Author: Krishnendu Bakshi

  • Bihar: জাতীয় পতাকাকে ‘ঢাল’ করেও মেলেনি রেহাই, বিহারে এডিএমের মার হবু শিক্ষককে

    Bihar: জাতীয় পতাকাকে ‘ঢাল’ করেও মেলেনি রেহাই, বিহারে এডিএমের মার হবু শিক্ষককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকাকে (National Flag) ‘ঢাল’ করে প্রশাসনের লাঠির ঘা থেকে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করছেন বিক্ষোভকারী এক হবু শিক্ষক (Teacher)। তবে তাতেও রেহাই মেলেনি। কালো শার্ট ও সাদা প্যান্ট পরা ওই প্রতিবাদীর মাথায় এসে পড়ছে একের পর এক লাঠির ঘা। বিহারের (Bihar) রাস্তায় চাকরির দাবিতে জড়ো হওয়া বিক্ষোভরত এক হবু শিক্ষকের এহেন করুণ পরিণতিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযোগের তির পাটনার (Patna) যে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ADM), সেই কেকে সিংহের (KK singh) বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে পাটনার ডাকবাংলো মোড়ে জড়ো হয়েছেন শয়ে শয়ে সিটেট (CTET) এবং বিটেট (BTET) পাশ চাকরি প্রার্থীরা। সপ্তম পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন জন অধিকার পার্টির সদস্যরাও। ডাকবাংলো মোড় থেকে রাজভবন পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু করতেই মাঠে নেমে পড়ে প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। সেই সময় কেকে সিংহকে দেখা যায় রণংদেহি মূর্তিতে। তাঁর লাঠির ঘা থেকে বাঁচতে জাতীয় পতাকাকে ঢাল করেছিলেন এক প্রতিবাদী। তার পরেও প্রহৃত হয়েছেন ওই হবু শিক্ষক। তাঁকে মাটিতে ফেলে হিড় হিড় করে টেনেও নিয়ে যান ওই এডিএম।

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    ভিডিও ভাইরাল হতেই নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)-তেজস্বী যাদব সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে বিহার বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, এই সরকার কি অন্ধ যে তেরঙ্গার ওপর লাঠি চালাচ্ছে? এই সরকার কি বধির যে যারা কার্তুজ চালায়, তাদের হাতে কলম দিচ্ছে? কারওর কারওর জন্য এটা শখের বিষয় হতে পারে, মজার বিষয় হতে পারে, কিন্তু জন সাধারণের জন্য এটা অসহায়তা।

    ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পাটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংহ। ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদবও (Tejaswi Yadav)। সম্প্রতি ১০ লক্ষ বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। কোটার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। তার পরে পরেই চাকরি প্রার্থীদের ওপর এই নির্মম প্রহারের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই স্তম্ভিত শিক্ষামহল।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

  • Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উমর খলিদের (Umar Khalid) জামিনের (Bail) আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের (Sharjeel Imam) বক্তৃতার প্রসঙ্গ টানল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সার্জিল আসানসোল (Asansole), আলিগড় ও গয়ায় সিএএ (CAA) এবং এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

    উমর খলিদের জামিনের আবেদনের শুনানি হচ্ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত উমর। বুধবার নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারক সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রাজনীশ ভাটনগরের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হচ্ছিল। এদিন সওয়াল জবাবে অংশ নিয়েছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ। আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সওয়াল করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের প্রসঙ্গ টানেন অমিত প্রসাদ। বলেন, সার্জিল ইমাম মুসলিমরা বিপদের মধ্যে রয়েছেন, বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। আসানসোল, আসাম, উত্তর প্রদেশের আলিগড় এবং গয়ায় ওই ভাষণ দিয়েছেন তিনি। আদালতের বিচারে তাঁর ভাষণ “প্রকৃতিগতভাবে জ্বালাময়ী”। তিনি মুসলিমদের উসকানি দিয়েছিলেন। ইমামের একটি বক্তব্যে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের পর থেকে এখনও মুসলমানেরা স্বাধীনতা পায়নি। তিনি রাস্তা অবরোধ ও চাক্কা জ্যাম করতে মুসলিমদের উসকানিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই মামলার আগের শুনানি হয়েছে ১ অগাস্ট। সেদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ফল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের মনে ভয়ের আবহ সৃষ্টি করা। এভাবে গোটা শহর অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর ইস্যুতে জড়ো করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। এদিকে, উমর খলিদের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sonali Phogat: সোনালির মৃত্যুতে রহস্য! কেন সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপি নেত্রীর পরিবারের জানেন?

