Author: Krishnendu Bakshi

  • Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Citizenship Ammendment Act: পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ প্রয়োগ হবে, সুবিধা পাবেন মতুয়ারাও, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। গুজরাটের পর পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ হবে। এতে নমঃশুদ্রদের সুবিধা হবে। মঙ্গলবার এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাসকারী পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে শংসাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে এ দেশে অন্তত পাঁচ বছর বসবাস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। গুজরাটের এই খবরেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act) নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ-র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সংসদেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমঃশুদ্র সমাজ তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয়, ৭১এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকল না। শুভেন্দু বলেন, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Ammendment Act) প্রয়োগ করা হবে বলে বারংবার বলেছে কেন্দ্র। উনিশের ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিজেপি। তার পুরস্কারও পেয়েছিল পদ্ম শিবির। মতুয়াদের একটা বিরাট অংশের সমর্থন গিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ঝুলিতে। ভোট পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও সিএএ কেন লাগু হয়নি, সে প্রশ্নও ওঠে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বনগাঁর সাংসদ বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু কেন্দ্রের মন্ত্রীও। পরে সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। শান্ত হন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে সিএএ শুনানি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কোয়েম্বাতুরে মন্দিরের সামনে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এএনআই (NIA)। তারা ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে কেরালা লিংকের দিকে ইঙ্গিত করেছে। তার পরেই গাড়িগুলিতে নাকাচেকিং শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। কোয়েম্বাতুরে যে ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে অন্যান্য রাজ্যেও। এই মর্মে রাজ্যগুলিকে সতর্কও করে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    রবিবার সকালে কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা বছর পঁচিশের যুবক জামেজা মুবিনের। ওই ঘটনার পরে পরেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের অনুমান, ভবিষ্যতে বড় ধরনের নাশকতার ছক ছিল। বছর কয়েক আগেও একবার মুবিনকে জেরা করেছিল এনআইএ। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন মহম্মদ তালকা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াজ, ফিরোজ ইসমাইল এবং মহম্মদ নওয়াজ ইসমাইল। প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ। গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডেরও তদন্তে নেমেছে এনআইএ।  

    এক প্রবীণ তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, এনআইএ নিশ্চিত করেছে কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast) কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অন্যান্য রাজ্যেও জনবহুল এলাকাগুলিতে এরকম হামলা হতে পারে। এনআইএর তরফে এ ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বাড়াতে বলা হয়েছে পুলিশি নজরদারি। ওই আধিকারিক বলেন, রাজ্যের সন্দেহভাজন বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর নজর রাখছি আমরা। তার মধ্যে কয়েকটি গোষ্ঠীর ওপর আমরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডের (Coimbatore Blast) পর রাজ্যের গাড়িগুলিতে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তামিলনাড়ুর এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গাড়িগুলিতে চেকিং চালানো হচ্ছে। হঠাৎ করে গাড়ি পরীক্ষার জন্যও স্পেশাল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারি চালাতে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবে সেগুলি এই মুহূর্তে প্রকাশ করা যাবে না।

    কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Coimbatore Blast) গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরোজ ইসমাইল নামে একজনকে। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বিতাড়িত হয়ে এসেছেন। এক আধিকারিক বলেন, কেরালার কয়েকজন যুবককে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে তাড়ানো হয়েছে। আইএস কাজের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সন্দেহ। ঘটনা প্রবাহের ওপর আমরা কড়া নজর রাখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    SSC Scam: দুর্নীতি হচ্ছে জেনেও চুপ ছিলেন পার্থ-মানিক, আদালতে জানাল ইডি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির জালে জড়িয়ে পড়ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, অনলাইন ক্লাস পরিচালনার জন্য মানিকের ছেলে শৌভিকের সংস্থা এডুক্লাসেস অনলাইনকে ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সে সম্পর্কে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সব জানতেন। মানিককে তিনি তা জানিয়েওছিলেন। তার পরেও দুর্নীতি রুখতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ ইডির।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, এডুক্লাসেসের মাধ্যমে পড়ুয়াপিছু নেওয়া হয় ৫০০ করে টাকা। ওই টাকা দিলেই মিলত অনলাইনে ক্লাসের ছাড়পত্র। পলাশিপাড়ার বিধায়কের এসব কাজকর্ম সম্পর্কে সবই জানতেন পার্থ। তার পরেও চোখ বুজে ছিলেন। এদিন, আদালতে নথি জমা দিয়ে ইডির আধিকারিকরা বলেন, ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এডুক্লাসেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোট ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে অনলাইন ক্লাসের জন্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সব জেনেশুনেও মানিককে নিরস্ত করেননি পার্থ। অনলাইন ক্লাসের নামে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া বন্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেননি তিনি। মানিকও দিব্যিই ছিলেন।

