Author: Krishnendu Bakshi

  • US: চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা!

    US: চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও জোরদার করতে চাইছে আমেরিকা (US)। ক্রমেই বাড়ছে চিনা (China) আগ্রাসন। ড্রাগনের দেশের এই বাড়বাড়ন্ত রুখতেই ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও পোক্ত করতে চাইছে জো বাইডেনের (Joe Biden) সরকার। ইউএস ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি ২০২২ প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। তা থেকেই জানা গিয়েছে বাইডেন প্রশাসনের এই মনোভাবের কথা।

    কিছুদিন আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রচেষ্টা গেম চেঞ্জার হতে চলেছে। কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতকে প্রযুক্তিগত সাহায্য করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। যদি সেই সরঞ্জামটি তৈরি হয়, তবে তা ভারতেই নির্মাণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, রাজনাথের এই দাবির আগে আগেই পাকিস্তানকে (Pakistan) এফ-১৬ ফাইটার জেট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বাইডেন সরকার। ঘটনার জেরে ততক্ষণাৎ আপত্তির কথা জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পর থেকে ভারতের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয়েছে হোয়াইট হাউস। আমেরিকার (US) ওই স্ট্র্যাটেজিতে বলা হয়েছে, চিনা আগ্রাসন রুখতে দফতর (মার্কিন প্রতিরক্ষা) ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গাঁটছড়া আরও শক্ত করবে। এভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি এবং অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করবে।

    আরও পড়ুন: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    চিন এবং রাশিয়া দুটি দেশই যে আমেরিকার পক্ষে সমান বিপজ্জনক, তাও জানা গিয়েছে ওই স্ট্র্যাটেজি থেকে। এতে বলা হয়েছে, চিন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। আর রাশিয়া দেশ এবং বিদেশের জন্য মার্কিন জাতীয় স্বার্থের পক্ষে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশিত ওই স্ট্র্যাটেজিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জটি হল চিনের জবরদস্তিমূলক এবং ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক প্রচেষ্টা। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ওই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে তার অনুকূলে আনতেই এটা করছে ড্রাগনের দেশ। দফতর তার সহযোগী এবং সঙ্গীদের সমর্থন করবে মার্কিন নীতি ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা, ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে ডিয়ার লটারির (Dear Lottery) কারবার! এই লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে আরও একবার সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, এই লটারি সংস্থার সঙ্গে ভাইপো এবং তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের সহজ পন্থা বলেও মনে করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)দাবি, অন্য সব লটারি সংস্থাকে কোণঠাসা করে দিয়ে কেবলমাত্র একটি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে সুবিধা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তিনি জানান, পুরস্কারের আশায় লটারি কিনতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একাধিক ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। একটি ট্যুইটে তিনি বলেন, আমি বরাবর বলে আসছি যে ডিয়ার (ভাইপো) লটারি ও তৃণমূলের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এটি আর্থিক তছরুপের একটি সহজ পন্থা।

    ওই লটারি সংস্থার পুরস্কার মূল্য এক কোটি টাকা। একবার সেই টাকা পেয়েছিলেন বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী। তাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট-বাণে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, সাধারণ মানুষ টিকিট কেনেন। আর বাম্পার পুরস্কার জেতেন তৃণমূল নেতারা। প্রথমে জ্যাকপট জিতলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং এখন তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তর স্ত্রী জিতলেন এক কোটি টাকা। প্রকৃতপক্ষে গত বছর আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে এনিয়ে চিঠি লিখেছিলাম। প্রায়ই আমি এনিয়ে সরবও হয়েছি।  

    অত্যন্ত সুচারুভাবে লটারি ব্যবসার নামে রাজ্যের দরিদ্র মানুষকে ঠকিয়ে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। অন্য একটি ট্যুইট-বাণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, এই উদ্বেগজনক ইস্যুটি নিয়ে আমি অনেক দিন ধরেই আওয়াজ তুলছি। পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র মানুষকে লটারির পুরস্কারের নামে সহজে মোটা টাকা পাওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। তাঁরা সহজেই তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে এই সব লটারির টিকিট কাটছেন। আর সেই টাকায় লাভবান হচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পিএফআই যোগসূত্র ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Miya Museum: তালা মিঞা মিউজিয়ামে, ওখানে লুঙ্গি ছাড়া ওঁদের কিছু নেই, বলছেন মুখ্যমন্ত্রী  

