Author: Krishnendu Bakshi

  • PFI Ban: পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    PFI Ban: পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিজজ ডেস্ক: পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India), সংক্ষেপে পিএফআইকে (PFI)। নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইয়ের সহযোগী সংস্থাগুলিকেও। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। কেবল বিজেপি নয়, সুফি (Sufi) এবং বারেলভি (Barelvi) ধর্মগুরুরাও বুধবার স্বাগত জানিয়েছে মোদি (PM Modi) সরকারের এই সিদ্ধান্তকে। অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাসিন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবৃতি জারি করে জানান জঙ্গিবাদ দমনে ব্যবস্থা নেওয়া হলে প্রত্যেকের ধৈর্য ধরা উচিত।

    ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাসিন কাউন্সিল বিশ্বাস করে আইনের স্বার্থে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেকের ধৈর্য ধরে কাজ করা উচিত। সরকার ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো উচিত।

    সুফিরা আবার প্রতিষ্ঠান এবং তার মতবাদের চেয়ে জাতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্য অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানসিন কাউন্সিল দেশের ঐক্য, সার্বভৌমিকতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সচেষ্ট। ভবিষ্যতেও দেশ বিরোধী যে কোনও শক্তি মাথাচাড়া দিলে আমরা সুর চড়াব। অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট মওলানা সাহাবউদ্দিন রাজভি বারেলভি এক ভিডিও বার্তায় জানান জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিক।

    আরও পড়ুন : ‘‘মোদি-জমানার ভারত…’’, পিএফআই নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে ব্যান করার দাবি অনেক আগেই জানিয়েছিল বারেলভি উলেমা। মওলানা সাহাবউদ্দিন রাজভি স্বাগত জানিয়েছিলেন দেশজুড়ে পিএফআই সদস্যদের ধরতে চালানো অভিযানকে। তিনি বলেছিলেন, এতেই পরিষ্কার এই সংগঠন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত। মওলানা রাজভি বলেন, এই জাতীয় সংগঠনকে ব্যান করা দরকার। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি রয়েছে আমাদের পূর্ণ সমর্থন। আজমেঢ় দরগার প্রধান জইনুল আবেদন আলিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

    তিনি বলেন, যদি দেশ নিরাপদ থাকে, তবে আমরাও নিরাপদে থাকব। দেশ যে কোনও প্রতিষ্ঠান কিংবা মতবাদের চেয়ে বড়। কেউ যদি দেশকে ভাঙতে চায়, দেশের ঐক্য বিনষ্ট করতে চায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করতে চায়, দেশের শান্তি নষ্ট হবে এমন কথা বলতে চায়, তাদের এদেশে থাকার কোনও অধিকারই নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুফি সেন্ট খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দেওয়ানও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে প্রাণপাত করছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) নেতারা। উন্নততর ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তাঁরাও। সেই তাঁদেরই ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI) নামে একটি মুসলিম সংগঠনের গুপ্তচররা। বৃহস্পতিবার দিনভর দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় প্রায় দুশো পিআইএফ নেতাকর্মীকে। ধৃতদের জেরা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, আসাম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। গ্রেফতার করা হয় ১৯৬ জনকে। এদের মধ্যে ৪৫ জন নেতাও রয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, আরএসএস নেতাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিএফআইয়ের গুপ্তচর শাখা তাহলিলকে। তারাই আরএসএসের নেতা, বাড়ির লোকজন, গাড়ির চালক মায় পরিচারকদের গতিবিধির ওপরও নজরদারি চালাত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরএসএসের যত শাখা রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজখবর রাখত তাহলিল।  

    আরও পড়ুন : খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    সূত্রের খবর, আরএসএসের নেতাদের অফিস ও বাড়িতে রেকিও করেছে পিআইএফের গোয়েন্দারা। এই তাহলিলের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈইবার যোগাযোগ ছিল। আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে অনেক তথ্যই তাহলিল দিয়েছে লস্কর-ই-তৈইবাকে। পিএফআইয়ের মতে, আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে জোগাড় করা তথ্য ফাইনাল রোডম্যাপের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কেবল তাই নয়, তাহলিলের আরও একটি কাজ হল সমাজে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে কৌশলে বিভেদ ঘটানো। যাতে করে জনমানসে আরএসএস সম্পর্কে নঞর্থক ধারণা তৈরি হয়।

