Author: Krishnendu Bakshi

  • Dumka Murder: জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগেও অঙ্কিতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল শাহরুখ?

    Dumka Murder: জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগেও অঙ্কিতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল শাহরুখ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুমকার (Dumka) কিশোরী ছাত্রী অঙ্কিতা সিংকে (Ankita Singh) জীবন্ত পুড়িয়ে মারার দিন কয়েক আগে তার বাড়ির জানালা ভেঙেছিল অভিযুক্ত উত্যক্তকারী (Stalker) শাহরুখ (Shahrukh)। সেই সময় তার ভাই সলমান অঙ্কিতার পরিবারের কাছে এসে ক্ষমাও চেয়েছিল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করতে অনুরোধও করেছিল।    

    ২২ অগাস্ট রাতে দুমকার জারুয়াডি কসবার ঘরে ঘুমোচ্ছিল বছর ষোলোর অঙ্কিতা সিং। অভিযোগ, বছর ২৩ শাহরুখ হুসেন গভীর রাতে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছুড়ে দেয় ওই কিশোরীর গায়ে। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২৮ অগাস্ট মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। শাহরুখের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাতেই ওই কিশোরীর এহেন পরিণতি বলে দাবি অঙ্কিতার পরিবারের।

    জানা গিয়েছে, অঙ্কিতার চরম পরিণতির দিন পাঁচেক আগে তার বাড়িতে এসেছিলেন শাহরুখ। এনিয়ে তার সঙ্গে অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যদের ঝগড়াও হয়। তখনই রাগের বশে সে জানালার কাচ ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। তার পরেই সলমান তাঁর মামাকে নিয়ে অঙ্কিতার বাড়িতে আসে। দাদার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চায়। থানায় অভিযোগ দায়ের না করতে অনুরোধ করে। অঙ্কিতার কাকার আক্ষেপ, আমরা যদি তখনই ব্যবস্থা নিতাম, তাহলে অঙ্কিতার এই পরিণতি হত না। ঘটনাটিকে লাভ জিহাদ আখ্যা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিও জানানো হয়েছে। মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত বিচারের।

    আরও পড়ুন :‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার

    এদিকে, শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্কা কানুনগো জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে এই সপ্তাহেই তিনি যাবেন দুমকা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে চিঠি লিখেছে জাতীয় মহিলা কমশন। দুমকার শিশু কল্যাণ কমিটির দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী অঙ্কিতার বয়স ১৬, যদিও পুলিশ দাবি করছে, সে প্রাপ্ত বয়স্ক। অন্যদিকে, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে পুলিশকে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট (Jharkhand High Court)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress President Poll: ভোটে অংশ নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের জি-২৩!

    Congress President Poll: ভোটে অংশ নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের জি-২৩!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে (Congress President Poll) লড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের (Congress) বিক্ষুব্ধ অংশ জি-২৩ (G-23)। অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা ওই পদে। গত রবিবারই বৈঠকে বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (Congress Working Committee)। সেখানেই ঠিক হয় প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে হবে অক্টোবরে।    

    দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই পদে বসানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। ভোটে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে সোনিয়া গান্ধীর দল। হারের দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণে তিনি আর দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুলও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে নির্বাচনী নোটিফিকেশন জারি করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে। চলবে ওই মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। ৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট হলে হবে ১৭ তারিখ সকাল ১০ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৯ তারিখে। 