    Miya Museum: তালা মিঞা মিউজিয়ামে, ওখানে লুঙ্গি ছাড়া ওঁদের কিছু নেই, বলছেন মুখ্যমন্ত্রী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোলার এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হল মিঞা মিউজিয়াম (Miya Museum)। আসামের (Assam) গোয়ালপাড়া জেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওই মিউজিয়াম উদ্বোধন করেছিল অল আসাম মিঞা পরিষদ (All Assam Miya Parishad)। প্রশাসনের দাবি, যে বাড়িটিতে মিউজিয়াম গড়া হয়েছিল, সেটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায়, মিউজিয়াম তৈরির জন্য নয়।

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, এটা কী ধরনের মিউজিয়াম (Miya Museum)। অসমিয়াদের লাঙল, মাছ শিকারের জিনিসপত্র রাখা হয়েছে এখানে। একমাত্র লুঙ্গি ছাড়া ওদের নিজস্ব কিছুই নয়। এখানে নতুন আছেটা কী? ওদের প্রমাণ করতে হবে লাঙল শুধুই মিঞারা ব্যবহার করেন।

    ঊনবিংশ শতকে বাংলাদেশ থেকে ব্রহ্মপুত্রের চরে চাষ করতে আসা মানুষের পরবর্তী প্রজন্ম আসামে মিঞা নামে পরিচিত। এঁরা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁদেরই কয়েকজন গড়ে তোলেন মিঞা পরিষদ। এই পরিষদের প্রধান মোহর আলি। এই মোহর এবং অন্য এক নেতা আবদুল বাতেনকে আলকায়দা মডিউলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তনু ধাদুমিঞা। তাঁকেও আটক করা হয়েছে। ধাদুমিঞা আম আদমি পার্টির সদস্য।

    এই মিউজিয়াম (Miya Museum) গড়তে যে টাকা খরচ হয়েছে, তার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিউজিয়াম গড়তে প্রয়োজনীয় অর্থ তাঁরা কোথা থেকে পেলেন, পুলিশ তদন্ত করবে। এটা সমস্ত আসামবাসী কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভাববার সময় এসেছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মিঞা মিউজিয়ামে লাঙল রাখা হয়েছে। এটা তাঁদের নিজস্ব কীভাবে, যখন শিবসাগরের চাষিরাও ভূমি কর্ষণ করতে লাঙল ব্যবহার করেন? মাছ ধরার যে যন্ত্র তাঁরা মিউজিয়ামে রেখেছেন, তাও তাঁদের নিজস্ব নয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সামনে এসব ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁদের। তিনি বলেন, এমন কী যে স্কার্ফ তাঁরা মিউজিয়ামে (Miya Museum) প্রদর্শন করছিলেন, তাও তো এসেছে দেশি মুসলমানদের কাছ থেকে। এঁরা মিঞা স্কুলও স্থাপন করেছেন। এক বছর আগে আমি যখন এসব নিয়ে বলছিলাম, তখন কিছু লোক এবং বুদ্ধিজীবীরা আমাকে সাম্প্রদায়িক তকমা দিয়েছিল।

     

     

  • Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    Coimbatore Blast: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ (Coimbatore Blast)-কাণ্ডে এবার ইউএপিএ (UAPA) ধারায় মামলা করল পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই এর পর তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) পুলিশের হাত থেকে এই তদন্তের ভার নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। রবিবার সকালে কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা বছর পঁচিশের যুবক জামেজা মুবিনের। ওই ঘটনার পরে পরেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের অনুমান, ভবিষ্যতে বড় ধরনের নাশকতার ছক ছিল। বছর কয়েক আগেও একবার মুবিনকে জেরা করেছিল এনআইএ।

    গাড়ি বিস্ফোরণের (Coimbatore Blast) ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন মহম্মদ তালকা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ রিয়াজ, ফিরোজ ইসমাইল এবং মহম্মদ নওয়াজ ইসমাইল। প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির কোঠায়। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ। তামিলনাড়ুর সিটি পুলিশ কমিশনার ভি বালাকৃষ্ণণ জানান, ধৃতদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তিনি জানান, ইউএপিএ, ষড়যন্ত্র সহ আইপিসি সেকশনে মামলা করা হয়েছে। এর আগে তামিলনাড়ু বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ধৃত পাঁচজন সম্পর্কে পুলিশ কেন কোনও নির্দিষ্ট কারণ দর্শাচ্ছে না, কোনও ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা বলছে না কেন?

    আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুরে মন্দিরের সামনে গাড়ি বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু, নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ?

    জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে (Coimbatore Blast) মৃত মুবিনের সঙ্গে আজহারউদ্দিনের কোনও সংযোগ ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শ্রীলঙ্কার চার্চে ইস্টার সানডে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল ২০১৯ সালে। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ২৫০রও বেশি মানুষের। ওই ঘটনায় আজহারউদ্দিনের নাম জড়িয়েছিল। তাই তার সঙ্গে মুবিনের যোগ কতটা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বালাকৃষ্ণণ বলেন, যেহেতু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তাই ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    পুলিশ কমিশনার জানান, সিসিটিভির ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ঘটনার আগে আগে মুবিন দুটি এলপিজি সিলিন্ডার, দুটি ছোট ড্রাম বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এই ড্রামের মধ্যে থাকা পদার্থই ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, এই জিনিসগুলি মুবিনকে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল যে তিনজন, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মুবিনকে গাড়ি দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরও একজনকে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • EPFO: কেবল অগাস্টেই ইপিএফও-র সদস্য সংখ্যা বাড়ল ১১ শতাংশ!

    EPFO: কেবল অগাস্টেই ইপিএফও-র সদস্য সংখ্যা বাড়ল ১১ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মীদের কল্যাণে রয়েছে এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)। এই স্কিমের প্রতি কর্মীদের আগ্রহ ছিল বরাবর। তবে কোনও এক অজানা কারণে এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে এর সদস্য সংখ্যা। চলতি বছরে কেবল অগাস্ট মাসেই ওই প্রকল্পে নতুন করে অংশ নিয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ কর্মী।

    বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক সুরক্ষা সংগঠন হল পিএফও (PFO)। সদস্য ও টাকা লেনদেনের হিসেবেই এই সংগঠন বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক সুরক্ষা সংগঠন। বর্তমানে এই সংগঠন মেনটেন করে ২৪.৭৭ কোটি অ্যাকাউন্ট। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের হিসেবে মিলেছে এই তথ্য। গত অগাস্টে এই সংগঠনেরই সদস্য সংখ্যা বেড়েছে ৯ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮৫০টি। গত মাসের তুলনায় যা ১১ শতাংশ বেশি। মিনিস্ট্র অফ স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশনের তরফে মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই মন্ত্রক এমপ্লয়মেন্ট-সম্পর্কিত স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশ করে। ২০১৭ সালের সেপ্টম্বর থেকে ফর্মাল সেক্টরে কত সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেই হিসেব তুলে ধরে। তিনটি প্রধান স্কিম- এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিম, এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স স্কিম এবং ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে কত সাবস্ক্রাইবার রয়েছেন, তার ভিত্তিতে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩০ এর রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এক সঙ্গে কাজ করব’, ঋষিকে বার্তা মোদির

    প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ এর অগাস্ট পর্যন্ত সব মিলিয়ে এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে যোগ দিয়েছেন ৫ কোটি ৮১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৩০ জন। এদিকে, ইএসআই স্কিমে সব মিলিয়ে নতুন নথিভুক্তকরণের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার ১৪৫। এই প্রকল্পে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত যোগ দিয়েছেন ৭ কোটি ২২ লক্ষ ৯২ হাজার ২৩২ জন। প্রাপ্ত তথ্য থেকে এও জানা যাচ্ছে, অগাস্ট মাসে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে যোগ দিয়েছেন ৬৫ হাজার ৫৪৩ জন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই স্কিমে সব মিলিয়ে যোগ দিয়েছেন ৩৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ১০১ জন। এ সংক্রান্ত পরবর্তী রিপোর্ট বের হবে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UK Prime Minister: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    UK Prime Minister: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। চলতি মাসের ২৮ তারিখ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। তার পর তিনি বাসিন্দা হবেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের। এই বাড়িতেই থাকেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীরা।  ব্রিটেনের রাজা-রানি থাকেন বাকিংহাম প্যালেসে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষত মূর্তির সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে বাকিংহাম প্যালেসের বাসিন্দাদের সম্পত্তির বহরকে।

    একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফে করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। ব্রিটেনের ২২২তম ধনীতম বাসিন্দার তালিকায় রয়েছেন সুনক দম্পতিও। সেই তুলনায় প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পত্তির পরিমাণ কম। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়ানের পর রাজা হন তৃতীয় চার্লস। রানি হন ক্যামেলিয়া। এই রাজা ও রানির সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ৫৩৬ ও ৩৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) ঋষি সুনক প্রাক্তন হেজ ফান্ড ম্যানেজার ছিলেন। তাঁর স্ত্রী অক্ষত ভারতের অন্যতম ধনীতম ব্যক্তির এনআর নারায়ণ মূর্তির কন্যা। টেক জায়েন্ট ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এই নারায়ণ। জুলাই মাসে যে রিচ লিস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে নারায়ণ কন্যা অক্ষতর অংশীদারিত্বের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) স্ত্রী অক্ষত একজন ফ্যাশন ডিজাইনারও। ব্রিটেনে রয়েছে তাঁর প্রাইভেট ইনভেস্ট ফার্ম। সেখানেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ঋষি এবং অক্ষত দু জনেরই বয়স ৪২। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ার সময় দু জনের আলাপ। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গার্ডিয়ান পত্রিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের চারটি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি আবার লস এঞ্জেলেসে, পেন্টহাউস। এই বাড়িতেই শুট্যিং হয়েছে বিখ্যাত ছবি বে ওয়াচ-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Darul Uloom Deoband: দারুল উলুম দেওবন্দ সহ উত্তর প্রদেশের ৩০৬টি মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন নেই!

    Darul Uloom Deoband: দারুল উলুম দেওবন্দ সহ উত্তর প্রদেশের ৩০৬টি মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন নেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাহারানপুর জেলার ইসলামিক সেমিনারি দারুল উলুম দেওবন্দ (Darul Uloom Deoband) এবং ৩০৫টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তর প্রদেশ মাদ্রাসা (Madrasa) এডুকেশন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়। উত্তর প্রদেশ (UP) সরকারের সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, যেসব মাদ্রাসা মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়, তারা স্কলারশিপ, শিক্ষকদের বেতন সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে। সাহারানপুর জেলা মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার অফিসার ভরতলাল গৌর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সাহারানপুরে সব মিলিয়ে ৭৫৪টি নথিভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে।

    সাহারানপুরে প্রচুর মাদ্রাসা রয়েছে। এগুলির মধ্যে মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড স্বীকৃত মাদ্রাসা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্বীকৃত নয় এমন মাদ্রাসাও। সাহারানপুর জেলা মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার অফিসার জানান, জেলায় এডুকেশন বোর্ড স্বীকৃত নয় এমন মাদ্রাসার সংখ্যা ৩০৬। জেলায় মাদ্রাসার প্রকৃত সংখ্যা কত, তা জানতে হয়েছিল সমীক্ষা। সেই সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য, জানান তিনি। সরকারি ওই আধিকারিক জানান, দারুল উলুম দেওবন্দ (Darul Uloom Deoband) মাদ্রাসা এডুকেশন বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত নয়। সাহারানপুর জেলা মাইনরিটি ওয়েলফেয়ার অফিসার জানান, সরকার ১২টি পয়েন্ট বেঁধে দিয়েছিল। সেই পয়েন্টগুলির ভিত্তিতেই চালানো হয়েছে সমীক্ষা।

    আরও পড়ুন: অবৈধ নির্মাণ না জঙ্গি-যোগ! অসমে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল মাদ্রাসা

    দারুল উলুম দেওবন্দ (Darul Uloom Deoband) মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সোসাইটি অ্যাক্টে দারুল উলুমের সুরা সোসাইটিতে নথিভুক্ত রয়েছে এই মাদ্রাসা। সংবিধানের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার বলে চলে এই মাদ্রাসা। তাঁরা জানান, দারুল উলুম দেওবন্দ শিক্ষামূলক কাজকর্ম করে আসছে। দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশকে সেবা করে আসছে। তা সত্ত্বেও এই মাদ্রাসা কোনও সরকারের কাছ থেকেই কোনওরকম সাহায্য কিংবা অনুদান নেয়নি। প্রসঙ্গত, সাহারানপুরের দেওবন্দের এই ইসলামিক প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছিল ১৮৬৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলাম পণ্ডিত এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এঁদের প্রধান ছিলেন মহম্মদ কাসেম নানুতুবি। এখান থেকেই দেওবন্দি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Government employee: কাজে গাফিলতি! দোষী প্রমাণ হলে সরকারি কর্মীদের বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন, গ্র্যাচুইটি?

