Author: Krishnendu Bakshi

  • Justice Chandrachud: “ভোরে উঠে যোগা করি, ভেগান খাই”, সুস্থ থাকার ঝাঁপি খুললেন চন্দ্রচূড়

    Justice Chandrachud: “ভোরে উঠে যোগা করি, ভেগান খাই”, সুস্থ থাকার ঝাঁপি খুললেন চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে যোগা করেন তিনি। তাতে ভালোও আছেন। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির কোনও কর্মী কিংবা সমর্থক নন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুগামীও নন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Justice Chandrachud)। বৃহস্পতিবার আয়ুশ হলিস্টিক ওয়েলনেস সেন্টারের উদ্বোধন করেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এই অনুষ্ঠানেই তিনি তুলে ধরেন নিজের দিনলিপি।

    ‘যোগা প্র্যাকটিশ করি’

    চন্দ্রচূড় বলেন, “আমি যোগা প্র্যাকটিশ করি। এজন্য ভোর সাড়ে তিনটেয় ঘুম থেকে উঠি। গত পাঁচ মাস ধরে আমি ভেগান ডায়েট (দুধ জাতীয় দ্রব্য বাদে নিরামিষ খাবার) মেনে চলছি। আমি সম্পূর্ণভাবে একটি নিরামিষ ডায়েট অনুসরণ করেছি ও আমি এটি চালিয়ে যাব। আমি জীবনের সামগ্রিক জীবনশৈলীর দিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছি, যেটা আপনি যা খান, তা থেকে শুরু হয়।”

    ‘অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নিইনি’

    কোভিড-পর্বে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি (Justice Chandrachud)। তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। দিয়েছিলেন আশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমার মনে হয় আপনি কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন এবং আমি আশা করি সব কিছু ঠিক আছে। আমি বুঝতে পারছি যে আপনি ভালো নেই। তবে আমরা সব কিছু করব। একজন বৈদ্য রয়েছেন, যিনি আয়ুশের সেক্রেটারিও। আমি তাঁর সঙ্গে একটি ফোনের ব্যবস্থা করব, যিনি আপনাকে ওষুধ ও সমস্ত কিছু পাঠাবেন।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমি তিনবার করোনা সংক্রমিত হয়েছিলাম। একবারও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ নিইনি।”

    আরও পড়ুুন: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের

    সুস্থ থাকতে যোগাভ্যাস যে জরুরি, তাও জানান শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, কেবল বিচারক ও তাঁদের পরিবার নয়, আদালতের সব কর্মীরও এমন জীবনশৈলী মেনে চলা উচিত। তাঁদের মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে পারি গোটা দেশে।” চন্দ্রচূড় বলেন, “এক বছর আগে আমি পঞ্চক্রম অনুশীলন করতে শুরু করি। আবারও শুরু করেছি। সুপ্রিম কোর্টে আমাদের সদস্য রয়েছেন দু হাজারেরও বেশি। আমাদের সহকর্মী এবং ৩৪ জন বিচারপতিও রয়েছে। নিত্যদিন আমাদের প্রচুর স্ট্রেসের মধ্যে কাজ করতে হয়। এই স্ট্রেস দূর করতেই নিয়মিত যোগা অভ্যাস করা জরুরি বলেও জানান দেশের প্রধান বিচারপতি (Justice Chandrachud)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকবর-সীতা বিতর্ক এড়াতে রাজ্যকে সিংহের নাম বদলের পরামর্শ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার রাজ্যের উদ্দেশ ওই সিংহ দম্পতির নাম বদলে দিতে বলেন। বৃহস্পতিবার মামলাকারীকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে মামলা দায়ের করার নির্দেশও দেন তিনি।

    কী বললেন বিচারপতি?

