Author: Krishnendu Bakshi

  • India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    India Pakistan: ‘সীমান্তে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে যোগ্য জবাব দেবে মোদির ভারত’, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক (Pakistan) মদতে জঙ্গি হানা হয়েছিল পুলওয়ামায়। বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে তার যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারত (India)। বর্তমানে ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা (India Pakistan) প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সীমান্তে বা কাশ্মীরে প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আগের মতো আর চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। পাকিস্তান যদি তাদের ভারত বিরোধী কৌশলের অঙ্গ হিসেবে সীমান্তে সন্ত্রাসমূলক কাজে লিপ্ত হয়, তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃ্ত্বাধীন ভারত সেনা নামিয়েই তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবে। ভারতের পূর্ববর্তী রক্ষণাত্মক অবস্থানের তুলনায় নতুন এই অবস্থান একেবারেই পৃথক বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ায় সঙ্কট আরও গুরুতর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

    কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মোদি সরকার… 

    কেন্দ্রের তখতে নরেন্দ্র মোদির সরকার আসার পর জম্মু-কাশ্মীর (India Pakistan) থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। তারপর থেকেই প্রায় শান্তি ফিরে এসেছে একদা অশান্তির ভূস্বর্গে। তবে মাঝে মধ্যেই কাশ্মীরে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের মদতেই বারবার হিংসার ঘটনা ঘটছে উপত্যকায়। পাকিস্তানের অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এর জবাব দিয়েছে ভারত।

    আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির রিপোর্ট অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করে গিয়েছে। নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হলে নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে কঠোর জবাব দিতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দু দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যায়। ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের (India Pakistan) সমর্থন করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারেন বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এর জবাব দিলেই দুদেশের মধ্যে বড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুুন: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই হামলার জবাব দেয় ভারত। ওই দিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করে। রিপোর্টে অবশ্য এও লেখা হয়েছে, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেই বর্তমানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী। নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারেও সদিচ্ছা দেখিয়েছে দুই দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) হল সিপিআইএম (CPM) নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। বুধবার নদিয়ার মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিস্তর টানাপোড়েনের পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির অধ্যাপক নেতা বলেন, অনুব্রত মণ্ডল হচ্ছে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। সুশান্ত ঘোষরা এক সময় এরকম ফাঁকা আওয়াজ দিত। যেটা এখন অনুব্রত দেয়। সঙ্গে আছে চড়াম চড়াম গুড় বাতাসা।

    সিপিএমকে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)…

    তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত বলতো বোম মারব, গুলি মারব। অনুব্রত সিপিআইএমের স্কুল থেকেই পড়া ও পাশ করা। সিপিআইএমের কাছ থেকেই এমন কথার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। এদিন বামেদেরও নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, অনুব্রতর তিহার যাত্রা নিয়ে সিপিএমের গর্ব হওয়া উচিত যে তারা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি অথচ তাদের ছাত্র দিল্লি পৌঁছে গেছে। তিহার জেলে তিন ভাই এক সঙ্গে থাকবে। তাদের দেখা হবে। ভারত মেলাও হবে তাদের। বহু দিন তারা আলাদা ছিল, এখন গরু দিয়ে কলা দিয়ে একই সূত্রে বাঁধা হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) মিটিয়ে দেব। বুধবার নদিয়ায় এসে এ কথা বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন হোলি উপলক্ষে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা। সুকান্ত বলেন, মুণ্ড কাটার প্রয়োজন নেই, চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ভুল বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।

    সম্প্রতি ভাঙড়ের পর নদিয়ার কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, এখন দুয়ারে বোমা, দুয়ারে গুলি প্রকল্প চলছে রাজ্যের শাসক দলে। যা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী ও নেতানেত্রীরা তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল সিপিএম নেতাদের ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলদের মতো অন্য তৃণমূল নেতারা বোমা মারব, গুলি মার বলে মানুষকে হুমকি দেয়। সিপিএম স্কুল থেকেই পাশ করে আজকের তৃণমূল নেতা তৈরি হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শাসকদলকে তোপ সুকান্তর…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন, এটা হতে পারে না। আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে। এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক’টা চাকরির টাকা খেয়েছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন৷

