Author: Krishnendu Bakshi

  • Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গতির সীমা নেই গ্যাস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim)! এক সময় যে হাতে গর্জে উঠত একে সাতচল্লিশ, এখন সেই হাতেই উঠেছে লাঠি। না, লাঠি চালানো শিখছেন না তিনি। আসলে লাঠির সাহায্য ছাড়া চলতেই পারছেন না গ্যাংস্টার। তার কারণ, পায়ে গ্যাংগ্রিন হওয়ায় বাদ দিতে হয়েছে পায়ের দুটি আঙুল। তার জেরে আপাতত লাঠিই ভরসা এই ডনের।

    মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ…

    এক সময় মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের ওপর একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন দাউদ। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনাও তাঁর। ওই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত হন তিনি। কড়া প্রহরায় করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয় তাঁর পায়ের দুটি আঙুল। বছর দুই আগে দাউদের প্রাক্তন সহযোগী এজাজ লাকদাওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গ্যাংগ্রিন হয়েছে দাউদের পায়ে। যদিও দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। ছোটা শাকিলের দাবি অবশ্য পরে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্বাবধানে করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় দাউদের (Dawood Ibrahim)। তখনই গ্যাংগ্রিন আটকাতে বাদ দেওয়া হয় পায়ের আঙুল। তার পরেই দাউদ কার্যত হয়ে পড়েন অথর্ব। যদিও মানসিকভাবে তিনি এখনও সক্রিয় রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    ডন যে বিষম বেকায়দায়, তা জানা গিয়েছে আরও একটি খবরে। ফি বার ঘটা করে ডনের জন্মদিন পালন করা হলেও, এবার তা হয়েছে নিতান্তই নিয়মরক্ষার। ২৬ ডিসেম্বর ডনের জন্মদিন। এক সময় তাঁর জন্মদিনে উপস্থিত থাকতেন পাকিস্তানের পদস্থ কর্তারা। উপস্থিত থাকতেন বলিউডের অনেক তারকাও। করাচির পশ ক্লিফটন এলাকায় ডিফেন্স কলোনিতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে হত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন করাচি, লাহোর এবং পাকিস্তানের অন্যান্য শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অথচ এবার? জানা গিয়েছে, এবার তেমন অনুষ্ঠান হয়নি। পাকিস্তানে থাকা তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়ায় দাউদ (Dawood Ibrahim) তাঁর অনেক ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন ভাই আনিস ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের হাতে। শাকিল রয়েছেন অপারেশনাল বিষয়গুলির দায়িত্বে। আর আনিস দেখাশোনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • West Bengal DA: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    West Bengal DA: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ (West Bengal DA) মামলা। বকেয়া ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন। গত বছর ডিসেম্বরে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। তার প্রায় এক মাস পর নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা। মামলাটি গিয়েছে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ১৬ জানুয়ারি, সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    গত বছর মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তাদের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ডিএ দিতে গেলে খরচ হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। যা তাদের পক্ষে বহন করা দুঃসাধ্য। এর পরেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্যের কর্মচারী সংগঠন।

    আরও পড়ুুন: মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল! ঠাঁই পেতে পারেন কারা, জানেন?

    বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্যের এই ডিএ মামলা (West bengal DA), প্রথমে সেটি সেখানেই ছিল। এই বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চেই ছিল এই মামলা। পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বেঞ্চ বদলের কথা জানানো হয়েছিল। পরে নয়া বেঞ্চ গঠন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইনজীবীদের একটি পক্ষ। আইনজীবীদের এই অভিযোগে অসন্তুষ্ট হয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই শুনানি বাতিল করা হয়।