    Sonali Phogat: সোনালির মৃত্যুতে রহস্য! কেন সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপি নেত্রীর পরিবারের জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার বিজেপি (BJP) নেত্রী সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য। মৃতের পরিবারের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু হতে পারে না সোনালির। সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিও জানিয়েছে তারা। সোনালির বোন রামণ বলেন, আমার দিদির হার্ট অ্যাটাক হতে পারে না। তিনি খুবই ফিট ছিলেন। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। দিদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, এটা আমাদের পরিবার মানতে রাজি নয়। তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না।

    কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে সোনালি গিয়েছিলেন গোয়ায়, বেড়াতে। সোমবার রাতে সেখানে আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। অনুভব করেন শারীরিক কষ্টও। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেছিলেন সোনালি। সেদিনই বদলেছিলেন প্রোফাইল পিকচারও। প্রাথমিকভাবে সোনালির মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক বলে মনে করা হলেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : প্রয়াত প্রাক্তন বিগবস প্রতিযোগী বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাট

    সোনালির আর এক বোন রূপেশ বলেন, মৃত্যুর আগের সন্ধেয় আমি ফোনে দিদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছিলেন, হোয়াটস অ্যাপে কথা বলতে চান। রহস্য চলছে…পরে ফোন কেটে দেন। তারপর আর ফোন তোলেননি। এদিকে, সোনালির মৃত্যুর ময়না তদন্তের সময় যাতে চিকিৎসকদের প্যানেল বসানো হয়, সে ব্যাপারে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগকে চিঠি দিল গোয়া পুলিশ। যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট জিভা দলভি (Jivba Dalvi) বলেন, আঞ্জুনা পুলিশ গোয়া মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগকে ময়না তদন্তের সময়ে চিকিৎসকদের প্যানেল বসানোর জন্য চিঠি দিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন সোনালি। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে আদমপুর কেন্দ্র থেকে পদ্ম প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন সোনালি। যদিও কংগ্রেস প্রার্থী কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের কাছে হেরে যান। পরে অবশ্য কুলদীপ যোগ দেন বিজেপিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • G 23: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    G 23: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Polls) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় দলের বিক্ষুব্ধ অংশ। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজরও রাখছেন ওই গোষ্ঠীর নেতারা। সভাপতি নির্বাচন শেষ হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন কংগ্রেসের (Congress) এই বিক্ষুব্ধ অংশ। দলে যাঁরা জি-২৩ (G 23) নামেই পরিচিত।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি (BJP)। ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় ঘাড়ে নিয়ে জাতীয় সভাপতির পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বয়সজনিত কারণে তিনি আর সভাপতির পদে বসতে চান না। এর পরে দলের একটা অংশ রাহুলকেই ওই পদে বসাতে উদ্যোগী হয়। তবে তিনি যে ওই পদে বসতে চান না তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই শুরু হয়েছে নির্বাচন। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে ২০ সেপ্টম্বরের মধ্যে। শেষমেশ কে ওই পদে বসেন, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে জি-২৩ গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন : দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    গত বছরই প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন শুরু হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি এবং তার পর কয়েকটি রাজ্যে ভোটের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। চলতি বছর ফের ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে নতুন করে। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশের এক প্রবীণ নেতা বলেন, সভাপতি নির্বাচনের চেয়েও আশু প্রয়োজন কংগ্রেস ওয়ার্কি কমিটি এবং পার্লামেন্টারি বোর্ডের নির্বাচন। কারণ কংগ্রেসে এই দুটিই হল ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। কংগ্রেসে এই মুহূর্তে প্রয়োজন তৃণমূল স্তরের নেতার। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সিংহভাগ পদ দখল করে বসে রয়েছেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা। দলের কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেই এই নেতারা চুপ করিয়ে দেন। অথচ এঁদের সঙ্গে দলের তৃণমূল স্তরের কোনও সম্পর্কই নেই।

    আরও পড়ুন : সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    সম্প্রতি দল রাজ্য ইউনিটের দায়িত্ব দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাকে। দুজনেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। জি-২৩-র ওই প্রবীণ নেতা বলেন, তাঁরা ওই পদ গ্রহণ করেননি, কারণ দল হারলেই বলির পাঁঠা করা হত তাঁদের। বিক্ষুব্ধ শিবির সূত্রে খবর, সেই কারণেই ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ পলিসি নিয়েছে জি-২৩।

