Author: Krishnendu Bakshi

  • Supreme Court: করোনা আবহে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: করোনা আবহে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid 19) সংক্রমণ ঠেকাতে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল আসামি ও বিচারাধীন বন্দিদের একাংশকে। ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ভিড় থেকে ছড়ায় করোনা সংক্রমণ। তাই ভিড় কমাতে ও করোনা আবহে জেলগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে দোষী সাব্যস্ত ও বিচারাধীন বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। পরে চোখ রাঙানি কমে মারণ ভাইরাস করোনার। পরিস্থিতি বর্তমানে বেশ স্বাভাবিক।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ…

    এমতাবস্থায় বন্দিদের ফের আত্মসমর্পণ করার কথা ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালাত। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন বিচারপতি এমআর শাহ ও সিটি রবিকুমারের বেঞ্চের নির্দেশ, যে বিচারাধীন বন্দিদের কোভিড আবহে জরুরি ভিত্তিতে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। আত্মসমর্পণের পর তাঁরা আদালতে গিয়ে জামিনের আবেদন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতে যে দোষী সাব্যস্ত ও বিচারাধীন বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বেশিরভাগই গুরুতর কোনও অপরাধে জেলবন্দি ছিলেন না। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজ্যের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ওই বন্দিদের।

    আরও পড়ুুন: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও থাবা বসিয়েছিল করোনা। করোনা সংক্রমণের জেরে অকালে প্রাণ হারান কয়েক লক্ষ মানুষ। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা সহ একাধিক বিধিনিষেধ জারি করে কেন্দ্র। করোনা হানা দেয় সুপ্রিম কোর্টেও। দেশের শীর্ষ আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারপতি ও প্রায় দুশো কর্মী সংক্রমিত হন করোনায়। পরে ভার্চুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। বেশ কয়েক মাস ধরে হয়েছে ভার্চুয়াল শুনানি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর চালু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্বাভাবিক কাজকর্মও। দেশের করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল, তখনই বিচারাধীন বন্দি ও দোষী সাব্যস্ত বন্দিদের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amritpal Singh: আন্দোলনের টাকা জোগাড় করতে  সেক্স চ্যাটের ফাঁদ পেতেছিলেন অমৃতপাল?

    Amritpal Singh: আন্দোলনের টাকা জোগাড় করতে  সেক্স চ্যাটের ফাঁদ পেতেছিলেন অমৃতপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণের শেষ নেই পলাতক খালিস্তানপন্থী (Khalistani) নেতা অমৃতপাল সিংহের (Amritpal Singh)! আন্দোলনের টাকা জোগাড় করতে সেক্স চ্যাটের ফাঁদ পেতেছিলেন পঞ্জাব (Punjab) ওয়ারিস দে সুপ্রিমো। অন্তত পুলিশের দাবি তেমনই। ইতিমধ্যেই স্বঘোষিত ওই শিখ ধর্মগুরুর কিছু ফোন চ্যাটিং ও ভয়েস নোটের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সেক্স চ্যাট করতে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতেন অমৃতপাল।

    অমৃতপাল সিংহের (Amritpal Singh) গুণপনা…

    তদন্তকারীদের কথায়, বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত মহিলাদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয়ে সিদ্ধহস্ত ছিলেন খালিস্তানপন্থী ওই নেতা। নতুন কোনও মহিলার সঙ্গে আলাপ হলেই, যৌন উত্তেজক কথাবার্তা শুরু করে দিতেন তিনি (Amritpal Singh)। পঞ্জাব পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অমৃতপালের পাতা ফাঁদে পা দিতেন মহিলারা। সেক্স চ্যাট শুরু হলেই সেগুলি রেকর্ড করা হত। পরে সেগুলি দেখিয়েই ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন তিনি। বেশি টাকা পেতে অনেক সময় অশ্লীল ভিডিও বা সুপার ইম্পোজ করা ভিডিও-ও ব্যবহার করতেন অমৃতপাল।

