Author: Krishnendu Bakshi

  • Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে পুজোয় অনুদান! দুর্নীতিকে আড়াল নাকি নজরে পঞ্চায়েত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বা ডিএ (Dearness Allowance)। ২০ মে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই সময়সীমার আড়াই মাসের মাথায় নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal Govt.)।

    ডিএ (DA) নিয়ে টালবাহানার এই আবহে দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2022) দেড়মাস আগে রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এহেন সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর। 

    গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ হাজার করে টাকা। এবার অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেবল অনুদান বাবদ যে টাকা দেওয়া হবে পুজো কমিটিগুলিকে, তার পরিমাণ ২৪০ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

    সরকারের এহেন ‘অনুদান’-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মামলাকারীদের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মীদের ডিএ না দিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন? কেন বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত? যেখানে বহু মানুষ এখনও খাবার, বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎ, ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে কেন এই খয়রাতি? কোন বৃহত্তর স্বার্থে লাগবে এই অনুদান?

    আরও পড়ুন : কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩১ শতাংশ। পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদানের সিদ্ধান্তে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা বলছেন, এই গরু চুরির টাকায় পুজোর অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই চুরির টাকায় কতজন মানুষ পুজো করবে বা দেখতে আসবেন, তা ঈশ্বরই জানেন।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Elections)। সেই কারণে দরাজ হস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। অন্য একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে দলের হেভিওয়েট দুই নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার জেরে মুখ পুড়েছে তৃণমূল সরকারের (TMC Government)। সেদিক থেকে রাজ্যবাসীর অভিমুখ ঘোরাতেই অনুদানের সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    HC on Shaheen Bagh: শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিল পিএফআই-এসডিপিআই! আদালতকে জানাল দিল্লি পুলিশ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) যে আন্দোলন হয়েছিল তা কোনও স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ছিল না। ছিল সংগঠিত। নিরপেক্ষ আন্দোলনও ছিল না। তার নেপথ্যে ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টকে (Delhi High Court) পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) ও সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (SDPI)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে একথাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগ এবং স্থানীয় লোকজনও ওই আন্দোলন সমর্থন করেননি। পুলিশ এও জানিয়েছে, প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে বিভিন্ন এলাকায় লোকজনও পাঠানো হয়েছিল।

    নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে এই আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ এলাকা। ওই মামলায় নাম জড়ায় দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খলিদের। ওই মামলায় আপাতত বন্দি রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে। উমরের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে পুলিশ আদালতে বেশ কিছু নথিপত্র জমা দিয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্টকে একথা জানায় দিল্লি পুলিশ।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রজনীশ ভাটনগরের বেঞ্চে চলছে ওই মামলার শুনানি। এদিন সেখানেই স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ বলেন, শাহিনবাগে যা হয়েছিল, তাকে সংগঠিত প্রতিবাদী আন্দোলন হিসেবে দেখানো হয়েছিল। তবে এটা তা ছিল না। এটা এমন পরিস্থিতি ছিল না, যখন আচমকাই লোকজন শাহিনবাগে চলে আসে…এই প্রতিবাদী ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ এও জানিয়েছে, শাহিনবাগের অন্যতম প্রতিবাদী দাদিও ছিলেন না এর পিছনে। শাহিনবাগের নেপথ্যে ছিলে বিভিন্ন মানুষ এবং সংগঠনের অ্যালায়েন্স। শাহিনবাগের আন্দোলন কোনও নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল না।

    স্পেশাল প্রসিকিউটর এদিন আদালতে চ্যাট মেসেজ দেখান। আন্দোলন চলাকালীন ওই মেসেজ চালাচালি হয়েছিল। এর মধ্যে অভিযুক্তরাও রয়েছে। তারাই খেপিয়েছিল জনতাকে। জড়ো করেছিল লোকজনকে। তাদের সমর্থন জানিয়েছিল। তিনি জানান, শাহিনবাগের আন্দোলনের পিছনে ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া। আমি প্রথম দিনই বলেছিলাম, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। মূল চক্রীরা দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান দুই ছিল। একটি দৃশ্যমান উপকরণ হল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ অগাস্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Chamundeshwari Idol: বিশ্বের উচ্চতম চামুণ্ডেশ্বরী মূর্তি তৈরি করলেন মুসলমান শিল্পী! 

