Author: Krishnendu Bakshi

  • Joe Biden: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    Joe Biden: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত! পাকিস্তানকে (Pkistan) বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি বলে দেগে দিল আমেরিকা (America)। শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ডেমক্রেটিক কংগ্রেসনার ক্যাম্পেন কমিটির রিসেপশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তখন তিনি বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ। উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই পরমাণু অস্ত্র রেখেছে।

    এদিন বাইডেন (Joe Biden) বলেন, এই লোকটি (শি জিনপিং) যিনি বোঝেন তিনি কী চান, কিন্তু তাঁর সামনে রয়েছে সমস্যার পাহাড়। আমরা কীভাবে সেটা হ্যান্ডেল করব? রাশিয়ায় বর্তমানে যা চলছে, তাই বা হ্যান্ডেল করব কীভাবে? এর পরেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক একটি দেশ হল পাকিস্তান। যারা সুরক্ষা ছাড়াই রেখেছে পারমাণবিক অস্ত্র। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। তখন পাকিস্তানের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, খুব স্পষ্ট করে বলতে গেলে পাকিস্তানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান। এগুলি পুরানো প্লেন এবং সিস্টেম, যা ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। আমরা এই বহরের রক্ষণাবেক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের এহেন মন্তব্যের ছাপ পড়েছিল ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। মার্কিন ওই সিদ্ধান্তের জেরে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমেরিকায় গিয়ে বাইডেন সরকারকে কটাক্ষ করে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন, আপনারা আমাদের বোকা বানাতে পারবেন না। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর বিবৃতি জারি করে শেহবাজ শরিফের দেশ বলেছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী এবং বিস্তৃত সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের মৌলিক নিয়মগুলিকে সম্মান করার এবং আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে ভারতকে। ভারত তার কূটনৈতিক আচরণ খতিয়ে দেখুক।

    আরও পড়ুন: আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    এর পর এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে চার বছর ধরে ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। সেই কলঙ্ক মোছার কথা ছিল খুব শীঘ্রই। বাইডেনের এই মন্তব্যের জেরে শাহবাজ শরিফের দেশ যে বেশ বেকায়দায় পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chhattisgarh Government: ছত্তিশগড়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ইডির হাতে গ্রেফতার ৩ আইএএস আধিকারিক

    Chhattisgarh Government: ছত্তিশগড়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ইডির হাতে গ্রেফতার ৩ আইএএস আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থিকথিকে ভিড় ছত্তিশগড়ের স্পেশাল কোর্ট হল রুমে। সাংবাদিক, আইনজীবী এবং তিন আইএএস অফিসারের পরিবারের ভিড়ে ঠাসা ওই রুম। বৃহস্পতিবার এখানেই শুনানি চলেছে আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ, সুনীল আগরওয়াল এবং লক্ষ্মীকান্ত তিওয়ারির। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এই তিন আইএএস অফিসার। এদিনের শুনানি শেষে তিনজনকেই আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ইডি।

    প্রশ্ন হল, কবে শুরু হয়েছিল ছত্তিশগড় সরকারে (Chhattisgarh Government) এই দুর্নীতির? দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতই বা কারা? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পরিবহণ করতে গিয়ে ওই টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ২০০৯ ব্যাচের আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ যখন জিওলজি ও মাইনিং ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ছিলেন, তখনই শুরু হয়েছিল দুর্নীতির। যে কোনও খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ম্যানুয়াল অ্যাপ্রুভাল বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনি। এই আদেশ বলে, স্বচ্ছ অনলাইন ব্যবস্থার বদলে খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে ডিএমের দফতরের মাইনিং সেকশন (Mining Secction) থেকে। এখান থেকেই শুরু দুর্নীতির। জনৈক সূর্যকান্ত তিওয়ারি ক্যাশ কালেক্টরদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। এই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের আটটি এলাকায়। কয়লার পরিবহণ পারমিট কিংবা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য যে লেভি আদায় করা হত, তার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল ডিএম অফিসও (DM Office)।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    জানা গিয়েছে, ঘুষের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ডিএম অফিস থেকে দেওয়া হত না নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। ফলশ্রুতি হিসেবে, ছত্তিশগড়ের মধ্যে প্রতি টন কয়লা পরিবহণের জন্য দিতে হত ২৫ টাকা করে। আয়কর দফতর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, মাত্র ১৬ মাসে লেভি বাবদ আদায় হয়েছে ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা। অবৈধভাবে আদায় করা এই টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়েছে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, আইএএস এবং অন্য কয়েকজন রাজ্যস্তরের আধিকারিকের মধ্যে। সমীরের বাড়ি থেকে নগদ ৪৭ লক্ষ টাকা এবং ২১ লক্ষ টাকার অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথিও। ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে ২১ অক্টোবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India Inflation: মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    India Inflation: মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বাজেট খুব যত্ন সহকারে তৈরি করা হবে। একথা জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। চড়া মুদ্রাস্ফীতি (India Inflation) ও বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া (fiscal growth reduction)— এই জোড়া সমস্যার মোকাবিলা করতেই সতর্কতার সঙ্গে বাজেট কাঠামো তৈরি করা হবে বলেই জানান তিনি। চলতি অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি প্রায় ৭ শতাংশ হবে বলেও আশাবাদী তিনি।

