Author: Krishnendu Bakshi

  • Shaista Parveen: আতিকের অনুপস্থিতিতে গ্যাং চালাতেন তাঁর স্ত্রী শইস্তা!

    Shaista Parveen: আতিকের অনুপস্থিতিতে গ্যাং চালাতেন তাঁর স্ত্রী শইস্তা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন পুলিশ (Police) কনস্টেবলের মেয়ে। পরে হন কুখ্যাত গ্যাংস্টার প্রয়াত আতিক আহমেদের (Atiq Ahmad) স্ত্রী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্বামীর মৃত্যুর ঢের আগেই আতিকের সাম্রাজ্যের রাশ হাতে তুলে নিয়েছিলেন শাইস্তা পারভিন (Shaista Parveen)। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে ৫০ হাজার টাকা। আতিকের গ্রেফতারির পর থেকে বছর একান্নর এই মহিলাই সামলাচ্ছেন মাফিয়ারাজ।

    শাইস্তা পারভিন (Shaista Parveen)…

    শাইস্তার বাবা ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল। নাম মহম্মদ হারুন। পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন প্রয়াগরাজের দামুপুর গ্রামে। প্রয়াগরাজের স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন শাইস্তা। ১৯৯৬ সালে আতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। গ্যাংস্টার স্বামীর সঙ্গে থাকতে থাকতেই অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়েন শাইস্তা (Shaista Parveen)। ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন আইনজীবী উমেশ পাল। বিধায়ক রাজু পাল খুনের প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনিই। রাজু খুনে নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ভাই আসরফের।

    আরও পড়ুুন: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    জানা যায়, উমেশ খুনের কয়েক দিন আগে গুজরাটের সবরমতী জেলে আতিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শাইস্তা। সেখানেই উমেশ খুনের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে শাইস্তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এর একটি উমেশ হত্যা সংক্রান্ত। বাকিগুলি দায়ের হয়েছিল ২০০৯ সালে। মামলাগুলি প্রতারণা সংক্রান্ত। এর ঢের পরে রাজনীতিতে আসেন শাইস্তা। ২০২১ সালে তিনি যোগ দেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএমে। ২০২৩ সালে করেন দলবদল। যোগ দেন মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টিতে। প্রয়াগরাজের মেয়র নির্বাচনে শাইস্তার দাঁড়ানোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। যদিও উমেশ হত্যায় নাম জড়ানোয় সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেন বিএসপি নেতৃত্ব।

    উমেশ খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে লেখা চিঠিতে শাইস্তা জানিয়েছিলেন, ওই খুনের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁর পরিবারকে। ছেলে আসাদের মৃত্যুর পর থেকেই আর দেখা যাচ্ছে না শাইস্তাকে। তাঁর খোঁজে রাজ্য চষে বেড়াচ্ছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। প্রসঙ্গত, আতিকের এক আত্মীয় মহম্মদ জিশান জানান, একবার আতিক তাঁর ছেলেকে ২৫ জন শ্যুটার সহ জিশানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। জিশানের জমি শাইস্তার (Shaista Parveen) নামে লিখে দিতে বলেছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন ৫ কোটি টাকাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গেল ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    Population: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গেল ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যার (Population) নিরিখে চিনকে (China) ছাপিয়ে গেল ভারত (India)। ভারতই হচ্ছে বর্তমানে বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ। রাষ্ট্রসংঘের পপুলেশন ফান্ড সংগঠন (UNFPA)-র রিপোর্টেই এ খবর জানা গিয়েছে। প্রতি বছর রিপোর্ট পেশ করে ইউএনএফপিএ। এবারও করেছে। নাম দেওয়া হয়েছে, স্টেট অফ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট, ২০২৩। বুধবার প্রকাশিত এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। আর চিনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। অর্থাৎ চিনের চেয়ে ভারতের জনসংখ্যা বেশি ২৯ লক্ষ।

