Author: Krishnendu Bakshi

  • Nirav Modi: লন্ডন হাইকোর্টে খারিজ নীরব মোদির আর্জি, ভারতে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু  

    Nirav Modi: লন্ডন হাইকোর্টে খারিজ নীরব মোদির আর্জি, ভারতে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডন হাইকোর্টে (London High Court) খারিজ পলাতক হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির (Nirav Modi) আর্জি। ভারতে (India) প্রত্যর্পণ রুখতে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চেয়েছিলেন নীরব মোদি। সেজন্য লন্ডন (London) হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন আর্জি। কিন্তু লন্ডন হাইকোর্ট তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রত্যাশিতভাবে এর পর আর নীরব মোদির ভারতে প্রত্যর্পণে আর কোনও বাধাই রইল না। লন্ডনের রয়্যাল কোর্টস অফ জাস্টিসের তরফে এই প্রসঙ্গে একটি রায় দেওয়া হয়। তাতে লর্ড জাস্টিস জেরেমি স্টুয়ার্ট স্মিথ এবং জাস্টিস রবার্ট জয় বলেন, আবেদনকারী নীরব মোদি সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু করার অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করা হল।

    ঋণখেলাপি…

    পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নীরব মোদি। তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখানে বেশ কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর ইন্টারপোল মারফত তার হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে নীরব মোদিকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। আপাতত লন্ডনের জেলেই রয়েছেন তিনি। লন্ডন হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিয়েছে। যদিও প্রত্যর্পণ এড়াতে এর আগেও আইনি সুরক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন নীরব মোদি (Nirav Modi)। সম্প্রতি তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, নীরব মোদিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হলে পরিস্থিতি এতটাই প্রতিকূল হয়ে উঠবে যে নীরব মোদিকে হয়তো আত্মহত্যা করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার এখনও সক্রিয়’, নিরাপত্তা পরিষদে ফের পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    সেই মামলার শুনানিও ওই একই বেঞ্চে হয়েছিল। তখন দুই বিচারপতি তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, নীরব মোদির বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ হওয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে নীরব মোদির বিরুদ্ধে প্রত্যর্পণ সমন জারি করা হয়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সেই থেকেই জেলে রয়েছেন তিনি। এদিকে, ভারতে নিয়ে আসার পর নীরব মোদিকে (Nirav Modi) মহারাষ্ট্রের ইয়েরওয়াড়া জেলে রাখা হবে বলে ঠিক হয়েছে। এই জেলে এর ঠিক পাশের সেলেই বন্দি রয়েছেন আর এক ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়া। ইতিমধ্যেই নীরব মোদিকে দেশে ফেরানোর তোড়জোড় করছে মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Visva Bharati: মধ্যরাতে উত্তাল বিশ্বভারতী, ভাঙা হল অবস্থান মঞ্চ

    Visva Bharati: মধ্যরাতে উত্তাল বিশ্বভারতী, ভাঙা হল অবস্থান মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে উত্তাল বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে ছাত্রছাত্রীদের (Students) করা অবস্থান মঞ্চ (Protest Stage) ভেঙে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীরা মত্ত অবস্থায় তাঁদের মারধর করেছেন। তাঁরা ছাত্রীদের ধর্ষণ করার হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতোর উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাঁদের।

    বিশ্বভারতীতে বিশৃঙ্খলা…

    ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশৃঙ্খলা চলছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে কুড়ি দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের দাবি, উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পদত্যাগ করতে হবে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেই মঞ্চই ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

    বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের বাড়িতে গিয়ে ইট ছুড়েছেন পড়ুয়ারা। তাই নিরাপত্তারক্ষীরা এসে মাঝ রাতে অবস্থান মঞ্চ ভেঙে ফেলেছেন। তাঁর দাবি, অধ্যাপকদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু পাথর উদ্ধার হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এবং হট্টগোলের জেরে অশান্ত হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য তাঁর বাসভবন থেকে বেরতে গিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকেন উপাচার্য। তাঁকে ঘেরাও মুক্ত করতে গিয়ে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় কয়েকজন ছাত্রছাত্রী উপাচার্যের দিকে চেয়ার ছুড়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল হলে যান উপাচার্য। অশান্তি পিছু নেয় সেখানেও। দফায় দফায় ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারী ও নিরাপত্তারক্ষীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও লিখিত আবেদন তাঁরা পাননি। তাই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেও ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী (Visva Bharati)। একাধিক দাবি নিয়ে সেদিন উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় উপাচার্য তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Agni 5: অগ্নি-৫ এর পাল্লা বাড়িয়ে করা যেতে পারে ৭ হাজার কিমি!

