Author: Krishnendu Bakshi

  • Partha Chatterjee: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    Partha Chatterjee: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বিক্রির কোটি কোটি কালো টাকা (Black Money) সাদা করতে ব্যবহার করা হয়েছিল একাধিক ভুয়ো কোম্পানিকে। বেনামি সম্পত্তি কেনা, বিনিয়োগ, টাকা পাচারের মতো কাজে এই সব কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। আরও দাবি, চাকরি বিক্রির কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুল তৈরিতেও। পিংলায় রয়েছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল। এই বাবলি চট্টোপাধ্যায় পার্থের প্রয়াত স্ত্রী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই স্কুলেই অভিযান চালায় ইডি। তখনই ইডি দাবি করেছিল, নিয়োগ দুর্নীতির মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে তৈরি স্কুলে। কালো টাকা এভাবেই করা হয়েছে সাদা।

    বিসিএম…

    বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটি তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। স্কুলটির চেয়ারম্যান পার্থের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। চার্জশিটে ইডির দাবি, স্কুলের জন্য জমি কেনা ও ভবন নির্মাণের জন্য নগদে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন পার্থ। সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল তাঁর জামাইয়ের মাধ্যমে। পার্থর এই জামাইকেও বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, জমি কেনার পর থেকে নির্মাণসামগ্রী কেনা, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সবই করা হয়েছে কাঁচা টাকায়।

    আরও পড়ুুন: ফের অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! লুক আউট নোটিশ জারি ছেলে সৌভিকের বিরুদ্ধে

    এদিকে, নিয়োগ তদন্তে ইডির নজরে একটি ধূসর ডায়েরি। গত বছর ১৫ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ডায়েরির প্রথম পাতায় লেখা রয়েছে ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য দেওয়া টাকার হিসেব। প্রাইমারির জন্য ৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে তাতে। ইডি সূত্রের দাবি, এই টাকা দেওয়া হয়েছিল যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে। টাকার অঙ্কের পাশে রিসিভড লেখার নীচে তারিখ দিয়ে কুন্তলের সই রয়েছে। আপার প্রাইমারির হিসেব রয়েছে তার পরের পাতায়। ডায়েরিতে লেখা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপার প্রাইমারিতে চাকরির জন্য কুন্তলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এখানেও স্বাক্ষর রয়েছে কুন্তলের। সই মেলাতে হস্তলিপি বিশারদদের সাহায্য নিতে চলেছে ইডি। ধূসর ওই ডায়েরি থেকে এও জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের অনলাইন ট্রানজাকশনের মাধ্যমেও কুন্তলের কাছে গিয়েছিল কোটি কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PAFF: ‘আমাদের সম্পদ চুরি করলে হামলা হবে’, কাশ্মীরে লিথিয়াম ভাণ্ডার নিয়ে হুমকি পাফের

    PAFF: ‘আমাদের সম্পদ চুরি করলে হামলা হবে’, কাশ্মীরে লিথিয়াম ভাণ্ডার নিয়ে হুমকি পাফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) মিলেছে লিথিয়ামের (Lithium) বিপুল ভাণ্ডার। দিন তিনেক আগে উপত্যকায় মেলা এই সাদা সোনার ভাণ্ডারের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যেই হুমকি দিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গী পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF)। রীতিমতো চিঠি লিখে ওই জঙ্গি সংগঠন জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে যে সব সংস্থা লিথিয়াম উত্তোলন করে ব্যবসার কাজে লাগাবে, তাদের ওপর হামলা হবে। প্রসঙ্গত, এই জঙ্গি সংগঠন প্রায়ই নিরাপত্তা রক্ষী, রাজনৈতিক নেতা এবং ভিন রাজ্য থেকে জম্মু-কাশ্মীরে কাজে আসা লোকজনকে হুমকি দেয়।