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ক্রমশ বেড়েছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের তরফে ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই একটি রায় দেওয়া হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে সেই মামলা হলে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের রায়ই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে ডিএ (West bengal DA) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এদিকে, তিন মাসের মধ্যে ডিএ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে হাইকোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে ঘোষণা করা হয়েছিল শিল্পনগরী (Industrial Park) তৈরির জন্য জমি লিজ দেওয়ার কথা। আস্ত একটা বছর পার হয়ে গেলেও, সরকারের প্রস্তাবে তেমন কোনও উৎসাহ দেখাননি শিল্পপতিরা। মুখ বাঁচাতে এবার জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জমির দাম যে কমানো হচ্ছে, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তবে জমির দাম ঠিক কতটা কমানো হবে, সে ব্যাপারে কুলুপ এঁটেছেন সরকারি কর্তারা।

    শিল্পনগরী…

    গত বছর অগাস্ট মাসে শিল্পনগরী গড়তে শিল্পপতিদের ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় শর্তও ছিল। বলা হয়েছিল, শিল্পপতিদের ন্যূনতম পাঁচ একর জমি নিতে হবে। জমি বণ্টনের ৩০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে দামের ১০ শতাংশ। ঘোষণাই সার। তার পরেও শিল্পপতিদের মধ্যে শিল্পনগরী (Industrial Park) গড়তে তেমন কোনও উৎসাহ দেখা যায়নি। কারণ অনুসন্ধান করতে নামে রাজ্য সরকার। জানা যায়, রাজ্য সরকার নির্ধারিত জমির দর বাজারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এর চেয়ে জমির মালিকদের থেকে সরাসরি জমি কিনলে শিল্পপতিরা বেশি লাভবান হবেন। সেই কারণেই অবিক্রিত থেকে গিয়েছে সরকারি জমি।

    আরও পড়ুুন: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে সরকারের ‘কলঙ্কিত’ভাবমূর্তি। শিল্পপতিদের একাংশ রাজ্য সরকারে ভুল নীতি এবং দুর্নীতিকেও শিল্পনগরী না হওয়ার কারণ বলে ঠাওরেছেন। তার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা হয়েছে নিছক ফাঁকা বুলি। জমি রয়ে গিয়েছে পড়ে। অগত্যা দাম কমাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। চন্দ্রনাথ বলেন, রাজ্য সরকার দেখেছে বাজারের তুলনায় জমির দাম বেশি হচ্ছে। শিল্পপতিরা অনেকেই জানিয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয় মানুষ আরও আকৃষ্ট হবেন, এগিয়ে আসবেন। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও বস্তু নেই, সেখানে শিল্পপতিরা আসবেন না। একথা তো তাঁরা রাজ্য সরকারকে সরাসরি বলতে পারছেন না। তাই জমির দামকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করেছেন। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বিচারব্যবস্থাও ছাড় পাচ্ছে না। রাজ্য সরকার যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করেছিল, সেখানে ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Justice Rajasekhar Mantha: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    Justice Rajasekhar Mantha: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। কেবল তাই নয়, বিক্ষোভকারীদের আদালত অবমাননার রুলও জারি করলেন তিনি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আইনজীবীদের একাংশ।

    বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ…

    এদিন বিচারপতি মান্থা সোমবারের ঘটনাকে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, আইনজীবীদের একাংশ সোমবার যা যা করেছেন, তাতে উশৃঙ্খল মনোভাব দেখা গিয়েছিল। বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, হাইকোর্টের ১৩ নম্বর এজলাসের বাইরে যে সিসি ক্যামেরাগুলি রয়েছে, সেগুলির ফুটেজ সংরক্ষণ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে পাঠাতে হবে। সবটা দেখে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন ওই ঘটনায় কোনও ফৌজদারি মামলা রুজু হবে কিনা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি নিয়ে ধুন্ধুমার বাবুঘাট, গ্রেফতার সজল ঘোষ

    এদিকে, এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। সোমবার বিচারপতির কাজে বাধা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। এখন যে আইনজীবীরা আদালতে এসে বলছেন, সমস্যা মিটিয়ে নিতে, ওই দিন ঘটনার সময় সেই আইনজীবীরা এজলাস সচল করতে কোনও অনুরোধ করলেন না কেন? কেন তখন আন্দোলনকারীদের আন্দোলন তুলতে অনুরোধ করলেন না তাঁরা? আদালত সব কিছু নজর রাখছে। মন্তব্য প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের।