    পঞ্জাব পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ইন্সটাগ্রামে আমরা যে ধরনের চ্যাটিং পেয়েছি, তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। একজন মহিলাকে অমৃতপাল লিখেছে, আমাদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তাহলে পাকা হল? মধুচন্দ্রিমায় আমরা দুবাইতে যাব। জানা গিয়েছে, অমৃতপালের বিভিন্ন ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনে এরকম প্রায় ১২টি ভয়েস নোটের হদিশ মিলেছে। ফোনের ইনবক্সেও মিলেছে সেক্স চ্যাটের হদিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেক্স চ্যাটের ক্ষেত্রে অমৃতপাল যেমন টার্গেট করতেন বিবাহিত মহিলাদের, তেমনি অবিবাহিত মহিলারাও ছিলেন তাঁর নজরে। অতিরিক্ত টাকা পেতেই এসব করা হত বলে অনুমান পুলিশ কর্তাদের।

    আরও পড়ুুন: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    পঞ্জাব পুলিশের ইনসপেক্টর জেনারেল (হেডকোয়ার্টারস) সুখচাঁইন সিংহ গিল বলেন, তাজিন্দির সিংহ গিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাঁর মোবাইলে আসা বিভিন্ন মেসেজ থেকে জানা গিয়েছে অনেক কিছুই। এটাও জানা গিয়েছে, অমৃতপালরা (Amritpal Singh) দেশ-বিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ছিল। প্রসঙ্গত, তাজিন্দর হলেন অমৃতপালের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশের ওই কর্তা বলেন, কিছু ভিডিও উদ্ধার হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জুল্লুপুর খেরা এলাকায় অমৃতপালরা গুলি চালনা অনুশীলন করছে। অমৃতপালের ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ফুটেজ ও ছবি থেকে এটাও জানা গিয়েছে, তারা আনন্দপুর খালসা ফৌজের হলোগ্রামও তৈরি করেছে। অস্ত্রশস্ত্র লোডিং-আনলোডিংয়ের ভিডিও-ও পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    Rahul Gandhi: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ। শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হল এ খবর। মোদি (Modi) পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয় রাহুলকে। তার জেরে বাতিল হল তাঁর সাংসদ পদ। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।  প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস (Congress) নেতাকে দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত। তার জেরে সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী খারিজ করা হল রাহুলের সাংসদ পদ।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন…

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে কংগ্রেস আয়োজিত এক জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, সব চোরদের পদবি মোদি কেন। তার জেরে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। বৃহস্পতিবার রাহুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মানহানি মামলায় রায় দেয় সুরাট আদালত। রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিনের সময়ও দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সাজা ঘোষণার পরপরই জামিন পেয়ে যান রাহুল। আদালতের রায়কে স্বাগত জানান সুরাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোশ। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে কেবল সুরাটেই নয়, গুজরাটের পুরো ওবিসি সম্প্রদায়ের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।  

    আরও পড়ুুন: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

    প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তবে ততক্ষণাৎ তাঁর পদ খারিজ হয়ে যাবে। সেই যুক্তিতেই খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ। ওই আইন অনুযায়ী, আগামী ৬ বছর রাহুল কোনও ভোটেও লড়তে পারবেন না।

    রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হতেই খেপে গিয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। এদিনই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ১২টি বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বাম, জেডি (ইউ) এবং ডিএমকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আম আদমি পার্টির প্রতিনিধিও। বৈঠক শেষে সংসদ ভবন থেকে মিছিল করে তাঁরা যান রাষ্ট্রপতি ভবনে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তৃণমূল নেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসছেন তিনি। ওই দু দিনই ধর্নায় বসছে বঙ্গ বিজেপিও (BJP)। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই দু দিন তারা ধর্নায় বসবে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে। বিজেপির ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণবঙ্গের সব বিধায়ককেও ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যস্তরের নেতানেত্রীদেরও। পুলিশের অনুমতি না মিললে আদালতে যাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    তৃণমূল ও বিজেপির ধর্না (Dharna)…

    বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মঙ্গলবার ওড়িশা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজের বকেয়া সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধ ও বৃহস্পতিবার আম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পাওয়া টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য। বিভিন্ন খাতের টাকা প্রকৃত খাতে ব্যয় না করে খরচ করা হয়েছে খয়রাতি প্রকল্পে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দশ বছরে পাওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ৫ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। রাজ্যের উচিত অবিলম্বে এই হিসেব দেওয়া। তিনি বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। সেই সঙ্গে আমরা পথেও নামতে চলেছি। টানা আন্দোলন চলবে। জগন্নাথ বলেন, পুলিশ ওই দিন ধর্নায় (Dharna) বসার অনুমতি না দিলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    তৃণমূলের মোকাবিলায় গুচ্ছ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। ২৭ মার্চ, সোমবার রাজ্যের সব জেলাশাসকের দফতরে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে স্মারকলিপি দেবে বিজেপি। পরের দিন বিজেপির কিসান মোর্চার নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। বৃহস্পতিবার রামনবমী। এদিন রাজ্যে শোভাযাত্রা করবে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এর উদ্যোক্তা বিজেপি না হলেও, দলের কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেবেন ওই সব মিছিলে। এপ্রিলেও একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amritpal Singh: আইএসআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্জাবে অশান্তি বাঁধানোর ছক, অমৃতপালের ছিল মহিলা ‘আসক্তি’ও!

    Amritpal Singh: আইএসআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্জাবে অশান্তি বাঁধানোর ছক, অমৃতপালের ছিল মহিলা ‘আসক্তি’ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গুরু’ জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের মতোই পাকিস্তানের (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্জাবজুড়ে অশান্তি বাঁধানোর ছক কষেছিলেন পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহ (Amritpal Singh)। অমৃতপাল আইএসআইয়ের মদতে পাক সীমান্তে অস্ত্র এবং মাদক চোরাচালানে জড়িত ছিলেন বলেও গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে। অমৃতপালের নির্দেশেই অমৃতসরের জল্লুপুর খেরা এলাকায় একটি অনুমোদনহীন রিহ্যাব সেন্টার খুলেছিলেন তিনি। সেখানে তরুণদের জেহাদির মন্ত্রে দীক্ষিত করা হত। এলাকার একটি গুরুদ্বারেও অস্ত্র মজুত করার ব্যবস্থা করেছিলেন ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র শীর্ষ নেতা।

    অমৃতপাল সিংহ (Amritpal Singh)…

    বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ভিন্দ্রানওয়ালের মতোই স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তান রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান জানিয়ে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করতেন অমৃতপাল (Amritpal Singh)। সংগঠনের কোনও কমিটিতেই আয়ব্যয়ের হিসেব দেওয়া হত না। পাকিস্তান থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, রসদ ও মাদক পাচ্ছিলেন অমৃতপাল। গোয়েন্দাদের অনুমান, গত এক বছরে সীমান্তে ড্রোনের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় অমৃতপালের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। ভারতে কৃষক আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যোগ দিয়েছিলেন অমৃতপাল। পরে পারিবারিক ব্যবসা সামলাতে চলে যান দুবাইয়ে। এই দুবাই আইএসআইয়ের অন্যতম বড় ঘাঁটি। কৃষি আন্দোলনে তাঁর বড় ভূমিকা দেখে অমৃতপালকে বেছে নেয় আইএসআই। জানা গিয়েছে, অতীতের খালিস্তানি আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কোনও সম্পর্ক ছিল না অমৃতপালের। আইএসআইয়ের সংস্পর্শে এসেই তিনি খালিস্তানি আন্দোলন নিয়ে প্রচার শুরু করেন দুবাইয়ে।

