Author: Krishnendu Bakshi

  • Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। ৩ মার্চ মধ্য রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কৌস্তুভ বাগচির (Kaustav Bagchi) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, অধীরের কন্যার আত্মহত্যা ও তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা তিনি জানেন। তিনি মুখ খুললে বিপদ হবে। এর পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ (Kaustav Bagchi)। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে কৌস্তুভ মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। কৌস্তুভের মন্তব্য প্ররোচনামূলক বলে উল্লেখ করে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ দায়ের হয় ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ।  

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    ওই দিন মধ্য রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে পরের দিন সকালে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতাকে। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। ওই দিন বিকেলেই অবশ্য জামিন পান তিনি। ১০০০ টাকার বন্ডে কৌস্তুভকে জামিন দেন বিচারক। জামিন পাওয়ার পর মস্তক মুণ্ডন করেন এই কংগ্রেস নেতা। বলেন, যত দিন না মমতার সরকারকে উৎখাত করছি, ততদিন মাথায় চুল রাখব না।

    প্রসঙ্গত, ওই দিন কৌস্তুভের (Kaustav Bagchi) হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার জামিনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, পুলিশ মাঝরাতে বাড়ি চলে যাচ্ছে। এ বার তো বিচারকদের বাড়িও চলে যাবে। আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই পুলিশ কীভাবে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিকাশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মধ্যরাতে অভিযুক্তের বাড়ি গেল কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও বহিষ্কার করা হয়নি। যেমন বহিষ্কার করা হয়নি পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বহাল তবিয়তে রয়েছেন দলে। তবে এঁদের মতো ‘কপাল’ নয় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির দুই তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের। মঙ্গলবার তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    তৃণমূলের (TMC) শাস্তির খাঁড়া…

    এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই দুই নেতার বহিষ্কারের খবর জানান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শশীর পাশে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শশী বলেন, আমরা বরাবর বলে এসেছি, আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। শশী বলেন, তৃণমূল (TMC) কখনওই দোষীদের সমর্থন করেনি। বরং তারা চায় এই দুর্নীতির তদন্তে গতি আসুক। দ্রুত এর সমাধান হোক। এই প্রক্রিয়ায় যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, দল তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করছে। তিনি বলেন, এখানেই অন্যান্য দলের সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না। অথচ বিজেপিকে দেখা গিয়েছে, স্পষ্টতই তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    শশীর দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক দল জড়িত। বহু নেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন তোমায় জেলে ভরে দেব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দুর্নীতি সহ্য করতে করে না। শশী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে রোজ নিয়ম করে সিবিআই-ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চলছে, তাতে আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, একটা কথা মানতে হবে, তা হল যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা কিন্তু তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিস (TMC) থেকে হয়নি। তা উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। শশী বলেন, কারও বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে, তার দায় দলের নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়। সোমবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC West Bengal) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। শান্তনুর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর দাবি, শান্তনুর যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি সোনার খনি। সেখানে এমন অনেকের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমন কতজনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইডির আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, দেখলে চমকে যাবেন। তিনি জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর নথিও।

    ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব…

    শান্তনু যে প্রভাবশালী, এদিন আদালতে তার সপক্ষে যুক্তিজাল বিস্তার করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, শান্তনুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে দুজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনু (SSC West Bengal) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতেন। এদিন শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির প্রসঙ্গও উঠে আসে ইডির সওয়ালে। ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কীভাবে শান্তনু ৫১ কাঠা জমির মালিক, রিসর্ট, রেস্তোরাঁর মালিক হলেন?

    আরও পড়ুুন: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন শান্তনু। অন্তত ইডির আইনজীবীর দাবি এমনই। শান্তনু গ্রেফতার হতেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেরায় কুন্তল শান্তনুকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও যে স্বীকার করেছেন, এদিন তাও আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।   

    প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুকে। দু দিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপদে কংগ্রেস (Congress)। ফের দল ছাড়লেন আরও একজন। তেলঙ্গানা গঠনের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি (Kiran Reddy)। ২০১০ সাল থেকে টানা তিন বছর তিনি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই তিনিই ফের ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস। ১১ মার্চ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এক লাইনের একটি পদত্যাগপত্র পাঠান রেড্ডি। তাতে তিনি লেখেন, এই চিঠিটিকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফাপত্র হিসেবে গণ্য করা হোক। মাত্র পাঁচ বছর আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন রেড্ডি। পরে হয়েছিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি ছাড়লেন কংগ্রেস সঙ্গ।

    রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেন কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy)…

    ২০১৪ সালে একবার কংগ্রেস ছেড়েছিলেন রেড্ডি (Kiran Reddy)। তখন ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়, একটি রাজ্য হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, অন্যটি হবে তেলঙ্গানা। কিরণ রেড্ডি রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। বিধানসভায় এ নিয়ে বিস্তর হইচইও করেছিলেন। ইউপিএ সরকারের রাজ্য ভাগের এই সিদ্ধান্তের বিস্তর মূল্য চোকাতে হয় কংগ্রেসকে। সেই সময় বেশ কয়েকজন নেতা কংগ্রেস ছেড়ে দেন। যার জেরে এ পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে একটির বেশি লোকসভা আসন পায়নি সোনিয়া গান্ধীর দল।

    কংগ্রেস ছেড়ে রেড্ডি নিজেই গড়েন রাজনৈতিক দল। নাম দেন জয় সামাইক অন্ধ্র পার্টি। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হয় রেড্ডির দল। যদিও গোহারা হারে। তার পর ২০১৮ সালে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। তার আগে অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে বিস্তর দর কষাকষি করেন। এহেন রেড্ডি ফের ছাড়লেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গ। জানা গিয়েছে, এক সময়ের দাপুটে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি শীঘ্রই নাম লেখাতে চলেছেন বিজেপিতে। তেলঙ্গনায় দারুণ শক্তিশালী হলেও, অন্ধ্রে বিজেপি এখনও বেশ দুর্বল। রাজনৈতিক মহলের মতে, কিরণ রেড্ডির হাত ধরে জগমোহন রেড্ডির রাজ্যে পদ্ম ফোটানোর কাজ শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy) ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের ১৬তম মুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর হাত ধরেই রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    আরও পড়ুুন:মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির (BJP) বুথ সশক্তিকরণ অভিযান। এদিন বালুরঘাটে এই অভিযানের সূচনা করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সংগঠন শক্তিশালী করাই লক্ষ্য বিজেপির (BJP)…

    মাস দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনের কারণেই বাংলায় শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজন। প্রয়োজন তৃণমূলকে রুখে দেওয়া। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বঙ্গ বিজেপির সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় দলের বুথ পর্যায়ে সক্রিয়তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম। সেই সব বুধে নতুন করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ আসন। যদিও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েই থেমে গিয়েছিল বিজেপির (BJP) অশ্বমেধের ঘোড়া। সমীক্ষায় গেরুয়া শিবির দেখেছে, বিভিন্ন বুথে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি পদ্ম শিবির। সেই কারণেই শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি। তার জেরেই হচ্ছে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান।

    ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ১৩ দিন ধরে চলা এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সব সাংগঠনিক জেলায় বুথ স্তরে যাবেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা। এদিন দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খানপুর সংসদের ৮৮ নম্বর বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের সূচনা করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, বুথ আমাদের আগেও ছিল। এখনও আছে। এবার সেই বুথগুলিকে নতুন করে দেখা। নতুন লোক ঢোকানো। আরও শক্তিশালী করা। এই জন্যই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন, পরবর্তীকালে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত শক্তিশালী বুথ তৈরি করে লড়াই করা।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার গলা জড়িয়ে চটুল নাচ সুন্দরী নর্তকীর, টাকা ছড়াচ্ছেন নেতা, কোথায় দেখে নিন

    এদিন একই সঙ্গে নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গিয়েছিলেন সোনাচূড়ার ২৭৮ নম্বর বুথে। শুভেন্দু বলেন, গোটা গ্রামে একজনও আমফানের টাকা পাননি। মোদিজি ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা তুলে নিয়েছে। ২৭৮ নম্বর বুথে একটাও শৌচালয় নেই। তিনি বলেন, এই গ্রামের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ১০টার মধ্যে একটা পাকা বাড়ি। উন্নয়ন শুধু মমতার পরিবারের হয়েছে। এদিন কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১ ও ৪৩ নম্বর বুথে যান বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের মিলল বিস্ফোরক তথ্য! কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে। কাউন্সেলিং ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছে ইংরেজি শিক্ষক পদে। বীরভূমের চাকরিপ্রার্থী সালমা সুলতানার রোল নম্বরে নিয়োগ করা হয়েছে অন্যজনকে। এটা জানতে পেরে হতবাক কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ঘটনার জেরে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পেশ হতে পারে রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, এসএলএসটিতে উত্তীর্ণ হন সালমা সুলতানা। ইন্টারভিউও দেন। অথচ তার পর আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য এ পর্যন্ত ডাকা হয়নি তাঁকে। যদিও তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশ ও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

