Author: Krishnendu Bakshi

  • Prophet Row: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতার তেলঙ্গানার বিধায়ক

    Prophet Row: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, গ্রেফতার তেলঙ্গানার বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের (Prophet Row) জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma)। সেই বিতর্কের আঁচ পুরোপুরি নেভানোর আগেই ফের হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে তেলঙ্গানার বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং (T Raja Singh)। মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। এর আগেই অবশ্য রাজাকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তাঁকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে পাঠানো হয়েছে শোকজের নোটিশও।  উত্তর দিতে বলা হয়েছে ১০ দিনের মধ্যে।  

    নূপুরের বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক রাজা। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। বিজেপির এই বিধায়কের দাবি, স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে কটাক্ষ করেই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন তিনি। কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। রাজা বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। কোনও সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করে ভিডিও তৈরি করিনি আমি। ভিডিওতে কেবল ফারুকিকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এর পরেই বিধায়কের সাফাই, আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করিনি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে নূপুর যে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, তাঁর তৈরি ভিডিওতে তারই পুনরাবৃত্তি করেছেন রাজা। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। বিধায়কের গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হয় জনতা। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজাকে। প্রসঙ্গত, রাজার বিরুদ্ধে আগেও অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারও কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির শোয়ে জনা পঞ্চাশেক সমর্থককে নিয়ে গিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজা। রাজা বলেন, ইউটিউব থেকে তারা (পুলিশ) আমার ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে। আমি জানি না পুলিশ ঠিক করতে চলেছে। আমি একবার ছাড়া পেলেই ভিডিওর দ্বিতীয় পার্ট আপলোড করব। আমি এটা করছি ধর্মের জন্য। ধর্মের জন্য আমি মরতেও প্রস্তুত। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা দেশ। তাঁর বক্তব্য যে দলের নয়, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। নূপুরকে সাসপেন্ডও করা হয়। তার পরেও দেশজুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির পার্টি অফিসেও। পরে অবশ্য প্রশাসনিক তৎপরতায় প্রশমিত হয় ক্ষোভের আগুন।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

     

  • Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণ (loan) দেওয়ার টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত শিকার। এক বার ফাঁদে পড়লেই কেল্লাফতে। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে শুরু হত ব্ল্যাকমেইলিং। ঋণ নেওয়া ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে পর্ন সাইটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই তথ্য এবং টাকা পাচার হত ড্রাগনের দেশ চিনে। এভাবে ৫০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। একশোটিরও বেশি লোন অ্যাপের (Loan App) মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে দুষ্কৃতীরা কারবার চালাচ্ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কয়েকজন চিনা (China) নাগরিক রয়েছে। চক্রের শেকড় কত গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সম্প্রতি একে একে প্রতারণার শ খানেক অভিযোগ পায় দিল্লি পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পর্দাফাঁস করেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, মূলত লোন অ্যাপের মাধ্যমেই ফাঁসানো হত গ্রাহকদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ মিলত। তবে অনায়াসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ মিলত। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। সুদ সমেত আসল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই তারা ধারণ করত স্বমূর্তি। ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এভাবেই জালিয়াতি করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা পাঠানো হয় চিনে।

    আরও পড়ুন : প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ নানা রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতারকরা মূলত যে লোন অ্যাপগুলি ব্যবহার করত সেগুলি হল ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোটি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন এবং রেড ম্যাজিক। অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১টি মোবাইল, ২৫টি হার্ড ডিস্ক, ৯টি ল্যাপটপ, ১৯টি ডেবিট কার্ড, ৩টি গাড়ি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা। এদিন যে বাইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চিনা চক্রের নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

     

  • Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি, প্রশ্নের মুখে গুজরাট সরকার

    Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি, প্রশ্নের মুখে গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার (Gujarat Govt)। গোধরা পরবর্তী হিংসায় বিলকিসকে গণধর্ষণে (Gang Rape) দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। বিলকিসের পরিবারের সাতজনকে খুনের দায়েও দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাদের। সোমবার স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পায় তারা। সাজা মকুব নীতিতে (Remission Policy) মুক্তি দেওয়া হয়েছে ওই ১১জনকে।  

    ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাটে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড়ের একটি গ্রামে কার্যত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। গ্রামেরই বাসিন্দা বিলকিস এবং তাঁর মা বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। পরিবারের ১৪ জন সদস্য সহ মোট ১৭ জনকে নৃশংসভাবে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০০৮ সালের ২১ জুলাই মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ওই ঘটনায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি দেওয়া হয় তাদেরই।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    কেন ছেড়ে দেওয়া হল অভিযুক্তদের? অভিযুক্তরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিল। এদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করে মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টে। এর পরেই দেশের শীর্ষ আদালত অভিযুক্তদের সাজা মকুবের জন্য গুজরাট সরকারকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় বলে জানান গোধরা জেলার কালেক্টর সুজল মায়াত্র। ওই কমিটিই অভিযুক্তদের সাজা মকুবের সুপারিশ করে গুজরাট সরকারের কাছে। তার পরেই মুক্তি দেওয়া হয় তাদের। অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী সামসাদ পাঠান। তাঁর প্রশ্ন, বিলকিসের মামলার থেকে কম জঘণ্য অপরাধ করেছে এমন অসংখ্য অভিযুক্ত কেন কারাগারে বন্দি?

    এদিকে, গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রের রশিও বিজেপির হাতে। অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দিয়ে কেন্দ্রের গাইডলাইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচি উপলক্ষে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি বন্দিদের মুক্তি দেবে। তবে ধর্ষক, মানব পাচারকারী এবং মাদক পাচার চক্রীদের মুক্তি দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, এই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রয়েছে অমিত শাহের হাতে।

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

  • Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    Pending DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Pending DA) মিটিয়ে দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশ পুনবির্বেচনার আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার (State Govt.)। মঙ্গলবার সেই মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডরের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ২৯ তারিখে হবে শুনানি।

    গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া সমস্ত মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারকে। অনেকেই ভেবেছিলেন, রায় পুনর্বিবেচনা আর্জি জানাতে পারে রাজ্য সরকার। কর্মীদের একাংশের সেই ভাবনাই সত্যি হল। বৃহস্পতিবার অনলাইনে রিভিউ পিটিশন জমা দেওযার কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। যদিও এ ব্যাপারে নোটিশ দেওয়া হয়নি মামলাকারীদের। রিভিউ পিটিশনের আবেদন গ্রহণ হলেই সেই নোটিশ যাবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মীরা বকেয়া ৩২ শতাংশ ডিএ মেটানোর দাবি জানিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষমেশ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। যদিও হাইকোর্টে ধাক্কা খায় রাজ্য। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি মাসের ১১ তারিখে সেই রায় পুনর্বিবেচনের আর্জি জানানো হয়। এদিন তা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, বকেয়া মেটানোর জন্য তিন মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা শেষ হচ্ছে ১৯ অগাস্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ মেটাতে গেলে রাজ্যের খরচ হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এই মুহূর্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান নেই। তাই এ ব্যাপারে কী করা যায়, তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছিল রাজ্য। কিস্তিতে কিংবা পিএফের সঙ্গে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছিল। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য।  

    আরও পড়ুন : হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

  • Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    Partition Horrors Remembrance Day:  বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবসে (Partition Horrors Remembrance Day) কংগ্রেসকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের। এদিন বিজেপির (BJP) তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। তাতে আক্রমণ শানানো হয়েছে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে (Jawaharlal Nehru)।

    সাত মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করে প্রচার করছে পদ্ম শিবির। আর্কাইভের ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিওয় পাকিস্তান (Pakistan) গঠনের জন্য মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লিগের কাছে নেহরু নতি স্বীকার করেছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। দেশভাগের সময়কার বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে তৈরি করা ওই ভিডিও ট্যুইট করে বিজেপির পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, যাদের ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সভ্যতা, মূল্যবোধ, তীর্থস্থান সম্পর্কে কোনও জ্ঞানই ছিল না, তারা মাত্র তিন সপ্তাহে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এক সঙ্গে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে দেশভাগের রেখা টেনেছিল। এই বিভাজনকারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করার দায়িত্ব যাদের ছিল, সেই সময় কোথায় ছিলেন তাঁরা? বাংলা এবং পাঞ্জাব ভাগের প্রসঙ্গও রয়েছে বিজেপির তৈরি করা এই ভিডিওয়।