    এদিন মামলাটির শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। বিচারপতি ভট্টাচার্য (Calcutta High Court) বলেন, “কারা এই নাম রেখেছেন? কারা এত বিতর্ক তৈরি করছেন? কোনও পশুর নাম কি কোনও দেবতা, পৌরাণিক নায়ক, স্বাধীনতা সংগ্রামী অথবা নোবেলজয়ী ব্যক্তির নামে রাখা যায়? সিংহ-সিংহীর নাম আকবর ও সীতার নামে রেখে শুধু শুধু বিতর্ক ডেকে আনা হয়েছে। এই বিতর্ক এড়ানো যেত। শুধু সীতা নয়, আকবর নামটিও রাখা উচিত নয়। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের মহান সম্রাট ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষ এবং ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজ্যের উচিত ছিল এই ধরনের নামের বিরোধিতা করা।”

    বিচারপতির গুচ্ছ প্রশ্ন

    আলিপুর চিড়িয়াখানর প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বলেন, “কত সাধারণ নাম রয়েছে, যা নিয়ে বিতর্ক হয় না। আলিপুর চিড়িয়াখানায় একটি সিংহীর নাম শ্রুতি, তা নিয়ে তো বিতর্ক হয় না।” বিচারপতি বলেন, “আপনি কি কোনও সিংহের নাম দেবেন হিন্দুদের কোনও দেবতার নামে? অথবা কোনও মুসলমান প্রফেটের নামে? কিংবা খ্রিস্টানদের দেবতার নামে? অথবা কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে? কিংবা কোনও নোবেলজয়ীর নামে? সাধারণত আমাদের দেশে যাঁরা শ্রদ্ধার পাত্র কিংবা বিখ্যাত তাঁদের নামে?”

    আরও পড়ুুন: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজল জুলজিক্যাল পার্ক থেকে জলপাইগুড়ির সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয় ওই সিংহ দম্পতিকে। সিংহটির নাম আকবর, সিংহীর নাম সীতা। সেখানে তাদের একই ঘেরাটোপে রাখা হয়। সিংহ দম্পতির এই নামে আপত্তি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অভিযোগ, এক ঘেরাটোপে এই নামের সিংহ ও সিংহীকে রেখে আঘাত করা হয়েছে ধর্মীয় ভাবাবেগে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানের দখল করা খেলার মাঠের পর এবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমি ফরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন। ভূমি এবং ভূমি সংস্কারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দখলকৃত জমির প্রকৃত মালিকদের চিহ্নিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ৯ জনকে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘমেয়াদী বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তদন্তকারী অফিসারদের মাথা ফাটানো হয়। একই ভাবে সেনা জওয়ানদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে শেখ শাহজাহান এবং অনুগামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল, বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে পার্টি অফিসে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকাবাসীরা ব্যাপক ভাবে সরব হয়ে ওঠেন। পুলিশ গ্রেফতার না করায় শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ লক্ষ্য করা যায়। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধেও গতকাল প্রতিবাদী হন মহিলারা। তাঁর আলাঘরেও দেওয়া হয় আগুন। যদিও শিবু-উত্তমকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও শাহজাহান এখনও পালাতক। রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শন করলেও এখনও ধরা পড়েনি এই তৃণমূল নেতা।

    জমির জরিপের পর শুরু কাজ (Sandeshkhali)

    গতকাল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের দখল করা ফুটবল খেলার মাঠ প্রশাসন এলাকার মানুষের কাছে হস্তান্তর করেছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’-এর উপর চুনকাম করে মুছে দেওয়া হয়েছে। মাঠের তালা খুলে দেওয়া হয় সকলের জন্য। ইতিমধ্যেই গত বুধবার রাত থেকেই পুলিশ টহল চালিয়েছে এলাকায়। একইভাবে মাঠের জমির জরিপের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরপর আগের অবস্থায় জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এই ভাবেই অশান্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতিকে শান্ত করার প্রক্রিয়া করা হবে বলে আরও মনে করা হচ্ছে প্রশাসন।

    আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি জমি ফেরত?

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমির প্রকৃত মালিকের জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও এই জমি ফেরানোর কাজটি অত্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। তবে এলাকার মানুষের দাবি “আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি করে এই জমি ফেরানোর কাজ করছে প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসন, তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে এখন সক্রিয় হয়েছে।” সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত মোট নয়জনের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার থানার এসপি জানিয়েছেন, যাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জমিই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • China: ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় ফের বাড়ি বানাচ্ছে চিন!

