Author: Krishnendu Bakshi

  • Himachal Assembly Polls: এবার বিজেপির প্রার্থী আরও এক ‘চায়েওয়ালা’, শিমলা সদরে সঞ্জয় সুদ

    Himachal Assembly Polls: এবার বিজেপির প্রার্থী আরও এক ‘চায়েওয়ালা’, শিমলা সদরে সঞ্জয় সুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এও এক চায়েওলার গল্প! এক চায়েওয়ালা নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) হয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এবার হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে (Himachal Assembly Polls) আরও এক চায়েওয়ালাকে প্রার্থী করল বিজেপি (BJP)। এই কেন্দ্রে চার বার জয়ী হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপির সুরেশ ভরদ্বাজ। তাঁকে সরিয়ে শিমলা সদর (Shimla Urban) কেন্দ্রে বিজেপি টিকিট দিয়েছে সঞ্জয় সুদ নামে এক ব্যক্তিকে। শিমলা শহরেই একটি চায়ের দোকান চালান দীর্ঘদিনের পদ্ম-কর্মী সঞ্জয়। শিমলা সদর থেকে সরিয়ে সুরেশকে প্রার্থী করা হয়েছে কাসুমটি কেন্দ্রে। শিমলা সদরে প্রার্থী হতে পেরে আপ্লুত সঞ্জয়। দলের প্রতি কৃতজ্ঞতাও ব্যক্ত করেছেন তিনি। সঞ্জয় বলেন, বিজেপি আমার মতো একজনকে প্রার্থী করায় আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। মনে হচ্ছে সপ্তম স্বর্গে আছি। শিমলা সদর কেন্দ্র দল আমাকে প্রার্থী করেছে। আজ মনে হচ্ছে, বিজেপির জন্য কাজ করার এই সিদ্ধান্তটা ঠিকই ছিল।

    সঞ্জয় জানান, অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্ম তাঁর। আরএসএসের সহযোগিতায়ই স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন। জানতে পেরেছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে। স্কুলের পাঠ চুকিয়ে যান কলেজে। শিমলা বাসস্ট্যান্ডে খবরের কাগজ বিক্রি করে পড়াশোনার খরচ চালাতেন। কলেজে পড়াকালীন আরএসএসের ছাত্র সংগঠন বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। স্টুডেন্টস কাউন্সিলের হয়ে কাজ করেছিলেন পাঁচ বছর। অর্থনৈতিক কারণে আর কাজ করতে পারেননি। এরপর সংসারের হাল ধরতে দু বছর মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ করেন। ১৯৯১ সালে শিমলায় খোলেন চায়ের দোকান।

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    শিমলা বিধানসভা নির্বাচনে (Himachal Assembly Polls) বিজেপির এই প্রার্থী জানান, ১৯৮০ সালে বিজেপি গঠনের সময় থেকেই তিনি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক। প্রথমে শিমলা সদর মণ্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। পরে ওই কমিটির সহ সভাপতি হন। আরও পরে হন বিজেপির শিমলা জেলার মিডিয়া ইনচার্জ। বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ থাকাকালীনই সঞ্জয়কে শিমলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের টিকিট দিয়েছিল দল। দুবার কাউন্সিলরও হয়েছিলেন। পরে করা হয় সিমলা শাখার সভাপতি। আর এবার তাঁকে করা হল বিধানসভার প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Airforce Helicopter: অরুণাচল প্রদেশে আচমকাই ভেঙে পড়ল সেনা বাহিনীর কপ্টার, শুরু উদ্ধারকাজ

    Airforce Helicopter: অরুণাচল প্রদেশে আচমকাই ভেঙে পড়ল সেনা বাহিনীর কপ্টার, শুরু উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের ব্যবধান মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ফের দুর্ঘটনার কবলে কপ্টার। দু দিন আগেই কেদারনাথে পুণ্যার্থী বোঝাই হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ছ জনের। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের কপ্টার দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে সেনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার (Airforce Helicopter) ভেঙে পড়ে অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh)। এদিন দুপুর পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

