Author: Krishnendu Bakshi

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির শুভেন্দু-সুকান্তরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে পছন্দ হয়নি সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট। তাই নয়া রাজ্যপালের (Governor) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না শুভেন্দু। ওই অনুষ্ঠানে বসার ব্যবস্থা হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)।  

    নেপথ্য কাহিনি…

    প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর অস্থায়ী রাজ্যপালের পদে বসেন লা গণেশন। সেবার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি শুভেন্দুকে। মঙ্গলবার বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দেখা যাক, এবার আমন্ত্রণ পাই কিনা। এরই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিরোধী দলনেতার কাছে পৌঁছয় রাজভবনে নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। এই অনুষ্ঠানেই যাচ্ছেন না শুভেন্দু। কেন যাচ্ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? এর উত্তর শুভেন্দু দিয়েছেন ট্যুইট বার্তায়। নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লিখেছেন সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের নির্দেশে। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তথ্য সংস্কৃতি দফতর। এই দফতরের কাজকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)) ‘অসাংস্কৃতিক আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ, শুভেন্দুর বসার ব্যবস্থা হয়েছে দুই দলবদলু কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। কৃষ্ণ এবং বিশ্বজিৎ দুজনেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে ভিড়েছেন তৃণমূলে গিয়ে। তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই দুই দলবদলুর পাশে বসার আসন হওয়ায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের এই আচরণকে ‘অসৌজন্যের রাজনীতি’ বলে অন্য একটি ট্যুইটে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়া এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘কম্পার্টমেন্টাল’ মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই হিংসা করে তিনি এভাবে সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন। শুভেন্দুর মতে, বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের বদলে তাঁকে (মুখ্যমন্ত্রীকে) দেওয়া উচিত প্রতিহিংসাপরায়ণ পুরস্কার। মুখ্যমন্ত্রীকে হতভাগ্য রাজনীতিবিদ বলেও উল্লেখ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দু লিখেছেন, আমার পক্ষে এই অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যপাল যদি তাঁকে আলাদা করে সময় দেন, এবং সেটা যদি আজই হয়, তাহলে ভাল হয় বলেও জানান শুভেন্দু। কোন প্রটোকল মেনে বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণকল্যাণীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এদিকে, শুভেন্দুকে দুই দলবদলুর পাশে ঠাঁই দেওয়া হলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হলেও তাঁকে আসন দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদের পিছনে। তাই অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।  

     

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    Recruitment Scam: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এর মধ্যেই নবম-দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের (Recruitment Scam) তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর নির্দেশ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে (SSC)। তাঁদের নাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিনই পরে অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করতে হবে না অবৈধদের তালিকা। প্রসঙ্গত, ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই এবং এসএসসিকে যৌথভাবে সেই সব বেআইনি নিয়োগ খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল।

    বেআইনি নিয়োগ…

    বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Scam) কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে তার পরেও তারা কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধ করার পরিবর্তে হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চাইতে সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এটা আশ্চর্যজনক। অথচ তাদের উচিত ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে আদালতকে সাহায্য করা।

    এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, ২০১৬ সালের এই ১৮৩ জনের বেআইনি সুপারিশ খুঁজে পাওয়ার পরেও তা বাতিলের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা? আর কী কী বেআইনি কাজ খুঁজে পেয়েছে কমিশন? ২০১৬ সালে নবম-দশমে নিয়োগের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজারের নাম। নবম-দশমে নিয়োগের মেধা তালিকায় নীচে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    এদিন আদালতে এসএসসির আইনজীবী জানান, মূলত র‌্যাঙ্ক জাম্প করে সুপারিশের তথ্য খুঁজে পেয়েছে কমিশন। তালিকায় নীচের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের আগে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমনই অভিযোগ উঠেছিল।
    এদিকে, এদিনই অবৈধ নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় সিবিআই জানায়, ১৮৩ নয়, ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার মামলাগুলির বিস্তারিত শুনানি হবে। সেই শুনানির পরেই তিনি পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    CBI: দেড়শো দিন হয়ে গেল এখনও তদন্ত শেষ হয়নি কেন? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শ্লথ গতিতে তদন্তের জন্য সিবিআইকে (CBI) ভর্ৎসনা করলেন বিচারক। দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্নও করেন আলিপুর আদালতের বিচারক (Judge)।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ সাতজন। বুধবার তাঁদের ফের তোলা হয় আলিপুর আদালতে। ধৃতেরা প্রত্যেকেই এদিন জামিনের আবেদন করেন। এদিন শুনানি পর্বে বিচারক সিবিআইকে (CBI) প্রশ্ন করেন, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কথা বলে জামিন না দেওয়ার আবেদন করছেন, এমন আইন কি কোথাও আছে? উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, যাতে কেউ প্রভাব খাটাতে না পারেন, সেটাই চাইছি। আদালত জানতে চায়, কেন আপনারা আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের হেফাজত চাইছেন? এরপর সিবিআইয়ের পাল্টা অভিযোগ, যাঁদের প্রশ্ন করা হচ্ছে, যাঁরা আসছেন, তাঁদের ওপর প্রভাব খাটানো হচ্ছে।

