Author: Krishnendu Bakshi

  • DA: মেলেনি রফাসূত্র, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক ‘ব্যর্থ’, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের

    DA: মেলেনি রফাসূত্র, রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক ‘ব্যর্থ’, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে শুক্রবার ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য সরকার। যদিও বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীদের দাবি, বৈঠক পুরোপুরি ব্যর্থ। এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন যৌথ মঞ্চের ছয় প্রতিনিধি। রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অর্থের সংস্থান হলে বকেয়া ডিএ (DA) দিয়ে দেওয়া হবে।

    ডিএ (DA) নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ…

    আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারের কাছে যথেষ্ঠ তহবিল থাকলেও, ডিএ নিয়ে গড়িমসি করছে তারা। বৈঠক নিষ্ফলা হওয়ায় ধর্না মঞ্চে ফিরে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফের শুরু হয়েছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী দিনে আরও জোরদার আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, রাজ্যের তরফে সব বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা তথ্য দিয়ে দেখিয়েছি, রাজ্যে তহবিলের অভাব নেই। তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সবটা দেখানোর পরেও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি মুখ্যসচিব। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ মে কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: নিয়োগকাণ্ডে এবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    এদিন বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নবান্নে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক হয় রাজ্যের। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ৩৬ শতাংশ হারে যে ডিএ (DA) চেয়েছিলেন, সরকার তা দিতে রাজি নয়। এর পরেই ফের আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা। ৬ মে মহামিছিলে কাজ না হলে ফের একবার ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এতদিন কেবল বকেয়া ডিএর দাবিতেই আন্দোলন হচ্ছিল। এবার তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগের দাবিও।

    প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল ডিএ নিয়ে রাজ্য কর্মচারি সংগঠন ও রাজ্যকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ১০ দিনের মধ্যে রাজ্যকে বৈঠক ডাকতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন হয়েছে বৈঠক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Summer Tips: জেনে নিন হিট স্ট্রোকের লক্ষণ, প্রখর গরমে ভালই বা থাকবেন কীভাবে?

    Summer Tips: জেনে নিন হিট স্ট্রোকের লক্ষণ, প্রখর গরমে ভালই বা থাকবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রকৃত অর্থেই চলছে দাবদাহ। দুপুরের প্রখর রোদে (Summer Tips) বাইরে বেরনোই দায়। তবে এমন কিছু পেশা রয়েছে, যে পেশায় যুক্ত মানুষদের দুপুর বেলায়ই বেরতে হয়। প্রয়োজনীয় নানা কাজেও মানুষকে বের হতে হয় বাইরে। যেহেতু এ রাজ্যে প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হয় সাড়ে ১০টার পরে, তাই রোদ উপেক্ষা করেও বাইরে বের হতে হয় অনেককেই। দুপুরের চড়া রোদে বের হলে হিট স্ট্রোকে (Sun Stroke) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকেই। হিট স্ট্রোক হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হয়। না হলে তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

    হিট স্ট্রোকের (Sun Stroke) লক্ষণ…

    হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে। আক্রান্তের খিঁচুনি হতে পারে। খুব ঘাম হবে। বমি হতে পারে। হতে পারে বমি বমি ভাবও। শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। হার্টবিটও বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। মাথা ব্যথা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন হয়ে যেতে পারেন। তাই প্রচণ্ড গরমের (Summer Tips) মধ্যেও যাঁদের নিতান্তই ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে, তাঁদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। দুপুরে যাঁদের কায়িক পরিশ্রম করতে হয় কিংবা এক্সারসাইজ করেন, সতর্ক হওয়া প্রয়োজন তাঁদেরও। বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেশি। তাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা তাঁদের বাইরে না বেরনো দেওয়াই ভাল।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য মিললে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    তবে সতর্কতামূলক কয়েকটি ব্যবস্থা (Summer Tips) নিলে এড়ানো যেতে পারে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। চিকিৎসকদের মতে, গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ সকালে ১০টার আগে এবং বিকেলে ৫টার পরে করাই ভাল। রোদে বেরলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বেরলে সঙ্গে অবশ্যই জল নিয়ে বেরন। দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। রোদ থেকে ফিরে কিংবা রোদে থাকাকালীন ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। দিনে দুবার স্নান করুন। এক লিটার জলে একটা ওআরএস মিশিয়ে খেতে হবে। প্রখর গ্রীষ্মে অতিরিক্ত তেল-মসলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল। চপ, ফাস্ট ফুড, মাংস না খাওয়াই ভাল। প্রতিদিন রসালো ফল অবশ্যই খেতে হবে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে হাওড়ার শিবপুর যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল সুকান্তকে। পরে ফের বাধা পান রিষড়া যাওয়ার পথে। এবার বাধা দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা যাওয়ার পথে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়িয়েছে বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। তদন্তকারীরা আসছেন খবর পেয়েই নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন জীবন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে বাঁচাতেই ওই কাজ করেছিলেন জীবন। পুকুরে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই পুকুর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে কান্দিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে।

    সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিশের…

    এই অনুষ্ঠান শেষেই বড়ঞার আন্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি নেতাদের পথ আগলায় বড়ঞা থানার পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপি নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপির দাবি, বড়ঞার পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি সভা করার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলেছিল। শেষতক সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনও জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনও স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে পুকুর দেখতে গেলে পুকুরের মালিকের কাছে এনওসি আনতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা দেখলাম, কেউ পুকুর পাড়ে যাবে সেজন্য এনওসি দরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এরপর আমরা অপেক্ষায় আছি মুখ্যমন্ত্রী নোটিশ বার করবেন পুকুরে কেউ মাছ ধরতে গেলে, বাসন মাজতে গেলে, স্নান করতে গেলে এনওসি আনতে হবে, রাজ্য সরকারের কাছে ৫টাকা জমা দিতে হবে। সুকান্ত বলেন, জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ধরা পড়ার পর পুরো রাজ্য প্রশাসন ভয়ে তটস্থ। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে থরথর করে কাঁপছেন। হয় পিসি নয় ভাইপো প্রতিদিন কেউ না কেউ প্রেস কনফারেন্স করছেন। সেই ভয়ের কাঁপুনি এখানেও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবন কৃষ্ণ নামের তৃণমূল কংগ্রেসের জীবন ভ্রমরটা এখানেই লুকিয়ে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ওই মোবাইলে এমন কিছু আছে, যেটা বের হয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দায়িত্বশীল বিধায়কও। তাই নিরাপত্তার খাতিরে মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপনি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক রকম ব্যাপার থাকে। নিরাপত্তার জন্যই আপনার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনা যায় না। তাই আনছি না।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    মঙ্গলবার সিঙ্গুরের এক জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে চারবার ফোন করে হাতে পায়ে ধরেছিলেন। শুভেন্দুর সেই দাবিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেছিলেন, সত্যি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

    এদিনই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মমতার কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এনে সব ফাঁস করবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটির কথা ভেবে কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর দাবি যে নিছক ভুয়ো নয়, তাও জানান শুভেন্দু। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলা করুন। কারণ সে ক্ষেত্রে মামলার সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ডিংয়ের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য হবে সংশ্লিষ্ট টেলি যোগাযোগ সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পর বুধবারই তৃণমূলের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সেই চিঠির সারমর্ম হল, শুভেন্দু ওই মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আদালতে মামলা হলেই দুধ আর জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, আপনি প্রশাসনিক কর্ত্রী। আপনার ফোনের ডিটেল, কলের ডিটেল জনসমক্ষে আনা যায় না। আমি তা জনসমক্ষে আনতেও চাই না। একমাত্র আইন বা আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা জনসমক্ষে আসে না।

    তিনি বলেন, আপনি মামলা করুন। ট্রাইকেও (TRAI) আমি পার্টি করব। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার দুটি ল্যান্ড ফোনের কল রেকর্ড আদালতের কাছে তারা দিতে বাধ্য হবে। তাহলেই দুধ ও জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু বলেন, আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম, আপনিও আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Kuntal Ghosh: কুন্তলের বিস্ফোরক চিঠিকাণ্ডে শুনানি হবে ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারাধীন। তাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের পক্ষ থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা জমা দেওয়া হয় আদালতে। এইসব নথি সিল কভারে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ ছিল, সংশোধনাগারের সিসি টিভি ফুটেজ ও অরিজিনাল ভিজিটর রেজিস্টার খাতা পেশ করার।

    কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)…

    ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের এক সভায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সারদা মামলায় হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তলও (Kuntal Ghosh) একই অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্সি জেলে বসে ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। সেই চিঠির মূল বক্তব্য হল, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কুন্তলের অভিযোগ, অভিষেকের নাম না বলায় তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচারও চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    কুন্তলের  (Kuntal Ghosh) বিস্ফোরক চিঠি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, ২১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের প্রবেশ ও বাহিরপথের সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কারা গিয়েছিলেন, তা জানাতে ভিজিটর্স রেজিস্টার খাতা জেল কর্তৃপক্ষকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এদিনই ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ মোতাবেক এদিন তিনটি হার্ডডিস্ক, ভিজিটর রেজিস্টার খাতা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eid 2023: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    Eid 2023: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন ঈদের দিন (Eid 2023) রেড রোডে নামাজ পড়বেন, এরমধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। কিন্তু এবার এই ঘটনাকে ঘিরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়েছে বিড়াল, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এমনই জোরালো অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের এক টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, রেড রোড এবং ময়দান এলাকা জুড়ে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করতে মাঠে নেমেছে রাজ্য সরকারই। তিনটি পৃথক কাজের জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা। বিরোধী মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোনও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মাচরণের জন্য রাজ্য সরকার কি এভাবে দরাজ হস্তে দানধ্যান করতে পারে?

    ঈদের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ঠিক কী বলা হয়েছে?

    এবার ৫ ই এপ্রিল জারি করা ওই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, ঈদ-উল-ফিতর (Eid 2023) উপলক্ষে আশপাশের গ্রাউন্ড থেকে আবর্জনা সরানো, মাঠ পরিষ্কার করা, বাস্কেটবল ক্লাবের সামনে জমে থাকা জলকাদা বালি দিয়ে ভর্তি করা ইত্যাদি কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৩ টাকা। ঈদ-উল-ফিতরের জন্য অস্থায়ী প্যান্ডেল, স্টেজ এবং আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৮৯ টাকা। ময়দান এলাকায় গেট এবং এই সংক্রান্ত কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৮৯ টাকা।  এই সমস্ত কাজই তিনদিনের মধ্যে শেষ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এমনকি টাকা আরও লাগলে দেবে গৌরী সেন, এমনও আশ্বাস দিয়ে রাখা হয়েছে। 

    দল এবং সরকার একাকার হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের সভাতেও

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে একই ধরনের একটি ঘটনা এভাবেই প্রকাশ্যে এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল শহিদ মিনারে। আর ওই সভার জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করতে মাঠে নেমেছিল খোদ রাজ্য সরকার। সেবারও দেখা গিয়েছিল, পূর্ত দফতর রেড রোড এবং আশপাশের এলাকায় প্যান্ডেল তৈরি, ব্যারিকেড বসানো ইত্যাদি কাজের জন্য তড়িঘড়ি টেন্ডার ডেকেছিল। তখনও প্রশ্ন উঠেছিল, একটি রাজনৈতিক দলের জন্য সরকার কি এভাবে টাকা খরচ করতে পারে? বিরোধীরা তখনও তীব্র সমালোচনা করে বলেছিল, দল ও সরকার যে একাকার হয়ে গেছে, এটাই তার বড় প্রমাণ।

    তোষণের রাজনীতিরই জ্বলন্ত প্রমাণ, তোপ বিজেপির

    ঈদের (Eid 2023) ওই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনায় নেমেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, সরকার তাহলে সব জায়গাতেই নামাজ পড়ার জন্য খরচের ব্যবস্থা করুক। আর শুধু একটি ধর্ম কেন, সব ধর্মের জন্যই সরকার এমন দরাজহস্ত হোক। পরে এ ব্যাপারে ট্যুইট-বাণও নিক্ষেপ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। 

    বিজেপির সাফ কথা, তৃণমূল সরকারের তোষণের রাজনীতি যে কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, তার আরও একটি জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। বিজেপি নেতৃত্ব বলছে, যে রাজ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়, দুর্গাপুজোর বিসর্জনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় মিছিলে নির্লজ্জ আক্রমণের ঘটনা ঘটে, সেখানে ঈদের নামাজের যাবতীয় খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার? এরপরেও সাধারণ মানুষের আর বোঝার কিছু বাকি থাকে কি?
    বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, মুসলিমদের ঠকিয়ে রাজনীতি করার দিন যে শেষ, তা সাগরদিঘিই বুঝিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল সরকারের শেষের সেই দিন যে এগিয়ে আসছে, তা এই ধরনের তোষণনীতি থেকেই পরিষ্কার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে তোলা টাকা কুন্তল খাটাচ্ছে হাওয়ালায়’, বিস্ফোরক অভিযোগ তাপসের