    জানা গিয়েছে, এদিন রুটিন মহড়া চলছিল অরুণাচল প্রদেশে। আচমকাই আপার সিয়াংয়ের মিগিং গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি কপ্টার (Airforce Helicopter)। ভেঙে যাওয়া কপ্টারটি অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল রওনা দিয়েছে অকুস্থলের দিকে। তবে এলাকাটি দুর্গম। তাই বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

    আরও পড়ুন: কালীপুজোর দিনই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’? কী হবে এর গতিপ্রকৃতি? জানুন

    ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন অরুণাচল প্রদেশেই ভেঙে পড়েছিল একটি সেনা কপ্টার (Airforce Helicopter)। সেবার প্রাণ হারিয়েছিলেন কপ্টারটির পাইলট। গুয়াহাটির প্রতিরক্ষা পিআরওর তরফে জানানো হয়েছে, লিকাবলি এলাকা থেকে উড়ান শুরু করতেই মিগিং গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। তবে কপ্টারটিতে কতজন ছিলেন, তাঁরা কে কে, তা জানানো হয়নি। সিয়াং জেলার পুলিশ সুপার জুম্মার বাসার বলেন, যেখানে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে, সেখানে গাড়ি করে যাওয়া যায় না। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। কপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ভারতীয় সেনার অ্যাডভান্স লাইট হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবরে আমি খুবই চিন্তিত। অরুণাচল প্রদেশের এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।

    জানা গিয়েছে, এদিন যে কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে, সেটি হাল রুদ্র। কপ্টারটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ভারতীয় সেনার জন্য তৈরি এই কপ্টারটি একটি অ্যাটাক কপ্টার। এটি তৈরি করেছিল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিস্ক লিমিটেড। এটি ধ্রুব অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টারের আধুনিক ও শক্তিশালী একটি ভ্যারিয়েন্ট। কপ্টারটি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি কপ্টার কীভাবে ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

     

     

  • UK Prime Minister: ব্রিটেন সম্পর্কে ভারতের নীতি ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    UK Prime Minister: ব্রিটেন সম্পর্কে ভারতের নীতি ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’, জানালেন পীযূষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) নিয়ে কথা চলছে। ব্রিটেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির জাতীয় রফতানি সামিটে ভাষণ দিচ্ছিলেন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তখনই একথা বলেন তিনি। ভারত (India)-ব্রিটেন (UK) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে চুক্তি হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী ব্রিটেনের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান জানান।

    মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) পদ থেকে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তাঁর অর্থনৈতিক নীতির জেরে দলেই সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর কে হবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, আপাতত সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ব্রিটেনে। এমনই আবহে ভারতের অবস্থানের কথা জানালেন পীযূষ। তিনি জানান, কেবল ব্রিটেন নয়, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা চলছে কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে। গোয়েল বলেন, ব্রিটেনের এহেন পরিস্থিতিতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। নজর রাখতে হবে ঘটনাক্রমের ওপর। যদি সেখানে দ্রুত নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটে, যদি পুরো ব্যাপারটা ঠিকঠাক চলে…। তাই আমাদের এখন দেখতে হবে সে দেশের সরকারে কে আসেন। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গীই বা কী হবে তা দেখতে হবে। একমাত্র তার পরেই ব্রিটেন নিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতে পারব। তিনি জানান, ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা জানেন ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা কতখানি জরুরি। যদিও এই চুক্তি হতে হবে স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত এবং ভারসাম্যের।    

    আরও পড়ুন: এবার বিজেপির প্রার্থী আরও এক ‘চায়েওয়ালা’, শিমলা সদরে সঞ্জয় সুদ

    প্রসঙ্গত, দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিদায়ী ভাষণ দেওয়ার সময় লিজ টাস বলেছিলেন, যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তা পূরণ করতে অপারগ। তাই পদত্যাগ করছি। তবে প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) পদে ইস্তফা দিলেও, কনজার্ভেটিভ পার্টির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন তিনিই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shivraj Patil: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    Shivraj Patil: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল কোরানে নয়, জিহাদের উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও! বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা শিবরাজ পাতিল (Shivraj Patil)। এদিন কংগ্রেস নেত্রী মহসিনা কিদওয়াইয়ের জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শিবরাজ। সেখানেই তিনি বলেন, কেবল কোরানে নয়, জিহাদের উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও।

    দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন শিবরাজ (Shivraj Patil)। মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার পর পদত্যাগ করেন তিনি। অশীতিপর কংগ্রেস নেতা শিবরাজ বলেন, খ্রিস্টানরা এটা নিয়ে লিখেছিলেন। যীশু খিস্ট লিখেছিলেন আমি এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি। আমি এখানে তরবারি নিয়েও এসেছি। অনেক বোঝানোর পরেও যাঁকে বোঝানো যাবে না এবং তিনি যদি অস্ত্র নিয়ে আসেন, আপনি পালাতে পারেন না। এর পর তিনি বলেন, আপনি একে জিহাদ (Jihad) বলতে পারেন না।এবং আপনি একে ভুলও বলতে পারেন না। এটা ঘটা উচিত নয়। একজনের উচিত নয় অস্ত্র নিয়ে কাউকে বোঝানো।

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, কংগ্রেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। শিবরাজ পাতিল যিনি হিন্দু সন্ত্রাস / গেরুয়া সন্ত্রাসের কথা বলেছিলেন, তিনি এখন জিহাদকে গীতার সঙ্গে তুলনা করছেন। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন বলছেন। এটা অপমান। তবে আমরা বিস্মিত হচ্ছি না। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, আপের গোপাল ইটালিয়া ও রাজেন্দ্র পালের পর এবার হিন্দু বিদ্বেষ ও ভোটব্যাংক রাজনীতির কারণে শিবরাজ পাটিল বলতে শুরু করেছেন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জেহাদ শিখিয়েছিলেন। কংগ্রেস হিন্দু গেরুয়া সন্ত্রাসের কথা বলে, রাম মন্দিরের বিরোধিতা করে রামের অস্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ওরা বলে হিন্দুত্ববাদ আইসিসের সমান। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন হিন্দুদের থেকে এলইটি কম বিপজ্জনক। ২৬/১১র ঘটনার পর দিগ্বিজয় সিং দোষ দিয়েছিলেন হিন্দু গোষ্ঠীকে। গুজরাট নির্বাচনের আগে ভোটব্যাংকের মেরুকরণ করতেই হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলেও অনুযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

     

     

  • NIA Raid: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খুঁজতে তল্লাশি এনআইএ-র, আইনজীবী সহ গ্রেফতার ২

    NIA Raid: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খুঁজতে তল্লাশি এনআইএ-র, আইনজীবী সহ গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা অপরাধী এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের (Gangster Nexus) খুঁজে বের করা। তা করতে গিয়ে মঙ্গলবার একই সঙ্গে অন্তত ৫০টি জায়গায় অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA Raid)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অভিযান চলেছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি সহ উত্তর ভারতের (India) পাঁচ রাজ্যে। এনআইয়ের (NIA) এক পদস্থ কর্তা বলেন, ভারত থেকে পালানো বেশ কয়েকজন গ্যাংস্টার এখন পাকিস্তান, কানাডা, মালয়েশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে থেকে ছক কষছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্তদের খোঁজে নেমেছে এনআইএ।

    এনআইএ সূত্রে খবর, এদিন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুজন। একজন আইনজীবী আশিফ খান। তিনি দিল্লির (Delhi) বাসিন্দা। অন্যজন রাজেশ ওরফে রাজু মোটা। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানা থেকে। এনআইএ-র এক মুখপাত্র জানান, চারটি অস্ত্র এবং গুলি সহ কয়েকটি পিস্তল বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধৃত আইনজীবীর বাড়ি থেকে। তিনি জানান, তদন্ত (NIA Raid) চালানোর সময় এটা জানা গিয়েছে যে আইনজীবী আশিফ খান গ্যাংস্টারদের সংস্পর্শে ছিলেন। যেসব গ্যাংস্টার জেলে বন্দি রয়েছে কিংবা জেলের বাইরে রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্ম করতে অপরাধীদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করতেন ওই আইনজীবী। এনআইএ-র মুখপাত্র জানান, রাজেশের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তার নামে প্রচুর ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।

