Author: Krishnendu Bakshi

  • Ram Temple: ২৫ কেজি সোনা-রুপোর গয়না, এক মাসে বালক রামের আয় কত জানেন?

    Ram Temple: ২৫ কেজি সোনা-রুপোর গয়না, এক মাসে বালক রামের আয় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির উদ্বোধন হয়েছে মাস খানেক আগে। প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে বালক রামের। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ram Temple) মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পরের দিন থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে সর্ব সাধারণের জন্য। তার পর থেকেই ভক্তদের দানে উপচে পড়ছে মন্দিরের দান বাক্স।

    বালক রামের আয়

    জানা গিয়েছে, গত এক মাসে ভক্তরা দেবতাকে দিয়েছেন ২৫ কেজি সোনা ও রুপোর গয়না। নগদ প্রায় ২৫ কোটি টাকাও জমা হয়েছে দান বাক্সে। শনিবার মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে এ কথা। রাম মন্দির ট্রাস্টের অফিস ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্তা বলেন, “চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ মিলিয়ে মন্দিরের দানবাক্সে জমা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তবে অনলাইনে মন্দিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা হয়েছে, তা জানা যায়নি।” তিনি জানান, জানুয়ারির ২৩ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত ৬০ লাখ ভক্ত দেব দর্শন করেছেন।

    কী বলছে মন্দির কমিটি?

    তিনি বলেন, “রামের (Ram Temple) ভক্তদের মধ্যে যাঁরা সোনা-রুপো দিচ্ছেন রামলালাকে, সেগুলি কখনওই রাম জন্মভূমি মন্দিরে ব্যবহার করা হয়নি। ভক্তরা বিগ্রহকে যেসব গয়না দিচ্ছেন, পুজোর বাসনকোসন এবং সোনা রুপোর তৈরি পুজোপকরণ দিচ্ছেন, সেগুলিই গ্রহণ করা হচ্ছে।” রাম নবমীর সময় ভক্তদের দান সামগ্রীর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা মন্দির কমিটির। এই সময় অযোধ্যায় প্রায় ৫০ লাখ ভক্তের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মন্দিরের দানের টাকা গুণতে স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে চারটি অটোমেটিক হাইটেক কাউন্টিং মেশিন বসানো হয়েছে রাম জন্মভূমি এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    প্রকাশ জানান, রাম মন্দির চত্বরে গণনা কক্ষ তৈরি করা হবে। মন্দির চত্বরে অতিরিক্ত দানবাক্সও রাখা হচ্ছে। থাকবে কম্পিউটারাইজড কাউন্টার। মন্দির ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল মিশ্র জানান, রামলালাকে যেসব মূল্যবান উপহার দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টাঁকশালকে। ইতিমধ্যেই যে সব চেক, ড্রাফ্ট ও নগদ জমা পড়েছে, তা প্রতিদিন দুটি শিফ্টে গণনা করছে স্টেট ব্যাঙ্ক (Ram Temple)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vanathi Srinivasan: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    Vanathi Srinivasan: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাথরাস, উন্নাওয়ের কথা বলা হলেও, সেখানে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, কিন্তু এখানে সেটা হয় না।” শনিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির জাতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বানথী শ্রীনিবাসন (Vanathi Srinivasan)। সন্দেশখালিতে গুচ্ছ অভিযোগ ওঠার পরেও শনিবার সন্ধে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের শেখ শাহজাহানকে। সেই কারণেই এদিন কলকাতায় তিনি নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। বানথী শ্রীনিবাসন জানান, দিনের পর দিন ওই এলাকায় মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার অপরাধীদের একাংশকে সেফ গার্ড দিচ্ছে।

    কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা 

    সন্দেশখালিতে নিত্য নির্যাতন করা হত স্থানীয় মহিলাদের। এজন্য তাঁরা কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের শাগরেদদের। এনিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির আন্দোলনে জল ঢালতে মণিপুর খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির এই নেত্রী (Vanathi Srinivasan) বলেন, “মণিপুরের ঘটনার পরেই বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সে রাজ্যের অপরাধীদের গ্রেফতার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর এখানকার পুলিশ মহিলাদের ন্যূনতম সুরক্ষাটুকু দিতে পারছে না। যাতে নির্যাতিতা মহিলারা এগিয়ে এসে অভিযোগ জানাতে না পারেন।”

    কী বললেন বিজেপি নেত্রী?

