Author: Krishnendu Bakshi

  • SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল ২২তম সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিট, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)। দু দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। এই প্রথম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখোমুখি হবে এই সম্মেলনে। কারণ অতিমারির কারণে এর আগে দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি।এক মঞ্চে জিনপিং এবং পুতিনের আগমনে যেমন নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল, তেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিও নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর।

    আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইস্যু সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে ভারত। এসসিও ভারতকে বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। যদিও ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতে সামাজিক ক্ষত তৈরি করতে যুবসমাজকে টার্গেট করছে বলে অভিযোগ। ভারত যখন থেকে এসসিওর সদস্য হয়েছে, তখন থেকেই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে স্থায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। এসসিও নয়াদিল্লির কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করছে। যার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়া সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। ভারত এই সম্মেলনে ছাবাহার বন্দর প্রোজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর নিয়েও আলোচনা করতে পারে। ভারত, ইরান এবং উজবেকিস্তান এই তিন দেশ ছাবাহার বন্দর ও অন্যান্য কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছিল ২০২০ সালে।এই সামিটের মাধ্যমে ভারত রাশিয়া, ইরান এবং সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিক্সের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    এদিকে, এই সম্মলেনর ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে। তাই এই বৈঠকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে আমেরিকারও। এদিকে, এবারের সমরখন্দ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা শি জিনপিংয়ের। ২০২০ সালের পর অতিমারির কারণে তিনি দেশের বাইরে পা রাখেননি। তাই তিনি এই সামিটে যোগ দেওয়ায় শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানালেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সম্প্রতি দিল্লি (Delhi) গিয়ে বিজেপি (BJP) বিরোধী কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এদিন তাঁকেই কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, কেবল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলাম আর চারজন নেতার সঙ্গে চা খেলাম, এতে আম জনতার কিছু আসে যায় না। তাই নির্বাচনেও এর কোনও প্রভাব পড়ে না।

    এক সময় নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডেই ছিলেন পিকে (PK)। পরে নীতীশের সঙ্গে মনান্তরের জেরে দল ছাড়েন তিনি। এদিন নীতীশকে নিশানা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ভোটে লড়ার ক্ষমতা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে শুধু বৈঠক করে কী হবে? বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েছেন নীতীশ। ঘটনাটি, প্রশান্ত কিশোরের মতে, রাজ্যের ঘটনা। অন্য কোনও রাজ্যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও মহারাষ্ট্রে মহাজোট সরকার ছিল। এখন সেখানে এনডিএ সরকার চলছে। বিহারে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। জেডিইউ দলের প্রাক্তনী প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার কোনও প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে পড়েনি।

    আরও পড়ুন :আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেন, ২০১৫ সালে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন মহাজোটের পক্ষে। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে মানুষ তাদের জেতায়নি। বিহার রাজনীতির এই ধাক্কা এবং দুই ভোটের ফল দেশের সাধারণ নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলেনি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী দশ দলের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আদৌ কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করেন ভোট কুশলী। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন নীতীশ। তাই শুরু করেছেন সলতে পাকানোর কাজ। তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন যে অধরাই থেকে যাবে, এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করেন প্রশান্ত কিশোর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    Anubrata Mondal: অনুব্রত-কন্যার কোটি টাকার এফডি ফ্রিজ়, সিবিআই নজরে মা কালীর গয়নার উৎসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের হদিশ পেল সিবিআই (CBI)। পিতা-পুত্রীর নথিভুক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার মিলল নগদ টাকার হদিশ। এদিকে, ফি বছর কালীপুজোর সময় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মা কালীর বিগ্রহকে প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়না পরাতেন, তার উৎস জানতে বোলপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। কেবল তিনি নন, তাঁর প্রয়াত স্ত্রী এবং কন্যা সুকন্যার নামেও পাওয়া গিয়েছে সম্পত্তির হদিশ। তবে এতদিন যা পাওয়া যাচ্ছিল না, তা হল নগদ টাকা। এবার মিলল তার খোঁজও। তবে অনুব্রতর নামে নয়, এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ মিলেছে সুকন্যার নামে। বৃহস্পতিবার বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাংকের শাখায় যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন ব্যাংকের বিভিন্ন নথিপত্র। তখনই নজরে আসে সুকন্যার নামে কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের। তার পরেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি।

    এদিকে, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই শাখার ওপর নজর ছিল সিবিআইয়ের। কারণ এই ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে বছরে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজও এদিন নেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।  

    আরও পড়ুন : কয়লাপাচার কাণ্ডে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানা, এবার কি গ্রেফতার রাজ্যের আইনমন্ত্রী? 