    বিশ্বব্যাংক (World Bank) এবং আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (IMF) বাৎসরিক বৈঠকে ওয়াশিংটনে (Washington DC) গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আগামী বাজেট নিয়ে নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন হবে। কারণ এটা খুব তাড়াতাড়ি বলা হয়ে যাবে। কিন্তু ভারতে বৃদ্ধির হার থাকবে সবার ওপরে। এমন কী মুদ্রাস্ফীতির (India Inflation) মতো জ্বলন্ত সমস্যা আমার সামনে রয়েছে। তাই মুদ্রাস্ফীতির কথা বলতেই হয়। তিনি বলেন, এর পরেই প্রশ্ন উঠবে, বৃদ্ধির হার (Growth rate) কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনব? প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

    আরও পড়ুন: বক্তাকে জল এগিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী, নির্মলার ভাইরাল ছবিকে ঘিরে প্রশংসা নেটিজেনদের

    বাজেট নিয়ে নির্মলা সীতারমনের এই বক্তব্য উঠে এল ঠিক তখনই, যখন মুদ্রাস্ফীতি (India Inflation) ও কারখানার উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য় প্রকাশিত হয়েছে। এরই কিছু আগে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ বলে জানিয়েছে। যেটা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় এগিয়ে রাখবে ভারতকে। ভারত যে ক্রমেই অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত হচ্ছে, তা স্বীকার করেছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশও। অর্থমন্ত্রী জানান, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ক্রমশই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এবং সেটা যে এই দশকের বাকি সময়টায়ও থাকবে, সে ব্যাপারেও আশাবাদী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

    মুদ্রাস্ফীতির (India Inflation) ক্রমবর্ধমান চাপ সত্ত্বেও সীতারমন জানান ভারতীয় অর্থনীতিকে (India Economy) আগামী দিনে বড় সমস্যায় পড়তে পারে। তার কারণ হল জ্বালানির উচ্চ মূল্য (Fuel Price Rise)। যদিও দরিদ্র দেশবাসীকে রক্ষা করার উপায় সরকার বের করবে বলেও জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর আমাদের সার আমদানি (Fertilizer Import) করতে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়েছিল। মোদি (Modi) সরকার এই ভার বহন করেছে বলেও জানান তিনি। সীতারমন  বলেন, ২০১৮-১৯ সালে চাষিরা সারের দাম যা দিয়েছিলেন, এবারও তাই দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Kisan: দেওয়ালির আগাম উপহার! পিএম কিষানের ১২তম কিস্তির টাকা পেলেন কৃষকরা

    PM Kisan: দেওয়ালির আগাম উপহার! পিএম কিষানের ১২তম কিস্তির টাকা পেলেন কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেওয়ালির আগাম উপহার পেয়ে গেলেন দেশের কৃষকরা! পিএম কিষানের (PM Kisan) ১২তম কিস্তির টাকা পেলেন তাঁরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই কিস্তিতে বরাদ্দ করলেন ১৬ হাজার কোটি টাকা। এতে উপকৃত হবেন ১১ কোটি যোগ্য কৃষক (Farmer)। রবি মরশুমের মুখে এই উপহারে যারপরনাই খুশি কৃষকরা। এদিনের মঞ্চ থেকেই যোগ্য কৃষকদের জন্য দু হাজার করে টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। ওই টাকা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিষান (PM Kisan) সম্মান নিধি প্রকল্পের অধীনে যোগ্য কৃষকদের দেওয়া হবে মোট ৬ হাজার করে টাকা। এই টাকা দেওয়া হবে তিনটি কিস্তিতে। প্রতি চার মাস অন্তর কৃষকরা পাবেন ২ হাজার করে টাকা। এদিন সেই টাকাই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। প্রসঙ্গত, এই স্কিমের সূচনা হয়েছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। যদিও তা লাগু হয়েছে তারও তিন মাস আগে থেকে।

