Author: Krishnendu Bakshi

  • Veer Savarkar: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

    Veer Savarkar: সাভারকার ইস্যুতে রাহুলকে নিশানা গডকড়ির, একহাত নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাভারকার (Veer Savarkar) ইস্যুতে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি ও মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য রাহুলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নীতিন। তিনি বলেন, আমাদের উচিত রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ জানানো। কারণ তিনি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন সাভারকারকে প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দিতে। রাহুল গান্ধীর এরকম করে যাওয়া উচিত। সাভারকার গৌরব যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন নীতিন। সেখানেই তিনি নিশানা করেন রাহুলকে।

    সাভারকার (Veer Savarkar) ইস্যুতে নীতিন বলেন…

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সাভারকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর উচিত ক্ষমা চাওয়া। তিনি বলেন, রাহুল জানেন না তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী এবং দাদু ফিরোজ গান্ধী কী বলেছিলেন সাভারকার (Veer Savarkar) সম্পর্কে। গডকড়ি বলেন, সাভারকারই বলেছিলেন যে হিন্দুত্ব একটা জীবনযাপনের পন্থা। সাভারকার জাতিগত বাধার প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দু বছরের কারাদণ্ড হয় রাহুলের। গুজরাটের সুরাটের একটি আদালত রাহুলকে ওই শাস্তি দেয়। তার জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির। এর পরেই রাহুল বলেছিলেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না, কারণ তিনি সাভারকার নন।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, রাজ্যের রিপোর্ট তলব অমিত শাহের

    সাভারকার (Veer Savarkar) গৌরব যাত্রা উপলক্ষে নাগপুরে আয়োজিত এক জনসভায় ওই একই ইস্যুতে রাহুলকে আক্রমণ করেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশও। তিনি বলেন, ভারতে কিছু মানুষ জন্মান যাঁরা দেশের ইতিহাস জানেন না, জানেন না সমসাময়িক কালের ইতিহাসও। ফড়নবিশ বলেন, যাঁর কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই, এমন একজন ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সাভারকারকে আক্রমণ করেন। এই জাতীয় মানুষদের যোগ্য জবাব দিতে মহারাষ্ট্রবাসী সাভারকার গৌরব যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি সাভারকারও নন, গান্ধীও নন। সাভারকার হতে গেলে অনেক ত্যাগ করতে হয়।

    তিনি বলেন, কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট একদিনও জেলে থাকতে পারবেন না। অথচ দেশের কঠিনতম পরিস্থিতিতে সাভারকার বছরের পর বছর বন্দি ছিলেন আন্দামান-নিকোবরের সেলুলার জেলে। তিনি বলেন, রাহুলের মতো মানুষ সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছেন। তাই তিনি জানেন না, সাভারকার (Veer Savarkar) কতটা আত্মবলিদান করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশরা আমাদের কষ্ট দিত, স্বাধীনতার পরে দিচ্ছে ব্রিটিশদের এজেন্টরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Saha: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি

    Manik Saha: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, সংবর্ধনা দেবে বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) মানিক সাহা (Manik Saha)। চলতি মাসের ৮ তারিখে আসবেন তিনি। সেদিনই রাজ্য বিজেপির তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তাঁকে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় অবসান ঘটে বাম জমানার। ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বিপ্লব দেব। পরে বিপ্লবকে দলের কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় মানিক সাহাকে। মানিকের নেতৃত্বেই বাম নেতা মানিক সরকার ও তিপ্রা মোথার প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার চ্যালেঞ্জ সামলে জয় পায় বিজেপি। ফের সরকার গড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন মানিক। তবে দ্বিতীয়বার বিজেপি জয় পাওয়ার পর জল্পনা ছড়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হবে প্রতিমা ভৌমিককে।

