Author: Krishnendu Bakshi

  • Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন বহু অযোগ্য প্রার্থী। তাঁদের হয়ে সওয়াল করার অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। তার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা করার ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত ওই অনুমতি দেয়নি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিকাশের যুক্তি, আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারেই আদালত জানায়, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে। এদিন আদালতে হলফনামা জমা দেন বিকাশ। হলফনামার সারমর্ম হল, আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করুক। তখনই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিকাশের উদ্দেশে বলেন, আপনি কেন মামলা দায়ের করছেন না?  তখন বিকাশ বলেন, তাঁর হলফনামায় একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। তিনি বলেন, কারচুপি করে যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের চাকরি যাচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য আদালত অবমাননা ও বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরির কৌশল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Eric Garcetti: ভারতে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন বাইডেন ঘনিষ্ট এরিক গারসেটি

    Eric Garcetti: ভারতে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন বাইডেন ঘনিষ্ট এরিক গারসেটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পরবর্তী মার্কিন (America) রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রথম সারির নেতা এরিক গারসেটি (Eric Garcetti)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এরিক এক সময় লস অ্যাঞ্জেলেসের (Los Angeles) মেয়র ছিলেন। বুধবার ৫২-৪২ ভোটে অনুমোদিত হয় বাইডেন সরকারের প্রস্তাব। ২০২১ সালের জুনেই ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এরিককে পাঠাতে মনোনয়ন দেন জো বাইডেন। তখন থেকেই আনুষ্ঠানিকতা ও মার্কিন রাজনীতির দর কষাকষির জালে আটকে ছিল তাঁর নিযুক্তির বিষয়টি। শেষমেশ একটি ক্লোচার মোশনের মাধ্যমে এরিকের পথের কাঁটা দূর হয়। পরে তাঁর নিয়োগেও শিলমোহর দেওয়া হয়।

    ক্লোচার মোশন…

    ক্লোচার মোশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে কোনও একটি বিষয়ে বিতর্ক থামাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ভোটাভুটির আহ্বান করে থাকে। এদিন এরিকের নিয়োগ সংক্রান্ত ক্লোচার মোশনটি সেনেটে ৫২-৪২ ভোটে পাশ হয়। এর পরেই মার্কিন সেনেটে তাঁর নিয়োগ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেখানেও জয়ী হন ডোমোক্র্যাটরা। এরিকের (Eric Garcetti) নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দেন তিন ডেমোক্র্যাট সেনেটর। আর দলের বিপক্ষে গিয়ে এরিকের নিয়োগের পক্ষে ভোট দেন ৭ রিপাবলিকান সেনেটর। এরিক আমেরিকায় তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্দরে তিনি বাইডেনের ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত। তবে বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গেও সখ্য রয়েছে তাঁর। তার জেরেই এদিন এরিকের জয় হয় অনায়াস।

    বছর বাহান্নর এরিক ইহুদি ধর্মাবলম্বী। তাঁর মনোনয়নে খুশি আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাও। মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি বলেন, আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক এবং বিশেষত অতিমারি আবহে পারস্পরিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিকে আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে এরিকের মনোনয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র পদে টানা ১০ বছর ছিলেন এরিক। ওই সময় শহরে তাঁর নানা উন্নয়নমূলক কাজ উচ্চ প্রশংসিত হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে সহযোগিতার বন্ধন তৈরির কাজেও সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। যদিও ওই সময়ই তাঁর গায়ে লেগেছিল কলঙ্কের কালির ছিটে। নিজের দফতরের এক কর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই রিপাবলিকানরা এরিকের নিয়োগের বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছিল। এদিন অবশ্য তাঁদেরও ৭ জনের সমর্থন পান এরিক (Eric Garcetti)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকারের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কর্মসংস্থানকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নের সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। আর ছিলেন শিল্পপতিরা। এখানেই মমতা জানান, আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবাক হয়ে যাবেন, এমএসএমই সেক্টরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর পরেই তিনি জানান, আগামিদিনে এই ক্ষেত্রে চাকরি হবে ৪১ লক্ষ মানুষের। তিনি বলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১ কোটি মানুষের চাকরি হয়েছে। কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিজেদের দফতর করছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে ৩০ হাজার মানুষের কাজ হবে। মমতা বলেন, শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হয়।