    সম্প্রতি দিল্লিতে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার পরের দিনই তাঁকে রাষ্ট্রপিতা অভিধায় ভূষিত করেছে ভারতীয় ইমাম সংগঠন। জাতি গঠনে এই আরএসএস প্রধানের ভূমিকাও স্বীকার করেছে তারা। এহেন আবহে পিএফআইয়ের এমন তথ্য সামনে আসায় শঙ্কিত দেশবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SC on Hijab Row: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Hijab Row: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলছে দ্রুত শুনানি শেষ করতে। ধৈর্য হারাচ্ছে। তাই দ্রুত শেষ করতে হবে সওয়াল পাল্টা সওয়াল।

    চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক সরকার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কর্নাটকের উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। কেবল কর্নাটক নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও শুরু হয় অশান্তি। মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। হিজাব পরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কর্নাটক আদালতও। তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে।

    সেই থেকে এ পর্যন্ত হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছেই। বুধবার ফের শুনানি হয় ওই মামলার। এদিনও হয় সওয়াল পাল্টা সওয়াল। পরে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ঢুলিয়া প্রবীণ আইনজীবী হুজাফে আহমদিকে বলেন, আমরা আপনাদের সবাইকে এক ঘণ্টা সময় দিলাম। আপনারা শেষ করুন। এটা অতিরিক্ত শুনানি হয়ে যাচ্ছে। হুজাফে আহমদি এক আবেদনকারীর হয়ে সওয়াল করছেন। এদিন বেঞ্চ জানিয়েছে, হিজাব মামলায় বিভিন্ন আইনজীবী ইতিমধ্যেই তাঁদের যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। আমরা আমাদের ধৈর্য হারাচ্ছি। বেঞ্চ যে অসীম ধৈর্য নিয়ে সওয়াল পাল্টা সওয়াল শুনছেন, এদিন তা স্বীকারও করেন হুজাফে। তিনি বলেন, আমি স্বীকার করি আপনারা অসীম ধৈর্য নিয়ে এই মামলার সওয়াল পাল্টা সওয়াল শুনছেন। এর পরেই বেঞ্চ হালকা রসিকতার ছলে বলেন, আপনি কি মনে করেন এছাড়া অন্য উপায় রয়েছে?  

    এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ কে নাভাদগি এবং অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন। প্রবীণ আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে এবং সলমান খুরশিদ সওয়াল করেন মুসলিম আবেদনকারীদের হয়ে।

     

  • S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফর শেষ করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। এই সময় সীমায় তিনি বৈঠক করেছেন ৫০টিরও বেশি। এর মধ্যে ৪০টি বৈঠক হয়েছে মুখোমুখি। বাকিগুলির মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং গ্রুপ মিটিংও। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি হয়েছে তাঁর সম পর্যায়ের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে।

    সোমবার ওয়াশিংটনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈঠক করেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রায়মান্ডোর সঙ্গে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পেন্টাগনের মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি নয়াদিল্লির একটি পদক্ষেপ।

    চলতি সফরে পাঁচ বাণে আমেরিকাকে বিদ্ধ করেছেন জয়শঙ্কর। এফ-১৬ বিমানের যন্ত্রাংশ প্রদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এগুলো বলে আপনি কাউকে বোকা বানাচ্ছেন না। প্রত্যেকেই জানেন কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এফ-১৬ ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিশেষত ওয়াশিংটন পোস্টকেও একহাত নেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমের খবরে চোখ রাখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদপত্র রয়েছে, তারা জানে না তারা কী সংবাদ পরিবেশন করছে। এমন কী তার নিজের শহরের খবরও কীভাবে পরিবেশন করছে। পাক-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, এটা এমন একটা সম্পর্ক যাতে পাকিস্তানেরও ভাল হবে না, আমেরিকারও লাভ হবে না। আমেরিকার কাছে এই সম্পর্কের মানে কী, এই সম্পর্ক থেকে তারা কীই বা পাবে?