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ অংশ যারা জি-২৩ নামে পরিচিত, আগামী সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছেন তাঁরা। সেখানেই ভোটে লড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জি-২৩ এর এক নেতা বলেন, আমরা দেখব এটা প্রকৃত নির্বাচন নাকি সাজানো। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে ভোটার তালিকা খুঁটিয়ে দেখব। যদি সাজানো হয়, তাহলে ভোটে অংশ নেওয়ার কোনও মানে হয় না। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান রয়েছেন জি-২৩ শিবিরে। তিনি বলেন, দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চেয়ে দু বছর আগে আমরা চিঠি লিখেছিলাম সোনিয়া গান্ধীকে। তাই ভোটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র কোনও একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণবন্ততার প্রতীক। ইদানিং সব ক্ষেত্রে পার্টি হারছে। দলের অভ্যন্তরে ভোট হয়নি, মনোনীত কয়েকজন অফিস বেয়ারারই সব সিদ্ধন্ত নিচ্ছেন। জি-২৩ এর এক নেতা বলেন, কংগ্রেসের সব পদের ক্ষেত্রে নির্বাচন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেবল পার্টির প্রেসিডেন্ট নয়, পার্টির নিচুতলায় নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচনে অংশ নিলে ভুল কী হবে? এটা তো গণতন্ত্র!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: মুসলিমদের বহুবিবাহ, নিকাহ হালালা কি বৈধ? মানবাধিকার কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের (Muslims) মধ্যে বহুবিবাহ (Polygamy) ও নিকাহ হালালা (Nikah Halala) প্রথা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালার সাংবিধানিক বৈধতার বিষয়ে আবেদন জমা পড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। তার পরেই আদালতের তরফে ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ওই তিন কমিশনের মতামত জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছে। ইন্দিরা ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত, সূর্য কান্ত, এমএম সুন্দ্রেশ এবং শুধাংশু ঢুলিয়া। প্রসঙ্গত, বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মুসলিম সমাজে প্রচলিত বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালালা অসাংবিধানিক তো বটেই, অবৈধও। দশেরা উৎসবের পরে ফের হবে এই মামলার শুনানি। 

    ২০১৮ সালের জুলাই মাসে গঠিত হয় এই সাংবিধানিক বেঞ্চ। তার পরেই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই বেঞ্চে। সেখানেই চলছে শুনানি। দেশের শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে কেন্দ্রকেও একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। ফারজানা নামের এক মহিলা আবেদনকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ফারজানা তাঁর আবেদনে অশ্বিনীকে ট্যাগ করেছিলেন। আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী সওয়াল জবাবে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় বিচার-বহির্ভুত তালাক নিষ্ঠুর, আইপিসির ৩৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী নিকাহ হালালা অপরাধ এবং ৪৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী বহুবিবাহ ফৌজদারি অপরাধ। 

    আরও পড়ুন : স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
    ২০১৭ সালের ২২ অগাস্ট দেশের শীর্ষ আদালত তিন তালাক নিষিদ্ধ করে। আর বহুবিবাহ এবং নিকাহ হালারা বৈধতা বিচারের জন্য মামলাটি পাঠায় বৃহত্তর বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, মুসলিম বহু বিবাহ রীতি অনুযায়ী, একজন মুসলমান পুরুষ চারটি স্ত্রী রাখতে পারেন। আর নিকাহ হালালা হল, কোনও ডিভোর্সি মুসলিম মহিলাকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরতে হলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করতে হবে। তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে ফের বিয়ে করতে হবে প্রথম স্বামীকে। এই দুই প্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অশ্বিনী। দায়ের হয়েছে মামলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka High Court: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র, কর্নাটকের হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে হবে গণেশ উৎসব  

    Karnataka High Court: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র, কর্নাটকের হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে হবে গণেশ উৎসব  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতের শুনানিতে মিলল ছাড়পত্র। হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে (Hubbali Eidgah Ground) গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) উৎসব পালনের অনুমতি দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnatak High Court)। মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট মধ্য রাতে কর্নাটক হাইকোর্টের ধরওয়াড বেঞ্চে হয় ওই মামলার শুনানি। তার পরেই মেলে উৎসব পালনের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র। হাইকোর্টের রায়ে প্রত্যাশিতভাবেই খুশি উৎসবের আয়োজকরা।

    তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন সকালেই মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। বেঙ্গালুরুর ছামারাজপেট এলাকার ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উৎসব পালনের অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক আবেদনকারী। সরকারি আদেশ বাতিল করে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। গত দুশো বছর ধরে বজায় রয়েছে এই স্থিতাবস্থা।