    Chamundeshwari Idol: বিশ্বের উচ্চতম চামুণ্ডেশ্বরী মূর্তি তৈরি করলেন মুসলমান শিল্পী! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চামুণ্ডেশ্বরীর মূর্তি (Chamundeshwari Idol) তৈরি করলেন মুসলমান (Muslim) শিল্পী! বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি এটি। কর্নাটকের (Karnataka) রামনগরের চামুণ্ডেশ্বরী মূর্তি দেখতে দলে দলে ভিড় করছেন দেশ বিদেশের দর্শনার্থীরা। এই রাজ্যেরেই মাইসুরুতেও রয়েছে অন্য একটি চামুণ্ডী মন্দিরও। রামনগরের এই মন্দির দেখে তাঁদের অনেকেই চলে যাচ্ছেন মাইসুরুতে, দেব দর্শনে।    

    দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝে মধ্যেই হয় হিন্দু-মুসলিম হিংসা। তবে ব্যতিক্রম রামনগরের এই চামুণ্ডেশ্বরীর মন্দির। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বিজি মলেশ বলেন, এই মন্দিরের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল বিশ্বের সব চেয়ে উঁচু চামুণ্ডী মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। হিন্দুর আরাধ্যা এই দেবীর মূর্তিটি তৈরি হয়েছে বেঙ্গালুরুর এক মুসলিম শিল্পীর তত্ত্বাবধানে। তিনি বলেন, মুসলমান শিল্পী মুজ্জামিল খানের নেতৃত্বে ২০ জন কারিগর পাঁচলোহার এই মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন। এখানে দেবী অষ্টাদশভুজা। মূর্তিটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল তিন বছর। জানা গিয়েছে, রামনগর ও তার সন্নিহিত এলাকার লোকজন পুরানো ধাতু দিয়েছিল মূর্তি নির্মাণের জন্য। এর মধ্যে কী না ছিল! পুরানো তামার গামলা, ব্রোঞ্জের পাত্র, পুরানো বয়লার, ভাঙা ধাতুর ল্যাম্প এবং অব্যবহৃত জিনিসপত্র। এর মধ্যে ছিল অ্যালুমিনিয়ামও। সোনা, রুপোও ব্যবহার করা হয়েছে মূর্তি তৈরিতে। প্রধান পুরোহিত বলেন, মূর্তি নির্মাণে সব মিলিয়ে ৩৬ টন মিশ্র ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন কাজ করলেও ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট টোল খায়নি এতটুকুও। প্রধান পুরোহিত বলেন, তাঁরা জানতেন, তাঁরা মন্দির নির্মাণের কাজ করছেন। মূর্তি নির্মাণের সময়সীমার পুরো সময়টা তাঁরা নিরামিষ খাবার খেয়েছেন। আমিষ খাবারের খোঁজে বাইরে যেতেন না। তাঁদের ধর্মীয় উৎসবের সময় তাঁরা দিন কয়েকের জন্য চলে যেতেন বটে, পরে ফিরে স্নান করে শুরু করতেন মূর্তি নির্মাণের কাজ। এই তিন বছর তাঁরা ধূমপান করেননি। স্পর্শ করেননি মদও। মুজ্জামিল বলেন, প্রথমে মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়। পরে মূর্তি যাতে নিখুঁত হয়, সেজন্য ফাইবার ব্যবহার করা হয়। পরে ফাইবার সরিয়ে ঢেলে দেওয়া হয় তরল মিশ্র ধাতু। মূর্তি তৈরির পরে করা হয় পালিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jammu Kashmir: বানচাল অনুপ্রবেশের চেষ্টা, কাশ্মীরে খতম ৩ পাক জঙ্গি, উদ্ধার সমরাস্ত্রও

    Jammu Kashmir: বানচাল অনুপ্রবেশের চেষ্টা, কাশ্মীরে খতম ৩ পাক জঙ্গি, উদ্ধার সমরাস্ত্রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনুপ্রবেশের (Infiltration) চেষ্টা বন্ধ করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বারমুলা জেলার উরি সেক্টরে অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তান (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বাধা দেয় সীমান্তে প্রহরারত জওয়ানরা। দু পক্ষে শুরু হয় গুলির লড়াই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন অনুপ্রবেশকারীর। উদ্ধার হয়েছে সমরাস্ত্রও।

