Author: Krishnendu Bakshi

  • Hooghly: শিশুসন্তান হত্যাকাণ্ডে ধৃত মায়ের হয়ে সওয়াল করলেন না কোনও আইনজীবী

    Hooghly: শিশুসন্তান হত্যাকাণ্ডে ধৃত মায়ের হয়ে সওয়াল করলেন না কোনও আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) কোন্নগরে সন্তান হত্যাকাণ্ডে ধৃত মা এবং তাঁর বান্ধবীর হয়ে আদালতে সওয়াল করতে রাজি হননি কোনও আইনজীবী। স্বামীর অবশ্য স্পষ্ট দাবি, তাঁর স্ত্রীর যেন ফাঁসি হয়। আজ বুধবার দুপুরে শান্তা শর্মা এবং ইফফাক পারভিনকে তোলা হয় শ্রীরামপুর আদালতে। তদন্তের জন্য দুই জনকেই পুলিশ হেফাজতে চেয়েছে। আদালতে প্রশ্ন-উত্তরের পর ধৃত দুই জনকেই পুলিশের হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। ইতিমধ্যে হত্যার বিচার চেয়ে পোস্টার পড়েছে এলাকায়।

    শিশুর পিতার বক্তব্য (Hooghly)

    শ্রীরামপুর (Hooghly) আদলাত থেকে বেরিয়ে এদিন শিশু শ্রেয়াংশু শর্মার বাবা পঙ্কজ বলেন, “অপরাধীদের কঠিন শাস্তি চাই। যে খুন করেছে আমি চাই সব থেকে কঠিন শাস্তি হোক তার। ফাঁসি চাই। ১৩-১৪ বছর সাজা হলে আবার বেরিয়ে আসবে। এরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।”ছেলের মৃত্যু প্রসঙ্গে বাবা আরও বলেন, “ঘরের পাশে সিঁড়ির পাশে থাকা ইট, টেবিলে রাখা গণেশ মূর্তি দিয়ে আঘাত করে করা হয় ছেলেকে। এরপর রান্নাঘরের মধ্যে থাকা সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করে খুনিরা।” তবে শিশুর মা বলেন, “নিজের ছেলেকে কেউ মারতে পারেনা।” তাঁদের একমাত্র ছেলের খুন কেন হল সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজ করছে পুলিশ।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    কোন্নগরের (Hooghly) আদর্শনগরের আট বছরের শিশুহত্যার ঘটনায় একাধিক নানান রহস্য রয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য, “সম্পর্কের টানাপড়নের শাস্তি পেতে হয়েছে ওই শিশুকে। শিশুর মা এবং তার বান্ধবীর মধ্যে ছিল সমকামিতার সম্পর্কের সমীকরণ। তবে ঠিক কী কারণে শিশুকে খুন করা হয়েছে এই নিয়ে তদন্ত আরও বাকি রয়েছে।” 

    ১৬ ফেব্রুয়ারি খুন হয়

    ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ সন্ধ্যা বেলায় শ্রেয়াংশু খুন হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সময় বাবা এবং মা দুই জনেই ছিল না। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাবা বাড়িতে পৌঁছান। কিন্তু হাসপাতালে (Hooghly) নিয়ে যেতেই মৃত্যু হয় শিশুর। যদিও প্রথমে বাবার দাবি ছিল কেউ তাঁর ছেলেকে খুন করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    Pakistan: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের মতো ভাঙতে পারে পাকিস্তান। ঢের আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রায় একইরকম সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিলেন তালিবান আফগানিস্তানের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই। পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম দেখেছিল পাকিস্তান। ফের একই অবস্থা হতে পারে।”

    শরণার্থীদের পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ

    গত অক্টোবরের শুরুর দিকে প্রায় ১৭ লক্ষ শরণার্থীকে পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বরের এক তারিখের মধ্যেই তাঁদের পাকিস্তান ছাড়তে বলা হয়েছিল। এই শরণার্থীদের সিংহভাগই আফগান। মূলত তার পর থেকেই আফগানিস্তানের তালিবান শাসক ও ইসলামাবাদের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পড়শি দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এহেন আবহেই মিলল হুঁশিয়ারি। আফগানিস্তানে তালিবানের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী পাকিস্তানই। এক সময় তালিব নেতাদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তানই (Pakistan)। সাহায্য করেছে অর্থ দিয়েও। সময় গুণে সেই তালিবরাই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন আফগান মন্ত্রী?