    ফি বার দ্বীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে কালী পুজো করেন অনুব্রত। প্রতিবার বিগ্রহকে সাজানো হয় ৫৭০ ভরি সোনার গয়নায়। এই পরিমাণ সোনার গয়নার বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার কাছাকাছি। মা কালীর এই গয়না যিনি গড়িয়েছিলেন, সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেও জেরা করেছে সিবিআই। দেখতে চাওয়া হয় এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার রসিদও। সব গয়নাই তাঁর কাছে গড়ানো হয়েছিল কিনা, নাকি অন্য আরও কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও বিগ্রহের গয়না কেনা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যপথের (Kartavya Path) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ওই পথের উদ্বোধন করেন তিনি। বলেন, এক সময় যেটি পরিচিত ছিল কিংসওয়ে (King’s Way) নামে, পরে হল রাজপথ, যেটা এতদিন দসত্বের (Slavery) প্রতীক হিসেবে ছিল, এবার তার ঠাঁই হল ইতিহাসে। এদিন ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি ২৮ ফুট উঁচু মূর্তির আবরণও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    এদিন রাষ্ট্রপতিভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কর্তব্যপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। খরচ হয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্তব্যপথের মধ্যে দিয়ে জন্ম নিল এক নয়া ইতিহাস। আর এই যে দেখছেন নেতাজির মূর্তি, তিনি আমাদের পথ দেখাবেন, প্রেরণা জোগাবেন দেশকে।

    মোদি বলেন, একদা রাজপথ থেকে কর্তব্যপথে উত্তরণ একটি প্রতীকী বিষয়। জনগণের সম্পত্তি ও ক্ষমতায়নের এটি একটি উদাহরণ। এই সময় চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। তাই জাতি এদিন থেকে একটি নতুন প্রেরণা পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নতুন রঙে ভবিষ্যতের ছবি রাঙিয়ে তুলছি। অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছি। আজ সর্বত্রই এক নয়া আলোকছটা দেখা যাচ্ছে। এই আলোকছটা নিউ ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাসের। তিনি বলেন, কিংসওয়ে অথবা রাজপথ দাসত্বের প্রতীক। আজ থেকে চিরতরে মুছে গেল। এদিন কর্তব্যপথ থেকে সূচনা হল এক নয়া ইতিহাসের। স্বাধীনতার এই অমৃত কালে আরও একটি দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ দেশের মহিমার প্রতিনিধিত্ব করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। কর্তব্যপথ তৈরি করেছেন যেসব শ্রমিক এদিন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাঁরা কেবল এটা তৈরি করেননি, তাঁরা কর্তব্যের নয়া পথ বাতলেছেন। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে তাঁরা যে তাঁর অতিথি হতে চলেছেন, এদিন সে খবরও জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে কর্তব্যপথ দেখার আহ্বানও জানান মোদি। বলেন, এই রাস্তার উন্নয়নে আপনি ভবিষ্যতের ভারতকে দেখতে পাবেন। এখানে এলে যে শক্তি পাবেন, তা আপনার জীবনে জন্ম দেবে এক নতুন বিশ্বাসের।

    আরও পড়ুন : ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত…’, বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত, এই কর্তব্যপথ মোদি সরকারে সেন্ট্রাল ভিস্তা রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের অংশ। এই প্রোজেক্টে হবে ত্রিকোণাকার পার্লামেন্ট বিল্ডিং, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন ও অফিস এবং উপরাষ্ট্রপতির নয়া এনক্লেভ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: আগুনে পুড়ছে খাকি প্যান্ট, কংগ্রেসের এহেন ছবির প্রেক্ষিতে কী বললেন হিমন্ত?  