    আরও পড়ুুন: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    গোয়েন্দাদের দাবি, অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে অমৃতপালকে আইএসআই পাঠিয়েছিল জর্জিয়ায়। পরে পাঠানো হয় ভারতে। এখানেই রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে চলত জেহাদি বানানোর প্রশিক্ষণ। নেশা ছাড়তে যাঁরা আসতেন, তাঁদের বাধ্য করা হত ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র কর্মসূচিতে যোগ দিতে। এহ বাহ্য। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, একাধিক মহিলার সঙ্গে পরকীয়া করতেন অমৃতপাল (Amritpal Singh)। ভিডিও কলে দিতেন কুপ্রস্তাব। নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেন তিনি। নামহীন সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাবও দিতেন তাঁদের। বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত সকলের সঙ্গেই শুধুমাত্র শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চাইতেন ওয়ারিস পঞ্জাব দে সুপ্রিমো। নেট মাধ্যমে মহিলাদের অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে ভয়ও দেখাতেন তিনি। মহিলাদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের কিছু অংশ এবং ভয়েস নোট প্রকাশ্যে আসায় জানা গিয়েছে অমৃতপালের মহিলা-সঙ্গ-প্রীতির কথা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Indian High Commission London: ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার জের! লন্ডনে কড়া নিরাপত্তা ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে

    Indian High Commission London: ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার জের! লন্ডনে কড়া নিরাপত্তা ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission London) পতাকা নামিয়ে নিয়েছিলেন খালিস্তানপন্থীরা। তার জেরে ভারতীয় (India) হাইকমিশনের সামনে আরও আঁটসাঁট করা হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বুধবার বিকেলে ব্যারিকেড দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় ভারতীয় হাইকমিশন। মোতায়েন করা হয় পুলিশ আধিকারিক ও টহলদার পুলিশকর্মীদের।

    খালিস্তানের পক্ষেও স্লোগান…

    এদিকে, এদিন দুশোরও বেশি খালিস্তানপন্থী সান ফ্রান্সসিসকোতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে খালিস্তানের পতাকা দেখাতে থাকেন। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা খালিস্তানের পতাকা ওড়াতে থাকেন। খালিস্তানের পক্ষেও স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, রবিবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission London) অফিসে ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেন সে দেশে বসবাসকারী খালিস্তানপন্থীরা। তার জেরে দু দেশের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয়। ঘটনার জেরে ব্রিটেনকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। তার ফলে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ব্রিটিশ সরকার।

    ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসে ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সোম ও মঙ্গলবার দিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি ও শিখদের কয়েকটি সংগঠন। সেদিন বিক্ষোভকারীদের রুখতে হাইকমিশন অফিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। সিমেন্টের ব্লক দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাস ও দূতের বাড়ি। মোতায়েন করা হয়েছিল বাড়তি পুলিশও। বুধবার সিমেন্টের ব্লক সরিয়ে দিয়ে নিরাপত্তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: পাক-সীমান্তে সারদা মন্দির উদ্বোধন অমিত শাহের, দিলেন বড় প্রতিশ্রুতি

    কূটনৈতিক মহলের ধারণা, রবিবার যেভাবে বিনা বাধায় খালিস্তানপন্থীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে তাণ্ডব চালিয়েছেন, তা ভালভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। তাণ্ডব চালানোর সময় খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের সমর্থকরা দূতাবাসে (Indian High Commission London) টাঙানো ভারতের জাতীয় পতাকা খুলে নেন। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় ভারতের তরফে। আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, দিল্লির ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে ব্যারিকেড তুলে নেওয়া তারই প্রতিক্রিয়া।

    গত শনিবার থেকে খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপালকে ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে পঞ্জাব পুলিশ। তাঁর সংগঠন ওয়ারিস পঞ্জাব দে-র সঙ্গে যুক্ত শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনও রয়েছেন। তবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখনও অধরা অমৃতপাল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এই অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই রাজ্যের ৬০ পুরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে ইডির তদন্তে। তার জেরে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চিঠিতে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অবিলম্বে কেন্দ্রের তহবিলের টাকা দেওয়া বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি পেয়ে পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। মিড-ডে মিল ও আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) জানান, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক দেশের পুরসভাগুলিকে টাকা দেয়। এ রাজ্যের পুরসভাগুলিও টাকা পায় কেন্দ্র থেকে। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রের অবগত থাকা উচিত। সুকান্ত বলেন, ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের টাকা না দিয়ে কেউ চাকরি পায়নি, একজনও নয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রের কাছে তদন্তের টিম পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