    আরও পড়ুন : একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সাল থেকে গত চল্লিশ বছর ধরে ভারতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার আত্মীয়, আমার বাবা, দাদু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজ করেছেন। তাই আমি ভাল করেই জানি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার গাঁটছড়া বাঁধলে আদতে যে আমেরিকারই লাভ হবে সেকথা আমেরিকাকে বোঝাতে কত বেগ পেতে হয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, যখন নাচ-গান চলছে তখন যদি আচমকাই ইন্টারনেট কেটে যায়… আপনি যখন মঞ্চে গেলেন আপনি বললেন মানুষের প্রাণহানির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ইন্টারনেট কেটে যাওয়াটা, তখন আমি আর কীইবা বলতে পারি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • PFI Ban: লক্ষ্য ছিল দাঙ্গা! আর একটা ‘শাহিনবাগ’-এর ছক কষেছিল পিএফআই?

    PFI Ban: লক্ষ্য ছিল দাঙ্গা! আর একটা ‘শাহিনবাগ’-এর ছক কষেছিল পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক কষেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India), সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। অন্তত দিল্লি পুলিশের দাবি এমনই। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআই ও তার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থাকে। তার পরেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার ধরপাকড়। তার পরেই দিল্লি পুলিশ ফাঁস করেছে সদ্য নিষিদ্ধ ওই সংগঠনের পরিকল্পনা।

    জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনের মতো একটি আন্দোলন সংগঠিত করার পরিকল্পনা করেছিল। দেশে দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির ছকও কষেছিল ওই ইসলামিক সংগঠন।

    জেলায় জেলায় গোয়েন্দাও নিয়োগ করেছিল পিএফআই। সূত্রের খবর, পিএফআই জেলাস্তরে গোয়েন্দা বিভাগ খুলেওছিল। এই গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করতেন। সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হত পিএফআইয়ের ক্যাডারদের কাছে। পিএফআইয়ের হিটলিস্টে যাঁরা ছিলেন, মূলত তাঁদের সম্পর্কেই তথ্য সংগ্রহ করতেন গোয়েন্দারা। অন্য একটি সাংবাদ মাধ্যম সূত্রেও জানা গিয়েছে, এই সংগঠন ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতে হিন্দু-বিরোধী দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল।

    আরও পড়ুন : পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি কুড়োতে পিএফআইয়ের একটি গোষ্ঠী গণআন্দোলনও সংঘটিত করেছিল। এই গোষ্ঠী বোধহয় রাজনৈতিক, তবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগ ছিল। পূর্ব দিল্লির দাঙ্গার মতো ঘটনাও ঘটাতে চেয়েছিল তারা।

    এদিকে, পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলন হতে পারে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমন আশঙ্কা করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জামিয়া নগর এলাকা, যেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত, সেখানে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিল্লিতে যে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর দিল্লির শাহিনবাগে শুরু হয়েছিল সিএএ বিরোধী আন্দোলন। এটা তারই জের।

    এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর এনআইএ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় ধরপাকড় শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই দফায় আটটি রাজ্যে চলেছে অভিযান। আটক করা হয়েছে পিএফআইয়ের ১৭০ জন সদস্যকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বাজিমাত মাত্র ১৭ কোটিতেই! জলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) ৪৭ কোটি টাকা। হ্যাঁ, গোয়া (Goa) বিধানসভা নির্বাচনে জলের মতো টাকা খরচ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও মেলেনি সাফল্য। সম্প্রতি এমনই খবর মিলেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

    গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে উঠেপড়ে লাগে তৃণমূল। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যের রশি হাতে নিতে একাধিকবার গোয়া উড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকবার গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোয়ার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, বাবুল সুপ্রিয় সহ একঝাঁক নেতানেত্রী। ভোটে বিজেপিকে মাত দিতে কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে শুরু করে তৃণমূল। তার পরেও ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি-ই। আরব সাগরের তীরের এই ছোট্ট রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই ফুটেছে পদ্ম।