    China: ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় ফের বাড়ি বানাচ্ছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় ফের বাড়ি বানাচ্ছে চিন (China)। সীমান্ত সমস্যা মেটাতে বর্তমানে দু দেশের মধ্যে চলছে আলাপ আলোচনা। তার মধ্যেই সিঁধ কেটে চলেছে বেজিং। জানা গিয়েছে, বিতর্কিত ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই তিনটি গ্রাম গড়ে ফেলেছে লালফৌজ। রবিবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে চিনা দৈনিক মর্নিং পোস্টে।

    সিঁধ কাটার ছবি উপগ্রহ চিত্রেও

    ভুটান সীমান্তে চিন যে গ্রাম গড়ছে, কিছু দিন আগেই তা জানা গিয়েছিল উপগ্রহ চিত্রে। বেয়ুল খেনপাজং অঞ্চলে নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গ্রাম গড়ছে চিন। কেবল এই অঞ্চলে নয়, ভুটানের উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণ পশ্চিম ভূখণ্ডে চিন ক্রমশ দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেশী দেশ (এক্ষেত্রে ভুটান) দুর্বল জেনেই তাদের এই পদক্ষেপ। খুব (China) কৌশলে ভুটানের জমি দখল করছে চিন। জমি দখল করার পাশাপাশি ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনাও চালাচ্ছে বেজিং। যার অর্থ, পিছু হটার বদলে ওই অঞ্চলে নির্মাণকাজ বহাল রাখার প্রশ্নে অনড় মনোভাব নিচ্ছে ড্রাগনের দেশ।

    চলছে নির্মাণ কাজ

    একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, হিমালয়ের কোলে প্রত্যন্ত গ্রামে চিন-ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় নির্মাণ কাজ করছে চিন। নতুন করে ১৮ জন চিনা নাগরিক তাঁদের জন্য নতুন করে তৈরি বাড়িতে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। বাড়িগুলিতে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবিও টাঙানো হয়েছে। চিনা ও তিব্বতি ভাষায় লেখা লাল উজ্জ্বল রংয়ের ব্যানারও। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফায় লোকজন ঢোকে সীমান্তে চিনের তৈরি ওই বাড়িগুলিতে। দ্বিতীয় দফায় ঢুকবেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুুন: তিন বছরেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় তিনে আসবে ভারত, বলছে সমীক্ষা

    গৃহপ্রবেশের অপেক্ষা করছেন তাঁরাই। রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, বিতর্কিত এলাকায় চিন অন্তত তিনটি গ্রাম বানিয়েছে। তিব্বত অটোনোমাস রিজিয়নে স্থানীয় প্রশাসন ক্রমেই দখল করে চলেছে এলাকা। চিন এই সিঁদ কাটা নীতি প্রয়োগ করেছিল ভারতের ক্ষেত্রেও। তবে সেটা ভারত-চিন সীমান্তে নয়। সীমান্ত ঘেঁষে চিনের যে ভূখণ্ড রয়েছে, লাল ফৌজ নির্মাণকাজ চালাচ্ছিল সেখানেই। মার্কিন উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ভুটানের ওই বিতর্কিত এলাকায় ১৪৭টি বাড়ি বানিয়েছে চিন (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Global Brokerage Firm: তিন বছরেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় তিনে আসবে ভারত, বলছে সমীক্ষা

    Global Brokerage Firm: তিন বছরেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় তিনে আসবে ভারত, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কথাটা নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Global Brokerage Firm), বিভিন্ন সমীক্ষায়ও উঠে এসেছে যে তথ্য, সেটাই ফের প্রকাশ্যে এল আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সৌজন্যে। গ্লোবাল ব্রোকারেজ ফার্ম জেফেরিজ (Global Brokerage Firm) জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশের তালিকার তিন নম্বরে ঠাঁই করে নেবে ভারত।