    ধরওয়াড বেঞ্চের সিঙ্গল-জাজ বেঞ্চের বিচারক অশোক কিনাগি জানিয়ে দেয়, হুব্বালি মামলা ছিল আলাদা। কারণ সেখানে জমির মালিকানা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ছিল না। ওই জমির মালিকানা হুব্বালি ধরওয়াদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের। সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতে পেয়ে আঞ্জুমান-ই-ইসলামের তরফে ধরওয়াদ বেঞ্চের সামনে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়। তাতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় হুব্বালি ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উৎসব পালনের যে অনুমতি দিয়েছিল পুরসভা কর্তৃপক্ষ, তাকে।

    আরও পড়ুন : জামাতের অনুমতি পেলেই গণেশ পুজো! নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মধ্য রাতের রায়ে হাইকোর্ট উল্লেখ করে, হুব্বালি ধরওয়াদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ওই জমির মালিক। জমিটি আঞ্জুমান-ই-ইসলামকে ৯৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। তাই জমির অধিকার এখনও রয়েছে কর্পোরেশনের হাতেই। যাঁরা জমিটি দখল করে রয়েছেন, তাঁরা বছরে মাত্র দুদিন প্রার্থনা করেন, একটি রমজানের সময়, অন্যটি বকরি ইদের সময়। বিচারপতি কিনাগি বলেন, এই দিনগুলিতে হস্তক্ষেপ করা হবে না। কিন্তু এই দু দিন ছাড়া আদালত আদেশ দিচ্ছে, জমিটি নিয়ে কর্পোরেশন যা খুশি করতে পারে। যেহেতু হুব্বালি জমির মালিকানা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই, তাই দেশের শীর্ষ আদালতের রায় এই ক্ষেত্রে খাটে না। আদালতে রায়ে খুশি ওই ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থী উৎসবের আয়োজকরা। শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধ করা হয়েছে মাঠ। মাঠ পরীক্ষা করেছে বম্ব স্কোয়াড। উড়েছে ড্রোন। তার পরেই বসানো হয় প্রতিমা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan Flood: বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?  

    Pakistan Flood: বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার (Flood) কবলে পাকিস্তান (Pakistan)। মৃতের সংখ্যা হাজার পার। ঘরছাড়া বহু মানুষ। শাহবাজ শরিফের দেশের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত (India)। পাকিস্তানের মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্যা পরিস্থিতিতে ভয়াবহ খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে। এমতাবস্থায় ভারত থেকে সবজি আমদানির কথা ভাবছে পাকিস্তান।

    ইমরান খানের (Imran Khan) সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের কুর্সিতে বসেছেন শাহবাজ শরিফ। তার পর থেকে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে দেশটি। এমতাবস্থায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো চলে এসেছে সপ্তাহভর বর্ষণের জেরে ভয়াল বন্যা। প্রবল বন্যায় বহু মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রাণহানি হয়েছে বহু অবোলা পশুরও। দেশের বাকি অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন খাইবার পাখতুন প্রদেশের হাজার হাজার বাসিন্দা। বিপদে পড়া দেশটিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক ও আরব আমিরশাহি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারও। ভেসে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ বিঘের খেতের ফসল। প্রত্যাশিতভাবেই দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জানান, ভারত থেকে শুল্কমুক্ত শাক-সবজি আনার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান। কেবল আনাজ নয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীও নিয়ে আসার পরকল্পনা করছে সরকার। তিনি জানান, মুদ্রাস্ফীতির যাতে ক্ষতিকারক প্রভাব না পড়ে তাই এই পরিকল্পনা। সরকারের এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে সে দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন। তবে তারা এও জানিয়েছে, ভারত থেকে কেবল কাঁচামালই আমদানি করা হোক, অন্য কিছু নয়।

    আরও পড়ুন : ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, শুল্কমুক্ত সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। তাঁর মতে, প্রয়োজনে সরকার ভারত থেকে স্থলপথে সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করবে। দেশ বন্যার কবলে পড়ায় দু দিনের মধ্যে পেঁয়াজ এবং টমাটোর দাম এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকগুণ।

