Author: Krishnendu Bakshi

  • Bharat Ratna: অ-বিজেপি দুই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতরত্ন, কী বললেন নাড্ডা?

    Bharat Ratna: অ-বিজেপি দুই প্রধানমন্ত্রীকে ভারতরত্ন, কী বললেন নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজনকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এঁরা হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নরসিংহ রাও, দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতীয় লোক দলের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরি চরণ সিংহ এবং ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক এম স্বামীনাথন। স্বামীনাথন বিজ্ঞানী। কিন্তু বাকি দুজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দুজনেই আবার ঘোরতরভাবে বিজেপি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্নে ভূষিত করা হচ্ছে?

    ভারতরত্ন

    চরণ সিংহকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) সম্মান দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনি কৃষকদের অধিকার ও তাঁদের কল্যাণের জন্য নিজের পুরো জীবন সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হোন বা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোন বা বিধায়ক হোন, উনি সর্বদা দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে গিয়েছেন।” কংগ্রেস নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় কঠোরভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাদের কৃষক ভাইবোনেদের প্রতি উনি যেভাবে নিজের জীবন সমর্পণ করেছেন এবং জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর যে অবদান রয়েছে, তা দেশের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।”

    নরসিমহা রাওয়ের প্রশংসা

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাওয়েরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ভারতের অর্থনীতিকে মজবুত করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছিল।”

    আরও পড়ুুন: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও আরও একজনকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এলকে আডবাণী। আডবাণী বিজেপি হলেও, বাকি দুই ভারতরত্ন-প্রাপক তো বিজেপি নন! দলীয় বৃত্তের মধ্যেই যে পুরস্কার ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে যায় (নিন্দকদের এহেন বক্তব্যের সঙ্গে মাধ্যম সহমত পোষণ করে না), সেখানে বিজেপি বিরোধী দুই রাষ্ট্রনেতাকে কেন দেওয়া হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান? মোক্ষম জবাবটি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর মতে, মোদি সরকার দলের ঊর্ধ্বে উঠে দেশবাসীর প্রতি যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের সম্মানিত করেছে। নরসিমহা রাও সম্পর্কে নাড্ডা বলেন, “তিনি দ্রুত অর্থনীতির দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন।” আর চরণ সিংহ সম্পর্কে তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রকৃত প্রতিনিধি তিনি (Bharat Ratna)।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    Arabul Islam: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আরাবুল ‘কারাবুলে’র (আগেও কারাবাস ভোগ করায় আরাবুলকে এই নামেই চেনেন স্থানীয়দের একটা বড় অংশ)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের তাজা নেতা আরাবুল ইসলামকে। পরে পাঠানো হয় গারদে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। 

    আরাবুলের নামে খুনের অভিযোগ

    শুক্রবার বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয় আরাবুলকে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশি হেফাজতে। গত বছর জুন মাসে হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই সময় খুন হন জনৈক মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লা। তিনি আইএসএফের সদস্য ছিলেন। ১৫ জুন ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করতে গেলে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। মৃত আইএসএফ কর্মীর বাবা কুতুবউদ্দিন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। আরাবুলের (Arabul Islam) নামে দায়ের হয় এফআইআর। আরাবুলের ছেলে হাকিমুল এবং আরও ২০ জনের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ কর্মী খুনে অভিযুক্ত আরাবুলকে। মাসখানেক আগে ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসে। তার পরেই গ্রেফতার হন আরাবুল। পুলিশ জানিয়েছে, জুন মাসে খুনের ঘটনায় নাম জড়ানোয় গ্রেফতার করা হয়েছে আরাবুলকে।

    লজ্জা ঢাকতে সাদা কাপড়!

    এদিন সাদা কাপড়ে মুখ ঢেকে আদালতে ঢোকেন আরাবুল। বিরোধীদের একাংশের মতে, লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে আরাবুল তৃণমূলের ঝান্ডা নয়, মুখ লুকিয়েছেন সাদা কাপড়ের আড়ালে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর কাশীপুর থানায় তলব করা হয় আরাবুলকে। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। আদালতে তোলা হলে ঠাঁই হয় জেলে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হাজার বার বলব জয় শ্রীরাম’’, ধর্মান্ধদের কড়া জবাব মহম্মদ শামির

    তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগ থাকা সত্ত্বেও মমতার পুলিশ যেভাবে গ্রেফতার করল আরাবুলকে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সন্দেশখালির শেখ জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও ঘণ্টাখানেক ধরে তালা খোলা হয়নি জাহাঙ্গিরের বাড়ির ফটকের। তার পর আচমকাই বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী (যারা জাহাঙ্গিরের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত) হামলা চালায় ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পর থেকে বেপাত্তা জাহাঙ্গির। আরাবুলের (Arabul Islam) গ্রেফতারির খবর পেয়ে আদৌ তিনি আর প্রকাশ্যে আসেন কিনা, আপাতত সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Siliguri: হাসপাতালের বুড়ি ছুঁয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস! ২২ ডাক্তারের বেতন বন্ধ

    Siliguri: হাসপাতালের বুড়ি ছুঁয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস! ২২ ডাক্তারের বেতন বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা থাকেন না, তাঁরা ব্যস্ত প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে। অবশ্য এই অভিযোগ বার বার আগেও ব্যাপক ভাবে করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন ভাবে রাশ টানা যায়নি। এবার এই একই অভিযোগকে সমানে রেখে ২২ জন প্রফেসর পর্যায়ের চিকিৎসকের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য রাজ্য জুড়ে কলকাতা থেকে বদলি হয়ে আসা অনেক ডাক্তার ঠিক মতো জেলার সরকারি হাসপাতালের ডিউটি করেন না। অধিকাংশ সময়ে ব্যক্তিগত নার্সিংহোম অথবা কলকাতায় নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখেন। এমন ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। জেলাবাসীর অভিযোগ, রাজ্যের জেলার প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে এমন ঘটনা প্রচুর ঘটে চলেছে। প্রশাসনকে জানিয়েও সব ক্ষেত্রে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।

    মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য (Siliguri)

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (Siliguri) কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রিন্সিপাল ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেছেন, “কাউকেই ছাড়া হবে না। নিজের ডিউটি ঠিক মতো পালন না করে কর্তব্যে গাফিলতি করলে ব্যবস্থা হবেই। প্রতি মাসে এবার থেকে রিভিউ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাপ্য ছুটির বাইরে কেউ অনুপস্থিত থাকলে কাটা হবে বেতন। এর থেকে বেশি প্রকাশ্যে কিছু বলবো না।”

    মেডিক্যাল ডিনের বক্তব্য

    মেডিক্যাল কলেজের (Siliguri) ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “একদল কাজ করছেন, আর এক দল কাজ করছেন না। ফলে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মেডিক্যাল কলেজের প্রতি আরও দায়বদ্ধ হতে হবে। মেডিক্যালের সঙ্গে যুক্ত থেকে সুবিধা নিয়ে কাজ না করা এবং নিজের ইচ্ছেমতো অনুপস্থিত থাকা চলবে না।”

    সুশ্রুত নাগরিক মঞ্চের বক্তব্য

    মেডিক্যাল কলেজে থাকা স্থানীয় (Siliguri) সুশ্রুত নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক বলেন, “হাসপাতালে অনুপস্থিত থেকে অনেক ডাক্তার নিজেরা প্রাইভেটে রোগী দেখেন। এই সব দেখার কেউ নেই। কিন্তু বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। সকল রোগী পরিবারের মানুষ পরিষেবা চান। ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। এরপর বড় আন্দোলন করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: চিন-প্রেমই হল কাল! মলদ্বীপে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট, বলছে আইএমএফ

    Maldives: চিন-প্রেমই হল কাল! মলদ্বীপে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-প্রেমই কাল হতে পারে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের (Maldives)। অবশ্য আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার একথা বলেনি। তবে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারে মলদ্বীপ। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল আর এক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এই একই কারণে পথে বসেছিল ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও।

    দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট!