    কর্মসংস্থানই হাতিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)…

    এদিনের বৈঠকেই ঘোষণা করে দেওয়া হয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলেনর নির্ঘণ্ট। ২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওই সম্মেলন। রাজ্যের শিল্প ও ইকোনমিক করিডর নিয়ে প্রচারের জন্য মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান তুলে ধরতে রাজ্যে মেট্রো কোচ নির্মাণ শিল্প, ওয়াগন শিল্প, খড়্গপুরে হতে চলা টাটা-হিটাচির কারখানার কথাও এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, টাটা ও হিটাচি জামশেদপুর থেকে চলে আসছে পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। এদিনের বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গও ওঠে। দিন কয়েক আগে রাজ্যে পোস্ত চাষের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের সেই প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, এখানকার কৃষকরা পোস্ত চাষ করলে লাভবান হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই বিনিয়োগের নিরিখে বাংলাকে দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়ে যাওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিনিয়োগ টানতে এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয়ভাবে শিল্পোন্নয়ন বোর্ডও তৈরি করে রাজ্য। এর দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বিনিয়োগ টানতে ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হয়। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে হওয়া ওই সম্মেলন শেষে শোনা যায় এত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে, তত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, তার পরেও যে কাজের কাজ কিছু হয় না, রাজ্যের বেকারত্বের লেখচিত্র দেখলেই তা স্পষ্ট হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santanu Banerjee: এবার চাকরি থেকে সাসপেন্ড ‘চাকরি-বিক্রি’ চক্রের কান্ডারি শান্তনু

    Santanu Banerjee: এবার চাকরি থেকে সাসপেন্ড ‘চাকরি-বিক্রি’ চক্রের কান্ডারি শান্তনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা আগে তাড়িয়েছিল দল। এবার সাসপেন্ড করল কর্মক্ষত্রও। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির যুব তৃণমূল (Tmc) নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Santanu Banerjee) সাসপেন্ড করল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ (State Electricity Board)। বুধবার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শান্তনুকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়। এই পর্ষদের কর্মী ছিলেন শান্তনু। বলাগড়ের সোমড়াবাজারের কোলড়া মোড়ে তাঁর অফিস। তাঁর বাবা জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মী। ২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন হেড ক্লার্ক। গ্র্যাজুয়েট না হওয়ায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি পান শান্তনু। প্রথমে চাকরি করতেন খানাকুলে। পরে চলে আসেন বাড়ির কাছে সোমড়াবাজারে।  

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee) উত্থান…

    স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হন শান্তনু (Santanu Banerjee)। নেতা হওয়ার পর তাঁকে নিয়মিত অফিস যেতে দেখা যেত না। এলাকাবাসীর কয়েকজন বলেন, নেতা হওয়ার পর কালো এসইউভি চড়ে অফিসে যেতেন শান্তনু। সব সময় সঙ্গে থাকতেন ৪-৫ জন নিরাপত্তারক্ষী। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারকেশ্বরের জেলা পরিষদ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। হন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষও।

    আরও পড়ুুন: আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    সোমড়াবাজার বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কর্মীরা জানান, গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন শান্তনু। মূলত বাড়ি গিয়ে মিটার পরীক্ষা করে বিল দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। যদিও সেই কাজ করতে তাঁকে দেখেননি কেউ। দফতরের এক কর্মী বলেন, উনি জীবনে কোনওদিন হাতে কলমে কাজ করেননি। মাসে একবার অফিসে আসতেন। লগবুকে সই করে বেরিয়ে যেতেন। অনেক সময় লগবুক তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যেত। এভাবেই প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন তুলতেন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার চার দিনের মাথায় শান্তনুকে (Santanu Banerjee) বহিষ্কার করে তৃণমূল। এবার সাসেপেন্ড করল বিদ্যুৎ পর্ষদও। এদিন শুধু সাসেপেন্ড নয়, শান্তনুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • NHRC: বিজেপির নবান্ন চলো অভিযান, মানবাধিকার কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ

    NHRC: বিজেপির নবান্ন চলো অভিযান, মানবাধিকার কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নবান্ন চলো অভিযান করেছিল বিজেপি (BJP)। সেই সময় অতিসক্রিয় হয়েছিল পুলিশ (Police)। এই মর্মে দায়ের হয়েছিল অভিযোগও। এবার সেই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) ছ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এ ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টে বিজেপির এক স্বেচ্ছাসেবক রোহিত ভার্মা পিটিশন দায়ের করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি প্রতিভা এম সিং।

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) নির্দেশ…

    আদালত জানিয়েছে, যদিও বিষয়টি কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যেই শেষ করা প্রয়োজন। যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, কমিশন (NHRC) এ ব্যাপারে আবেদনকারীর অভিযোগের ব্যাপারে সম্মতি নিয়েছে এবং বিষয়টির স্বাধীন ও বুদ্ধিদীপ্ত মীমাংসার চেষ্টা করছে। আদালত এও জানিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে আদালতে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ওই দিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। আবেদনের নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, বিষয়টি যে বিবেচনায় রয়েছে, সেই যুক্তি সমর্থন করছে আদালত। ২০২০ সালে ঘটে ঘটনাটি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এবং তাকে তা নিতে হবে আগামী ছ মাসের মধ্যেই।

    আরও পড়ুুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ওই আবেদন করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নবান্ন অভিযানে ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছিল মানবাধিকার। আবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন পুলিশ নৃশংস আচরণ করেছিল মিছিলকারীদের ওপর। সেই নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারের সমস্যাবহুল নীতি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বিরুদ্ধে যেহেতু ওই নবান্ন চলো অভিযান হচ্ছিল, তাই সেই প্রতিবাদ মিছিলে নৃশংস আচরণ করেছিল পুলিশ। তারা সরাসরি নবান্ন চলো অভিযানের মিছিলে হামলা চালায়। এটা আসলে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে মিলল রক্ষাকবচ, অনুমতি ছাড়া সঞ্জয় বসুর বাড়িতে চলবে না তল্লাশিও

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে মিলল রক্ষাকবচ, অনুমতি ছাড়া সঞ্জয় বসুর বাড়িতে চলবে না তল্লাশিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করে আগেভাগেই রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আইনজীবী সঞ্জয় বসু (Sanjay Basu)। তিনি সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। বুধবার তাঁকে রক্ষাকবচ দিল আদালত। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবারই নিজেদের দফতরে সঞ্জয়কে তলব করেছে ইডি। এদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর দাবি, ভুয়ো অর্থনৈতিক সংস্থার একাধিক মামলায় রাজ্যের আইনজীবী ছিলেন তাঁর মক্কেল। তাই ইডি বারবার হেনস্থা করছে সঞ্জয়কে।

    সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি…

    প্রসঙ্গত, ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তে নেমে সঞ্জয়ের আলিপুরের বাড়িতে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে ইডি। ১ মার্চ সকালে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ২ মার্চ দুপুরের দিকে তাঁর বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরেই ইডির দফতরে তলব করা হয় সঞ্জয়কে।

    এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়কে কোনও নোটিশ দিতে পারবে না ইডি। তাঁর অফিস বা বাড়িতে তল্লাশিও চালাতে পারবে না। কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    সঞ্জয়ের বাড়িতে (Calcutta High Court) ইডির হানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মার্চ দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা (ইডি) গতকাল সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকেছিল। আজ মেঘালয়ে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ছিল। তিনি বলেন, সঞ্জয় রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল। সরকারের অনেক কাগজপত্র স্বাভাবিকভাবেই ওর কাছে থাকে। ও আমারও আইনজীবী। ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছি, এত তল্লাশি করে কী কী পেল? ও বলল, কিছু পায়নি। খালি আপনাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Pinarayi Vijayan: বিজয়নের মুখে চিনা প্রেসিডেন্ট-প্রশস্তি, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Pinarayi Vijayan: বিজয়নের মুখে চিনা প্রেসিডেন্ট-প্রশস্তি, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিপ্লবী অভিনন্দন জানিয়েছেন বাম নেতা তথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি (BJP)। চিনা প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানানো সংক্রান্ত বিজয়নের মন্তব্য দেশের সশস্ত্রবাহিনীর জন্যও লজ্জাজনক বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। গত শুক্রবার চিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। ড্রাগনের দেশের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্টের পদে বসিয়েছে। যার জেরে আরও পাঁচ বছর ওই পদে থাকবেন শি জিনপিং। সেই কারণেই তাঁকে ট্যুইট-বার্তা প্রেরণ করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরেই দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

    পিনরাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) ট্যুইট-বার্তা…

    প্রসঙ্গত, ওই ট্যুইট-বার্তায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী (Pinarayi Vijayan) লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য বিপ্লবী অভিনন্দন জানাই। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। চিন বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের কণ্ঠ অনেক মজবুত। চিন যাতে আরও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে তার জন্য শুভকামনা।

    দেশের এক মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। বিজেপির মুখপাত্র পি কে কৃষ্ণদাস বলেন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী কোচির ব্রহ্মপুরম বর্জ্য শোধনাগারে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে কথা বলেননি। তিনি গলওয়ানের কথাও ভুলে গিয়েছেন, যেখানে চিনা সেনার হাতে নিহত হয়েছিলেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। তিনি বলেন, বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) মন্তব্য সশস্ত্রবাহিনীর জন্য অবমাননাকর। ওঁকে অবশ্যই নিহত জওয়ানদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে গলওয়ানে মুখোমুখি হয়েছিলেন চিন ও ভারতীয় সেনারা। সম্প্রতি সেখানেই ক্রিকেট খেললেন ভারতীয় জওয়ানরা। ত্রিশূল ডিভিশনের পাতিয়ালা ব্রিগেড এই খেলার আয়োজন করেছিল। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় ভারতীয় সেনার তরফে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পিচে ব্যাট করছেন ভারতীয় সেনারা। ছক্কাও হাঁকাচ্ছেন কেউ কেউ। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গলওয়ান ভ্যালিতে ক্রিকেট খেলে চিনকে ব্যাটে- বলে বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    Mamata Banerjee: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন এতজনের চাকরি গেল? চাকরি গেলে খাবে কী? মঙ্গলবার এই সব প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (recruitment scam) সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এমতাবস্থায় আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। আদালতের তরফে হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি টিএস শিবগননমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আবেদনকারীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। ৭৮৫ জনের চাকরি গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কেউ কেউ আত্মহত্যা করছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের যে অংশে আপত্তি…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন বিকাশ। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    ওই অনুষ্ঠানে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, একজন চাকরি করছে বলেই বিয়ে করে সংসার করছে, চাকরি করে বলেই বাবা-মাকে দেখতে পারছে। হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে তারা খাবে কী? তাদের সন্তানদের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেবে? এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, যদি কোনও ভুল করে থাকে, তাকে সুযোগ দেওয়া হোক। দরকার হলে আবার পরীক্ষা দিক। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ইস্যুতে এতদিন মামলা কিংবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন মমতা। তবে এবার তিনি যেভাবে তিনি আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানোদের হয়ে সওয়াল করলেন, তা কার্যত বেনজির বলেও মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: লাহোরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ, রাতেই গ্রেফতার হতে পারেন ইমরান?