    সরকারের এই পরিকল্পনায় উচ্ছ্বসিত লাহোর ব্যবসায়িক সংগঠন। লাহোর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মিঞা নৌমান কবীর বলেন, ভারত থেকে সবজি আমদানি শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশাবাদী আমরা। আমদানি শুরু হলেই দেশের বাজারে টমাটো, পেঁয়াজ সহ অন্যান্য সবজির দাম কমবে। তিনি বলেন, তবে কেবল সবজি আমদানি করা হলেই ভাল, টমাটো কেচাপের মতো অন্য কোনও ফিনিশড প্রোডাক্ট নয়।

    এদিকে, সূত্রের খবর, ভারতের শীর্ষস্তরে এনিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suicide over Beef: খুনের হুমকি দিয়ে গোমাংস খাইয়েছিলেন স্ত্রী, আত্মঘাতী হিন্দু যুবক

    Suicide over Beef: খুনের হুমকি দিয়ে গোমাংস খাইয়েছিলেন স্ত্রী, আত্মঘাতী হিন্দু যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) যুবককে জোর করে গোমাংস (Beef) খেতে বাধ্য করেছিলেন তাঁর মুসলিম (Muslim) স্ত্রী ও তার ভাই। অভিযোগ, তার পরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই যুবক। জুন মাসে মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখে গিয়েছিলেন সুইসাইড নোট (Suicide Note)। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই নোট। তার পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গুজরাটের (Gujrat) সুরাট (Surat) পুলিশ।

    সুরাটের রোহিত প্রতাপ সিং। তিনি বিয়ে করেছিলেন এক মুসলিম মহিলাকে। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী ও তার ভাই জোর করে রোহিতকে গোমাংস খাওয়ায়। এর পরেই রোহিত ফেসবুকে সুইসাইড নোট আপলোড করেন। পরে গলায় দড়ি দিয়ে হন আত্মঘাতী। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ফেসবুকের ওই পোস্ট। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত ওই যুবকের দাবি, গোমাংস খেতে অস্বীকার করায় তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ফেসবুকে দেওয়া সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর কারণ আমার স্ত্রী সোনম আলি ও তার ভাই আখতার আলি। আমার সমস্ত বন্ধুদের অনুরোধ আমি যেন বিচার পাই। আমাকে খুন করার হুমকি দিয়ে গোমাংস খাওয়ানো হয়েছিল। আমি আর এ পৃথিবীতে বাঁচতে চাই না। সেই কারণে আমি আত্মহত্যা করছি। ঘটনার দু মাস পরে সুইসাইড নোটের কথা জানতে পারেন রোহিতের আত্মীয়রা। তার পরেই তাঁরা যোগাযোগ করেন সুরাট পুলিশের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    জানা গিয়েছে, সুরাটের একটি কারখানায় এক সঙ্গে কাজ করতেন রোহিত ও সোনম। পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন দুজনে। সোনম ভিন ধর্মের হওয়ায় রোহিতের পরিবার এতে বাধ সাধে। সোনমকে বিয়ে করলে তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলেও ভয় দেখায় রোহিতের পরিবার। তার পরেও রোহিত সোনমকে বিয়ে করে এবং তার সঙ্গেই থাকতে শুরু করে। যদিও পরিবারের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্কই ছিল না রোহিতের। সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসার পর সোনম ও আখতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রোহিতের মা বীণা দেবী। তাঁর ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Congress: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে, আড়ে বহরে বাড়ছে আজাদ শিবির!

    Congress: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে, আড়ে বহরে বাড়ছে আজাদ শিবির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) কংগ্রেসে (Congress)!

    দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থানের জন্য  শুক্রবার কংগ্রেস ছেড়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)। নয়া দল গড়ার পরিকল্পনাও করেছেন তিনি। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার আজাদের সমর্থনে কংগ্রেস ছাড়লেন জম্মু-কাশ্মীরের ৬০ জনেরও বেশি নেতা। প্রত্যাশিতভাবেই ভূস্বর্গে ফের একবার জোর ধাক্কা খেল সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল।

    কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠী জি-২৩ (G-23) হিসেবে পরিচিত। এই জি-২৩ এর সদস্য ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। দলে গণতন্ত্রের দাবিতে সরব হয়েছিলেন জি-২৩ এর নেতারা। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মনান্তরের জেরে সম্প্রতি দল ছাড়েন জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সমর্থনে এদিন দল ছাড়লেন উপত্যকার এই ৬০ জন নেতাও। যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে আজাদ শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদও। কংগ্রেস আমলে মন্ত্রী এবং বিধায়ক ছিলেন এমন অনেক নেতাও দল ছেড়েছেন এদিন।

    গণইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ৬৪ জন। এদিন এই ইস্তফাপত্র পাঠ করে শুনিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের বলবন সিং। তাতে বলা হয়েছে, কংগ্রেসে এই মুহূর্তে চলছে নেতৃত্বের সংকট। দল চলছে অগোছালভাবে। কয়েক দশক ধরে আমরা পার্টির সঙ্গে ছিলাম। জম্মু-কাশ্মীরে দলীয় সংগঠনের ভিত শক্ত করতে আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি এবং সম্পদ ব্যয় করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা দেখলাম  আমাদের অপমান করা হচ্ছে। ইস্তফাপত্রে এও বলা হয়েছে, আমাদের নেতা এবং অভিভাবক গুলাম নবি আজাদ দিন কয়েক আগে আপনাকে (সোনিয়া) চিঠি লিখে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদেরও কংগ্রেস ছেড়ে বেরনোর সময় হয়েছে। একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক সমাজ গঠনের জন্যই এটা প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন : ভোটে অংশ নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের জি-২৩!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের আগে সোমবারও কংগ্রেস ছেড়েছিলেন চার নেতা। এর মধ্যে জম্ম-কাশ্মীর বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকারও রয়েছেন। দিনের পর দিন আজাদ শিবিরে যে ভিড় বাড়ছে, তারও আঁচ মিলেছে এদিন। একটা বিরাট সংখ্যক পঞ্চায়েত এবং পার্টি কর্মী কংগ্রেস ছেড়ে আজাদ শিবিরে নাম লেখাবেন বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। আজাদেরও দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কংগ্রেসের ৯৫ শতাংশ পঞ্চায়েত এবং ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল সদস্য। জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রধান বিকার রসুল (Vikar Rasool) বলেন, যাঁরা কংগ্রেস ছেড়েছেন, আমরা তাঁদের ছাঁট বলেই মনে করি। নয়া দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দলে নতুন মুখ নিয়ে আসব আমরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dumka Murder: আদালতের নির্দেশে দুমকায় মৃত অঙ্কিতার নমুনা গেল ফরেনসিকে

    Dumka Murder: আদালতের নির্দেশে দুমকায় মৃত অঙ্কিতার নমুনা গেল ফরেনসিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুমকায় (Dumka) উত্যক্তকারী (Stalker) যুবকের হাতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকা ছাত্রী অঙ্কিতা সিংয়ের (Ankita Singh)। এবার ওই ঘটনায় রাঁচির (Ranchi) ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (Forensic Science Laboratory)  পাঠানোর জন্য মৃতের পুড়ে যাওয়া পোশাকের টুকরো (Burnt Clothes) কিংবা অন্য কোনও নমুনা পাঠানোর নির্দেশ দিল স্পেশাল পকসো (POCSO) আদালত। বুধবার বিশেষ এই আদালত অভিযুক্ত দুই যুবককে ৭২ ঘণ্টার জন্য পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের জন্য ধৃতদের জেরা করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ঝাড়খণ্ড পুলিশ ইতিমধ্যেই এই মামলায় পকসো ধারা যুক্ত করেছে।

    প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দুমকার অঙ্কিতা সিং নামে এক নাবালিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে শাহরুখ হুসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বছর তেইশের শাহরুখ গভীর রাতে জানালা দিয়ে পেট্রোল ছুড়ে দেয় ওই কিশোরীর গায়ে। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২৮ অগাস্ট মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। ওই ঘটনায় পুলিশ শাহরুখের পাশাপাশি গ্রেফতার করে নইম খান ওরফে ছোট্টু নামেও একজনকে। জানা গিয়েছে, পুলিশ প্রথমে ওই কিশোরীর বয়স ১৯ বলে রেকর্ড করে। পরে অবশ্য ভ্রম সংশোধন করে করা হয় ১৫। ঝাড়খণ্ড শিশু কল্যাণ কমিটি এফআইআরে অতিরিক্ত ধারা যোগ করে মামলা দায়ের করতে বলেছিল। তারা এও জানিয়েছিল, অঙ্কিতার মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী সে নাবালিকা, যদিও পুলিশের দাবি অঙ্কিতা নাবালিকা নয়, প্রাপ্তবয়স্ক। ঘটনার জেরে সরব হয়েছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরবও হয় তারা।