    অয়নকে গ্রেফতার করার পরেই ইডির হাতে এসেছে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য। ঝাড়ুদার থেকে ক্লার্ক, পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিতে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে একাধিক পুরসভায় চুক্তি হত বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর শিট।

    আরও পড়ুুন: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    অয়নের মামলা চলাকালীন আদালতে ইডি জানিয়েছে, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর সেই সবকটি ক্ষেত্রেই হয়েছে দুর্নীতি। প্রায় ৫ হাজার প্রার্থীর চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। কামারহাটি, হালিশহর, পানিহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ড হারবার সহ বিভিন্ন পুরসভার নাম রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তালিকায়। প্রশ্ন হল, কলকাতা পুরসভায় নিয়োগেও কি অয়ন প্রভাব খাটিয়েছিল? কারণ, ইডির সিজার লিস্টে উল্লেখ রয়েছে, অয়নের অফিসে তল্লাশির সময় মিলেছে কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া একটি চিঠির কপি। চিঠিটি লিখেছেন একজন চাকরিপ্রার্থী। একটি ড্রাফট লেটারও উদ্ধার হয়েছে। প্রণব নামে কেউ একজন ওই চিঠি পাঠিয়েছেন পুরসভার মেয়রকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, জামিনে মুক্তি পাবেন কি?

    Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, জামিনে মুক্তি পাবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কম্বলকাণ্ডে আগাম জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। ওই মামলার শুনানির আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জিতেন্দ্রর গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর জামিনে মুক্তি পাবেন জিতেন্দ্র। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় জিতেন্দ্রর মামলার। আদালতের নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। দু সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি হবে। ওই দিন মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) কী বলেছিলেন… 

    রবিবার জিতেন্দ্রকে (Jitendra Tiwari) তোলা হয়েছিল আসানসোলের বিশেষ আদালতে।এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন জিতেন্দ্র। বলেন, সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেজন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দু দিনের জন্য দিন। তার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে, তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ দু দিনের পুলিশ হেফাজত দিন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    প্রসঙ্গত, আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) স্ত্রী চৈতালি। বিজেপির এই নেত্রীর উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর হয় কম্বল বিলি অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার পরেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই অনুষ্ঠানের জন্য তাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) বিরুদ্ধে অনচ্ছাকৃত খুন, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা ও যৌথভাবে কোনও ঘটনা সংগঠিত করার মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর ও আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে জিতেন্দ্রকে। পরে তাঁকে আসানসোল নিয়ে যায় পুলিশ। জিতেন্দ্রর আইনজীবী হর্ষিকা বর্মা বলেন, মূল মামলায় রাজ্যকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম মামলাকারী জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও দ্বিতীয় মামলাকারী গৌরব গুপ্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে। দু সপ্তাহ পরে ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চিনে ব্যাপক জনপ্রিয় মোদি, কী নামে ডাকা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে, জানেন?

