Author: Krishnendu Bakshi

  • DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    DY Chandrachud: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব ললিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসরের সময় হয়ে গিয়েছে তাঁর। তাই উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। মঙ্গলবার দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে তিনি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়লে প্রবীণ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই হবেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।

    কিছুদিন আগেই দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিয়েছিলেন ইউইউ ললিত। তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তাঁরই পূর্বসূরি এনভি রামানা। ললিতের কার্যকালের মেয়াদ মাত্র ৭৪ দিনের। প্রথা অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রস্তাব করতে হয় পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম। সেই মতো দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ললিত প্রস্তাব করলেন চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নাম। রাষ্ট্রপতি তাঁর নামে শিলমোহর দিলে চন্দ্রচূড় শপথ নেবেন নভেম্বরের ৯ তারিখে। প্রধান বিচারপতি পদে তিনি থাকবেন ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি পদে অবসরের বয়স ৬৫ বছর।

    এই মুহূর্তে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ই (DY Chandrachud)  সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি। তাঁর বাবাও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতের ১৬তম প্রধান বিচারপতি। ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর জন্ম বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud)। ২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন তিনি। ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে আসার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি ছিলেন বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন। ২০০০ সালের ২৯ মার্চ থেকে ওই পদে ছিলেন তিনি। ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্বও সামলেছেন চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। ১৯৯৮ সাল থেকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে পর্যন্ত ওই পদে আসীন ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে তাঁকে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনোনীত করে বম্বে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India Military: পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও সাহায্য পায়নি, রুশ অস্ত্র ইস্যুতে সাফ কথা জয়শঙ্করের

    India Military: পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও সাহায্য পায়নি, রুশ অস্ত্র ইস্যুতে সাফ কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ত্রের জন্য ভারতের (India) রাশিয়ার (Russia) ওপর নির্ভরতা কয়েক দশকের পুরানো। কারণ আমেরিকা এবং পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও অস্ত্র সাহায্য পায়নি। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানেবেরায় সোমবার একথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতকে ছেড়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোয়ও এদিন আমেরাকিকে একহাত নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ ১৬ যুদ্ধাস্ত্রের সরঞ্জাম দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এদিন তাকেই কটাক্ষ করেছেন জয়শঙ্কর।

    অস্ট্রেলিয়ায় এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে (India Military) রাশিয়ার তৈরি প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। এই অস্ত্র ভাণ্ডার ক্রমেই স্ফীত হয়েছে নানা কারণে। শুধুমাত্র যে অস্ত্রগুলো ভাল, তা নয়, বিগত কয়েক দশক ধরে পশ্চিমের দেশগুলি ভারতকে অস্ত্র সরবহার করেনি। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই তা নিয়ে কাজ করি, যা আমাদের কাছে উপলব্ধ রয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

    অস্ত্রের জন্য রাশিয়ার ওপর ভারতের নির্ভরতা আমেরিকা-ভারতের বন্ধুত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার এস ৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনছে ভারত। মার্কিন আইন অনুযায়ী, এর জেরে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই ভারত রাশিয়া থেকে কিনেছে ওই অস্ত্র।

    আরও পড়ুন : আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, নানা কারণে ভারতকে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনতে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের কার্যক্ষমতা। কিন্তু পশ্চিম বিশ্বের দেশগুলি যেভাবে ভারতের বদলে সামরিক শাসনে থাকা অন্য একটি দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তাতে রাশিয়া থেকে ভারতের অস্ত্র আমদানির প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বদলে গিয়েছে বিশ্ব রাজনীতির চালচিত্র। যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক রেজলিউশন পাশ করার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। যদিও প্রতিবারই ভোটাভুটিতে বিরত থেকেছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভুয়ো শিক্ষক খুঁজতে বৈঠক ডাকল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ১৮ অক্টোবর বিকেল পাঁচটায় ওই বৈঠক হবে। গ্রপ সি, গ্রুপ ডি ও নবম দশমে ভুয়ো শিক্ষকের প্রকৃত শিক্ষকের সংখ্যা কত, তা খুঁজে বের করতেই হবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। ভুয়ো নিয়োগের (SSC Scam) সংখ্যা খুঁজে বের করে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে (High Court)।