    Government employee: কাজে গাফিলতি! দোষী প্রমাণ হলে সরকারি কর্মীদের বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন, গ্র্যাচুইটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ (DA) উপহার দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বোনাসও। জোড়া উপহার পেয়ে যারপরনাই খুশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা (Government employee)। তবে এবার তাঁদের দেওয়া হল সতর্কবার্তাও (Warning)। কেন্দ্রের তরফে জারি করা ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, কাজের সময় আরও সতর্ক হোন। কাজের ক্ষেত্রে অবহেলা করবেন না। যদি তা প্রমাণ হয়, তাহলে অবসরের পর বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটিও। এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে কেবল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে। রাজ্য চাইলে এর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

    কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government employee) ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৮ শতাংশ। বেসিক পে-র ৩৮ শতাংশ হারে ওই ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়। এর পর দেওয়া হয়েছে বোনাসও। এসবের সঙ্গে এবার দেওয়া হল সতর্কবার্তাও। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, যদি কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি (Government employee) কর্মী গুরুতর দোষী সাব্যস্ত হন অথবা তাঁর কর্মজীবনে কোনও কিছু অবহেলার প্রমাণ মেলে, তাহলে অবসরের পর বন্ধ করে দেওয়া হবে পেনশন ও গ্র্যাচুইটি। এই যে নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তা সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস পেনশন রুল ২০২১ এর অধীনে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই সিসিএস পেনশন রুলস ৮ পরিবর্তন করেছে। এই বদল করতে গিয়েই তিনটি নয়া বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিয়মে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কাছে। ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

    নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি পুরোপুরি কিংবা আংশিক বন্ধ করে দেওয়ার। একমাত্র দোষী প্রমাণিত হলে তবেই তা করা যাবে। কর্মজীবনে যদি বিভাগীয় কিংবা বিচার বিভাগীয় কোনও পদক্ষেপ করা হয়, তাহলে অবশ্যই তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। অবসরের পর কোনও কর্মী যদি পুনর্নিযুক্ত হন, তাহলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

     

  • Shivraj Patil: শিবরাজের ‘গীতা-জিহাদ’ সম্পর্কের কথা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ, সাফ কথা বিজেপির

    Shivraj Patil: শিবরাজের ‘গীতা-জিহাদ’ সম্পর্কের কথা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ, সাফ কথা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা (Gita) নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) প্রবীণ নেতা শিবরাজ পাটিলের (Shivraj Patil) মন্তব্যের জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল বিজেপি। তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (VHP)। কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদীও। তিনি বলেন, এই মন্তব্যের দায় নেওয়া উচিত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে অথবা কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর।  

    বৃহস্পতিবার বই প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে শিবরাজ (Shivraj Patil) বলেন, কেবল কোরানে নয়, জিহাদের (Jihad) উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও! এর পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। শিবরাজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে গোটা দেশে। কড়া মন্তব্য করেন গেরুয়া নেতৃত্বও। বিজেপির মুখপাত্র সঈদ শাহনাওয়াজ হুসেন শিবরাজকে আক্রমণ করেন বলেন, একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, শিবরাজ পাটিল (Shivraj Patil) জিহাদের সঙ্গে গীতার সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন! আমরা জানি কংগ্রেস হিন্দু সমাজের ওপর রেগে রয়েছে। হুসেন বলেন, কিন্তু জিহাদের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের সংযোগের কথা বলে কংগ্রেস না হিন্দু, না মুসলমান কাউকেই খুশি করতে পারবে না।

    বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র সেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে শিবরাজ পাটিল (Shivraj Patil) শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জিহাদের বার্তা দিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন। এর পরে পরেই আমরা দেখছি কংগ্রেসের অন্য এক মুখপাত্র উদিত রাজ হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন। এই দুই ঘটনা সমাপতন নয়, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার খেলা। বিজেপির দাবি, এটা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ।