    PM Modi: চিনে ব্যাপক জনপ্রিয় মোদি, কী নামে ডাকা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। পড়শি দেশ চিনের (China) সঙ্গে ভারতের (India) শত্রুতা রয়েছে। তবে সেজন্য ড্রাগনের দেশে একটুও কমেনি মোদির জনপ্রিয়তা। আমেরিকার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘দ্য ডিপ্লোম্যাটে’র প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। চিনে মোদিকে ডাকা হয় মোদি লাওক্সিয়ান নামে। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় মোদি অমর (Modi the Immortal)। মোদির পোশাক, বাহ্যিক ভাবমূর্তিতে লাওক্সিয়ানের সঙ্গে সাযুজ্য খুঁজে পান চিনারা। তাঁরা এও দেখেছেন, মোদির কিছু কিছু নীতি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানদের চেয়ে অনেক আলাদা। রাশিয়া, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইদানিং গড়ে উঠেছে, সেটাও মোদির অন্যতম জনপ্রিয়তার কারণ বলে মনে করেন চিনারা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    মার্কিন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মোদি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘হাউ ইন্ডিয়া ইজ ভিউড ইন চায়না?’ ( ‘ভারত সম্পর্কে চিনের কী মনোভাব?’)। চিনা সাংবাদিক মু চুনশান ওই প্রতিবেদনে লিখেছেন, চিনের সমাজমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সুন্দর একটি ডাকনাম রয়েছে। তা হল, মোদি লাওক্সিয়ান। লাওক্সিয়ান কথার অর্থ, এক প্রবীণ ব্যক্তি যিনি অমর। তাঁর বেশ কিছু অলৌকিক ক্ষমতাও রয়েছে। মোদিকে এই নাম দেওয়ার অর্থ, চিনের নেট নাগরিকরা মনে করেন, মোদি আর পাঁচজন রাষ্ট্রনেতার চেয়ে আলাদা। চিনের ওই সাংবাদিক বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে কাজ করছি। চিনারা কোনও বিদেশি নেতৃত্বকে বিশেষ নামে ডাকছেন, এমনটা চট করে দেখা যায় না। এ থেকে বোঝা যায়, চিনা জনগণের কাছে মোদি নিজের ছাপ ফেলতে পেরেছেন।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    মোদি (PM Modi) জমানায়ই ঘটেছিল গলওয়ানের ঘটনা। ২০২০ সালে গলওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালায় চিনা জওয়ানরা। চিন ও ভারতের সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ভারতের ২০ জন জওয়ান। মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন চিনা সেনারও। তবে সীমান্তের সেই তিক্ততা যে চিনা নাগরিকদের মনে বিশেষ ছাপ ফেলেনি, ড্রাগনের দেশে মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তাই তার প্রমাণ।

    প্রসঙ্গত, চিনে মোদির জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ হল ২০১৫ সালে সিনা উইবো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চিনা নাগরিকদের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়েছিলেন মোদি। এর ফলোয়ার্স ছিল ২.৪৪ লক্ষ। ২০২০ সালে মোদি উইবো ছেড়ে দেন। কারণ ওই বছর ভারত সরকার ৫৯ চিনা অ্যাপকে এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Sukanta Majumdar: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে জোরদার আন্দোলনে নামেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের তরফে ওবিসি মোর্চার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিজেপির ওবিসি মোর্চার কর্মসূচি পালিত হবে। এই কর্মসূচিতে মূলত কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার ওবিসিদের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ই প্রচার করা হবে ফলাও করে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েও বিশদে জানানো হবে জনতাকে। বিজেপির ওই ওবিসি মোর্চার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষরা। রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেহেতু বিজেপির কর্মসূচি, তাই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন বাধা দেবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। সেই বাধা জয় করেই আমরা এই কর্মসূচি সফল করতে বদ্ধপরিকর।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    দলের ওবিসি মোর্চার এই কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি এদিন তৃণমূলকেও একহাত নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে তৃণমূল নতুন উঠে আসা মুসলিম নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু যাঁরা দলটা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সুকান্ত বলেন, সেই কারণে ফিরহাদ হাকিমদের পরিবর্তে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, মোশারফ হোসেনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফিরহাদ হাকিমকে হাওড়া ও হুগলির দায়িত্ব ফিরিয়ে দিলেও, কোথাও একটা তার রাশ টানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, দলের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে তাঁকে (ফিরহাদ)। ভাইপোর অনুমতির পর গলার চাবি খুলতে পারবেন ফিরহাদ।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের প্রচেষ্টাকে সোনার পাথরবাটি আখ্যা দেন সুকান্ত। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তার পরেই তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন নিয়ে ফের শুরু হয় চর্চা। এদিন সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, সিপিএম ছাড়া তৃতীয় ফ্রন্ট হবে কী করে? প্রকাশ কারাত বা ইয়েচুরির সঙ্গে মমতা হাত ধরে আয় তবে সহচরী গাইতে পারবেন?  তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। তখন তো সবাই হাত ধরাধরি করেছিলেন। সবার মনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা ছিল। মনে হচ্ছিল, থার্ড ফ্রন্ট প্রতিমাসে একজন করে প্রধানমন্ত্রী দেবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদটি অলরেডি অকুপায়েড বাই পিএম মোদি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share