্মী। সেক্ষেত্রে ৭ হাজার ৮০০ জনকে সরিয়ে (Lay Off) সেই জায়গা দখল করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। তাঁর দাবি, পরিস্থিতির কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যাক অফিস এবং এইচআরে কর্মী কমানো হবে।

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে এমন কিছু কাজ করিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে, যেখানে কর্মচারির কোনও প্রয়োজন হবে না। যেমন, কাস্টমার কেয়ার পরিষেবা হিসেবে একাধিক সংস্থা এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে ওই সংস্থা কাজ করছে। কোড তৈরি করে দিচ্ছে। এসব কারণেই কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে বিভিন্ন সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সিবিআইয়ের (CBI) ওপর মামলার পাহাড়। তদন্তের চাপে কার্যত নাজেহাল হওয়ার জোগাড় সিবিআই আধিকারিকদের। এমতাবস্থায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, ৫ জন দক্ষ সিবিআই আধিকারিক কলকাতায় আসছেন।  

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)…

    এদিন শান্তনু পান্ডার একটি মামলায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি মামলা করে সিবিআই তদন্ত দাবি করছেন। রাজনৈতিক বিরোধী হলে তো কথাই নেই। তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন। কিছু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তিও থাকে। এই অবস্থায় সিবিআইকে নতুন তদন্ত দিতে আদালত (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে রয়েছে। সিবিআইয়ে যে কর্মীর অভাব রয়েছে, তা মেনে নিয়ে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মামলার চাপ সামলাতে অনেক অফিসার আনা হচ্ছে রাজ্যে। শীঘ্রই আরও ৫ জন দক্ষ অফিসার কলকাতায় আসছেন। তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করবেন।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    গত কয়েক মাসে প্রায় ৫০টি মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিছু মামলায় সেই আর্জিতে সায়ও দিয়েছে আদালত। কয়েকটি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে গত ২২ মাসে ২৩টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের প্রশ্ন, সবাই সিবিআই তদন্ত চাইছেন। কিন্তু আপনারা কি এত তদন্ত ভার নিতে সক্ষম? এত আধিকারিক কি আছে আপনাদের?

    এদিন ওই মামলার শুনানিতে কাঁথি থানার আইসির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত (Calcutta High Court) । তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থা বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কাম্য নয় বলেই মনে করে আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, ওই থানার সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারকে বক্তব্য জানাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kremlin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    Kremlin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) ওপর ড্রোন (Drone) হামলা! প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে ওই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) দিকে। রুশ প্রশাসন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি সুস্থই রয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য রাশিয়ার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, রাশিয়ার ড্রোন হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।

    ক্রেমলিনের (Kremlin) দাবি…

    বুধবার ক্রেমলিনের (Kremlin) তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানববিহীন দুটি ড্রোন রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে এসে ধাক্কা মারে। এর পরেই ড্রোন দুটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মস্কোর মেয়র বলেন, রাশিয়ার রাজধানীর ওপর দিয়ে কোনও বিমান কিংবা ড্রোনকে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

    রাশিয়ার ওপর এই ড্রোন হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্রেমলিনের ওপর আছড়ে পড়ছে দুটি ড্রোন। চোখ ধাঁধাঁনো আগুনের ঝলকানি মিলিয়ে যাওয়ার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। অবশ্য এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে রাশিয়ার দাবি, পুতিনকে হত্যা করতেই জোড়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সঠিক সময়ে প্রত্যাঘাত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    মস্কোর (Kremlin) অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। সে দেশের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মিখাইলো পোডোলাইক বলেন, ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার সঙ্গে ইউক্রেনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ইউক্রেন ক্রেমলিনে হামলা চালায়নি। কারণ এতে মিলিটারি কোনও উদ্দেশ্য সাধন হবে না। তাঁর দাবি, এটা মস্কোর নাটক। তিনি বলেন, ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রস্তুতির আগে এটা রাশিয়ার একটা অজুহাত মাত্র। তিনি বলেন, ইউক্রেন কেবলমাত্র প্রতিরোধ করছে। রাশিয়া (Kremlin) ভূখণ্ডে ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত হামলা চালায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের প্রাথমিকে (2016 TET Examination) যে হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, পর্ষদকে তার মেধাতালিকার বিশদ তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। পর্ষদকে তাঁর নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পর্ষদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ২০১৬ সালের শেষ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। আদালতকে সে বিষয়ে জানাতেও হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে প্রার্থীর জেলা, জাতি, শ্রেণি সহ সমস্ত তথ্য। বোর্ডকে জেলা অনুযায়ী তালিকায় শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর জানানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ…