    Agni 5: অগ্নি-৫ এর পাল্লা বাড়িয়ে করা যেতে পারে ৭ হাজার কিমি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফল উৎক্ষেপণ হয়েছে অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক মিসাইলের। চিন ও পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে অগ্নি-৫-এর (Agni 5) পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। এর ফলে ভারতীয় সেনার মুকুটে জুড়েছে আরও একটি পালক। ৫০০০ কিমি দূরে লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। এই সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারত চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

    অগ্নি-৫ এর পাল্লা…

    এখন অগ্নি-৫ এর পাল্লা ৫ হাজার কিমি। জানা গিয়েছে, ভারত এর পাল্লা বাড়িয়ে ৭ হাজার কিমি করছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক সূত্র মারফত এ খবর জানা গিয়েছে। কেবল তাই নয়, অগ্নি-৫-এর ভারও লাঘব করা হচ্ছে। স্টিলের বদলে কাজে লাগানো হবে কম্পিজিট মেটিরিয়ালস। ফলে গতিবেগ হবে আরও বেশি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, অগ্নি-৫ (Agni 5) এর ওজন ২০ শতাংশ কমানো যেতে পারে। শুধু তাই নয়, সরকার চাইলে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ৭ হাজার কিমিও করা যেতে পারে। অগ্নি-৩-এর উদাহরণ দিয়ে ওই সূত্র জানিয়েছে, অগ্নি-৩ মিসাইলের ওজন ৪০ টনের কাছাকাছি। এটি আঘাত হানতে পারে ৩ হাজার কিমি দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে। কিন্তু অগ্নি-৪-এর ওজন ২০ টনের সামান্য বেশি। তাই এর পাল্লাও অগ্নি-৩-এর চেয়ে অনেক বেশি।

    আরও পড়ুন: ‘অগ্নি’ পরীক্ষার আগেই ভারত মহাসাগরে হাজির চিনের সেই ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, কেন জানেন?

    বৃহস্পতিবার অগ্নি-৫-এর (Agni 5) সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। এই অগ্নি-৫ পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। এর পাল্লা ৫ হাজার ৪০০ কিমি। যে সমস্ত সরঞ্জাম এতে ব্যবহার করা হয়েছে, তা অগ্নির আগের ভার্সানগুলোর তুলনায় বেশ কম। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে। ২০১৮ সালের জুন মাসে ভারত প্রথম অগ্নি-৫-এর সফল উৎক্ষেপণ করে। সেবারও উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে। উৎক্ষেপণ সফল হওয়ায় অগ্নির পাল্লায় চলে এল ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চিন। স্বাভাবিকভাবেই বেশ খানিকটা চাপে পড়ে গেল ইসলামাবাদ ও বেজিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Islamic Terrorism: ‘এই ট্রানজিট কলোনিগুলি তোমাদের কবরস্থান’, ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হুমকি চিঠি জঙ্গিদের

    Islamic Terrorism: ‘এই ট্রানজিট কলোনিগুলি তোমাদের কবরস্থান’, ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হুমকি চিঠি জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই ট্রানজিট কলোনিগুলি তোমাদের কবরস্থান। সম্প্রতি এই ভাষায়ই সরকারি কর্মী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmir Pandits) হুমকি দিয়েছে কাশ্মীর ফাইট নামে এক জঙ্গি সংগঠন (Islamic Terrorism)। একটি চিঠি দিয়ে তারা এই হুমকি দিয়েছে। তাতেই লেখা হয়েছে, ট্রানজিট কলোনিগুলিকে পুনর্বাসন পাওয়া পণ্ডিতদের কবরস্থানে পরিণত করার হুমকি।

    ট্রানজিট কলোনি...

    উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার সুম্বল এলাকার ওডিনা গ্রামে তৈরি হচ্ছে অভিবাসী কাশ্মীরি পণ্ডিত সরকারি কর্মীদের জন্য ট্রানজিট কলোনি। এদিন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বারামুল্লা ও বান্দিপোরায় কাশ্মীরি পণ্ডিত সরকারি কর্মীদের ওই কলোনিগুলি পরিদর্শন করেন। তারই কয়েক ঘণ্টা পরে হুমকি চিঠি জঙ্গিদের।

    জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর ফাইট সরকারি কর্মী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পাশাপাশি নয়া ট্রানজিট কলোনি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারদেরও হুমকি দিয়েছে। সরকারি কর্মী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটি তালিকা প্রকাশ করে কাশ্মীর ফাইট চিঠিতে পণ্ডিতদের উপনিবেশকে ইজরায়েলি ধরনের বসতি স্থাপন বলে অভিহিত করেছে। তাতে লেখা হয়েছে, এটি কেবল সময়ের ব্যাপার যখন প্রতিরোধকারী যোদ্ধাদের রাগ সেই সব বিশ্বাসঘাতকদের ওপর আছড়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের বলির পাঁঠাদের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন। এই আধিপত্যকারী ফ্যাসিবাদী শাসন আপনাকে কীভাবে ব্যবহার করে, তা বুঝুন। কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা আপনার ওপর নির্ভর করবে। এই কলোনিগুলিই আপনাদের কবরস্থান। চিঠিতে এও লেখা হয়েছে, যেসব ঠিকাদার সংস্থা কলোনি নির্মাণ করছে, তাদেরও রেয়াত করা হবে না। যে বা যারাই এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের প্রত্যেককেই উপযুক্ত সাজা দেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    জঙ্গিদের হুমকি চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মনে রাখবে, যখন সমুদ্র খেপে ওঠে, তখন এর যাত্রাপথে যা পড়ে, তাকেই ধ্বংস করে। প্যাকেজ পাওয়া বলির পাঁঠারা এবং অন্যান্য যাঁরা স্থানীয় নয় কিংবা বিদেশি, লেফটেন্যান্ট মনোজ সিনহার কর্মীরা তাঁদের কবরের কারণ হবেন। চলতি মাসের শুরুতে এই জঙ্গি গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বাসন প্যাকেজের অধীনে শিক্ষক হিসেবে কাশ্মীর উপত্যকায় কর্মরত ৫৭ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হুমকি দেয়। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছিলেন সরকারি কর্মী কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। এহেন আবহেই এল ফের হুমকি চিঠি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tawang: ভারতীয় জওয়ানদের তাড়া খেয়ে স্লিপিং ব্যাগ ফেলেই পালিয়েছিল চিনা সেনারা!

    Tawang: ভারতীয় জওয়ানদের তাড়া খেয়ে স্লিপিং ব্যাগ ফেলেই পালিয়েছিল চিনা সেনারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের ৯ তারিখে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত (India) ও চিনা (China) সেনা। চিনা সেনাদের (Chinese Soldiers) তাদের পোস্টে ফেরত পাঠান ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। তার পরেই তাওয়াং সেক্টেরের ওই এলাকায় যান ভারতীয় সেনারা। উদ্ধার হয় স্লিপিং ব্যাগ (Sleeping Bags) এবং অন্যান্য সরঞ্জাম। জানা গিয়েছে, চিনা সেনারাই ওই স্লিপিং ব্যাগগুলি ব্যবহার করত। ভারতীয় জওয়ানদের কাছে তাড়া খেয়ে পালানোর সময় স্লিপিং ব্যাগগুলি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেনি তারা। সেই স্লিপিং ব্যাগগুলিই উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা।

    তাওয়াং…

    অবস্থানগত কারণের জন্য তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের। সেই কারণেই বারে বারে তারা হামলা চালায় ওই এলাকায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২-এ শ’ তিনেক পিএলএ সৈন্য সীমান্তে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তার মোকাবিলা করে। দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। ভারতের জওয়ানরা চিনা সেনাদের বাধা দেয় এবং তাদের পোস্টে ফেরত পাঠায়। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত বা আহত হননি। এই ঘটনার পর স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনাও করেন। চিনকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে ভারতের তরফে।

    আরও পড়ুন: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    চিন ও ভারতীয় সেনার এই সংঘর্ষে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে ভারতের ছ জন সৈন্য জখম হয়েছেন। যদিও সংসদে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ভারতের দিকে কোনও সৈন্যের জখম হওয়ার খবর নেই। সংঘর্ষের পর এলাকা ছেড়ে পালায় চিনা সেনা। তার পরেই উদ্ধার হয় স্লিপিং ব্যাগ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনা সেনা ও ভারতীয় বাহিনী। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও ওই একই এলাকায় ঢুকে পড়েছিল প্রচুর চিনা সেনা। সেই সময়ও দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম দশমের ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) পার্টি করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বুধবার ওই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এদিনই ইডিকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এতদিন তদন্ত করছিল সিবিআই। এবার তার সঙ্গে তদন্ত করবে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আদালতের সন্দেহ, এই মামলায়ও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই এমন নির্দেশ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। আদালতের এই নির্দেশের জেরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