    জানা গিয়েছে, গোয়ায় ঘাসফুল আঁকা ঝান্ডা ওড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে তৃণমূল ব্যয় করেছে ৪৭.৫৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে ধরাশায়ী করে গোয়ার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়া দখল করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের খরচ হয়েছে মাত্র ১৭.৭৫ কোটি টাকা। বড় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে কম খরচ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খরচ করেছে মাত্র ৩.৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে ভোটের খরচের হিসাব দাখিল করেছে। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন :বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    দীর্ঘদিন গোয়ার কুর্সিতে ছিল কংগ্রেস। তবে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খুব বেশি টাকা খরচ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি খরচ করেছে মাত্র ১২ কোটি টাকা। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বিজেপি মায় তৃণমূলের চেয়েও ঢের বেশি টাকা খরচ করেছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। তারা তাদের ১১ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে দিয়েছে ২৫ লক্ষ করে টাকা। এছাড়াও প্রচারের খরচ দিয়েছে দল। ওই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনাও। ১০ প্রার্থীকে জেতাতে তারা খরচ করেছিল ৯২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    Johnson & Johnsons: পরীক্ষায় ফেল! মহারাষ্ট্রে বাতিল জনসন বেবি পাউডারের লাইসেন্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বাতিল করা হল বাচ্চাদের পাউডার (Powder) প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনজন্সের (Johnson & Johnsons) লাইসেন্স। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) ওই লাইসেন্স বাতিল করে। সদ্যজাত শিশুদের (New-born Babies) ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এই পাউডার। তার জেরে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    দেশজুড়ে সদ্যজাত শিশুদের পাউডারের বাজারে একচেটিয়া রাজ করে জনসন অ্যান্ড জনসন্সের পাউডার। টিভি রেডিওয় ঘন ঘন বিজ্ঞাপণের দেওয়ার দরুণ লোকমুখে দ্রুত প্রচারিত হয়ে যায় এই পাউডারের সুখ্যাতি। তার পর থেকে ঘরে ঘরে দেখা যেতে থাকে এই পাউডার। এবার সেই পাউডারই পাশ করেনি মহারাষ্ট্র সরকারের পরীক্ষায়! মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাগারে পরীক্ষার সময় ওই কোম্পানির পাউডারে যে পরিমাণ পিএইচ ভ্যালু থাকার কথা, তা ছিল না। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কারণ কলকাতা ভিত্তিক সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরির রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সেখানে পাঠানো পাউডারের নমুনা পিএইচ ভ্যালুর নিরিখে আইএস ৫৩৩৯:২০০৪ মানদণ্ড বজায় রাখতে পারেনি। এটা জানার পরেই বাতিল করা হয়েছে ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার লাইসেন্স।

    আরও পড়ুন : ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    মহারাষ্ট্র সরকারের ওই বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল নাসিক ও পুণে থেকে। নমুনা সংগ্রহ করেছিল মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই দেখা যায়, যে মাপকাঠি সরকারের তরফে রাখা হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি ওই পাউডার। তাই এই পাউডার ব্যবহার করলে শিশুদের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে ওই কোম্পানিকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাজারে ওই কোম্পানির যত পাউডার রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই পাউডার প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে এই রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। কোম্পানির কর্তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    Mahalaya 2022: মহালয়ার তর্পণ, এদিন কার কার উদ্দেশে জল দান করা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার (Mahalaya) তপর্ণ (Tarpan)। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্রমতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করে তামাম ভারত (India)।

    আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষে তর্পণ করাই বিধেয়। ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। পুরাণ (Puranas) অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্ব পুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পথের পাথেয়। তবে সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন। শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করাই রীতি। ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয়। তবে মহালয়ার দিন শ্রাদ্ধ শেষে ব্রাহ্মণ ভোজন করালে দক্ষিণা দিতে হয় না।

    আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

    মহালয়ার দিন আমরা যে পূর্ব পুরুষের উদ্দেশে জল এবং পিণ্ড দান করি, তা কেবল তাঁদের উদ্দেশেই নয়, গুরু এবং ঋষির উদ্দেশেও এদিন জলদান করা হয়। দৈনন্দিন চলার পথে যেসব ক্ষুদ্রাণুক্ষুদ্র কীট মরে, যাঁরা নিঃসন্তান, জল দেওয়ার কেউ নেই, মায় বাড়ির চাকর সবার উদ্দেশেই এদিন জলদান করা হয়। আগুনে পুড়ে মরে অনেক পতঙ্গ। তাদের আত্মার উদ্দেশেও জলদান করা হয় এদিন। শাস্ত্রবিদদের মতে, পিতৃপুরুষ সন্তুষ্ট হলে তাঁদের আশীর্বাদে জীবদ্দশায় মানুষ দীর্ঘায়ু, ধন সম্পত্তি, জ্ঞান, শান্তি এবং মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

     

LinkedIn
Share