     

  • Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    Cattle Smuggling Case: গরু পাচারের টাকার খোঁজ পেতে সায়গলকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) হাত বদল হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এতদিন এই মামলায় তদন্ত করছিল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হয়েছে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এবং তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ও সায়গলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সায়গলকে হেফাজতে নিতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেছে ইডি। আসানসোল জেল থেকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চান ইডির আধিকারিকরা। গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, তারই খোঁজ পেতে চাইছেন তাঁরা।

    তৃণমূল জমানায় রাজ্যে নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি, গরু এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে জোড়াফুল জমানায়। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহ বেশ কয়েকজনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ কোটির কাছাকাছি টাকা। নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনাও। রাজ্যে আগাছার মতো বেড়ে ওঠা এই সব কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে তদন্ত গতি আনছে ইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ইডির ২০ জন আধিকারিক। চলতি সপ্তাহেই আরও কয়েকজন আধিকারিক এসে পৌঁছবেন বলে ইডি সূত্রে খবর। নানা ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ও আর্থিক তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই সব তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বড় টিম তৈরি করতে চাইছে ইডি। তাই দিল্লি থেকে আসছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, ইডির আধিকারিকদের এই টিম একসঙ্গে একাধিক জায়গায় হানা দেবে। পার্থ–অর্পিতা মামলার তদন্তের পাশাপাশি কয়লা পাচার ও গরুপাচারে আর্থিক বিষয়ে কেলেঙ্কারির দিকটি খতিয়ে দেখবে ১০টি টিম। ইডি সূত্রে খবর, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এখনও রয়েছেন যাঁদের এখনও ছোঁয়া হয়নি। তাঁদের ধরতে গেলে এক জায়গায় হানা দিলে হবে না। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিতে হবে। সেই কারণেই কলেবর বাড়ছে ইডির। 

    প্রসঙ্গত, কোনও মামলার দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখে সিবিআই। আর আর্থিক তছরুপের দিকটি নিয়ে তদন্ত করে ইডি। রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সত্য উদ্ঘাটন করতে আসরে নেমেছে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামূল হককে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। একটি সূত্রের খবর, এবার ওই মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকেও হেফাজতে নিতে চাইতে পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Suvendu Adhikari: দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দুধের গাড়ি উল্টে যেতেই বেরলো পাল-পাল গরু! ‘পাচারের নয়া পন্থা’, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখনও সক্রিয় গরু পাচার (Cow Smuggling) চক্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে নতুন পথ খুঁজে বার করছেন পুলিশ (Police) আধিকারিকরা। পুরুলিয়ায় (Purulia) দুধের কন্টেনার (Milk Container) উল্টে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি গরু (Cattle)। তার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার পর পর দুটি ভিডিও ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    এদিন সাত সকালে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০ এ জাতীয় সড়কে আচমকাই উল্টে যায় একটি দুধের কন্টেনার। কন্টেনারের বাইরে আমূল লেখা দেখে অন্তত তাই ভেবেছিলেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কন্টেনারটির দরজা খুলতেই সিং দুলিয়ে বের হতে থাকে একের পর এক গরু। উদ্ধার হয় ১৭টি গরু। দেহ উদ্ধার হয় পাঁচটির। উত্তর প্রদেশের নম্বর প্লেট থাকা ওই দুধের গাড়ির চালক ও খালাসিকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, গরুগুলি বিহারের ঔরঙ্গাবাদের একটি হাট থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। পাচার নয়, কৃষি কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই সেগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে দাবি চালক ও খালাসির। তাদের দাবি সত্যি কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও খালাসি স্বীকার করেছে, গরু পাচার নিয়ে পুলিশি কড়াকড়ির জেরে এভাবে দুধের কন্টেনারে করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    দুধের কন্টেনার থেকে গরু উদ্ধার হতেই হইচই পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যুইটবাণে বিদ্ধ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কটাক্ষ, গরু পাচার বন্ধে কড়াকড়ি শুরু হতেই নয়া কৌশল অবলম্বন করেছে পাচারকারীরা। একটি ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও কোটি কোটি টাকার গরু পাচার চক্র সক্রিয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ বিএসএফ স্ক্রু টাইট দিয়েছে। তাই গরু পাচারের পরীক্ষিত পদ্ধতিগুলো আর কাজ করছে না। পুরানো পদ্ধতিতে গরু পাচার কঠিন হয়ে পড়েছে।

