Author: Krishnendu Bakshi

  • ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় ইতিমধ্যেই তেজস্বী যাদবের দিল্লির (Delhi) বাড়ি সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadavs) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন চাকরির বিনিময়ে যে জমি নেওয়া হয়েছিল, তার মূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। যদিও দুর্নীতি ধরা পড়েছে ৬০০ কোটি টাকার। লালু প্রসাদের পরিবারের যে সম্পত্তির হদিশ ইডি পেয়েছে, তারও দীর্ঘ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিবৃতি জারি করে ইডি জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদের পরিবারের নামে পাটনার প্রমিনেন্ট লোকেশনে বিভিন্ন জমির খোঁজ মিলেছে।

    ইডি (ED) জানিয়েছে…

    লালু প্রসাদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন জমির বিনিময়ে চাকরি দিয়ে এই জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। ইডি (ED) আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এই জমির বাজার দর ২০০ কোটি টাকারও বেশি। এই জমিগুলির প্রকৃত মালিক কে, তাঁদেরও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় সিবিআই-ও তলব করেছে লালু প্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্ব যাদবকে।

    প্রসঙ্গত, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় চলতি সপ্তাহেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। ওই মামলায় লালু প্রসাদ, রাবড়ি দেবী সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত।

    ইডির (ED) দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। গুজব ছড়ানো এবং তৈরি করা খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সিজার লিস্ট যাতে সকলের নাম রয়েছে, সেই তালিকাও প্রকাশ করার দাবি জানান তেজস্বী।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    ইডির দাবি, দিল্লি, পাটনা, রাঁচি এবং মুম্বই সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ কোটি টাকা, ১৯০০ মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা, ৫৪০ গ্রাম সোনা, দেড় কেজির বেশি সোনার গয়না যার বাজার মূল্য ১.২৫ কোটি টাকা এবং যাদবদের পরিবারের বিভিন্ন নামে জমির হদিশ মিলেছে। ইডির অভিযোগ, যাদবদের পরিবার ৭.৪ লক্ষ টাকার জমি গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। পরে সেই জমি বিক্রি করা হয় আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক সইদ আবু দোজানাকে। মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বিশেষত কোনও নির্বাচন এসে গেলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে শুরু করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে আদতে তৃণমূলের দুর্নীতির দিক থেকে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment)…

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment) করেছে ৮৯,৯৬০ কোটি টাকা। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আমরুত ২.০-র জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,৬৫০ কোটি টাকা। রেভেনিউ ডেফিসিট গ্র্যান্টস পেমেন্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা, ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫,৫০০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৮,২০০ কোটি টাকা। বাংলায় রাস্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় ক্যাপেক্স লোন পায়নি বাংলা। যদিও পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ (Allotment) হয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা। ১৯৪৫ সালের আগে যেসব স্কুল গড়ে উঠেছে, সেগুলির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। রানিগঞ্জে চার লেনের বাইপাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছে ২,৬৫০ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। সর্ব শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্য সরকার পেয়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা। কর আদায়ের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে ১০,৬৪২ কোটি টাকা।

    মাত্র চার মাসে দেওয়া হয়েছে এই পরিমাণ (Allotment) অর্থ। তার পরেও বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা খয়রাতি করে রাজ্য সরকার খরচ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার জেরে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের মতো নানা প্রকল্প। অথচ রাজ্য সরকার গলা ফাটাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sovandeb Chattopadhyay: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জেরে অনির্দিষ্টকালের বনধ

    Sovandeb Chattopadhyay: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জেরে অনির্দিষ্টকালের বনধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chattopadhyay) করা বিরূপ মন্তব্যের মাশুল গুনল ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছে আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা। বনধের জেরে শনিবার ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। এদিন ঝাড়গ্রামে বেসরকারি বাস চলেনি। রাস্তায় হাতে গোণা যে কটি সরকারি বাস বেরিয়েছিল, অবরোধের জেরে তাও আটকে গিয়েছে মাঝপথে। তবে ব্যাঘাত ঘটেনি জরুরি পরিষেবায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আদিবাসীদের অপমান করেছেন। অবিলম্বে তাঁকে আদিবাসী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

    শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) বলেন…

    প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের আলোচনায় আদিবাসীদের পরিযায়ী ও গোর্খাদের বহিরাগত বলেছিলেন শোভনদেব (Sovandeb Chattopadhyay)। রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন কুমারগ্রামের বিধায়ক বিজেপির মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, মন্ত্রী ইতিহাসের অপলাপ করছেন। শোভনদেবের এই মন্তব্যের জেরেই ডাকা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের বনধ।

    আরও পড়ুুন: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    বনধের জেরে এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে শপিং মল থেকে শুরু করে কোর্ট রোড চত্বরের দোকান, জুবলি মার্কেটের দোকান বন্ধ রয়েছে। গজাশিমূলের কাছে অবরোধ করা হয় কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তা অবরোধ করা হয় লোধাশুলির কাছেও। এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ। অবরোধ করা হয় বিনপুর এক নম্বর ব্লকের দহিজুড়ি মোড়েও। বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের শিলদা চকেও অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ করা হয়েছে পথ। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। আদিবাসী সমাজের পক্ষে ডানগা হাঁসদা বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত ব্লকে আমাদের অবরোধ ও বনধ কর্মসূচি চলছে। আমরা আগেই ঘোষণা করেছি এই বনধ অনির্দিষ্টকাল চলবে।

    তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভা কক্ষের মধ্যে মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক। তার প্রতিবাদে আজ আমরা ঝাড়গ্রাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছি। ডানগা হাঁসদা বলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভুল স্বীকার করতে হবে। তাঁকে বলতে হবে ভুলবশত বলা হয়ে গিয়েছে। তাহলে আমরা মেনে নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PML Rules: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস সংশোধন করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    PML Rules: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস সংশোধন করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস (PML Rules), ২০০৫ সংশোধন করল কেন্দ্র। নয়া এই রুলস অনুযায়ী, যাঁরা পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস, তাঁদের যে কোনও ধরনের লেনদেনের (transaction) রেকর্ড রাখতে হবে ব্যাঙ্ক (Bank) এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। চলতি অর্থবর্ষের ৭ মার্চ থেকেই লাগু হয়েছে এই রুলস। এছাড়াও এনজিও বা নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের যাবতীয় লেনদেনের যাবতীয় তথ্যও সংগ্রহ করতে হবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে।

    পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস…

    পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনসের সংজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে ওই সংশোধনীতে। বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যাঁরা কোনও সরকার বা রাজ্যের প্রধান, প্রবীণ রাজনীতিক, প্রবীণ সরকারি কর্মী কিংবা জুডিশিয়াল বা মিলিটারি অফিসার, রাজ্যের কোনও কর্পোরেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এবং কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের আধিকারিক, তাঁরাই পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস।

    আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ((PML Rules)) নীতি আয়োগের দর্পন পোর্টালের এনজিও ক্লায়েন্টদের তথ্যও নথিভুক্ত করতে হবে। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পাঁচ বছর পর পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যাঙ্ক শুধু পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস কিংবা এনজিওর আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড মেইনটেইন করবে তাই নয়, যখন এবং যেমন প্রয়োজন লেনদেনের সেই সব তথ্য ইডির কাছেও পাঠিয়ে দেবে।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি…

    এদিকে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং ((PML Rules)) রুলসের আওতায় ক্রিপ্টোকারেন্সি পড়বে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে নয়া নিয়মের বিষয়টি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বিটকয়েনের মতো কারেন্সির পাশাপাশি ভার্চুয়াল সম্পত্তিতেও এবার থেকে কার্যকর হবে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। ডিজিটাল সম্পদের ওপর নজরদারি বাড়াতেই নয়া নির্দেশিকা আনা হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির নানা দুর্নীতি আটকাতেও কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র।

    ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নি করে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। তাই এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিচ্ছে কেন্দ্র। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের তথ্য, নম্বর বা টোকেন সব ক্ষেত্রেই আর্থিক লেনদেন থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এই আর্থিক লেনদেনগুলি আয়কর আইনের আওতায় পড়বে। ডিজিটাল সম্পদ কেনাবেচার আগেও সাবধান হয়ে আর্থিক লেনদেনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর বসিয়েছে কেন্দ্র। তার জেরেই এই ক্ষেত্রে বাড়ছে অপরাধের সম্ভাবনাও। সেই অপরাধে লাগাম পরাতেই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলসের আওতায় আসছে লেনদেনের নয়া পদ্ধতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় অধিবেশনের মধ্যে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ। ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ। শুক্রবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্ককে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা বাইরে একরকম বলেন, ভিতরে আর এক রকম। এর পরেই ওঠে দলবদলের কৌশল। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণ কল্যাণীর দিকে দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, বলুন না এঁরা কোন দলে? বলতে পারেন এঁরা বিজেপিতে নেই? এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন দলবদলু এই দুই বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, আপনিই বলুন না শিশিরবাবু কোন দলে? তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনার নামে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা রয়েছে। এক মাসের মধ্যে আপনাকে দেখে নেব। এই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আপনি এরকম অবান্তর কথা অধিবেশনে বলতে পারেন না। পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু।

    তিনি বলেন, শুরুটা করেছেন পার্থ ভৌমিক। আমি নই। পার্থকে উদ্দেশ্য করে অধ্যক্ষ বলেন, আপনি থেমে যান। পরে পার্থ শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আমি কথাটা ওভাবে বলিনি। পার্থকে ঘিরে উত্তেজনা কমলেও, মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করার জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে মোদি মোদি স্লোগান। শেষে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যান শুভেন্দু। পঞ্চায়েত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ বলেন, বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) যেভাবে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তা অনভিপ্রেত। এভাবে হুমকি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: জম্মু কাশ্মীরের ডোডায় ১০০ ফুট উঁচু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করল সেনা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি থেকে জয়ী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে তাঁকে কটাক্ষ করে আসছে তৃণমূল। এদিকে, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী ও সুমন কাঞ্জিলাল। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়েই এদিন শুভেন্দু-পার্থ দ্বৈরথ হয় বিধানসভায়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     
     
  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এজন্য আটটি রাজ্যের ৯ জন নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠিও লিখেছিলেন। এবার তারই জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের সিদ্ধান্ত, ন’টি রাজ্যে প্রেসমিট করে এর জবাব দেবে তারা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করছিলেন দিল্লি, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বাংলা, কেরল এবং জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা। বিজেপির কৌশল হল, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যাঁরা তদন্তে ভয় পান, তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া। বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন দিল্লির সাংসদ বিজেপির মনোজ তিওয়ারি। বাংলার ক্ষেত্রে এই কাজটিই করবেন শুভেন্দু অধিকারী, বিহারের ক্ষেত্রে সঞ্জয় জয়সওয়াল, উত্তর প্রদেশের ব্রিজেশ পাঠক এবং তেলেঙ্গনার সঞ্জয় বান্দি।

    চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি কংগ্রেস…

    আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়াকে। তারপর রবিবার কেন্দ্রের (PM Modi) বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে আটটি রাজ্যের ন’ জন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, ভগবন্ত মান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নও আলাদা করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি কংগ্রেসের কেউ। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা জেরা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর

    প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছিল, দেশে নির্লজ্জের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক কার্যালয়ও রয়েছে। নির্বাচনী মাঠের বাইরে এভাবে হিসেবনিকেশ করার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভাল হচ্ছে না। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি থেকে শুরু করে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে গ্রেফতারিও। আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির অজম খান, এনসিপির নবাব মালিক ও অনিল দেশমুখ, তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা কেন্দ্রের অঙ্গুলি হেলনেই কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিনই ধর্মঘট রুখতে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ধর্মঘটের দিন সমস্ত সরকারি কর্মীকে অফিসে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। তার পরেই বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। আমি আইনজীবী নিয়ে আইনি লড়াই করব।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) উবাচ…

    এদিন হুগলির খানাকুলে শুভেন্দু বলেন, ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে সরকার যদি সরকারি কর্মীদের ব্রেক অফ সার্ভিস, বেতন কাটে, দমনপীড়ন নীতি নিয়ে ট্রান্সফার কিংবা সাসপেন্ড করে আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সেই সরকারি কর্মীর পাশে থাকব। শুধু পাশে থাকাই নয়, সেই সরকারি কর্মীর পূর্ণ দায়িত্ব আমি নেব। তাঁর আইনি লড়াই, তাঁর মামলা লড়ার জন্য বড় আইনজীবী নিয়োগ এবং আইনি লড়াই করার জন্য যে যে খরচ হবে, তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমার। যাঁরা মহার্ঘ ভাতার জন্য নিজেদের অধিকারের জন্য কাল ধর্মঘট করতে যাচ্ছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন। পাশে আছি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই এই সরকারের।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজও।

    আরও পড়ুুন: ধর্মঘটের দিন উপস্থিতির হার কত, নজর রাখবেন মমতা, পাল্টা হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের

    ধর্মঘটীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, আজ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যদি কোনও সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস হয়, তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সব সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস প্রত্যাহার করে নেবে। সুকান্ত বলেন, ধর্মঘট ঠেকাতে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা নিয়ে কেউ যদি আদালতের দ্বারস্থ হন, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। কারণ ধর্মঘট করা যে কোনও কর্মীর নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের এই বঞ্চনায় আমরা আগামিদিনেও আন্দোলনকারীদের পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    DA: ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি নবান্নর, ‘‘সাহস নেই’’! পাল্টা চ্যালেঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘটে অনড় ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। আর ধর্মীঘটীদের আন্দোলন রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। বৃহস্পতিবার অর্থ দফতরের তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শুক্রবার কোনও সরকারি কর্মী ছুটি নিতে পারবেন না। স্কুল-কলেজ সহ যাবতীয় সরকারি ও সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠান ওই দিন পূর্ণ সময় খোলা থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য কর্মীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন বা কোনও সরকারি কর্মী যদি আগাম ছুটি নিয়ে থাকেন, তবে তাঁর ছুটি মঞ্জুর হবে। ধর্মঘটের দিন বিনা অনুমতিতে কেউ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকলে, তাঁর বেতন কাটার পাশাপাশি কর্মজীবনের মেয়াদও একদিন কমবে। প্রতিটি দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও কর্মী এর পরেও গরহাজির থাকলে তাঁকে শোকজের চিঠি ধরাতে হবে। শোকজের উপযুক্ত উত্তর মিললে তবেই মঞ্জুর হবে ছুটি।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশিকা উপেক্ষা করে ধর্মঘটে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যতই কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিক, ধর্মঘট হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

    ভয় পাবেন না…

    যদিও রাজ্যের হুঁশিয়ারিতে সরকারি কর্মীদের ভয় না পওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতাদের দাবি, রাজ্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। ধর্মঘটে শামিল হলেও, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    আরও পড়ুুন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, ফের নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