    মানিক সাহা (Manik Saha)…

    বর্তমানে প্রতিমা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকারের আগের কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রতিমা। তবে শেষমেশ মানিককেই বসানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদে। মানিক (Manik Saha) পেশায় দাঁতের ডাক্তার। পাটনার সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডেন্টাল সার্জারিতে মাস্টার ডিগ্রি পেয়েছিলেন তিনি। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ডেন্টাল সার্জারির প্রফেসর হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। আগরতলায় ডাঃ বিআরএএম টিচিং হাসপাতালেও শিক্ষকতা করতেন তিনি। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দলের রাজ্য সভাপতি পদেও ছিলেন বেশ কয়েকদিন। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন মানিক। এহেন মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় বিজেপি।

    ১৬ ফেব্রুয়ারি হয় ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ভোট পড়ে ৮৭.৬ শতাংশ। ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের ত্রিপুরার রাশ হাতে নেয় বিজেপি। ৩২টি আসনে জয় পায় পদ্ম শিবির। যদিও ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ৩১। বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে এ রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তৃণমূল সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উঠছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। প্রত্যাশিতভাবেই জনসমর্থন সরতে শুরু করেছে তৃণমূলের পাশ থেকে। ক্রমেই পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমতাবস্থায় মানিককে (Manik Saha) সংবর্ধনা দিয়ে এ রাজ্যেও তৃণমূল জমানার অবসানের শঙ্খনাদ বাজিয়ে দিতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Priyank Kanoongo: ‘হাওড়ায় শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়’, বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপিসিআর কর্তার

    Priyank Kanoongo: ‘হাওড়ায় শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়’, বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপিসিআর কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় (Howrah) শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়, পাথর ছোড়ায় ব্যবহার করা হয় শিশুদের। হাওড়ায় অশান্তির ঘটনায় এই অভিযোগই করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীকে। নির্দেশ দেন এনসিপিসিআরের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো (Priyank Kanoongo)। ওই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিল পুলিশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার রিপোর্ট তলবও করেছে এনসিপিসিআর। 

    প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর (Priyank Kanoongo) অভিযোগ…

    শুক্রবার রামনবমী উপলক্ষে হাওড়ায় শোভাযাত্রা বের করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। শোভাযাত্রা কাজিপাড়ার কাছে গেলেই হয় হামলা। দুষ্কৃতীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। ছোড়া হয় বোমাও। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে হাওড়ারই শিবপুরেও। রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয় হুগলির রিষড়ায়। সেখানেও হামলা হয়েছে শোভাযাত্রায়। সোমবার হাওড়ার সিপি প্রবীণ ত্রিপাঠিকে লেখা চিঠিতে প্রিয়ঙ্ক (Priyank Kanoongo) লিখেছেন, দিন দুয়েক আগে হাওড়ার শিবপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে শিশুদেরও অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা গিয়েছে তাদেরও। প্রমাণ হিসেবে প্রিয়ঙ্ক ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজের ট্যুইটার লিঙ্কও দিয়েছেন চিঠিতে। তলব করা হয়েছে রিপোর্টও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’’! সিবিআইকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর

    তিলজলায় বছর সাতেকের এক শিশুকন্যাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার তদন্তে কলকাতায় এসে প্রিয়ঙ্ক তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের হাতে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে বচসায়ও জড়িয়ে পড়েন এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান। পুলিশি তদন্তে ঢিলেঢালা ভাব দেখে তিনি বলেওছিলেন, কলকাতার পুলিশ মনে হয় না খুনিকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে। ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড়েও ওরা তৎপর নয়।

    মালদহে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। স্কুলের মধ্যেই গণধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। ওই ঘটনার তদন্তে গিয়েও সুদেষ্ণার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন প্রিয়ঙ্ক (Priyank Kanoongo)। বাংলা সফরের অভিজ্ঞতা যে প্রিয়ঙ্কর খুব একটা সুখের হয়নি, দিল্লি যাওয়ার আগেই তা জানিয়েছিলেন এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান। তার পরেই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় হাওড়ার সিপিকে চিঠি দিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, রাহুলের মাথায় ঝুলেই রইল শাস্তির খাঁড়া