    এদিন সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চে কাজে বাধাই নয়, সামাজিকভাবে বিচারপতির মানহানিও করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিচারপতির বাড়ির বাইরে রঙিন পোস্টার সাঁটানো হয়েছে, কুৎসা রটানো হচ্ছে। আজ বিচারপতি মান্থা, কাল হয়তো অন্য কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে একই কাজ হবে। বিকাশরঞ্জন বলেন, কড়া পদক্ষেপ না নিলে এই ধরনের কাজকে উৎসাহ জোগানো হবে। আবেদন খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। জানিয়ে দিলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)বেঞ্চের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ১৫ জন আইনজীবীকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Terrorists: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    Terrorists: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তপারের মদত দেওয়া সন্ত্রাস বন্ধে ফের কড়া পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার। লস্কর-ই-তৈবা (LeK) এবং জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) দুই ছায়া সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গত চারদিনে চারজনকে জঙ্গিও (Terrorists) ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, তা বারংবার জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে…

    জানুয়ারির ৪ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আইজাজ আহমেদ আহাঙ্গার ওরফে আবু উসমান আল-কাশ্মীরির জন্ম কাশ্মীরে। সে সন্ত্রাসবাদী। আল কায়দার সঙ্গে যোগ রয়েছে তার। অন্যান্য গ্লোবাল টেররিস্ট গ্রুপের সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। সে ভারতে ইসলামিক স্টেট (IS) শুরু করার কাজে নিয়োজিত। তাকে ইনডিভিজ্যুয়াল টেররিস্ট ঘোষণা করা হয়েছে। আইজাজ আহমেদ বর্তমানে রয়েছে আফগানিস্তানে। সে জম্মু-কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেটের প্রধান নিয়োগ কর্তা। ১৯৭৪ সালে কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম আইজাজের। দু দশকেরও বেশি সময় ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সে ওয়ান্টেড টেররিস্ট। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলে সে টেরর রিলেটেড স্ট্র্যাটেজি তৈরির পরিকল্পনা করতে শুরু করেছিল। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করেছিল সে।

    আরও পড়ুুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে দুই, আইএসআইএসের সঙ্গে যোগ ধৃতদের?

    ৫ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ওই দিনই ওই মন্ত্রক মহম্মদ আমিন খুবাইব ওরফে আবু খুবাইবকেও ইন্ডিভিজ্যুয়াল টেরিরিস্ট (Terrorists) ঘোষণা করেছে। জন্মু-কাশ্মীরে বেড়ে ওঠা খুবাইব বর্তমানে রয়েছে পাকিস্তানে। সে বর্তমানে লস্কর-ই-তৈবার লঞ্চিং কমান্ডার। ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন পিপলসস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের কাজে যুক্ত ছিল এই সংগঠন। ওই রাতেই আলাদা একটি নোটিশ জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরবাজ আহমেদ মিরকে ইন্ডিভিজ্যুয়াল জঙ্গি ঘোষণা করে। জম্মু-কাশ্মীরে বেড়ে উঠলেও, বর্তমানে সে থাকে পাকিস্তানে। ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আশিফ মকবুল দারকে ইন্ডিভিজ্যুয়াল জঙ্গি (Terrorists) ঘোষণা করে। আশিফ সৌদি আরবে থাকে। কাশ্মীরি তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে উৎসাহিত করে সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coal Mine: আসানসোলের কয়লা খাদানে ধস, ভেতরে কতজন আটকে জানেন?