    ওই আধিকারিক আরও জানান, রাজু অবৈধভাবে মদ-মাফিয়া নেটওয়ার্কও চালায় তার মহল্লায়। কয়েকজন সাগরেদকে নিয়ে এই কারবার চালায় সে। সে হরিয়ানার কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ ওরফে কালা জাঠেদির সহযোগী। এনআইএ সূত্রে খবর, মদের ব্যবসায় রাজু মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। অবৈধ নানা উপায়েও রোজগার করে সে।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১

    এনআইএ এদিন তল্লাশি চালিয়েছে রাজস্থানের চুরুর সম্পত নেহ্রা চত্বরে। হরিয়ানার কুখ্যাত গ্যাংস্টার নরেশ শেঠীর ডেরাও তল্লাশি চালিয়েছে। হরিয়ানারই সুরেন্দর ওরফে চিকুর ডেরায়ও এদিন চালানো হয়েচছে তল্লাশি। উত্তর পূর্ব দিল্লির সন্দীপ ওরফে বান্দার এবং সেলিম ওরফে পিস্তলের বাড়িতেও হানা দেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। পাঞ্জাবের ভাতিন্দায়ও এক আইনজীবীর বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। গুরপ্রীত সিং সিধু নামে ওই আইনজীবী তা স্বীকারও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Himachal Pradesh: ভোটের আগেই মাত কংগ্রেসকে! হিমাচল প্রদেশে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Himachal Pradesh: ভোটের আগেই মাত কংগ্রেসকে! হিমাচল প্রদেশে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ভোটের ঢের আগেই প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকে (Congress) মাত দিল বিজেপি (BJP)! বুধবার পদ্ম শিবির প্রকাশ করল প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা। এই দফায় ৬২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন মহিলাও। বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি এই তালিকা অনুমোদনও করেছে।

    জানা গিয়েছে, এদিন যে ৬২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তফশিলি জাতির প্রার্থী রয়েছেন ১১ জন। তফশিলি উপজাতি প্রার্থী রয়েছেন ৮জন। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে।এদিন যে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের দুই তৃতীয়াংশই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) যাঁরা জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও ১১ জনকে এবার প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবার লড়বেন সেরাজ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। মাণ্ডি থেকে লড়বেন অনিল শর্মা। আর উনা কেন্দ্র থেকে লড়বেন সতপাল সিং সট্টি। চৌরা কেন্দ্র থেকে লড়বেন হংসরাজ। মানালি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন গোবিন্দ সিং ঠাকুর। বানজার কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থী সুরেন্দর শৌরি। এবার টিকিট পাননি হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। প্রেমকুমার অনুরাগ ঠাকুরের বাবা। অনুরাগ মোদি মন্ত্রিসভার মন্ত্রী। অনুরাগের শ্বশুর গুলাব সিংকেও এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনিও।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে হবে, হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে আপ মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    এদিকে, আসন বদলে দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রীর। এঁরা হলেন শিমলার বিধায়ক সুরেশ ভরদ্বাজ ও নুরপুরের বিধায়ক রাকেশ পাঠানিয়া। মন্ত্রী মহেন্দ্র সিংয়ের বদলে টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁর ছেলে রজত ঠাকুরকে। ধরমপুর কেন্দ্রেই লড়বেন তিনি। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। সোমবারই বৈঠকে বসেছিল বিজেপির সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ওই কমিটিতে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত করা হয় প্রার্থী তালিকা। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের ১২ তারিখে নির্বাচন হবে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর। ভোট গণনা হবে ৮ ডিসেম্বর। গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তারা পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আর প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২১টি আসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: গোহারা হারলেন থারুর, কংগ্রেসের রাশ খাড়গের হাতে

    Mallikarjun Kharge: গোহারা হারলেন থারুর, কংগ্রেসের রাশ খাড়গের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গো হারা হারলেন শশী থারুর। কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ হাসি হাসলেন প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। বুধবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে স্বাধীনতা-উত্তর গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ৩৬তম সভাপতি নির্বাচিত হলেন খাড়গে। এই ঘটনায় দু দশক পরে কোনও এক অ-গান্ধী সভাপতি পেল কংগ্রেস।

