Author: Krishnendu Bakshi

  • Parliament Session: শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ১৬ বিল পেশ করবে কেন্দ্র, কোনগুলি জানেন?

    Parliament Session: শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ১৬ বিল পেশ করবে কেন্দ্র, কোনগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Session)। অধিবেশন চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, চলতি অধিবেশনে ১৬টি নতুন বিল (New Bills) পাশ করাতে চায় কেন্দ্র (Center)। এদিকে, অধিবেশন শুরুর আগের দিন প্রথা মেনে হয়েছে সর্বদলীয় বৈঠক।

    বিরোধীদের অবস্থান…

    ওই বৈঠকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের পাশাপাশি ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহারের মতো নানা বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে বিরোধীরা। বিরোধীদের তোলা সব বিষয় নিয়েই সংসদে আলোচনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র যে শীতকালীন অধিবেশনে (Parliament Session) ১৬টি বিল পেশ করতে চলেছে, সে ব্যাপারে লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়ে তালিকা পাঠিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এর মধ্যে রয়েছে বহু রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি, জাতীয় ডেন্টাল কমিশন, বন সুরক্ষার মতো বিলও।

    বহু রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি বিল পাশ হলে এই জাতীয় সংস্থাগুলিতে আরও স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হবে বলে কেন্দ্রের ধারণা। স্বাধীনতার আগে প্রতিরক্ষার জন্য অনেক জমি ব্যবহার করা হত। এগুলি ওল্ড গ্রান্ট সাইট হিসেবে পরিচিত। সেই সব জমির আরও ভাল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে দ্য ওল্ড গ্রান্ট (রেগুলেশন) বিল ২০২২ আনা হবে।

    আরও পড়ুন: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    জাতীয় নার্সিং কমিশন সম্পর্কিত একটি বিলও চলতি অধিবেশনে (Parliament Session) পেশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে জাতীয় নার্সিং কমিশন প্রতিষ্ঠা ও ভারতীয় নার্সিং কাউন্সিল আইন ১৯৪৭ বাতিল করার একটি প্রস্তাবও আনার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট বিল। ক্যান্টনমেন্ট এলাকাকে আরও আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র দুটি বিল আনতে চলেছে। নর্থ ইস্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি গঠনের জন্য একটি বিলও চলতি অধিবেশনে আনা হবে। তফশিলি উপজাতি সংক্রান্ত চারটি সংশোধনীও আনা হবে। জৈবিক সংশোধনী বিল, সামুদ্রিক জলদস্যুতা বিরোধী বিলও পেশ করা হবে। এদিন অধিবেশন (Parliament Session) শুরুর আগে চলতি বছর যে সব নেতা প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। এদিনই পেশ করা হতে পারে বেশ কিছু বিল। বহু রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি বিল, ২০০২ পেশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saket Gokhale: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    Saket Gokhale: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) নামে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেজন্য জাল করেছিলেন নথিও। অন্তত পুলিশের দাবি এমনই। তার জেরে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে (Saket Gokhale)। রাজস্থানের জয়পুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন নিজেই ট্যুইট করে সাকেতের গ্রেফতারির খবর জানান। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে সাকেত গোখলেকে। ট্যুইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানান, গতকাল রাতে বিমানে নিউ দিল্লি থেকে জয়পুরে পৌঁছান সাকেত। জয়পুর বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। বিমানবন্দরে নামা মাত্রই সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো…

    সম্প্রতি গুজরাটের মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়ে সাকেত গোখলের করা একটি ট্যুইটকে ভুয়ো বলে দাবি করে পাল্টা ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। ট্যুইটে সাকেত (Saket Gokhale) দাবি করেছিলেন, মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাস্থলে যাওয়ার খরচ হয়েছিল ৩০ কোটি টাকা। আরটিআই থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অথচ এমন কোনও আরটিআই ফাইল হয়নি বলেই দাবি গুজরাট সমাচারের। সূত্রের খবর, আরটিআইয়ের পুরো বিষয়টিই সাকেত গোখলের বানানো। সূত্র আরও জানিয়েছে, আরটিআইয়ের উত্তর পেতে গেলে প্রায় দু মাস সময় লাগে।

    তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইটে আরও জানান, মরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে সাকেতের একটি ট্যুইটের জন্যই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে গুজরাট পুলিশের সাইবার সেল। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি লেখেন, এ সব করে তৃণমূল ও বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে আচমকাই ভেঙে পড়ে গুজরাটের মরবি সেতু। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩০জনেরও বেশি মানুষের। নভেম্বরের ১ তারিখে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাক্ষাৎ করেন দুর্ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    Jaishankar: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরু হওয়ার পর ভারত (India) মস্কো থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়নের তেল আমদানির পরিমাণ তার চেয়েও ছ গুণ বেশি। সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Jaishankar)। জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলি দু রকম কথা বলছে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এদিন তিনি বৈঠক করেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে। তার পরেই পশ্চিমের দেশগুলির দু রকম কথার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ…

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই দাবি যে নেহাতই কথার কথা নয়, এদিন তা পরিসংখ্যান দিয়েও প্রমাণ করে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি ২৪ (এদিনই শুরু হয়েছিল ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ) থেকে নভেম্বরের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ইউরোপিয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে যে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করেছে, তা বিশ্বের ১০টি দেশের সম্মিলিত ক্রয় পরিমাণেরও বেশি। এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, ভারত রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করেছে, তার ছ গুণ বেশি করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। আমরা গ্যাস আমদানি করি না। তবে তারা কত গ্যাস আমদানি করেছে, তা গুণে বলা যাবে না। তারা প্রায় ৫০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের গ্যাস আমদানি করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া থেকে ভারত যে পরিমাণ কয়লা কিনেছে, ইউরোপিয় ইউনিয়ন কিনেছে তার চেয়েও ৫০ শতাংশ বেশি। জয়শঙ্কর যখন এই পরিসংখ্যান পেশ করছেন, তখন তাঁর পাশে বসেছিলেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Jaishankar) বলেন, রাশিয়ার তেল নিয়ে ভারতের বাধ্যবাধকতার দিকটি জার্মানি বুঝেছে। আমি আশা করব ইউরোপের প্রচারমাধ্যমও তা বুঝবে। প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশমন্ত্রী অনেক আগেই একবার বলেছিলেন, ইউরোপ একটি বিকেলে যত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে, ভারত তা করে গোটা মাসে। এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, শক্তির উৎস যখন সীমাবদ্ধ, তখন ইউরোপ এক রকম ভাবে চলবে আর ভারতকে অন্য রকম উপদেশ দেবে, এটা হতে পারে না। এদিন দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি তথা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Religious Conversion: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Religious Conversion: ‘দাতব্য স্বাগত, তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ (Religious Conversion) করা একটি গুরুতর বিষয়। সোমবার সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। জোর করে ধর্মান্তকরণ অসাংবিধানিক বলেও অভিমত আদালতের। দেশের শীর্ষ আদালত এও জানায়, দাতব্য (Charity) স্বাগত। তবে দানের উদ্দেশ্য অবশ্যই ধর্মান্তকরণ নয়। সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি এমআর শাহ। বেঞ্চ বলে, যদি কেউ কাউকে সাহায্য করতে চান, তাহলে সাহায্য করা উচিত। তারা এও জানায়, মানুষ বিভিন্ন কারণে ধর্মান্তরিত হন। তবে প্রলোভন বিপজ্জনক।  

    ধর্ম পরিবর্তন…

    দেশের নানা প্রান্তে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন (Religious Conversion) করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণা করে ধর্ম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে মানুষের। এহেন অভিযোগ জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সোমবার হয় সেই মামলার শুনানি।

    সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন বেঞ্চের সামনে হাজির হন। তিনি বলেন, খাদ্যশস্য, ওষুধ নাকি হৃদয় থেকে মানুষ ধর্ম পরিবর্তন করছেন, তা স্থির হওয়া প্রয়োজন। তখনই বিচারপতি শাহ বলেন, বিষয়টি গুরুতর। আমরা একে সিরিয়াসলি নিচ্ছি। তিনি বলেন, কাউকে কিছু সাহায্য দিয়ে… যিনি সাহায্য চান, তাঁকে আপনি সাহায্য করতে চান…দাতব্যের উদ্দেশ্য ধর্মান্তকরণ হতে পারে না। তিনি বলেন, প্রতিটি দান, ভাল কাজ স্বাগত। কিন্তু দেখতে হবে, তার উদ্দেশ্যটা কী। এর পরেই তিনি বলেন, এটি আমাদের সংবিধান বিরোধী। বিচারপতি শাহ বলেন, যিনি ভারতে বাস করতে চাইবেন, তাঁকে এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ অপরাধ! নয়া আইন প্রণয়নে সুপ্রিম দুয়ারে গুজরাট সরকার

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ধর্মান্তকরণ (Religious Conversion) বিরোধী আইন কার্যকর করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। এই আইন বলে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে সে রাজ্যে। এই একই আইন কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে গুজরাট সরকারও। দেশের শীর্ষ আদালতে তারা জানিয়েছে, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে সকলের। কিন্তু সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে অন্যদের ধর্মান্তকরণের অনুমতি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Delhi Civic Polls: চলছে দিল্লি পুরসভার ভোট, বিজেপি-কংগ্রেস-আপ, শেষ হাসি হাসবে কে?