    Coal Mine: আসানসোলের কয়লা খাদানে ধস, ভেতরে কতজন আটকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাত সকালে ধস আসানসোলের (Asansol) কয়লা খাদানে (Coal Mine)। অন্তত ২৫ জন আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা। ঘটনাস্থলে পুলিশ, সিআইএসএফ (CISF)। রয়েছেন কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিও। অভিযোগ, খাদানে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁরা ভিন রাজ্যের শ্রমিক। তাঁদের দিয়েই চলছিল ওই খাদান থেকে কয়লা সরানোর কাজ।

    আচমকাই ধস…

    এদিন সকালে আচমকাই ধস নামে কুলটির বোডরা গ্রামে বিসিসিএলের বারো নম্বর হাজলা পিটের বিস্তীর্ণ অংশে। স্থানীয়দের দাবি, খাদানের নীচে চাপা পড়তে পারেন প্রায় ২৫জন। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশ। খাদানের ভিতরে ঠিক কতজন আটকে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিন রাজ্যের শ্রমিক এনে খাদানে চলছিল কয়লা সরানোর কাজ। আচমকাই ধস নামে খাদানে। চাপা পড়ে যান খনির মধ্যে থাকা লোকজন। এ ব্যাপারে অবশ্য  মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুুন: প্রতিশোধের আগুন! ধর্ষণ করল ছেলে, বদলা নিতে মাকে গুলি করল দিল্লির এক কিশোরী

    ঘটনার জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন মেহরা। তিনি বলেন, এখানে অবৈধভাবে কয়লার কারবার চলছে। কাউকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসন মিলে সিন্ডিকেট করে এই অবৈধ কাজ (Coal Mine) করে। লালন বলেন, এখানে বেকারত্বের সমস্যা চূড়ান্ত। সামান্য ১০০ টাকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়লা তোলার কাজ করেন অনেকেই। সেই সুযোগ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেন অন্যরা।    

    আসানসোলের বিস্তীর্ণ অংশে উন্নত মানের কয়লা পাওয়া যায়। দেশ তো বটেই, বিদেশেও চাহিদা রয়েছে আসানসোলের ওই কয়লার। কোনও খনি থেকে কয়লা তোলা হয়ে গেলে খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সেখানে মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অভিযোগ, তার পরেও ভিন রাজ্যের শ্রমিক এনে নামানো হয় ওই পরিত্যক্ত খনিগুলিতে। সামান্য কিছু পয়সার বিনিময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই খনিগুলিতেই নামেন শ্রমিকরা। সেখান থেকে পাওয়া কয়লা বেচে ফুলে ফেঁপে ওঠে কারবারিরা। শ্রমিকরা থাকেন কয়লা মতোই নিকষ কালো অন্ধকারে। যেদিন খনিতে ধস নামে, সেদিন দুশ্চিন্তার প্রহর গোণে দিন আনি দিন খাই শ্রমিকদের পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • PM Modi: মুখ্যসচিবদের বৈঠকে উন্নয়নে জোর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী জানেন?

    PM Modi: মুখ্যসচিবদের বৈঠকে উন্নয়নে জোর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যখন প্রকল্প তৈরি এবং নীতি নির্ধারণ করবেন তখন মানব বিকাশ, দক্ষতার বিকাশ, গতিশীল অর্থনীতি এবং স্থানীয় অর্থনীতির ওপর জোর দেবেন। শনিবার ছিল সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের (Chief Secretaries) নিয়ে দু দিন ব্যাপী বৈঠকের শেষ দিন। এদিনই রাজ্যের মুখ্যসচিবদের এই নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেন, অর্থনীতির যে কোনও ক্ষেত্রে কাজের গুণমানের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বৈঠক শেষে এদিন ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, গত দু দিনে দিল্লিতে মুখ্যসচিবদের বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে কাজে লাগবে এবং ভারতের উন্নয়নের পথকে মজবুত করবে।

    দ্বিতীয় দফার বৈঠক…

    গত বছর হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেবারই ছিল প্রথম বৈঠক। এবার বৈঠক হল নয়াদিল্লিতে। এবারের বৈঠকে ক্ষুদ্র, কুটির এবং মাঝারি শিল্পের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, আমি ভীষণভাবে বিশ্বাস করি, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে চাঙা করতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