    বিজেপির জাতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কিছু একটা হলেই সব সময় অন্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে আনা হয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ কি আলাদা?” তাঁর প্রশ্ন, “দেশের অন্য প্রান্তে কোনও ঘটনা ঘটলেই তাঁরা এটা বলতে পারে না যে এখানে কোনও অপরাধ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়!” তিনি বলেন, “অন্যান্য রাজ্যে অপরাধ হলে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি যেতেই পারেন। কিন্তু এখানে বিরোধী দলকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ১ জুলাই চালু হচ্ছে দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিন নয়া আইন

    ৬ মার্চ বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সভা করবেন বারাসতে। প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় মুখ ঢেকে নিয়ে আসা হবে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর এই সভার নাম দেওয়া হয়েছে মহিলা ন্যায় সমাবেশ। এই সমাবেশের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেন। বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন। এই সমাবেশ নিয়ে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি (Vanathi Srinivasan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল! মৌসম নূরের সামনেই কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি

    Malda: ফের তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল! মৌসম নূরের সামনেই কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মৌসম বেনজীর নূর এবং বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষকে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূলেরই কর্মীরা। কার্যত পঞ্চায়েত ভোটে হার নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরাই দলের নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতি। তৃণমূলের অন্দরে এই বিক্ষোভকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার চাঁচল (Malda) বিধানসভার অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রাশিদাবাদ, বরুই কুশদা, তুলসীহাটা অঞ্চলে ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডারদের তথ্য সংগ্রহ করতে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই সংগ্রহের জন্য রাজ্য সরকার একটি ক্যাম্পও বসিয়েছিল। এই ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা ছিল সাংসদ মৌসম নূর, বিধায়ক নীহার ঘোষ, রবিউল ইসলাম এবং মর্জিনা খাতুনের। কিন্তু রশিদাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতে রবিউলের অনুগামীরা, তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়ককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। কুশিদা এলাকায় একপক্ষ, অপরপক্ষের বিরুদ্ধে হাতাহাতিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ে। রবিউলের বক্তব্য, “দল বড় হয়েছে তাই একটি বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে কিন্তু কোনও মারামারি হয়নি।” অপরে মৌসম নূর বলেন, “আমি এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেবনা।”

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারে কোন্দল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচল (Malda) বিধানসভার অন্তর্গত রাশিদাবাদ, বরুই কুশিদা এবং তুলসীহাটা এই চারটি অঞ্চল শাসক দলের হাত ছাড়া হয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলের কর্মীদের অভিযোগ, এই হারের জন্য একমাত্র দায়ী হলেন দলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ এবং রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর। উল্লেখ্য এই অভিযোগকে আবার অস্বীকার করেছে জেলার নেতৃত্ব। তবে এই ভাবে দলের মধ্যেই লোকসভার আগে এই ধরনের কোন্দলে চাপের মুখে পড়েছে তৃণমূল। ঘটনায় তীব্র আক্রমণ করেছে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বক্তব্য চোরেদের মধ্যে টাকার ভাগ নিয়ে কোন্দল হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Email: আসছে এক্সমেইল, আগমনীর সুর শোনালেন স্বয়ং ইলন মাস্ক

    Email: আসছে এক্সমেইল, আগমনীর সুর শোনালেন স্বয়ং ইলন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জি- মেইল (Email)। এরকম গুজবে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড়। এহেন আবহে এক্স হ্যান্ডেলে সংস্থার সিইও ইলন মাস্ক জানালেন, অচিরেই বাজারে আসছে এক্স-মেইল। জি-মেইল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়ায় দাবানলের মতো।

    এক্সমেইলের আগমনীর সুর

    এমতাবস্থায় এক্সমেইলের আগমনীর সুর শুনিয়ে দিলেন এক্স হ্যান্ডেলের সিইও। এটা নেহাত গুজব নয়, তা জানা গিয়েছে এক্সের সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের বরিষ্ঠ সদস্য নাথান ম্যাক গ্র্যাডির প্রশ্নেও। তিনিই জানতে চেয়েছিলেন এক্সমেইলের সম্ভাব্য লঞ্চের দিন। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়েছেন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইমেইল (Email) সার্ভিস ল্যান্ডস্কেপে এটা একটা তাৎপর্যপূর্ণ শিফ্ট হতে পারে।

    জি-মেইল সার্ভিস বন্ধ!