    শ্রীনগরে থাকা ভারতীয় সেনার জনসংযোগ আধিকারিক কর্নেল এমরন মুসাভি জানান, উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরের কামালকোটের মাদিয়ান নানক পোস্ট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানের তিন জঙ্গি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে আগে থেকেই তৈরি ছিলেন জওয়ানরা। জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে ২৪ অগাস্ট বিকাল থেকেই তৈরি ছিলেন জওয়ানরা। সীমান্তরেখার বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। বৈদ্যুতিন নজরদারিও চালানো হচ্ছিল। ২৫ অগাস্ট সকাল ৭টা নাগাদ তিন জঙ্গির অনুপ্রবেশের চেষ্টা নজরে আসে।

    তিনি বলেন, ২৫ অগাস্ট সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণরেখার ভারতীয় প্রান্তে জঙ্গিদের রোখে ভারতীয় সেনা। সেখানে দু’ পক্ষের মধ্যে প্রবল গুলির লড়াই হয়। তখনই মৃত্যু হয় তিন পাক জঙ্গির। জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে ২টি একে রাইফেল, একটি চিনা এম-১৬ রাইফেল এবং বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মুসাভি বলেন, ভারতীয় সেনার সফল অপারেশনের জেরে তিন জঙ্গির মৃত্যু নয়, জঙ্গি অনুপ্রবেশের নেপথ্যে পাকিস্তানের মদতের দিকটিও উন্মোচিত হয়েছে। এই ঘটনায় সামনে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি নষ্ট করতে পাকিস্তানের মদতের বিষয়টিও।

    আরও পড়ুন : ফের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শহিদ তিন জওয়ান, নিকেশ দুই জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালেও পাক মদতপুষ্ট দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয় সীমান্তে। এই জঙ্গিরাও ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। সময় মতো ঘটনাটি প্রহরারত জওয়ানদের নজরে পড়ে যাওয়ায় ব্যর্থ হয় অনুপ্রবেশের চেষ্টা। উদ্ধার হয় দুই জঙ্গির দেহ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Supreme Court: ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    Supreme Court: ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি শুরু হবে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের (Constitution Bench) মামলার। ২৯ অগাস্ট ওই মামলাগুলির শুনানি শুরু হবে। এর মধ্যে রয়েছে বহু-বিবাহের বৈধতা, নিকাহ হালালা এবং মুসলিম বিবাহ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রথা (Muslim Marriage Practices)। এছাড়া, শুনানির তালিকায় রয়েছে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য আর্থিক সংরক্ষণ, হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসি (Whatsapp Privacy Policy), আঞ্চলিক আপিল কোর্ট (Regional Appeal court) প্রতিষ্ঠা, পাঞ্জাবের শিখদের সংখ্যালঘু মর্যাদাদান (Sikh Minority status) এবং ২০১৬ সালের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ মামলাও।

    সম্প্রতি এই মর্মে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত কর্তৃপক্ষের তরফে। তাতে বলা হয়েছে পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে শুরু হবে নানা মামলার শুনানি। জানা গিয়েছে, ১ অগাস্ট প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চে বিবেচনাধীন রয়েছে ৪৯২টি মামলা। তার মধ্যে ৫৩ মামলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলাগুলির শুনানি এখনও শেষ হয়নি। এই ৪৯২টি মামলার মধ্যে পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছে ৪১টি প্রধান মামলা। সাতজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিতে সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি হবে সাতটি প্রধান মামলা ও সেই সংক্রান্ত আরও আটটি মামলা। নজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি বকেয়া রয়েছে পাঁচটি প্রধান মামলা এবং সেই সংক্রান্ত ১৩০টি মামলার।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে বিভাজন রেখা প্রয়োজন, মত সুপ্রিম কোর্টের

    প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১৪৫ (৩) ধারা অনুযায়ী, সেসব মামলায় সংবিধানের ব্যাখ্যার প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে অন্তত পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে গড়তে হবে সাংবিধানিক বেঞ্চ। পরবর্তীকালে এই মামলাগুলি যাতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে, সেই কারণেই গঠন করতে হবে সাংবিধানিক বেঞ্চ। কারণ সাংবিধানিক বেঞ্চে এই সব মামলার শুনানির জেরে যে রায় ঘোষণা হবে, সেগুলির সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। নয়া অধিকার সম্পর্কে মন্তব্য এবং নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও ওই রায়গুলি কাজে লাগবে।