    এদিন এস পি সিনহার আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, সিবিআই (CBI) যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেটা তো তদন্ত শেষ করেই পেশ করার কথা, তাহলে আবার তদন্ত চলছে দাবি করে হেফাজতে রাখা হবে কেন? একথা পরস্পর বিরোধী। এভাবে কতদিন হেফাজত চাইবে সিবিআই, সে প্রশ্ন আদালতে করেন এস পি সিনহার আইনজীবী। তিনি বলেন, যতদিন ওঁকে হেফাজতে রাখা হয়েছে, সেটা বিবেচনা করা হোক। তিনি এও বলেন, এস পি সিনহার বয়স ৭০ বছর। এভাবে থাকলে তিনি আর কতদিন বাঁচবেন, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। অন্য সব অভিযুক্তের আইনজীবীর মতো জামিনের আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীও। প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করুক আদালত, এমন আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    এর পর সিবিআইয়ের (CBI) শ্লথ গতিতে তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাকি আইনজীবীদের মতো সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবীও। তিনি জানান, যতবার সিবিআই তাঁকে ডেকেছিল, ততবার তিনি গিয়েছেন। কিন্তু কী এমন হল যে, তারা বারবার তাঁকে হেফাজতে চাইছেন। এর পরেই দেড়শো দিন হয়ে গেলেও, সময়ে কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিবিআই, সে প্রশ্ন করেন আলিপুর আদালতের বিচারক। অভিযুক্ত সাতজনকেই ফের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri)। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী। সেবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। এবারও তাঁর তির গিয়ে লাগল ভুল নিশানায়। এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এই বিধায়ক নিশানা করলেন অশীতিপর নেতা শিশির অধিকারিকে (Sisir Adhikari)। মুগবেড়িয়ার সভা থেকে শিশিরকে ‘নেংটি মন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন অখিল। যার জেরে ফের একপ্রস্ত রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। একজন অশীতিপর নেতাকে এই ভাষায় আক্রমণ কতটা শোভনীয়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    অখিল উবাচ…

    এদিনের সভায় অখিল বলেন, এই বিশ্বের অষ্টম এবং নবম আশ্চর্য হল শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) আর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ। দিল্লি থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের ক্ষতি করে বিজেপি করছে। রাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশির অধিকারীর। আগে নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতেন। এখন ছেলের পাল্লায় পড়ে বাবাও মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করছে। তিনি বলেন, আমি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলে আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হচ্ছে। তাহলে শিশির অধিকারী কেন্দ্রের কী মন্ত্রী ছিলেন? হাফপ্যান্টের ছোট যেটা হয়, তাকে তো নেংটি বলে। উনি কি তাহলের নেংটি মন্ত্রী ছিলেন?

    আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    শিশিরের (Sisir Adhikari) আগে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অখিল। একটি ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা? রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে হইচই শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানায় পদ্ম শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত বলতে হয়, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য করা ঠিক হয়নি অখিলের। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি। অন্যায় করেছে অখিল গিরি। অখিলের ওই মন্তব্যের রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের কুকথা রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর।

    কুকথায় পঞ্চমুখ অখিল!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়। এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    PM Modi: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন (G 20 Summit) নেতৃত্ব দেওয়াটা ভারতের (India) জন্য বিরাট সুযোগ। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ছিল ৯৫তম মন কি বাত অনুষ্ঠান। সেখানেই ভারতের বিরাট সুযোগের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত এই সুযোগ এমন একটা সময়ে পেয়েছে, যখন চলছে অমৃতকাল। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংকল্প এক বিশ্ব, এক সংকল্পের। যে কথা বলা হয়েছে বসুধৈব কুটুম্বকম শ্লোকে।

    জি ২০…

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেওয়াটা আমাদের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। আমাদের আলোকপাত করতে হবে কীভাবে বিশ্বের ভাল হবে, সেই দিকে। কীভাবে ফিরবে শান্তি, ঐক্য এবং বিকাশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সব কিছুর সমাধান রয়েছে ভারতে। তিনি বলেন, আমরা এই মন্ত্র বিশ্বকে দিয়েছি, এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।

    এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মানুষ আমাকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ভারত এই সুযোগ পাওয়ায় তাঁরা কতটা খুশি। এটা আমাদের জন্য খুব বড় একটা সুযোগ। এদিনের এই মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে সুযোগ আমাদের কাছে এসেছে, আমরা অবশ্যই এটাকে কাজে লাগাব। আমাদের ফোকাস থাকবে বিশ্বের ভাল ও কল্যাণের দিকে।

    আরও পড়ুন: দারিদ্রের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত, প্রযুক্তি সম্মেলনে বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে এদিন ভারতের মহাকাশ অভিযান এবং ইসরোর সাফল্যের কথাও শোনা গিয়েছে। শনিবারই ভারত ও ভুটানের যৌথ উদ্যোগে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। এটি দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের শক্তিকেই প্রকাশ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ১৮ নভেম্বর বিক্রম-এস রকেট উৎক্ষেপণ হয়েছিল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, বিক্রম-এস সব ভারতীয়কেই গর্বিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ভারত ক্রায়োজেনিক রকেট প্রযুক্তিকে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কেবল ভারতীয় প্রযুক্তিরই উন্নতি ঘটননি, আজ এর সাহায্যে মহাকাশে অসংখ্য উপগ্রহও পাঠাতে পারছি আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতাকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’’, চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (CM) বানাব। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে যান শুভেন্দু। সেখানেই এই চ্যালেঞ্জ নেন তিনি।

    সিএএ…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। এদিন বিজেপির ডাকে সিএএ (CAA) নিয়ে জনসমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এই ঠাকুরনগর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান তীর্থক্ষেত্র। সেই ঠাকুরনগরে গিয়ে ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, যেমন কথা তেমন কাজ। সিএএ আইন পাশ হয়েছে। আপনারা দেখছেন সিএএ আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনারা শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুরের ওপর ভরসা রাখুন। সিএএ হবেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে সিএএ-র আশ্বাস পেয়ে প্রবল হাততালি পড়ে সমাবেশে। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন শুভেন্দু।

    এদিনের সমাবেশে পুরানো একটি সভার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, উনি (মুখ্যমন্ত্রী) কিছুদিন আগে বলেছিলেন, বাংলার টাকা আটকাতে বিরোধী দলনেতা চিঠি দেন। কাল (শুক্রবার) সে কথা গিলেছেন। স্নেহের ভাই বলে উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দু বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এর পরেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। ঠাকুরবাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে গেলাম।

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুক্রবারই সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী ছিল বিধানসভা। সংবিধান দিবস উপলক্ষে এদিন ভাষণ দিচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ি এবং মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, চা খাওয়া হয়নি। তাঁর ভাষায়, এটি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরাশায়ী করেছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি এক প্রকার বন্ধই ছিল। শুক্রবার কেটেছিল জট। তবে শনিবার ফের শুভেন্দু স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিকভাবে হারিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • The Kashmir Files: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ প্রচারসর্বস্ব ছবি! নাদাভের বক্তব্য খারিজ ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের

    The Kashmir Files: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ প্রচারসর্বস্ব ছবি! নাদাভের বক্তব্য খারিজ ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) ছবি নিয়ে নতুন বিতর্ক। ছবিটি ‘অসংবেদনশীল’, ‘প্রচারসর্বস্ব’ বলে ভর্ৎসনা করেন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি চেয়ারম্যান তথা ইজরায়েলি চলচ্চিত্র পরিচালক নাদাভ লাপিড। গোয়ায় (Goa) হচ্ছে ৫৩তম আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে ইফি (IFFI)। এই উৎসবেই বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ প্রদর্শিত হয়। উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ছবিটির কঠোর সমালোচনা করেন জুরি চেয়ারম্যান নাদাভ। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরেই শুরু হয়েছে ইইচই। জুরি বোর্ড অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, এটি নাদাভের ব্যক্তিগত মন্তব্য।  

    কাশ্মীরি হিন্দুদের…

    বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত এই ছবির (The Kashmir Files)। নয়ের দশকে কাশ্মীরি হিন্দুদের গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেয় এই ছবি। গত মার্চে মুক্তি পায় ছবিটি। অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার ও পল্লবী জোশীর মতো খ্যাতনামা অভিনেতারা। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শুরু বিতর্কের।

    ছবির (The Kashmir Files) ভরকেন্দ্র কাশ্মীর। ক্রমবর্ধমান ইসলামিক জেহাদের ফলে উপত্যকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু পণ্ডিতদের। ছবিটিকে ঘিরে প্রশংসার পাশাপাশি হয়েছিল ব্যাপক সমালোচনাও। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। সেই ছবিই এদিন তিরস্কৃত হয় ইফির মঞ্চে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই রাজ্য সফরে অমিত শাহ? মুুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা

    এদিন মঞ্চে নাদাভ বলেন, একটা ছবি (The Kashmir Files) দেখে হতবাক হয়েছি। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বিভাগের ১৫ নম্বর এই ছবিটি। এমন ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শৈল্পিক ভাবনাই আসল, সেখানে এই ধরনের ছবির কোনও স্থান নেই। তিনি বলেন, আমি সকলের সামনেই এই কথাটা ভাগ করে নিচ্ছি। তাতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছি। নাদাভ বলেন, এই ছবিটি একটি অশ্লীল, প্রচারসর্বস্ব ছবি। আমার মনে হয়, শিল্পের স্বার্থে গঠনমূলক সমালোচনাকে গ্রাহ্য করাটাই আসল স্পিরিট।

    নাদাভের কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন। তিনি বলেন, আমি চলচ্চিত্র সমালোচক নই। আমি জানি না কীভাবে এটি অসংবেদনশীন এবং প্রচারসর্বস্ব। গভীরভাবে অধ্যয়ন না করে এই ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এটা ভারতের একটা ক্ষত। যাঁদের চড়া মূল্য চোকাতে হয়েছে, তাঁরা রয়েছেন আমাদের আশপাশেই।

    অনুপম খেরের প্রতিক্রিয়া

  • Kim Jong Un Daughter: সুইমিং পুল, স্পোটর্স স্টেডিয়াম, জানুন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের মেয়ের রাজকীয় জীবন

    Kim Jong Un Daughter: সুইমিং পুল, স্পোটর্স স্টেডিয়াম, জানুন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের মেয়ের রাজকীয় জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার (North Korea) একনায়ক শাসক কিম জং উনের মেয়েকে (Kim Jong Un Daughter)। এবার প্রকাশ্যে এল তার ব্যক্তিগত জীবনও। নিউইয়র্ক পোস্টের (New York Post) প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিমের মেয়ে উপভোগ করে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত জীবন। জানা গিয়েছে, কিমের মেয়ের বয়স ন বছর। কাংওয়ান প্রদেশের ওয়াংসাংয়ে একটি সমুদ্র তীরবর্তী বিরাট ভিলায় বাস করে সে। পোস্টের রিপোর্ট বলছে, তার নাম জুই এই। একটি ছবিতে তাকে দেখা যাচ্ছে বাবার হাত ধরে রয়েছে সে। নভেম্বরের ১৯ তারিখে ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সেই মিসাইল পরীক্ষার সময় কিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়েও। পিয়ংইয়ং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারফিল্ড থেকে ওই আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মিসাইলটির পাল্লা হাজার কিলোমিটারের কাছাকাছি।