    জনসংখ্যার (Population) বর্তমান ছবি…

    রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছর চিনের জনসংখ্যা ছিল সব চেয়ে বেশি। পরে ক্রমশ সে দেশে কমতে থাকে জনসংখ্যার গ্রাফ। লাফিয়ে বাড়তে থাকে ভারতের জনসংখ্যা। তার জেরে চলতি বছর চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত। জানা গিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯৮০ সাল থেকে নিম্নমুখী। ইউএনএফপিএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যার (Population) ২৫ শতাংশ ০ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে, জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী, ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ২৬ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ৬৮ শতাংশ। দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ ৬৫ বছরের ওপরে। উল্টো ছবি চিনে। সে দেশে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী নাগরিকের সংখ্যা ১২ শতাংশ, ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী নাগরিকের সংখ্যা ১৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ এবং ৬৫ বছর বয়সী নাগরিকের সংখ্যা ১৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    চিনাদের গড় আয়ু ভারতের চেয়ে অনেকটাই বেশি। চিনে মহিলারা গড়ে বাঁচেন ৮২ বছর, পুরুষরা বাঁচেন ৭৬ বছর। আর ভারতের মহিলারা বাঁচেন গড়ে ৭৪ বছর, পুরুষরা বাঁচেন ৭১ বছর। অর্থনীতিবিদদের মতে, ভারতীয় নাগরিকদের একটা বৃহত্তম অংশ তরুণ হওয়ায় তা হবে ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতির কারক। আর চিনের সিংহভাগ মানুষ বৃদ্ধ হওয়ায়, তা দেশীয় অর্থনীতির পক্ষে বোঝা স্বরূপ। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে প্রথম জনসংখ্যা (Population) সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল রাষ্ট্রসংঘ। তার পর এই প্রথম চিনকে টপকে গেল ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Ministry of Culture: ২০ এপ্রিল দিল্লিতে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট, ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    Ministry of Culture: ২০ এপ্রিল দিল্লিতে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট, ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ এপ্রিল হবে গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট। ওই অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অধিবেশন হবে দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের (Ministry of Culture) তরফে জারি করা এক বিবৃতিতেই জানা গিয়েছে এ খবর। দিল্লির অশোক হোটেলে সকাল ১০টায় ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সম্মেলন চলবে এপ্রিলের দুদিন ধরে। ২০ এপ্রিল উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের সঙ্গে ইন্টার ন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশনের কোলাবরেশনে আয়োজন করা হয়েছে ওই সম্মেলনের। সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হল, রেসপন্সেস টু কনটেম্পোরারি চ্যালেঞ্জস: ফিলসফি টু প্রাক্সিস।

    গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট সামিট…

    প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সম্মেলন গ্লোবাল বুদ্ধিস্ট ধম্মের নেতৃত্বকে সামিল করার একটি চেষ্টা। বুদ্ধিস্ট এবং ইউনিভার্সাল উদ্বেগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে বলবেন বিভিন্ন দেশের পণ্ডিতরা। সম্মিলিতভাবে শোনা হবে তাঁদের বক্তব্য। সম্মেলনে বুদ্ধের ধম্মের মৌলিক মূল্যবোধগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। সমসাময়িক (Ministry of Culture) সেটিংস সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করা হবে। দেওয়া হবে নির্দেশনাও। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বের বিভিন্ন পণ্ডিত ব্যক্তি, সংঘ নেতা এবং ধম্ম অনুশীলনকারীরা। গ্লোবাল বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। বুদ্ধের ধম্মের মূল্যবোধের বিশ্বজনীন মূল্যবোধের ভিত্তিতে আলোচনা করবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, মূলত চারটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে।এই চারটি বিষয় হল, বুদ্ধ ধম্ম ও শান্তি, বুদ্ধ ধম্ম: এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইসিস, হেল্থ অ্যান্ড সাসটেনাবিলিটি, প্রিজারভেশন অফ নালন্দা বুদ্ধিস্ট ট্র্যাডিশন, বুদ্ধ ধম্ম পিলগ্রিমেজ, লিভিং হেরিটেজ অ্যান্ড বুদ্ধ রেলিক্স: এ রেসিলেন্ট ফাউন্ডেশন টু ইন্ডিয়াস সেঞ্চুরিস-ওল্ড কালচারাল লিঙ্কস টু কান্ট্রিস ইন সাউথ, সাউথ ইস্ট অ্যান্ড ইস্ট এশিয়া। ২০২০ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন অধ্যাপক রবার্ট থার্মান। বুদ্ধের (Ministry of Culture) মতাদর্শের ওপর তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য। এই সম্মেলনের মূল সুরটি বেঁধে দেবেন তিনিই। বিবৃতি থেকে আরও জানা গিয়েছে, ৩০টির বেশি দেশের ১৭০ জনেরও বেশি মাস্টার্স অংশ নেবেন এই সম্মেলনে। এখানে হবে ফটো প্রদর্শনীও। গত ১০ বছর ধরে ইন্টার ন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন কী কী কাজ করেছে, সেই ছবিও প্রদর্শিত হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সোমবার ভোরে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। এর পাশাপাশি রয়েছে বেনামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ৪টি রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার নামে। তাঁর স্ত্রী টগরী সাহার নামে রয়েছে ৩টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, কত টাকাই বা রয়েছে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ব্যাঙ্কের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, তৃণমূল বিধায়কের অ্যাকাউন্ট রয়েছে বীরভূমেও। এই দুই জেলা ছাড়াও অন্য কোথাও কোনও অ্যাকাউন্ট বিধায়কের রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) সম্পত্তি…

    জানা গিয়েছে, বীরভূমের সাঁইথিয়া, তালতোড়, তাতারপুর, বাঁধগোড়া ছাড়াও মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবন (Jiban Krishna Saha) ও তাঁর স্ত্রীর নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। বোলপুরের তাতারপুর, বাঁধগোড়া, তালতোড় মৌজায় তাঁর জমি রয়েছে ১৩০ কাঠারও বেশি। জীবনের নামে এই সমস্ত জমি রেকর্ড হয়েছে ২০১৩-’২২ সালের মধ্যে।সাঁইথিয়ায় একটি চালকল, দুটি হিমঘর, একটি বাড়ি ছাড়াও সাঁইথিয়া থানার লাউটরি মৌজায় প্রায় ২২ কাঠা জমিও রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের। সব মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেশ কয়েক কোটি টাকা। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি টাকা তুলতে শুরু করেন। সেই সময়ই তিনি প্রচুর টাকা কামান। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত জীবনকৃষ্ণ। সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচারেও উঠে আসছে তাঁর নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha)। কমিশনের কাছে পেশ করা এডিডেভিটে তিনি জানিয়েছিলেন, বন্ধন ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে ৪০ লক্ষের সামান্য বেশি কিছু টাকা রয়েছে তাঁর। ওই ব্যাঙ্কেই স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লক্ষ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের কুলি শাখায় তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৪ লক্ষ টাকা। বাকি অ্যাকাউন্টগুলির কোনওটায় ৮ লক্ষ, কোনওটায় বা ৫-৬ লক্ষ টাকা রয়েছে। পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার। এমতাবস্থায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কীভাবে বেশ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল কীভাবে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষা (Education) ব্যবস্থার হালহকিকত খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। এই ঘটনায় রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত বেড়েছে। রাজ্যপালের এই সারপ্রাইজ ভিজিটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এহেন আবহে সোমবার রাজভবনে রাজ্যের পাঁচ শিক্ষাবিদকে নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুকান্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর সরকার, কাজল দে এবং শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে সর্বাগ্রে ছিল জাতীয় শিক্ষানীতি (Vice Chancellor)। ডিস্টেন্স লার্নিং ও রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি নিয়েও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রকে নো কনফ্লিক্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সকলের জন্য লাইব্রেরি, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত করা ও ভাবনা-চিন্তা আদানপ্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।

    উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগে সার্চ কমিটি…

    এদিকে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে অর্ডিন্যান্স তৈরির জন্য সোমবার অনুমোদন মিলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার (Vice Chancellor)। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটিতে তিনজনের পরিবর্তে থাকবেন পাঁচজন সদস্য। ইউজিসির প্রতিনিধিকেও ফিরিয়ে আনা হবে। থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্টের প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। সেই মতোই পাশ হয়েছে অর্ডিন্যান্স। সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সেখানকার সব চেয়ে সিনিয়র শিক্ষক চন্দন বসুকে দায়িত্বভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্য পদে বসতে হলে প্রফেসর হিসেবে অন্তত ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। চন্দন বসুর তা নেই। এমতাবস্থায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে সিনিয়র শিক্ষকদের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে ফাঁকা রয়েছে উপাচার্যের পদ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদও শূন্য হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অস্থায়ী উপাচার্যের (Vice Chancellor) নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এবার তিনি কী করেন, তা দেখার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই বা তিনি কী করেন, সেটাও দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atiq Ahmed: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    Atiq Ahmed: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাইকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ (VHP) কিংবা বজরং দলের (Bajrang Dal) কোনও সম্পর্কই নেই। সোমবার এমনই দাবি করা হয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে। আতিক সমাজবাদী পার্টির টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি খুন হওয়ার পরে পরেই অভিযোগের আঙুল ওঠে বজরং দলের দিকে। বজরং দলের দিকে ওঠা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার বলেন, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল আইন এবং সংবিধান মেনে কাজ করে।

    আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) খুনে…

    তিনি বলেন, আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করেছি। আতিক ও তাঁর ভাই খুনে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ কিংবা বজরং দলের কোনও সম্পর্কই নেই। যা রটানো হচ্ছে, তা নিতান্তই মিথ্যে। অলোক কুমার বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার কথা আমরা কখনওই চিন্তা করি না। আমরা বিশ্বাস করি, তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে খুন হন আতিক (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাই আশরাফ। আতিকের শরীরে ৯টি গুলি বিঁধেছে বলে জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সাংবাদিক সেজে তাঁদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে ঢুকে পড়ে জনৈক লাভলেশ তিওয়ারি, সানি এবং অরুণ মৌর্য। খুব কাছ থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।

    আরও পড়ুুন: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ

    বছর ষাটের আতিকের গায়ে ৯টি গুলি লাগলেও, আশরাফের গায়ে লাগে পাঁচটি বুলেট। ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় তিন আততায়ীকেই। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা জানিয়েছে যে, আতিক (Atiq Ahmed) ও আশরাফকে খুন করে নিজেরা গ্যাংস্টার হওয়ার আশায়ই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। এর পরেই খুনের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় বজরং দলের ঘাড়ে। যদিও সেই অভিযোগ যে মিথ্যা, তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় টানা ৭ ঘণ্টা জেরা ট্রাম্পকে

    Donald Trump: ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় টানা ৭ ঘণ্টা জেরা ট্রাম্পকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন আমেরিকার (America) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এর আগে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে গিয়েছিলেন তিনি। আর এবার ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টা সাতেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে রিপাবলিকান পার্টির এই নেতার আইনজীবী ক্রিস্টোফার কিস বলেন, আমার মক্কেলের কাছে তাঁর অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্যের কাহিনি জানতে চাওয়া হয়েছিল।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)…