    আরও পড়ুন : ‘‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো, নইলে…!’’ হুমকি দিয়েছিল উত্যক্তকারী, দাবি নিহত কিশোরীর বাবার

    অঙ্কিতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদও। পরিষদের তরফে অভিযুক্তের ফাঁসির সাজার দাবিও জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে লাভ জিহাদ আখ্যা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Pakistan Flood: বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    Pakistan Flood: বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াল বন্যায় (Flood) বিপর্যস্ত পাকিস্তানের (Pakistan) একটা বিরাট অংশ। মৃতের সংখ্যা হাজার পার। এমতাবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বন্যায় মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এহেন আবহে ফের কাশ্মীর (Kashmir) ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)।

    দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ভয়াল বন্যায় শাহবাজ শরিফের দেশ। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমানের মতে এই দশকের ভয়ঙ্কর বন্যা এটি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। জানা গিয়েছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৬ জন। জখম হয়েছেন ১ হাজার ৬৩৪ জন। প্রচুর বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য, পানীয় জলের সংকট। প্রাণ হারিয়েছে সাত লক্ষেরও বেশি প্রাণী। সপ্তাহভর টানা বৃষ্টির জেরে ধুয়ে গিয়েছে জমির ফসল। এমতাবস্থায় ভারত থেকে আনাজ আমদানির কথা ভাবছে পাক প্রশাসন। এদিকে, মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট বার্তায় তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, পাকিস্তান দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। এর পরে পরেই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, ভারত থেকে আনাজ এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় এসব আমদানি করা হবে।

    আরও পড়ুন : বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?

    এর পরেই ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর থেকে রদ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। ফের একবার তার কড়া সমালোচনা করেন শাহবাজ। কূটনৈতিক মহলের মতে, এছাড়া শাহবাজের কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না। কারণ রাজনীতিতে তাঁর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশীয় রাজনীতির বাধ্যবাধ্যকতাও রয়েছে। সেই কারণেই ভয়াল বন্যার পরিস্থিতিতেও কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছেন শাহবাজ। এদিকে, ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের তরফে কোনও বন্যাত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়নি। তবে ঘরোয়া রাজনীতিতে ছাপ ফেলতেই শাহবাজ কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress President Poll: কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    Congress President Poll: কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি পদে (Congress President Poll) নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অন্তত একটি সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। যদি তা হয়, তাহলে গান্ধী (Gandhi) পরিবারের কোনও সদস্য কিংবা ওই পরিবারের কোনও মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন থারুর। যদিও এ ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি থারুর।

    বছর দুয়েক ধরে খালি পড়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ।  উনিশের ভোটের আগে ওই পদে বসানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। ভোটে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। হারের দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণে তিনি আর দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুলও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে ওই পদে।

    সূত্রের খবর, ওই পদে লড়তে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর। যদিও তিনি বলেন, কিছুদিন অপেক্ষা করা যাক। কেবল থারুর নন, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানও প্রার্থী হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের একটা অংশ এখনও রাহুল গান্ধীকে ওই পদে বসানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও রাহুল রাজি নন। তিনি রাজি না হলে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলট প্রার্থী হতে পারেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ, যারা জি-২৩ নামে পরিচিত।

    আরও পড়ুন : রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    থারুর বলেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেবল তখনই আমি আপনাদের ব্যাখ্যা দিতে পারব। এখনই মন্তব্য করার জায়গায় আমি নেই। তিনি বলেন, আমি প্রার্থী হচ্ছি কিনা, তা এখনই বলব না। শুধু বলব, একটি গণতান্ত্রিক দলে নির্বাচন সব সময়ই ভাল। থারুরের প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটে যে কেউই লড়তে পারেন। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি পদে শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। যদিও সোনিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share