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    ইডির আরও দাবি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের পরিবারের একাধিক সদস্যের সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে জনৈক মৃত্যঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ২০১৬ সালে প্রয়াত হন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে এখনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর। এ থেকে এটাও স্পষ্ট, মৃত্যুঞ্জয়ের প্রয়াণের পরেও তাঁর কেওয়াইসি আপডেট এবং প্যানকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় চার্জশিট দিয়ে পার্থ ও মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিষয়টি আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    Malaria Outbreak: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপও, আক্রান্ত কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ডেঙ্গিতে রক্ষে নেই, ম্যালেরিয়া দোসর! রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের হার বাড়ছে দিনের পর দিন। এরই মধ্যে আলোড়ন পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো একটি রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় (Malaria Outbreak) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪৮ জন। মাস দুয়েক আগেও এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ৭০০। জানা গিয়েছে, যাঁরা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের সিংহভাগই হচ্ছেন ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়ায়।

    রাজ্যে মশাবাহিত রোগের হাল হকিকৎ কী এবং প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো বাধ্যতামূলক। সেই মতো তথ্য পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ম্যালেরিয়ার (Malaria Outbreak) কথা। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজার। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং এই ছটি জেলা ডেঙ্গিপ্রবণ।

    ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই থাবা বসিয়েছে ম্যালেরিয়া (Malaria Outbreak)। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৪৪ জন। আর কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত এ রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮১২। এর মধ্যে ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯০২। মৃত্যু হয়েছে একজনের। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে, নজর রাখার নির্দেশ নবান্নর, কিন্তু কেন?

    কেন্দ্রের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য পাঠাচ্ছে না রাজ্য। শনিবারও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণী। মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বছর পঁচিশের ওই বধূর। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ভয়ঙ্কর অবস্থা। সরকার নেই। সরকার ছুটি কাটাচ্ছে। দুর্গাপুজোয় ১১ দিন, কালীপুজোয় ৮দিন, ছুটি আর ছুটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Unity Day: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    National Unity Day: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শত্রুরা ভারতের (India) ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করে চলেছে। এরকম চেষ্টার বিরুদ্ধে গোটা দেশের রুখে দাঁড়ানো উচিত। সোমবার একতা দিবসের (National Unity Day) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী। এই দিনটিকেই একতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এদিন গুজরাটের (Gujrat) কেভাদিয়ায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান মোদি। ওই সভায়ই শত্রুদের সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় একতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে (National Unity Day) মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কেবাদিয়ায় রয়েছি। কিন্তু আমার হৃদয় পড়ে রয়েছে মোরবিতে। যেখানে রবিবার সন্ধ্যায় ব্রিজ দুর্ঘটনায় ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    আবেগ বিহ্বল দশা কাটিয়ে ফের ছন্দে ফেরেন মোদি। বলেন, ভারতে কোনও দিনই ঐক্যের প্রয়োজন ছিল না। এটা ছিলই। এটাই এর স্বাতন্ত্র্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের এই ঐক্যটাই শত্রুদের চক্ষুশূল। না না, আজ নয়, হাজার হাজার বছর ধরে। এমনকী আমরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা ছিলাম, তখনও। সব বিদেশি ভারত আক্রমণকারীর দল আমাদের দেশের এই ঐক্য ভাঙতে সমস্ত ধরনের চেষ্টা করেছে।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    বহিঃশত্রুদের এই ঐক্য ভাঙার চেষ্টা যে ক্রমেই বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দীর্ঘকাল ধরে যে বিষ ছড়ানো হয়েছিল, তার ফল আজও ভুগছে দেশ। আমরা দেখেছিলাম দেশ ভাগ। এবং এর থেকে সুযোগ নিচ্ছে শত্রুরা। প্রধানমন্ত্রীর মতে, শত্রুরা এখনও রয়েছে। তারা জাতপাত, অঞ্চল, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে মানুষকে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ইতিহাসও এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার জেরে মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়ান না। মোদি বলেন, এই শক্তি যে কেবল বাইরে থেকে আসছে তা নয়, আমাদের দাসত্বের মানসিকতাও ঐক্যে পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদের জবাব দিতে হবে। তাদের বলতে হবে, আমরা এই দেশের সন্তান। আমাদের এক থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    PM Modi: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে গর্বের। রবিবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, পুরানো চ্যালেঞ্জ সব পিছনে ফেলে নয়া সম্ভাবনার পূর্ণ সুযোগ নিন। এদিন ভিডিও কনফারেন্সিয়ের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নয়া উদ্যোগে কাজ করা প্রয়োজন। দ্রুত গতির উন্নয়নের নাগাল পেতে প্রয়োজন নতুন চিন্তাভাবনারও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের সব স্তর এবং নাগরিকের কাছে উন্নয়নের সুফল সমানভাবে পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পরেই মোদি বলেন, জন্মু এবং কাশ্মীর প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে গর্বের। আমরা সবাই মিলে জম্মু এবং কাশ্মীরকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।