    দিন কয়েক আগেই জি-মেইল সার্ভিস বন্ধ হতে চলেছে বলে একটি বার্তা ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টের সঙ্গে একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করা হয়। তাতে লেখা, “গুগল ইজ সানসেটিং জিমেইল”। ভাইরাল হওয়া ওই ইমেইলে বলা হয়, ২০২৪ সালের অগাস্টের এক তারিখ থেকে সমস্ত অপারেশন বন্ধ করে দেবে জিমেইল। তার পর থেকে অনিয়মিত হয়ে পড়বে সেন্ডিং, রিসিভিং কিংবা স্টোরিং ইমেইল।

    এই বার্তা ভাইরাল হতেই গুগল দ্রুত জানিয়ে দেয়, জি-মেইল বন্ধ হচ্ছে না। এখানেই থাকবে। কোম্পানি এও জানিয়ে দেয়, জি-মেইলকে মডিফাই করা হচ্ছে, বেসিক এইচটিএমএল থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটি আরও বেশি ভাইব্র্যান্ট হবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে। গুগলের কনফার্মেশন সত্ত্বেও লাগাম টানা যায়নি গুজবে। তারা জানিয়েছে, বাজারে আসছে ইমেইল সার্ভিসের অল্টারনেটিভ। তারা এক্সমেইলকে ভায়াবল অপশন করতে চাইছে।

    আরও পড়ুুন: নেপালে ফের জোরালো হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দাবিসনদ পেশ জনতার

    প্রসঙ্গত, মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটারের বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার হলেন ইলন মাস্ক। ইলেক্ট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার সিইও মাস্ক ট্যুইটারের ৯.২ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন গত ১৪ মার্চ। ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে দায়ের করা নথি অনুসারে, ইলন মাস্ক প্রায় ৭৩.৫ মিলিয়ন ট্যুইটার শেয়ার কিনেছেন (Email)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal: নেপালে ফের জোরালো হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দাবিসনদ পেশ জনতার

    Nepal: নেপালে ফের জোরালো হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দাবিসনদ পেশ জনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে (Nepal) ফের জোরালো হচ্ছে হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি। এ আওয়াজ তোলা হচ্ছে সে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে। দেশজুড়ে বইছে হিন্দুত্বের হাওয়া। এমতাবস্থায় চার দিনের বৈঠকে বসে নেপালি কংগ্রেস ন্যাশনাল কাউন্সিল। রাজতন্ত্রের দাবিও তুলেছেন নেপালি জনতা।

    দাবিসনদ পেশ

    নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলের কাছে ৪০টি দাবি সম্বলিত একটি সনদও পেশ করেছে নেপালের রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি। বুধবার নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমাণ্ডুর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। পরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন দাবি সনদ। রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র লিংগডেন বলেন, “রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে। সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করলে বড়সড় আন্দোলনে নামব আমরা।” ২০০৮ সালে রাজতন্ত্রের উচ্ছেদ ঘটে নেপালে। দেশকে ঘোষণা করা হয় অ-হিন্দু রাষ্ট্র। ২০১৫ সালে নয়া সংবিধানের মাধ্যমে সরকারিভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ প্রজাতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয় নেপাল।

    রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি

    নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবি দীর্ঘদিনের। হিন্দুরাষ্ট্রের দাবিও বহু পুরানো। জনতার এই দাবিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে সনাতন হিন্দু স্টেট নেপাল মেগা ক্যাম্পেন। এই সংগঠনের নেতা শঙ্কর ভাণ্ডারি। নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি এনসি পার্টিরও। এই দলের প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হন নেপালি কংগ্রেসে।

    ২০২২ সালে নেপালের (Nepal) সাধারণ নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি জয়ী হয় ২৭৫টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে। দেশের পঞ্চম বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে জায়গা করে নেয়। ভোটের পর রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি জোট সরকারেরই অংশ ছিল। ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তারা বিরোধী বেঞ্চে বসে। নেপালের এই দলটিই দেশটিকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ৯ পাতার ‘ইভেন্ট গাইড’! অম্বানী-পুত্রের বিয়েতে অতিথিদের জন্য চার্টার্ড বিমান