    ১৬ ফেব্রুয়ারি এক জনসভায় শের মহম্মদ বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশটি শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে নিষ্ঠুরের মতো। সবাইকে বলা হচ্ছে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে।” এর পরেই তিনি বলেন, “যেভাবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান দু টুকরো হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।” আফগান তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আফগান শরণার্থীদের প্রতি পাকিস্তানের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    শের মহম্মদ বলেন, “আমরা কখনওই ডুরান্ডকে স্বীকৃতি দিইনি। একে কখনও স্বীকৃতি দেবও না। আজ আফগানিস্তানের অর্ধেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুরান্ড লাইনের অন্য দিকে রয়েছে আরও একটি অংশ। এই ডুরান্ড লাইন টেনেছিল ইংরেজরা। তারা এটা করেছিল আফগানদের বুকের ওপর দিয়ে।” তিনি বলেন, “আর আজ? আমাদের প্রতিবেশী দেশটি (Pakistan) শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে নিষ্ঠুরভাবে। তাঁদের বলা হচ্ছে দ্রুত তাঁদের স্বদেশে ফিরে যেতে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ঔদ্ধত্যের জেরে আরও একবার ভাঙন দেখতে হবে পাকিস্তানকে, যেমনটা দেখতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের জন্মের সময়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Punjab Farmers Agitation: হাইওয়েতে ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে কৃষক আন্দোলন নয়, জানাল আদালত

    Punjab Farmers Agitation: হাইওয়েতে ট্রাক্টর-ট্রলি নিয়ে কৃষক আন্দোলন নয়, জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাক্টর ও ট্রলি নিয়ে হাইওয়েতে আন্দোলন করতে পারবেন না কৃষকরা (Punjab Farmers Agitation)। মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট অনুযায়ীই এটা করতে পারেন না তাঁরা। মঙ্গলবার এই মর্মে রায় দিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালত এও জানিয়েছে, প্রত্যেকেই জানেন তাঁদের মৌলিক অধিকারের বিষয়টি। আন্দোলনকারী কৃষকদের সাংবিধানিক কর্তব্যটিও মনে করিয়ে দেয় আদালত।

    আন্দোলনে কৃষকরা

    ২৩টি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কৃষকরা যাতে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ান, সেজন্য সরকার পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। তার পরেও মেলেনি রফাসূত্র। যার জেরে আজ, বুধবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। যদিও যেসব জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে, সেসব তাঁরা ভাঙবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

    কী বলছে আদালত?

    তবে হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় আন্দোলনকারী কৃষকদের ভর্ৎসনা করে (Punjab Farmers Agitation) পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি যে চালানো যায় না, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত। মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া ও বিচারপতি লপিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। কেন পঞ্জাব সরকার হাইওয়েতে ট্রাক্টর নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভের অনুমতি দিল, সে প্রশ্নও তুলেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাস্তা বন্ধ করে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী উদয় প্রতাপ সিং। আন্দোলনকারী কৃষকরা যাতে এক সঙ্গে অনেকেই জড়ো হতে না পারেন, সেই বিষয়টি দেখতে পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সান্ধাওয়ালিয়া। আদালত এও জানিয়েছে, কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার নিশ্চয়ই রয়েছে, তবে সেজন্য তাঁদের কিছু রেস্ট্রিকশন মানতে হবে।

    এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের পরেও হাইওয়েতে ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়ে মিছিল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কৃষকরা। আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতাদের সাফ কথা, কৃষকদের আন্দোলনের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আন্দোলন হবে, এমএসপি আইন চাই। কেন্দ্র আইন না করলে, ট্রাক্টর, ট্রলি নিয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা (Punjab Farmers Agitation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাশিয়া কখনওই ভারতের ক্ষতি করেনি। বহু পশ্চিমি দেশই দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করে এসেছে।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এক জার্মান দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিত্র দেশ রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনত সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে হইচই পড়ে যেত। অতীতের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে প্রত্যেকে একটা সম্পর্ক তৈরি করে। আমি যদি স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব রাশিয়া কখনও আমাদের ক্ষতি করেনি। আমাদের সব সময় একটা স্থায়ী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই অভিজ্ঞতার ভিতের ওপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে মস্কোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।”

    পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করত পশ্চিমি বিশ্ব?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “বহু পশ্চিমি দেশই ভারত নয়, পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করত। তবে গত ১০-১৫ বছরে ব্যাপারটা বদলেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আমেরিকার কথা। আর রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইজরায়েল আমাদের প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।” প্রসঙ্গত, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। এটা যে যুদ্ধের সময় নয় পুতিনকে তা বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই আবহেই রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে চলেছে ভারত। তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্নও। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কেনার যে কোনও বিকল্প নেই, তাও জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি এও জানান, ইউরোপের দেশগুলি চড়া দরে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাস কেনে মধ্য এশিয়া থেকে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত বিশ্ব বাজার থেকে বাজার দরেই তেল কিনেছে। কেউ যদি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল না কিনত, সবাই যদি অন্য দেশগুলি থেকে তেল কিনত, তাহলে তেলের বাজার দর কোথায় চড়ত (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন তিনিই। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। প্রসন্ন ও তাঁর পরিচিতদের ৯০টি সংস্থা রয়েছে বলেও দাবি ইডির।

    গ্রেফতার প্রসন্ন

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। মুক্তি পেয়েছিলেন জামিনে। এদিন রাতে ফের হলেন গ্রেফতার। এবার অবশ্য ইডির হাতে। মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হয় নগর দায়রা আদালতে। সেখানেই ইডির দাবি, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের (SSC Recruitment Case) কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। ওএমআর শিটে কারচুপিও করতেন বলে দাবি ইডির।

    ওএমআর শিটে কারচুপি

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, কেলেঙ্কারি থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন প্রসন্ন। মোট ২ হাজার ৮১জনকে অবৈধভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ১৩৫জনকে। আর একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ৯৪৬জনকে। অনেক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। ইডি আরও জেনেছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১৮৩জনকে। ইডির দাবি, এই অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রসন্ন। তাঁর অফিস থেকে ৩৯০টি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬-২০২১ সালের মধ্যে প্রচুর টাকার সম্পত্তি কিনেছেন প্রসন্নর পরিবার। তাঁর সংস্থার নামেও কেনা হয়েছে সম্পত্তি। কারচুপি করা হয়েছে সম্পত্তির দামেও। ইডি জানিয়েছে, প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ২০০টি। সেগুলিতেও জমা করা হয়েছে প্রচুর নগদ টাকা।

    আরও পড়ুুন: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    প্রসন্নর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ। তিনি একজন মিডলম্যান। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে প্রসন্নকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hooghly: বৃদ্ধার জমি দখল করেই তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

    Hooghly: বৃদ্ধার জমি দখল করেই তৈরি হয়েছে খেলার মাঠ! অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধার জমি দখল করে খেলার মাঠ তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই। পালটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওঁই কাউন্সিলর। বৃদ্ধা স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র আশ্রয় হল এই জমি। এবার এই জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এমন ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) ডানকুনিতে। এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    হুগলির কোথায় ঘটেছে ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি (Hooghly) পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পাড়া এলাকায় বৃদ্ধার চার কাঠা জমি রয়েছে। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। বৃদ্ধা মঞ্জুদেবীর স্বামী কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুই ছেলে বাড়ির বাইরে থাকেন। বাড়িতে একমাত্র থাকেন তিনিই। ফলে চাপ দিয়ে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    বৃদ্ধার বক্তব্য

    মঞ্জুদেবী অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “আমার নিজের জমি জোর করে দখল করে রেখেছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (Hooghly) শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর অনুগামীরা। জায়গা দখল করার জন্য একাধিকবার আমাকে হেনস্থা করা হয়। নিজের জায়গাকে সুরক্ষিত রাখতে পুরসভার অনুমতি নিয়ে পাঁচিল দিয়েছিলাম। কিন্তু এই পাঁচিল ভেঙে দিয়েছিল ওঁই কাউন্সিলরের অনুগামীরা। একই ভাবে তা ভাঙার পর বসিয়েছে গাছ আর এরপর ফুটবল খেলার গোল পোস্ট পুঁতে দিয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি এবং পুরসভা সহ স্থানীয় বিধায়কদের কাছেও অভিযোগ জানিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন সাহায্য পাইনি।”

    অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) কাউন্সিলর জানিয়েছেন, “জায়গাটা আসলে খেলার মাঠ, পাড়ার সমস্যা কিন্তু আমার নাম কেন যুক্ত করা হল আমি বুঝতে পারলাম না। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। মঞ্জুদেবী আমাকে তো কিছু জানান নি।” আবার পুরসভার পুরপ্রধান হাসিনা শবনম বলেন, “মঞ্জুরানী পুরসভার অনুমতি নিয়ে নিজের জমিতে পাঁচিল দিয়েছেন। নিজের সীমানায় নিজের কাজ করার অধিকার রয়েছে। যাঁরা দখল করার চেষ্টা করছেন এবং বৃদ্ধাকে হেনস্থা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Farmers Protest: কেন্দ্রের সহায়ক মূল্যের প্রস্তাব নিয়ে কী বললেন আন্দোলনরত কৃষকরা?