    ১৫ অগাস্ট প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেছিলেন, গত ১৬ মাসে আমরা শারীরিকভাবে আদালতে আসতে পেরেছি মাত্র ৫৫ দিন। আমি মনে করি এখন পরিস্থিতি বদলেছে। তাই আমাদের আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে মানুষের প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলছি প্রকৃতির শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া মামলা রয়েছে ৭১ হাজার ৪০০টি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • College Teachers Transfer: কলেজ শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা, জানুন কবে

    College Teachers Transfer: কলেজ শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা, জানুন কবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য অনলাইনে বদলির (On Line System) ব্যবস্থা চালু হয়েছে আগেই। এবার একই ধাঁচে অনলাইন বদলির ব্যবস্থা চালু হচ্ছে রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকদের জন্যও। শুক্রবার এ খবর জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি জানান, সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে শীঘ্রই বদলির আবেদন করতে পারবেন।

    এতদিন রাজ্যের স্কুল কিংবা কলেজের শিক্ষকদের বদলি নিতে গেলে ঝক্কি পোহাতে হত। পরে স্কুল শিক্ষকদের জন্য অনলাইন বদলি ব্যবস্থা চালু হয়। রাজ্য সরকারের তৈরি ওই পোর্টালের নাম দেওয়া হয় উৎসশ্রী। সেই পোর্টাল চালুর পরে অনলাইনে আবেদন করে নিজের জেলায় কিংবা বাড়ি থেকে স্বল্প দূরত্বের স্কুলগুলিতে বদলি হয়ে আসতে পারছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। সেই কারণেই হয়তো কোচবিহারের কোনও কলেজের শিক্ষক চাকরি করছেন কাকদ্বীপের কোনও কলেজে। দক্ষিণবঙ্গের কোনও শিক্ষককে হয়তো ঘরসংসার ছেড়ে যেতে উত্তরবঙ্গের কোনও কলেজে পড়াতে। এতদিন এ নিয়ে বারংবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা। তার পরেও টনক নড়েনি সরকারের।

    আরও পড়ুন : এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ, সেরা কলেজ মিরান্ডা হাউজ

    তবে ইদানিং একের পর এক কেলেঙ্কারির জেরে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। এর মধ্যে অন্যতম স্কুল শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই কলেজ শিক্ষকদের বদলির জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে বিষয়টিতে স্বচ্ছতা নিয়ে আসতে চাইছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত ৪৫০টি কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা। বর্তমানে বদলির জন্য কলেজ শিক্ষকদের আবেদন করতে হয় উচ্চ শিক্ষা দফতরের অফিসে। বিষয়টিতে সময় লাগে ঢের বেশি। কোন কলেজে কত শূন্যপদ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখেই নিতে হয় ব্যবস্থা। ব্রাত্য জানান, অনলাইল সিস্টেম চালু হলে এই সমস্যা দূর হবে। উপকৃত হবেন রাজ্যের সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছি আমরা। ব্যবস্থাটি চালু হলে যে কোনও শিক্ষক অনলাইনে শূন্যপদ দেখে পোস্টিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দু-তিন দিনের মধ্যেই আমরা এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করব, জানান ব্রাত্য।

    আরও পড়ুন : বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kerala High Court: বন্ধ করে দিন সমস্ত বেআইনি ধর্মীয় স্থান, ‘মসজিদ’ মামলায় রায় কেরল হাইকোর্টের

    Kerala High Court: বন্ধ করে দিন সমস্ত বেআইনি ধর্মীয় স্থান, ‘মসজিদ’ মামলায় রায় কেরল হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ করে দিন সমস্ত বেআইনি ধর্মীয় স্থান (Illegal Religious Places) ও প্রার্থনা গৃহ (Prayer Hall)। শুক্রবার এই মর্মে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। মালাপ্পুরমের নুরুল ইসলাম সংস্কারিকা সঙ্গমের তরফে একটি কমার্সিয়াল বিল্ডিংকে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রার্থনা গৃহে পরিণত করার আবেদন করা হয় কেরল হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে এদিন রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণানের পর্যবেক্ষণ, ভগবান সর্বত্র রয়েছেন। যদি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ কেবল মসজিদেই (Mosque) প্রার্থনা করতে চান, তাহলে বাড়ির কাছে নতুন করে প্রার্থনা গৃহ তৈরি করার চেয়ে তাঁদের যেতে হবে নিকটবর্তী মসজিদে।