    মার-আ-লাগোর মতো…

    প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, যে এস্টেটে বাস করে কিমের মেয়ে (Kim Jong Un Daughter), সেটা মার-আ-লাগোর মতো। ভিলার ওই চৌহদ্দির মধ্যেই রয়েছে সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট, ফুটবল মাঠ, ওয়াটার স্লাইড এবং স্পোর্টস স্টেডিয়াম। সমুদ্র তীরবর্তী এই ভিলাটি ছাড়াও দেশে আরও ১৫টি প্রাসাদ রয়েছে কিমের পরিবারের। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সেগুলি। সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যান কিমের পরিবারের সদস্যরা। এই সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়েই চলে গিয়েছে রেলপথ। সেই পথেই যাতায়াত করেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিমের মেয়ে সুন্দর জীবন যাপন করে। সে এবং তাই ভাইবোনেদের সাহায্য করতে অনেক ন্যানি এবং হাউসকিপার রয়েছে। তবে তারা বেশিরভাগ সময় কাটায় বাবা-মায়ের সঙ্গেই। কিমের বাবাও ছিলেন ঠিক কিমের মতোই। কিমের বাবাও সন্তানদের প্রতি ভীষণ মনযোগী ছিলেন।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ‘তেজস’-এর ভক্ত, আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট

    শুক্রবার কিমের মেয়ের (Kim Jong Un Daughter) সঙ্গে উৎক্ষেপণ পর্ব দেখতে হাজির ছিলেন তাঁর স্ত্রী রি সোল জু-ও। উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাডেন বলেন, এই প্রথম আমরা কিম জং উনের মেয়েকে কোনও অনুষ্ঠানে দেখলাম। তিনি এও জানান, কিমের মেয়ের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন সন্তানের জনক কিম। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Unemployment Percentage: দেশে ফের একপ্রস্ত কমল বেকারত্বের হার, কত হল জানেন?

    Unemployment Percentage: দেশে ফের একপ্রস্ত কমল বেকারত্বের হার, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একপ্রস্ত কমল দেশে বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage)। চলতি বছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (September) এই ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার ৯.৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭.২ শতাংশ। এক বছর আগে এই সময় দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৮ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন এই ত্রৈমাসিকে শহরাঞ্চলে (Urban) ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (NSO) সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে…

    কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বেই বেড়ে গিয়েছিল বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage)। ভারতেও ছবিটা ছিল প্রায় একই রকম। তার পর গোটা বিশ্ব ঘুরে দাঁড়াতে না পারলেও, ভারত পেরেছে। দেশে বেকারত্বের লেখচিত্র হু হু করে নেমেছে। সম্প্রতি দেশে শ্রমশক্তির একটি সমীক্ষা করা হয়। পিরিয়ডিক লেবার ফোর্সের সার্ভে থেকেই জানা যাচ্ছে, দেশে বেকারত্বের হার ক্রমেই পড়তির দিকে।

    ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, কেবল মহিলাদের মধ্যেই নয়, পুরুষদের মধ্যেও কমেছে বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage)। এক বছর আগে এই হার ছিল ৯.৩ শতাংশ। চলতি বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই ত্রৈমাসিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৬ শতাংশে। অথচ চলতি বছর জুন-জুলাই মাসেও এই হার ছিল ৭.১ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, পনের বছর কিংবা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে শ্রমশক্তির হারও বেড়েছে অনেকটাই। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই ত্রৈমাসিকে শ্রমশক্তির হার বেড়েছে ৪৭.৯ শতাংশ। এক বছর আগে এই হার ছিল ৪৬.৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দু দশক ধরে ভারতে বেকারত্বের হার (Unemployment Percentage) ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। যদিও করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে কয়েকটি ক্ষেত্রে এই হার কমে গিয়েছিল। এই ক্ষেত্রগুলি হল, ম্যানুফ্যাকচারিং, ইনফ্রাকস্ট্রাকচার, হসপিটালিটি, অটোমোবাইল এবং ইন্সুরেন্স। এই ক্ষেত্রগুলিতে কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে খুবই কষ্ট করতে হয়েছে সংস্থাগুলিকে।

    অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেকেই কাজ হারিয়েছিলেন। কর্মসংস্থানের হারও ছিল কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের সিংহভাগকেই নিদারুণ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তবে এখন যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তার প্রমাণ ওই রিপোর্টেই বলেও অভিমত তাঁদের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share