    Rahul Gandhi: মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, রাহুলের মাথায় ঝুলেই রইল শাস্তির খাঁড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। তাঁকে জামিন দিল ওই আদালত। আদালতের এই রায়ের পরে পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই পূর্ণেশকেও এদিন আদালত তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ১০ এপ্রিলের মধ্যে।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, এদিন রাহুলের (Rahul Gandhi) পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী আরএস চিমা। আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাহুল, তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্য রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। রাহুলের আদালতে উপস্থিত থাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, একজন অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য নিজে যান না, যাওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। কিন্তু রাহুল গান্ধী দলবল নিয়ে ওখানে নাটক করতে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, কেন কংগ্রেস বিচারবিভাগের ওপর এই ধরনের অবাঞ্ছিত চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে? আইনি বিষয়গুলি মোকাবিলা করার পদ্ধতি ও উপায় রয়েছে। কিন্তু এমনভাবে কেন? তিনি বলেন, কংগ্রেসের কাছে দেশের চেয়েও একটি পরিবার বড়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’’! সিবিআইকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এই মন্তব্যের দায়ে তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তার জেরে ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন জানান রাহুল। বিচারক তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী, দেশের আইনসভার কোনও সদস্য দুই বা ততোধিক বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ৬ বছরের জন্য তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে বা পুরনো রায় খারিজ করে দিলে অভিযুক্তকে আইনসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia: ‘বেলারুশের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া’, জানালেন রাষ্ট্রদূত

    Russia: ‘বেলারুশের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া’, জানালেন রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলারুশে (Belarus) ন্যাটোভুক্ত (NATO) দেশগুলির সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া (Russia)। রবিবার রাতে এ কথা বলেন মিনস্কে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিশ গ্রিজলভ। তিনি জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতেই দেশের পশ্চিম অংশে ওই অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। বেলারুশিয়ান স্টেট টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ ও আমেরিকা হইচই করা সত্ত্বেও সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হবে। তবে ঠিক কোথায় সেটি মোতায়েন করা হবে, তা জানাননি ওই রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত।

    রাশিয়ার (Russia) সঙ্গী…

    তিনি জানান, ১ জুলাইয়ের মধ্যেই অস্ত্রাগার নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। গত মাসেই রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ সীমান্তে কৌশলগত পারমানবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেই বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মুখেও শোনা গেল একই কথা। বেলারুশের সঙ্গে লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। এর প্রতিটি দেশই ন্যাটোর সদস্য। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার পরে পরেই এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডে ন্যাটো তাদের সৈন্য সংখ্যা প্রায় দশগুণ বাড়িয়েছে। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে রয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোও।

    আরও পড়ুুন: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    তিনি বলেন, বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মজুতের পাশাপাশি কিছু পারমাণবিক অস্ত্রও তাঁর দেশে মোতায়েন করতে পারে রাশিয়া। প্রসঙ্গত, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের পাল্লা তুলনায় ছোট। স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্রের তুলনায় এর ক্ষমতাও কম। যুদ্ধক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে আঘাতের ক্ষমতা রয়েছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পার হয়ে গিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। তার পরেও থামেনি যুদ্ধ। রাশিয়ার (Russia) পাশাপাশি অস্ত্র সম্ভার বাড়িয়ে চলেছে ইউক্রেনও। রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছে বিশ্বের বহু দেশ। তার পরেও বন্ধ হয়নি যুদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার পরেও চলছে যুদ্ধ।

    রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে রাশিয়া থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমি বিশ্বের কয়েকটি দেশ। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি পুতিনের দেশকে। এখনও বিরাম নেই যুদ্ধের। এহেন পরিস্থিতিতে ন্যাটো সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের জেরে যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sambit Patra: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    Sambit Patra: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা (Mamata Banerjee) সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় আর এক রকম। রাহুল ইস্যুতে মমতার অবস্থানকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra)। সোমবার সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন সম্বিত। সেখানেই তিনি নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, আমি তো অবাক হয়ে যাই। মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় আর এক রকম। সকালে ফুল নিয়ে গান্ধী পরিবারের কাছে যান, সন্ধ্যায় আবার বলেন রাহুলের দ্বারা হবে না। তিনি বলেন, আগে মমতাজিকে জিজ্ঞাসা করে আসুন, রাহুলের দ্বারা কিছু হবে, না হবে না?

    সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) বলেন…

    মোদি পদবি নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করার দায়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাটের সুরাট আদালত। সেই সঙ্গে করা হয় জরিমানাও। ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবদেন করার সুযোগও রাহুলকে দেয় আদালত। দু বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় নিয়ম মেনে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুলের। তার পরেই রাহুলের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন তাকেই কটাক্ষ করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র (Sambit Patra)। তাঁর প্রশ্ন, মমতা কি আদৌ কংগ্রেসের পাশে্ রয়েছেন? রাহুলকেও একহাত নিয়েছেন সম্বিত। তিনি বলেন, কেন দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি রাহুলের আস্থা নেই? কেন ওবিসি সম্প্রদায়কে অপমান করেও তিনি ক্ষমা চেয়ে নেননি? আদালতে সে সুযোগ তো তাঁর ছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রের প্রতি রাহুল ও তাঁর দল এত অবিশ্বাসী কেন? রাহুল মানেই ভারত নয়, ভারত মানেই রাহুল নন, সেটা মনে রাখা দরকার। তিনি বলেন, গান্ধী পরিবারের জন্য দেশের আইন বদলাবে না।বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র (Sambit Patra) বলেন, কংগ্রেসের ঔদ্ধত্য দেখুন। রাহুলের এজেন্ট বিদেশে গিয়ে রাহুল ইস্যুতে কী সব বিবৃতি দিচ্ছে দেখুন। গান্ধী পরিবারের জন্য দেশে আলাদা আইন হবে কেন? আপামর দেশবাসী কি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক? তিনি বলেন, ইউপিএ সরকারের জমানায় আনা আইনেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। যেভাবে কংগ্রেস ও রাহুল বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ করছেন, তা নজিরবিহীন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস রয়েছে’, পশ্চিমকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমি (West) বিশ্বের একটা বদভ্যাস আছে। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার রয়েছে। নাম না করে এই ভাষায়ই ইউরোপ ও আমেরিকার (America) সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মোদি (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে দু বছরের কারাদণ্ড হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর। গুজরাটের সুরাট আদালত ওই সাজা দেয় রাহুলকে। সঙ্গে করা হয়েছে জরিমানাও। রাহুল যাতে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দেওয়া হয়েছে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) উবাচ…

    কারাদণ্ড হওয়ায় লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায় রাহুলের। এর পরেই ইউরোপের কয়েকটি দেশ এবং আমেরিকা এনিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, সত্যি কথা বললে বলতে হয়, পশ্চিমি বিশ্বের একটা বদভ্যাস আছে। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলালেও, নিজেদের দেশ সম্পর্কে অন্য কেউ মন্তব্য করুক, সেটা পশ্চিমি বিশ্ব ভালভাবে নেয় না।