    আদালত জানায়, ওই বিল্ডিংয়ের পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে ৩৬টি মসজিদ রয়েছে। তার পরেও আবেদনকারী আরও একটি প্রর্থনা গৃহের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর যুক্তি, মুসলিমদের পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়া জরুরি। তাই প্রতিটি মুসলিমের নাগালের মধ্যে প্রার্থনা গৃহ থাকা প্রয়োজন। আদালত জানায়, এটা যদি অনুমোদন করা হয় তাহলে রাজ্যে প্রতিটি কোণে প্রার্থনা গৃহের প্রয়োজন হবে। এর পরেই আদালত রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় এই সংক্রান্ত অর্ডার জারি করতে হবে, যাতে করে রাজ্যে কোনও অবৈধ প্রার্থনা গৃহ থাকে। এই অবৈধ প্রার্থনা গৃহ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে।

    আরও পড়ুন :ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    যে কমার্সিয়াল বিল্ডিংকে প্রার্থনা গৃহে পরিণত করার আবেদন করা হয়েছে, সেই বহুতলের আশপাশে রয়েছে ৩ হাজার ৯৯০ মুসলিম পরিবার। খ্রিস্টান পরিবার রয়েছে ১ হাজার ১৬৪টি। আর হিন্দু পরিবার রয়েছে ৩ হাজার ৪৯৮। বিল্ডিংটিকে মুসলিম প্রার্থনা গৃহে পরিণত করা হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে বলে জেলা কালেক্টরের অভিমত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পবিত্র কোরাণের কোথাও বলা নেই যে প্রতিটি মুসলিম পরিবারের বাড়ির কাছেই প্রার্থনা গৃহ থাকতে হবে। দূরত্বটা বড় কথা নয়, মসজিদে পৌঁছানোটাই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রায় দিতে গিয়ে আদালত একটি মালয়ালাম গানের দুটি কলি তুলে ধরেন। সেটি হল, মানুষ ধর্ম সৃষ্টি করেছে। ধর্ম সৃষ্টি করেছে ঈশ্বর। বিচারপতি বলেন, এই গানের রচয়িতা বেঁচে থাকলে দ্বিতীয় লাইনটি বদলে বলতেন, ধর্ম ধর্মীয় স্থানের স্রষ্টা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    CBI on SSC Scam: এসএসসিকাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ডেরায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (SSC Recruitment Case) নয়া মোড়!

    এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) উপাচার্য (Vice Chancellor) সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বুধবার প্রায় ১২ জন তদন্তকারীর একটি দল উপাচার্যের কোয়ার্টার ও দফতরে তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, সুবীরেশের দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটেও হানা দেন সিবিআইয়ের কয়েকজন আধিকারিক।

    জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে সুবীরেশ ছিলেন ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে বিচারপতি রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম রয়েছে তাঁর। বাগ কমিটির ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষাই দেননি ২২২ জন। এনিয়ে চলছিল বিচারবিভাগীয় তদন্ত। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন সুবীরেশের দুই ডেরায় হানা দেয় সিবিআই। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সুবীরেশ। তার পরে পরেই উত্তরবঙ্গে তাঁর কোয়ার্টার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দফতরে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। এদিকে এদিনই সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট।

    আরও পড়ুন : এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। প্রচুর সোনাও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। পার্থর দাবি, ওই টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অর্পিতারও দাবি, টাকার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পার্থর লোকজনই ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকা রেখে আসতেন। পার্থ গ্রেফতার হতেই উঠে আসে সুবীরেশের নামও। সিবিআই সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য সুবীরেশকে জেরা করলেই হাতে আসবে অনেক অজানা তথ্য। তাই তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন। সেই কারণেই এবার সুবীরেশের ডেরায় হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mandal: সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    Anubrata Mandal: সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হল অনুব্রতর। তবে এখনই জামিন পাচ্ছেন না গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বুধবার আসানসোলে (Asansole) সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অনুব্রত অসুস্থ হতে পারেন ভেবে আগেভাগেই আদালত কক্ষে মজুত করে রাখা হয়েছিল ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার ও নেবুলাইজার। যদিও তা কাজে লাগেনি।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case ) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। বার দশেক তলব করা হলেও, মাত্র একবারই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। পরে বাড়ি ঘিরে ধরে ঠাকুরঘর থেকে তাঁকে তুলে আনে সিবিআই। তার পর থেকে এ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন অনুব্রত। বুধবার তাকে ফের তোলা হয় আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সেখানেই হয় শুনানি। এদিন অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। বলেন, দরকার হলে বীরভূমে থাকব না। নিজাম প্যালেসের পাশে বাড়ি করে থাকব। বীরভূমের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকব না। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে। এই রোগে কারও প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন : রাজীবের চালকল থেকে অনুব্রতর স্ত্রীকে ২১ লক্ষ টাকা অগ্রিম, লেনদেনে বিদ্যুৎও, তদন্তে সিবিআই

