Author: Krishnendu Bakshi

  • Death Threat: জোট সরকারকে হুমকি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের, কেন জানেন?

    Death Threat: জোট সরকারকে হুমকি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পনের আগে প্রাক্তন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে খুন করেছিল তারা। এবার তাঁর ছেলে তথা পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোকেও খুনের হুমকি (Death Threat) দিল কাবুল ঘনিষ্ঠ বিদ্রোহী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)। বিলাবলের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও খুনের হুমকি দিয়েছে ওই সংগঠন।

    জোট সরকার…

    ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটিয়ে জোট সরকার গড়ে শাহবাজের পাকিস্তান মুসলিম লিগ ও বিলাবলের পাকিস্তান পিপলস পার্টি। তার পর থেকেই পাক-আফগান সীমান্তে তালিবান বিরোধী তৎপরতা শুরু করে পাক সেনা। সম্প্রতি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করেন বিলাবল। তারপরেই পাক সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান। কাবুল ঘনিষ্ঠ এই সংগঠনের বক্তব্য, আমেরিকাকে খুশি করতেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। পাকিস্তানের বর্তমান সরকার আমেরিকার এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছে বলেও জানায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। এই সংগঠনের অভিযোগ, বিলাবল ভুট্টো আমেরিকার পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু তিনি কেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমেরিকার লাইন নিলেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুুন: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    সম্প্রতি ২০২২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর তারা ৪৪৬ জন পাকিস্তানি সেনা জওয়ানকে খুন করেছে। এজন্য তারা হামলা চালিয়েছিল ৩৬৭ বার। আর খাইবার পাখতুন এলাকায় তারা অভিযান চালিয়েছিল ৩৪৮ বার। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, কেবল ডিসেম্বরেই ৬৯ বার হামলা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের অস্ত্রবিরতির চুক্তি শেষ হওয়ার পরেই ওই হামলা হয়। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির কাছ থেকেই নানা ঝড়ঝাপ্টা সামলাতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

    মঙ্গলবার দুপুরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লার উপস্থিতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় মাপের সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই পাঞ্জাব প্রদেশে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের দুই পদস্থ কর্তাকে গুলি করে খুন করে কাবুল ঘনিষ্ঠ ওই সংগঠন। স্বভাবতই এর পর আর তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের হুমকিকে (Death Threat) নিছক ফাঁকা বুলি বলে মনে করছে না সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ram Mandir: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    Ram Mandir: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রাম মন্দির (Ram Mandir)। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা সফরে গিয়ে এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে যে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। এদিন তাতেই শিলমোহর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবং এজন্য তিনি বেছে নিলেন ত্রিপুরার মাটিকে। কারণ চলতি বছরই রয়েছে ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভার নির্বাচন।

    জন বিশ্বাস যাত্রা…

    উপজাতি অধ্যুষিত ত্রিপুরার ধর্মনগরে বৃহস্পতিবার জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধন করতে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে আসেন শাহ। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন রাম মন্দির নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে। এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাহুল বাবা শুনুন, আমি রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করছি। এর পরেই শাহ বলেন, অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি হয়ে যাবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারিতেই।

    গত বছরের অক্টোবরের প্রথম দিকেই জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়ে দিয়েছিল, অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ অর্ধেকেরও বেশি এগিয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তা পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে বলেও জানানো হয়েছিল ওই ট্রাস্টের তরফে। ট্রাস্ট সূত্রে খবর, ওই সময়ের মধ্যে মন্দিরে মূর্তি বসানোর কাজও শেষ হয়ে যাবে। অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমিতে মূলত গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। মন্দিরে থাকবে সিংহ দরজা। তা ছাড়াও থাকবে আরও ১২টি দরজা। স্তম্ভ থাকবে ৩৯২টি। মন্দিরে ভূমিকম্পের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও ট্রাস্ট সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতাদেরও নির্মূল করতে হবে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ

    এদিকে, এদিন জন বিশ্বাস যাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ২০২৩ সালের ভোটে ত্রিপুরা থেকে কমিউনিস্টদের উৎখাত করাই হবে প্রধান কাজ। তিনি বলেন, আগে এখানে সাধারণ মানুষকে দিনের প্রতিটি কাজের আগে কোনও ক্যাডারের অনুমতি নিতে হত। এখন দেখুন, কোথাও কমিউনিস্টদের টিকিটি মিলবে না। শাহ বলেন, ত্রিপুরা থেকে সন্ত্রাসবাদ মুছে দিয়েছে বিজেপি। উত্তর-পূর্ব ভারতের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ত্রিপুরাকে আগে মানুষ মাদক পাচার, হিংসা, দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য চিনত। এখন এই রাজ্যকে উন্নয়ন, অসাধারণ পরিকাঠামো, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য, বিনিয়োগ এবং জৈব খামারের জন্য প্রশংসা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amazon: চলতি মাসেই ফের কর্মী ছাঁটাই করবে আমাজন, এই দফায় কত জানেন?