    কেবল ট্রাম্প নন, তাঁর বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং কন্যা ইভাঙ্কাও এই মামলায় অভিযুক্ত। গত বছরের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস জানিয়েছিলেন, তদন্তে তিনি দেখেছেন, একাধিকবার ট্রাম্পের সংস্থা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়েছে। আবার সেই সম্পত্তিরই দাম কম দেখিয়ে আয়করে ছাড় পেয়েছে। নানা সময়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই তদন্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ ইয়র্কের একটি আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, পারিবারিক ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় ট্রাম্প (Donald Trump) ও তাঁর  ছেলেমেয়েদের অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে এবং বয়ান নথিভুক্ত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন’, সুনককে বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত,  স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁর মুখ বন্ধ করতে তাঁকে ট্রাম্প ১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পরে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এদিকে, তথ্য গোপনে ব্যর্থতার অভিযোগে ক্ষতিপূরণ দাবি করে তাঁর প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাম্প (Donald Trump)। কমপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন তিনি। মাইকেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও এনেছেন ট্রাম্প।

    মিয়ামির ফেডারেল আদালতে ট্রাম্পের দায়ের করা মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন মাইকেলের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রাক্তন আইনজীবীকে ভয় দেখাতে ট্রাম্প বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ ল্যানির। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২১ এপ্রিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘আপনার উপস্থিতি অনুপ্রাণিত করে, মনোবল বাড়ায়’, শাহকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    Amit Shah: ‘আপনার উপস্থিতি অনুপ্রাণিত করে, মনোবল বাড়ায়’, শাহকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) উষ্ণ স্বাগতম। রাজ্যে আপনার উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং মনোবল বাড়ায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যুইট-বার্তায় এভাবেই স্বাগত জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট-বার্তায় তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।    

    দু দিনের বঙ্গ সফরে অমিত শাহ (Amit Shah)…

    আজ, শুক্রবার দু দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিনই তিনি সভা করবেন বীরভূমে। শাহের সঙ্গে থাকবেন শুভেন্দু এবং সুকান্ত। এদিনই রাতে নিউটাউনের একটি হোটেলে দলের কোর কমিটি ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ। রাজ্যে এর আগেও একাধিকবার ভোটের আগে সভা করেছেন অমিত শাহ। বোলপুর, বিশ্বভারতীতেও সফর করেছিলেন তিনি। রাজ্যে দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাহের এই সফর রাজনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    দিন কয়েক আগে রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার কাজিপাড়া, শিবপুর, হুগলির রিষড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা। হাওড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও। শিবপুরে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। রিষড়ায় রেললাইনে বোমাবাজি করা হয়। তার জেরে রাতে ঘণ্টা তিনেক বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    বঙ্গ বিজেপির কাছে এসব অভিযোগ পেয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Amit Shah)। পুলিশ কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি, তাও জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার রাতটা হোটেলে কাটিয়ে শনিবার সকালে দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে পুজো দেওয়ার কথা অমিত শাহের। তারপরেই দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর।

    আরও পড়ুুন: শুরু সলতে পাকানোর কাজ, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    এদিকে, অমিত শাহের বঙ্গ সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্যস্তরের এক নেতা বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে শক্তি আরও বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া ১৪৪টি আসনকেই পাখির চোখ করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে বীরভূম আসনটিও। প্রতিটিতে হেভিওয়েটরা সভা করবেন। অমিত শাহ বীরভূম দিয়ে তার সূচনা করবেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন’, সুনককে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন’, সুনককে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহ আগেই লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তার পর বৃহস্পতিবার ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সূত্রের খবর, এদিন দুই রাষ্ট্রনেতার কথোপকথনের সময় ব্রিটেনে অবস্থিত ভারতীয় কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুনককে ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও মোদি-সুনক কথোপকথনে আলোচনা হয় দুই দেশের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের অগ্রগতি, বিশেষ করে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। অর্থনৈতিক অপরাধীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কেও জানতে চান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বাংলা সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে পালিত হবে নববর্ষ। সেজন্য মোদিকে নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) উদ্বেগ…