    ব্যাপক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল এসএসসির নিয়োগে (SSC Scam)। তার জেরে হয় মামলা। তদন্তে নামে সিবিআই। সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত জানিয়েছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর সাদা উত্তরপত্র জমা পড়েছিল। কোনও কোনও উত্তরপত্রে মাত্র পাঁচ-ছটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে কমিশন এবং পর্ষদকে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, কতজনকে বেআইনিভাবে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং কতজন অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, সিবিআইয়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কমিশনকে সেই সংখ্যা খুঁজে বের করতে হবে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মামলাকারীদের আইনজীবীরাও।

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    নবম দশমে ঘুরপথে কতজন চাকরি পেয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে গত মাসের শেষের দিকে একবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন কমিশন, পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। কমিশনের তরফে হাজির ছিলেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। ওই বৈঠকে ১৩ হাজার নামের তালিকা দিয়েছিল পর্ষদ। সেই তালিকার ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করেছিল কমিশন। ওই রিপোর্টই পেশ করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও ফিরদৌস শামিম জানান, তদন্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া ভুয়ো নিয়োগ (SSC Scam) সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যাটা ঠিক কত, তা খুঁজে বের করাই উদ্দেশ্য এই বৈঠকের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Nitish Kumar: ‘এখন যিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন’, নীতীশকে শাহি কটাক্ষ

    Nitish Kumar: ‘এখন যিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন’, নীতীশকে শাহি কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহের নিশানায় নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নীতীশের নাম না করে তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে জয়প্রকাশের আন্দোলন থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসের কোলে বসে রয়েছেন নীতীশ। বিহারের শরণ জেলায় এদিন জয়প্রকাশ নারায়ণের ১২০তম জন্ম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাহ। সেখানেই নিশানা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। অমিত শাহ বলেন, জয়প্রকাশ সারা জীবন নীতি-আদর্শ নিয়ে কাজ করেছিলেন। ক্ষমতার কথা তিনি কখনওই ভাবেননি।

    এদিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন বিহারের যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে নীতীশ কুমার লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে নয়া সরকার গড়েছেন। বিহারের এই নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তিনিই। আর উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়েছেন লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবকে। নাম না করে অমিত শাহ এদিন সেই প্রসঙ্গই টানেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন : আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    এদিনের অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সমতা দল গড়তে তিনি জনতা দল ভেঙেছিলেন। অল্প কিছুদিনের জন্যে সিপিএমের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রা শুরু করার আগে তিনি এটা করেছিলেন। বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ২০১৭ সালে তিনি আবার এনডিএতে ফেরেন। তারপর ছিলেন পরবর্তী পাঁচ বছর। 

    এদিন প্রায় পনের মিনিট ধরে ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার সিংহভাগই ছিল নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) নিশানা করে। বাকি সময়টা তিনি কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজের প্রশংসায়। মোদি জমানায় যে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ হয়েছে সে ফিরিস্তি দেন শাহ। তিনি এও মনে করিয়ে দেন, জয়প্রকাশ নারায়ণের চিন্তাভাবনার পথেই চলছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য বিহার সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে তিনি এসেছিলেন সেপ্টেম্বরের ২৩-২৪। সেবার বিহারের ক্ষমতা চলে যাওয়ার জন্য পার্টি কর্মীদের ভেঙে পড়তে নিষেধ করেছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    Bangladesh Border: সক্রিয় পাচার চক্র! বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যু, উদ্ধার শতাধিক গরু-মোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় সক্রিয় গরু পাচার (Cattle Smuggling) চক্র! অব্যাহত গরু পাচার। নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) বিএসএফের (BSF) সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। সোমবার দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি মৃতের পরিচয়। এদিকে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার সীমানায় পাচারের সময় আটক শতাধিক গরু ও মোষ। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক ও খালাসি সহ মোট ৫০ জনকে।

    এদিন নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Bangladesh Border) বিষ্ণুপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিএসএফ। টহলদার জওয়ানদের নজরে আসে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে গরু। বাধা দেন বিএসএফের জওয়ানরা। এর পরেই আক্রমণ করে পাচারকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফও। মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। অন্ধকারের সুযোগে গা ঢাকা দেয় বাকিরা। পাচারকারীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    এদিকে, রবিবার দুপুরের পর ফের সন্ধে। আবারও উদ্ধার হল পাচার হতে যাওয়া গরু। এদিন দুপুরে আসানসোলের মাইথন থানার পুলিশ পাঁচটি গরু সহ একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। এদিনই রাতে গরু-মোষ উদ্ধার হয় পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়ার হুড়ার কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ২৭টি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গবাদি পশুগুলিকে। ঘটনাটি নজরে পড়ে যুব তৃণমূলের কয়েকজন সদস্যের। হাতেনাতে ধরা হয় পাচারকারীদের। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৫০ জনকে। উদ্ধার হয় শতাধিক গরু-মোষ। তার আগেই মৃত্যু হয়েছে ৮টি বাছুরের। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলায় কিছু কিছু বেআইনি কাজকর্ম চলছে। যুব তৃণমূলের ছেলেরা তৎপরতার সঙ্গে ২৭টি গরু ভর্তি গাড়ি ধরেছে। এসব কাজে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই আমরা নিজেরাই তা ধরতে নেমেছি।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্তাদের তলব সিবিআইয়ের! কী জানতে চাইল তারা?