    নবম দশম…

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) জানান, ইডিকে তদন্তের দৈনিক রিপোর্ট দিতে হবে। অভিযোগ ছিল, নবম দশম শ্রেণিতে ওএমআর শিট বিকৃত করে ১৮৩ জনকে চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছিল, এদের মধ্যে কতজন চাকরি করছে? এসএসসি জানায়, ৮১ জন চাকরি করছেন। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র পেলেও সবাই চাকরি করছেন না। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২১ তারিখের মধ্যে কাউন্সেলিং করাতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে ২৯ তারিখের মধ্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, বিকৃত ওএমআর শিট অবিলম্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। কারণ এটার প্রয়োজন ছিল। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই আর্থিক লেনদেনের পরিমাণটা বিশাল। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা এর ফলে লাভবান হয়েছেন। টাকা কার কাছ থেকে কোথায় গিয়েছে, এটা খুঁজে বের করা খুবই প্রয়োজন। তার জন্য ইডি-ই সব থেকে উপযুক্ত সংস্থা ভারতবর্ষে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও বলেন, আদালত সঙ্গত কারণেই বলেছে। কারণ এখানেও প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে।

     

  • 100 Days Work: একশো দিনের কাজে বকেয়া পাওনা নিয়ে ‘মিথ্যা’ দাবি রাজ্যের, তথ্য দিয়ে জানাল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক

    100 Days Work: একশো দিনের কাজে বকেয়া পাওনা নিয়ে ‘মিথ্যা’ দাবি রাজ্যের, তথ্য দিয়ে জানাল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে (100 Days Work) বকেয়া পাওনা নিয়ে রাজ্যের দাবি খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক (Central Rural Development Ministry)। অগাস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছিলেন একশো দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। সোমবার লোকসভা সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় দাবি করেছিলেন, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। রাজ্যের এসব দাবিই যে অসার, তা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। লোকসভায় মন্ত্রক জানিয়েছে, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে মজুরি বাবদ রাজ্যের পাওনার পরিমাণ ২ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য।

    অনিয়মের অভিযোগ…

    একশো দিনের কাজে (100 Days Work) পশ্চিমবঙ্গে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একশো দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা খয়রাতিতে খরচ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। রাজ্যের কুর্সি দখল করতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরই একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। অভিযোগ, এই ভাণ্ডারে টাকা দিতে নানা প্রকল্পে দেওয়া কেন্দ্রের টাকা খরচ করা হচ্ছে। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজের মতো বিভিন্ন প্রকল্প। তার পরেও প্রতিটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিয়ম করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে চলেছেন। একশো দিনের কাজের টাকায় যে খয়রাতি হচ্ছে, কেন্দ্রকে তা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। একশো দিনের কাজে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিস্তর চাপের মুখে পড়ে যায় রাজ্য সরকার। শুরু হয়ে যায় দিল্লি দরবারে যাতায়াত।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকায় খয়রাতি, ‘দোষ’ ঢাকতে একশো দিনের প্রকল্প নিয়ে কী বললেন মমতা?

    এদিন লোকসভায় সাংসদ তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মোদি সরকারের রাজত্বকালে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কাঠামো কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া পাওনা (100 Days Work) বিষয়ক চিঠিও তুলে ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, এই খাতে রাজ্যগুলির বকেয়া পাওনার পরিমাণ ৭ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাওনার পরিমাণ ৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lalan Sheikh: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    Lalan Sheikh: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হয়েছে এফআইআর। তাতে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার ডিআইজিরও। লালনের মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে বগটুই। মাঝে মধ্যেই আওয়াজ উঠছে সিবিআইয়ের শাস্তি চাই। বুধবার রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিক্ষোভ…

    রামপুরহাটের বগটুইয়ে ১০জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ মৃতের পরিবারের। এদিন সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে দেহ নিয়ে গেলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। লালনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেফতারির দাবি জানান তাঁরা। তাঁরা ক্যাম্প অফিসে ঢোকারও চেষ্টা করেন। বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন রামপুরহাটের এসডিপিও। পরে পুলিশের আশ্বাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ তুলে নেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।     

    প্রসঙ্গত, লালনের স্ত্রী রেশমার অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এর মধ্যে ডিআইজি সিবিআই, এসপি সিবিআই, গরু পাচার মামলার প্রধান তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য সহ আরও চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, কটূক্তি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের জন্য এদিনই ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা সিআইডি টিমের। যাওয়ার কথা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এদিকে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, লালনের মৃত্যু হয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণে। তাঁর দেহে আঘাতের তেমন কোনও চিহ্ন নেই। কোনও খুনের ঘটনার ক্ষেত্রে দেহে যেমন আঘাতের চিহ্ন মেলে, এক্ষেত্রে তা ছিল না। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকায় মৃত্যু হয়েছে লালনের। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত হয় লালনের। পুরো পর্বটি চলে ঘণ্টা দুয়েক ধরে। করা হয় ভিডিওগ্রাফিও। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে।