    নিয়োগকাণ্ড (Recruitment Scam)…

    নিয়োগে (Recruitment Scam) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফেঁসে গিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতাও। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ ডি-র কয়েকশো কর্মী। আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। প্রকাশের দুই মেয়ে মাম্পি ও শম্পার চাকরি গিয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন জামাই বিপ্লব দাসও। মাম্পি চাকরি করতেন হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে। শম্পা ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। আর কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ক্লার্কের পদে ছিলেন বিপ্লব।

    আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা সামসুর রহমানেরও। তিনি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। প্রায় ফাঁকা ওএমআর শিটেই চাকরি জুটেছিল তাঁর। যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের নামের যে তালিকা এসএসসি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন, তাতে ৫৫১ নম্বরে রয়েছে সামসুরের নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    চাকরি খুইয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণবও। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ সি-র (Recruitment Scam) চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের অর্ণব। পরীক্ষায় পাশ করে কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারভিউয়ে সফল হয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চাকরি পান তিনি। দুর্গাপুর প্রোজেক্টস টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে বছর পাঁচেক চাকরি করার পর হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ান তিনি। চাকরি হারিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টুম্পা মেটেও। ডানকুনির বামুনারির বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্বামীও তৃণমূল নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Same Sex Marriage: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Same Sex Marriage: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক (Same Sex Marriage) ভারতের প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী। রবিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের করা হলফনামায় একথা সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। কেন্দ্র যে সমকামী বিবাহের বিরুদ্ধে এদিন ফের তা একবার জানিয়ে দেওয়া হল। হলফনামায় জানানো হয়েছ, ভারতীয়রা পরিবার বলতে বোঝেন স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তানকে। স্বামী-স্ত্রী বলতে একজন জৈবিক পুরুষ ও একজন জৈবিক নারীকেই বিবেচনা করা হয়। তাঁদের মধ্যে মিলনের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে জৈবিক পুরুষ বাবা হিসেবে এবং জৈবিক মহিলা মা হিসেবে লালন-পালন করেন।

    সমকামী বিবাহকে (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি দিলে…

    কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে কিছু আইনি জটিলতাও সৃষ্টি হবে। বর্তমানে ভারতে ব্যক্তিগত এবং বিধিবদ্ধ আইনে নিষিদ্ধ সম্পর্ক, বিয়ের শর্ত, আনুষ্ঠানিকতা এবং আচারের প্রয়োজনীয়তা গার্হস্থ্য হিংসার মতো বিষয়ে যে বিধানগুলি রয়েছে, সমকামী বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেলে সেগুলি লঙ্ঘন হতে পারে। কারণ বিয়ে শুধু নারী-পুরুষের মধ্যেই হয়, এমনটা ধরেই বিধানগুলি তৈরি করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, সংবিধানে যে ভারতীয় নাগরিকদের নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেই অধিকার এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের নাগরিকদেরও পাওয়া উচিত। এই দাবি করেই সমকামী বিবাহের (Same Sex Marriage) আইনি স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন হায়দরাবাদের সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ডাং। তবে শুধু তাঁরাই নন, দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে একাধিক সমকামী যুগল সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কেন্দ্র জানিয়েছে, ভিন্নধর্মী দুটি লিঙ্গের মানুষের মিলনই বিবাহ। আমাদের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল। বিবাহের এই সংজ্ঞা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আইনগতভাবে এদেশের মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে একে গুলিয়ে দেওয়া উচিত নয়।

    আরও পড়ুুন: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, কর্নাটকে রোড শো-ও করলেন মোদি