    জম্মু-কাশ্মীরের যে তিন হাজার তরুণ-তরুণীকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, এদিন তাঁদের অভিনন্দন জানান মোদি (PM Modi)। এই তরুণ-তরুণীরা জম্মু-কাশ্মীরের ২০টি জায়গায় কাজ করবেন। পিডাব্লুডি, স্বাস্থ্য দফতর, ফুড অ্যান্ড সিভিল সাপ্লাইজ ডিপার্টমেন্ট, প্রাণী পালন, জল শক্তি এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি দফতরে কাজ করার সুযোগ পাবেন এই তরুণ-তরুণীরা। প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে আরও ৭০০জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। জোরকদমে তার কাজও চলছে।

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র ও কলমধারী দুই ধরনের নকশালকেই নির্মূল করতে হবে, জানালেন মোদি

    জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় খুশি প্রধানমমন্ত্রী (PM Modi)। জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের সংখ্যার রেকর্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, এ রাজ্যে পর্যটন শিল্প উন্নতির মুখ দেখছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কারণেই এই শিল্পে জোয়ার এসেছে। মোদি বলেন, সরকারের নানা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা যাতে বৈষম্য ছাড়াই সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছায়, সেজন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছি।

    জম্মু-কাশ্মীরে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য দুয়েরই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ জোরকদমে চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, এ রাজ্যে দুটি নতুন এইমস, সাতটি মেডিক্যাল কলেজ, দুটি স্টেট ক্যানসার ইনস্টিটিউট এবং ১৫টি নার্সিং কলেজ খোলা হবে। কাশ্মীরের সঙ্গে যাতে দেশের বাকি অংশের রেল যোগাযোগ গড়ে তোলা যায়, তার চেষ্টাও চলছে। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা স্বচ্ছতাকে উৎসাহিত করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যাঁরা সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা এই স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের তরুণরা নয়া গল্প লিখবেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে গুজরাটে (Gujrat)। প্রত্যাশিতভাবেই মাঠে নেমে পড়ছে সব দল। ক্ষমতায় ফিরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস (Congress) এখনও সেভাবে ঘর গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তবে কোমর কষে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। এমতাবস্থায় বিরোধীদের মাত দিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার। গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। শনিবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে একটি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণার কথা বলেছেন তিনিই। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু প্রসঙ্গে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংগাভি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) হল দেশের সব নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং সন্তান দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রেও দেশের সব নাগরিককেই একই আইন মেনে চলতে হবে। ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এর উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রকে।

    আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় গুজরাট ভোট, রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে মোদি-শাহ

    প্রসঙ্গত, ১৮ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানিয়েছিল দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন একটি আইন প্রণয়ন করা। সরকারের যুক্তি ছিল, ধর্মভিত্তিক ব্যক্তিগত বিভিন্ন আইন জাতীয় ঐক্যের অবমাননা। অভিন্ন দেওয়ানি বিধিই বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসবে এবং নিশ্চিত করবে ভারতের একীকরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • China Covid: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ফের লকডাউন চিনে

    China Covid: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ফের লকডাউন চিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই আবারও লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত নিল চিন প্রশাসন। প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের আওতায় আসবেন চিনের ২০৮ মিলিয়ন মানুষ। জানা গিয়েছে, দেশের ২৮টি শহরে এই লকডাউন জারি করা হয়েছে। এই শহরগুলির মধ্যে রয়েছে উহানও। বছর তিনেক আগে এই উহানেই প্রথম খোঁজ মিলেছিল মারণ ভাইরাসের (China Covid)। সম্প্রতি করোনার নয়া স্ট্রেইনের সন্ধান মিলেছে। এটি আগেরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) সাফাই গেয়েছেন লকডাউনের পক্ষে। তিনি একে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে জনতার যুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন। তার পরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে তাঁর জিরো-কোভিড টলারেন্স নীতি।