    দ্বিতীয় ট্যুইটবাণে শুভেন্দু লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে গরু পাচারের আদর্শ উপায় আবিষ্কার করতে বলেছেন। পুষ্পা চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পুরুলিয়ায় আমুলের দুধের গাড়িতে করে গরু পাচার হচ্ছিল। গাড়িটি রাস্তা থেকে পিছলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    [tw]<blo


    ckquote class=”twitter-tweet”>

    The multi-crore cattle smuggling syndicate is still active in WB. @BSF_India has tightened the screws under Hon’ble Home Minister Shri @AmitShah Ji’s able supervision. The tried & tested formulas have now failed. It has become extremely difficult to smuggle cattle using old ways: pic.twitter.com/K85NsjlaBT

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 23, 2022

    [

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ওই মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারীদের। এমনই আবহে দুধের কন্টেনার উল্টে গরু উদ্ধারের ঘটনায় পাচারকারীদের হাতই দেখছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

     

  • Chinese Spy Ship: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও  

    Chinese Spy Ship: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) ছেড়ে গেল চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)। দ্বীপরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। গত সপ্তাহে জাহাজটি নোঙর করে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দরে। তার পর থেকে সেটি ছিল সেখানেই। সোমবার জাহাজটি  ছেড়ে যায় হাম্বানটোটা।

    কিছু দিন আগেই চিনের (China) ওই জাহাজটি রওনা দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার দিকে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। জাহাজটি যাতে হামবানটোটা বন্দরে নোঙর না করে, সেজন্য শি জিন পিংয়ের দেশকে আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব কানে না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ (Yuan Wang 5) নামের ওই জাহাজটি।

    জানা গিয়েছে, এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে ড্রাগনের দেশ। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে ওই জাহাজ যেন নোঙর না করে। তার পরেও জাহাজ আসে হামবানটোটায়। সেই জাহাজই সোমবার ছাড়ল শ্রীলঙ্কার বন্দর। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশে যা ঘটেছে, যা কিছু যা আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়, সেগুলিতে আমাদের আগ্রহ রয়েছে বই কি!

    আরও পড়ুন : ভারত আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা ‘গুপ্তচর জাহাজ’

    চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপর নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। ওড়িশা উপকূলের কাছে ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য এই জাহাজ হাতিয়ে নিয়ে চিনে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ছিল ভারতের। যদিও চিনের দাবি, গবেষণা ও সমীক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হয় জাহাজটি। রসদ সংগ্রহ করতেই সেটি ভিড়েছিল হাম্বানটোটায়। প্রসঙ্গত, কলম্বো থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে হাম্বানটোটা বন্দর। চিন থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বন্দরটি গড়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। ঋণ শোধ করতে না পারায় বন্দরটি চিনকেই লিজ দেওয়া হয়েছে ৯৯ বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন : চিনা গুপ্তচর জাহাজ কী কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ জানেন?

  • Prophet Remarks Row: রাজা সিংয়ের জামিনের প্রতিবাদে তপ্ত তেলঙ্গানা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর   

    Prophet Remarks Row: রাজা সিংয়ের জামিনের প্রতিবাদে তপ্ত তেলঙ্গানা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত (Prophet Remarks Row) মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছেন তেলঙ্গানার (Telangana) বিধায়ক বিজেপিটি রাজা সিং (T Raja Singh)। পরে তাঁর জামিনও হয়েছে। দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে বিজেপি (BJP)। বুধবার তাঁর জামিনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জনতা। এদিন হায়দরাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জনতা। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা।

    বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনার পরে পরেই দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। পরে গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। বিজেপির এই বিধায়কের দাবি, স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে কটাক্ষ করেই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন তিনি। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। রাজা বলেন, কোনও সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করে ভিডিও তৈরি করিনি আমি। ভিডিওতে কেবল ফারুকিকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। বিধায়কের সাফাই, আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করিনি। আদালতে তোলা হলে জামিনও পেয়ে যান রাজা।

    আরও পড়ুন : গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন টি রাজা! বিজেপি সাসপেন্ড করল তেলঙ্গানার বিধায়ককে