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উড়ান ধরলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে দিল্লি নিয়ে গেল ইডি। এর আগে বিমানবন্দরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁকে ইনহেলারও নিতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করেনি ইডি (ED)।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিনই অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁকে নিয়ে দিল্লি যেতে রাত হবে, তাই এদিন অনুব্রতকে রাখা হবে ইডি দফতরে। বুধবার পেশ করা হবে আদালতে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে ফের এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে অনুব্রতর। এ জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল কিংবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে সুস্থতার শংসাপত্র মিললে নিয়ে যাওয়া হবে ইডি দফতরে।

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীকে। সঙ্গে ছিল দুটি পাইলট কার। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছিল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    এদিন সকালে আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রতকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন কেউ কেউ। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    আরও পড়ুুন: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেই কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    Pakistan Hindu: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্লান হল হোলির উৎসব। পাকিস্তানে হোলি (Holi) উৎসব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা। লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের (Punjab University) ঘটনা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হোলি উৎসব পালন করতে যান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েকজন পড়ুয়া। উৎসব পালনে বাধা দেয় কট্টরবাদী ছাত্র সংগঠন। ঘটনায় জখম হন অন্তত ১৫ জন পড়ুয়া। ঘটনায় মর্মাহত সে দেশের হিন্দু সমাজ। ফের একবার বেআব্রু হয়ে পড়ল পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা।

    হিন্দু (Pakistan Hindu) ছাত্ররা…

    জানা গিয়েছে, লাহোরের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ল’ কলেজে হোলি উৎসব পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন ৩০ জন পড়ুয়া (Pakistan Hindu)। কাশিফ ব্রোহি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী পড়ুয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীরা ল’ কলেজের লনে জড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলামি জমিয়ত তুলবা কর্মীরা জোর করে তাঁদের হোলি পালনে বাধা সৃষ্টি করে। যার জেরে সংঘর্ষ বাঁধে। এর জেরেই ১৫ জন হিন্দু ছাত্র জখম হন। তিনি জানান, নিরাপত্তা রক্ষীরা চার-পাঁচজন হিন্দু পড়ুয়াকে জোর করে তাদের ভ্যানে তোলে। তাদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে দেয়নি। কাশিফের দাবি, হোলি উৎসব পালনের জন্য হিন্দু ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে উপাচার্যের অফিসের সামনে গেলে ফের এক প্রস্ত পড়ুয়াদের (Pakistan Hindu) মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হামলায় জখম হয়েছেন ক্ষেত কুমার নামে এক হিন্দু ছাত্র। তিনি বলেন, উপাচার্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের ওপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। তিনি জানান, ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসলামি জমিয়ত তুলবা ও নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পুলিশকে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    ইসলামি জমিয়ত তুলবার মুখপাত্র ইব্রাহিম শাহিদ হিন্দু ছাত্রদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংগঠন জড়িত নয়। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র খুররম শাহজাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কলেজের লনে হোলি উদযাপনের অনুমতি দেয়নি। তিনি বলেন, কোনও এক ঘরে হোলি উদযাপন করলে এই ঘটনা ঘটত না। উপাচার্য পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Summer: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    India Summer: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায়-কলমে বসন্তকাল। তবে মার্চের শুরুতেই তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। এপ্রিল-মে মাসে তাপমাত্রার পারদ কোথায় চড়বে, তা নিয়ে চিন্তিত আবহবিদরা। উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। তীব্র গরমের (India Summer) মোকাবিলা কীভাবে করা যাবে, তা নিয়ে সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সানস্ট্রোক সহ তীব্র গরমে অসুস্থদের তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য হাসপাতালে সব রকম ব্যবস্থা রাখা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তীব্র গরমের (India Summer) মোকাবিলা…