    অনুব্রতর জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বলেন, এখন তদন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এখন অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। তাঁর মতে, এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অভিযুক্ত অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ ও বাড়ির লোকেদের নামে। কিন্তু উনি কিছুই বলতে পারছেন না। অভিযুক্ত প্রভাবশালী। এবং শুরু থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। উনি তদন্তে অংশগ্রহণই করেননি।সরকারি আইনজীবী বলেন, একজন সাধারণ মানুষ পদমর্যাদা আর ক্ষমতা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। উনি সেই এলাকার জেলা সভাপতি যেখানে গরু পাচার চক্র চলছে। নিজের পদ ব্যবহার করে তিনি পাচারের পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছিলেন। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলা হচ্ছে। সরকারি আইনজীবী বলেন, পশুর হাট থেকে গরু পাচার হত। তার প্রমাণও আছে। বিএসএফও এর সঙ্গে জড়িত। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরে বিচারক অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে রাখা হচ্ছে আসানসোল জেলে। এই জেলেই রয়েছেন ওই মামলায় ধৃত অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Arpita Mukherjee: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    Arpita Mukherjee: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (SSC Scam Case) গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির (ED) একটি সূত্রেই এমন খবর মিলেছে। আর যদি সত্যি সত্যিই অর্পিতা গোপন জবানবন্দি দেন, তাহলে আরও বিপাকে পড়তে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দুর্নীতির শেকড়ের গভীরে পৌঁছতে দিন কয়েক আগে ইডি হানা দেয় অর্পিতার ফ্ল্যাটে। উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের সোনাও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। হদিশ মিলেছে নামে বেনামে প্রচুর জমি, ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি এবং কোম্পানির। বর্তমানে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের মহিলা সেলে রয়েছেন অর্পিতা। ইতিমধ্যেই সেখানে গিয়ে তাঁকে একাধিকবার জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তখনই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। ইডির একটি সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা অর্পিতার কাছে জানতে চান, তিনি এই সব বয়ান বিচারকের কাছে বলবেন কিনা। ততক্ষণাৎ অর্পিতা জানিয়ে দেন গোপন জবানবন্দি দিতে তিনি প্রস্তুত।

    আরও পড়ুন : হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠের খোঁজে তল্লাশি আয়কর দফতরের, কী মিলল জানেন?

    ইডির তদন্তকারীদের নানা সময়ে অর্পিতা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা এবং সোনা তাঁর নয়। এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেনও না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লোকজনই ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকা রেখে তালা লাগিয়ে দিত। তবে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে পার্থর কাছ থেকে অর্থ লেনদেনের কিছু কথা তাঁরও কানে গিয়েছে বলে দাবি অর্পিতার। কোন জেলা থেকে কত টাকা আসত, কে সেই টাকা পাঠাত, তার তালিকা তৈরি করতে চাইছে ইডি। সেক্ষেত্রে অর্পিতার গোপন জবানবন্দি তদন্তের ক্ষেত্রে হয়ে উঠবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর কাছ থেকে টাকার একটা অংশ প্রভাবশালীদের কাছেও যেত। জেরার মুখে অর্পিতা কয়েকজনের নামও বলেছেন। অর্পিতা জবানবন্দি দিলে, ইডির পক্ষে অভিযোগ প্রমাণ করা হবে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাই ইডি চাইছে, গোপন জবানবন্দি দিন অর্পিতা। প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্পিতাও।

    আরও পড়ুন : জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    এমতাবস্থায় অর্পিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন ইডি কর্তারা। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। সেক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির আরও গভীর ফাঁসে জড়িয়ে যেতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

LinkedIn
Share