    আরও পড়ুুন: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    দেশবাসীর স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে মিলেট, বাজরার মতো দানাশস্যের ওপর জোর দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যগুলিকে আরও এগিয়ে আসার ডাক দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে মূলত বিভিন্ন পরিকাঠামোগত প্রকল্প সময়ে শেষ করা, একাধিক রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলিতে জমি অধিগ্রহণজনিত সমস্যা দূর করার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের উন্নয়নে যে সংস্কার জরুরি, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে যেখানে নজিরবিহীন সংস্কার চলছে, সেখানে যুক্তিহীন বিধিনিষেধ থাকার কোনও মানে হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁদের ভোটে আমি জিতেছি, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁদের ভোটে আমি জিতেছি, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু (Hindu), তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি জিতেছি। শনিবার নন্দীগ্রাম দিবসে একথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্যই যে রাজ্যে পালাবদল হয়, এদিন পরোক্ষে তাও জানিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, উনি দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন, যদি নন্দীগ্রাম না থাকত। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, এদের (তৃণমূল) থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল সিপিএম। অনেক বেশি ক্ষমতা ছিল বামফ্রন্ট সরকারের। শুভেন্দু বলেন, বামপন্থীরা সবাই খারাপ নন। আমাদের সঙ্গে প্রচুর বামপন্থী এসেছেন। নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলে আমি জিতেছি। আমি তা অকপটে স্বীকার করি।

    নন্দীগ্রাম…

    দীর্ঘ দিন নন্দীগ্রামের রাশ ছিল সিপিআইয়ের হাতে। পালাবদল হয় ২০১১ সালে। সেবার জিতেছিল তৃণমূল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) হারাতে লড়াইয়ের ময়দানে অবতীর্ণ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এই কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হন সিপিএমের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হন শুভেন্দু। এর পর গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের শরণাপন্ন হন পরাজিত মমতা। এই ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বামপন্থীদের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, তৃণমূল জয়লাভ করলে কোনও বিরোধী শক্তিকেই মাথা তুলতে দেবে না। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে বিজেপিকে ভোট দিন বামেরা। শনিবার নন্দীগ্রাম দিবসে বামেদের ধন্যবাদ জানালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপি ছাড়ুন, নাহলে…’, লস্কর-ই-খালসার হুমকি আরএসএস এবং সেনাকেও

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফি বছর ৭ জানুয়ারি দিনটি পালিত হয়ে আসছে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে। সেই উপলক্ষে এদিন সকালে নন্দীগ্রামে যান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। পরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিজেপির শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, যাঁদের দেখছেন, তাঁরা হালি নেতা। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই। ওরা পতাকা টাঙিয়েছে। নীচে ওই শহিদ বেদিটা আমার বানানো। সরকারি জায়গায়, কিন্তু বেদিটা সরকারি টাকায় তৈরি নয়। শুভেন্দু বলেন, ইট-সিমেন্ট-বালি সব আমার দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • IMF Forecast: বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত আজ একটা উজ্জ্বল চিহ্নের মতো, বলছে আইএমএফ

    IMF Forecast: বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত আজ একটা উজ্জ্বল চিহ্নের মতো, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনার ধাক্কা লেগেছে অর্থনীতিতেও। পৃথিবীর নানা দেশ ভুগছে অর্থনৈতিক সংকটে। এর মধ্যেই আশার আলো দেখা গিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে মোদির (PM Modi) ভারত। দীর্ঘ দিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ইংল্যান্ড। ভারতের (India) অর্থনীতি যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, বিভিন্ন সময় তা জানিয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এবার প্রায় একই কথা জানাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারও (IMF Forecast)।

    আইএমএফ…

    শুক্রবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত একটা উজ্জ্বল চিহ্নের মতো। ভারত যে সংস্কার শুরু করেছে, তা সাহায্য করবে গ্রোথ পোটেনসিয়ালিটির ক্ষেত্রে। এদিন একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্টোয়েনেট্টি শেহ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত আজ উজ্জ্বল চিহ্নের মতো। তিনি বলেন, ভারতের প্রয়োজন রফতানি বাড়ানো। জব-রিচ ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপোর্ট করা প্রয়োজন। উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নেরও প্রয়োজন। তিনি বলেন, এটা করতে পারলেই ভারত প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি এবং এক্সপোর্ট পারফরমেন্স আরও শক্তপোক্ত করতে পারবে।