    জম্মু-কাশ্মীর…

    ৯ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ভূতত্ত্ব সমীক্ষকরা জানান, জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসিতে প্রায় ৬ মিলিয়ন টনের লিথিয়াম ভাণ্ডার রয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানায়, দেশের মধ্যে এই প্রথমবার লিথিয়াম খনির সন্ধান মিলেছে কাশ্মীর উপত্যকায়। লিথিয়াম ও সোনা মিশ্রিত ৫১টি খনিজ ব্লক সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই পাফের (PAFF) তরফে সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়, নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে একজোট হোন সকলে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, এই সম্পদ জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের। এটা জম্মু-কাশ্মীরবাসীর কল্যাণের কাজে ব্যবহৃত হবে। কোনও কুৎসিত হিন্দুত্ব চোরকে আমাদের সম্পদ চুরি করতে দেওয়া হবে না। পরে এটা নিয়ে আমাদেরই হত্যা করবে। ভারতীয় কোম্পানি যারা জম্মু-কাশ্মীরের ঘোলা জলে মাছ ধরতে আসবে, তাদের কেবল জম্মু-কাশ্মীর নয়, ভারত মায় ভারতের বাইরেও প্রতিশোধ নেওয়া হবে। যারা আমাদের চেনে, তারা জানে আমরা যা বলি, তা করি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও একটি জায়গা থেকে চিঠিটি (PAFF) লেখা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জইশের সঙ্গী এই সংগঠনটি উপত্যকার উন্নতি সাধন করবে এবং কোনও ভারতীয় সংস্থা যাতে তাদের নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে নিয়ে যেতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করবে। কেউ সে কাজ করলে তাদের ওপর হামলা হবেই। চিঠিতে ড্রোনের ছবিও দেওয়া হয়েছে। এই ছবি দিয়ে জঙ্গিরা বার্তা দিতে চাইছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন ঘটনার ওপর নজর রয়েছে তাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • PM Modi: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন মোদি

    PM Modi: কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। চার বছর আগে ঠিক এই দিনে কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০জন সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান। মঙ্গলবার সেই শহিদদেরই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এনিয়ে একটু ট্যুইটও করেন তিনি। তাতে লেখেন, আজকের দিনে পুলওয়ামায় যে বীরদের হারিয়েছি, তাঁদের স্মরণ করছি। তাঁদের এই আত্মত্যাগ আমরা কোনওদিন ভুলব না। তাঁদের সাহস আমাদের শক্তিশালী দেশ গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করে।

    সিআরপিএফ…

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরক ঠাসা একটি গাড়ি নিরাপত্তা বাহিনীর ওই কনভয়ে হামলা চালায়। শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। জখমও হন বেশ কয়েকজন জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করে মাসুদ আজাহারের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ।

    প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পুলওয়ামার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, আমি সেই সাহসী জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যাঁরা ২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় তাঁদের জীবন দিয়েছেন। জাতি তাঁদের আত্মত্যাগকে ভুলতে পারবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের বীরত্ব ও অদম্য সাহস সব সময় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিন। এদিন এই নারকীয় ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল ভারতবাসী। বিশ্বজুড়ে উঠেছিল নিন্দার ঝড়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। তদন্তে উঠে আসে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের নাম। পাল্টা আঘাত করে ভারত। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ারস্ট্রাইক করে ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তানের বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি। ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর ফি বছর পুলওয়ামার শহিদদের শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    উনিশের ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর বাইশ সালের অক্টোবর মাসেও ফের রক্তাক্ত হয় উপত্যকা। পুলওয়ামা জেলায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন এক পুলিশ কর্মী। জখম হন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের এক কর্মী। কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে জানানো হয়, পুলওয়ামার পিঙ্গলানায় সিআরপিএফ ও পুলিশ যৌথভাবে নাকা চেকিং চালানোর সময় গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। শহিদ হন এক পুলিশ কর্মী। জখম হন সিআরপিএফের এক জওয়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: ‘গণনার দিন বেলা ১২টার আগেই বিজেপি মেজরিটি পেয়ে যাবে’, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    Amit Shah: ‘গণনার দিন বেলা ১২টার আগেই বিজেপি মেজরিটি পেয়ে যাবে’, আত্মবিশ্বাসী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গণনার দিন বেলা ১২ বাজার আগেই বিজেপি (BJP) মেজরিটি পেয়ে যাবে। ত্রিপুরার (Tripura) ভোট নিয়ে এই আশাই ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। পুরো মেজরিটি নিয়ে বিজেপি যে ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসছে, সে ব্যাপারে আশাবাদী শাহ। আগামী পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হবে, সেসব পরিকল্পানই করা হচ্ছে বলেও জানান শাহ। সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি এও বলেন, ভোট গণনার দিন বেলা ১২টা বাজার আগেই বিজেপি মেজরিটি পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে বিজেপির চলো পাল্টাই স্লোগান ক্ষমতায় আসার স্লোগান ছিল না। ত্রিপুরার পরিস্থিতি বদলানোই লক্ষ্য ছিল।