    Recruitment Scam: ‘অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে তোলা টাকা কুন্তল খাটাচ্ছে হাওয়ালায়’, বিস্ফোরক অভিযোগ তাপসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জেলে রয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। ওই একই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় জেলে রয়েছেন বারাসতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া প্রধান শিক্ষক তাপস মণ্ডলও। বৃহস্পতিবার ফের বোমা ফাটালেন তিনি। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত চত্বরে তাপস বলেন, আগে আমি বলেছিলাম ১০০ কোটির খেলা। এখন যেটা শুনছি, সেটা হল ৫০০ কোটি টাকার খেলা। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে কুন্তল যে টাকা তুলেছে, সেই টাকা হাওয়ালায় খাটাচ্ছে। জেলে বসেই টাকা খাটাচ্ছে। জেলের ভিতরে অত্যাচার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার অভিযোগও করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। এদিন সে প্রসঙ্গে তাপস বলেন, আরে সব নাটক। ওর নাটক আপনারা জানেন না তো! শুধু দেখতে থাকুন। আরও অনেক নাটক দেখবেন। তিনি বলেন, কেবল অভিষেক নন, দলের বহু নেতার নাম করে কুন্তল টাকা তুলেছে। কাউকে টাকা দেয়নি। সব টাকা ওর কাছেই আছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)…

    তাপসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুন্তল বলেন, ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভুলভাল বকছে। এদিন ফের একবার তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে (Recruitment Scam) সুর চড়িয়েছেন কুন্তল। তিনি বলেন, বিজেপির মুখপাত্র আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখপাত্র এক। তাহলে বুঝে নিন তদন্ত কোন দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, হাতে একটা আংটি থাকলে কেউ প্রভাবশালী হয় না। আমার হাতে আংটি নেই, ঘামাচি আছে। কাউকে ইঙ্গিত করিনি, যে বোঝার ঠিক বুঝে যাবে। কুন্তল বলেন, কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করব? পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার সিনিয়র লোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাল কী, যে হাতে একটা আংটি থাকলে বলছে প্রভাবশালী। তাই বলছি আমার হাতে আংটি নেই, ঘামাচি আছে। তিনি ফের বলেন, বিজেপির মুখপাত্র আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখপাত্র এক, তা হলে তদন্ত কোন পথে যাচ্ছে বুঝে নিন।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কুন্তল ও তাপস। তাপস প্রথমে অভিযোগ করেছিলেন, শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কুন্তল কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। কুন্তলের পাল্টা অভিযোগ, তাঁর কাছে টাকা চেয়েছিলেন তাপস। সেই টাকা না দেওয়ার কারণেই ফাঁসাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • PFI: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    PFI: হিন্দু নেতাদের খুন করতে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআইকে (PFI)। তার পরেও মহারাষ্ট্রের পুনের (Pune) কন্ধোয়া এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছিল পিএফআই। খবর পেয়ে রবিবার ব্লু বেলস নামের ওই স্কুলের দুটি তলা বন্ধ করে দিয়েছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, পিএফআইয়ের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে মুসলিম তরুণদের দক্ষিণপন্থী তথা হিন্দু নেতা ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ওপর আক্রমণ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

    পিএফআই (PFI)…

    চলতি মাসের ১৬ তারিখে ওই বেসরকারি স্কুলে হানা দেয় এনআইএ। চালানো হয় খানাতল্লাশি। এর পরেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ওই দুটি তলায়। পরের দিন খবরটি ট্যুইট করে জানায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেসরকারি ওই স্কুলটির চার ও পাঁচতলায় প্রশিক্ষণ শিবির চলছিল। এই শিবিরে মুসলিম তরুণদের কট্টরপন্থার প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। তাদের জঙ্গি তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। কীভাবে হিন্দু নেতাদের খুন করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হত।

    ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছে পিএফআই (PFI)। জানা গিয়েছে, সেই মিশন সফল করতেই চালানো হচ্ছিল প্রশিক্ষণ শিবির। যারা এই মিশনের বিরোধিতা করছে, তাদের কীভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে, সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। ২০২২ সালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পিএফআইকে। পিএফআইয়ের পক্ষে সওয়াল করে সুর চড়ায় নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস। এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেও লুকিয়ে-চুরিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই।