    Farmers Protest: কেন্দ্রের সহায়ক মূল্যের প্রস্তাব নিয়ে কী বললেন আন্দোলনরত কৃষকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের কোনও লাভ হবে না। তাই সরকারের দেওয়া প্রস্তাব মানছি না।” কেন্দ্রের দেওয়া ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত প্রস্তাব (MSP) প্রসঙ্গে একথাই বললেন আন্দোলনকারী কৃষকরা (Farmers Protest)। 

    কী বলছেন কৃষকরা?

    পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্ত এলাকায় সাংবাদিক বৈঠক করেন কৃষকরা। সেখানেই তাঁরা বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে, আমরা তা খারিজ করেছি। কারণ, তাতে কৃষকদের কোনও লাভ হচ্ছে না।” কৃষক নেতাদের আন্দোলন যে এখনই স্তিমিত হচ্ছে না়, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গেল। কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পাণ্ডে বলেন, “সরকারের দেওয়া প্রস্তাব আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি। প্রতিবাদী কৃষকরা বুধবার থেকে ফের শান্তিপূর্ণভাবে দিল্লির দিকে পদযাত্রা (Farmers Protest) শুরু করবে।”

    আন্দোলন করবেন কৃষকরা

    কৃষক নেতা জানান, কৃষকদের পক্ষ থেকে সরকারকে কোনও পাল্টা প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। ২১ তারিখে তাঁরা দিল্লিতে যাবেন। সীমান্ত এলাকায় পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড যে তাঁরা ভাঙবেন না, তাও জানান আন্দোলনকারী কৃষকরা। সরকারের তরফে আগামী পাঁচ বছরের জন্য পুরানো ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেবল তিন ধরনের ডাল, ভুট্টা ও তুলো কেনার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। সরকারি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে কৃষকদের দাবি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চাই ২৩টি ফসলের ক্ষেত্রেই।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    রবিবার মধ্য রাতে শেষ হয়েছিল কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে চতুর্থ দফার বৈঠক। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “বৈঠকে কৃষক নেতারা জলস্তর নেমে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।” এজন্য শস্য বৈচিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন মন্ত্রী। কেন্দ্রের নয়া প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ধরুন গম ছেড়ে কৃষকরা যদি ডালের চাষ করেন, তাহলে ভারতকে কম পরিমাণ ডাল আমদানি করতে হবে। এতে মানুষের চাহিদাও মিটবে, মিটবে জলস্তরের সমস্যাও। মন্ত্রীর প্রস্তাব, এনসিসিএফ, এনএএফইডির মতো সমবায় সমিতিগুলি পাঁচ বছরের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে এবং শস্য বৈচিত্রের ক্ষেত্রে কাজ করবে। এই শস্যগুলির ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করবে সমবায়গুলি (Farmers Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    Sukanta Majumder: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর, কী বললেন সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    সুকান্তর অভিযোগ

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পেলেও, টাকিতে অচেতন হয়ে পড়ার পর সুরক্ষা ছাড়াই নিজেদের গাড়িতে করে বসিরহাট নিয়ে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এতে আমার সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “কে ধাক্কা দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। যতক্ষণ রাজনৈতিক সংঘাত চলছিল, তার জন্য আমি পুলিশকে দায়ী করছি না। সুকান্ত মজুমদারের ওপর লাঠিচার্জ করুন, পা ভাঙুন, কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর পুলিশ কী করেছে? প্রথমত, আমার গাড়িতে আমাকে হাসপাতালে যেতে দেয়নি। আমার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। দম থাকলে পুলিশ বলুক, আমি মিথ্যে কথা বলছি। আমার গাড়িতে পুলিশ উঠে যেতে পারত। বা আমার গাড়িকে সামনে পিছনে পুলিশ দিয়ে ঘিরে দিতে পারত। যাতে আমি অচৈতন্য অবস্থায় অন্য কোথাও চলে না যাই।”

    ‘জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই’

    রাজ্যের পাঁচ প্রশাসনিক কর্তার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমি জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাই। নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে নিশ্চয়ই। সরকার তো আর খেলা করার জন্য দেয়নি। আমাকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দু জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের কাছে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আমার আপ্তসহায়ককে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বাংলা জানেন না। আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তাঁদের বোঝাবে কে?”