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF Forecast) আগাম জানিয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ। আগামী অর্থবর্ষে যা কমে হবে ৬.১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ওই পদস্থ আধিকারিক জানান, ভারতের বিশ্বমানের ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো সে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে নানাভাবে সুবিধা করে দিচ্ছে। তার সুবিধা নিচ্ছেন সে দেশের সাধারণ মানুষও। তিনি বলেন, স্ট্রাকচারাল রিফর্ম এজেন্ডার ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করছে। এবং এর উন্নতিকরণ ভারতকে সাহায্য করবে তার গ্রোথ পোটেনশিয়ালিটি খুলতে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশটির (ভারত) আরও উচ্চাকাঙ্খী হওয়া প্রয়োজন। অন্তত রাজস্ব ক্ষেত্রে। নজর দিতে হবে জিএসটি এবং আয়কর ক্ষেত্রে।

    তিনি জানান, গত দু দশকে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় দ্রারিদ্র কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এই সময়সীমার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন থেকে তা কমে হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন। এবং এখন আর দ্রারিদ্র দূরীকরণকে মেনে নেওয়া হয় না ওই দেশগুলিতে। সেই কারণেই নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নীতি।

     

  • Pakistan Crisis: ছয় সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে আনতে গিয়েছিলেন ময়দা, ফিরলেন লাশ হয়ে

    Pakistan Crisis: ছয় সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে আনতে গিয়েছিলেন ময়দা, ফিরলেন লাশ হয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) ঋণের ফাঁসে পড়ে হাঁসফাঁস দশা ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan Crisis)। দেশে মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। আকাশ ছোঁয়া গ্যাসের দামও। এর পাশাপাশি খাদ্যশস্য কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগার জোগাড় আমজনতার। সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে দু হাজার টাকারও বেশি দামে। জানা গিয়েছে, লাহোর শহরে খোলা বাজারে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকায়।

    লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি…

    ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি সহ বিভিন্ন শহরেও ময়দা বিকোচ্ছে প্রায় একই দামে। ময়দার পাশাপাশি দাম বেড়েছে মাংসেরও। পাকিস্তানের সিংহভাগ বাসিন্দার প্রধান খাদ্য গম। রুটি বা চাপাটি খেতেই ভালবাসেন তাঁরা। তাই আটা-ময়দার দামও লাগাম ছাড়া। এহেন পরিস্থিতিতে ভর্তুকিযুক্ত ময়দা বিলি করছিল একটি সরকারি দোকান। সেখানেই ময়দা আনতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।

    আরও পড়ুুন: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি সিন্ধ প্রদেশে। ছয় সন্তান তাঁর। মাগ্গিগন্ডার বাজারে (Pakistan Crisis) সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে ময়দার খোঁজে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই শোনেন, সিন্ধ প্রদেশের মিরপুরখাসের একটি সরকারি দোকানে বিলি করা হচ্ছে ভর্তুকি যুক্ত ময়দা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছোটেন তিনি। গিয়ে দেখেন দোকানের সামনে লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়ান তিনিও। হঠাৎই শোনা যায়, ময়দা রয়েছে সীমিত পরিমাণ। দাবানলের মতো সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। ভিড়ের চাপে মাটিতে পড়ে যান হরসিং কোলহি নামের ওই ব্যক্তি। তাঁর ওপর দিয়েই চলে যায় জনতার ঢল।

    ঘটনার পরে পরে মিরপুরখাস এলাকার প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্নায় বসেন হরসিংয়ের পরিবার। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট খাদ্য দফতরের কর্তাদের শাস্তি দাবি করতে থাকেন। ঘটনায় যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ধর্না উঠে যায়। এদিকে, শাহিদে একটি ময়দা মিলের কাছে এক নাবালিকা সহ তিন মহিলা পদপিষ্ট হয়েছেন। তবে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। এই মিলেও ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি হচ্ছিল ময়দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share