    চলতি বছরেরই ২৩ অগাস্ট রাতে এই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে একটি নামী দুধের কোম্পানির কন্টেনারে করে পাচার করা হচ্ছিল গরু। গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ফাঁস হয়ে যায় পাচারচক্রের পর্দা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। পাচার রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। তার পরেও নিরাপত্তার ফোকর গলে যে পাচার চলছে, এদিনের ঘটনায় তার প্রমাণ মিলল ফের একবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Trishul: নির্বাচন কমিশনে তিন প্রতীকের তালিকা জমা উদ্ধব গোষ্ঠীর, প্রথম পছন্দ ত্রিশূল!

    Trishul: নির্বাচন কমিশনে তিন প্রতীকের তালিকা জমা উদ্ধব গোষ্ঠীর, প্রথম পছন্দ ত্রিশূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লড়বে মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার (Shiv Sena) একনাথ শিন্ডে শিবির। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরও। তবে বিবদমান এই দু পক্ষই শিবসেনার আসল প্রতীক তির-ধনুক ব্যবহার করতে পারবে না বলে শনিবারই সাফ জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পর উদ্বব ঠাকরে শিবিরের তরফে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে তিনটি প্রতীক। একটি ত্রিশূল (Trishul), দ্বিতীয়টি উদীয়মান সূর্য এবং তৃতীয়টি জ্বলন্ত মশাল। দলের তিনটি নামও জমা দেওয়া হয়েছে এদিন। এগুলি হল, শিবসেনা (বালাসাহেব ঠাকরে), শিবসেনা (প্রবোধঙ্কর ঠাকরে) এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)।

    সূত্রের খবর, উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের প্রথম পছন্দ শিবসেনা বালাসাহেব ঠাকরে নামটিই। দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় রয়েছে শিবসেনা উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে। প্রতীকের ক্ষেত্রেও এই গোষ্ঠীর প্রথম পছন্দ ত্রিশূল (Trishul)। তা না পাওয়া গেলে উদ্ধব গোষ্ঠীর দ্বিতীয় পছন্দ উদীয়মান সূর্য। মজার বিষয় হল, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ফ্রি সিম্বলের যে তালিকা গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দেওয়া হয়েছিল, তাতে উদ্ধব শিবিরের পছন্দের কোনও প্রতীকটাই এই মুহূর্তে নেই। ৩ নভেম্বর আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ওই নির্বাচনে জিততে মরিয়া উদ্ধব ঠাকরে শিবির। তাই তড়িঘড়ি দলের প্রতীক ও সম্ভাব্য নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে উদ্ধব গোষ্ঠী। এদিকে, সোমবার দুপুর পর্যন্তও শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবির প্রতীকের কোনও তালিকা তৈরি করে উঠতে পারেনি বলে সূত্রের খবর। শিন্ডে শিবির জানিয়েছে, তারা শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক পাওয়ার দাবি জানাবে।

    আরও পড়ুন : এবার ভাঙন শিবসেনা পরিবারে, শিন্ডে শিবিরে উদ্ধবের ভাইপোও!

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া নিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে শিবসেনারই একনাথ শিন্ডের। পরে অনুগামীদের নিয়ে আসামে আশ্রয় নেন শিন্ডে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারানোয় পতন হয় উদ্ধব ঠাকরে সরকারের। মহারাষ্ট্রের তখতে বসেন শিন্ডে। তার পর থেকে দু পক্ষই দাবি করে চলেছে তারাই আসল শিবসেনা। এই লড়াইয়ে জল ঢালতেই আপাতত শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক কোনও পক্ষই ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরেই তৎপরতা শুরু হয় উদ্ধব ঠাকরে শিবিরে। জমা দেওয়া হয় ত্রিশূল (Trishul) সহ তিন প্রতীকের তালিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • US Advisory: ভারত সফরে চাই বাড়তি সতর্কতা, মার্কিন পর্যটকদের ‘উপদেশ’ আমেরিকার