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জু সরকারের অতিরিক্ত চিনা প্রেমই কারণ হতে পারে সে দেশের দুর্দশার। আইএমএফ (IMF) জানিয়ে দিয়েছে, যেভাবে মলদ্বীপ সরকার বিদেশ থেকে ঋণের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে, তাতে দেশটিতে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট। গত নভেম্বর মাসে ভারতপন্থী মহম্মদ সোলিকে সরিয়ে মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট হন চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু। তার পরেই ভারত নয়, মুইজ্জুর চিন-প্রীতি বেআব্রু হয়ে পড়ে।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    ক্ষমতায় আশার পর প্রথা মেনে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে যান পরম মিত্র দেশ ভারত দর্শনে। পরে অন্য কোনও দেশে। দীর্ঘ দিনের সেই প্রথা ভেঙে ক্ষমতায় এসেই মুইজ্জু চলে যান চিন সফরে। সম্প্রতি মুইজ্জু সরকারের তিনি মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। দ্বীপরাষ্ট্র প্রধানের সরকারের এহেন দুই আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। ফলশ্রুতি হিসেবে, পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছে তলানিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    মুইজ্জু সরকার গঠনের পর (Maldives) উন্নয়নের স্বার্থে মলদ্বীপকে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চিনের জিনপিং সরকার। জানা গিয়েছে, চিনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নিয়েছে মুইজ্জু সরকার। চিন থেকে মুইজ্জু সরকার কত অর্থ নিয়েছে, তা জানায়নি আইএমএফ। তবে বিদেশি ঋণ নিয়ে মলদ্বীপ সরকারের যে জরুরি নীতি সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমফের তরফে জানানো হয়েছে, উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন ছাড়াই মলদ্বীপের সামগ্রিক রাজস্বে ঘাটতি এবং ঋণ বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে।

    মলদ্বীপ বিদেশি ও সামগ্রিক ঋণ সঙ্কটের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১ সালের হিসেবে চিনের কাছ থেকে ঋণ বাবদ মলদ্বীপের নেওয়া ৩০০ কোটি ডলারের ৪২ শতাংশ মেটানো বাকি ছিল। এমতাবস্থায় ফের আশঙ্কার কথা শোনা গেল আইএমএফের মুখে (Maldives)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়ের (South 24 Parganas) প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। তৃণমূলের এই ‘তাজা নেতাকে’ গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। আজ আরাবুলকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনায় ভাঙড়ে শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ, লাঠিচার্জ

    দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের কোচপুকুরে ব্যাপক উত্তেজনা! আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে মূলত ঝামেলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুরে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল তৃণমূল। এই ঘটনায় আইএসএফের পতকা ছিঁড়ে তৃণমূল পতাকা লাগাচ্ছিল বলে অভিযোগ আইএসএফের। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, আগে থেকেই মাটিতে ছেড়া অবস্থায় পড়েছিল আইএসএফের পতাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের ঝামেলা শুরু হলে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা যাচ্ছে।

    বোমা উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য (South 24 Parganas)

    আরাবুল ইসলাম গ্রেফতারের পর দিনই ভাঙড়ে (South 24 Parganas) উদ্ধার হল বোমা। এলাকায় পোলেরহাট থানার পোলেরহাট হাই স্কুলের পাশে আবর্জনার স্তূপে উদ্ধার হল তাজা বোমা। স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসার পথে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমে দেখতে পেয়েই স্থানীয় থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পোলেরহাট থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। তবে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষজন সহ পরীক্ষার্থীর আত্মীয় পরিজনেরা। পাশেই হাইস্কুলে পরীক্ষার সেন্টার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল। একাধিক বার বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণ এবং হত্যার ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত মাস ধরে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের নাবালিকা নিখোঁজ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল এবার সিবিআইকে। রাজ্য পুলিশের গাফলতি দেখে আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় ফের একবার ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ। মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের।

    পুলিশের গাফিলতি (Purba Bardhaman)

    খণ্ডঘোষের (Purba Bardhaman) নাবালিকার নিখোঁজ মামলায় শাসকদলের বিধায়ক সহ বড় বড় নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে চরম গাফিলিতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আদালত গত ১৫ জানুয়ারি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পুলিশের হাতে মামলা থাকাকালীন দুইজন গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু গ্রেফতারের ৯০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পাড়ায় পরের দুই দিনের মাথায় জামিন পেয়ে যায় দুই ধৃতরা। মূল অভিযোগ হল যারা জামিন পেয়ছিলো তারা উভয়েই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের খুব কাছের মানুষ। এলাকায় বিধায়কের হয়ে কাজ করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার মধ্যে অভিযুক্ত সকলেই শাসক দলের কাছের বলে পরিচিত। ফলে মামলায় শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ যে যোগ রয়েছে একথা অভিযোগকারীরা বার বার বলছেন। সিআইডি মামলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কিছু জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কিন্তু আসল দোষীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা তদন্তের কথা বার বার দাবি হয়েছিল।