    Amazon: চলতি মাসেই ফের কর্মী ছাঁটাই করবে আমাজন, এই দফায় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারি। ফের কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে ই কমার্স সংস্থা আমাজন (Amazon)। এই দফায় ছাঁটাই (Layoff) হবেন ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মী। সংস্থার তরফেই একথা ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছর বেশ কয়েকটি ত্রৈমাসিকে লোকসানের বহর বেড়েছে আমাজনে। তাই সেবার ছাঁটাই করা হয়েছিল ১০ হাজার কর্মী।

    কর্মী ছাঁটাইয়ের নেপথ্যে…

    কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে লোকসানের বহর কমানোর পরিকল্পনা করেছিল এই ই কমার্স সংস্থা। সেবার ছাঁটাই করা হয়েছিল অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, রিটেল ডিভিশন এবং হিউম্যান রিসোর্সে। তখনই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, যেসব ইউনিট লোকসানে চলছে, সেসব ইউনিট বন্ধ করে দিয়ে, সেখান থেকে কর্মী সরিয়ে নিয়ে অন্য ইউনিটে নেওয়া হতে পারে। তবে সে পথে না হেঁটে সরাসরি এবার কর্মী ছাঁটাইয়েরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাজন।

    আমাজনের (Amazon) তরফে সংস্থার সিইও অ্যান্ডি জেসি বলেন, নভেম্বরে আমরা কর্মী ছাঁটাই করেছিলাম। আবার আমরা একটি খবর শেয়ার করছি। আমরা ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর প্রভাব পড়বে বিভিন্ন টিমের ওপর। তিনি বলেন, আমাজন স্টোর এবং পিএক্সটি অর্গানাইজেশন থেকে ছাঁটাই করা হবে সিংহভাগ কর্মীকে। আমাজন কর্তা বলেন, এস টিম এবং আমি নিজেও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছি যে, যাঁদের ছাটাই করা হবে, তাঁদের খুব কষ্ট হবে। তা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তকে হালকাভাবে নিইনি। তাঁরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাও আমরা আন্ডারএস্টিমেট করিনি। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাঁদের বিষয়টিও আমরা বুঝি।

    আরও পড়ুুন: ‘এমন ঘটনা ঘটলে রেলমন্ত্রক হয়তো অন্য কিছু ভাববে’, বন্দে ভারতে পাথর প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত

    আমাজন কর্তা বলেন, যাঁদের ছাঁটাই করা হচ্ছে, তাঁদের প্যাকেজ দেওয়া হবে। আলাদা একটি পেমেন্টও দেওয়া হবে। ট্রানজিশনাল হেল্থ ইনস্যুরেন্স বেনিফিটও পাবেন তাঁরা। দেওয়া হবে এক্সটার্নাল জব সাপোর্টও। আমাজনের (Amazon) সিইও বলেন, চলতি বছর আমরা রিভিউ করে দেখলাম যে অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং গত কয়েক বছর ধরে নির্বিচারে কর্মী নিয়োগ সংস্থার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হয়নি। সেই কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত। এই দফায় যাঁদের ছাঁটাই করা হবে তাঁদের সঙ্গে কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা শুরু হবে ১৮ জানুয়ারি থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Adibasi: ‘আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার’, প্রতিবাদে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি আদিবাসীদের

    Adibasi: ‘আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার’, প্রতিবাদে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি আদিবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁওতালি (Santali Language) মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল আদিবাসী (Adibasi) সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। তারা আরও জানিয়েছিল, সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলনে নামবে তারা। সেই মতো বুধবার ১২ ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করল আদিবাসীদের ওই সংগঠন। এদিন সকাল ৬টায় শুরু পথ অবরোধ ওঠে সন্ধে ৬টায়। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির জেরে এদিন স্তব্ধ হয়ে রইল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা। রাস্তা অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার হন ওই চার জেলার বাসিন্দারা।