    Delhi Civic Polls: চলছে দিল্লি পুরসভার ভোট, বিজেপি-কংগ্রেস-আপ, শেষ হাসি হাসবে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) পুরসভাগুলির সংযুক্তিকরণের পর প্রথম বড় নির্বাচন (Delhi Civic Polls)। আজ, রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ পর্ব। মোট আসন ২৫০টি। লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) এবং আপের (AAP)। ভোট গণনা হবে ৭ ডিসেম্বর। ২৫০টি ওয়ার্ডের প্রায় দেড় কোটি মানুষ অংশ নিচ্ছেন ভোটদানে। ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে সকাল আটটায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বন্ধ করে দেওয়া হবে বুথের গেট। জনতা যাতে আরও বেশি করে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য এদিন অন্যান্য রবিবারের তুলনায় দু ঘণ্টা আগেই চালু হয়ে গিয়েছে মেট্রো পরিষেবা। ২৫০টি আসনে লড়াই করছেন ১৩০০-র বেশি প্রার্থী। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে রাজ্য সরকার আম আদমি পার্টির। আর কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই এ ভোটের দিকে নজর রয়েছে আম দিল্লিবাসীর।

    বিজেপি…

    গত আট বছরেরও বেশি সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তবে গত ২৪ বছরে তারা সরকার গড়তে পারেনি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টি আসন পায় আম আদমি পার্টি। তার দু বছর পরে পুরসভা নির্বাচনে (Delhi Civic Polls) ২৭২টি আসনের মধ্যে বিজেপির হাতে যায় ১৮১টি আসনের রশি। দ্বিতীয় হয় আপ। তাদের দখলে যায় ৪৮টি আসন। আর মাত্র ৩০টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট হতে হয় কংগ্রেসকে।

    প্রচারে এক ইঞ্চিও জমি কেউ কাউকে ছাড়েনি আপ কিংবা বিজেপি। বস্তি এলাকায় পুনর্বাসনে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রচার নামেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কোমর কষে প্রচার করে আপও। মোদির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের মোকাবিলায় আপ কেজরিওয়ালের সরকারকে হাতিয়ার করেছে। প্রচারে বিজেপি আবাসনের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মণীশ সিসোদিয়া সহ আপের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে আপকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?

    এদিকে, এদিন ভোট (Delhi Civic Polls) দিতে গিয়ে দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধুরী দেখেন, ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁর। তাই ভোট না দিয়েই ফিরতে হয় তাঁকে। যদিও ভোট দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ঘানার হাত থেকে রাষ্ট্রসংঘের সভাপতিত্বের রাশ এল ভারতের (India) হাতে। আর শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) জানিয়ে দিলেন ভারত রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে। জোর দেওয়া হবে বিশ্ব সন্ত্রাস দমনে।

    ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সি…

    এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সিতে সেই একই স্পিরিট নিয়ে আসব। আমরা দুটি প্রধান বিষয়ে আলোকপাত করব। একটি হল, উন্নীত বহুপাক্ষিকতার পক্ষে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং অন্যটি হল বিশ্ব সন্ত্রাস দমন। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কম্বোজ জানান, অক্টোবরে ভারতে এই কমিটির বিশেষ বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, দিল্লি ঘোষণার সঙ্গে এক মত হয়ে সন্ত্রাস দমন কমিটিও স্বীকার করেছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে জঙ্গিরা ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    সন্ত্রাসবাদই যে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের শিরঃপীড়ার কারণ, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি। সন্ত্রাসবাদের রক্তচক্ষু গভীর এবং বিশ্বব্যাপী ছড়ানো এর শিকড়। প্রকৃতিগতভাবে এটি ট্রানজিশনাল। এই সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই করতে হবে সম্মিলিতভাবে। অন্তত এটা এই সময়ের দাবি। রুচিরা কম্বোজ বলেন, ভারত এই কমিটির চেয়ারে রয়েছে। গোটা বিশ্ব যাতে এক যোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তার চেষ্টা করবে। রুচিরা কম্বোজ বলেন, গত ২২ বছর ধরে বিশ্ব নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ((UNSC)) সংস্কার সাধনের কথা বলে আসছেন। কিন্তু আমরা এক ইঞ্চিও নড়িনি। তিনি জানান, ডিসেম্বরের ১৪-১৫ তারিখে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ দমন শীর্ষক এক বিতর্ক সভায় যোগ দিতে আসছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে পাঁচটি। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ভারত অস্থায়ী সদস্য। তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ভারত উঠে এসেছে বারংবার। আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নানা সময় ভারত নিয়েছে নির্ণায়কের ভূমিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির রণাঙ্গনে হাইভোল্টেজ শনিবার! এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই কাঁথি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুক। আবার এদিনই অভিষেকের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করবেন শুভেন্দু। এদিন কাঁথিতে অভিষেক যে সভা করবেন, সেই সভাস্থল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ একশো মিটার দূরে।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    অভিষেকের সভা ঘিরে শান্তিকুঞ্জে যাতে অশান্তির আঁচ না লাগে সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে. অমরনাথ জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে জোরদার নিরাপত্তা বজায় থাকবে। অভিষেকের সভা হবে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে। সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার ওই মাঠে আসেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তিকুঞ্জের শব্দবিধির বিষয়টিও নজরে রাখা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যুব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক কী বার্তা দেন, তা জানতেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    শান্তিকুঞ্জের অদূরে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা নিয়ে দিন দুই আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সভা করছে তৃণমূল। এই শান্তিকুঞ্জেই বাস করেন শুভেন্দুর অশীতিপর বাবা-মা। সভাস্থল থেকে মহিলারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, শনিবার সভা চলাকালীন কেউ যেন শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ যেন বাড়িতে ঢুকে না পড়ে, তাও দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। শব্দবিধি মেনে যাতে সভা হয়, সেই দিকটিও নজরে রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সভামঞ্চে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বেষ্টনী। প্রথম স্তরে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তার পর থাকবে ডিআইবি। শেষ স্তরে থাকবেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। এছাড়াও থাকছেন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: “কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?” নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে এবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম টানা হল। তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ টেনে মামলা করা হয়। তবে এই মামলাকে ভিত্তিহীন বলে সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জেলে রয়েছেন একাধিক মন্ত্রী-নেতা। তবে শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নয়, আরও এমন মামলায় যেমন- গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার ইত্যাদিতে নাম উঠে এসেছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। আর এসব নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু দুর্নীতিতে তাঁর নামই টেনে আনা হল। তবে বিচারপতির মামলা খারিজে স্বস্তি পেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কী মামলা আনা হয়েছিল?

    অভিযোগ ওঠে, ২০০৯ সাল অর্থাৎ বাম আমলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তার পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর। সেই সময় নিয়োগ বোর্ডে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি দাবি করেন, সেই সময় কীভাবে চাকরি হয়েছে, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। শিউলির সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই একটি মামলা হয় হাইকোর্টে। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। আর এদিন সেই মামলায় কোনও প্রমাণ না থাকায় সরাসরি খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: এবার ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    বিচারপতি কী বললেন?

    এই মামলার শুনানিতে প্রথমেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন করেন, “তৃতীয় ব্যক্তির করা দাবির ভিত্তিতে এই মামলার ভিত্তি কী? কেউ যদি বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন, তবে তিনি আদালতে এলেন না কেন? ভিডিও দেখে হঠাৎ মনে হয়েছে বিচার চাই? কোন মতলব নিয়ে এই মামলা?”

    এরপরেই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি মামলা করার মত ছিল না। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।”

    এই যুক্তি না শুনে বিচারপতি ফের প্রশ্ন করেন, “প্রার্থীরা ২০০৯ সাল থেকে বঞ্চিত। এতদিনে শিউলি সাহার ভিডিও পাওয়া গেল বলে অভিযোগ করতে এলেন কেন?” ১৩ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল? এত দিন কেন হাইকোর্টে আসেননি চাকরিপ্রার্থীরা?

    তাই বিচারপতির দাবি, যেখানে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের কোনও অভিযোগ নেই, সেখানে ১৩ বছর পরে একটা ভিডিও নিয়ে এসে এভাবে অভিযোগ করা যায় না। ফলে এতে কোনও প্রমাণ না থাকায় ভিত্তিহীন বলেই মামলা খারিজ করেন তিনি।

  • Digital Currency: চালু  হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা, কোথায় কোথায় জানেন?