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আজ মামলার তদন্ত ভার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিরটা গাফিলতি রয়েছে।” নিখোঁজ মেয়েকে (Purba Bardhaman) যদি ভিন রাজ্যে বা অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেই বিষয়েও তদন্ত করার কথা কথা বলেছেন বিচারপতি। আগামী ১৩ মার্চ হল মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানাতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিভীষণ হাঁসদা। গতকাল বুধবার রাতে ট্রেনে করেই দিল্লিতে যাত্রা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন মেয়ে এবং স্ত্রী। পালটা তৃণমূলের বক্তব্য, লোকসভার আগে প্রচার পেতে চাইছে বিজেপি।

    প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Bankura)

    চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বাঁকুড়া (Bankura) সফর করার সময় চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময় নিজের বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজনের সময় বিভীষণ তাঁর মেয়ের অসুস্থার কথা জানিয়ে ছিলেন বিভীষণ হাঁসদা। আর তা শুনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মতো ওষুধপত্র পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তাঁকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে দিল্লি রওনা দিয়েছেন এই আদিবাসী পরিবার। গতকাল রাত আটটার ট্রেনে চেপে দিল্লির জন্য যাত্রা শুরু করেছেন তাঁরা।

    কী বলল বিভীষণের মেয়ে?

    দিল্লির জন্য ট্রেনে উঠে বিভীষণের মেয়ে রচনা হাঁসদা বলেন, “ভীষণ ভাবে আমরা এক্সাইটেড। আমার সমস্ত চিকিৎসার খরচ তিনি চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কৃজ্ঞতা জানাবো।” আবার বিজেপির বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র বলেন, “বিভীষণের পরিবারের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।” এলাকাবাসীর বক্তব্য দীর্ঘদিনের রোগগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়কে সমালোচনা করে জেলার (Bankura) তৃণমূল নেতা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “ঠিক সেই সময়কার সংবাদ শিরোনামে থাকা বিভীষণের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। এখন সামনে লোকসভার ভোট, তাই তাকে হাতিয়ার করে বিশেষ প্রচার করছে হাঁসদা পরিবারকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবটাই রাজনীতির অঙ্গ।”

    রাজনৈতিক টানাটানি করেছে তৃণমূল

    ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর অমিত শাহ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাঁকুড়ায়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের মেয়ের অসুস্থার কথা শুনে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পালটা তৃণমূল থেকেও বারবার পরিবারের কাছে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে এলাকাবাসীর (Bankura) দাবি, শাসক দল রাজনীতি করতে ব্যাপক ভাবে টানাটানি করেছে পরিবারকে নিয়ে। তৃণমূলের কাছ থেকে কিছু সাহায্যও পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত মূলত বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতাই বেশি ছিল শাসক দলের।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Myanmar: অশান্তির আগুন মায়ানমারে, দেশে ফিরুন, প্রবাসীদের আবেদন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের

    Myanmar: অশান্তির আগুন মায়ানমারে, দেশে ফিরুন, প্রবাসীদের আবেদন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মায়ানমারের (Myanmar) রাখাইন প্রদেশে। সরকারি সেনার সঙ্গে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। রাখাইন প্রদেশের দুটি শহরের সেনা ঘাঁটির দখল নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। এমতাবস্থায় রাখাইন প্রদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের দ্রুত ভারতে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।

    নির্দেশিকা জারি

    অশান্ত মায়ানমারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ভারতীয় পর্যটকদেরও। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, রাখাইন প্রদেশের (Myanmar) আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাল দেখা দিয়েছে। তাই রাজ্যটি আপাতত প্রবাসী ভারতীয়দের বসবাসের জন্য নিরাপদ নয়। সেই কারণেই ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত মায়ানমার ছেড়ে ভারতে ফেরার আবেদন জানানো হয়েছে।

    গণতন্ত্র ফেরানোর দাবি

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন মায়ানমারবাসী। গত অক্টোবর মাস থেকে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী ও মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। নভেম্বর মাস থেকে ‘তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’, ‘আরাকান আর্মি’ ও ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। তার জেরেই একের এক এলাকায় শুরু হয়েছে (Myanmar) তুমুল সংঘর্ষ।

    সম্প্রতি যুদ্ধ বেঁধেছে রাখাইন প্রদেশে। এখানকার রামরি শহরে রয়েছে বায়ুসেনার একটি ঘাঁটি। ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স সেটি দখল করতে চাইছে। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি গ্রাম পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের দখলে এসেছে। এই অঞ্চলের সরকারি সেনা শিবিরগুলির দখলও বিদ্রোহীরা নিয়েছেন বলে খবর।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়ে এনডিএ শিবিরে ভিড়ছে জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোক দল!

