Author: Krishnendu Bakshi

  • Dear Lottery: রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে ডিয়ার লটারির ২ কর্তাকে দিল্লিতে তলব ইডির  

    Dear Lottery: রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে ডিয়ার লটারির ২ কর্তাকে দিল্লিতে তলব ইডির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারি(Dear Lottery)-কাণ্ডের শেকড় খুঁজতে কোমর কষে নামল ইডি (ED)। এবার দিল্লিতে (Delhi) ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে ডিয়ার লটারি সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তাকে। আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে ডিয়ার লটারি সংস্থার আধিকারিকদের। এবারই প্রথম ওই লটারি সংস্থার কর্তাদের দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তবে আগেই একবার ওই লটারি সংস্থার ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য ইডি নয়, গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ডিয়ার লটারি সংস্থার তরফে নির্বাচনী বন্ড ১৫০ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। সে ব্যাপারে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে ডিয়ার লটারির কর্ণধার ও এক ডিরেক্টরকে।

    লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত

    বছরখানেক আগে ডিয়ার লটারিতে (Dear Lottery) টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই লটারির দোকানের মালিককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কেবল অনুব্রত (Anubrata Mondal) নন, ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক তৃণমূলের বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরাও। তার পরেই ডিয়ার লটারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বাণে তিনি বিঁধেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছিলেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। তিনি লিখেছিলেন, টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল।

    আরও পড়ুন: জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    এবার রুচিরা গুপ্ত। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য লটারি তুলে দিয়ে এই ডিয়ার লটারির মাধ্যমে আসলে ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের কোষাগার ভরার। অনুব্রতর জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের স্ত্রীও ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা কালো টাকা সাদা করতেই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত সংক্রান্ত মামলার তদন্তে লটারি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। অনুব্রত ও তাঁর কন্যা সুকন্যার সম্পত্তির সঙ্গে লটারির যোগ রয়েছে বলে অনুমান। ওই লটারি অনুব্রত কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ কেটেছিলেন কিনা, সেই সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ডিয়ার লটারি (Dear Lottery) সংস্থার দুই আধিকারিককে জেরা করে এই রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে চাইছেন ইডির আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himachal Election 2022: হিমাচলে চলছে বিধানসভা নির্বাচন, জেনে নিন ভোটের খুঁটিনাটি    

    Himachal Election 2022: হিমাচলে চলছে বিধানসভা নির্বাচন, জেনে নিন ভোটের খুঁটিনাটি    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর কদমে চলছে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন (Himachal Election 2022)। আজ, শনিবার ভোট হচ্ছে এক দফায়। বিধানসভার ৬৮টি আসনেই চলছে ভোট গ্রহণ। ট্র্যাডিশন ভেঙে দ্বিতীয়বারের জন্য হিমাচল প্রদেশের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি (BJP)। গড়তে চাইছে ডবল ইঞ্জিন সরকার। পাঁচ বছর বাদে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসও (Congress)।

    এদিন রাজ্যের ৬৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে ৪১২ জন প্রার্থীর। এর মধ্যে মহিলা রয়েছেন ২৪ জন। ভোট দেবেন ৫৫ লক্ষ ভোটার। এই রাজ্যেও বিজেপির তাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। তাঁর উন্নয়নকে প্রচারের হাতিয়ার করেছে বিজেপি। এ রাজ্যেও ডাবল ইঞ্জিন সরকারের স্লোগান দিয়েছে  বিজেপি। কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি থাকলে উন্নয়নের জোয়ার বইবে দেশে, এই প্রচারও করেছে পদ্ম শিবির। মোদি এবং উন্নয়ন এই জোড়া তাসে বিরোধীদের মাত দিতে চাইছে বিজেপি।

    কংগ্রেসের ভরসা

    এ রাজ্যে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। কংগ্রেসের মুখে বিভিন্ন স্থানীয় ইস্যু। তাদের ভরসা গত চল্লিশ দশকের প্রথা। এ রাজ্যে কোনও সরকার পর পর দুবার ক্ষমতায় আসে না। সেই হিসেবে এবার বিজেপিকে সরিয়ে হিমাচলের কুর্সি দখলের কথা কংগ্রেসের। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তা হবে না বলেই মনে হয়। কারণ রাজ্যবাসী মজেছেন বিজেপির উন্নয়নে।