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল…

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ, ভলান্টারি শিক্ষকদের পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, প্রতিটি জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমে কলেজ স্থাপন, সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি (Adibasi) মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স চালু, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি নাচ ও গানের কোর্স চালু। ঝাড়গ্রামের প্রতিটি ব্লকে সাঁওতালি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হস্টেল চালু করা, ভুয়ো তফশিলি জাতি ও উপজাতির সংশাপত্র অবিলম্বে চিহ্নিত করে বাতিল করার দাবিও জানিয়েছে আদিবাসীদের ওই সংগঠন। বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা খনির জন্য আদিবাসীদের উচ্ছেদের বিরোধিতাও করেছে আদিবাসীদের ওই সংগঠন।     

    আরও পড়ুুন: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি 

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা রাইসেন হাঁসদা বলেন, ২০০৮ সাল থেকে সাঁওতালি (Adibasi) মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পৃথক কোনও সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড নেই। এই ভাষায় শিক্ষার কোনও সঠিক পরিকাঠামো নেই। কোথাও স্কুলের ভবন নেই, কোথাও আবার শিক্ষক নেই। যার জন্য পঠন পাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আমরা রাজ্যজুড়ে পথ অবরোধের ডাক দিয়েছি। সংগঠনের নেতা বিপ্লব সোরেন বলেন, আমাদের দাবিগুলি নিয়ে আমরা বার বার প্রশাসন, রাজ্য সরকার, এমনকি  মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও দাবিই পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার। জঙ্গলমহলকে এ রাজ্যের পরিচালকেরা উপনিবেশ মনে করেন। সেই কারণেই আমাদের এই আন্দোলন।

    মুখ্যমন্ত্রী শুনতে পাচ্ছেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার (Human Rights)। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে বাংলায় আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানবাধিকার, বিশেষত মহিলা, দরিদ্র এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য কাজ করে এই সংস্থা। এই সংস্থাই গঠন করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই কমিটিই আসবে বঙ্গ দর্শনে। তদন্ত করবে মানবাধিকার  লঙ্ঘনের অভিযোগের। সংগঠন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রচুর অভিযোগ পেয়েছে তারা। সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ধর্ষণ, খুন, লুঠ, অগ্নিসংযোগের একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। এও জানিয়েছে, এসবের নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের হাত। সংগঠন জানিয়েছে, দ্য ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস খুন, ধর্ষণ, লুঠ, অগ্নিসংযোগ সহ নানা অভিযোগ পেয়েছে। সরকারি মেশিনারি কাজে লাগিয়ে এসবই করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস…

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষ, বিশেষত মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। তাদের অভিযোগ, এ রাজ্যে মানবাধিককার (Human Rights) লঙ্ঘনের ঘটনা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সংগঠন গড়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক রাজপাল সিং, মহিলা ওমেন্স রাইটস ল ইয়ার চারু ওয়ালি খান্না, আইনজীবী ওম প্রকাশ ব্যাস, সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক এবং আইনজীবী রোজি টাবা।

    আরও পড়ুুন: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা রাজ্যে যাবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। এটাই হবে স্বাধীন, উচ্চ পর্যায়ের সিভিল সোসাইটি কমিটির প্রথমবারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সফর। কমিটির সদস্যরা কথা বলবেন যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের সঙ্গে। গোটা দেশে তাঁদের স্বর তুলে ধরা এবং তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াই কমিটির কাজ। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ওই পাঠানো হয়েছিল ওই টিম। সেই টিম রিপোর্ট দিয়েছে দিল্লিতেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে  ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো? এদিন রাজ্য সরকারকেও একহাত নিয়েছেন শুভন্দু। তিনি বলেন, চোরদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের একজোট করুন, জনস্বার্থ মামলা করব। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে, টাকা ফেরত করাবই।

    শুভেন্দু বলেন…

    নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যে কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল  (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এহেন আবহে এদিন শুভেন্দু বলেন, এই চোরদের সাফাই  করতে হবে। বড় চোর-ডাকাতটাকে ডিসেম্বরে পারিনি, এর মধ্যে ধরব। বড় ডাকাতটাকে আমরা তুলব। ছোটগুলোকে আপনারা উপড়াবেন তো? সব গ্রাম রেডি তো? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন (Suvendu Adhikari), সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার, ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনায় স্টিকার মেরে দিয়েছে। আশাকর্মীর ইজ্জত লুঠ করেছে তৃণমূল গুন্ডা শাহজাহানের বাহিনী। টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আমরা জনস্বার্থ মামলা করব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বঞ্চিতদের একজোট করুন। আইন হাতে না তুলে এগোতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের ছাদহীন মানুষ এই সুবিধা পান। তৃণমূলের বড়লোক গীতাঞ্জলি, ইন্দিরা আবাস পেয়েছেন। চাকরি করেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এমন তালিকা তৈরি করুন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikar) অভিযোগ, ৪ লক্ষ ৯ হাজার ভুয়ো জবকার্ড হয়েছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করেছি। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত, ২৪ এ লোকসভা। আমরা কাঁথি, তমলুক মোদিজিকে উপহার দেব। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি আমরা খতম করবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    Jammu and Kashmir: রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, রাজৌরিতে ১৮০০ সিআরপিএফ জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনই রক্তাক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ (Jammu and Kashmir)। হামলা হয়েছে হিন্দু পরিবারের ওপর। পর পর দুটি হামলায় এক শিশু সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তার জেরে এবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) জেলায় আরও বেশি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজৌরিতে ১৮ কোম্পানি সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান পাঠানো হয়েছে।