    এদিকে, মায়ানমারের সংঘর্ষ নিয়ে শেষতক মুখ খুলল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অসামরিক ব্যক্তি ও পরিকাঠামোয় যাতে সরকারি সেনা হামলা না করে সেজন্য মায়ানমার সরকারকে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের তরফে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে আমেরিকা, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইকুয়েডর ও মাল্টা। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলও অশান্ত হয়ে উঠেছে। মণিপুর ও মিজোরামের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়েছে। যা হয়ে উঠছে ভারতের মাথাব্যথার কারণ (Myanmar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” সোমবার এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা অধিবেশনে যোগ দিতে এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বালুরঘাটের সাংসদ। তার আগে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “যে ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়েছে, এ ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরনো উচিত নয়, অন্তত পক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে তো নয়ই।” এর পরেই তিনি বলেন, “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” নাম না করে এদিন তৃণমূলের মুখপাত্রকেও আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত। তৃণমূলের এই মুখপাত্র বলেছিলেন, “ভোটে জেতার পর চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।” সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আগে যে বাঘ চড়াম চড়াম বলত, সে এখন ছাগ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিহাড় জেলে। এখন এই নতুন অনুব্রত, কলকাতার অনুব্রত কবে ছাগ হবে সেটাই দেখার।”

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বিজেপি সমর্থক এক পরিবারের সদস্যদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “সব জায়গায়ই এটা হচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা হচ্ছে সন্ত্রাসের এপিসেন্টার। এই লোকসভায়ই সব চেয়ে বেশি সন্ত্রাস হয়।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “রোজ মোদিজি বলছে, পাকা বাড়ি করে দিচ্ছি। *** তুমি প্রাসাদ অট্টালিকায় থাকবে, আর এই গরিব লোকের মাথার ছাদটা কেড়ে নিয়েছো, তাঁকে দিচ্ছ না।”

    আরও পড়ুুন: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে রবিবার বর্ণ পরিচয় হাতে কলকাতায় মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে দেওয়া হয় মধু। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “মোদিজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর উদ্দেশে যেভাবে কু-শব্দ প্রয়োগ করলেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে, বাংলাভাষী হিসেবে আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছে (Sukanta Majumdar) ক্ষমাপ্রার্থী।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনাদের শুধু অ্যাকশন আর রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে।” সোমবার দিল্লিতে শাহি বৈঠক সেরে বেরিয়ে একথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক ‘জায়ান্ট কিলার’ (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোয় এই নামেই তাঁকে ডাকেন কর্মী-সমর্থকরা) শুভেন্দু অধিকারি। জরুরি ভিত্তিতে তলব পেয়ে রবিবার রাতেই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু।

    শাহি সাক্ষাতে শুভেন্দু

    সোমবার সকালে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। এদিন সকালেই শুভেন্দু পৌঁছে যান সংসদে। সেখানে প্রথমে তিনি বৈঠক করেন অমিত শাহের সঙ্গে। শাহি বৈঠক শেষে তিনি সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে। সেখানে একপ্রস্ত বৈঠক হয় দুজনের। সোম-দুপুরের জোড়া বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। কেবল বলেন, “যে আলোচনা হয়েছে, তাতে যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলব না। শুধু আপনাদের অ্যাকশন আর রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে।” শাহের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা না গেলেও, অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দু-সীতারামন বৈঠক

    শুভেন্দু বলেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। ক্যাগ রিপোর্টে দু লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে। জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাজ্যে কোনও অডিট হয়নি। বিনোদন খাতে প্রচুর টাকা খরচ করছে সরকার।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। আর সেই টাকা দিয়ে ইলেকট্রিক বিল পে করা হচ্ছে। অর্থাৎ কেন্দ্রের টাকা নিচ্ছে রাজ্য।” তিনি বলেন, “যে অর্থ কমিশনের টাকা উন্নয়ন খাতে খরচ করার জন্য পাঠানো হয়, সেটা দিয়েই বিডিও অফিস থেকে নবান্ন, সব জায়গায় ইলেকট্রিক বিল দেওয়া হচ্ছে।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি ৩৭০ আসন পাবেই, এনডিএ পেরোবে ৪০০”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share