    রবিবার কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য ও সাংসদ পিসি মোহনের উদ্যোগে আয়োজিত সাক্ষাৎ ও আলোচনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই পশ্চিমি বিশ্ব সম্পর্কে কটাক্ষ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে তর্কে আপনি অন্যদের মন্তব্য করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। এতে আরও আরও মানুষ মন্তব্য করতে উৎসাহিত হবে। আমাদের বিশ্বকে খোলা আমন্ত্রণ জানানো বন্ধ করতে হবে যে ভারতে সমস্যা রয়েছে, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশ কেন চুপ করে রয়েছে? কিছু করছে না কেন? তিনি (S Jaishankar) বলেন, যদি কেউ একথা বলেন, তাহলে তাঁরাও স্বাভাবিকভাবেই মন্তব্য করবেন। তাই সমস্যার কিছুটা অংশ তারা, আর কিছুটা অংশ আমরাও। দু পক্ষকেই নিজেদের সংশোধন করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন মোদি সরকারের। গত রবিবার তা নিয়ে নাম না করে রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সংসদের চলতি অধিবেশনও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাহুল ইস্যুতে। রাহুলের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলেন বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিংহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো? রবিবার এই ভাষায়ই তৃণমূলের (TMC) তোলা অভিযোগের জবাব দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয় হাওড়ার কাজিপাড়া ও শিবপুরে। এদিন শিবপুরে যাওয়ার পথে প্রথমে সুকান্তের পথ আটকায় পুলিশ। পরে অবশ্য যেতে দেওয়া হয় তাঁকে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে সুকান্ত বলেন, মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিষিদ্ধ করে পুলিশ কি কখনও নির্দেশিকা দিয়েছে? একই দেশে দুই ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা নির্দেশিকা কেন?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    তাঁর প্রশ্ন, অস্ত্র নিয়ে গেলেই যদি প্ররোচনা দেওয়া হয়, তাহলে মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে হিন্দুরা প্ররোচিত হন না কেন? মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না, এটা কি পুলিশ লিখতে পারে? গতবার লেখা ছিল? বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, একই সঙ্গে দেশে একই সংবিধানে যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার পাওয়ার কথা, সেখানে দুটো ধর্ম আলাদা অধিকার পাবে কেন? সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশের উচিত ছিল যেসব বাড়ি থেকে আগে হামলা হয়েছে, সেগুলিতে তল্লাশি চালানো। ওই বাড়িগুলির ছাদে পুলিশ মোতায়েন করা। কিন্তু তা করা হয়নি। পুলিশের কাছে মনে হয় নির্দেশ ছিল, দাঙ্গাটা হতে দাও। তিনি বলেন, হাওড়ায় হিংসার ঘটনায় পুলিশও যুক্ত ছিল। এর পরেই পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, আগামী বছরও হাওড়ার ওই একই রাস্তা দিয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রা যাবে।

    আরও পড়ুুন: রিষড়াকাণ্ডে রাজ্যপাল, শাহকে চিঠি জখম বিজেপি বিধায়কের, কড়া বিবৃতি আনন্দ বোসের

    পুলিশকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তৃণমূলের তরফে অশান্তির কারণ হিসেবে রুট বদলের অভিযোগ খাড়া করা হয়েছে। এদিন সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও রুট বদল হয়নি। প্রত্যেক বছর এই রুটেই শোভাযাত্রা হয়। পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী এভাবে তাঁদের অপদার্থতা ঢাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, পরের বছর আবার ওই রাস্তায়ই শোভাযাত্রা হবে। হাওড়াকাণ্ডে তদন্ত করছে সিআইডি। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, শিবপুরকাণ্ডে সিআইডি কেমন তদন্ত করবে, তা জানা আছে। সিআইডি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পোষা কুকুর। তিনি বললে ঘেউ ঘেউ করে, না বললে করে না। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, শিবপুরকাণ্ডের তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার জন্য, যাতে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করতে ঢুকে না যায়, তাই তড়িঘড়ি সিআইডিকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
  • Rishra Clash: রিষড়াকাণ্ডে রাজ্যপাল, শাহকে চিঠি জখম বিজেপি বিধায়কের, কড়া বিবৃতি আনন্দ বোসের

    Rishra Clash: রিষড়াকাণ্ডে রাজ্যপাল, শাহকে চিঠি জখম বিজেপি বিধায়কের, কড়া বিবৃতি আনন্দ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির (Rishra Clash) ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিজেপির বিমান ঘোষ। সোমবার ভোরেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিঠি লেখেন তিনি। বাংলায় অশান্তির পরিবেশের উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন বিমান।