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের এক গ্রামে ধরা পড়ার পর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল লালনকে। সোমবার সিবিআইয়ের সেই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে পাওয়া যায় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের (Lalan Skeikh) ঝুলন্ত দেহ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের বলেছিলেন, শেষ দেখা দেখে নিন। আর দেখতে পাবেন না! তাঁদের দাবি, লালনের শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাঁকে ঠিক মতো জল ও খাবারও দেওয়া হচ্ছিল না। তাঁদের অভিযোগ, লালনকে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিবিআই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Income Tax Free Slab: আয়করে ফ্রি স্ল্যাবের হার বেড়ে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা!

    Income Tax Free Slab: আয়করে ফ্রি স্ল্যাবের হার বেড়ে হতে পারে ৫ লক্ষ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় নতুন বছরের বাজেট (Budget)। ফি বছরের মতো এবারও ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। এবারও বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সদর দফতর নর্থব্লকে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতিপর্ব। সূত্রের খবর, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে ব্যক্তিগত আয়ে কর কাঠামোয় বড়সড় ছাড়ের (Income Tax Free Slab) কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। গত দু বছর আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমায় কোনও বদল করা হয়নি। ট্যাক্স স্ল্যাব বা করের হারে বদল করা হলেও, সেভাবে স্বস্তি পায়নি মধ্যবিত্ত। তবে এবার কেন্দ্র সেটাই করতে চলেছে।

    মুদ্রাস্ফীতি…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার মান গিয়েছে বেড়ে। মুদ্রাস্ফীতির জন্যই এমনটা হয়েছে। অথচ করের বোঝা রয়ে গিয়েছে অপরিবর্তিত। সেই কারণেই কমানো হতে পারে ব্যক্তিগত আয়করের হার। ২০২০-২১ সালের বাজেটে কেন্দ্র যে কর ব্যবস্থা চালু করেছিল, সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী, আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় পুরোপুরি করমুক্ত। আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় পাঁচ শতাংশ হারে। পাঁচ লক্ষ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ১০ শতাংশ হারে। সাড়ে সাত লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ১৫ শতাংশ হারে। ১০ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ২০ শতাংশ হারে। সাড়ে ১২ থেকে ১৫ লক্ষের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় ২৫ শতাংশ হারে। আর ১৫ লক্ষের ওপরে দিতে হয় ৩০ শতাংশ হারে কর।

    আরও পড়ুন: ‘১ লাখ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্র’, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    সূত্রের খবর, কেন্দ্র এবার পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারে পুরোপুরি করছাড় (Income Tax Free Slab) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে যাঁরা বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন তাঁরা কোনওরকম বিনিয়োগ না করলেও, করছাড় পাবেন। আর যাঁরা পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি রোজগার করেন, তাঁদেরও করযোগ্য আয় ধরে হবে মোট আয় থেকে ৫ লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে। প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের ৮০সি ও ৮০বি ধারায় বিনিয়োগ করলে আয়করে ভাল ছাড় মেলে। তবে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হলে, এসব আর করতে হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি প্রস্তাব দিয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও কর যাতে দিতে না হয়। আর আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশের বদলে আড়াই শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    DA Case: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঞ্চ বদল হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলায় (DA Case)। এই মামলা গেল দুই বাঙালি বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এঁরা হলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বুধবার এঁদের বেঞ্চেই হবে ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে চলছিল ডিএ মামলার শুনানি।

    বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত…  

    এক সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ছিলেন। পরে বদলি হয়ে যান বম্বে হাইকোর্টে। সোমবার তিনি শপথ নেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। পরে সেখানেই বিচারপতি নিযুক্ত হন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক মামলায় দীপঙ্কর দত্ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। তাই, তাঁর এজলাসে ডিএ মামলার শুনানি হলে এই মামলায় তাঁরাই জয়ী হবেন বলে আশা সরকারি কর্মীদের।

    প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী আদালতে থাকছেন না। তাই সুপ্রিম কোর্টের সাত নম্বর কোর্টে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বসবে না। এই বেঞ্চে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তা দেওয়ার সঙ্গতি নেই রাজ্যের।

    বুধবার যে বড় কিছু ঘটতে চলেছে, সে ব্যাপারে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হাজরার সমাবেশেও তিনি বলেন, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল যখন রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তখন সুপ্রিম কোর্টেও আশা করা যায় কর্মীদের জয় হবে। তিনি বলেন, বর্ধিত হারে ডিএ দিতেই হবে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share