    US Advisory: ভারত সফরে চাই বাড়তি সতর্কতা, মার্কিন পর্যটকদের ‘উপদেশ’ আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ভ্রমণ সংক্রান্ত উপদেশাবলী প্রকাশ করল আমেরিকা (America)। চলতি বছরের জন্য ওই উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে। মার্চ মাসের ২৮ তারিখ থেকে ভারতকে লেভেল ২ তকমা দেওয়া হয়েছে। তাই মার্কিন পর্যটকদের বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে ভারত ভ্রমণ করতে বলা হয়েছে।

    ফি বছর মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট পর্যটকদের জন্য একটি করে উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করে। দেশের নাগরিকরা যাতে বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে বিপদে না পড়েন, তাই এই উপদেশাবলী প্রকাশ করা হয়। চার ধরণের কালার কোড দিয়ে কোন দেশ ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষে কতটা নিরাপদ, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এক নম্বর কালার কোড হল সাদা। এর অর্থ ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষে দেশটি একেবারেই নিরাপদ। দেশটিকে যদি লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, তাহলে বিপদের সীমা নেই। এর অর্থ, মার্কিন নাগরিকরা যেন ওই দেশে ভ্রমণে না যান। ভারতের জন্য প্রায়ই লেভেল ২ ও লেভেল ৩ উপদেশাবলী (US Advisory)  জারি হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে যখন করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত, তখন দেশটিকে লাল রংয়ে দেগে দেওয়া হয়েছিল। পরে ভারতের জায়গা হয় তিন নম্বরে। সম্প্রতি সেটা হয়েছে ২ নম্বরে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারত থাকছে ২ নম্বরে। কোনও দেশকে ৩ নম্বরে রাখার অর্থ, ওই দেশ ভ্রমণ করতে হলে মার্কিন নাগরিকদের অন্তত দু বার ভাবতে হবে।

    আরও পড়ুন :জয়শঙ্কর এফেক্ট! ভারতীয়দের জন্য ১ লক্ষ ভিসা স্লট খুলছে আমেরিকা, কমবে অপেক্ষাও

    চলতি বছরে তিনবার মার্কিন ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে। একটি মার্চের ২৮, পরেরটি জুলাইয়ের ২৫ এবং সর্বশেষটি অক্টোবরের ৫ তারিখে। শেষ যে উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভারতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আইন-শৃঙ্খলা, সন্ত্রাসবাদ, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি দিক খতিয়ে দেখে তবেই কোনও দেশকে কোনও একটি লেভেলে চিহ্নিত করে আমেরিকা। ভারতের পড়শি দেশ আফগানিস্তান ও মায়ানমারকে ৪ নম্বর ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তান ও চিনের স্থান হয়েছে ৩ নম্বরে। এক নম্বরে রয়েছে ভারতেরই একটি প্রতিবেশী দেশ ভুটান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bilawal Bhutto Zardari: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না, জার্মানিকে স্পষ্টবার্তা ভারতের

    Bilawal Bhutto Zardari: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না, জার্মানিকে স্পষ্টবার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল পাক সরকার। তাকে সমর্থন করে জার্মানিও (Germany)। যদিও সীমান্তপার সন্ত্রাস নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি দুই দেশই। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের অনধিকার চর্চা যে ভারত মেনে নেবে না, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    সম্প্রতি যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari) এবং জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা ব্যায়েরবক। এই সাংবাদিক বৈঠকটি হয়েছি বার্লিনে। সেখানে জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল পাক সরকার। তাকে সমর্থন করে জার্মানি। অ্যানালেনা এও বলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে জার্মানির ভূমিকা ও দায়িত্ব রয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুন : ফের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শহিদ তিন জওয়ান, নিকেশ দুই জঙ্গি

    ভারতের হয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, তামাম বিশ্বের যেসব দেশ সিরিয়াস ও বিবেক সম্পন্ন তাদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সোচ্চার হেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত সীমান্তপার সন্ত্রাস (Cross-border Terrorism ) নিয়ে। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে এমন সন্ত্রাস। এখনও চলছে। সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন বহু বিদেশি নাগরিকও। কেবল জম্মু-কাশ্মীরেই নয়, দেশের অন্যত্রও হানা দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে যে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা তা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও এফএটিএফও। পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, যখন কোনও রাষ্ট্র নিজের স্বার্থ বা উদাসীনতার কারণে কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তখন তারা শান্তি নয়, তার বিরুদ্ধে কাজ করে। এভাবে তারা সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়া মানুষদের প্রতি অবিচার করে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জার্মানির বিদেশমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে যে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির (Bilawal Bhutto Zardari)  মন্তব্যকে সমর্থন করেছে, তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকদের জ্বালানি সরবরাহ করার একটি নৈতিক দায় রয়েছে ভারত সরকারের। তাই সরকার যেখান থেকে পারে জ্বালানি কিনবে। শুক্রবার এ কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া (Russia) থেকে তেল কিনতে নিষেধ করেনি কোনও দেশই।

    ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ বাঁধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে। এর পর গোটা বিশ্ব কার্যত ভাগ হয়ে যায় দু ভাগে। তামাম বিশ্বের একটি অংশ চলে যায় রাশিয়ার পক্ষে। অন্য অংশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করতে থাকে। ঘটনার জেরে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে বিভিন্ন দেশকে বারণ করে আমেরিকা ও পশ্চিমের কয়েকটি দেশ। এহেন দ্বন্দ্বের মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে থাকে মোদির (PM Modi) ভারত।

    জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে ৫০ গুণ। ভারত আমদানির পরিমাণ বাড়ালে কী হবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পরে মস্কো থেকে জ্বালানি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। এদিন হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, ভারত যে কোনও দেশ থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করবে। তিনি বলেন, আমাদের নীতি স্পষ্ট। জ্বালানির নিশ্চয়তা ও সাশ্রয়কে অগ্রাধিকার দিতে আমরা যেখানে থেকে কিনলে সুবিধা হবে, সেখান থেকেই কিনব। এই জাতীয় আলোচনা যেন সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত না করে। এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে ভারতকে কেউ নিষেধ করেনি।

    আরও পড়ুন : আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, গত অর্থবর্ষে আমরা মাত্র ০.২ শতাংশ তেল আমদানি করেছি। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারির (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দিন) পর রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তিনি বলেন, আমেরিকা থেকে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। সম্প্রতি ওই দেশ থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জ্বালানি কিনেছি। আরও তেল কেনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dawat_e_Islami: ভারতে গুপ্তচর বৃত্তি করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগ পাকিস্তানের!

    Dawat_e_Islami: ভারতে গুপ্তচর বৃত্তি করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগ পাকিস্তানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবাসীর খাবার বাড়ন্ত। তাও সমরাস্ত্র সরঞ্জাম কেনায় খামতি নেই ভারতেরই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের (Pakistan)।এবার উঠে এল বিস্ফোরক এক তথ্য। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করছে সে দেশেরই জঙ্গি গোষ্ঠী দাওয়াত-ই-ইসলামি (Dawat_e_Islami)। ভারতীয় মুসলমানদের কাছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর ভাবধারা সঞ্চারিত করতেই গত আট বছর ধরে এ কাজ করছে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা দাওয়াত-ই-ইসলামি। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা জানান সাইবার বিশেষজ্ঞ জিতেন জৈন। তিনি বলেন, ভারতে গুপ্তচর বৃত্তি করতে এবং যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে খোঁজখবর দিতেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    সম্প্রতি দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) কাজকর্মের ওপর সমীক্ষা করে একটি সাংবাদ মাধ্যম। সেই তথ্য তুলে ধরে জিতেন জানান, গত আট বছরে পাকিস্তান প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। পাকিস্তান ভিত্তিক ওই জঙ্গি গোষ্ঠী এটা করেছে ভারতে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য।

    কেন এ কাজ করল দাওয়াত-ই-ইসলামি (Dawat_e_Islami)? জানা গিয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের মধ্যে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্ডা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি করেছে দাওয়াত-ই-ইসলামি।

    আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    কিছুদিন আগেই রাজস্থানের উদয়পুরে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় পেশায় দর্জি কানহাইয়া লালের। যে দুই খুনি নৃশংস এই কাজ করেছিল, তারা দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই কাজ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার পরে পরে পাকিস্তানের ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম উঠে এলেও, অস্বীকার করেছিল ইসলামাবাদ। তবে ইসলামাবাদের বক্তব্য যে মিথ্যে, তা জানা গিয়েছে ওই সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষায়ই।

    দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের খবর দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, হংকং, কোরিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকায় ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ভারতে হয় না। তবে এ দেশের মুসলমানদের একটা অংশ ঘুরপথে তার খবর পেয়ে যায়। ফলে লক্ষ্য পূরণ হয় দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share