    এদিকে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে উপস্থিতির হার কত, তার রিপোর্ট সকাল ১১টার মধ্যেই পাঠাতে হবে নবান্নে (DA)। বৃহস্পতিবারই এই মর্মে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই উপস্থিতির হার দেখতে চান। উপস্থিতির হার পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দফতরে। প্রশাসনিক মহলের ধারণা, সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই বিভিন্ন সরকারি দফতরে ধর্মঘটকে উপেক্ষা করে উপস্থিতির হার কত, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    Bogtui: ‘শহিদ দিবস’ পালনের প্রস্তুতি, বিজেপিকে স্বাগত বগটুইবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ে (Bogtui) শহিদ দিসব পালন করবে বিজেপি (BJP)। সেই কারণে জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে তৈরি হচ্ছে শহিদ বেদি। দিন কয়েক আগে শহিদ বেদির কাজ কতদূর এগোল তা জানতে বগটুই গ্রামে যান বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ বিজেপির নেতৃবৃন্দ। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন সকালে শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা।

    বগটুইয়ে (Bogtui) সভা করার কথা শুভেন্দুর…

    বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ার খেলার মাঠে প্রকাশ্য সভা করার কথাও রয়েছে শুভেন্দুর। গত বছর ডিসেম্বর মাসে নলহাটির জনসভা থেকে ২১ মার্চ বগটুইয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করার কথাও বলেছিলেন। সেই কারণে বিজেপির তরফে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বলেন, বগটুই (Bogtui) গ্রামে হতদরিদ্র নিরাপরাধ মানুষগুলি প্রায় এক বছর হতে চলল মারা গিয়েছেন। গণতন্ত্র বিরোধী সেই ঘটনাকে স্মরণে রাখতে স্মৃতি স্মারক তৈরি হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা এসে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। ওই কর্মসূচি যাতে ঠিকঠাক হয় তার জন্য জেলা এবং স্থানীয় নেতৃত্ব পরিদর্শনে এসেছিলেন। এলাকার মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচিতে যোগ দেন, সেই জন্যও কথা বললাম।   

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। অভিযোগ, ঘটনার পর মিনিট কুড়ি কাটতে না কাটতেই ভাদু শেখের অনুগামীরা বগটুই গ্রামের ভাদু বিরোধীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরের দিন পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সোনা শেখের বাড়ি থেকে সাতটি অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। পরবর্তীকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও তিনজনের। ঘটনার পরে পরে এলাকায় আসেন ফিরহাদ হাকিম ও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারকে দেন চাকরিও। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর নলহাটিতে বিজেপির জনসভায় শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন বগটুইকাণ্ডে (Bogtui) মৃত নাজিমা বিবির স্বামী ফটিক শেখ। তিনি বলেন, আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা তৃণমূলের নেতা ভাদু শেখের অনুগামীরা করেছেন। সেই রাতে তৃণমূলের ব্লক নেতা থেকে সর্বোচ্চ নেতাদের জানানো হলেও, তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়াননি।মৃতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিজেপি যা করছে, তা ঠিকই করছে। স্বজনহারা মিহিলাল শেখ বলেন, মৃতদের স্মরণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমরা স্বাগত জানাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে অ্যাডিনো সংক্রমণ নিয়ে বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adeno Virus) শিশু বলির সংখ্যা। তার পরেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্য সরকারের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে অধিবেশন চলাকালীনই বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার পরেও অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গেরুয়া বিধায়করা। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে একের পর এক শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। পরে বিষয়টি নিয়ে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি কেবল উদ্বেগজনক নয়, এটি সারা রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। তাই এরকম সময় এটি নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে সব কিছুই আড়াল করা হয়েছে। ভাইরাসে শিশু মৃত্যুর বিষয়টিকে তিনি কো-মর্বিডিটি বলে আড়াল করেছেন। এর পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে বলেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর নতুন করে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুুন: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন বিধানসভায় বিবৃতি দেন, সেদিন বিধানসভায় ছিলেন না বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে পদ্ম শিবিরের তরফে বলা হয়, তুঘলকি আচরণ করবেন বিধানসভায়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। আর অর্থবিল আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিলে কীভাবে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সম্ভব, তা একমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীই বলতে পারেন। প্রসঙ্গত, বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জন শিশুর। সকলের শরীরে অবশ্য অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share