    মাসখানেক আগে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হানা দিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। ভারতের জাতীয় পতাকা টেনে নামিয়ে দিয়েছিল তারা। দূতাবাসের ভবনের প্রথম তলের বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল খালিস্তানপন্থীদের ব্যানার। খালিস্তানপন্থী স্বঘোষিত ধর্মগুরু ওয়ারিস পঞ্জাব দি সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিংহ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে পঞ্জাব পুলিশের পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছিল তারা। বিচ্ছিন্নতাবাদী ও চরমপন্থীদের পদক্ষেপের প্রতিবাদে নয়া দিল্লির শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ কূটনীতিককে তলব করেছিল ভারত সরকার। এবার সুযোগ পেয়ে সরাসরি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই ভারতীয় হাইকমিশনের হামলা ব্রিটিশ সরকার একেবারেই মেনে নেয়নি জানিয়ে ভারতীয় দূতাবাস ও দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন সুনক।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন টেলিফোনিক কথোপকথনের সময় ভারতের কূটনৈতিক এস্টাবলিশমেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে ইউকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারত-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। সুনক জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনাটি ব্রিটেন ভালভাবে নেয়নি। ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তারও।

    জানা গিয়েছে, ভারত-ব্রিটেন রোডম্যাপ ২০৩০ এর অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, এই বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে দ্রুত একটি চুক্তি (PM Modi) স্বাক্ষর করা প্রয়োজন বলেও সহমত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। অর্থনৈতিক অপরাধীদের দ্রুত ভারতে ফেরানোর বিষয়েও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ব্রিটেনের জেলে বন্দি রয়েছে পলাতক ভারতীয় অর্থনৈতিক অপরাধী নীরব মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি  

    Recruitment Scam: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা যদি এ বার না মাথায় পৌঁছতে (Recruitment Scam) পারেন, আমি জানি কী করতে হবে। বৃহস্পতিবার সিবিআইকে (CBI) একথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এদিন প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের পত্রবোমা মামলার শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করেন তিনি। শুনানি চলাকালীন নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নিয়োগ মামলায় যাঁদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা দালাল। অবৈধভাবে নিয়োগের টাকা আসলে কোথায় পৌঁছেছে, তা দ্রুত তদন্ত করে বের করার বার্তাও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    কোথায় গেল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) এত টাকা?

    তিনি বলেন, কোথায় গেল নিয়োগ দুর্নীতির এত টাকা? এঁরা তো দালাল! আসল টাকা কোথায় পৌঁছল? সেটাই তো খুঁজে পেতে হবে। এত দিন ধরে কী করছেন?  এখনও অবধি কোমরের ওপরে পৌঁছতে পারেননি। আপনারা যদি এ বার মাথায় পৌঁছতে না পারেন, আমি জানি কী করতে হবে। তিনি বলেন (Recruitment Scam), দীর্ঘ দিন হয়েছে। সময় অপচয় ছাড়া কিছু হচ্ছে না। তাঁর পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর ভূমিকা ঠিক নয়। প্রয়োজনে আইনজীবী পরিবর্তন করতে হবে। সওয়ালের সময় তাঁর ভূমিকা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সিবিআই হাইকোর্টের অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে সওয়াল করাতে পারে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    তাঁর আরও নির্দেশ, চাইলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক ও কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবেন ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আদালতে যাওয়া আসার পথে কুন্তল বারংবার দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (Recruitment Scam)  সংস্থা তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করার জন্য চাপ দিচ্ছে। জেল থেকেও সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে চিঠিও লিখেছিলেন কুন্তল।

    এ ব্যাপারে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ বা কোনও এফআইআর করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। অভিযোগ গ্রহণ করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। বিচার প্রক্রিয়াকে শ্লথ করতে পরিকল্পনামাফিক এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। এর পরেই তিনি বলেন, অবিলম্বে এ ব্যাপারে অভিষেক ও কুন্তলকে জেরা করা উচিত ইডি এবং সিবিআইয়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share