    করোনার এই যে দুটি নয়া স্ট্রেইন চোখ রাঙাচ্ছে চিনে, সেগুলি ভয় ধরিয়েছে সে দেশের প্রশাসনের বুকেও। আধিকারিকদের মতে, এবার যে সংক্রমণ হচ্ছে, সেজন্য দায়ী বিএফ.৭ এবং বিএ.৫.১.৭। চিনের স্পেশালিস্ট ফার্ম নোমুরা জানিয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যান এবং আমাদের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে দেশের ২৮টি শহরে বিভিন্ন পর্যায়ের লকডাউন জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উহান জেলায় প্রায় ৮ লক্ষ মানুষকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ঘরবন্দি থাকতে বলা হয়েছে। এই উহানেই চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন নথিভুক্ত কোভিড (China Covid) রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ২৫ জন করে।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৫.৩১%

    শহরে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়াংঝাউয়ে। অর্থনৈতিক দিক থেকে এটি চিনের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। বৃহস্পতিবার দিনভর শহরবাসীকে বন্দি থাকতে হয়েছে ঘরেই। আশপাশের শহরগুলিতে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের বহর। সেই কারণেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অবলম্বন করা হয়েছে এই পন্থা। করোনার (China Covid) বাড়বাড়ন্তে দেশের অর্থনীতি হাল খারাপ হতে শুরু করেছে চিনে। জিডিপি পড়ে গিয়েছে ২.৬ শতাংশ। চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের হিসেব এটি। এদিকে, করোনা (China Covid) ঠেকাতে একটি টিকা আবিষ্কার করেছে সাংহাই। নয়া এই ভ্যাকসিন ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে নিতে হবে না, ইনহেল করতে হবে। বিশ্বে এটাই প্রথম এই ধরনের করোনা প্রতিষেধক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • KPSS: ফের ভূস্বর্গ ছাড়লেন ৯ পরিবার, কারণ জানতে কথা বলবে কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি  

    KPSS: ফের ভূস্বর্গ ছাড়লেন ৯ পরিবার, কারণ জানতে কথা বলবে কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৭টি কাশ্মীরি পণ্ডিত (Pandit) পরিবার ভূস্বর্গ ছেড়েছেন। বেছে বেছে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের লোকজনকে খুন করায় দক্ষিণ কাশ্মীর (South Kashmir) থেকে আস্তানা গুটিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন তাঁরা। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির (KPSS) তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    কাশ্মীরে পণ্ডিতদের একটি সংগঠন হল কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি (KPSS)। এই সমিতির তরফে জানানো হয়, গত সোমবার ভূস্বর্গ ছেড়েছেন ন’টি পরিবার। সংগঠনের তরফে ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়, আজ দক্ষিণ কাশ্মীর ছেড়ে গেলেন আরও ন’টি পরিবার। মে মাস থেকে এ পর্যন্ত কাশ্মীর ছাড়লেন মোট ১৭টি পরিবার। কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতির সভাপতি সজয় টিকু বলেন, আমি ওই পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলব। কী কারণে ৩২ বছর পর তাঁরা কাশ্মীর ছাড়লেন, তা জানতে চাইব।প্রসঙ্গত, চলতি বছর এ পর্যন্ত কাশ্মীরে টার্গেট কিলিংয়ের বলি হয়েছেন সংখ্যালঘু ও পরিযায়ী মিলিয়ে মোট ১৭ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন তিনজন কাশ্মীরি পণ্ডিতও।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য! খতম পরিযায়ী শ্রমিক হত্যাকারী লস্কর জঙ্গি

    তবে সম্প্রতি যে খুনটি হয়, তা ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে উপত্যকাবাসীকে। ১৫ অক্টোবর সন্ত্রাসবাদের বলি হল বছর ছাপ্পান্নর পূরণ কৃষাণ। সোপিয়ান জেলার বাসিন্দা পূরণকে গুলি করে খুন করা হয়। খুনের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস। এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে লস্কর-ই-তইবার যোগ রয়েছে। এর আগে সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন আর এক কাশ্মীরি পণ্ডিত সুনীল কুমার ভাট। সোপিয়ান জেলার এই বাসিন্দাকে খুন করা হয় ১৬ অগাস্ট। জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছিলেন তাঁর ভাই। পুলিশ জানিয়েছিল, সুনীলরা দুই ভাই যখন তাঁদের আপেল বাগিচায় কাজ করছিলেন, তখনই আক্রমণ করে জঙ্গিরা।

    পণ্ডিত সম্প্রদায়ের আরও একজন সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ১২ মে। তাঁর নাম রাহুল ভাট। সরকারি চাকরি করতেন। বদগাঁওয়ে তাঁর অফিসে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল উপত্যকায়। সরকারি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন সাড়ে তিনশো কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share