    জঙ্গি হানা…

    গত দু সপ্তাহের ব্যবধানেও এই জেলায় দু বার জঙ্গি হানা হয়েছে। তার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ঘটনার প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, জনতার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে একশোরও বেশি নিরাপত্তা রক্ষী জঙ্গিদের খোঁজে শুরু করেছে তল্লাশি। এই জঙ্গিরাই রাজৌরি জেলায় হামলা চালিয়েছিল কয়েকটি হিন্দু পরিবারের ওপর। কেবল নিরাপত্তা রক্ষীরাই নয়, সেনা এবং পুলিশও অভিযান চালিয়েছিল যৌথভাবে (Jammu and Kashmir)।

    আরও পড়ুুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপ! সামনে এল দোষীদের ছবি, জানেন এরা কারা?

    প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধেয় এবং সোমবার সকালে আপার ডাংরি গ্রামে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হামলায় দুই শিশু সহ ছ জনের মৃত্যু হয়। জঙ্গিদের হামলায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। জানা গিয়েছে, রবিবার সশস্ত্র অবস্থায় দুই জঙ্গি হানা দেয় তিনটি বাড়িতে। তার পরেই গুলি চালাতে থাকে নির্বিচারে। গুলিতে জখম হন ছ জন, মৃত্যু হয় চার জনের। পরের দিন ওই গ্রামেই ফের হামলা চালায় জঙ্গিরা। এদিন বিস্ফোরণে জখম হন অন্তত পাঁচজন। মৃত্যু হয় দুই শিশুর।

    রবিবার সন্ধের জঙ্গি হামলায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই এক বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বাড়িটির সামনে আগে থেকেই বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিল জঙ্গিরা।এই জেলায়ই গত দু সপ্তাহে দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে আর্মি ক্যাম্পের বাইরেও দুজনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) প্রশাসনকে অবিলম্বে জঙ্গিদের হদিশ দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে প্রচুর সিআরপিএফ জওয়ানকে টহল দিতে দেখা গিয়েছে। এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ৭০ ব্যাটেলিয়নের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে বলেও খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। পশ্চিম বিশ্বকে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা রাজনৈতিক ও গাণিতিক দু দিক থেকেই আমি জোরালভাবে অগ্রাহ্য করছি। জয়শঙ্কর বলেন, ইউক্রেনের (Ukraine) যুদ্ধে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি অন্য দেশের থেকে কম দামেও তেল কেনে, তাতেও আগের থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    তিনি বলেন, ইরানে তেলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বা ভেনেজুয়েলায় যা চলছে, তাতেও তেলের দাম চড়া। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই পরিস্থিতিতে বাজার ঘুরে সব থেকে ভাল দর খোঁজাটাই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সব চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেছিল ভারত। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং মস্কোর পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টাও করেছিল নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাইপ্রাস থেকে অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলি কিনেছে ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলারের জ্বালানি। জয়শঙ্করের কথায়, এটি আমরা যা কিনেছি, তার ছ গুণ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সনদে যে নীতির কথা বলা হয়েছে, সব দেশই বলবে যে তারা সেগুলি সমর্থন করে। কিন্তু গত ৭৫ বছরে গোটা বিশ্বে কী ঘটেছে দেখুন। রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত সদস্য কী সেই সনদ মেনে চলে? অন্য দেশে সেনা পাঠায় না? জয়শঙ্করের দাবি, যেহেতু ইউরোপ এখন ভারতের সাবেকি জায়গাগুলি থেকে জ্বালানি কিনছে, তাই নয়াদিল্লিকে বাধ্য হয়ে রাশিয়ার ওপর বেশি ভরসা করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, গত ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা জ্বালানি কিনছি রাশিয়া থেকে। এটি নতুন কিছু নয়…এই ষাট বছরে ইউরোপ সহ পশ্চিমের বহু দেশ পাকিস্তানের সেনা শাসককে অস্ত্র বিক্রি করেছে। সেই সময় একমাত্র দেশ যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। তিনি বলেন, তাই আজ যদি রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনও বোঝাপড়া হয়ে থাকে তার কারণ আমাদের অঞ্চলে সেনা শাসনকেই গুরুত্ব দিয়েছে পশ্চিমি দুনিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Taliban: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    Taliban: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে থাকা পাক তালিবানকে (Taliban) নিকেশ করতে সামরিক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লা। তার পরেই পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছেন আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব। তালিবান নেতা আহমেদ ইয়াসির পাকিস্তানকে মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশ যুদ্ধে কেমন বেহাল দশা হয়েছিল পাক সেনার। সেই সঙ্গে শাহবাজ শরিফের দেশকে তালিবানের হুঁশিয়ারি, তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালে ফের লজ্জার মুখে পড়তে হবে পাক সেনাকে।