    Digital Currency: চালু  হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা, কোথায় কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে দেশে চালু হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency)। ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে এটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পাইলট প্রকল্প। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) এই ডিজিটাল মুদ্রার নাম দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC)। ভারতের (India) মোট চারটি শহরে চালু হয়েছে এই পাইলট প্রকল্প। এই শহরগুলি হল, মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং ভুবনেশ্বর।

    সুবিধা মিলবে ব্যাঙ্কে…

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই চারটি শহরে হবে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে ডিজিটাল মুদ্রা কিনে ওয়ালেট থেকে ওয়ালেটে লেনদেন করা হবে। মনে রাখতে হবে, এই ডিজিটাল মুদ্রা পেটিএম এবং গুগল পে-র মতো মোবাইল ওয়ালেটগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে না। প্রসঙ্গত, আপাতত চারটি ব্যাঙ্ক এই পাইলট প্রকল্পে যোগ দিলেও, পরে ধাপে ধাপে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক এই পাইলট প্রকল্পে যোগ দেবে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে আরবিআইয়ের তরফে ডিজিটাল মুদ্রায় (Digital Currency) লেনদেনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, শুধু মাত্র নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ই-রুপি লেনদেন চালু হবে। সফল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। জানা গিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মতোই ই রুপি একটি ডিজিটাল টোকেন। তবে ভারতে এই ডিজিটাল রুপিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হবে। নোট এবং খুচরো কয়েনের সমান দামেই চালু হবে ডিজিটাল রুপি।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?

    জানা গিয়েছে, ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে গ্রাহকরা ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, জমা রাখা যাবে মোবাইলের ওয়ালেটেও। একজন অন্যজনকে এই ডিজিটাল টাকা পাঠাতে পারবেন। পাশাপাশি কেউ এভাবে কোনও ব্যবসায়ীকে টাকা পাঠাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্যাঙ্কে নগদ টাকা জমা রাখলে যেমন সুদ পাওয়া যায়, এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও সুদ মিলবে না। ব্যাঙ্কগুলি এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) আমানত রূপেও জমা রাখতে পারবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Gujarat Election: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?  

    Gujarat Election: গুজরাটে ভোটদানের হার কম, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হল গুজরাট বিধানসভার প্রথম দফার নির্বাচন (Gujarat Election)। রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। প্রথম দফায় ভোট হয়েছে ৮৯ বিধানসভা কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ৫ ডিসেম্বর। এদিন কচ্ছ-সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের ১৯টি জেলার ৮৯ আসনে ভোট হয়েছে। ভাগ্য পরীক্ষা হবে ৭৮৮ জন প্রার্থীর। ফল প্রকাশ হবে ৮ ডিসেম্বর।

    ভোটের জটিল অঙ্ক…

    ভোটদানের হার ছিল ৬০.২৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে ভোটদানের হার ছিল ৬৬.৭৫ শতাংশ। সাধারণত ভোটদানের হার কম হলে ফের ক্ষমতায় ফেরে শাসক দল। ভোটদানের হার বেশি হলে ধরে নেওয়া হয় শাসক দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই বেশি সংখ্যক মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেছেন। তবে বহুবারই এর ব্যতিক্রম হতে দেখা গিয়েছে। অবশ্য এই ধারণা সত্য হলে, এবারও গুজরাটের ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি।

    প্রথম দফার নির্বাচনে (Gujarat Election) উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী বিজেপির রিভাবা। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের পরেশ ধনানি। আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা টিভি সঞ্চালক ইসুদান গঢ়বী। ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির নেতা তথা বিদায়ী বিধায়ক ছোটু বাসভ।

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন আজ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ, অ্যাডভান্টেজ কে?

    এদিন ভোট (Gujarat Election) হয়েছে সুরাটে। এলাকাটি ডায়মন্ড সিটি নামে পরিচিত। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। এদিন ভোট হয়েছে সেই মরবিতেও। ৩০ অক্টোবর ব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ১৩৫ জনের। ঘটনার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। এই কেন্দ্রে বিজেপির তাস কান্তিলাল অম্রুতিয়। ব্রিজ দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ন্তীলাল প্যাটেল।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Election) এই ৮৯ আসনের মধ্যে গেরুয়া ঝুলিতে গিয়েছিল ৪৮টি। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা জয়ী হয়েছিল ৪০টি আসনে। পরে কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। এবার নির্বাচন হচ্ছে ত্রিমুখী। কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে আম আদমি পার্টিও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই দল এর আগে কুর্সি দখল করেছে পাঞ্জাবের। সুরাট সহ গুজরাটের কয়েকটি শহরের পুরভোটেও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share