Author: Krishnendu Bakshi

  • Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও আর এক বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি (ED)। অন্তত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Interrogation) দাবি তেমনই। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলকে জেরা করে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থায় আরও দুজন পার্টনার ছিলেন। এবার তাঁদেরও জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থার মাধ্যমে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা এই সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা, সেসবই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ইডির দাবি, কুন্তলের দুটি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। টাকা গিয়েছে টালিগঞ্জের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টেও।

    ইডির দাবি…

    এদিন ইডির আইনজীবীর (Interrogation) দাবি, দুটো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে সাড়ে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। টালিগঞ্জের কয়েকজনের সঙ্গেও যোগসূত্র রয়েছে। শর্ট ফিল্ম তৈরির জন্য পার্টনারশিপ ফার্ম তৈরি করেছেন কুন্তল। এই টাকার একটা বড় অংশ শর্ট ফিল্ম বানানোর জন্য টালিগঞ্জের স্টারদের কাছে গিয়েছে। একজনকে গাড়ি কিনে দিয়েছিল। যাঁর নাম বনি সেনগুপ্ত। তিনি স্বীকার করেন যে, গাড়ি কেনার জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা বনি ফেরত দিয়েছেন। টাকা নিয়েছিলেন সোমা চক্রবর্তীও। তিনিও ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সেই সময় তাঁরা জানতেন যে এটা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। জানতে পেরে টাকা ফেরত দিয়েছন।

    আরও পড়ুুন: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এদিকে, শান্তনুকে (Interrogation) নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা। একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তাঁর স্বামী পুরোপুরি নির্দোষ। তবে কেউ ষড়যন্ত্র করেছেন কি না, তা অবশ্য জোর দিয়ে বলতে পারেননি তিনি। শনিবার সকাল থেকে শান্তনুর বাড়ি, গেস্ট হাউস, ঘনিষ্ঠের বাড়িতে গিয়েছে ইডি। যদিও প্রিয়ঙ্কা বলেন, শান্তনু কোনও দুর্নীতির সঙ্গে একেবারেই যুক্ত নন। তদন্ত চলছে সবটাই দেখতে পাবেন। সবটাই তদন্তসাপেক্ষ। তিনি বলেন, এত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, আমার জানা নেই। থাকলে আমি জানতাম। কুন্তল তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন বলেও জানান প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, কুন্তল ঘোষকে চিনতাম, ঠিক যেমন পাড়ার ছেলেদের চেনে। আমাদের বাড়িতেও এসেছে। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করা হত, তখন আসত। প্রিয়ঙ্কার দাবি, তাঁর স্বামীর যা কিছু সবটাই নিজে থেকে করেছেন। ধাবা, গেস্ট হাউস, বাড়ি সবই সৎপথের রোজগারে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে একবার তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরগরম হয়েছিল বাংলা। এবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ খোদ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেবার অভিযোগ তুলেছিলেন বঙ্গবাসী। এবার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের মাপ নিতে। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে নিজের পছন্দের কোনও সংস্থার মাধ্যমে (যার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে যাচ্ছে) আগে থেকে ঠিক করা নিম্নমানের পূর্ব নির্ধারিত গড় মাপের কাপড় (কাটমানির বিনিময়ে) সরবরাহ করার পরিকল্পনা করে বসে রয়েছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা গত বছরের সেলাই কাজের জন্য সম্পূর্ণ টাকা পায়নি। এখন যদি তারা পরিমাপ করে এবং স্ট্যান্ডার্ড আকারের ইউনিফর্ম ছাত্রদের সঙ্গে মানানসই না হয়, তাহলে স্থানীয়স্তরে তাদের দায়ী করা হবে। আমি এসএইচজি বোনদের অনুরোধ করছি, এই ধরনের আদেশ অনুসরণ করার আগে বিচক্ষণতা প্রয়োগ করতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা যে মাপ নিতে যাবেন, সেটা একেবারেই আইওয়াশ।