    আরও পড়ুন: ‘সত্যি বিস্ময়’, মোদি সরকারের সরাসরি ব্যাংকে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পের প্রশংসা আইএমএফের

    দিল্লিতে পুষা ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে দু দিনের পিএম কিষান (PM Kisan) সম্মান সম্মেলন ২০২২। এদিন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বরাদ্দ করেন দ্বাদশতম কিস্তির টাকা। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সারমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাড়ে ১৩ হাজারেরও বেশি কৃষক যোগ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে। উপস্থিত হয়েছেন দেড় হাজার কৃষি-উদ্যোগপতিও। গবেষক, পলিসি মেকার এবং অন্যান্য অংশীদারেরাও যোগ দিয়েছেন দু দিনের এই সম্মেলনে। প্রসঙ্গত, পিএম কিষান (PM Kisan) একটি সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিম। ফান্ডের একশো শতাংশ টাকাই দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে রাজ্য সরকার যোগ্য কৃষকদের খুঁজে বের করে। তার পরেই টাকা পাঠানো হয় কৃষকদের অ্যাকাউন্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: ইডি হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য, মঙ্গলবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    Recruitment Scam: ইডি হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য, মঙ্গলবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তত আরও একদিন ইডি (ED) হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার। সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, সিবিআই তদন্তের থেকে ইডি তদন্ত সম্পূর্ণ আলাদা। ইডি তদন্তে মানি ট্রেল উঠে এসেছে। কিন্তু রাজ্যের সওয়াল অভিযুক্তদের মতো মনে হচ্ছে। এদিকে, ওই মামলায় রক্ষাকবচ থাকলেও, কেন গ্রেফতার করা হল মানিককে, তা নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল ইডি। ইডির তরফে ওই হলফনামা জমা দেন তুষার।

    গত সপ্তাহেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি রয়েছে ইডি হেফাজতেই। গ্রেফতারি এড়াতে রক্ষাকবচের জন্য সুপ্রিম কোর্টের শরণ নিয়েছিলেন মানিক। তবে গ্রেফতারির পর তাতে হস্তক্ষেপ করেনি দেশের শীর্ষ আদালত। তাই ইডি-দশাও ঘোঁচেনি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা শুনানি শেষে এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। আজ, সোমবার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও স্থগিত হয়ে যায় রায়দান। এদিন সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে আরও এক দিন সময় চান। বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে। তার জেরেই ইডি হেফাজত বাড়ল মানিকের। মঙ্গলবার ফের হবে এই মামলার শুনানি। তবে এদিনই রায়দান হবে কিনা, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। পুজোর আগেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। যদিও রায় ঘোষণা হয়নি। তখনই মানিককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেয় আদালত। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি সিবিআই। এদিকে, ইডি হেফাজতে থাকলেও, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে মানিকের। সোমবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় মানিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণে মালবাজারের তেসিমলা পঞ্চায়েতের একটি  রিসর্ট সংস্কার করা হচ্ছে। রিসর্টটি মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের বলে দাবি শুভেন্দুর। সরকারি খরচে একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট ঢেলে সাজানোর তৎপরতাকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী।

    সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মালবাজারে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর সময় বিসর্জন দিতে গিয়ে মাল নদীতে হড়পা বানের জলে ভেসে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। এই সফরে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিতে পারেন প্রশাসনিক বৈঠকেও। পরে যেতে পারেন মালবাজারের ওই রিসর্টে। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী রিসর্টটিতে যেতে পারেন, তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটি সংস্কার করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কেবল ওই রিসর্টটিই নয়, তার আশপাশের এলাকাও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সংস্কার করা হচ্ছে রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও। প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন একবার এই রিসর্টে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ওরা হিন্দুদের তাড়াতে চায়! মোমিনপুর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, রিসর্টটি দুলাল দাসের। সরকারি টাকা খরচ করে সাজানো হচ্ছে সেটি। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও সংস্কার করা হচ্ছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে এদিন ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন শুভেন্দু। লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। সরকার ডিএ দিতে ব্যর্থ। রাস্তা সংস্কার করতে পারছে না। পারছে না কর্মসংস্থান করতে। এমতাবস্থায় জনগণের টাকা খরচ হচ্ছে তৃণমূল নেতা দুলালচন্দ্র দাসের একটি ব্যক্তিগত রিসর্ট সংস্কারে। কারণ ভিভিআইপি গেস্ট আসছেন। শুভেন্দুর খোঁচা, লেডি কিম কি সেখানে থাকতে যাচ্ছেন? অন্য একটি ট্যুইটে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, এখন জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনিক সভাগুলিতে উন্নয়নের কাজের জন্য তহবিল চাওয়ায় ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। ৩০ লক্ষেরও বেশি সরকারি চাকরি খালি পড়ে রয়েছে। কারণ, নিয়োগ করা হলে সরকার বেতন দিতে পারবে না। এই অবস্থায় এই ধরনের ব্যয় কি ন্যায়সঙ্গত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    India China: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত, ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কখনওই তেমন ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে এই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, কঠিন সময় ছিল আড়াই বছর। মঙ্গলবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। তবে প্রতিবেশীদের যেহেতু মিলেমিশে থাকতেই হয়, তাই চিনের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে বলেও জানান জয়শঙ্কর। ভারত (India) অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ও কোয়াড সদস্য হিসেবে সদস্য দেশগুলির সুরক্ষা প্রসঙ্গে শি জিনপিংয়ের দেশের প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গত আড়াই বছরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ঝরেছে রক্তও। চল্লিশ বছর পর সীমান্তে রক্ত ঝরেছে। আমাদের ২০ জন সৈন্যকে হারাতে হয়েছে।

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে গত প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে ভারত-চিনের (India China)। সেই সূত্র ধরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তার পরেও আমাদের দেশের তরফে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পরের দিন সকালেও আমি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে ফোন করি। চিনের দিক থেকে আর যেন কোনও সামরিক পদক্ষেপ না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আবেদনও করি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, কূটনীতি হচ্ছে দুই দেশের কথা চালাচালি। এটা কেবল চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর প্রশ্ন, যদি কূটনীতিকরা পরস্পরের মধ্যে কথাবার্তা না বলেন, তা কী ধরণের কূটনীতি তাঁরা করবেন? তাঁর মতে, দিনের শেষে প্রতিবেশী দেশগুলির মিলেমিশে থাকাই শ্রেয়।

    আরও পড়ুন : মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা আগেও একবার বলেছিলেন জয়শঙ্কর। অগাস্টে ব্যাংককে একটি অনুষ্ঠনে যোগ দিতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক খুবই কঠিন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, বেজিং সীমান্তে যা করেছে, তার পর। তিনি এও বলেছিলেন, যদি দুটি প্রতিবেশী দেশ হাত না মেলায় তাহলে এশিয়ান সেঞ্চুরি হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Global Recession: বিশ্ব মন্দার ধাক্কা ভারতে তেমন পড়বে না, জানালেন স্টেট ব্যাংকের চেয়ারম্যান  

    Global Recession: বিশ্ব মন্দার ধাক্কা ভারতে তেমন পড়বে না, জানালেন স্টেট ব্যাংকের চেয়ারম্যান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসছে বিশ্বব্যাপী মন্দা (Global Recession)। এ খবর আমরা আগেই জেনেছি। তবে সে মন্দার ধাক্কা তামাম বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে প্রভাব ফেলবে, ভারতে সেরকম কিছু ঘটবে না। শুক্রবার একথা জানালেন স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) চেয়ারম্যান দীনেশ খাড়া। তিনি জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে মন্দার বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়লেও, ভারতে তার ধাক্কা হবে মৃদু। অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারতের (India) অবস্থান ক্রমেই যে ভালর দিকে যাচ্ছে, তা আগেও  জানিয়েছিলেন তিনি। এদিনও জানান, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভাল করছে ভারত। বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) ও বিশ্বব্যাংকের বাৎসরিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন দীনেশ। ওই বৈঠকের  ফাঁকেই তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। দীনেশ বলেন, ভারতে বৃদ্ধির হার ৬.৮। মুদ্রাস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তিপূর্ণভাবেই ভাল করছে ভারত। তিনি বলেন, চাহিদার নিরিখে ভারতের অর্থনীতি অন্তর্মুখী। কারণ এখানকার জিডিপি দেশীয় অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই গোটা বিশ্বে মন্দা থাবা বসালেও, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার প্রভাব পড়লেও, আমার মনে হয়, ভারতে তেমন প্রভাব পড়বে না।