    ২০১৪ সালে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। অভিযোগ, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছিল নিয়োগ। প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি এই টেস্ট না হয়, সেক্ষেত্রে কীভাবে নিয়োগ করা সম্ভব? তাঁর পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় অ্যাপটিটিউড টেস্ট না করে একটি নম্বর গড়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কোচবিহার, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং হাওড়ার যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদেরও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের রাহা খরচও দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে। তবে এখনও তাঁর হাতে রয়েছে প্রাথমিকের অন্যান্য মামলা। তারই একটিতে এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা চলাকালীন একটি বিষয়ের ওপর এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার জেরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই মতো মঙ্গলবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুটি মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Moyna) নিহত বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত করবে কমান্ড হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন রাজ্যের দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। পরিবার চাইলেও উপস্থিত থাকতে পারবেন ময়নাতদন্তের সময়। তাঁর নির্দেশ, কমান্ড হাসপাতাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেবে পরিবার ও ময়না থানাকে।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এখন তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় দেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ময়নাতদন্তের পর আবার ফেরত নিয়ে যেতে হবে। চার সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার। সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে এই ঘটনার রিপোর্ট দিতে হবে বলেও নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। আদালতের আরও নির্দেশ, তফশিলি জাতি-উপজাতি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা সহ বাকি উপযুক্ত ধারা এফআইআরে যুক্ত করতে হবে। মঙ্গলবার আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্য জানায়, মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে বিজয়কৃষ্ণের।

    দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে কোনও আপত্তি নেই রাজ্যের। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, এই মুহূর্তে আমার কাছে যে জিনিসগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলি হল, কীভাবে ওই বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হলেন, আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল। পুলিশের কাজের পদ্ধতি ও সত্য খোঁজার পদ্ধতি, নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা, যাঁদের নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ প্রসঙ্গে নিহত বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বলেন, কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ায় আমি খুশি। রাজ্য পুলিশের কাজে আমি খুশি নই। পুলিশের পায়ে ধরে আমি বলেছি, স্বামীকে বাঁচান। আমার ছেলেও বলেছে বাবাকে বাঁচাতে। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। কোনও অভিযোগ নেয়নি। প্রসঙ্গত, ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। এহেন আবহে তমলুক (Tamluk) ও কাঁথির আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) চিঠি লিখলেন তমলুকের সাংসদ তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতে এক তৃণমূল সাংসদের এহেন অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে তমলুকের সাংসদ লিখেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তমলুকের নির্বাচিত সাংসদ হিসেবে আমার লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় বিশেষ করে ময়না, নন্দীগ্রাম এবং খেজুরি, হেঁড়িয়া, ভগবানপুর, পটাশপুরের মতো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে দেখছি। আমার পাশের কেন্দ্র কাঁথিতেও একই অবস্থা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আপনার কাছে আমার আর্জি সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনি যথাযথ পদক্ষেপ করুন।

    কেন চিঠি লিখলেন তমলুকের (Tamluk) সাংসদ?

    প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ময়নার (Tamluk) বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকায় বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে সোমবার রাতভর ময়না থানা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এদিন মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ১২ ঘণ্টার ময়না বনধের ডাকও দেওয়া হয়।

    দলীয় কর্মীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, পরিকল্পনা করেছেন ডাকাত এসপি অমরনাথ। আর মমতার থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন জেহাদি খুন করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়েছে। পুলিশ খুনিদের হাত থেকে দেহ নিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে এ রকম ঘটনা আগে হয়েছে কি? শুভেন্দু বলেন, এই ঘটনায় আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। আর মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে (Tamluk) দিব্যেন্দু এও লিখেছেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ও লাগোয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি যেন পদক্ষেপ করেন। প্রসঙ্গত, ময়নার ঘটনা নিয়ে এখনও রাজভবন কোনও বিবৃতি দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share