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    সুকান্ত বলেন, “কপিল সিব্বল আজ আদালতে সওয়াল করে সাময়িক স্থগিতাদেশ এনেছেন। এরপর আমাদের উকিলরা আমাদের বক্তব্য বলবেন। চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করবেন। কপিল সিব্বল না কি বলেছেন আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছি। মিথ্যে কথা বলেছেন।” তিনি (Sukanta Majumder) বলেন, “টাকিতে কোথাও ১৪৪ ধারা ছিল না।”

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন শুভেন্দু, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ যে কোনও ব্যক্তি। সন্দেশখালির যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি নেই, সেই জায়গায় যেতে পারবেন তাঁরা। তাঁদের বাধা দিতে পারবে না পুলিশ-প্রশাসন (Calcutta High Court)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁদের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতেই পারে। তবে সেই বিধিনিষেধের বৈধতা যাচাই করবে আদালত। পাশাপাশি, বিএসএফকেও জানাতে হবে প্রয়োজনে বাড়তি নিরাপত্তা তারা দিতে পারবে কি না। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শুভেন্দুকে বাধা

    সন্দেশখালি যেতে গিয়ে আগে দু’ বার ব্যর্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের যুক্তি ছিল, ১৪৪ ধারা জারি করা এলাকায় তিনি গেলে বিঘ্নিত হতে পারে শান্তি। ১৪৪ ধারা রদ করতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে সিপিএম। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। পরে সন্দেশখালির কিছু জায়গা চিহ্নিত করে ফের ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

    আদালতে শুভেন্দু 

    পর পর দুদিন সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধা পান শুভেন্দু। ১৫ ফেব্রুয়ারি আবারও সন্দেশখালির পথে রওনা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Calcutta High Court)। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সঙ্গে নেন মাত্র তিন বিধায়ককে। সেদিনও অশান্তির আশঙ্কায় আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দুর গাড়ি। সরবেরিয়ায় তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের যুক্তি ছিল, শুভেন্দু এলাকায় গেলে প্রচুর মানুষ বেরিয়ে আসবেন। সেক্ষেত্রে নতুন করে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা। এর পরেই সেখান থেকে ফিরে এসে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    সোমবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। শুভেন্দুর আইনজীবীর সওয়াল, ভারতীয় সংবিধান যে কোনও নাগরিককে ভারত ভূখণ্ডের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার দেয়। কিন্তু শুভেন্দুকে সন্দেশখালিতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা সওয়ালে রাজ্যের যুক্তি, শুভেন্দু সন্দেশখালির বাসিন্দা নন। তাই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে মামলা করার অধিকার তাঁর নেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টও বলছে, শুভেন্দু সন্দেশখালি গেলে গোলমাল হতে পারে। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যেতে দিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sandeshkhali Incident: প্রিভিলেজ কমিটির তলব রাজ্যের ৫ কর্তাকে, স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Sandeshkhali Incident: প্রিভিলেজ কমিটির তলব রাজ্যের ৫ কর্তাকে, স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা সহ পাঁচ প্রশাসনিক কর্তাকে তলব করেছিল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (প্রিভিলেজ কমিটি)। তার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সোমবার তাতে স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন বিষয়টিতে আইনজীবী কপিল সিব্বাল দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের। একই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। তার পরেই স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে হামলা হয় বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি জানিয়ে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটিকে চিঠি দেন সুকান্ত। চিঠি দেন লোকসভার স্পিকারকেও। তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় অন্যায়ভাবে তাঁকে হেনস্থা করেছে পুলিশ।  

    স্বাধিকার রক্ষা কমিটির তলব 

    তার পরেই লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি মুখ্য সচিব ছাড়াও তলব করে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এবং বসিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁদের কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়। তার আগেই সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব।

    রাজ্য প্রশাসনের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাই এখনই তাঁদের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দিন পিছনোর আর্জিও জানানো হয় রাজ্যের তরফে। এর পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির নোটিশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জও করে নবান্ন।

    আরও পড়ুুন: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিতে মিটিংয়ের নামে মহিলাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত বলে অভিযোগ। প্রথমে কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হলেও, পরে বাছাই করা কয়েকজন মহিলাকে পার্টি অফিসে কিংবা এলাকার একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত। এই প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। সেই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াতেই সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share