    উনিশের ভোটে বিজেপির কাছে হারের কারণে কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)। দলের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হন সোনিয়া গান্ধী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের হাল ধরতে রাজি হননি সোনিয়া। তাই হয় নির্বাচন। লড়াইয়ের ময়দানে হাজির শশী থারুর এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে হাইকমান্ডের প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৭টি ভোট। আর শশী থারুর পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৭২টি ভোট।

    প্রসঙ্গত, এর আগে শেষবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদ। সোনিয়ার কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে জিতেন্দ্র প্রসাদের থেকে ঢের বেশি ভোট পেয়েছেন থারুর। যদিও জয়ের মুখ দেখেননি। জয়ের পরে দলের নয়া প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শশী।  যদিও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন থারুর। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্যস্তরের নেতা কিংবা দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে তিনি কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না। কোনও কোনও রাজ্য তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বুধবার, ভোটের ফল প্রকাশের দিনও থারুর উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব এবং তেলঙ্গানায় গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।

    এদিকে, খাড়গের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। এদিন ভোটের ফল ঘোষণার ঢের আগেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, আমার ভূমিকা নির্ধারণ করবেন কংগ্রেস সভাপতি…খাড়গেজিকে জিজ্ঞাসা করুন। বর্তমানে রাজ্য সভায় বিরোধী দলনেতা খাড়গে। হিন্দি এবং ইংরেজিতে দুর্দান্ত ভাষণ দেন তিনি। রাজ্যসভার দায়িত্ব সামলেছেন দক্ষ হাতে। কংগ্রেসের ভাঙা নৌকার হাল কত শক্ত হাতে ধরতে পারেন তিনি, এখন তাই দেখার।  

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ, শেষ হাসি হাসবেন কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় কেরিম খানকে জেরা সিবিআইয়ের, হানা অনুব্রতর দিদির বাড়িতেও

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় কেরিম খানকে জেরা সিবিআইয়ের, হানা অনুব্রতর দিদির বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবদুল কেরিম খানকে (Abdul Kerim Khan) তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। সেই মতো মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এক প্রস্ত জেরা করা হয় কেরিম খানকে। বুধবার ফের তাঁকে নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেন তদন্তকারীরা। সেই মতোই এদিন হাজিরা দেন তিনি। বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাঁকে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে অনুব্রতকে গ্রেফতারের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেরিমের বাড়িতে ঘণ্টা পাঁচেক ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। গত কয়েক বছরে সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন কেরিম। বোলপুরে তাঁর ৪ কোটি টাকার বাড়ি নজরে রয়েছে গোয়েন্দাদের। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়ও অভিযুক্ত তিনি। সেই মামলারও তদন্ত করছে সিবিআই।

    এদিকে, বুধবারই বোলপুরে তিন ব্যাঙ্কের আধিকারিককে পূর্ব পল্লির গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয়েছে। এই ব্যাঙ্কগুলি হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। এদিনই অনুব্রতর লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদ জানতে তাঁদের জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের অনেক আগেই বোলপুরের একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই কর্তারা।

    আরও পড়ুন: ৮ বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১৭৫ গুণ! অনুব্রত কন্যা সুকন্যার আয়কর রিটার্ন চমকে দেবে আপনাকেও

    অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই সূত্রেই মঙ্গলবার তাঁর দিদি শিবানী ঘোষের বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শিবানী অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের মা। তাঁর আর একটি পরিচয় হল তিনি শিব-শম্ভু রাইস মিলের মালিক। বাঁধগড়া এলাকায় ১০-১২ বিঘে জমির ওপর রয়েছে এই রাইস মিল। জায়গাটি লিজ নেওয়া হয়েছে শিবানীর নামে। এদিন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। রাজা হলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, রাইস মিলের জায়গাটি যে তাঁর মায়ের নামে, তা তিনি নিজেই জানতেন না। যদিও কেরিমকে তলব করলেও, বুধবারও শিবানীকে তলব করেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Debraj Chakraborty: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    Debraj Chakraborty: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) তলব পেয়ে মঙ্গলবার সল্টলেকের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর ও বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী (Debraj Chakraborty)। এদিন সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হন। তার পরেই শুরু হয় জেরা। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় টানা প্রায় দু ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে দেবরাজ বলেন, আবার ডাকলে আসব।  