    ত্রিপুরা…

    টানা পঁচিশ বছর ধরে ত্রিপুরার ক্ষমতায় ছিল বামেরা। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পালাবদল হয়। বামেদের হঠিয়ে ত্রিপুরার কুর্সিতে বসে বিজেপি। তার পর থেকে রাজ্যে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। প্রসঙ্গত, ৬০ আসন বিশিষ্ট ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। ৬০টি আসনের মধ্যে বিজেপি লড়ছে ৫৫টি আসনে। বাকিগুলিতে লড়ছে জোট সঙ্গী আইপিএফটি। শাহ (Amit Shah) জানান, বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবে না জেনে জোট বেঁধেছে বাম এবং কংগ্রেস। এটা আমাদের দলের ভাল অবস্থায়ই বোঝাচ্ছে। তিনি বলেন, গত বারের চেয়ে এবার আমাদের ভোট আরও বাড়বে। আমাদের হারাতে পারবে না জেনেই হাত মিলিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস। এ রাজ্যে মেজরিটি নিয়েই সরকার গড়ব আমরা।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলো পাল্টাই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরার পরিস্থিতি বদলাতে। বাম আমলে সরকারি চাকুরেরা পে কমিশন নির্ধারিত বেতন পেতেন না। আমরা সপ্তম পে কমিশন চালু করেছি। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় হিংসা বন্ধ হয়েছে আমাদের আমলে। সীমান্তে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় যে হিংসা নেই, এদিন তা মনে করিয়ে দেন শাহ। বলেন, ত্রিপুরা এখন হিংসা মুক্ত। ত্রিপুরার উন্নতির সময় এসে গিয়েছে। ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে কাজ করছে ডবল ইঞ্জিন সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের কল্যাণে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। তিনি (Amit Shah) বলেন, এখন উত্তর-পূর্বে কাঙ্খিত শান্তি বিরাজ করছে। বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিভিন্ন উপজাতির মানুষের প্রভূত কল্যাণ হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Murshidabad: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের সেই প্রধান শিক্ষক, ছেলে অধরা

    Murshidabad: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের সেই প্রধান শিক্ষক, ছেলে অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Teacher Recruitment Scam) গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির গোঠা এ আর হাইস্কুলের ঘটনায় চাঞ্চল্য। সোমবার ভবানী ভবনে আশিস তিওয়ারি নামে ওই প্রধান শিক্ষককে টানা সাত ঘণ্টা জেরা করা হয়। টানা জেরায় বেআইনিভাবে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে কবুল করেন ওই প্রধান শিক্ষক। এদিন বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। আশিষের ছেলে অনিমেষ অবশ্য এখনও পলাতক।

    সিআইডি…

    জানা গিয়েছে, আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে চিঠির কোনও জবাব দিচ্ছিলেন না তিনি। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর বাহাদুরপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সিআইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। বাড়িতে তখন তালা ঝোলানো ছিল। আশিসকে না পেয়ে হাজিরার নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। তার পরেই সোমবার সকালে ভবানী ভবনে হাজির হন ওই প্রধান শিক্ষক। সিআইডি সূত্রে খবর, এদিন জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন অনিয়ম করে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    প্রসঙ্গত, সুতির (Murshidabad)  স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে আশিসের ছেলে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কীভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেলেন অনিমেষ? উত্তরে নানা অসঙ্গতি ছিল আশিসের। কীভাবে বেতন পেতেন ছেলে? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর প্রথমে এড়িয়ে যান ওই প্রধান শিক্ষক। টানা জেরায় অবশ্য শেষমেশ স্বীকার করেন অনিয়ম করে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন ছেলেকে।

    সিআইডি সূত্রে খবর, এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি ছিল। তদন্তেও অসহযোগিতা করছিলেন। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জানুয়ারি মাসে এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তার আগে অনিমেষের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনিমেষ স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Amit Shah: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    Amit Shah: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) কিছু লুকোনোর নেই আর ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এ কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। আদানি (Gautam Adani) বিতর্কে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খোলেন শাহ।

    কংগ্রেসের অভিযোগ…

    কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি গৌতম আদানিকে সাহায্য করছে। তার জবাব দিতে গিয়েই শাহ বলেন, আড়াল করার বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তাঁর মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তিনি (Amit Shah) বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি দেখছে। একজন মন্ত্রী হিসেবে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কিন্তু এতে বিজেপির লুকোনোর কিছু নেই। এবং হওয়ার কিছু নেই।