    পাক তালিবান…

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লা বলেছিলেন, সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাক তালিবান। আফগানিস্তান আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাই এই বিষয়টি নিয়ে প্রথমে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কিন্তু তাতে কাজ না হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন বলে কোনও শক্তি যদি আক্রমণের পরিকল্পনা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে।

    এর পরেই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন তালিবান (Taliban) নেতা আহমেদ ইয়াসির। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, এটা আফগানিস্তান। বহু শক্তিশালী রাজবংশ এখানে রাজত্ব করে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান করার কথা ভাবতে যাবেন না। কারণ আমাদের আক্রমণ করলে লজ্জার মুখে পড়তে হবে আপনাদের। ভারতের সঙ্গে যেভাবে লজ্জাজনক চুক্তি সই করতে হয়েছিল, সেই একই দশা হবে আবার।

    আরও পড়ুুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হয় ভারত-পাকিস্তানের। ওই যুদ্ধে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ভারতের (India) সেনা প্রধান জগজিৎ সিং অরোরার সঙ্গে চুক্তি সই করে আত্মসমর্পণের কথা ঘোষণা করেন পাক সেনা প্রধান আমির আবদুল্লা নিয়াজি। চুক্তি সইয়ের সেই ঐতিহাসিক ছবিটিও ট্যুইট করেছেন তালিবান (Taliban) নেতা।  

    এদিকে, সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত দিল পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। ওই কমিটির মাথায় রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সোমবার বৈঠকে বসে ওই কমিটি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় সামরিক অভিযান হবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Foreign University: ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে আগ্রহী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়, খসড়া প্রকাশ করল ইউজিসি

    Foreign University: ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে আগ্রহী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়, খসড়া প্রকাশ করল ইউজিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর দেশ ছেড়ে ভিন দেশে পড়াশোনা করতে যান লাখো লাখো ছেলেমেয়ে। এঁদের সিংহভাগই যান উচ্চ শিক্ষার জন্য। ভারতীয় ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার রোজগার করে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Foreign University)। তাই ভারতীয় (Indian) পড়ুয়া ধরতে এদেশেই ক্যাম্পাস খুলতে চায় বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে হলে কী করণীয়, তার খসড়া প্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)।

    ইউজিসি…

    বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার অনলাইন কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। ইউজিসি কর্তা জানান, যেসব বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে, তারা কেবল ফুল টাইম অফলাইন ক্লাস করাতে পারবে। দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেমন অনলাইন কোর্স করাতে পারে কিংবা দূর নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষা দিতে পারে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Foreign University) তা পারবে না। তারা কেবল অফলাইন ক্লাসই অফার করতে পারবে পড়ুয়াদের।

    আরও পড়ুুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    এ দেশে শাখা খুলতে গেলে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ইউজিসির অনুমোদন নিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া হবে ১০ বছরের জন্য। ইউজিসি কর্তা জানান, কিছু শর্ত পূরণের সাপেক্ষে ন’ বছরের মাথায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ফের অনুমতি নিতে হবে। সূত্রের খবর, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Foreign University) নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতি অনুসরণ করে ছাত্র ভর্তি নিতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ কত হবে, তাও নির্ধারণ করতে পারবে তারা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার জানান, স্টেক হোল্ডারদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার পর ফাইনাল শর্তগুলি জানানো হবে।

    জগদেশ কুমার বলেন, সম্প্রতি আমি বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভারতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের (Foreign University) ক্যাম্পাস তৈরি করতে আগ্রহী। আমরাও আমাদের ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনছি। তিনি বলেন, সেগুলি কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত হোক, বেসরকারি হোক বা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই হোক না কেন, তারাও যাতে বিদেশে তাদের ক্যাম্পাস খুলতে পারে, সেই চেষ্টাই চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share