    Imran Khan: লাহোরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ, রাতেই গ্রেফতার হতে পারেন ইমরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতারির চেষ্টা পুলিশের। তার জেরে রণক্ষেত্র লাহোর। মঙ্গলবার দুপুরে লাহোরের জামান পার্কে ইমরানের বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলে দলে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-কর্মীরা (PTI)। এর পরেই পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বোমা ছুঁড়ছেন ইমরানের সমর্থকরা। পরিস্থিতির মোকাবিলায় টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে পুলিশ। ব্যবহার করা হয়েছে জলকামানও। তার পরেও সমর্থকদের বাধায় গ্রেফতার করা যায়নি ইমরানকে। পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধের জেরে অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (Imran Khan) বিরুদ্ধে সোমবার ইসলামাবাদের দুটি আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এর একটি হল তোষাখানা মামলা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান যেসব বহুমূল্য উপহার পেয়েছিলেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে, সেগুলি তিনি তোষাখানায় জমা দেননি বলে অভিযোগ। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাক সংসদ তাঁর সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছে। আগামী ছ বছর নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। গত রবিবার বিকেলে ইমরানের এই বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। সেদিনও সমর্থকদের বাধায় ইমরানকে গ্রেফতার করা যায়নি।

    এদিন পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলার পর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভিডিও-বার্তা পাঠান পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি আমাকে জেলে পোরা হয়, তবে শাহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে যাবেন। তিনি জানান, আমাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ এসেছিল। তারা ভেবেছে, ইমরান খানকে (Imran Khan) যদি গ্রেফতার করা হয় তবে লোকজন সব ঘুমিয়ে পড়বে। আপনারা এই বিষয়টাকে ভুল প্রমাণ করুন। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে যে জনতা জেগে রয়েছে। তিনি জানান, অধিকারের জন্য আপনাদের লড়াই করতে হবে। আপনাদের রাস্তায় নেমে আসতে হবে। আল্লাহ ইমরানকে সব কিছু দিয়েছেন। আমি গোটা জীবন লড়াই করে এসেছি। এখনও সেটা করে যাব। কিন্তু আমার যদি কিছু হয়ে যায় তারা যদি আমায় জেলে ঢুকিয়ে দেয় বা মেরে ফেলে তবে আপনাদের ইমরান খানকে ছাড়াই লড়ে যেতে হবে। আপনাদের প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা দাসত্বকে মেনে নেননি। এই একনায়কতন্ত্রকে মেনে নেননি। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। ৩ মার্চ মধ্য রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কৌস্তুভ বাগচির (Kaustav Bagchi) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, অধীরের কন্যার আত্মহত্যা ও তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা তিনি জানেন। তিনি মুখ খুললে বিপদ হবে। এর পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ (Kaustav Bagchi)। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে কৌস্তুভ মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। কৌস্তুভের মন্তব্য প্ররোচনামূলক বলে উল্লেখ করে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ দায়ের হয় ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ।  

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    ওই দিন মধ্য রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে পরের দিন সকালে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতাকে। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। ওই দিন বিকেলেই অবশ্য জামিন পান তিনি। ১০০০ টাকার বন্ডে কৌস্তুভকে জামিন দেন বিচারক। জামিন পাওয়ার পর মস্তক মুণ্ডন করেন এই কংগ্রেস নেতা। বলেন, যত দিন না মমতার সরকারকে উৎখাত করছি, ততদিন মাথায় চুল রাখব না।

    প্রসঙ্গত, ওই দিন কৌস্তুভের (Kaustav Bagchi) হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার জামিনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, পুলিশ মাঝরাতে বাড়ি চলে যাচ্ছে। এ বার তো বিচারকদের বাড়িও চলে যাবে। আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই পুলিশ কীভাবে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিকাশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মধ্যরাতে অভিযুক্তের বাড়ি গেল কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share