    তিনি বলেন, আমরা যদি বেটা ফ্যাক্টরের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা দেখব বিশ্বের বৃহত্তর অর্থনীতির যেসব দেশ রয়েছে, যারা প্রচুর পরিমাণে রফতানি করে, তাদের বেটা ফ্যাক্টরের তুলনায় ভারতের বেটা ফ্যাক্টর খুবই কম। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান বলেন, মুদ্রাস্ফীতির প্রাথমিক কারণ চাহিদা ভিত্তিক নয়, এটি অবশ্যই জোগান ভিত্তিক। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দীনেশ বলেন, আমরা যদি জোগানের দৃষ্টিতে মুদ্রাস্ফীতিকে দেখি, তাহলে দেখব আমাদের ইউটিলাইজেশন ক্যাপাসিটি প্রায় ৭১ শতাংশ। যার অর্থ হল, আমাদের এই ক্যাপাসিটি বাড়ানোর সামান্যতম হলেও জায়গা রয়েছে। তাই জোগান চেইনে কোনও বিঘ্ন ঘটলে, যেটা ইদানিং বিশ্বের নানা ঘটনার জেরে ঘটছে, যার প্রভাব পড়েছে অপরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রেও, তাহলে তার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বেই।

     

     

  • Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    Pakistan Threat: লোন না দিলে উড়িয়ে দেওয়া হবে এসবিআই, হুমকি পাকিস্তানির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! স্টেট ব্যাংকের মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট শাখায় ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে ফোনে হুমকি দিয়েছে, সে তার পরিচয় দিয়েছে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে। তার দাবি, সে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ফোনে কথা বলছে। সে ব্যাংকের ওই শাখা থেকে লোন চেয়েছিল। লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল। দিয়েছিল খুনের হুমকিও। ওই ব্যক্তির হুমকি, লোন দেওয়া না হলে উড়িয়ে দেওয়া হবে ব্যাংকও।

    মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি স্টেট ব্যাংকের নরিম্যান পয়েন্ট শাখার ল্যান্ড লাইনে ফোন করে। ১৩ অক্টোবর বেলা এগারোটা নাগাদ ফোনটি আসে। ওই ফোনেই সে হুমকি (Pakistan Threat) দেয়। নিজেকে সে মহঃ জিয়াউল আলিম বলে পরিচয় দেয়। সে বলে, সে পাকিস্তান থেকে কথা বলছে। তাকে লোন দেওয়া না হলে ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অপহরণ করা হবে। করা হবে খুনও। এসবিআইয়ের ওই শাখা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় সে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির হুমকি ফোন (Pakistan Threat) পাওয়ার পরেই মেরিন ড্রাইভ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির নামে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের করেছেন স্টেট ব্যাংকের সহকারী নিরাপত্তা ম্যানেজার অজয়কুমার শ্রীবাস্তব। ৫০৬/২ ধারায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিটি আদপে কে, সে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভারতে বন্ধ পাকিস্তান সরকারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট

    তদন্তে নেমে পুলিশ ফোন নম্বরের কল ডিটেল রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানতে পারে, ফোনটি এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই বাংলার দিকে রওনা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গে নানা সময় জঙ্গি ধরা পড়েছে। ধরা পড়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্টও। এই ব্যক্তি নিতান্তই সাধারণ মানুষ নাকি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে। ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুননির্মাণের আগে চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যথেষ্ঠ চাপে রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। চিনের সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক একনায়ক লেখা ব্যানার পড়ায় অস্বস্তিতে পার্টি। যদিও ব্যানারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া সেগুলি।

    চিনের রাজধানী বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের করা ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ব্যানারে চিনের জিরো কোভিড পলিসির বিরোধিতা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, খাবার চাই। লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই। আবার কোনও কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক (Dictatorial Traitor)। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যানারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খুলে নেওয়া হয় সেগুলি। হেইডিয়ান জেলায় ব্যানারের নীচে রাস্তার ওপর থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে জনতা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এই বলে যে স্কুলে ধর্মঘট করা যাক, ধর্মঘট করা যাক কাজেও, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক শি জিনপিংকে সরানো যাক।

    আরও পড়ুন: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের জিরো কোভিড পলিসির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং পরপর লকডাউনের ওপর ব্যাংক করে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জিন পিং সরকার। যদিও চিনা সরকারের দাবি, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে জিরো কোভিড নীতি শেষ হবে। প্রসঙ্গত, চিনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি সম্পাদকীয়তে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই  তাঁদের নিরাশ হতে হয়। চিনের কড়া কোভিড নীতির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নতি। জিনপিংয়ের আমলে মার খেয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। এই ব্যানার-আন্দোলনের পর জিন পিংয়ের পদ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share