    দেবরাজের (Debraj Chakraborty) অন্য একটি পরিচয়ও রয়েছে। তিনি তৃণমূল বিধায়ক তথা কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সির স্বামী। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি পদেও রয়েছেন দেবরাজ। ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন দমদম পার্কের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার তলব করা হয়েছিল দেবরাজকে। দেবরাজের আগে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় জেরা করা হয়েছিল তৃণমূলের আর এক বিধায়ক পরেশ পালকেও।

    আরও পড়ুন:সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ২ মে দমদম পার্কের হরিচাঁদ পল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস খুন হন। তিনি বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। বাড়ির পাশ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। প্রসেনজিৎকে খুনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দেবরাজের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই সিবিআই তলব করে দেবরাজকে। করা হয় জেরাও। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে দেবরাজ (Debraj Chakraborty) বলেন, যা যা প্রশ্ন করা হয়েছিল, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যা যা জানতে চেয়েছেন, সবটা জানিয়েছি। পরবর্তী সময়ে ডাকলে আবার আসব। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছি। প্রসেনজিতের ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, এটা এক দেড় বছর আগের ঘটনা। কী ঘটেছিল ঠিক মনে নেই। তবে যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। সিবিআই তদন্ত করছে। কী ঘটেছিল, তা তদন্তে উঠে আসবে। যদি পরিবারকে কোনও সহযোগিতা করতে পারি, পাশে থাকব। প্রসঙ্গত, প্রসেনজিৎ খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল না দেবরাজের (Debraj Chakraborty)। পরে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে তাঁর নাম। তার জেরেই করা হয় তলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Congress prez poll: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ, শেষ হাসি হাসবেন কে?

    Congress prez poll: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ, শেষ হাসি হাসবেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress prez poll)। সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ পর্ব। চলে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। কংগ্রেসের (Congress) সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি ভোট দেন। গত চব্বিশ বছরে এই প্রথম গান্ধী (Gandhi) পরিবারের বাইরের কাউকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে চলেছেন কংগ্রেসের ভোটাররা। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং শশী থারুর। দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর উত্তরসূরি হিসেবে এঁদের মধ্যেই একজনকে বেছে নিতে হয়েছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের।

    প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধির সংখ্যা ৯ হাজার ৯১৫ জন। তাঁর মধ্যে ভোট দিয়েছেন সাড়ে ৯ হাজারের কিছু বেশি। ভোট হয়েছে কাগজের ব্যালটে। কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি নয়াদিল্লিতে এ খবর জানান। ভোটের ফল বেরবে ১৯ অক্টোবর, বুধবার। এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করেছিলেন বলে জানান সোনিয়া গান্ধী। এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সোনিয়াই। পরে ওই পদে বসানো হয় রাহুল গান্ধীকে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয় কংগ্রেস। তার পরেই প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেন রাহুল। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের দলের হাল ধরেন সোনিয়া।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    এদিন উৎসবের মেজাজে ভোট (Congress prez poll)  হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধুসূদন মিস্ত্রি। তাঁর দাবি, ভোটে হয়েছে অবাধ, সুন্দর এবং স্বচ্ছ। তিনি বলেন, সব চেয়ে খুশির খবর হল দেশের প্রতিটি রাজ্যেই পোলিং বুথ হয়েছিল। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। ভোট হয়েছে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে। মিস্ত্রি বলেন, ভোট নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়। কারণ ভোট হয়েছে গোপন ব্যালটে। তাই কেউই জানতে পারবেন না, কে কাকে ভোট দিয়েছেন। তিনি জানান, পুরো ভোটগ্রহণ পর্ব ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। সবাই নিজেদের পছন্দমতো ভোট দিচ্ছেন। 

    এদিন ভোটগ্রহণ (Congress prez poll) পর্ব শুরুর সময় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শশী থারুর বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী। কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ রয়েছে দলীয় কর্মীদের হাতেই। পরে অন্য এক প্রসঙ্গে নিজেকে ‘পরিবর্তনের প্রার্থী’ হিসেবে অভিহিত করেন থারুর। খাড়গে না থারুর, শেষ হাসি হাসেন কে, এখন তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share