    Himanta Biswa Sarma: আগুনে পুড়ছে খাকি প্যান্ট, কংগ্রেসের এহেন ছবির প্রেক্ষিতে কী বললেন হিমন্ত?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসকে (Congress) মোক্ষম জবাব দিলেন আসামের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি খাকি (Khaki) প্যান্ট পোড়ানো হচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করা হয় কংগ্রেসের তরফে। এই ছবিকেই হাতিয়ার করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইটারে তিনি জওহরলাল নেহেরুর একটি খাকি প্যান্ট পরিহিত ছবি পোস্ট করেন। তার পরেই প্রশ্ন তোলেন, আপনারা এটাকেও আগুনে পোড়াবেন…।

    সম্প্রতি খাকি পরিহিত নেহেরুর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবি দেখিয়ে দাবি করা হয়েছে, খাকি পরে আরএসএসের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নেহেরু। যদিও তথ্য যাচাইকারী সংস্থার দাবি, খাকি পরে নেহরু আরএসএসের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। ওটি কংগ্রেস সেবাদলের ইউনিফর্ম। ওই পোশাক পরে কংগ্রেসের সেবাদলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    কংগ্রেসের অফিসিয়াল ট্যুইটারে একটি খাকি প্যান্ট পুড়ছে ছবি দেওয়া হয়েছে। এই খাকি প্যান্ট পরেন আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা। রাহুল গান্ধী যে ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি নিয়েছেন, তারই অঙ্গ হিসেবে এই ছবি দেওয়া হয়েছে। পরে বলা হয়েছে, দেশকে বিজেপি-আরএসএসের ঘৃণা এবং ক্ষতিকর শৃঙ্খলের হাত থেকে মুক্ত করতে। ধাপে ধাপে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। ভারত জোড়ো যাত্রা।

    প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। যাত্রা শুরু হয়েছে কেরলের কন্যাকুমারিকা জেলা থেকে। যাবে কাশ্মীর পর্যন্ত। যাত্রা শেষ হবে ১৫০ দিনে। আপাতত যাত্রায় অংশ গ্রহণকারী কংগ্রেস কর্মীরা রয়েছেন কেরলেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ আইন (PMLA) লাগু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তার পরেই এই আইনে অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা চার্জশিট পেশ করেছে ৯৯২টি অভিযোগে।

    অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির চেয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইডি। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইনে (FEMA) ইডি এ পর্যন্ত ৮ হাজার শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে। যে সকল অভিযুক্তের সম্পত্তি এজেন্সি অ্যাটাচ করেছে ইডি, সেই সম্পত্তি বিক্রি করে ২৩ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংককে। কেবল আর্থিক তছরুপ নয়, ইডি তদন্ত করছে যাঁরা ফেমা (FEMA) এবং ফিউজিটিভ ইকনোমিক অফেন্ডার্স অ্যাক্টেও অভিযুক্ত তাঁদের। 

    যদিও আর্থিক তছরুপ কেলেঙ্কারিতে প্রচুর পরিমাণ মামলা বকেয়া পড়ে রয়েছে, তা সত্ত্বেও ১৭ বছরের পুরানো একটি আইনে এ পর্যন্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে ইডি। এসব করতে গিয়ে নানা সময়ে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি ইডিকে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইডি আর্থিক তছরুপ আইনে তদন্ত করেছে নথিভুক্ত ৫ হাজার ৪০০ মামলা।  সরকারি তরফের অভিযোগ অথবা চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করেছে ইডি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।  ইডি ১ হাজার ৭০০ অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার ইস্যু করেছে। এক লক্ষ কোটির বেশি সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। 

    আরও পড়ুন : দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    কুখ্যাত তিনটি আর্থিক কেলেঙ্কারিরও তদন্ত করছে ইডি। এই তিনটি কেলেঙ্কারির মূল হোতা হলেন বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি ও মেহুল চোকসি। এই তিনজনের ১৯ হাজার কোটিও বেশি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। এর মধ্যে ইডি বিক্রিও করেছে প্রচুর সম্পত্তি। উদ্ধার করেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। শুধু তাই নয়, এসবিআইয়ের নেতৃত্বে কয়েকটি ব্যাংকের কনসর্টিয়াম ইডি যে সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে, তা বিক্রি করে পেয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা সেঁটেছে ভারতের (India) গায়ে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বেড়েছে জিডিপি (GDP)-র হারও। এমতাবস্থায় ফের একবার আশার কথা শোনাল মুডি’জ (Moodys)। বিশ্ব অর্থনীতির তুল্যমূল্য বিচার করে এই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা। তারাই জানাল, ভারতের অর্থনীতি টালমাটাল নয়, বরং স্থিতিশীল। অর্থনীতি বৃদ্ধির হারও ক্রমবর্ধমান। 

    করোনা পরিস্থিতিতে হাঁড়ির হাল হয়েছিল বিশ্ব অর্থনীতির। ক্রমেই সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল করোনা পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে ভারতও। তবে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি যে ক্রমবর্ধমান তা ধরা পড়েছে জিডিপির হারে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপির হার ১৩.৫। ভারতের অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। সমীক্ষা বলছে, ২০২৯ সালের মধ্যেই ভারত হয়ে বিশ্বের তৃতীয বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। জার্মানি এবং জাপানকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। 