    ১০ নম্বরে ছিল ভারত

    এই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে আমেরিকা। তার ঠিক পরেই রয়েছে চিন। বিশ্ব বাজারে অর্থনীতির টালমাটাল দশা চললেও, মোদি জমানায় পোক্ত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির ভিত। ২০১৪ সালে যখন কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার, তখন বিশ্ব অর্থনীতির তালিকার ১০ নম্বরে ছিল ভারত। মোদির দুই মেয়াদের জমানায় ভারতের জায়গা হয়েছে পাঁচে (Global Brokerage Firm)। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে ছ নন্বরে নামিয়ে ভারত জায়গা করে নেয় পাঁচে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদির আমলে জিডিপি বেড়েছে। তার জেরেই চাঙা হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। ওই ব্রোকারেজ ফার্মের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, জিডিপি বেড়েছে সাত শতাংশ। বর্তমানে তা পৌঁছে গিয়েছে ৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

    কী বলছে জেফেরিজ?

    জেফেরিজ নামের ওই ব্রোকারেজ ফার্মের অনুমান, আগামী চার বছরের মধ্যেই ভারতের জিডিপি বেড়ে হবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আর তা হলে জাপান এবং জার্মানিকে ছিটকে দিয়ে তিন নম্বর জায়গাটি দখল করবে ভারত। জানা গিয়েছে, জাপানে বর্তমানে চলছে মন্দা। আবার জার্মানির অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে স্লো-ডাউন। যদিও ভারতের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে শক্ত ভিতের ওপর। প্রত্যাশিতভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ভারতের জায়গা হবে ওপরের দিকে। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, ভারতের এই জিডিপি বৃদ্ধির কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শ্রমিকের জোগান, তেমনি রয়েছে স্থায়ী সরকার ও সুশাসন। জেফেরিজের দাবি, তাই ভারতের দিকেই আকৃষ্ট হচ্ছেন বিশ্বের লগ্নিকারীরা। এভাবে চলতে থাকলে ভারতের জিডিপির লেখচিত্র যে ঊর্ধ্বগামী হবে, তা বলাই বাহুল্য (Global Brokerage Firm)।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি থানার সামনে টানা দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ তাদের নৌকায় তুলল। পুলিশের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে নিয়ে নৌকা অনেকক্ষণ মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে আলোও জ্বালানো ছিল না। ফলে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

    উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে পৌঁছান সুকান্ত। বিজেপি কর্মী বিকাশ সিং-এর বাড়িতে দেখা করে সন্দেশখালি থানায় যান তিনি। কিন্তু ঢুকতে বাধা দিলে থানার সামনে অবস্থান করেন। এরপর তিনি বলেন, “শাহজাহান শেখ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে রাতভর চলবে বিক্ষোভ।” সরস্বতী পুজোর দিন যাত্রা শুরু করলেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। পথেই নিগ্রহের শিকার হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। 

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এলাকার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে শেখ শাহজাহান-উত্তম-শিবুর নাম জেনে গিয়েছেন সকলে। ওঁরা মাথা। কিন্তু ওঁদের নিচে একটা পরিকল্পিত টিম রয়েছে। পুরো কাজ করা হয়েছে এখানে পরিকল্পিত ভাবে। এলাকার আদিবাসীদের বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। জমির মালিকদের জমির উপর কোনও অধিকার নেই। নিচুতলার জিয়াউদ্দিন, সিরাজ, আল্মগীর এঁরাই হলেন আসল লোক। সকল দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। ভেড়ির লিজের টাকা কোথায় যাচ্ছে, কারা আদায় করছে জানতে হবে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা সরে গেলেই আবার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”

    উলুধ্বনিতে স্বাগত সুকান্তকে (Sukanta Majumdar)

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে যাত্রা শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তাঁকে একাই যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। অবশ্য এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অবশ্য দলের একজনকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে অনুমতি চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। এরপর একাই লঞ্চে ওঠেন। তারপরে সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর পর তাঁকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বাগত জানায় এলাকার মানুষ। এরপর এলাকার নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য শোনেন।

    উপসংশোধনাগারে বিজপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বসিরহাট উপসংশোধনাগারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে দেখা করতে না দিলে পরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির জোট হবে না”, কেন বললেন বিজেপি নেতা?