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে আদানির। ২০১৪ সালের পর আদানি ৬০৯তম থেকে বিশ্বব্যাপী ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে আসেন। কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি আদানিকে বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশি চুক্তিতে সহায়তা করেছিলেন। তিনি আরও জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আদানি গত ২০ বছরে নির্বাচনী বন্ড সহ বিজেপিকে কত টাকা দিয়েছে। বিজেপির তরফে এর আগে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তিনি বলেন, ভারতের শেয়ার বাজার খুবই ভালভাবে নিয়ন্ত্রিত। একটি মাত্র ঘটনা, তা নিয়ে বিশ্বে যতই শোরগোল হোক না কেন, তা দিয়ে এই নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার বিচার করা যায় না। ওই ঘটনায় বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীর আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে বলেও আমি মনে করি না।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    প্রসঙ্গত, আদানিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। সেই আবেদনের শুনানিতে শনিবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কি আমরা ব্যবস্থা নেব? আমরা নীতিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তা সরকারের কাজ। তবে তিনি এও বলেন, আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। সরকারেরও এ বিষয়ে আগ্রহ থাকা প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি বলেন, শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও ভারতীয় লগ্নিকারীদের স্বার্থরক্ষা সম্পর্কে আশঙ্কার কথা আমরা সলিসিটর জেনারেলকে জানিয়েছি।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে কারচুপি করে সম্পদ বৃদ্ধির গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এদিন সে প্রসঙ্গে শাহের পরামর্শ, বিরোধীরা অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে কমল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination) দিয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ ছেলেমেয়ে (Student)। এবার সেটাই কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ড্রপ (Drop) নথিভুক্ত করা হয়েছে। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ড্রপ আউট বা স্কুলছুট কেউ হয়নি। এ বার অনেক ছাত্রছাত্রী যে টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সেটাও মনে রাখতে হবে। যদিও কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এই ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশই ড্রপ আউট।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা…

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। এবার সেই সংখ্যাটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন। পর্ষদের ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বয়সের কারণে অনেকে ভর্তি হতে না পারায় এবং করোনাকালে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার অভাবে প্রস্তুতি ঠিকমতো না হওয়ায় কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

    অন্যরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি। তিনি বলেন, নাম নথিভুক্ত করেও যে ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) দিচ্ছে না, তাদের অধিকাংশই স্কুলছুট। করোনার প্রকোপে গ্রামের বহু ছেলেমেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। অনেকে কাজে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন, নানা প্রকল্প চললেও, বহু স্কুলে লেখাপড়ার পরিকাঠামোই নেই। স্কুল পরিকাঠামোর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না। দেওয়াল চাপা পড়ে পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা…

    সরকার শিক্ষক নিয়োগে জোর না দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে বলেও মনে করেন কেউ কেউ। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিতেই ব্যস্ত। তার চেয়ে শিক্ষক নিয়োগের ওপর জোর দিলে ভাল হত। তিনি বলেন, এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Examination) ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যে বেশি, তার অন্যতম প্রধান কারণ কন্যাশ্রী প্রকল্প। ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেক মেয়ে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন কমল, তা জানতে স্কুল শিক্ষা দফতর সমীক্ষা করবে বলে শুক্রবার জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, নবম শ্রেণিতে নাম নথিভুক্তির পরেও কেন বহু পড়ুয়া মাধ্যমিকে বসার ফর্ম পূরণ করল না, তার কারণ জানতেই সমীক্ষা হবে। কোনও সরকারি সংস্থাকে দিয়েই সমীক্ষা করানো হবে বলেও জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: ‘ট্রিপল ট্রাবল থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন’, ত্রিপুরায় জানালেন শাহ

    Amit Shah: ‘ট্রিপল ট্রাবল থেকে উদ্ধার পেতে চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন’, ত্রিপুরায় জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ত্রিপুরায় (Tripura) দুটি জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত ওই জনসভায় তিনি ডবল ইঞ্জিন সরকারের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ত্রিপুরার চাঁদিপুর থেকে বিজয় সংকল্প যাত্রা থেকে বক্তব্য রাখেন শাহ।