    হিন্দুত্বের দাবিতে সরব হয়েছে নেপালের জেনারেল রুকমানগুড় কাটাওয়াল। তিনি ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত নেপালের সেনাবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের এই প্রচার দেশকে হিন্দুত্ববাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা নয়, সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টানদের এক ঘরে করে দেওয়াও নয়। আমাদের প্রচার শুধুমাত্র নেপালের (Nepal) হিন্দু পরিচয় ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bird Flu: বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি, অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু ১০ হাজার মুরগির

    Bird Flu: বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি, অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু ১০ হাজার মুরগির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্তের হাওয়ায় বার্ড ফ্লু-র ভ্রুকুটি! ইতিমধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে বার্ড ফ্লু (Bird Flu)। তার জেরে উদ্বেগে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে, নেল্লোর-সহ অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এইচ৫এনওয়ান ভাইরাস। ঘটনায় মুরগি পালনে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ওই রাজ্যের পশুপালন দফতর।

    ১০ হাজার মুরগির মৃত্যু

    জানা গিয়েছে, নেল্লোর জেলার পুধালাকুরু, কোভুরু ও মাইদাপুরম এলাকায় গত তিন মাসে বার্ড ফ্লুয়ে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ হাজার মুরগির। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই দুই গ্রামের বাইরেরও ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা। জনবসতির ১ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আগামী তিন মাস মুরগির মাংস বিক্রির দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিশ-প্রশাসন। নেল্লোরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। আশপাশের জেলাগুলিতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। যেহেতু পোল্ট্রিগুলিতেই বেড়েছে সংক্রমণ, তাই আগামী ১৫ দিন পোল্ট্রিগুলি থেকে অন্য কোথাও মুরগি পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ড্রপলেট থেকে রোগ ছড়ায় 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য ফ্লুয়ের (Bird Flu) মতো বার্ড ফ্লুও ছড়ায় নাক-মুখ থেকে নিঃসৃত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জলকণা বা ড্রপলেট থেকে। এই ড্রপলেট অন্য পাখির শ্বাসনালীতে ঢুকে গেলে ওই পাখিটিও সংক্রমিত হতে পারে ফ্লুয়ে। জানা গিয়েছে, যাঁরা মূলত পোল্ট্রির কাজেই যুক্ত, তাঁরাই সাধারণত সংক্রমিত হন। বসন্তের বাংলায় এইচ৫এনওয়ান ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদি মুরগি থেকে মানুষে সংক্রমণ ছড়ায় এবং সংক্রমিত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ার আগেই এ রাজ্যে আসেন, সে ক্ষেত্রে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘জাতপাতের নামে দেশকে বিভাজিত করছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা’’, তীব্র আক্রমণ মোদির

    জানা গিয়েছে, মূলত পোল্ট্রি ফার্মের মাধ্যমেই বেশি ছড়ায় বার্ড ফ্লু। তবে হাঁস-মুরগি খেলে যে এই বার্ড ফ্লু হবে, এমন কোনও কথা নেই। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ডিম আসে এ রাজ্যে। সেই ডিম খেলেও বার্ড ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ যে তাপমাত্রায় মাংস কিংবা ডিম রান্না করা হয়, তাতে ফ্লুয়ের ভাইরাস মারা যায়। একই কথা প্রযোজ্য ওমলেটের ক্ষেত্রেও (Bird Flu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রীর, পরীক্ষা স্থগিত যাদবপুরে

    Jadavpur University: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রীর, পরীক্ষা স্থগিত যাদবপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করছেন ওই ছাত্রী। আর, প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে যৌন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের জেরে আপাতত একটি বিশেষ বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী ওই ছাত্রী এই বিভাগেরই।

    ছাত্রীর অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছিল। এক ছাত্রীর অভিযোগ, এক অধ্যাপক (Jadavpur University) তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। অভিযোগের কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে একটি ইমেল করেছিলেন ওই ছাত্রী। তিনি লিখেছিলেন, “অভিযুক্ত অধ্যাপক পরীক্ষায় নকল করার মিথ্যা দায় চাপিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের সামনেই শারীরিক তল্লাশি চালাতে দিতে বাধ্য করেছেন।

    শারীরিক নির্যাতন!