    হলফনামায় সরকার জানিয়েছে, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের নিজের ইচ্ছামতো মেলামেশার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের সম্পর্কগুলির (Same Sex Marriage) ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে আইনি স্বীকৃতি দিতেই হবে এটা কোনও অধিকারের বিষয় নয়। ২১ নম্বর অনু্চ্ছেদের অধীনে জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের আওতায়ও এটা পড়ে না। বিবাহের ধারণা অনিবার্যভাবে বিপরীত লিঙ্গের দুই ব্যক্তির মধ্যে মিলনকে বোঝায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • PM Modi: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, কর্নাটকে রোড শো-ও করলেন মোদি

    PM Modi: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, কর্নাটকে রোড শো-ও করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের (Bengaluru Mysuru Expressway) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার কর্নাটকের (Karnataka)  মাণ্ড্য জেলায় ১১৮ কিমি দীর্ঘ ওই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। আগে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগত ৩ ঘণ্টা। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৭৫ মিনিট। বিজেপির (BJP) বিরোধী দল জেডি (এস)এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই মাণ্ড্য জেলা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    এদিন সেখানেই ৮ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কেবল এই এক্সপ্রেসওয়েই নয়, ভোটমুখী কর্নাটকে এদিন আরও প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে আইআইটি ধারওয়াড়, মাইসুরু-কুশলনগর চার লেনের হাইওয়ে এবং হুবলি স্টেশনে বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের মতো প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথ খুলে দেবে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যুবকরা আমাদের দেশের উন্নয়ন চাক্ষুষ করে গর্ব অনুভব করছেন। তার পরেই তিনি বলেন, এই সমস্ত প্রকল্প আমাদের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।

    বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে ১০ লেনের। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই দুই শহরের দূরত্ব এক লপ্তে অনেকখানি কমে যাওয়ায় এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় প্রভাব ফেলবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে জাতীয় সড়ক ২৭৫কে যুক্ত করা হচ্ছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের চারটি রেল ওভারব্রিজ, ৯টি বড় সেতু, ৪০টি ছোট সেতু এবং ৮৯টি আন্ডারপাস ও ওভারপাস রয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মাইসুরু-কুশলনগর ৪ লেনের হাইওয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। সেটির দৈর্ঘ হবে ৯২ কিলোমিটার। এই প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। এখন এই দুই শহরের একটি থেকে অন্যটিতে যেতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। হাইওয়ে নির্মাণ হয়ে গেলে সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। মাণ্ড্য জেলায় এদিন রোড শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি অংশ নেন প্রচুর সাধারণ মানুষও।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Amit Shah: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    Amit Shah: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) সম্পর্কে মোদি সরকারের (PM Modi) নীতিই হল জিরো টলারেন্স (Zero Tolerance)। কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রবিবার ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন হায়দরাবাদে হয় সিআইএসএফের ৫৪তম রেইজিং ডে প্যারেড। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, গত ৯ বছর ধরে এনডিএ সরকার সফলভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে চলেছে।

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    কাশ্মীরে হিংসার ঘটনা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। উত্তর-পূর্বে এবং লেফ্ট উইং এক্সট্রিমিজম অ্যাফেকটেড এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম কমেছে। তিনি জানান, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদে জড়িত মানুষের সংখ্যাও দিন দিন কমছে। অনেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করছেন। সমাজের মূলস্রোতে ফিরছেন। প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম সিআইএসএফের বার্ষিক রেইজিং ডে সেলিব্রেশন হচ্ছে দিল্লির বাইরে, হায়দরাবাদের হাকিমপেটে। এখানেই রয়েছে সিআইএসএফের ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি। সেখানেই হচ্ছে অনুষ্ঠান।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    ১২ মার্চ সিআইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতি বছর দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে সিআইএসএফ। এতদিন দিল্লিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও, এবার হচ্ছে হাকিমপেটে। এবার সিআইএসএফের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) স্বয়ং। এখান থেকে তিনি যাবেন কেরল সফরে। সেখানে ত্রিশূরে বীরপুত্র সাকথান থাম্পুরানের প্রাসাদ ঘুরে দেখবেন। এ ব্যাপারে ট্যুইটও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, বীরপুত্র সাকথান থাম্পুরান আধুনিক ত্রিশূরের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার দূরদৃষ্টি এবং জ্ঞান ত্রিশূরকে কেরলের সাংস্কৃতিক রাজধানীতে পরিণত করেছে। এখানে কিছুটা সময় কাটাতে চাই আমি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share