    এদিনের বৈঠকে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে আগামী দু মাস কী ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে, তাও জানানো হয়েছে। তীব্র গরমে কী ধরনের প্রভাব রবি শস্যের ওপর পড়েছে, আগামিদিনে ফসলের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা নিয়েও জানানো হয়েছে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত তাপমাত্রার (India Summer) পারদ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে এবং তাপপ্রবাহ হবে। উষ্ণ আবহাওয়ার প্রভাব কৃষিকাজেও পড়বে। যার জেরে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষক দুর্দশার শিকার হবেন সবাই। সমস্যা কীভাবে মেটানো যায়, তা ঠিক করতেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেচের জল সরবরাহ ঠিকঠাক রাখা, পশুখাদ্য ও জল সরবরাহ যাতে যথাযথ থাকে, সেটা দেখা হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে গরমকালে হাসপাতালে কী ধরনের ব্যবস্থা করা থাকছে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। গরমকালে কোনও দুর্যোগ হলে তার মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমে (India Summer) মানুষ কী করবেন, আর কী করবেন না, তা যেন জানিয়ে দেওয়া হয়। জিঙ্গল, সিনেমা, প্রচারপত্র এসবের মাধ্যমে এ বিষয়ে মানুষের কাছে প্রচার করা দরকার। আবহাওয়া দফতরকে তিনি জানান, প্রতিদিন যাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইস্যু করা হয়। সেটা যাতে সাধারণ মানুষও জানতে পারেন, তার ব্যবস্থাও করতে হবে। টিভিতে, এফএমে অন্তত অল্প সময় যাতে আবহাওয়ার জন্য ব্যয় করা হয়, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফুড কর্পোরেশনের হাতে যাতে পর্যাপ্ত শস্য মজুত থাকে, তাও দেখতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এবারের ফেব্রুয়ারি মাস সব থেকে গরম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কচুরি, স্পেশাল ল্যাংচা, রাজভোগ, শক্তিগড়ে রাজকীয় প্রাতরাশ অনুব্রতর

    Anubrata Mondal: কচুরি, স্পেশাল ল্যাংচা, রাজভোগ, শক্তিগড়ে রাজকীয় প্রাতরাশ অনুব্রতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কচুরি, ছোলার ডাল, স্পেশাল ল্যাংচা এবং রাজভোগ পুলিশ পরিবৃত হয়ে শক্তিগড়ে এভাবেই প্রাতরাশ সারলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এদিন তাঁকে বেশ মনমরা দেখাচ্ছিল। মঙ্গলবার দোলের দিন সকালে জেল থেকে বেরনো, শক্তিগড়ে (shaktigarh) হোটেলে দোকানে জলখাবার খেতে ঢোকা পুরো পর্বটাই সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি অনুব্রত। বরং খাবার সময় সংবাদ মাধ্যমকে দেখে বিরক্তিই প্রকাশ পায় অনুব্রতর চোখেমুখে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন সকালে অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। পাইলট কার সহযোগে তাঁকে নিয়ে কলকাতার পথে রওনা দেন জেল কর্তৃপক্ষ। পথে শক্তিগড়ের একটি খাওয়ার দোকানে দাঁড়িয়ে যায় অনুব্রতর গাড়ি। পুলিশি নিরাপত্তায় দোকানের ভিতরে চলে যান তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। এর পরেই অনুব্রতর টেবিলে চলে আসে চারটি কচুরি, ঘন ছোলার ডাল, ল্যাংচা এবং রাজভোগ। খাবার শেষে জল খেয়ে মুখ মুছে পুলিশের গাড়িতে গিয়ে বসেন অনুব্রত। গাড়ি রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে। ওই দোকানের কর্মী শেখ আমরুল হক বলেন, অনুব্রতকে চারটি কচুরি ও ছোলার ডাল দেওয়া হয়েছিল। তার পর স্পেশাল ল্যাংচা ও রাজভোগ। তিনি বলেন, আমাদের দোকানে উনি (Anubrata Mondal) আগেও এসেছেন। ঝালমুড়ি আর লাল চা খেতে ভালবাসেন। কিন্তু আজ আর চা খাননি।

    আরও পড়ুুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    চারটি কচুরি দেওয়া হলেও, অনুব্রত খেয়েছেন তিনটি। খাওয়ার সময় দুই যুবকের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। একজনের পরনে ছিল সবুজ পাঞ্জাবি, অন্যজন পরেছিলেন গেঞ্জি। তিনটি কচুরি খাওয়ার পর একটি তুলে দেন সবুজ পাঞ্জাবি পরা যুবকের হাতে। অনুব্রতদের খাবারের মোট বিল হয়েছিল ৯৯৫ টাকা। সেই বিল কে মেটালেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সবুজ পাঞ্জাবি যুবকটিই বা কে, তা নিয়েও ঘনিয়েছে রহস্য।