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    স্টেটনব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টেও উঠে এসেছে আশার খবর। সেখানেও জানানো হয়েছে, ভারতের অর্থনীতির হাল শক্ত। এবার একই কথা জানাল মুডি’জও। বিশ্ব অর্থনীতির হালহকিকত খতিয়ে দেখতে নানান সমীক্ষা করে এই সংস্থা। সেই সংস্থারই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির উচ্চ বৃদ্ধিরক সম্ভাবনার কথা। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারও যথেষ্ট পোক্ত। ভারতীয় অর্থনীতিতে নগদের জোগানও রয়েছে। তাই এখানকার অর্থনীতি ঝুঁকিবিহীন। 

    মুডি’জ-এর বিচারে ভারতের রেটিং ‘বিএএ৩’। মুডি’জ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নগদের জোগান ভাল থাকায় ভারতে ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করা কম ঝুঁকির। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ভারত যে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে, রিপোর্টে জানানো হয়েছে তাও। প্রসঙ্গত, মুডি ভবিষ্যবাণী করেছিল, ভারতে রিয়েল জিডিপি ’২৩ অর্থবর্ষে ৭.৬ শতাংশ থেকে পরের আর্থিক বর্ষে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছবে।

  • Amit shah: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    Amit shah: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) বিজেপির (BJP) সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই তাঁকে অবশ্যই উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। মুম্বইয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে শাহ সাফ জানিয়ে দেন, রাজনীতিতে আমরা সব কিছু সহ্য করতে পারি, তবে বিশ্বাসঘাতকতা নয়।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে চেয়েছিলেন শিসবেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের প্রাক্তন সতীর্থ একনাথ শিন্ডে। শিন্ডের প্রস্তাব খারিজ করে দেন উদ্ধব। এর পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসাম উড়ে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। হন মুখ্যমন্ত্রী।

    সূত্রের খবর, শিবসেনা ভেঙে যাওয়া এবং তৎপরবর্তী ঘটনার জন্য উদ্ধবকেই দায়ী করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লোভের কারণেই দলের একটা বড় অংশ তাঁর (উদ্ধব ঠাকরে) বিরুদ্ধে চলে যায়। তার জেরেই পতন হয় ঠাকরের নেতৃত্বে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের। নয়া সরকার গড়েন শিন্ডে। এদিন শাহ বলেন, উদ্ধব ঠাকরে কেবল বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেননি, তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতি এবং মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : এবার ভাঙন শিবসেনা পরিবারে, শিন্ডে শিবিরে উদ্ধবের ভাইপোও!

    শাহের মতে, ক্ষমতার লোভের কারণেই তাঁর দল সংকুচিত হয়েছে, বিজেপির জন্য নয়। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ আমি আবারও বলতে চাই, আমরা উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর কোনও প্রতিশ্রুতি কখনও দিইনি। আমরা খোলাখুলি রাজনীতি করি, বন্ধ ঘরের মধ্যে নয়। এর পরেই শাহ ঘোষণা করেন, রাজনীতিতে যাঁরা প্রতারণা করেন, তাঁরা অবশ্যই শাস্তি পাবেন। মহারাষ্ট্র পুরসভা নির্বাচনে ১৫০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। দেশের ধনীতম পুরসভা হল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। সেখানেই নির্বাচন। শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গাইডেন্সে বিজেপি এবং আসল শিবসেনা জোট বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচনে লড়ে ১৫০ আসনে জয়ী হবে। মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন জনতা। উদ্ধব ঠাকরের দলের সঙ্গে তাঁরা নেই। কারণ তিনি নীতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Yakub Memon: ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    Yakub Memon: ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই বোমা হামলার দায়ে ফাঁসি হয়েছে ডি কোম্পানির (D Company) অন্যতম মাথা ইয়াকুব মেমনের (Yakub Memon)। পরে কবরস্থ করা হয় দেহ। অভিযোগ, সেই ইয়াকুবের কবরের সৌন্দর্যায়ন (Beautification) করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) উদ্ধব ঠাকরের আমলে। এবার সেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল মহারাষ্ট্রেরই একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) সরকার।

    ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ২৫৭ জন। ওই ঘটনায় অন্যতম চক্রী ছিল ইয়াকুব। ঘটনার পরে পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে কার্যকর করা হয় তার প্রাণদণ্ডের আদেশ। তার আগে দু দুবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল সে। দুবারই খারিজ হয়ে যায় তার প্রাণভিক্ষার আবেদন। এহেন কুখ্যাত ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। জানা গিয়েছে, এজন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।

    দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারেই ঢাকা ছিল ইয়াকুবের কবর। মাস কয়েক আগে কবরস্থান সাজানো হয় এলইডি লাইট দিয়ে। বিজেপির অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের আমলেই করবের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই খুলে ফেলা হয়েছে আলো। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিধায়ক রাম কদম বলেন, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আমলেই ইয়াকুবের কবর স্থানকে স্মৃতিসৌধে পরিণত করা হয়েছে। এই ইয়াকুব মেমনই পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কি তাঁদের (ঠাকরে সরকারের) মুম্বইয়ের প্রতি ভালবাসা? এটাই কী তাঁদের দেশপ্রেম? তাঁর দাবি, উদ্ধব ঠাকরের পাশাপাশি রাহুল গান্ধী এবং শরদ পাওয়ারেরও মুম্বইবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন : শিন্ডেতেই ‘আস্থা’ মহারাষ্ট্রের! শিবসেনার পরিষদীয় নেতাও একনাথ

    বিজেপি নেতারা ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়নের কাজ নিয়ে হইচই করতেই পুলিশ দ্রুত এলইডি লাইট খুলে নেয়। ডিসিপি স্তরের অফিসার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, কবর সৌন্দর্যায়নের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে চিঠি দিয়েছেন শিবসেনা বিধায়করাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Tharoor Slams US Anchor: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের  

    Tharoor Slams US Anchor: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি, মার্কিন অ্যাঙ্করকে মোক্ষম জবাব শশী থারুরের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সুখ্যাতি করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের অ্যাঙ্কর (Anchor)। তার মোক্ষম জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor) সহ বেশ কয়েকজন।

    ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের অ্যাঙ্কর। তাঁর দাবি, ব্রিটিশ শাসনকালেই ভারতের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। ফক্স নিউজের ওই অ্যাঙ্করের নাম টাকার কার্লসন। তিনি বলেছিলেন, ব্রিটিশ জমানার আগে ভারতে কোনও চোখ ধাঁধানো স্থাপত্য গড়ে ওঠেনি। তাঁর মন্তব্যকে বর্ণবাদী এবং চরমভাবে অজ্ঞাত আখ্যা দিয়েছেন বহু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন টেনিস তারক মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাও।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হবে ভারত! বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা

    অনুষ্ঠানের নাম ছিল টাকার কার্লসন টুনাইট। ওই অনুষ্ঠানের অ্যাঙ্কর ভারতে ব্রিটিশ শাসন কালের প্রশংসা করার পাশাপাশি ওই শাসনকালকে তিনি কেবল গণহত্যার চেয়েও ঢের বেশি কিছু বলে মন্তব্য করেন। কার্লসনের একটি ট্যুইট বার্তা ভাইরাল হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শক্তিশালী দেশগুলি দুর্বল দেশগুলিকে দমিয়ে রাখে। এই ধারা একটুও বদলায়নি। অন্তত ইংরেজরা তাদের ঔপনিবেশিক দায়িত্ব পালন করেছিল ঠিকঠাকভাবে। তিনি বলেন, আমরা (আমেরিকা) আফগানিস্তান ছেড়ছি, এয়ারস্ট্রিপ ছেড়েছি, অস্ত্র ছেড়েছি এবং বন্দুকও।

    যখন ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে গেল, তখন রেখে গেলে একটা সভ্যতা, ভাষা, লিগ্যাল সিস্টেম, স্কুল, চার্চ, পাবলিক বিল্ডিং, এখনও পর্যন্ত যা কিছু রয়েছে। এর পরেই শুরু হয় ট্যুইটার যুদ্ধ। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর লেখেন, আমার মনে হয় ট্যুইটারের একটি অপশন আছে কোনওকিছু দাপিয়ে রাখতে, যখন তুমি কোনও প্রতিক্রিয়া না দাও। এখন আমি নিজেকে শান্ত রাখব। এর পরেই তিনি দুটো রাগত মুখের ইমোজি দিয়েছেন। আমেরিকার ওই অ্যাঙ্করকে শশী থারুরেরই ‘ইনগ্লোরিয়াস এম্পায়ার’ বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন নাভ্রাতিলোভা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share