    রিষড়ায় অশান্তি (Rishra Clash)…

    শুক্রবার ছিল রামনবমী। সেই উপলক্ষে রবিবার শোভাযাত্রা বের করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই শোভাযাত্রায় যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং পদ্ম শিবিরের কয়েকজন নেতা-কর্মী। শোভাযাত্রা সন্ধ্যাবাজার এলাকায় পৌঁছতেই শুরু হয় অশান্তি (Rishra Clash)। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। করা হয় বোমাবাজি। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। জখম হন বিমান। রবিবারের ঘটনার বিবরণ দিয়ে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিমান জানান, শোভাযাত্রায় অশান্তি ও আক্রমণের সময় রাজ্যের পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। পরে নিরাপত্তার নামে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদেরই আটকায় পুলিশ। চিঠিতে তিনি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন।

    রিষড়ায় কেবল বিধায়কই নন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে জখম হয়েছে রিষড়া থানার ওসি পিয়ালি বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে এর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রিষড়ায় অশান্তির (Rishra Clash) ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সূত্রের খবর, ঘটনার পরে পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন তিনি। পরে বিবৃতিতে রাজ্যপাল বলেন, গুন্ডা ও দুর্বৃত্তদের লৌহকঠিন হাতে দমন করা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না।

    আরও পড়ুুন: ‘বাংলাকে সাহায্য করুন’’! রিষড়ায় হামলা নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি সুকান্তর

    চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রিষড়া ও মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রামনবমী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছিল হাওড়ায়ও। শুক্রবার হামলা হয় কাজিপাড়া এলাকায়। হামলা হয় শিবপুর এলাকায়ও। পড়শি রাজ্য বিহারের নালন্দার সাসারাম এবং বিহার শরিফেও হামলা হয়েছে রামনবমীর শোভাযাত্রায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: হাওড়ার পর এবার হুগলি, রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, আগুন

    Ram Navami: হাওড়ার পর এবার হুগলি, রিষড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah) কাজিপাড়ার পর এবার হুগলির (Hooghly) রিষড়া। রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় ফের হামলার ঘটনা। রবিবারের ঘটনার জেরে হল অগ্নিসংযোগও। ঘটনাস্থলে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ছিল রামনবমী। সেই উপলক্ষে রবিবার শোভাযাত্রা বের করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। ওই শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। হামলার জেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা। তার পরেই ঘটে অগ্নি সংযোগের ঘটনা। এদিনের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় অশান্তি…

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়। শুক্রবার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ওই শোভাযাত্রা কাজিপাড়ার কাছে পৌঁছলে চালানো হয় হামলা। শোভাযাত্রায় ছোড়া হয় পাথর, বোমা, পেট্রল বোমা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় রাস্তার ধারের কয়েকটি দোকানে। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। তার পরে তখনকার মতো শান্ত হয় পরিস্থিতি। পরের দিন ফের অশান্তি হয় এলাকায়।কাজিপাড়ার পাশাপাশি রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয়েছে হাওড়ারই শিবপুরে। রবিবার শিবপুরে যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সুকান্তর। পরে অবশ্য যান সুকান্ত।

    আরও পড়ুুন: ‘বিহারে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝোলাব’, বললেন শাহ

    কেবল বাংলা নয়, রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারেও। নালন্দার সাসারাম ও বিহার শরিফে শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার জেরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বোমার ঘায়ে জখম হয়েছেন ছ জন। এদিন সাসারামে যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। তবে দু দিনের বিহার সফরে গেলেও, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সাসারামে যাননি তিনি। তার বদলে এদিন তিনি সভা করেন নওয়াদায়। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। নীতীশ ও লালুপ্রসাদের তুষ্টিকরণের জেরে যে রাজ্যে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share