    শাহি বচন…

    তিনি বলেন, ত্রিপুরার জন্য কমিউনিস্ট, কংগ্রেস ভাল কোনও কিছুই করতে পারে না। তিপ্রা মোথার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। শাহ বলেন, উন্নয়ন করতে পারে কেবল ভারতীয় জনতা পার্টিই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৭ বছর ধরে ত্রিপুরায় মানিক সরকার কী কী করেছেন, রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন। আপনি যদি কিছু করেও থাকেন, আপনার দলের লোকেরা এক আদিবাসী নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দিল। আপনার নাম তোলেননি। আর আপনিও ত্রিপুরার জন্য কিছু করেননি। তিনি বলেন, আমরা দুটি বিমানবন্দর বানানোর কাজ করেছি।

    আরও পড়ুুন: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    বাঁশ এক্সপোর মাধ্যমে বাঁশ চাষ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান শাহ। তিনি বলেন, মৎস্য সহায়তা যোজনার মাধ্যমে সব মৎস্যজীবীদের ছ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে প্রতি বছর। আগামী পাঁচ বছরে চা বাগানের শ্রমিকদের ১৬০০ বর্গকিমি জমি দেওয়া হবে বিনামূল্যে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, পিএম কিষান সম্মাননিধি যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার এখন দেশের কৃষকদের বছরে ছ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকে। আগামী বছর বিজেপি সরকার গঠন করলে এই টাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হবে।

    শাহ বলেন, ত্রিপুরা ট্রিপল ট্রাবলের মুখোমুখি হয়েছে। এই তিন ট্রাবল হল কংগ্রেস, সিপিএম এবং তিপ্রা মোথা। তিনি বলেন, আপনারা যদি ট্রিপল ট্রাবল থেকে উদ্ধার পেতে চান, তাহলে ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকারে ভোট দিন। শাহ বলেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে যখন এসেছিলাম তখন এখনকার সবাই কমিউনিস্টদের নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকত। পানীয় জলের সংযোগ নিতে হলে ওদের ক্যাডারদের কাছে যেতে হত, রেশন কার্ড, চাকরি পাওয়ার জন্যও ক্যাডারদের কাছে যেতে হত। ২৭ বছর পর ক্যাডারদের থেকে মুক্তি মিলেছে। তিনি (Amit Shah) বলেন, এইবার আর ক্যাডারদের ঢুকতে দেবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বদল হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে। রবিবার বঙ্গ সফরে এসে এই বার্তাই দিলের বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন বাংলার দুই জেলায় দুটি সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একটি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। অন্যটি বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পূর্বস্থলীর সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বাংলা সব সময় দেশকে দিশা দেখিয়েছে। এক সময় বলা হত বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ তা পরের দিন ভাবে। তিনি বলেন, জনসভার এই জনস্রোত বলছে, বদল আসছে। মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা।

    নাড্ডা বলেন…

    নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, আপনাদের বলতে চাই মোদিজির নেতৃত্বে কোথায় এগিয়ে গিয়েছে দেশ। যে ব্রিটেন আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছে, সেই ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে বিশ্বে পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মান্যতা পেয়েছি। একেই বলে বিকাশ। তিনি বলেন, আপনারা শুনতেন গাড়ি বানায় জাপান। এখন মোদির জমানায় জাপানকে পিছনে ফেলে তিন নম্বর গাড়ি উৎপাদক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, এক সময় আমরা ওষুধ বাইরের দেশ থেকে কিনতাম। এখন আমরা ওষুধ অন্য দেশকে দিই। তিনি বলেন, সব চেয়ে সস্তা ও উপকারী ওষুধ এখন ভারতই তৈরি করছে।

    আরও পড়ুুন: তিনবার ব্যর্থ হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের হচ্ছে দিল্লির মেয়র নির্বাচন

    এদিনের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, শস্য ভাণ্ডার বর্ধমানেই চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। তাঁদের মাথায় হাত। আলু স্টোরে রাখতে যাবেন, তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই তার দখল নিয়ে বসে আছে। তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজের দরজায় দরজায় তৃণমূল নেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের পয়সা দিলে তবেই বন্ড পাবেন। সুকান্ত বলেন, কোভিডে মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। অথচ এই সময়ে ভাইপোর রোজগার ছ গুণ বেড়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কোন ম্যাজিকে এটা সম্ভব হল? কয়লা ম্যাজিকে? না গরু ম্যাজিকে তাঁর রোজগার এত বেড়ে গেল? বিজেপি যে বাংলা ভাগের বিপক্ষে, এদিনের সভায় তা আরও এবার স্পষ্ট করে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, বিজেপির ঘোষিত নীতি হল বাংলাকে আমরা খণ্ডিত হতে দেব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share