    আরও পড়ুুন: দায়রা আদালতেও ধাক্কা, ‘মোদি’ অবমাননা মামলায় জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পুনের ওই এলাকা থেকে প্রচুর আপত্তিজনক লিফলেট, পোস্টার উদ্ধার হয়। তার পরেই জানা যায়, বন্দুক ছাড়াও অন্যান্য অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হত বেসরকারি ওই স্কুলের প্রশিক্ষণ শিবিরে। এদিকে, কর্নাটকের শিবমোগা মামলায় যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা, তাদের মধ্যে দু জনের ক্ষেত্রে ইসলামিক স্টেটের ভূমিকা প্রকাশ্যে এসেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, এই দুজন ২৫টিরও বেশি নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এনআইএ জানিয়েছে, বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেমেন্ট ব্যবহার করত পিএফআই (PFI)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Rahul Gandhi: দায়রা আদালতেও ধাক্কা, ‘মোদি’ অবমাননা মামলায় জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: দায়রা আদালতেও ধাক্কা, ‘মোদি’ অবমাননা মামলায় জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুরাট দায়রা আদালতেও ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হল জেলে যাওয়ার সম্ভাবনাও। ২৩ মার্চ গুজরাটের (Gujarat) সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে অপরাধমূলক মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় দিয়েছিল, অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক আরপি মোগেরা বৃহস্পতিবার তার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন। রাহুলের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি মোদি (Modi) উপাধি নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিত হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আদালতের এই রায়ের জেরে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়েও সংশয় তৈরি হল।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে রাহুলকে (Rahul Gandhi) ২৩ মার্চ দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রায় কার্যকর করতে ৩০ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল আদালত। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। তার প্রেক্ষিতেই ওই রায় দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এক জনসমাবেশে রাহুল বলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি কীভাবে মোদি হতে পারে? আদালতের ওই সিদ্ধান্তের জেরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, আইনের অধীনে আমাদের কাছে এখনও সব বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। আমরা সেগুলির সদ্ব্যবহার করার কথা ভাবছি।

    আরও পড়ুুন: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    আদালতের রায়ের জেরে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাহুলের (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ করে দেন। তাঁকে দোষী ঘোষণা ও সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ৩ এপ্রিল সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল। সেই আবেদনই খারিজ হয়ে গেল এদিন। আইনজীবীদের মতে, আদালতের এই রায়ের ওপর যদি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ না দেয়, তাহলে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না রাহুল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chit Fund: সব চিটফান্ড মামলার বিচার হবে একই আদালতে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Chit Fund: সব চিটফান্ড মামলার বিচার হবে একই আদালতে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা (Sarada), রোজভ্যালি (Rose Valley), টাওয়ার, এমপিএসের মতো সব বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার (Chit Fund) বিচার প্রক্রিয়া হবে একই আদালতে। আগেই এ ব্যাপারে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা আদালতে বিচার চলছিল নানা চিটফান্ড মামলার। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন চিটফান্ড মামলাগুলির বিচার করতে হবে আদালতের একই এজলাসে। আদালতের আরও নির্দেশ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলার বিচার প্রক্রিয়া সিবিআই আদালতে করার ব্যবস্থা করতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে।

    বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা (Chit Fund)…

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির পাশাপাশি এমপিএসের কর্ণধার প্রবীর কুমার চন্দ্র সহ তিনজন আদালতে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে মোট ২৮টি মামলা চলছে। সেগুলির তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সমস্ত মামলা এক জায়গায় এনে বিচার করা হোক। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সব মামলা একই সিবিআই আদালতে চালানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সারদা, রোজভ্যালির মতো অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির (Chit Fund) বিরুদ্ধে মামলা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। কিন্তু আজও সিবিআই কিংবা ইডি ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিতে পারেনি।

    ২০১৩ সালে প্রকাশ্যে এসেছিল সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। তারপর থেকে ঝুলি থেকে বের হতে থাকে একের পর এক চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। এমপিএস, পিনকন, টাওয়ার, ত্রিভুবন অ্যাগ্রো সহ বহু চিটফান্ডের বিরুদ্ধে দায়ের হয় একাধিক মামলা। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। পরে গ্রেফতার করা হয় রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকেও। তারও পরে ধরা পড়েন আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতি সহ অন্যরা। সেই থেকেই জেল খেটে চলেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    ২০১৪ সাল থেকে সারদা ও রোজভ্যালি (Chit Fund) মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্ত শুরু হয়েছে নারদকাণ্ডেও। তার পর থেকে এ পর্যন্ত কোনও মামলায়ই চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সারদা কেলেঙ্কারির পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর এতগুলো বছর কেটে গেলেও, সেই ষড়যন্ত্রের কিনারা করতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share