    তাঁর ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যেই সেই সব ইউনিফর্ম তৈরি হয়ে রয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, মাপ নিতে যাবেন স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা। এরপর যখন পোশাকের মাপ ছোট-বড় হবে, তখন পুরো দায় ঠেলা হবে স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ইউনিফর্ম তৈরি হয়েছে গড় মাপে। এই মাপ নেওয়া লোক দেখানো। তাঁর দাবি, গত বছরের সেলাইয়ের কাজের পুরো পাওনা এখনও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের মেটানো হয়নি। তার ওপর নতুন ঝামেলার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তাদের। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্য। সেই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারি। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ইউনিফর্মে দুর্নীতির অভিযোগ। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: দুর্ঘটনার করলে ইমরানের কনভয়, বাড়ির দখল নিল পাক পুলিশ

    Imran Khan: দুর্ঘটনার করলে ইমরানের কনভয়, বাড়ির দখল নিল পাক পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামাবাদ (Pakistan) যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের (Imran Khan) কনভয়। কনভয়ে একটি গাড়ি উল্টে যায়। শনিবার তোষাখানা মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে ইসলামাবাদ কোর্টে যাচ্ছিলেন ইমরান। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনাটি। দুর্ঘটনায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) সুপ্রিমোর কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

    ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে যেসব মূল্যবান উপহার ইমরান পেয়েছিলেন, পরে সেগুলি কম দামে তিনি কিনে নেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দেখছেন ইমরান। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, সব মামলায় জামিন পাওয়ার পরেও পিডিএম সরকার আমাকে গ্রেফতার করতে চায়। আমি তাদের দুরভিসন্ধি জানার পরেও ইসলামাবাদে যাচ্ছি। কারণ আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। তবে ওদের দুরভিসন্ধি সকলের বোঝা উচিত। এর পরেই ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর কনভয়ের একটি গাড়ি। একটি ভিডিও ট্যুইটে ইমরান বলেন, আমি ইসলামাবাদ আদালতের দিকে যাচ্ছি। তবে দুর্ভাগ্যবশত দুর্ঘটনার কারণে আমার একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আমাকে গ্রেফতারের সব তোড়জোড় করেই রেখেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: সীমান্তে বাড়ছে চিনা ফৌজের দাপাদাপি! মোকাবিলায় প্রস্তুত ভারতও, বললেন সেনা প্রধান

    এদিন ইমরানের (Imran Khan) হাজিরা উপলক্ষে কোর্ট চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোর্টে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইসলামাবাদে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়ই এই ঘটনা ঘটে। গুলি লাগে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর পায়ে। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এদিন আদালত চত্বরে ব্যবস্থা করা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার।

    এদিকে, এদিন সকালে ইমরান ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দিতেই তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশ। বাড়ি চত্বরেই তৈরি হয়েছিল দলীয় কর্মীদের শিবির। জানা গিয়েছে, সেই শিবির উচ্ছেদ করতেই পুলিশ ঢোকে। ইমরানের বাড়ির বাইরে ব্যাপক ধরপাকড় হয়। চলে গুলিও। বাসভবনের সামনেই খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের। পিটিআই কর্মীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এদিন ইমরানের (Imran Khan) বাড়ির দখল নিয়েছে পুলিশ। সে খবর পেয়ে ফের একটি ট্যুইট করেন ইমরান। লেখেন, এরই মধ্যে পঞ্জাব পুলিশ জামান পার্কে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সেখানে আমার স্ত্রী বুশরা বিবি একা রয়েছেন। কোন আইনে তারা এটা করছে? এটি লন্ডন পরিকল্পনার একটি অংশ। সেই পরিকল্পনায় পলাতক নওয়াজ শরিফকে একটি নিয়োগে সম্মত হওয়ার বিনিময়ে ক্ষমতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবি চলছে আন্দোলন। শহিদ মিনার চত্বরে গত ৫১ দিন ধরে ধর্না-অবস্থান করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। তাঁদের অনশন আন্দোলন চলছে ৩৭ দিন ধরে। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করতে এবার ডিজিটাল নন কো-অপারেশনের (Digital Non Cooperation) পথে হাঁটলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানান, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়ার মেইল মারফত জানাতে হবে। অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজও তাঁরা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

    ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের বক্তব্য…

    সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কাজের সময়। এই আবহে অফিসের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না আন্দোলনকারীরা। মিড-ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বসে কাজ করতে হয় শিক্ষকদের। আজ, শনিবার থেকে সে সবও বন্ধ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (DA) তরফে জানানো হয়েছে, অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলেও, পরীক্ষা শেষে খাতা স্কুল থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করবেন শিক্ষকরা।

    এদিকে, আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে এদিন শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নামঞ্চে অনশনে বসেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন নৌশাদ। তখনই তিনি ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এদিন ধর্নামঞ্চে গিয়ে তিনি বলেন, এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা দু দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন। তার পরেও ডিএ-র দাবি মেনে নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন, তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মিথ্যা মামলা। এ নিয়ে কিছু দিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ভুয়ো মামলা করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নে পাঠানো ওই চিঠিতে।

    নবান্নের (Nabanna) রিপোর্ট তলব…

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই রিপোর্ট তলব যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছিলেন। তার জেরে রাজ্যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবারও শুভেন্দুর চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নকে (Nabanna) চিঠি দিল কেন্দ্র।

    কেবল শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই গুচ্ছ মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের কত মামলা, তার একটি তালিকা গত ডিসেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলেন শুভেন্দু স্বয়ং। সংসদ ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    তাঁর বিরুদ্ধে হয়ে চলা একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ (Nabanna) নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। বস্তুত, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার পরেও কীভাবে এত এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়, সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • CV Ananda Bose: শাহি দরবারে বাংলার রাজ্যপাল, কী আলোচনা হল?  

    CV Ananda Bose: শাহি দরবারে বাংলার রাজ্যপাল, কী আলোচনা হল?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam), ডিএ (DA) ইস্যু নিয়ে আন্দোলন দুইয়ের জেরে উত্তার রাজ্য রাজনীতি। প্রধান সচিব নিয়েও নবান্ন রাজভবন সংঘাত চলছে। এহেন আবহে শুক্রবার অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এদিন সকালে সংসদ ভবনে পৌঁছান রাজ্যপাল। সেখানেই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যপালের কাছেও এই দাবি জানানো হয়েছে। শাহি দরবারে সেই বিষয়টিও উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)…

    নবান্ন রাজভবন সংঘাতের বিষয়টিও বৈঠকে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন প্রধান সচিব পদে ছিলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। নয়া রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) তাঁকে সরিয়ে দেন। তার পর থেকে রাজভবনে প্রধান সচিবের পদটি খালি পড়ে রয়েছে। অথচ রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের যোগাযোগের প্রধান কাজটিই করে থাকেন প্রধান সচিব। এই নন্দিনীকে সরানোর দিনই একবার দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় তাঁর সঙ্গে শাহের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। সেবার বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেই রাজ্যে ফিরেছিলেন আনন্দ বোস। চলতি সফরে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    গত ১২ মার্চ ডিএর দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ট্যুইট করে সরকারি কর্মীদের অনশন ভাঙার আবেদনও করেছিলেন তিনি। এই আবহেই শাহি দরবারে রাজ্যপাল। এদিন শাহ-রাজ্যপাল বৈঠকের পর তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কী আলোচনা হয়েছে, তা তো কেউ সঠিক জানে না। তবে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা তো হতেই পারে। তেমনই পরিস্থিতি রয়েছে। তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে (রাজ্যপাল) তিনি আলোচনা করতেই পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচল ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    Arunachal Pradesh: অরুণাচল ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, প্রস্তাব পাশ মার্কিন সেনেটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) চিনা (China) আগ্রাসনের নিন্দা মার্কিন সেনেটে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতেই (India) অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এমন দাবি ভারতের তরফে করা হয়েছে বারবার। এবার অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এমন প্রস্তাব পাশ হল মার্কিন (America) সেনেটেও। ভারত-চিন সীমান্তে ম্যাকমোহন লাইন নিয়ে চিন বারংবার আপত্তি জানালেও, এই প্রসঙ্গে আমেরিকার মত, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত এই সীমান্তরেখাকে মেনে নেওয়া উচিত চিনের।

    অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) আগ্রাসনের নিন্দা…

    সম্প্রতি মার্কিন সেনেটে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলা হয়েছে, ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে চিন। লাদাখ সীমান্তে চিনের সামরিক আগ্রাসন নিয়েও নিন্দা জানানো হয় এই প্রস্তাবে। কিছু দিন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টেও চিনের বিরুদ্ধে সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এর অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমেরিকার চিন সংক্রান্ত প্রস্তাবে শোনা গেল ভারতেই সুর। অরুণাচলে (Arunachal Pradesh) চিনা আগ্রাসনের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করেন ওরেগনের ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জেফ মার্কলে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন ও টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর বিল হ্যাগার্টি।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    প্রস্তাবে বলা হয়, আমেরিকা সব সময় স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রতিটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়। কিন্তু চিন ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটছে। সেনেটে চিন বিষয়ক কমিটির প্রধান জেফ মার্কেলের মতে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি জানান, এ নিয়ে আমেরিকার কোনও দ্বিধা নেই। মার্কেলে জানান, চিন যেভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আগ্রাসন চালাচ্ছে, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন মার্কিন সেনেটর। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাও বলেন তিনি।

    ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেজিংয়ের একাধিপত্য নিয়েও সরব হয়েছে ওয়াশিংটন। কৌশলগত সম্পর্কে থাকা যে কোনও দেশের পাশে আমেরিকা দাঁড়াবে বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই প্রস্তাবে। প্রসঙ্গত, এমন একটা সময় সেনেটে ওই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, যখন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিনের সীমান্ত সংঘাত তিন বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এহেন আবহে গত বছর অরুণাচল প্রদেশে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করে চিন। সেই চেষ্টা রুখে দেওয়া হয় ভারতীয় সেনার তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব। বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। কর্নাটকে বিজেপির (BJP) সভায় তিনি জানান, ধাপে ধাপে রাজ্যের সবকটি মাদ্রাসা (Madrasa) বন্ধ করা হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা অসমের সংস্কৃতি নষ্ট করছে। ওই মাদ্রাসাগুলির পরিবর্তে তিনি যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চান, এদিন তাও জানান হিমন্ত।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন…

    এদিন ভোটমুখী কর্নাটকে বিজেপি আয়োজিত সভায় যোগ দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বেলগাভিজ শিবাজি মহারাজ গার্ডেনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে হিমন্ত বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা অসমে এসেছে, তারা অসমের সংস্কৃতি ও সভ্যতা নষ্ট করছে। এর পরেই তিনি বলেন, আমি ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। আমি চাই বাকি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ করতে। কারণ আমরা মাদ্রাসা চাই না। আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চাই।

    গত বছরই হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) দাবি করেছিলেন, অসম জেহাদিদের হটবেডে পরিণত হয়েছে। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা পাঁচজন জেহাদি গ্রেফতার হওয়ার পর একথা বলেছিলেন তিনি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অন্ততঃ পক্ষে ছ জন জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। স্থানীয় যুবকদের জেহাদি মন্ত্রে দীক্ষিত করতেই তারা এ দেশে প্রবেশ করেছিল বলে দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে।

    কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, এক সময় দিল্লির শাসকরা মন্দির ধ্বংসের কথা বলতেন। আর আজ, নরেন্দ্র মোদির শাসনে আমি মন্দির নির্মাণ নিয়ে কথা বলছি। তিনি বলেন, এটাই হল নতুন ভারত। কংগ্রেস এই নতুন ভারতকেই দুর্বল করতে চাইছে। হিমন্ত বলেন, কংগ্রেস নয়া মুঘলদের প্রতিনিধিত্ব করছে।