    এরই প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। তালাবকাট্টা, চারমিনার, মুখলপুরা, চঞ্চলগুড়া, বাহাদুরপুর এবং আম্বেরপেট এলাকায় সারারাত রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। মুখলপুরায় পুলিশের ভ্রাম্যমাণ গাড়ির ওপর পাথর ছোঁড়ে জনতা। যদিও কেউই জখম হননি। এদিন সকালে শাহ আলি বান্দা এলাকায় লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। আম্বেদকর স্ট্যাচুর সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলারা। বিক্ষোভকারী খালিদা পারভিন বলেন, রাজা সিংকে গ্রেফতার করা হল, পরে জামিনও দিয়ে দেওয়া হল। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে ওঁর প্রতি রাজ্য সরকারের দুর্বলতা রয়েছে।

    মিম বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ পাশা কোয়াদ্রি রাজার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি লিখেছেন বিধানসভার স্পিকার পচারাম শ্রীনিবাস রেড্ডিকে। এদিকে রাজা জানান, শীঘ্রই তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে তাঁর ব্যাখ্যা সম্বলিত পত্র পাঠাবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Congress President Election 2022: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন? 

    Congress President Election 2022: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় দলের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি। ওই কমিটির সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হয়ে যাবে দলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের (President Polls) নির্ঘণ্ট তৈরির কাজ। তবে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ওই পদে বসতে না চাইলে কী হবে, তা ভেবে ইতিমধ্যেই যোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করতেও শুরু করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি।   

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাস্ত হয় কংগ্রেস। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে পদ্ম শিবির। ফের প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় ঘাড়ে নিয়ে সভাপতির পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বয়সজনিত কারণে তিনি সভাপতির পদে বসতে চান না। এর পরেও দলের একটা অংশ রাহুলকেই ওই পদে বসাতে উদ্যোগী হয়। তবে তিনি যে ওই পদে বসতে চান না তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই চলছে নির্বাচনের তোড়জোড়। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, রাহুল নিতান্তই রাজি না হলে ওই পদে বসানো হতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে (Ashok Gehlot)। যদিও গেহলট নিজেই জানান,  রাহুলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন। তিনি সভাপতি পদে না বসলে দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। গেহলট বাদেও আরও কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে সভাপতি পদের জন্য। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সুশীল কুমার শিন্ডে, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং মীরা কুমার। এঁদের মধ্যে আবার খাড়গে রাহুলের খুব কাছের। এদিকে, পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ। দলে যারা জি-২৩ নামে পরিচিত। সূত্রের খবর, তারা আপাতত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতির ওপরই ভরসা করছে।

    অন্যদিকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন সোনিয়া। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশই এ খবর জানান। তাঁর সঙ্গে যাবেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কাও। তবে তাঁরা ঠিক কবে যাবেন, যাবেনই বা কোথায়, তা জানানো হয়নি কংগ্রেসের তরফে। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন এগিয়ে আনা হতে পারে বলেও কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mandal: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    Anubrata Mandal: এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নিজেই রয়েছেন সিবিআই (CBI) হেফাজতে। গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) একের পর এক নামে-বেনামে থাকা সম্পত্তির হদিশও পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে সেই অনুব্রতই কিনা চেয়ে বসলেন সিবিআই তদন্ত! সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসানসোল (Asansole) যাওয়ার পথে তিনি বলেন, জজ সাহেবকে বলব সিবিআই তদন্ত হোক।

    দিন দুই আগেই অনুব্রতর জামিন চেয়ে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের কাছে। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে বলে লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে। আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২০ অগাস্ট এই হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। যিনি চিঠি পাঠিয়েছেন, তিনি জনৈক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার জেলা জজকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ঘটনাটি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও। সেই প্রসঙ্গেই এদিন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, আমি জোড় হাত করে জজ সাহেবকে বলব যেন এর সিবিআই তদন্ত করানো হয়। এর আগে এই চিঠি পাঠানোর দায় অনুব্রত চাপিয়েছিলেন বিজেপির ঘাড়ে। তিনি বলেছিলেন, এটা বিজেপি করেছে। তবে সত্যিই কে চিঠিটি পাঠিয়েছে, তা জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন সিবিআই হেফাজতে থাকা অনুব্রত।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত-কন্যার নামে জমির হদিশ! বোলপুরের বিএলআরও অফিসে কী পেল সিবিআই?

    এদিকে, গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। ‘প্রভাবশালী’ হওয়ায় অনুব্রতকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, এটা নিয়ম আছে না কি? বললেই হয়ে যাবে! তিনি যে প্রভাবশালী নন, এদিন তাও জানান অনুব্রত। তিনি বলেন, ওটা সিবিআইয়ের বক্তব্য। দলনেত্রী সম্পর্কে অনুব্রতর মূল্যায়ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, অনেক করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share