    এদিন সকাল ৬টা বেজে ৪০ মিনিটে কড়া পুলিশি প্রহরায় আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। তাঁকে নিয়ে ছটি গাড়ির কনভয় রওনা দেয় কলকাতার দিকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে জোকায় ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ফিটনেস সার্টিফিকেট মিললে, দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন অনুব্রত। আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে এসকর্ট করছে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। সেখানে ফিট সার্টিফিকেট মিললে তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেবেন জেল কর্তৃপক্ষ। তার পরেই বিমানে করে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হলেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে আসানসোল জেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে দুটি পাইলট কার। পাইলট কারের একটি কনভয়ের সামনে ও অন্যটি পিছনে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছে জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁদের। অনেকে আবার কটাক্ষও ছুড়ে দেয়। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    প্রথমে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সাড়া না পাওয়ায় ফের আসানসোল বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জেল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতায় নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মতো তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুব্রতকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সহগলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিকের। এদিন বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের নির্দেশে ফের পাঠানো (Primary TET Scam) হয় জেল হেফাজতে। হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার শতরূপা ও শৌভিককে তোলা হয় আদালতে। তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির (ED) আইনজীবী।

    মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী বলেন, মানিক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে হাওয়ালা চক্রের যোগ রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইডি জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে মানিকের হাতে আসতে থাকে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা। এর পরেই স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যেতে শুরু করেন মানিক। বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা, চিন, সাউথ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপের মতো দেশও ঘুরেছেন মানিকের পরিবার। ইডির হিসেব অনুযায়ী, বছর দশেক ধরে মানিকের পরিবার কেবল বিদেশ ভ্রমণের জন্যই অন্তত ৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

    মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথিপত্র দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে বিদেশ ভ্রমণের তথ্য গোপন রাখতে চেষ্টার কসুর করেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। ইডি জানিয়েছে, প্রত্যেকবার মানিকের পরিবারের বেড়ানোর খরচ আসত যে দেশ যেতেন, সেই দেশের হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে কলকাতায় হাওয়ালা চক্রকে আগাম টাকা দিয়ে দিতেন মানিক। সেই হাওয়ালা চক্রের চাঁইরা মানিককে জানিয়ে দিতেন, কোন শহরে হাওয়ালা চক্রের নেটওয়ার্কে কে রয়েছেন। তাঁদের ঠিকানাও জানিয়ে দেওয়া হত। সেই মতো বিদেশে গিয়ে হাওয়ালা অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন মানিক। আগাম দিয়ে দেওয়া কোড নম্বর জানালেই হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে টাকা চলে যেত মানিকদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    তদন্তকারীরা মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট অনুযায়ী ভ্রমণের তারিখ খতিয়ে দেখেন। সেই তারিখগুলিতে মানিকদের ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়। তখনই স্পষ্ট হয় হাওয়ালার বিষয়টি। দেখা যায়, বিদেশ ভ্রমণ চলাকালীন এটিএম কার্ড দিয়ে কোনও টাকা মানিকরা তোলেননি। আবার প্রচুর নগদ টাকা নিয়ে তাঁরা বেড়াতে গিয়েছিলেন, এমন প্রমাণও মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থবিল নিয়ে আলোচনার আগে ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। পরে বিধানসভা কক্ষে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখানোর পর ওয়াকআউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)… 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৬টি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলাম। স্পিকার জানালেন, ওঁর পক্ষে প্রস্তাব জমা পড়েছে। কিন্তু এটা নিয়মবিরুদ্ধ। আমরা আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ যা নেওয়ার আমরা নেব। বিধানসভায় বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছি আমরা।    

    কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়?

    এদিন অধিবেশনের শুরুতে অধিবেশন কক্ষে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়? এটা কি গণতন্ত্র? এর পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে ১২ বছর কোনও আলোচনা হয়নি। বাজেট আলোচনায় এই দফতরগুলোকেও রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলবে। সেখানে মোট ৬টি দফতরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এদিন বিধানসভা থেকে হেঁটে শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়করা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী ও অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

    বিধানসভায় পুলিশবাহিনী কেন?

    বিধানসভায় বিনা অনুমতিতে পুলিশবাহিনী কেন? এ প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দাবি মঞ্চ থেকে হেঁটেই বিধানসভায় ফেরেন শুভেন্দু। বিধানসভায় প্রবেশের পরেই দেখতে পান কয়েকজন উর্দিহীন পুলিশ কর্মীকে। হাতে লাঠি থাকা ওই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, আপনারা কারা? তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনী? বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাদের? যদিও তার সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে ওই পুলিশকর্মীরা বিধানসভা চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুভেন্দুর অভিযোগ, এভাবে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারে না। অথচ ওখানে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছিল না। আর গুন্ডাদের পেটানোর লাঠি ছিল তাদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share