    আরও পড়ুন :বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    গত বছরই দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিজেপির দাবি, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের জেরে ভারতীয়দের যে সমস্যা, দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তা মনে করাতেই এই উদ্যোগ। দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবসে নেহরুকেই নিশানা বিজেপির। এদিন সকালে এনিয়ে ট্যুইটও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

    পাল্ট জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় বলেন, এই দিনটি স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য হল বর্তমান রাজনৈতিক লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহ করা। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিলেন, প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁদের সেই ত্যাগের কথা ভুললে চলবে না। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি আজকে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কেও স্মরণ করবেন, যিনি শরৎচন্দ্র বসুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলেন? তাঁর কটাক্ষ, আধুনিক কালের সাভারকার এবং জিন্নারা ফের বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল সহ যাঁরা দেশকে এক করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের উত্তরাধিকারকে কংগ্রেস এগিয়ে নিয়ে যাবে। পরাজিত হবে বিদ্বেষের রাজনীতি।

    আরও পড়ুন : ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

     

  • Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয়বারের জন্য নিজেদের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমতাবস্থায় রেপো রেট বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না দেশের শীর্ষ ব্যাংকের সামনে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই রেপো রেট বাড়িছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই রেপো রেট বাড়ায় নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক (Bank)।  

    আমরা জানি, ভারতের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভরসা করেন ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) ওপর। এর প্রধান কারণ হল, এতে বাজারের হাল যাই হোক না কেন, সুদ মেলে ডিপোজিটের সময় ব্যাংক যে প্রতিশ্রুতি দেয়, সেই হারে। তাছাড়া টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলাও সোজা। গত দু তিন বছরে একাধিকবার সুদের হার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই সময় সীমার মধ্যেই ছিল করোনা অতিমারি পরিস্থিতি। তার পরেও ফিক্সড কিংবা টার্ম ডিপোজিটে অগ্রহ বাড়েনি আমজনতার।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আমজনতাকে ব্যাংকমুখী করতে নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের একাধিক বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক কোটাক মাহিন্দ্রা এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়েস ব্যাংক ১০ অগাস্ট থেকে টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকে ৭ থেকে ১৪ দিনের জন্য ২ কোটি টাকার কম জমা রাখলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ হারে। তিন বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকেরা পাবেন অতিরিক্ত .৫ শতাংশ।

    এর চেয়েও বেশি সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইয়েস ব্যাংক। ৭ থেকে ১৪ দিনের মেয়াদি আমানতে তারা দিচ্ছে ৩.২৫ শতাংশ সুদ। তিন বছরের ঊর্ধ্বে এবং ১০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৬.৭৫ শতাংশ হারে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে আর একটি বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআই ব্যাংক। এই সুদ মিলবে দু কোটি কিংবা তার বেশি টাকা জমা রাখা হলে। সেক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৩.২৫ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। সুদের হার বাড়িয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাংকও। দু কোটি টাকার কম জমা রাখা হলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। জমা টাকার পরিমাণ দু কোটি টাকার বেশি হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ হারে।

     

  • Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ঠিক আগেই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পশ্চিমের সাহারানপুর (Saharanpur) জেলা থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) ও তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban ) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় বছর পঁচিশের ওই যুবককে।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশের (UP Police) দাবি, ওই যুবককে গ্রেফতার করায় ফাঁস হল বড়সড় নাশকতার ছক। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবককে  বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে খুনের দায়িত্ব দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাহারানপুরের কুন্দাকালা গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম মহম্মদ নাদিম। পুলিশের দাবি, নূপুরকে হত্যা করতে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এক চাঁই ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল বলে স্বীকারও করেছে নাদিম। সে তার আরও কয়েকজন সহযোগীর নামও জানিয়েছে পুলিশকে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন : হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি সাসপেন্ড করে দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। তার পরেও এক শ্রেণীর দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় দেশের বিভিন্ন অংশে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা সবই হয়েছে। দিন দুই হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর পথে নামে পুলিশ। তার পরেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। সেই নূপুরকেই খুন করতে ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল জঙ্গিরা।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নাদিমের। জইশ-ই-মহম্মদ ও তেহরিক-ই-তালিবান দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল সে। তার ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জেনেছে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও সিরিয়াও যেতে বলা হয়েছিল তাকে। কীভাবে আইইডি তৈরি করতে হয়, ফোনের মাধ্যমে তাকে তার কৌশলও শিখিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশের দাবি, তার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন চ্যাট এবং ভয়েস বার্তায়ও জইশ এবং তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত নাদিম। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন, নাদিমের কাছ থেকে দুটি সিম কার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরির কৌশল লেখা কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

     

  • Chinese Spy Ship: চিনা গুপ্তচর জাহাজ কী কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ জানেন? 

    Chinese Spy Ship: চিনা গুপ্তচর জাহাজ কী কারণে ভারতের মাথাব্যথার কারণ জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) উদ্বেগ বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দরে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship ) ইয়ান ওয়াং-৫ (Yuang Wang 5)। চিনের এই গুপ্তচর জাহাজ যাতে হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর না করে, সেজন্য ওই জাহাজ না পাঠাতে ড্রাগনের দেশকে অনুরোধ করেছিল শ্রীলঙ্কাও। তার পরেও চিনা (China) ওই জাহাজ এসে ভিড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের ঘাটে। জেনে নেওয়া যাক, চিনা ওই জাহাজ কী কারণে ভারতের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। জাহাজটিতে সেন্সর রয়েছে, যা দিয়ে পরীক্ষিত ব্যালিস্টিক মিসাইল চিহ্নিত করতে পারে। ওড়িশা উপকূলের অদূরে রয়েছে আবদুল কালাম দ্বীপ। সেখানেই ভারত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ অনায়াসে মেপে নিতে পারে পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কতদূর লম্বা। জাহাজটি চিনা বন্দরে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত থাকার কথা। সেটি চিনের বন্দর ছাড়ে ১৪ জুলাই। তার পর আর কোনও বন্দরে নোঙর না করে ভেড়ে হাম্বানটোটা বন্দরে। যদিও চিনের দাবি, রসদ সংগ্রহ করতেই নোঙর করা হয়েছে ওই বন্দরে। চিনের এই জাহাজটি ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালাতেও সক্ষম। ২০২১ সালেও চিনা সরকারের সার্ভে জাহাজ জিয়াং ইয়াং হোং-৩ ও ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন : ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ

    ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে ২০১৪ সালে। সেবার চিনা নিউক্লিয়ার শক্তি সম্পন্ন সাবমেরিনকে নোঙর করতে দেওয়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রেরই একটি বন্দরে। সেই সময় শ্রীলঙ্কা জানিয়েছিল, জাহাজটি তার স্বয়ংক্রিয় আইডেন্টিটিটি সিস্টেম সুইচ অন করে রাখবে। এটি কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে না। শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষও জানিয়েছিল হাম্বানটোটার দায়িত্বে চিনা কোম্পানি থাকলেও, কাজকর্ম পরিচালনা করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। তার পর অবশ্য সবার আগে দ্বীপরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ায় নয়াদিল্লিই। প্রসঙ্গত, যে হাম্বানটোটা বন্দরকে ঘিরে এত বিতর্ক, সেটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। শ্রীলঙ্কা চিনা ঋণ শোধ করতে না পারায়ই লিজ দিতে হয়েছে বন্দর। তার পর থেকেই উদ্বেগে রয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুন : চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

     

  • Anubrata Mandal: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    Anubrata Mandal: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোলপুরে (Bolpur) ফের সিবিআই (CBI) হানা। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই আধিকারিক হানা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ জনৈক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি। তার পরেই বোলপুর পুরসভার এই সাফাই কর্মীর বাড়ি থেকে চলে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

    গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার পরেই পর্দা ফাঁস হচ্ছে একের পর এক রহস্যের। অনুব্রতর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির নাগাল পাওয়ার পর এবার তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক। রবিবার ভরদুপুরে বিদ্যুৎবরণের কালিকাপুরের দোতলা বাড়িতে তল্লাশি চালান তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেনেছেন, একাধিক কোম্পানিতে লগ্নি রয়েছে অনুব্রতর। সেই কোম্পানিগুলিতে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে যুগ্ম ডিরেক্টর রয়েছেন এই বিদ্যুৎবরণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হওয়ার পর থেকেই ডালপালা মেলে বিদ্যুৎবরণের সম্পত্তি। পুরসভার এক সাফাইকর্মীর এত সম্পত্তির উৎস কী, মূলত তা জানতেই এদিন বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। যদিও সিবিআই হানা দেওয়ার সময় বাড়িতে ছিলেন না বোলপুর পুরসভার ওই সাফাই কর্মী।

    আরও পড়ুন : ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    দিন কয়েক আগে বোলপুরেরই বোম ভোলে চালকলে হানা দেয় সিবিআই। সেই চালকলের ভিতরে থাকা গ্যারেজগুলিতে হদিশ মেলে পাঁচটি দামি গাড়ির। সেই গাড়িগুলিতে সাঁটানো ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা স্টিকার। উদ্ধার হয় একটি পাইলট কারও। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারির আগে থেকেই নানা সময়ে তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল নেতা করিম খানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয়েছে সিউড়ির পাথর ব্যবসায়ী জনৈক টুলু মণ্ডলের বাড়িতেও। পরে তল্লাশি চালানো হয় খোদ অনুব্রতর বাড়িতে। রবিবার হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে। এর পর কার পালা, আপাতত সেই প্রশ্নেই বুঁদ বীরভূম।

    এদিকে, অনুব্রতর শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ফের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার পরেই আসানসোল থেকে তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

  • Ghulam Nabi Azad: দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস  

    Ghulam Nabi Azad: দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। যার জেরে বেকায়দায় কংগ্রেস। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, শারীরিক কারণেই নতুন দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

    জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট, ভূস্বর্গে নির্বাচন হতে পারে নভেম্বরে কিংবা নতুন বছরের গোড়ায়। এই সময় সীমার মধ্যে ভোট রয়েছে আরও কয়েকটি রাজ্যেও। তাই সংগঠন ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে অগোছাল কংগ্রেস। সেই মতো গুলাম নবিকে দেওয়া হয় প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। সেই পদেই ইস্তফা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এই কংগ্রেস নেতা। 

    কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুলাম নবির ক্ষোভ নতুন নয়। নেতৃত্ব বদলের দাবিতে ২০২০ সালে যে ২৩ জন জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন, তার অন্যতম শরিক ছিলেন গুলাম নবিও। দলের অন্দরে একাধিক পরিবর্তনের দাবিতে বারবার সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছিলেন। তার পরেও দলীয় সংগঠনে কোনও বদল আসেনি বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তাঁকে ওই পদ দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়ার ঘণ্টা দুই পরেই ইস্তফা দেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।  ইস্তফার কারণ হিসেবে গুলাম নবি শারীরিক কারণ দর্শালেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁর মতো প্রবীণ এবং ‘হেভিওয়েট’ একজন নেতাকে প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ গুলাম। তাঁর মতো নেতার ক্ষেত্রে পদটি অসম্মানজক তো বটেই, রাজনৈতিক অবনতির দ্যোতকও বটে। সেই কারণেই পদ পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইস্তফা দেন গুলাম নবি।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গুলাম নবি ঘনিষ্ট গুলাম আহমেদ মীরকে জম্মু-কাশ্মীর কমিটি থেকে সরিয়ে দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁর বদলে ওই পদে বসানো হয় ভিকর রসুল ওয়ানিকে। সেটা নিয়েও জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ ছিল বলেও একটি সূত্রের খবর। সব মিলিয়েই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গুলাম। পদ পেয়েও ইস্তফা দেওয়া যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার

LinkedIn
Share