    আরও পড়ুন: পদ্মের অপমান মানে হিন্দু সংস্কৃতির অসম্মান! জি-২০ লোগো বিতর্কে বিজেপি

    হিমাচল প্রদেশের এই নির্বাচন (Himachal Election 2022)বিজেপির জাতীয় প্রধান জেপি নাড্ডার কাছে প্রেস্টিজ ইস্যুও। কারণ এ রাজ্যে এক সময় মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রেমকুমার ধুমল। চার দশকের প্রথা ভাঙতে এবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। প্রচার করেছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। এর মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ংও। ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ।

    এদিকে ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় হিমাচল প্রদেশ নির্বাচনে (Himachal Election 2022) প্রচারে আসেননি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে প্রচার করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। প্রচার করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লাকার্জুন খাড়গেও। স্থানীয় ইস্যুর পাশাপাশি কংগ্রেস এবার পুরানো পেনশন নীতি চালুকেও প্রচারের হাতিয়ার করেছে। আর বিজেপির অস্ত্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। ক্ষমতায় ফিরলে ৮ লক্ষ বেকারকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং এবং বিজেপির প্রাক্তন প্রধান সতপাল সিং সাত্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gujarat Election: গুজরাটে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    Gujarat Election: গুজরাটে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত আড়াই দশক ধরে গুজরাটের (Gujarat) রাশ রয়েছে বিজেপির (BJP) হাতে। আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Election) ফের আসতে চলেছে বিজেপি। অন্ততঃ রাজনৈতিক মহলের অনুমান তাই। যদি তাই হয়, বিজেপি যদি ফের গুজরাটের মসনদে আসীন হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলই। প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জানান একথা। শাহের এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার, এবারও গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ ভূপেন্দ্র প্যাটেলই। গুজরাট নির্বাচনে ফের বিজেপি ক্ষমতায় আসছে বলেও আশাবাদী অমিত শাহ। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুজরাটে যদি মেজরিটি পায় বিজেপি, তাহলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেলই।

    কবে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ভূপেন্দ্র?

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন বিজয় রূপানি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে সরিয়ে নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহের রাজ্যের কুর্সিতে বসানো হয় ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে। সেই থেকে তিনিই রয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে। ঘাটলোডিয়া কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এবারও ওই কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    গুজরাট নির্বাচনে (Gujarat Election) এবার মূল লড়াই ‘ত্রিশক্তি’র। একদিকে রয়েছে শাসক দল বিজেপি। তাকে লড়তে হবে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসের সঙ্গে। লড়াইয়ের ময়দানে এবার হাজির আরও একটি দল। সেটি হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। চলতি বছরই পাঞ্জাবের কুর্সি থেকে কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে কেজরির পার্টি। এবার তাদের টার্গেট গুজরাটের মসনদ। সেই আপ ইতিমধ্যেই তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইসুদান গাধভির নাম ঘোষণা করেছে। তাঁকে সামনে রেখেই গুজরাট দখলের খোয়াব দেখছে কেজরিওয়ালের দল। কেজরির দল এবং রাজ্যের শাসক দল মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দিলে কী হবে, কংগ্রেস এখনও এ ব্যাপারে ওই পদে কারও নাম ঘোষণা করেনি। ভোটের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন হবে দু দফায়। ডিসেম্বরের ১ ও ৫ তারিখে। ভোট হবে রাজ্যের ১৮২টি বিধানসভা কেন্দ্রে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • AAP: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    AAP: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে এক প্রস্ত নাটক দিল্লির (Delhi) বুকে! পুরভোটের টিকিট না পেয়ে রবিবার হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়লেন আম আদমি পার্টির (AAP) এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। টিকিট না পেলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার হুমকিও দিলেন প্রাক্তন ওই আপ কাউন্সিলর। হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তাঁকে নামাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনের লোকজনকে।  