    BJP: “কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির জোট হবে না”, কেন বললেন বিজেপি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধে পূর্ণ। তাই কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির জোট হবে না।” এমনই মত পোষণ করলেন বিজেপির (BJP) উত্তরপ্রদেশের প্রধান ভূপেন্দ্র চৌধুরী। বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “সতেরোর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ভোটাররা যে জোটকে প্রত্যাখান করেছিলেন, সেই জোট এবার ম্যাজিক কিছু করে ফেলবে, তা কীভাবে সম্ভব?”

    ‘ইন্ডি’র অন্দরে অশান্তি

    বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে জোট বেঁধেছিল ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ‘ইন্ডি’। জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরা স্রোত বইছে ‘ইন্ডি’র অন্দরে। ‘ইন্ডি’ জোটে রয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও। রয়েছে কংগ্রেসও। সেই কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে দু’ দফায় তিরিশটিরও বেশি আসনে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ। সম্প্রতি সেই অখিলেশকেই ‘অখিলেশ ওয়াকিলেশ’ সম্বোধন করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    ভূপেন্দ্র বলেন, “কংগ্রেস অখিলেশকে অখিলেশ ওয়াকিলেশ সম্বোধন করেছে। আর অখিলেশের দল কংগ্রেসকে চালু পার্টি বলেছে। এই যখন অবস্থা, তখন দুই দলের জোট হবে কীভাবে?” উত্তরপ্রদেশে (BJP) অখিলেশের দল ১৭টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির প্রধান বলেন, “উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস সমাজবাদী পার্টিকে ১৭টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদের মাত্র একজন সাংসদ রয়েছেন, বিধায়ক রয়েছেন দুজন। এবং যাঁদের নেতারা উত্তরপ্রদেশকে ভার্চুয়ালি এড়িয়ে চলছেন। এটা প্রমাণ করে সমাজবাদী পার্টির আত্মবিশ্বাসের অভাব ঠিক কতটা। ভোটাররা জানতে চান, সতেরোর নির্বাচনে যে জোটকে মানুষ ছুড়ে ফেলেছিল, কোন জাদুবলে তাদের ফের গ্রহণ করবে মানুষ।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিই হোক পাখির চোখ, তাই কি বাতিল শাহি সফর?

    তিনি বলেন, “এই যে জোট, এটা ব্যর্থ হবে। কারণ এটি রাজনৈতিক দলের জোট, মানুষের নয়। এই জোটে রয়েছে এমন একটি দল যারা অযোধ্যায় করসেবকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। আর অন্য দলটি তো আবার ভগবান রামের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে।” কেবল অখিলেশের পার্টিই নয়, ‘ইন্ডি’ জোটের মধ্যে বিদ্রোহ করেছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও। জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তো আবার জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে ভিড়ে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তাই ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে জোটের অন্দরেও।

    এহেন জোট কীভাবে বিজেপিকে ধাক্কা দেবে, তা বুঝতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Murshidbad: নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন! দোষীকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ

    Murshidbad: নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন! দোষীকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় আসামিকে আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জেলা আদালত। উল্লেখ্য, বাবাকে খাবার দিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তার মধ্যেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল ওই নাবালিকা (Murshidbad)। শুধু ধর্ষণ নয়, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে তাকে খুনও করা হয়েছিল। ঘটনায় জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সর্ষেক্ষেতে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ (Murshidbad)

    ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) রানিনগর থানা এলাকায় এই নির্মম ঘটনা ঘটেছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, রাস্তার মধ্যে থেকেই তাঁদের মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে খুন করা হয়েছিল। ঘটনার দিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেলে থানায় নিখোঁজের কথা জানানো হয়েছিল। পরের দিন নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় পাশের সর্ষেক্ষেত থেকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে রানিনগরের স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তারপর পুলিশ তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য ধৃতদের মধ্যে দু’জনের বয়স ১৮ বছরের কম, তাই তাদের জুভেনাইল জাস্টিন বোর্ডে পাঠানো হয়। তাদের বর্তমানে হোমে রাখা হয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত এক জনেরই শাস্তি ঘোষণা করেছে আদলাত। বাকি দুজন নাবালক হওয়ায় মামলার রায় এখনও ঘোষণা হয়নি।

    কোন কোন ধারায় মামলা?