    পরের পরীক্ষার দিন তাঁকে হল থেকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়ে ওই অধ্যাপক শারীরিক নির্যাতনও করেন। প্রথমে নিজে ও পরে দুই সিনিয়র ছাত্রকে দিয়ে তাঁকে যৌন প্রস্তাবও দেন।” বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে লেখা ওই চিঠি ছাত্রীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদাধিকারী এবং রাজ্য মহিলা কমিশন এবং যাদবপুর থানায় পাঠিয়েছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আসলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুই রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। ওই ছাত্রী হলে প্রতারণার মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। হলের পরিদর্শক তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন। তখনই অভিযুক্ত ওই অধ্যাপককে ডেকে আনা হয়। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আগে কখনও এমন অভিযোগ ওঠেনি। ওই ছাত্রী সত্যি বলছেন না।”

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালিতে কী অভিযোগ ছিল? খুঁজে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেন, “ওই ছাত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই ওই অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ বিষয়ক কমিটির কাছে। তারাই তদন্ত করে দেখবে (Jadavpur University)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: সন্দেহের জেরে মহিলাকে মারধর, চোখে লঙ্কা ঘষে অত্যাচার! অভিযুক্ত এসআই

    Hooghly: সন্দেহের জেরে মহিলাকে মারধর, চোখে লঙ্কা ঘষে অত্যাচার! অভিযুক্ত এসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবলমাত্র সন্দেহের কারণে এক মহিলাকে প্রথমে মারধর এবং সেইসঙ্গে লঙ্কা ঘষে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে খোদ পুলিশের সাব-ইনস্পেকটরেরই বিরুদ্ধ। এ যেন ঠিক রক্ষকেরই ভক্ষকের মতো আচরণ! হুগলির (Hooghly) খানাকুল থানার মালঞ্চ এলাকায় এক ব্যক্তির ব্রেসলেট হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই হারিয়ে যাওয়া ব্রেসলেট পেয়েছেন ঐ মহিলা, এমনই সন্দেহে মহিলাকে বুধবার স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাঁর উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মূল অভিযুক্ত হলেন পুলিশের এসআই তুষার মণ্ডল। আপাতত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশ সুপারের বক্তব্য (Hooghly)

    ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ খানাকুল থানা ঘেরাও করে। অপর দিকে নিগৃহীতাকে অসুস্থ অবস্থায় আরামবাগের (Hooghly) একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। তাঁর সন্তান থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা আভিযোগ পেয়ে থানায় এফআইআর করেছি। অভিযুক্তকে সাসপেন্ডে করা হয়েছে।” একই সঙ্গে অভিযুক্ত তুষার মণ্ডল নিজে কিছুই বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “যা বলার ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষকেই বলবো।”

    পরিবারের অভিযোগ

    পরিবারের (Hooghly) তরফ থেকে নিগৃহীতার শাশুড়ি বলেন, “আমার বউমাকে মিথ্যা অভিযোগে একমাস ধরে মানসিক ভাবেও অত্যাচার করছে ঐ তুষার। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বউমাকে মারধর করা হয়। মধ্যরাতে একাবারে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়িতে দিয়ে যায়। সেইসঙ্গে তাঁর হাতে এক হাজার টাকাও গুঁজে দেওয়া হয়।” অপর দিকে ঐ মহিলা বলেন, “আমাকে মারধর করে আঘাত করা হয়। সেই সঙ্গে চোখের তলায় কাঁচালঙ্কা ঘষে দেওয়া হয়।”

    স্বামীর বক্তব্য

    মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তিনি বলেন, “একটি ছেলের বক্তব্যের সাপেক্ষে আমার স্ত্রীকে সন্দেহের বসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই ছেলেও স্পষ্ট করে ব্রেসলেট সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি। কিন্তু এভাবে মনগড়া, ভিত্তিহীন সন্দেহ করে অত্যাচার করে ঠিক কাজ করেনি পুলিশ। ওঁর প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি সুবিচার চাই। থানার (Hooghly) পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তি চাই।”

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটের আগে সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) এবার রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তুলে আনা হবে। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বিশেষ রণকৌশল বিজেপির। রাজ্যে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, সন্দেশখালির নিপীড়িত মহিলাদের নিয়ে ধর্নায় বসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিপীড়িত মানুষের অধিকার নিয়ে টানা তিন দিন ধর্না করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, এবং জোর করে জমি দখলের প্রতিবাদে জনরোষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে খোঁজ নেই।

    ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে ধর্না (Sandeshkhali)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্নায় বসা হবে। ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলবে এই ধর্না। এই ধর্নামঞ্চে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। অত্যাচারের নির্মম কথা তাঁদের মুখে উপস্থাপন করে রাজ্যের শাসক দলের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করা হবে। শাসক দলকে লাগাতার চাপে রাখতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা ছিল, কিন্তু আপাতত ফোকাস সন্দেশখালি এবং আগামী লোকসভার দিকেই থাকুক, সেই কথা ভেবেই তাঁর সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।

    আন্দোলনের রেশ ধরে রাখতে লাগাতার কর্মসূচি

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের অতাচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনজাগরণ ঘটেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে দিল্লি সদর দফতর থেকে লাগাতার সাংবাদিক সম্মলেন করে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূলকে। ইতিমধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় কমিশন, এসসি, আদিবাসী, মহিলা, মানবাধিকারের মতো সংস্থাগুলি পরিদর্শনে এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছে এই কমিশনগুলি। সেই সঙ্গে বার বার চিঠি দিয়ে সন্দেশখালি সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ফলে তৃণমূল যে সন্দেশখালিকাণ্ডে বেকফুটে, সেকথা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। অপর দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান, এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন বণ্টনে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং ক্যাগ রিপোর্ট সহ একাধিক বিষয়ে ব্যাপক ভাবে আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে হবে। এই রাজ্যের লোকসভার আসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই আন্দোলন ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই সন্দেশখালির বিষয়কে কলকাতার রাজপথে এনে আন্দোলন করা প্রয়োজন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AI Powered Campaign: এআই কাজে লাগিয়ে ভারত-আমেরিকার ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে চিন?

    AI Powered Campaign: এআই কাজে লাগিয়ে ভারত-আমেরিকার ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরই রয়েছে বিশ্বের দু’ দুটি গণতন্ত্রের নির্বাচন। একটি উন্নত দেশের তালিকার এক নম্বরে। অন্যটি অচিরেই হয়ে উঠতে চলেছে উন্নত দেশ। এই দুই দেশের বন্ধুত্বও মাথাব্যথার কারণ অনেক দেশেরই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (AI Powered Campaign) কাজে লাগিয়ে এই দুই দেশের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে কমিউনিস্ট শাসিত শি জিনপিংয়ের দেশ চিন।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

    লন্ডনের সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগের সাম্প্রতিক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে এই দুই দেশের নির্বাচনে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে চিন। এ কাজে তারা ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। যে সব অ্যাকাউন্ট থেকে এসব করা হচ্ছে, সেগুলি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে আইএসডির গবেষকদের অভিমত। তাঁদের মতে এগুলি (AI Powered Campaign) স্প্যামোফ্লেজ।

    অনলাইনে ক্যাম্পেন

    আইএসডির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অনলাইনে ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। এ বছরেরই শেষের দিকে নির্বাচন রয়েছে মার্কিন মুলুকে। সেক্ষেত্রে চিন তুলে ধরছে আমেরিকার অভ্যন্তরীন বিভিন্ন সমস্যা। সেসবে ইন্ধনও জোগানো হচ্ছে। মাদকের ব্যবহার, গৃহহীনতা, বন্দুকবাজের হামলার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেগেটিভ প্রচারও চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি এবং ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।

    এপ্রিলের প্রথম দিকেই ভারতে শুরু হয়ে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচন। ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি নিয়েও উদ্দেশ্যমূলক প্রচার করা হচ্ছে। ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন বিষয়, জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, অগ্নিবীর সংক্রান্ত বিক্ষোভ এসবের নঞর্থক দিকগুলি তুলে ধরে চালানো হচ্ছে প্রচার।

    আরও পড়ুুন: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের

    রাজনৈতিক মহলের মতে, চিনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকা। আর এশিয়া মহাদেশে তাদের মাথাব্যথার কারণ ভারত। বাকি প্রতিবেশী দেশগুলিকে হয় ঋণের ফাঁদে ফেলে নয়ত অন্য কোনও কৌশলে হাতে রেখে দিয়েছে চিন। তাই ভারত যদি মাথা তুলে দাঁড়ায়, তাহলে সব চেয়ে বেশি বিপদে পড়বে ড্রাগনের দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারত ও আমেরিকার সাধারণ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে চিন (AI Powered Campaign)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share