    আরও পড়ুুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    এদিন কংগ্রেস ও বামপন্থীদের একযোগে নিশানা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা ভারতের ইতিহাসকে বাবর, ঔরঙ্গজেব এবং শাজাহানের ইতিহাস বলে দেখিয়েছে। আর আমি বলতে চাই, ভারতের ইতিহাস কেবল এঁদের সম্পর্কেই নয়, বরং ছত্রপতি শিবাজি, গুরু গোবিন্দ সিংহের সম্পর্কেও। হিমন্ত বলেন, ঔরঙ্গজেব সনাতন সংস্কৃতি নষ্টের চেষ্টা করেছিলেন। বহু মানুষকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত এই যুক্তিতে রাজ্যের সব মাদ্রাসাকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) নয়া মোড়। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল আইপিএলে (IPL)। অন্তত ইডির (ED) দাবি এমনই। তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির পরামর্শেই অনুব্রত এ কাজ করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার টানা জেরা করা হয়েছে মণীশকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁর হিসাব রক্ষককে। তখনই মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে লগ্নি করা হয়েছিল আইপিএলে।

    অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) বিস্ফোরক দাবি…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের টাকা ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করলে সহজে ধরা পড়বে না, সে ফন্দি এঁটেছিলেন মণীশ। তিনিই বুদ্ধি দিতেন অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। কয়েকশো কোটি কালো টাকা কোন উপায়ে সাদা করা যাবে, সেই পথ বাতলে দিয়েছিলেন মণীশ। তিনিই এই বিষয়টি বুঝিয়েছিলেন যে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ভারতের একটি উঁচু দরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে টাকা বিনিয়োগ করলে কারচুপি সহজে ধরা পড়বে না। এভাবেই গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে ইডি। শুধু আইপিএল-ই নয়, একের পর এক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সেখানেও টাকা বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মণীশ।

    ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ৬ দিনের হেফাজতে রয়েছেন মণীশ। এই ক’ দিন তাঁকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশ মেনে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন মণীশের আইনজীবীরাও। প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আধ ঘণ্টা করে সময়ও বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার আদালতে তোলা হয় মণীশকে। তখনই ভেঙে পড়েন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট। আর সেটাই আমার দোষ।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় অনুব্রত বলেছেন, মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি। যদিও মণীশ বলেন, উনি কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) বলেছিলেন তিনি কিছু জানেন না। সব জানেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার হিসাব রক্ষকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অনুব্রত পাচারকাণ্ডের কালি ধুয়ে ফেলতে চাইছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন আলিপুর বিশেষ আদালতের (Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের ধমক খেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ ত্রিপাঠী। সিবিআই আদৌ তদন্ত করতে জানে কি না, সে প্রশ্ন তোলে আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনকে দেওয়া হল বেআইনি আখ্যাও। আবদুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে অভিযোগ ওঠে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে। তারপরেও ওই মামলায় শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, উল্টে শান্তিপ্রসাদের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের আর্জি জানানো হয় আদালতে। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ মুখোপাধ্যায়।

    বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো?…

    তিনি বলেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? যে আবেদন করেছেন, তা পুরোপুরি বেআইনি। আপনারা যা করছেন, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হব। না জানালে আমি বিপদে পড়ব। বিচারকের প্রশ্ন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো? আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রদীপ। যাঁর নামে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কেন কেস স্টাডিতে তাঁর নামের উল্লেখ নেই, তা জানতে চান বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ ১৩জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ধৃত সুব্রত সামন্ত রায়ের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ৩ মার্চ সিবিআই চার্জশিটে যে ১৫ জনের নাম রাখা হয়, তাতে সুব্রতর নাম ছিল না। এতেই বিরক্ত হন বিচারক।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    এর আগেও খালেকের মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ ছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে খালেক দিয়েছেন শান্তিপ্রসাদকে। দুজনের যোগাযোগও ছিল। তার পরেও কেন শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেয়নি সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক। তিনি বলেছিলেন, এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা (SSC Scam) বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। বিচারক বলেছিলেন, পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই তো নেই আপনার কাছে…! এবার ফের খালেক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করল আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share