    এই নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ খুনের ধারা এবং ২০১ ধারায় প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ দায়ের করা হয়। আবার ৩৭৬-ডি ধারায় গণধর্ষণ, ৬ নম্বর পক্সো আইনে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। গত মঙ্গলবার মূল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মুর্শিদবাদ জেলা আদালত (Murshidbad)। এরপর গতকাল বুধবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদলাতের বিচারক দীপ্ত ঘোষ আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) হস্তক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। খুব শীঘ্রই এনআইএর তরফে দায়ের করা হতে পারে মামলা। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর খোঁজে হন্যে তদন্তকারীরা।

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বহিরাগত সমাজবিরোধী যোগ!

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, সন্দেশখালিকাণ্ডে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি যোগ ছিল বহিরাগত সমাজবিরোধীদেরও। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা, তার নেপথ্যে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা রয়েছে।

    মহিলাদের নির্যাতন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। সিআরপিএফের দুই জওয়ানও আহত হন শাহজাহানের ছোড়া ইটের ঘায়ে। এর পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলারা (Sandeshkhali Case)। জোর করে জমি গ্রাস করার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই ছিল সন্দেশখালির মহিলাদের দিনলিপি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে একটি গোপন ফাইল পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ফাইলে সন্দেশখালি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। ফাইল খোলা হলেই, প্রকাশ্যে আসবে সন্দেশখালিকাণ্ডের কালপ্রিটদের নাম। তদন্তের আঁচ লাগতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গায়েও। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের পাঁচ আইএএস-আইপিএসকে তলব করেছিল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালি এলাকা থেকে সীমান্ত খুব দূরে নয়। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনার যাবতীয় কিছু লুকোনো রয়েছে শাহজাহান ও তাঁর দুই শাগরেদের কাছে।

    শাহজাহানের শাগরেদরা গ্রেফতার হলেও, তৃণমূল নেতা অধরা। স্থানীয়দের একাংশের মতে, শাহজাহানই হল মূল চক্রী। উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরা নামে শাহজাহানের ওই দুই শাগরেদ (Sandeshkhali Case) সুন্দরী মহিলাদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি যেত বলে অভিযোগ। পরে দলীয় মিটিংয়ের অছিলায় পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত তাঁদের। কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা বলার পর তাঁদের মধ্যে বাছাই করা কয়েকজনকে নিয়ে তাঁরা চলে যেতেন পার্টি অফিসে কিংবা বাগানবাড়িতে। তার পর শুরু হত নির্যাতন। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন শিবু প্রসাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আগেই ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট আদালতে আজ বুধবার একটি গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় (Sandeshkhali)

    গত শনিবার শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকা থেকে। তাঁর অবর্তমানে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক সুকুমার মাহতো। গত ছয় বছর আগে দল, শিবুকে ব্লকের সভাপতি করেছিল। এরপর থেকেই তাঁর এলাকায় আধিপত্য বৃদ্ধি হতে শুরু করে। নানা দুর্নীতি, অসামাজিক কাজের প্রত্যক্ষ মদত দিতো শিবু। এরপর এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অপর দিকে ইডি, শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে আক্রান্ত হতে হয়। এরপরেই জমি জোর করে দখল করা, মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপর সেখানে শিবুর মুরগির খামারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষ প্রতিবাদে ভাঙচুর করে শিবুর বাগান বাড়িও। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আবার আদালতে পেশ করলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। একইভাবে তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ শ্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু পলাতক নেতা শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

    পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন ডিজি

    অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আইন শৃঙ্খলার বিষয়কে খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। সেখানে করা হবে একধিক বৈঠক। পাঁচ জায়গায় মোট ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি নজরদারি ইতিমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share