    আরও পড়ুন: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    বিজেপির আর এক নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু, হিন্দুত্ব এবং হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পাটিলের (Shivraj Patil) মন্তব্য এরই অন্য একটি অধ্যায়। কংগ্রেস নেতারা আগেও বোকা হারাম এবং তালিবানের সঙ্গে হিন্দুত্বের তুলনা টেনেছিল। শিবরাজের (Shivraj Patil) এই বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্ডে কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে বলেন, তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন। সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে এসব করছে। এর পরেই শিবরাজকে নিশানা করে তিনি বলেন, আমি জানি না উনি (পাটিল) কোন গীতা পড়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতার দাবি, গীতার কোথাও জিহাদের কোনও উল্লেখ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Democracy in India: ভারতের গণতন্ত্র ঢের বেশি ভাল, মুফতির মন্তব্য প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র সিং, নিশানা করলেন বিবেকও

    Democracy in India: ভারতের গণতন্ত্র ঢের বেশি ভাল, মুফতির মন্তব্য প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র সিং, নিশানা করলেন বিবেকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তাঁর এই নিয়োগে খুশি তামাম ভারত (India)। এহেন আবহে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে তাল কাটলেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি (PDP) নেত্রী মেহবুবা মুফতি। বেফাঁস মন্তব্যের জেরে মঙ্গলবার তাঁকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ সিং। তাঁর দাবি, বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে ভারতের গণতন্ত্র (Democracy in India) ঢের বেশি ভাল। মুফতিকে মুখের মতো জবাব দিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রীও।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষি মনোনীত হওয়ার পরেই ট্যুইট করেন মুফতি। লেখেন, এটা গর্ব করার মতো মুহূর্ত যে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। গোটা ভারত তা উদযাপন করছে। তবে ব্রিটেন একজন জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলেও, আমরা এখনও এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিভাজনকারী ও বৈষম্যমূলক আইনে শেকলবন্দি হয়ে রয়েছি।

    এদিন এই প্রসঙ্গেই নাম না করে মুফতিকে একহাত নিয়েছেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। তিনি বলেন, যিনি ভারতের স্বাধীনতা ও ভারতীয় গণতন্ত্রের (Democracy in India) ইতিহাস জানেন, তিনি স্বীকার করবেন যে ভারতের গণতন্ত্র বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় ঢের ভাল। তিনি বলেন, আমি এ কথা বলতে পেরে গর্বিত যে বাজপেয়ির আমলে আমরা এপিজে আবদুল কালামকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়েছিলাম। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পেয়েছিলাম রামনাথ কোবিন্দকে। এবং এখন পেয়েছি দ্রৌপদী মুর্মুকে।

    জিতেন্দ্র প্রসাদ বলেন, ঘটনাচক্রে এঁরা সবাই সমাজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা দুর্বল শ্রেণির প্রতিনিধি। মুফতির নাম না করে তিনি বলেন, আপনি যদি ভাবেন জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ, তাহলে আমি মনে করি ভারতের রাষ্ট্রপতি জম্মু-কাশ্মীরেরও রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, যাঁরা এই ধরনের কথা বলতে পারেন, তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে মেনে নিতে বোধহয় দ্বিধাগ্রস্ত। মুফতিকে নিশানা করেছেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, মেহবুবা মুফতিজি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি কি কোনও সংখ্যালঘুকে মেনে নেবেন?  সত্যি কথাটা বলুন তো।   

    আরও পড়ুন: ঋষি সুনকের নিয়োগ নিয়ে মুফতির মন্তব্য হতাশার জের, বলছে আরএসএস

    মুফতিকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রীও। কাশ্মীর ফাইলসের ডিরেক্টর ট্যুইট বার্তায় লেখেন, যেদিন ভারতের সমস্ত মুসলমান কাফের শব্দটিকে নিষিদ্ধ করবে, শর্তহীনভাবে সরব হবেন ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, স্বীকার করবেন কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তাঁরা প্রথমে নিজেদের ভারতীয় এবং তারপর অন্যকিছু ভাববেন এবং একই উন্মাদনা নিয়ে বলবেন ভারত মাতা কী জয় এবং বন্দে মাতরম। আপনি প্রস্তুত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share