    ক্ষোভের কারণ…

    দিল্লি পুরসভার নির্বাচন হবে ৪ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। ওই প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে ১৩৪ জনের। এর মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৭০। দিল্লি পুরসভার প্রবীণ কাউন্সিলর মুকেশ গোয়াল কংগ্রেস ছেড়ে কিছুদিন আগে যোগ দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে। তাঁকে টিকিট দিয়েছে আপ। আদর্শ নগর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে আপে ভিড়েছেন জনৈক গুড্ডি দেবী। তাঁকেও প্রার্থী করেছে কেজরিওয়ালের দল। তিনি প্রার্থী হয়েছেন টিমরপুরের মালকানগঞ্জে। ভিন দল থেকে আসা লোকজন টিকিট পেয়ে যাওয়ায় অসন্তোষের আগুন ক্রমেই ধূমায়িত হচ্ছে আপের (AAP) অন্দরে। এই দলের একাংশের অভিযোগ, অন্য দল থেকে এলেই প্রার্থী করা হচ্ছে। শনিবার আপ দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় নাম রয়েছে ১১৭ জনের। প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা কোনও প্রার্থী তালিকায়ই নাম নেই আপের প্রাক্তন কাউন্সিলর হাসিবউল হাসানের।

    আরও পড়ুন: অমিত শাহের সঙ্গে করমর্দনের ছবি ভাইরাল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ধোনি?

    জানা গিয়েছে, সেই ক্ষোভ থেকেই এদিন প্রাক্তন ওই আপ (AAP) কাউন্সিলর দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন। যতক্ষণ না প্রার্থী হওয়ার আশ্বাস পাচ্ছেন, ততক্ষণ নামবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দেন আত্মহত্যা করার হুমকিও। ঘটনায় হকচকিয়ে যান পথ চলতি মানুষজন। তাঁরা তাঁকে নীচে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। তাতে অবশ্য কান দেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, দল ভুল পথে চলছে। তিনি জানান, আপ (AAP) নেতারা ঠকিয়েছেন তাঁকে। পূর্ব দিল্লির গান্ধীনগর এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, দলের তরফে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তার পরেও দেওয়া হয়নি টিকিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    BJP: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। তার প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের প্রতিবাদ আন্দোলনে উত্তাল গোটা রাজ্য। শনিবার অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। অখিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানায়। কোথাও কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ।  

    অখিলের বেফাঁস মন্তব্য…

    নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির (BJP) দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ওই সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অখিল বলেন, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। পথে নামে বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিতে তামাম রাজ্যে আন্দোলন শুরু করেছে পদ্ম শিবির। নন্দীগ্রাম থানায় অখিলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    এদিকে, অখিলের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতা সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অপমান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্য গণতন্ত্রের অপমান। ১৪০ কোটি জনগণকে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। এই জঘন্য মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। বিধায়ক পদ থেকে অপসারিত করতে সুপারিশ করুন। অখিলের গ্রেফতারির দাবিও জানান তিনি।

    অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ে মিছিল করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। পোড়ানো হয় কুশপুত্তলিকা। অখিলের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন সে কারণে মন্ত্রীকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে গ্রেফতার করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাজ না করেন, তাহলে মন্ত্রী অখিল গিরিকে গ্রেফতার করাবে বিজেপি। তিনি বলেন, জেলায় জেলায় প্রতিবাদ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছি। আদিবাসীরাও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। এফআইআর করবে। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেশ কিছু নেতা পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন। যতদিন এই তৃণমূল সরকারে থাকবে, ততদিন পচা ডিমের দুর্গন্ধ ছড়াবে। মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, কিন্তু তৃণমূল তা করে না। এদিকে, অখিলকে অপসারণ এবং সাক্ষাতের সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। যাঁকে আক্রমণ করে বসলেন তিনি দেশের প্রথম নাগরিক। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। যিনি তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিলেন কুকথার ছররা, তিনি আর কেউ নন, রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপমান করায় বেজায় চটেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের সিংহভাগ অংশ। তৃণমূল নেতার বেফাঁস মন্তব্যে হতবাক রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। আর কাঁথির এই তৃণমূল নেতার পদত্যাগের দাবিতে পথে নামছে বিজেপি।   

    জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল (TMC)। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অখিল গিরি, সৌমেন মহাপাত্র সহ তৃণমূলের অন্য নেতারা।

    কী বললেন অখিল?

    এদিনের সভা মঞ্চে উঠেই রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিজেপির দাবি, রূপ নিয়ে কটাক্ষ করে দেশের প্রথম নাগরিককে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।

    রাজ্য বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, অখিল (Akhil Giri) রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার সামনে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী। এখান থেকেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই আদিবাসী বিরোধী। তাঁর মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য সেটাই প্রমাণ। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেন মমতার মন্ত্রী। কেন তিনি এবং তাঁর সরকার আদিবাসীদের এত ঘৃণা করেন?

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Rajiv Kumar: ‘এক জাতি, এক ভোটে’র সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইনসভাকে, জানালেন রাজীব কুমার

    Rajiv Kumar: ‘এক জাতি, এক ভোটে’র সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইনসভাকে, জানালেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক জাতি, এক ভোটে’র (One Nation One Election) সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশের আইনসভাকে। বুধবার একথা জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি এও জানান, আইনসভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে কমিশন প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত রূপায়ন করতে পারে।

    কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই ‘এক জাতি, এক ভোটে’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা-মন্ত্রীও ‘এক জাতি, এক ভোটে’র পক্ষে সওয়াল করেন। ‘এক জাতি, এক ভোট’ নীতির কথা প্রথম বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে ল’ কমিশনকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, তিনি এই নীতির পক্ষে।

    প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, কয়েক মাস পর পর নির্বাচন চলে আসে। এর প্রভাব পড়ে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতিতে। তাঁর প্রস্তাব ছিল, লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটিই ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হোক। আলাদা আলাদ তালিকা তৈরি করতে জনগণের টাকার অপচয় বলেও দাবি তাঁর।

    প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির এই প্রস্তাবের তুমুল বিরোধিতা করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এক কদম এগিয়ে বলেন, এত বড় দেশে একই সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য দু জায়গায় নির্বাচন করা বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নয়। তিনি বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে খরচ কমানোর ব্যাপারে সহমত। ‘এক জাতি, এক  ভোট’ প্রক্রিয়াটি সমস্ত রাজ্যের নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু যদি এটা হল, আর কেন্দ্রের সরকার পড়ে যায়, তাহলে কি আগামিকাল ফের একটা রাজ্য ও কেন্দ্রের নির্বাচন হবে?

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস, বিপুল অস্ত্র সহ ধৃত ৩ জইশ জঙ্গি

    তবে আইনসভা সিদ্ধান্ত নিলে রূপায়ণ করা যেতে পারে ‘এক জাতি, এক ভোট’ নীতি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার  রাজীব কুমার (Rajiv Kumar) বলেন, এই কর্মযজ্ঞ সামলাতে অনেক কিছুই প্রয়োজন। অনেক সমস্যাও আছে। তবে এখন দেশে চলছে আইনের শাসন। তাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইনসভাকেই। আইনসভা সিদ্ধান্ত নিলে কমিশন তা রূপায়ণ করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। ভূতপূর্ব মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘এক জাতি, এক ভোট’ উত্তম প্রস্তাব। তবে এজন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংসদে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Foreign Trade Policy: বড় ঘোষণা! বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে সংশোধনী আনল কেন্দ্র

    Foreign Trade Policy: বড় ঘোষণা! বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে সংশোধনী আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় (Indian) অর্থনীতিতেও বৈদেশিক বাণিজ্য নীতির (Foreign Trade Policy) গুরত্ব অপরিসীম। এই বৈদেশিক বাণিজ্য যাতে মসৃণ হয়, সেজন্য বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে সংশোধনী আনল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের তরফে নয়া বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় (Rupee) যাতে আন্তর্জাতিক ট্রেড সেটলমেন্ট করা যায় সেজন্য হ্যান্ডবুক অফ প্রসিডিওরসও ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যাতে আমদানি কিংবা রফতানি করা যায়, সে ব্যাপারেও এদিন ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে বিবৃতিতে?

    ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে (Foreign Trade Policy) প্রয়োজনীয় সংশোধনী নিয়ে এসেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যাতে আন্তর্জাতিক ট্রেড সেটলমেন্ট করা যায়, সেজন্য হ্যান্ডবুক অফ প্রসিডিওরসও ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় মুদ্রায় করা যাবে ইনভয়েসিং, পেমেন্ট এবং আমদানি রফতানি সেটেলমেন্ট। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সার্কুলারকে মান্যতা দিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় টাকায় ইনভয়েস, লেনদেন ও আমদানি-রফতানি সেটেলমেন্ট করার অনুমতি দিয়েছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড।

    আরও পড়ুন: যেভাবে ঋণ নিচ্ছে রাজ্য, তাতে ভেঙে পড়তে পারে অর্থনৈতিক কাঠামো! আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

    এর আগে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে শুরু হয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। তার পর থেকে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে যায় দুটি ভাগে। একদল সমর্থন করে রাশিয়াকে। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় বিশ্বের বাকি অংশ। ওই সময় রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে ছিল আমেরিকাও। তার জেরে রাশিয়ার মুদ্রা রুবেলের সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রা রুপির বিনিময়ও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। অথচ বিশ্বের একটা বড় অংশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য না করায় পড়ে যায় সে দেশের জীবাশ্ম জ্বালানির দাম। এই সুযোগে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে আগ্রহী হয় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। রাশিয়ার বন্ধু দেশ ভারতও দেশের চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে সংগ্রহ করে জীবাশ্ম জ্বালানি। সেই সময় সমস্যা দেখা দেয় রুপি-রুবেল বিনিময়ে। পরে দুই দেশই সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক লেনদেন হবে দুই দেশের নিজস্ব মুদ্রায়। এবার নয়া বৈদেশিক বাণিজ্য নীতির (Foreign Trade Policy) জেরে ভারত অনায়াসেই বাণিজ্য করতে পারবে ভারতীয় মুদ্রায়।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    CJI of India: ‘১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে…’, শেষ দিনে আর কী বললেন প্রধান বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অবসর নিলেন দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি (CJI of India) ইউইউ ললিত (UU Lalit)। আগামিকাল অফিস ছেড়ে দেবেন তিনি। এদিন ললিতের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে বিদায়ী ভাষণ দেন ললিত। জানান, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নেওয়ার দিন যে শপথ নিয়েছিলেন, তার অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছেন।

    চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ললিত। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। এদিন তাই বিদায়ী ভাষণ দিতে গিয়ে খানিকটা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন ললিত। বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রোজকার বিষয়গুলির দ্রুত শুনানি ও নিয়ম মাফিক করার। আমার ধারণা, আমি আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কিছুটা পূরণ করতে পেরেছি। আমরা ১০ হাজার মামলার নিষ্পত্তি করেছি। ক্লিয়ার করেছি আরও ১৩ হাজার মামলা, যেগুলিতে ডিফেক্ট ছিল।

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJI of India)  জানান, তিনি সুপ্রিম কোর্টে কাটিয়েছেন ৩৭ বছর। আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করেছিলেন ২৯ বছর। শেষ আট বছর সুপ্রিম কোর্টের জাজ ছিলেন। এদিন তিনি প্রবীণ আইনজীবী প্রয়াত সোলি সোরাবজিকেও ধন্যবাদ জানান। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তিনি তাঁর অধীনে কাজ করেছিলেন, তাই। ললিত বলেন, আমি এই আদালতে প্রায় ৩৭ বছর কাটিয়েছি। এই আদালত থেকে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি মুম্বইয়ে আইন প্র্যাকটিস করছিলাম। এখানে এসেছিলাম তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের সামনে একটি মামলা উপস্থাপন করতে। ললিত বলেন, আমার যাত্রা এই আদালত থেকে শুরু হয়ে আজ এই আদালতেই শেষ হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে আর্থিক অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    ললিতের পরে দেশের প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করবেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপনার কার্যকালে বিচারবিভাগে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে। এবং আমি আপনাকে এই বলে আশ্বস্ত করতে পারি যে এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তিনি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতিকে বহু বছর ধরে চিনি। একটি বিষয়ে মাত্র একবারই তাঁর বিরোধিতা করেছিলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share